স্বত্ব © 2025 দৈনিক পত্রিকা |
সম্পাদক ও প্রকাশক: উবায়দুর রহমান, ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: মোঃ জুয়েল মিয়া প্রতিষ্ঠাতা: পি বা লিজন।সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয়- পাইকপাড়া,লোকনাথ দিঘীর পাড়,পৌর কমিউনিটি সেন্টার ২য় তলা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া।দৈনিক পত্রিকা অনলাইন নিউজ পোর্টাল। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের কর্তৃক নিবন্ধনের জন্য প্রক্রিয়া দিন।newsdainikpatrika@gmail.com মোবাইল নাম্বার 01751406352,01715958768
জেলা প্রশাসক মো. শাহগীর আলম বলেন, আগামী ১৬ সেপ্টেম্বর শনিবার বিকেল সোয়া তিনটার দিকে ‘জেলাপ্রশাসক গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্ণামেন্ট ২০২৩‘ এর শুভ উদ্বোধন করা হবে। জেলার নয়টি উপজেলার এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভাসহ ১০টি দল টুর্নামেন্টে অংশ নিবে। জেলা শহরের নিয়াজ মুহাম্মদ স্টেডিয়ামে এই টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত হবে।
জুয়েল মিয়া, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
বিদুৎ, গ্যাসের অস্বাভাবিক দাম বৃদ্ধি এবং নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় গণঅধিকার পরিষদের বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার সকাল ১১ঘটিকায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সামনে এ বিক্ষোভ সমাবেশ হয়। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি কাজী রাজীউর রহমান তানভীরের সঞ্চালনায় এসময় বক্তব্য রাখেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ছাত্র অধিকার পরিষদের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো.জুয়েল মিয়া,
জেলা যুব অধিকার পরিষদের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক হাসান ওবায়দুল্লাহ, জেলা শ্রমিক অধিকার পরিষদের সদস্য সচিব স্বপন আহমেদ, ছাত্র নেতা তাসকিন আহমেদ, সাদ্দাম হোসেন প্রমূখ।
বক্তারা বলেন, গত ১০বছর যাবৎ দেশে কোনো সুষ্ঠু নির্বাচন হচ্ছে না। জনগণ স্বাধীনভাবে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারছেনা৷ দিনের পরিবর্তে রাতেই ভোটের কাজ শেষ হয়ে যায়। বড় বড় প্রকল্প থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা হরিলুট চলছে। উপনির্বাচনে হিরো আলমের সাথে দুর্নীতি করে জোরপূর্বকভাবে তার বিজয় ছিনিয়ে নিয়েছে। আওয়ামিলীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন খেলা হবে। অথচ তিনি হিরো আলমের চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করতে পারেনি। জনগণ আজ দ্রব্য মূল্যের দাম বৃদ্ধির কারণে দিশেহারা হয়ে গেছে।
শেখ হাসিনা উন্নয়ন দিয়ে যদি জনগণের ভোট পেয়ে আবারও প্রধানমন্ত্রী হয় তাতে এদেশের জনগণের কোনো সমস্যা নাই। রাজবন্দিদের অচিরেই মুক্তি দিতে হবে, মামলা হামলার পথ ছেড়ে জনগণের দাবি মেনে নেন। অনতিবিলম্বে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের আয়োজন করেন। আওয়ামীলীগের জনপ্রিয়তা কতটুকু তা ক্ষমতা ছেড়ে দিয়ে সুষ্ঠু নির্বাচন করলেই প্রমাণ হবে। ২০পারসেন্ট ভোট পাবে কিনা সন্দেহ। চেতনা বিক্রি বন্ধ করুন, জনগণ সব বুঝে, জানে এবং দেখে। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল -আশুগঞ্জ আসনের উপনির্বাচনে বিএনপি থেকে বহিস্কৃত সাত্তারকে সমর্থন করে ২০শতাংশের মতো ভোট গ্রহণ দেখিয়ে এমপি নির্বাচন করতে হয় আওয়ামীলীগের।
সমাপনী বক্তব্যে জেলা ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি কাজী রাজীউর রহমান তানভীর বলেন,
মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে জানতে চাই, বাঁচার জন্য পেটে ভাত না থাকলে, উন্নয়ন দিয়ে কি হবে?
ঝুঁকিপূর্ণ চড়া সুদের বিদেশি ঋণের টাকায় আইওয়াশের উন্নয়ন বাদ দিয়ে, জনগণের কল্যাণে ভারসাম্যপূর্ণ টেকসই উন্নয়ন করুণ।
অর্থপাচার, লুটপাট, দুর্নীতি, অনিয়ম, ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেট রোধ করে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণে আনুন। জনগণের ভোটাধিকার, বাকস্বাধীনতা সহ মৌলিক অধিকার নিশ্চিতের জন্য হলেও নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধিনে নির্বাচন দিন।
অন্যথায় দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেলে, বাংলাদেশের জনগণ আর মানবেনা। বাংলাদেশের জনগণ সেই ১৯৪৮, ৫২, ৬৯ এবং ৭১ সালে স্বাধীনতা ছিনিয়ে আনার মাধ্যমে ইতিহাস রচনাকারী জাতি। তারা প্রয়োজনে আরও শত সহশ্র বার অন্যায়, অনিয়ম, অধিকার হরণের শৃঙ্খল ভেঙে স্বাধীনতা ফিরিয়ে এনে ইতিহাস রচনা করবে।
মোঃনিয়ামুল ইসলাম আকন্ঞ্জি :ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের আনন্দময়ী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচন হয়েছে গত শনিবার। ১০ বছর পর হওয়া এই নির্বাচন ঘিরে উৎসাহ-উদ্দীপনা ছিলো ব্যাপক। নির্বাচনে সাধারণ অভিভাবক সদস্যের ৪টি এবং সংরক্ষিত মহিলা অভিভাবক সদস্যের একটি পদের জন্যে দুটি প্যানেলে ১০ জন প্রতিদ্বন্ধিতা করেন। এতে ৫টি পদেই জয় পেয়েছে খোকন-আনিছ পরিষদ। তাদের সবাই দ্বিগুনেরও বেশী ভোট পেয়েছেন। সাধারণ অভিভাবক সদস্য পদে সর্বোচ্চ ৫৮২ ভোট পেয়ে জয়ী হন মোহাম্মদ হাবিব উল্লাহ,২য় মো: আজহারুল করিম পেয়েছেন ৫৩৯ ভোট,মো: আনিছ খাঁন ৫২৩ ভোট পেয়ে তৃতীয় এবং ৪৫৬ ভোট পেয়ে চতুর্থ হয়েছেন আবদুল্লা আল সাঈদ। নারী অভিভাবক সদস্য পদে ৫৩৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন তাহমিনা আক্তার। তাদের প্রতিদ্বন্ধি পুরুষ অভিভাবক সদস্য মনির খাঁন পেয়েছেন ২৮৬ ভোট,মো: শফিকুর রহমান ২১২ ভোট,নন্দ দুলাল পাল ১৬৩,দীলিপ কুমার কর্মকার ১৪১ এবং বিউটি রানী সুত্রধর পেয়েছেন ২৫২ ভোট। খোকন-আনিছ পরিষদ বিদ্যালয়ের পাশের লোকনাথ ময়দান ভিত্তিক সংগঠন ‘ভোরের সাথী’ মনোনীত প্যানেল হিসেবে পরিচিত। সংগঠনের সভাপতি মো: আতিকুল ইসলাম আতিকের নেতৃত্বে সংগঠনের সদস্যরা ওই প্যানেলকে জয়ী করতে সক্রিয় ছিলেন। নির্বাচনে মোট ১৪২১ ভোটের মধ্যে ৯৫৬ ভোট কাষ্ট হয়। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো: আবু জামাল জানান-২০১৪ সালে সর্বশেষ নির্বাচন হয়। এরপর এডহক কমিটি দায়িত্ব পালন করে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ও নির্বাচনের প্রিজাইডিং অফিসার জীবন ভট্টাচার্য জানান-নির্বাচন সুষ্টু ও শান্তিপূর্ন হয়েছে।
জুয়েল মিয়া
সরকারদলীয় প্রার্থীকে বেশি সহনশীল হওয়ার আহ্বান জানিয়ে নির্বাচন কমিশনার ( ইসি) মো. আনিছুর রহমান বলেন, ‘অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যত্যয় হবে না। ভালো নির্বাচন না হলে অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক সংকট তৈরি হবে। প্রধানমন্ত্রী আমাদের স্পষ্ট বলে দিয়েছেন যে কে কোন পদের সেটা বড় কথা না। কেউ অন্যায় করলে তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।’ দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে শুক্রবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলনকক্ষে আয়োজিত মতবিনিময় সভা এবং প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী, নির্বাচন কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে বিশেষ আইন-শৃঙ্খলা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।এছাড়া সরকারদলীয় প্রার্থীদের বেশি সহনশীল হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
সভায় একাধিক প্রার্থী তাঁদের বেশ কিছু অভিযোগ তুলে ধরেন। এ ছাড়া সরকারদলীয় প্রার্থীদের মধ্যে এমপিরা সরকারি সুবিধা নিয়ে প্রচারণা চালানোর অভিযোগ উঠলে ইসি এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দেন এবং নিয়ম অনুযায়ী কে কতটুকু সুবিধা পাবেন, তা-ও উল্লেখ করেন। পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বিষয়টি উঠলে ইসি জানান, এখন থেকে আর আগের মতো প্রটোকলের বিষয়টি দেখা যাবে না। কিভাবে কী করতে হবে, তা বলে দেওয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্টদের উদ্দেশ করে আনিছুর বলেন, ‘ডানে-বাঁয়ে তাকানোর সময় নেই। কে কোন দলের সেটা আপনারা ভাববেন না। প্রিজাইডিং অফিসারকে সব ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে।’ তিনি জানান, ভোট প্রতিহত করার ঘোষণার বিষয়টি একেবারে ফেলে দেওয়া হবে না। ব্যালট বাক্স ছিনতাইয়ের কথা যারা মাথায় নিয়ে রেখেছেন, সেটা মাথা থেকে ফেলে দেওয়ার জন্য বলেন তিনি। ভোটের আগে-পরে সংখ্যালঘু নির্যাতনের বিষয়েও সতর্ক থাকার কথা বলেন তিনি।
এ সময় বেশ কয়েকজন প্রার্থী তাঁদের নির্বাচনী এজেন্ট ছাড়াও জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান, পুলিশ সুপার মো. শাখাওয়াত হোসেন, বিজিবির ব্যাটালিয়ন অধিনায়ক লে. কর্নেল আশিক হাসান উল্লাহ উপস্থিত ছিলেন।
মোঃ জুয়েল মিয়া
চতুর্থ ধাপে আগামী ৫ই জুন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচন। ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলায় আলোচিত ৩ চেয়ারম্যান প্রার্থীর একজন জেলা স্বেছাসেবক লীগ সভাপতি ও সদর উপজেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান লোকমান হোসেন (কাপ-পিরিচ) নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন। আনুষ্ঠানিকভাবে লোকমান হোসেন নির্বাচনী মাঠ থেকে সরে দাঁড়ানোর ফলে এই উপজেলার নির্বাচনের দৃশ্যপটের পরিবর্তন শুরু হয়েছে।এখন জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মো. হেলাল উদ্দিন (ঘোড়া) এর সঙ্গেই জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. শাহাদৎ হোসেন শোভন (আনারস) এর প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে।হেলাল উদ্দিন জাতীয় বীর আবদুল কুদ্দুস মাখনের ছোট ভাই। এই পরিচয়কে সামনে রেখে এবং আত্মীয়স্বজনের মাধ্যমে বিভিন্ন এলাকায় নিজের অবস্থান শক্ত করার চেষ্টা চালাচ্ছেন তিনি। দলের নেতাদেরও তার পক্ষে নামানোর চেষ্টা করছেন। এদিকে সময় যত ঘনিয়ে আসছে নির্বাচনী মাঠে শোভনের অবস্থান তত ভালো হচ্ছে। নির্বাচন ঘিরে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা শোভনের পক্ষে সর্বত্র সক্রিয় রয়েছেন। রমজানে ভর্তুকিতে নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রী বিক্রির ব্যবস্থা করে দৃষ্টি কাড়েন শোভন। এছাড়া ঈদুল ফিতরে বিভিন্ন স্তরের মানুষের মাঝে উপহারসামগ্রী বিতরণ করেন তিনি।চেয়ারম্যান পদে লোকমান হোসেন ছাড়াও আরও ৪ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। চেয়ারম্যান পদে অন্য দুই প্রতিদ্বন্দ্বী হলেন, কাজী সেলিম রেজা (দোয়াত-কলম) ও আব্দুল কারীম (মোটরসাইকেল)। তারাও ভোটারদের মন জয় করতে চেষ্টা চালাচ্ছেন।ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান পদে তফাজ্জল সিকদার (উড়োজাহাজ), মোস্তাক আহমেদ খোকন (বই), মো. আজহারুল ইসলাম (তালা), মো. আনিছ খান (টিউবওয়েল), মো. ইলিয়াছ চৌধুরী (আইসক্রিম), রবিউল আলম (চশমা) ও শফিকুল ইসলাম (মাইক) প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে উম্মে হানি সেতু (কলস), আফরিন ফাতেমা জুঁই (ফুটবল), নাসিমা আক্তার (প্রজাপতি) ও শামীমা আক্তার (পদ্ম ফুল) প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।গতকাল শনিবার (২৫ মে) সন্ধ্যায় ঘোষিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে লোকমান হোসেন উল্লেখ করে বলেন, ‘আমি ব্যক্তিগত ও পারিবারিক কারণে এবং দলীয় ঐক্যকে সুসংহত করার লক্ষ্যে নির্বাচনে অংশগ্রহণ থেকে বিরত থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এই জন্য আমি আমার নির্বাচনী এলাকার সর্বস্তরের জনগণ, ভোটার, সমর্থক ও শুভাকাঙ্খির কাছে দুঃখ প্রকাশ ও ক্ষমা প্রার্থনা করছি এবং যত দিন বেঁচে থাকবো সুখে দুঃখে আপনাদের পাশে থাকার অঙ্গিকার ব্যক্ত করছি।’তিনি আরও বলেন, ‘আমি একজন রাজনৈতিক ও সমাজকর্মী হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ক্ষুধা ও দারিদ্র মুক্ত সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ বির্নিমাণে সচেষ্ট থাকব। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী র.আ.ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী আমার রাজনৈতিক অভিভাবক। তার প্রতি পূর্ণ আনুগত্য পোষণ করে আগামীর পথচলার অঙ্গীকার করছি।’