স্বত্ব © 2024 দৈনিক পত্রিকা |
সম্পাদক ও প্রকাশক: উবায়দুর রহমান, ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: মোঃ জুয়েল মিয়া প্রতিষ্ঠাতা: পি বা লিজন।সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয়- পাইকপাড়া,লোকনাথ দিঘীর পাড়,পৌর কমিউনিটি সেন্টার ২য় তলা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া।দৈনিক পত্রিকা অনলাইন নিউজ পোর্টাল। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের কর্তৃক নিবন্ধনের জন্য প্রক্রিয়া দিন।newsdainikpatrika@gmail.com মোবাইল নাম্বার 01751406352,01715958768
মোঃ হাবিব মিয়া (৫০) নামে মানসিক ভারসাম্যহীন একজন ব্যক্তি গত বুধবার (১ ফেব্রুয়ারি) বিকাল ৩টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকার ভাদুঘর (এলহামপাড়া) নিজ বাড়ি থেকে সবার অগোচরে বের হয়ে যায় এবং অদ্য পর্যন্ত আর ফিরে আসেনি। তাহার পরিবার আত্নীয়-স্বজনের বাড়িতে ও সম্ভাব্য সকল স্থানে খুঁজাখুঁজি করিয়াও তাহার সন্ধান পায়নি।
হারানোর সময় তার পরনে ছিল লাল খয়েরি শার্ট, লুঙ্গী পরিহিত এবং তাহার গলায় একটি লুঙ্গী সবসময় ঝুলানো থাকে, গায়ের রং শ্যামবর্ণ, শরীরের গড়ন পাতলা, মাতার চুল কালো ছোট, মুখমণ্ডল গোলাকার, মুখমন্ডলে সামান্য দাড়ি আছে, উচ্চতা ৫ ফুট ৪ ইঞ্চি। সে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আঞ্চলিক ভাষায় কথা বলে।
এ বিষয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানায় একটা জিডি করা হয়েছে। জিডি নং – ৯২৯ । যদি কোনো হৃদয়বান ব্যক্তি তার সন্ধান পান তাহলে নিচের ঠিকানায় যোগাযোগ করার জন্য অনুরোধ করা হলো।
যোগাযোগের ঠিকানা: ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানা অথবা তাহার বড় ভাই মোঃ মিয়াচান মিয়া, পিতা মৃত মোতালিব মিয়া, গ্রাম: ভাদুঘর (এলহামপাড়া), থানা: ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর, জেলা: ব্রাহ্মণবাড়িয়া। মোবাইল : ০১৭৫৩১৭৬৮৬১
অপহৃত টেম্পু বেপারী জামালপুর জেলার ইসলামপুর উপজেলার পলবান্ধা বেপারীপাড়ার মো. আবদুস সালাম বেপারীর ছেলে। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকার কাউতলী গ্রামে ভাড়া বাসায় বসবাস করে ট্রেনসহ বিভিন্ন এলাকায় হকারি করেন। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, কসবা উপজেলার বাদৈর গ্রামের ফজলুর রহমানের ছেলে মো. ফারুক মিয়া-(৪৫), একই উপজেলার কুইয়াপানিয়া গ্রামের বাদশা মিয়ার ছেলে জাহের মিয়া ওরফে বোচন-(৫৫) ও খিদিরপুর গ্রামের হান্নান মিয়ার ছেলে মাহবুবুর রহমান-(২৬)। পুলিশ জানায়, গত ১৭ আগষ্ট (বৃহস্পতিবার) সকাল ১০ টার সময় ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকার কাউতলী ব্রীজের উপর থেকে টেম্পু বেপারীকে জোরপূর্বক মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে যায় অপহরণকারীরা। পরে অপহরণকারীরা টেম্পু বেপারীর পরিবারের সদস্যদের কাছে ৫ লাখ টাকা মুক্তিপন দাবি করেন। মুক্তিপনের টাকা না দিলে তাকে হত্যার হুমকি দেয় অপহরণকারীরা। অপহরণকারীদের কথামতো টেম্পু মিয়ার পরিবারের সদস্যরা বিকাশের মাধ্যমে ১ লাখ টাকা মুক্তিপন পাঠায় ও বিষয়টি পুলিশকে অবহিত করে।
পরে পুলিশ গোপন সংবাদ ও তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় শনিবার গভীর রাতে কসবা উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকায় অভিযান চালিয়ে টেম্পু মিয়াকে উদ্ধার সহ তিন অপহরণকারীকে গ্রেপ্তার করে। এ সময় টেম্পু মিয়ার পরিবারের সদস্যদের কাছ থেকে নেয়া মুক্তিপনের ১ লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়।
জুয়েল মিয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় পুকুরে বৈদ্যুতিক লাইট ঝুলাতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মেহেদী হাসান রনি (৩৭) নামে এক যুবক মারা গেছেন। বৃহস্পতিবার (২০ জুলাই) দুপুরে উপজেলার দক্ষিণ ইউনিয়নের নূরপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। মেহেদী হাসান রনি ওই এলাকার আব্দুল মান্নান শাহর ছেলে। নিহত রনি উপজেলার দক্ষিণ ইউনিয়ন যুবলীগের নেতা ছিলেন । রনির মৃত্যুতে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, আখাউড়া পৌর মেয়র তাকজিল খলিফা, জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ সহ অসংখ্য মানুষ শোক প্রকাশ করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান৷ শুক্রবার সকাল ১১টায় নুরপুর গ্রামে স্কুল মাঠে তার যানাজা নামাজ অনুষ্ঠিত হবে। মারা যাওয়া রনির শ্যালক হাসান মাহমুদ পারভেজ বলেন, আমার একমাত্র ভগ্নিপতি মেহেদী হাসান রনি। বৃহস্পতিবার দুপুরে পুকুরের খুঁটি পুঁতে বৈদ্যুতিক লাইট ঝুলাতে যান। এ সময় তিনি বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে পানিতে পড়ে যান। তাকে উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে তাকে জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।পারভেজ আরও বলেন, রনির ভাই যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করেন। আগস্টে তার দেশে আসার কথা। ভাইয়ের সঙ্গে একমাস পর দুলাভাইয়েরও প্রবাসে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সেই স্বপ্ন আর পূরণ হলো না। আমার বোনটি একা হয়ে গেলো।আখাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ আসাদুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। মারা যাওয়া ব্যক্তির পরিবারের কোনো অভিযোগ না থাকায় মরদেহ তাদের হস্তান্তর করা হয়েছে।
সোমবার বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে উপজেলার তেরকান্দা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- সরাইল সদর ইউনিয়নের নিজ সরাইল গ্রামের লোকমান মিয়া (২৯), আমজাদ হোসেন (১৮) ও শরীফ মিয়া (১৬)। সরাইল থানার ওসি মোহাম্মদ এমরানুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ওসি বলেন, তেরকান্দা গ্রামের একটি বাড়িতে বাউন্ডারির দেওয়াল নির্মাণ চলছিল। এ সময় নির্মাণকাজে ব্যবহৃত লোহার রড অসাবধানতাবশত বিদ্যুতের তারে স্পর্শ করে। এতে তারা বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে অচেতন হয়ে পড়েন।
তিনি আরও বলেন, তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
ওসি আরও বলেন, নিহতদের পরিবার লাশগুলো কাউকে কিছু না বলে বাড়িতে নিয়ে গেছে। লাশ ফিরিয়ে এনে হাসপাতাল মর্গে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হবে। পরে বিস্তারিত জানানো হবে।