স্বত্ব © 2024 দৈনিক পত্রিকা |
সম্পাদক ও প্রকাশক: উবায়দুর রহমান, ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: মোঃ জুয়েল মিয়া প্রতিষ্ঠাতা: পি বা লিজন।সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয়- পাইকপাড়া,লোকনাথ দিঘীর পাড়,পৌর কমিউনিটি সেন্টার ২য় তলা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া।দৈনিক পত্রিকা অনলাইন নিউজ পোর্টাল। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের কর্তৃক নিবন্ধনের জন্য প্রক্রিয়া দিন।newsdainikpatrika@gmail.com মোবাইল নাম্বার 01751406352,01715958768
থেমে যাবে না, তোমার পড়ালেখা’ শ্লোগান কে সামনে রেখে সরাইলে ইঞ্জিনিয়ার আবু শামীম মোহাম্মদ পিয়ার পলাশের নিজস্ব অর্থায়নে কালিকচ্ছ ও নোয়াগাঁও ইউনিয়নের ১১ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের দরিদ্র ও মেধাবী ২৭ জন শিক্ষার্থীকে (৩ হাজার টাকা) শিক্ষা বৃত্তি প্রদান করা হয়েছে।ইঞ্জিনিয়ার আবু শামীম মোহাম্মদ পিয়ার (পলাশ) এর উদ্যোগে শনিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) উপজেলার কালীকচ্ছ ইউনিয়নের দত্তপাড়ায় তার পিতা বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী বিল্লাল এর বাড়ি প্রাঙ্গণে এ শিক্ষা বৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।সরাইল পাইলট সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক মো.আইয়ুব খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত “প্রকৌশলী আবু শামীম মোহাম্মদ পিয়ার (পলাশ) শিক্ষা বৃত্তি- ২০২৩ ” অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন সরাইল সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ মান বদ্ধর্ন পাল, এতে স্বাগত বক্তব্য দেন ইঞ্জিনিয়ার আবু শামীম মোহাম্মদ পিয়ার পলাশ।এছাড়াও সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, সরাইল মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ বদর উদ্দিন বদু, কালীকচ্ছ পাঠশালা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. রফিকুল ইসলাম (মানিক), কালীকচ্ছ এম এ বাশার আইডিয়াল ইনষ্টিটিউট এর শিক্ষিকা নাজমা বেগম, নোয়াগাও উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. অহিদ হোসেন, গুনারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দেওয়ান রওশন আরা লাকী প্রমুখ। উক্ত অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সরাইল উপজেলা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাংগঠনিক সম্পাদক অহিদুজ্জামান লস্কর অপু।স্বাগত বক্তব্যে ইঞ্জিনিয়ার আবু শামীম মোহাম্মদ পিয়ার পলাশ বলেন- আপনারা আমার জন্য দোয়া করবেন আমি যেন দরিদ্র ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের কন্যাণে কাজ করতে পারি।ইঞ্জিনিয়ার আবু শামীম মোহাম্মদ পিয়ার (পলাশ) তার নিজস্ব অর্থায়নে শিক্ষার্থীদের জন্য শিক্ষা বৃত্তি চালু করায় বক্তারা তার প্রশংসা করেন।
জুয়েল মিয়া
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনে আ.লীগ মনোনীত প্রার্থী শাহজাহান আলম সাজু। উন্নয়নযজ্ঞে সরাইল – আশুগঞ্জের চেহারা বদলাতে চান তিনি। সাংবাদিক জুয়েল মিয়ার সাথে একান্ত সাক্ষাৎকারে স্মার্ট সরাইল- আশুগঞ্জ প্রতিষ্ঠা করবেন বলে মন্তব্য করে শাহজাহান আলম সাজু বলেন,এখানকার মানুষ মনে করে পরপর তিনবার আ.লীগ ক্ষমতায় আছে৷ এখানে দলীয় এমপি না থাকার কারনে উন্নয়ন বঞ্চিত হয়েছে। এই এলাকার রাস্তাঘাট, ব্রিজ কালভার্ট সবকিছু অচলযোগ্য হয়ে আছে৷ উন্নয়ন বলতে যেটা হওয়ার কথা ছিল, সারাদেশে যেটা হয়েছে, এমনকি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল আশুগঞ্জের বাইরে যারা এমপি হয়েছেন তারা প্রচুর কাজ করেছেন।এই কাজটা এই আসনে হয়নি। এখানে দল মত পথ সবাইকে নিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে হারানো ঐতিহ্যকে ফিরিয়ে আনবো।’
এলাকার মানুষ শান্তিতে থাকবে এবং উন্নয়নের অংশীদার হবে এমন প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করে তিনি আরও বলেন, ‘১৯৭৩ সালে বঙ্গবন্ধু ঘোষিত আশুগঞ্জ পেট্রো কেমিক্যাল কমপ্লেক্স বাস্তবায়ন করবো। এর ফলে আশুগঞ্জ ফার্টিলাইজারের মতো আরও এরকম বেশ কয়েকটি বড় বড় প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠবে।২০০ বছর আগে যে আজবপুর বন্দর ছিল সেটা নদীগর্ভে হারিয়ে এখন চিহ্নই নাই। সেই বন্দরটি ফিরিয়ে আনবো। আশুগঞ্জ থেকে অরুয়াইল পর্যন্ত একটি বেড়িবাঁধ করবো। বেড়িবাঁধটির অনেক কাজ ইতোমধ্যে আমি করে ফেলেছি, সার্ভে হয়ে গেছে। এখানে একটি মাল্টিপারপাস বাঁধ হবে, মেরিন ড্রাইভের মতো হবে৷ এখানে শতশত মেইল ফ্যাক্টরি গড়ে উঠবে। পর্যটন শিল্প গড়ে উঠবে।এখানে হাজার হাজার লোকের কর্মসংস্থান হবে৷ এখানে নতুন অর্থনীতির খাত তৈরি হবে৷ এখানে এই এলাকার লোকজনকে চাকরি দেয়া হবে।ফলে এলাকায় বেকার থাকবেনা। সমাজের বোঝা হয়ে থাকা বেকারগুলো যখন চাকরি পাবে তখন তারা সন্ত্রাসের পথ থেকে ফিরে আসবে। মাদক থেকে ফিরে আসবে। এতে এই এলাকার চেহারার বদল হয়ে যাবে। জনগণ বিগত নির্বাচনে আমাকে বিপুল ভোটে বিজয়ী করেছিল। ইনশাল্লাহ ৭ তারিখের নির্বাচনে বিপুল ভোটে বিজয়ী হবো। আমি বিশ্বাস করি সরাইল- আশুগঞ্জবাসীর সমস্যা তুলে ধরতে এবং জাতির উন্নয়নে আইন প্রনয়নে ভূমিকা রাখতে তারা আমাকে এই সুযোগটা দিবেন।সরজমিনে গেলে সরাইল- আশুগঞ্জের ভোটাররা জানান, সৎ, শিক্ষিত, চরিত্রবান ও জনসেবার মানসিকতাসম্পন্ন যোগ্য মানুষ জনপ্রতিনিধি হিসেবে নির্বাচিত হোক। যিনি সুখে-দুঃখে জনগণের পাশে থাকবেন, তাকেই ভোট দিয়ে নির্বাচিত করবেন। এলাকার রাস্তাঘাটের উন্নয়ন ও শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষায় বলিষ্ঠ ভূমিকা পালনে সক্ষম ব্যক্তিকেই ভোট দিবেন তারা। যারা নির্বাচনের সময় পায়ে ধরে, পাশ করার পর সাধারণ মানুষের উপর অত্যাচার করে, তাদের বর্জন করবেন। শাহজাহান সাজু একজন শিক্ষিত ক্লিন ইমেজের মানুষ।
উল্লেখ্য, গত ৫ নভেম্বর ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনে অনুষ্ঠিত উপনির্বাচনে শাহজাহান আলম সাজু নৌকার প্রার্থী হয়ে ৬১ হাজার ৮২৫ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী জাপার টানা দুইবারের সাবেক সংসদ সদস্য জিয়াউল হক মৃধা পান ৩৭ হাজার ৩৬১ ভোট। এর আগে ১৯৭৩ সালে এখানে নৌকা জয় পেয়েছিল।
নিজস্ব প্রতিবেদক
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় খাল ভরাট করে দখলের পর এবার ব্রিজ ভেঙ্গে ফেলছে একটি প্রভাবশালী মহল। বুধবার (১৭ এপ্রিল) দুপুরে সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার ধরখার ইউনিয়নের অন্তর্গত বনগজ মধ্যপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠ সংলগ্ন লতিফ খন্দকার ও রমজান মিয়ার বাড়ির পাশের খালের ওপর নির্মিত ব্রিজটি ভেঙ্গে ফেলা হচ্ছে।উপজেলা প্রশাসন থেকে অনুমতি না নিয়েই ব্রিজটি ভেঙ্গে ফেলছে তারা। ঘটনাস্থলে গিয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুল আলিমকেও পাওয়া যায়। বনগজ গ্রামের মৃত ছেলু মিয়ার ছেলে সফিকুল ইসলাম সফিক এবং শাহেদ মিয়ার ছেলে কালন মিয়ার নেতৃত্বে ও তত্বাবধানে ব্রিজটি ভাঙ্গা হচ্ছে বলে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়। ব্রিজটি ভাঙ্গার কাজে নিয়োজিত শ্রমিকরা হলেন ছাদেক হোসেন ও মিজান মিয়া। তাদেরকে সফিক ও কালন মিয়া ব্রিজ ভাঙ্গার এই কাজে নিযুক্ত করেছেন বলে তারা জানান। ব্রিজের জায়গায় গণমাধ্যমের উপস্থিতি টের পেয়ে কালন ও সফিক আত্মগোপনে চলে যান। পরে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাদের বক্তব্য নেওয়া যায়নি।
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, প্রায় ২৫ বছর আগে তখনকার স্থানীয় সংসদ সদস্য এডভোকেট শাহ আলমের আমলে খালটির ওপর ব্রিজটি নির্মাণ করা হয়। খালটির দুই পাড়ের মানুষের যাতায়াত ও যোগাযোগের সুবিধার জন্য ব্রিজটি নির্মাণ করা হয়। স্থানীয় একটি প্রভাবশালী মহল দীর্ঘদিন ধরে খালের ওপর নির্মিত ব্রিজটির দুইপাশের একটি বৃহৎ অংশ মাটি ফেলে ভরাট করে দখল করে ফেলেছে। এতে খালটি অস্তিত্ব সংকটে পড়েছে। এখন ব্রিজটি ভেঙ্গে ফেলে খালের পুরো অংশ ভরাট করে দখল করার পায়তারা চালাচ্ছে ওই প্রভাবশালী মহলটি। আখাউড়া উপজেলা প্রকৌশলী কার্যালয়ের সার্ভেয়ার জহুরুল ব্রিজ ভাঙ্গার মৌখিক অনুমতি দিয়েছে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ব্রিজ ভাঙ্গার বিষয়ে আমার নামে এমন একটি কথা আমিও শুনেছি। তবে এটি সত্য নয়। ব্রিজ ভাঙ্গতে হলে একটি নির্দিষ্ট নিয়ম অনুযায়ী কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিতে হয়।ব্রিজ ভাঙ্গার বিষয়ে জানতে চাইলে আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রাবেয়া আক্তার বলেন,‘ আসলে এই বিষয়টি আমি আপনাদের (সংবাদকর্মীদের) মাধ্যমে প্রথম অবগত হয়েছি।আমরা পরবর্তীতে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।খালটির দুইপাশে ভরাটের বিষয়টিও অবগত হলাম, আমরা পরবর্তীতে ব্যবস্থা নেব। ব্রিজটি ভাঙ্গার জন্য কোনো ধরনের অনুমতি চাওয়ার বিষয়টি আমার জানা নেই।’আখাউড়া তন্তর ইউনিয়ন ভূমি অফিসের সহকারী কর্মকর্তা এবিএম ফরিদ উদ্দিন বলেন, ‘উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি(এসিল্যান্ড)স্যার আমাকে পাঠাইছে। ব্রিজটি যে ভাঙ্গতেছে এটা দেখার জন্য আমি সরজমিনে আসছি।স্থানীয় মেম্বার বলছে তিনি ব্রিজ ভাঙ্গার বিষয়ে জানেন না।যারা ব্রিজ ভাঙ্গার কাজ করছে তারা কালন ও সফিকের নাম বলছে। ওনারা ভাঙ্গাইতাছে। ধরখার ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ সাফিকুল ইসলামের সাথে কথা বলেছি। চেয়ারম্যান বলতাছে প্রাইমারি স্কুলের উন্নয়নের কাজ হইতেছে। সরকারী কাজের মালামাল এখান দিয়ে যাবে। ব্রিজটি থাকলে মালামাল নিতে সমস্যা হয়ে যায়।’এবিএম ফরিদ উদ্দিন আরও বলেন,‘ আমার ধারণা সম্ভবত এখানে একটি খাল ছিল। খালটি তো দেখা যায় এখন ভরাট করে ফেলছে।এখন স্কুলের মালামাল নেওয়ার জন্য ব্রিজটি ভাঙ্গতেছে। আমি কাজ বন্ধ রাখার জন্য বলে গেছি এবং চেয়ারম্যান সাহেবকে বলে গেছি এসিল্যান্ড স্যারের সাথে কথা বলার জন্য। উপজেলা প্রশাসন থেকে অনুমতি না নিয়ে ব্রিজ ভাঙ্গতো পারেনা। সরকারি ব্রিজ ভাঙ্গতে গেলে কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিতে হবে।’
জুয়েল মিয়া, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার মাছিহাতা ইউনিয়নের জগৎসার গ্রামের কিশোর জাহিদুল (১৬) কে নৃশংসভাবে হত্যার ঘটনায় তিন আসামিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতারকৃতরা হলেন, জগৎসার গ্রামের মোহাম্মদ হোসেন (৩৫), নজরুল ইসলাম (৪৪) ও মো. সিয়াম (১৫)।বৃহস্পতিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় এক সংবাদ সম্মেলন করে এ তথ্য জানায় পুলিশ। জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মো. ইকবাল হোছাইন জানান, ঘটনার পর পরই আমরা অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে এজহার ভুক্ত আসামী মোহাম্মদ হোসেনকে মঙ্গলবার রাতে গ্রেফতার করি। তার দেয়া ১৬৪ ধারা জবানবন্দির ভিত্তিতে বুধবার রাতে জগৎসার গ্রাম থেকে আরো দুই আসামী নজরুল ইসলাম ও সিয়ামকে গ্রেফতার করা হয়। এছাড়াও এ সময় হত্যায় ব্যবহৃত একটি ছুরি ও ক্ষুর তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিকভাবে গ্রেফতারকৃতরা জানায়, নিহত জাহিদুলের বড় ভাই ছানাউল্লাহ্ একই এলাকার নজরুল ও হোসেনেকে মাদকসহ পুলিশের কাছে ধরিয়ে দেয়। এ ক্ষোভ থেকেই তারা জেল থেকে বের হয়ে প্রতিশোধ নিতে ছানাউল্লাহ্কে খুঁজতে থাকে। তাকে না পেয়ে তার ছোট ভাই জাহিদুলকে ডেকে স্থানীয় পুকুরের পাড়ে ৫ জন মিলে ছুরি ও ক্ষুর দিয়ে জাহিদুলের শরীরের বিভিন্ন অংশ কেটে নৃশংস ভাবে হত্যা করে। তবে তারা ঘটনার সাথে জড়িত থাকার বিষয়ে যে তথ্য দিয়েছে তার সত্যতা আরো নিশ্চিত করতে অধিকতর তদন্ত চলছে। এ ঘটনায় অপর দুই অজ্ঞাতনামা আসামীদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে। এ সময় সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোজাম্মেল হোসেন রেজা, সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ এমরানুল ইসলাম প্রমুখ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে সদর উপজেলার সুলতানপুর পূর্ব পাড়ায় একটি পুকুর থেকে কিশোর জাহিদুলের লাশ উদ্ধার করা হয়। অটোরিকশা চালক এলাছ মিয়ার চার ছেলে সন্তানের মধ্যে জাহিদুলসহ তিন ছেলে চট্টগ্রামে বেকারিতে কাজ করে। দুই সপ্তাহ আগে ছুটিতে বাড়িতে আসে জাহিদুল। সন্ধ্যায় বাড়ি থেকে বের হলে তাকে আর খুঁজে পাওয়া যায়নি। তাকে জবাই করা ছাড়াও দুই হাতে কব্জি, দুই কান কেটে দেওয়া হয়েছে। বুক ও পেটে ছুরিকাঘাত করে ভুড়ি বের করে ফেলা হয়েছে। এঘটনায় জাহিদুলের পিতা এলাছ মিয়া বাদী হয়ে পাঁচজনকে আসামী করে সদর মডেল থানায় মামলা করেন।
নিজস্ব প্রতিবেদক : জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতালে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৫ আগস্ট) জাতির জনক শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদনের মাধ্যমে সকাল ৯.৩০ মি. থেকে বেলা ২.৩০ মি. পর্যন্ত এ ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প অনুষ্ঠিত হয়।