স্বত্ব © 2025 দৈনিক পত্রিকা |
সম্পাদক ও প্রকাশক: উবায়দুর রহমান, ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: মোঃ জুয়েল মিয়া প্রতিষ্ঠাতা: পি বা লিজন।সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয়- পাইকপাড়া,লোকনাথ দিঘীর পাড়,পৌর কমিউনিটি সেন্টার ২য় তলা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া।দৈনিক পত্রিকা অনলাইন নিউজ পোর্টাল। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের কর্তৃক নিবন্ধনের জন্য প্রক্রিয়া দিন।newsdainikpatrika@gmail.com মোবাইল নাম্বার 01751406352,01715958768
জুয়েল মিয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলায় পূর্ব বিরোধের জের ধরে দু’পক্ষের সংঘর্ষে সফিনূর ওরফে সফিক (৩০) নামে এক কাপড় ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আব্দুর রহমান ও ফয়জুর রহমান নামে দুই যুবক আহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) রাতে উপজেলার শিবপুর ইউনিয়নের বাঘাউড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত সফিক বাঘাউড়া গ্রামের হাফিজ মিয়ার ছেলে এবং তিনি শিবপুর বাজারের কাপড় বিক্রেতা। পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, কয়েক দিন আগে উপজেলার কাইতলা উত্তর ইউনিয়নের নোয়াগাঁও গ্রামের অলেক শা-এর ওরশে সফিকের ছোট ভাই রুবেলকে মারধর করেন বাঘাউড়া গ্রামের কাইয়ুম মিয়ার ছেলে ফয়জুর রহমান। মঙ্গলবার রাতে রুবেলের বড় ভাই সফিক প্রতিপক্ষের ফয়জুর রহমানকে ওই ঘটনা জিজ্ঞেস করতে গেলে ফয়জুর ও তার বড় ভাই কসাই আবদুর রহমানসহ বাড়ির লোকজন সফিক এর ওপর হামলা চালায় এবং তাকে কুপিয়ে আহত করেন। খবর পেয়ে রুবেল ও তাদের পক্ষের লোকজন সেখানে গেলে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে আবদুর রহমান ও ফয়জুর আহত হন। তাদেরকে নবীনগর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে এবং পুলিশ প্রহরায় চিকিৎসা চলছে। এছাড়া রক্তাক্ত অবস্থায় রাত সাড়ে ৯টায় সফিককে নবীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নবীনগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ মাহবুব আলম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, বর্তমানে এলাকার পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। এলাকায় পুলিশ মোতায়েন রয়েছে এবং দুইজনকে আটকসহ সফিককে কুপিয়ে হত্যা করার রক্তমাখা ছুড়ি উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধার করেছে এবং ময়নাতদন্তের জন্য সকালে জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে।
এ ঘটনায় মৃতের স্ত্রী সোমা বেগম বাদী হয়ে মঙ্গলবার সকালে ঘাতক ভাই ও তার স্ত্রীকে আসামি করে সদর মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
নিহত গোলাপ মিয়া খাঁটিহাতা গ্রামের মনসুর আলীর ছেলে।
স্থানীয় সূত্র ও পুলিশ জানায়, মৃত গোলাপ মিয়া খাঁটিহাতা বাজারের নৈশপ্রহরী ছিলেন। তিনি ছিলেন মাদকসেবী। স্থানীয়রা গোলাপকে মাদক সেবন করতে নিষেধ করলে তিনি স্থানীয়দের সঙ্গে অশোভন আচরণ করতেন। সোমবার দুপুরেও গোলাপ স্থানীয় একজনের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করে। পরে ওই ব্যক্তি গোলাপের বড় ভাই মঞ্জুর আলীর কাছে নালিশ করেন।
সোমবার সন্ধ্যার দিকে মঞ্জুর আলী গোলাপকে ডেকে মাদক গ্রহণ ও মানুষের সঙ্গে যেন খারাপ ব্যবহার না করে সেই কথা বললে গোলাপ মঞ্জুর আলীর সঙ্গেও খারাপ ব্যবহার করে। এ নিয়ে দুই ভাইয়ের মধ্যে প্রথমে কথা কাটাকাটি ও পরে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। একপর্যায়ে গোলাপ মিয়া মাটিতে পড়ে গেলে মঞ্জুর আলী গোলাপ মিয়ার কানে কামড় দিয়ে রক্তাক্ত করে।
পরে রক্তাক্ত অবস্থায় স্থানীয়রা গোলাপ মিয়াকে উদ্ধার করে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসেন। হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক গোলাপ মিয়ার কানে ১৫টি সেলাই দিয়ে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় রেফার করেন। গোলাপের স্বজনরা তাকে ঢাকায় না নিয়ে শহরের একটি বেসরকারি ক্লিনিকে ভর্তি করেন। সেখানেই রাত ১১টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গোলাপ মিয়া মারা যান।
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ওসি মো. আসলাম হোসেন বলেন, এ ঘটনায় মৃতের স্ত্রী সোমা বেগম বাদী হয়ে মঙ্গলবার সকালে বড় ভাই মঞ্জুর আলী (৪২) ও তার স্ত্রী আছিয়া বেগমকে (৪০) আসামি করে সদর মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। পুলিশ আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা করছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।
শাহাদাত হোসেন সোহেল,ব্রাহ্মণবাড়িয়া : বিগত ২০২২ – ২০২৩ অর্থ বছরের সার্বিক বিশ্লেষণে “সুখী-সমৃদ্ধ সোনার বাংলা” গড়ার প্রত্যয়ে এবং রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান ও সমাজে সুশাসন প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে কর্মদক্ষতায় জেলার পেশাগত জ্ঞান, দক্ষতা, ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণ সহ ০৭ টি ক্যাটাগরিতে বিচার বিবেচনায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার শ্রেষ্ঠ ইউএনও নির্বাচিত হওয়ায় বিজয়নগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার এ এইচ ইরফান উদ্দিন আহমেদ কে বিজয়নগর উপজেলা নাগরিক ফোরাম এর পক্ষ থেকে সম্মাননা স্মারক প্রদান হয়।
২৭ জুলাই বৃহস্পতিবার বিকাল ৪ ঘটিকার সময় উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয় বিজয়নগর উপজেলা নাগরিক ফোরাম এর নেতৃবৃন্দ সম্মাননা স্মারক প্রদান কালে ইউএনও কে বলেন, আপনার এই কর্মদক্ষতার স্বীকৃতি সুফল ভোগ করব আমরা বিজয়নগরবাসী। আমরা দেখছি আপনি বিজয়নগর যোগদানের পর থেকে নিষ্ঠা ও সততার সাথে প্রশাসনিক বিভিন্ন কাজের গতি ফিরে আসছে। পাশাপাশি ভেজাল পণ্যের বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা, মাদকদ্রব্য উদ্ধার ভূমিকা, বাল্য বিবাহ নিয়ন্ত্রণ, ভূমিদস্যু বিরুদ্ধে শক্তিশালী অবস্থান, অবহেলিত মানুষের প্রশাসনিক হয়রানি বন্ধের মত গুরুত্বপূর্ণ কাজ করে যাচ্ছেন। আপনার কর্মগুনে চির দিন বিজয়নগরবাসী আপনাকে মনে রাখবে।
এসময় বিজয়নগর উপজেলা নাগরিক ফোরাম এর সভাপতি মোঃ আব্দুর রশিদ খাঁন, সিনিয়র সহ-সভাপতি মোঃ শাহ আলম, সাধারণ সম্পাদক, বিজয়নগর উপজেলা প্রেসক্লাব এর সভাপতি এস এম কামরুল হাসান শান্ত, দপ্তর সম্পাদক মোহাম্মদ সেলিম চৌধুরী, প্রচার সম্পাদক সাংবাদিক শাহনেওয়াজ শাহ, সহ-সম্পাদক মোঃ আব্দুল হামিদ, জিয়াউর রহমান, মোঃ সাইমন মিয়া, সদস্য সুজন মিয়া, মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন প্রমুখ উপস্হিত ছিলেন ।
মোঃনিয়ামুল ইসলাম আকঞ্জি
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আরও চার ইউএনও বদলি
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নির্বাহী কর্মকর্তাদের (ইউএনও) বদলি প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এই প্রক্রিয়ায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আরও ৪টি উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তাকে বিভিন্ন জায়গায় বদলির প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে চট্টগ্রামের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার মোহাম্মদ শামীম আলম সই করা এই প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সরওয়ার উদ্দীনকে নোয়াখালী জেলার কবিরহাটে বদলি করা হয়েছে। তার স্থলে বদলি করা হয়েছে নোয়াখালীর কোম্পানিগঞ্জের ইউএনও মেজবা উল আলম ভূইয়াকে। আখাউড়া ইউএনও অংগ্যজাই মারমাকে রাউজানে বদলী করা হয়েছে, তার স্থলে বদলি করা হয়েছে কুমিল্লার মেঘনা উপজেলার ইউএনও রাবেয়া আক্তারকে। নাসিরনগরের ইউএনও ফখরুল ইসলামকে কক্সবাজারের চকরিয়ায় বদলি করা হয়েছে, তার স্থলে বদলি করা হয়েছে নোয়াখালীর চাটখিলের ইউএনও মোহাম্মদ ইমরানুল হককে। বাঞ্ছারামপুরের ইউএনও একি মিত্র চাকমাকে চাঁদপুরের মতলব উত্তরে বদলি করা হয়েছে,তার স্থলে বদলি করা হয়েছে বান্দরবান পার্বত্য জেলার থানচি উপজেলার ইউএনও মুহা.আবুল মনসুরকে।
এর আগে ৪ ডিসেম্বর এক আদেশে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এএইচ ইরফান উদ্দিন আহমেদকে রাঙ্গামাটির রাজস্থলীতে এবং খাগড়াছড়ির পানছড়ির নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রুবাইয়া আফরোজকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে বদলি করা ।