স্বত্ব © 2024 দৈনিক পত্রিকা |
সম্পাদক ও প্রকাশক: উবায়দুর রহমান, ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: মোঃ জুয়েল মিয়া প্রতিষ্ঠাতা: পি বা লিজন।সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয়- পাইকপাড়া,লোকনাথ দিঘীর পাড়,পৌর কমিউনিটি সেন্টার ২য় তলা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া।দৈনিক পত্রিকা অনলাইন নিউজ পোর্টাল। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের কর্তৃক নিবন্ধনের জন্য প্রক্রিয়া দিন।newsdainikpatrika@gmail.com মোবাইল নাম্বার 01751406352,01715958768
মুখলেছুর রহমান অভি : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে বিজয়নগর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। উক্ত কমিটিতে সাবেক ছাত্রনেতা সুনির্মল সাহাকে সভাপতি ও ছাত্রলীগের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এমদাদ সাগরকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে।
গতকাল শনিবার দুপুরে বিজয়নগর উপজেলার চান্দুরা ডাক বাংলো খেলার মাঠে সেচ্ছাসেবক লীগের কর্মিসভা শেষে নবগঠিত সেচ্ছাসেবক লীগের কমিটি ঘোষণা করা হয়। বিজয়নগর উপজেলা সেচ্ছাসেবক লীগের আহবায়ক সুনির্মল সাহার সভাপতিত্বে কর্মিসভায় প্রধান অতিথি ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া -৩ (সদর বিজয়নগর) আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি তানবীর ভূঞা,জেলা সেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি এডভোকেট লোকমান হোসেন, জেলা যুবলীগের সভাপতি শাহানূর জাহান, সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম ফেরদৌস, বিজয়নগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জহিরুল হক ভূইয়া সহ আরো অনেকে। সেচ্ছাসেবক লীগের কর্মিসভা শেষে র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি সুনির্মল সাহা কে সভাপতি ও জনপ্রিয় ছাত্রনেতা এমদাদ সাগর কে সাধারণ সম্পাদকের নাম ঘোষণা করেন। নবনির্বাচিত সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে উপজেলার সকল সেচ্ছাসেবক লীগের নেতাকর্মীদের নিয়ে দ্রুত সময়ের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ কমিটি করার নির্দেশনা দেওয়া হয়।
একপ্রতিক্রিয়া নবনির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক এমদাদ সাগর এ প্রতিবেদককে বলেন, আমাকে বিজয়নগর উপজেলা সেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া -৩ (সদর বিজয়নগর) আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সংগ্রামী সভাপতি, আমাদের অবিভাবক জননেতা র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি কে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাচ্ছি।
তাছাড়া আমাদের সেচ্ছাসেবক লীগের কমিটি গঠন করার সাথে যারা সংশ্লিষ্ট ছিলেন সবাইকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। বিজয়নগর উপজেলা সেচ্ছাসেবক লীগ সবসময় রাজপথে থাকবে।এমদাদ সাগর বিজয়নগর উপজেলা সেচ্ছাসেবক লীগকে সাংগঠনিক ভাবে শক্তিশালী করতে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।
জেষ্ঠ প্রতিবেদক-আদিত্য কামাল
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আইনজীবীদের চলমান আদালত বর্জন কর্মসূচি শিগগির তুলে নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আইনজীবী সমিতির নেতারা।
রোববার (১২ ফেব্রুয়ারি) সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সার্কিট হাউসে আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের সঙ্গে সমিতির নেতাদের বৈঠকের পর এই তথ্য জানানো হয়।
বৈঠক শেষে জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি মো. তানবীর ভূঞা সাংবাদিকদের বলেন, সমিতির সাধারণ সভার পর আনুষ্ঠানিকভাবে কর্মসূচি প্রত্যাহারের ঘোষণা দেওয়া হবে।
আইনমন্ত্রীর সঙ্গে আইনজীবীদের বৈঠকে আইন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. গোলাম সারোয়ার, জেলা জজ বেগম শারমিন নিগার, জেলা প্রশাসক মো. শাহগীর আলম, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৩ এর বিচারক রবিউল হাসান, যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ নজরুল ইসলাম ও সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. আল আমিন উপস্থিতি ছিলেন।
এতে আরও উপস্থিত ছিলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি মো. তানবীর ভূঞা, সদ্য বিদায়ী সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান বাবুল, সাবেক সভাপতি শফিউল আলম লিটন ও মো. নাজমুল হোসেন, আইনজীবী মাহবুব আলম খোকন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
জুয়েল মিয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় পুকুরে বৈদ্যুতিক লাইট ঝুলাতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মেহেদী হাসান রনি (৩৭) নামে এক যুবক মারা গেছেন। বৃহস্পতিবার (২০ জুলাই) দুপুরে উপজেলার দক্ষিণ ইউনিয়নের নূরপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। মেহেদী হাসান রনি ওই এলাকার আব্দুল মান্নান শাহর ছেলে। নিহত রনি উপজেলার দক্ষিণ ইউনিয়ন যুবলীগের নেতা ছিলেন । রনির মৃত্যুতে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, আখাউড়া পৌর মেয়র তাকজিল খলিফা, জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ সহ অসংখ্য মানুষ শোক প্রকাশ করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান৷ শুক্রবার সকাল ১১টায় নুরপুর গ্রামে স্কুল মাঠে তার যানাজা নামাজ অনুষ্ঠিত হবে। মারা যাওয়া রনির শ্যালক হাসান মাহমুদ পারভেজ বলেন, আমার একমাত্র ভগ্নিপতি মেহেদী হাসান রনি। বৃহস্পতিবার দুপুরে পুকুরের খুঁটি পুঁতে বৈদ্যুতিক লাইট ঝুলাতে যান। এ সময় তিনি বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে পানিতে পড়ে যান। তাকে উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে তাকে জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।পারভেজ আরও বলেন, রনির ভাই যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করেন। আগস্টে তার দেশে আসার কথা। ভাইয়ের সঙ্গে একমাস পর দুলাভাইয়েরও প্রবাসে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সেই স্বপ্ন আর পূরণ হলো না। আমার বোনটি একা হয়ে গেলো।আখাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ আসাদুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। মারা যাওয়া ব্যক্তির পরিবারের কোনো অভিযোগ না থাকায় মরদেহ তাদের হস্তান্তর করা হয়েছে।
জুয়েল মিয়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদের মাসিক সভা থেকে ৮ সদস্যকে বের করে দিলেন জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আল মামুন সরকার। ইচ্ছেমতো প্যানেল চেয়ারম্যান বানানো এবং নিয়ম বহির্ভূতভাবে প্রকল্প গ্রহণ ও অর্থ বণ্টনের রেজুলেশনে স্বাক্ষর না করায় তাদেরকে বের করে দেয়া হয়েছে বলে জানা যায়। গতকাল পরিষদের তৃতীয় মাসিক সভায় এ ঘটনা ঘটে। পরিষদের সদস্যরা অভিযোগ করেন, সভার শুরুতে দ্বিতীয় সভায় স্বেচ্ছাচারিতার মাধ্যমে নেয়া সিদ্ধান্তের রেজুলেশনে স্বাক্ষর করতে চেয়ারম্যান আল মামুন সরকার তাদের বলেন । এতে রাজি না হওয়ায় চেয়ারম্যান তাদের সভা থেকে বেরিয়ে যেতে বলেন। দুপুর সাড়ে ১২টায় সভা শুরু হওয়ার কথা থাকলেও তা শুরু হয় দেড়টায়। এরপর মিনিট ১৫ সভায় অংশগ্রহণ ছিল ৮ সদস্যের। এ সময় জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান তার বিরুদ্ধে ওই সদস্যদের মন্ত্রণালয়ে করা অভিযোগের নিন্দা প্রস্তাব গ্রহণের কথা বলেন। এ নিয়ে সদস্যদের সঙ্গে তার তুমুল বাকবিতণ্ডা হয়। এরপরই সদস্যরা সভা ছেড়ে বেড়িয়ে আসেন। এদিকে সভাকে কেন্দ্র করে জেলা পরিষদে এক ইন্সপেক্টর ও ২ সাব-ইন্সপেক্টরের নেতৃত্বে মোট ১৫/২০ জন পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়। সংরক্ষিত সদস্য বিউটি কানিজ জানান, মিটিংয়ে যাওয়ার পর চেয়ারম্যান আমাদের বলেন আমরা নাকি উপজেলা চেয়ারম্যান ও মেয়রদের অপমান করার জন্যে লজ্জাকর ইতিহাস তেরি করেছি।এটি নিন্দনীয় কাজ হয়েছে বলে তিনি আমাদেরকে এ ব্যাপারে নিন্দা জানাতে বলেন। এ সময় আমরা নিন্দার বিষয়টি বাদ দিয়ে চেয়ারম্যানকে আমাদের কথা শুনতে বলি। তখন চেয়ারম্যান বলেন, কথা বলতে চাইলে আগে রেজুলেশনে স্বাক্ষর করেন, না হলে বেরিয়ে যান। আপনাদের মিটিংয়ে অ্যাটেন্ড করার দরকার নেই। যেহেতু আমাদের কথা বলতে দেবে না, আর ইতিপূর্বে প্যানেল চেয়ারম্যান ও বরাদ্দে বণ্টনের বিষয়ে চেয়ারম্যানের ইচ্ছেমতো নেয়া রেজুলেশনে স্বাক্ষর করতে বলা হচ্ছে, আমরা সেটি না করে বেরিয়ে আসি। ব্রাহ্মণবাড়িয়া উপজেলা থেকে নির্বাচিত পরিষদ সদস্য বাবুল মিয়া বলেন, মিটিংয়ে যাওয়ার পর চেয়ারম্যান বিগত মিটিংয়ের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে আমাদের স্বাক্ষর দিতে বলেন। আমাদের কোনো কথা শুনতে চাইছিলেন না। এ নিয়ে তার সঙ্গে আমাদের বাকবিতণ্ডা হয়। চেয়ারম্যান তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের নিন্দা প্রস্তাব দিতে বলেন। আমরা এরও প্রতিবাদ করি। এছাড়া জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আল মামুন সরকার তার নিজ ক্ষমতা বলে উপজেলা চেয়ারম্যান ও মেয়রদের ৪ লাখ টাকা করে এবং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদের ৩ লাখ টাকা করে বরাদ্দ বিভাজন করেন। শুধু তাই নয়, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান উন্নয়ন প্রকল্পের চাহিদা প্রদানের একটি ফরম ছাপিয়ে বণ্টন করেছেন। এ ছাড়া কোনো অনুমোদন ছাড়াই ৮/১০ লাখ টাকায় ৩ হাজার কম্বল ক্রয় করেন। এর আগে গত ৯ই ফেব্রুয়ারি স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ও সচিব বরাবর চেয়ারম্যান আল মামুন সরকারের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দেন পরিষদের ৮ সদস্য। তারা হচ্ছেন- আখাউড়ার সাইফুল ইসলাম, সরাইলের পায়েল হোসেন মৃধা, নাসিরনগরের সামসুল কিবরিয়া, আশুগঞ্জের বিল্লাল মিয়া, বাঞ্ছারামপুরের আবুল কালাম আজাদ, বিজয়নগরের বাবুল আক্তার, সদর উপজেলার বাবুল মিয়া ও সংরক্ষিত সদস্য বিউটি কানিজ।এতে অভিযোগ করা হয়, গত ১লা জানুয়ারি পরিষদের দ্বিতীয় সভায় বরাদ্দ বিতরণ নিয়ে সদস্যদের সঙ্গে বিরোধে জড়িয়ে পড়েন চেয়ারম্যান। পরিষদের প্রথম সভায় সকল সদস্যদের মতামত বা ভোটগ্রহণ ছাড়া তার অনুসারী ৩ সদস্যকে প্যানেল চেয়ারম্যান নির্বাচিত করেন। তাছাড়া সদস্যদের পাশ কাটিয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান, পৌরসভার মেয়র এবং ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানদের অনুকূলে অর্থ বরাদ্দ প্রদানের সিদ্ধান্ত নেন নিজেই। এমন সিদ্ধান্ত গ্রহণের বিষয়ে চেয়ারম্যান প্রকাশ্যেই বলেন, জেলা পরিষদ নির্বাচনের পূর্বে নির্বাচনের ভোটার উপজেলা চেয়ারম্যান, পৌরসভার মেয়র ও ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানদের অনুকূলে অর্থ বরাদ্দ প্রদানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তিনি। এটিপ্রচলিত আইন ও বিধিবিধানের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন উল্লেখ করে সদস্যরা তাদের অভিযোগে বলেন, জেলা পরিষদ (সংশোধন) আইন, ২০২২ অনুযায়ী জেলা পরিষদের উন্নয়ন কার্যক্রমের সঙ্গে উপজেলা পরিষদ/পৌরসভা সমূহের উন্নয়ন কার্যক্রমের সুষ্ঠু সমন্বয় নিশ্চিত করার জন্য উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, পৌরসভার মেয়রগণকে পদাধিকার বলে জেলা পরিষদের সদস্য হিসেবে নির্ধারণ করা হয়েছে। কিন্তু জেলা পরিষদের রাজস্ব ও এডিপি বরাদ্দ স্থানীয় সরকারের ওই সকল চেয়ারম্যান ও মেয়রের অনুকূলে বিভাজন করার কোনো বিধান রাখা হয়নি।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে স্বামীর সঙ্গে অভিমান করে রত্না বেগম (২০) নামে এক গৃহবধূ গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে।বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর)দুপুরে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করেছে পুলিশ। গতকাল বিকালে উপজেলার কালিকচ্ছ ইউনিয়নের কালিকচ্ছ গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।রত্না বেগম উপজেলার কালিকচ্ছ ইউনিয়নের কালিকচ্ছ গ্রামের দক্ষিণ পাড়ার মরম আলীর মেয়ে ও বিজয়নগর উপজেলার চম্পকনগর ইউনিয়নের চম্পকনগর গ্রামের রমজান মিয়ার স্ত্রী।পরিবার ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ৩ মাস আগে রত্না বেগমকে বিজয়নগর উপজেলার চম্পকনগর ইউনিয়নের চম্পকনগর গ্রামের রমজান মিয়ার কাছে পারিবারিক ভাবে বিয়ে দেন। বিয়ের পর থেকে রত্নাকে যৌতুকের টাকার জন্য একাধিকবার স্বামীর মার খেতে হয়েছে। দুদিন আগে ৪০ হাজার টাকার জন্য রত্নাকে ফোনে গালাগালি করে রমজান মিয়া,পরে রমজানের সঙ্গে অভিমান করে রত্না শোবার ঘরের সিলিংয়ে ওড়না পেছিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন।ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ এমরানুল ইসলাম জানান, পারিবারিক কলহের জেরে এক গৃহবধূ আত্মহত্যা করেছে। লাশ ময়নাতদন্ত শেষে নিহতের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছি। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসলে মৃত্যুর সঠিক কারন বলা যাবে।
আদিত্য কামাল
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা যুবদলের সভাপতি শামীম মোল্লাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বুধবার (৮ ফেব্রুয়ারি) রাতে শহরের পাওয়ার হাউস রোড এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমরানুল ইসলাম।
তিনি জানান, শামীম মোল্লার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ছিল। সে পরোয়ানায় তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে আরও বেশ কিছু মামলা চলমান রয়েছে।