স্বত্ব © 2024 দৈনিক পত্রিকা |
সম্পাদক ও প্রকাশক: উবায়দুর রহমান, ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: মোঃ জুয়েল মিয়া প্রতিষ্ঠাতা: পি বা লিজন।সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয়- পাইকপাড়া,লোকনাথ দিঘীর পাড়,পৌর কমিউনিটি সেন্টার ২য় তলা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া।দৈনিক পত্রিকা অনলাইন নিউজ পোর্টাল। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের কর্তৃক নিবন্ধনের জন্য প্রক্রিয়া দিন।newsdainikpatrika@gmail.com মোবাইল নাম্বার 01751406352,01715958768
এ ঘটনায় মৃতের স্ত্রী সোমা বেগম বাদী হয়ে মঙ্গলবার সকালে ঘাতক ভাই ও তার স্ত্রীকে আসামি করে সদর মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
নিহত গোলাপ মিয়া খাঁটিহাতা গ্রামের মনসুর আলীর ছেলে।
স্থানীয় সূত্র ও পুলিশ জানায়, মৃত গোলাপ মিয়া খাঁটিহাতা বাজারের নৈশপ্রহরী ছিলেন। তিনি ছিলেন মাদকসেবী। স্থানীয়রা গোলাপকে মাদক সেবন করতে নিষেধ করলে তিনি স্থানীয়দের সঙ্গে অশোভন আচরণ করতেন। সোমবার দুপুরেও গোলাপ স্থানীয় একজনের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করে। পরে ওই ব্যক্তি গোলাপের বড় ভাই মঞ্জুর আলীর কাছে নালিশ করেন।
সোমবার সন্ধ্যার দিকে মঞ্জুর আলী গোলাপকে ডেকে মাদক গ্রহণ ও মানুষের সঙ্গে যেন খারাপ ব্যবহার না করে সেই কথা বললে গোলাপ মঞ্জুর আলীর সঙ্গেও খারাপ ব্যবহার করে। এ নিয়ে দুই ভাইয়ের মধ্যে প্রথমে কথা কাটাকাটি ও পরে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। একপর্যায়ে গোলাপ মিয়া মাটিতে পড়ে গেলে মঞ্জুর আলী গোলাপ মিয়ার কানে কামড় দিয়ে রক্তাক্ত করে।
পরে রক্তাক্ত অবস্থায় স্থানীয়রা গোলাপ মিয়াকে উদ্ধার করে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসেন। হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক গোলাপ মিয়ার কানে ১৫টি সেলাই দিয়ে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় রেফার করেন। গোলাপের স্বজনরা তাকে ঢাকায় না নিয়ে শহরের একটি বেসরকারি ক্লিনিকে ভর্তি করেন। সেখানেই রাত ১১টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গোলাপ মিয়া মারা যান।
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ওসি মো. আসলাম হোসেন বলেন, এ ঘটনায় মৃতের স্ত্রী সোমা বেগম বাদী হয়ে মঙ্গলবার সকালে বড় ভাই মঞ্জুর আলী (৪২) ও তার স্ত্রী আছিয়া বেগমকে (৪০) আসামি করে সদর মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। পুলিশ আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা করছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।
জুয়েল মিয়া
সরকারদলীয় প্রার্থীকে বেশি সহনশীল হওয়ার আহ্বান জানিয়ে নির্বাচন কমিশনার ( ইসি) মো. আনিছুর রহমান বলেন, ‘অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যত্যয় হবে না। ভালো নির্বাচন না হলে অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক সংকট তৈরি হবে। প্রধানমন্ত্রী আমাদের স্পষ্ট বলে দিয়েছেন যে কে কোন পদের সেটা বড় কথা না। কেউ অন্যায় করলে তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।’ দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে শুক্রবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলনকক্ষে আয়োজিত মতবিনিময় সভা এবং প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী, নির্বাচন কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে বিশেষ আইন-শৃঙ্খলা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।এছাড়া সরকারদলীয় প্রার্থীদের বেশি সহনশীল হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
সভায় একাধিক প্রার্থী তাঁদের বেশ কিছু অভিযোগ তুলে ধরেন। এ ছাড়া সরকারদলীয় প্রার্থীদের মধ্যে এমপিরা সরকারি সুবিধা নিয়ে প্রচারণা চালানোর অভিযোগ উঠলে ইসি এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দেন এবং নিয়ম অনুযায়ী কে কতটুকু সুবিধা পাবেন, তা-ও উল্লেখ করেন। পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বিষয়টি উঠলে ইসি জানান, এখন থেকে আর আগের মতো প্রটোকলের বিষয়টি দেখা যাবে না। কিভাবে কী করতে হবে, তা বলে দেওয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্টদের উদ্দেশ করে আনিছুর বলেন, ‘ডানে-বাঁয়ে তাকানোর সময় নেই। কে কোন দলের সেটা আপনারা ভাববেন না। প্রিজাইডিং অফিসারকে সব ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে।’ তিনি জানান, ভোট প্রতিহত করার ঘোষণার বিষয়টি একেবারে ফেলে দেওয়া হবে না। ব্যালট বাক্স ছিনতাইয়ের কথা যারা মাথায় নিয়ে রেখেছেন, সেটা মাথা থেকে ফেলে দেওয়ার জন্য বলেন তিনি। ভোটের আগে-পরে সংখ্যালঘু নির্যাতনের বিষয়েও সতর্ক থাকার কথা বলেন তিনি।
এ সময় বেশ কয়েকজন প্রার্থী তাঁদের নির্বাচনী এজেন্ট ছাড়াও জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান, পুলিশ সুপার মো. শাখাওয়াত হোসেন, বিজিবির ব্যাটালিয়ন অধিনায়ক লে. কর্নেল আশিক হাসান উল্লাহ উপস্থিত ছিলেন।
আশুগঞ্জ-আগরতলা ফোরলেন সড়কে শহরের পুনিয়াউট থেকে ফুলবাড়িয়া এলাকা পর্যন্ত নির্মানাধীন ফ্লাইওভারটি বিরাশার বাসষ্ট্যান্ড পর্যন্ত বর্ধিত করার দাবী জানিয়ে নাটাই উত্তর ইউনিয়নের মানুষ বিরাশার বাসষ্ট্যান্ডে এক মানববন্ধন করেছেন।মঙ্গলবার সকাল ১১ টায় বিরাসার বাসষ্ট্যান্ডে এই দাবীতে করা মানববন্ধনে বক্তারা বলেন- বিরাশার একটি ব্যস্ততম জায়গা। বিরাসার বাসষ্ট্যান্ড হয়ে সদর এবং আশুগঞ্জ উপজেলার কয়েকটি ইউনিয়নের মানুষ চলাচল করেন। শহরে আসা যাওয়ায় ৪ লেন মহাসড়ক অতিক্রম করতে গিয়ে তীব্র যানজট এবং দূর্ভোগের শিকার হতে হয়। সেজন্যে নির্মানাধীন ফ্লাইওভারের দৈর্ঘ্য বৃদ্ধির প্রস্তাব করেন এলাকার মানৃষ।মানববন্ধনে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন-তাজ মো: ইয়াছিন, আবুল কাশেম মাষ্টার, দুলাল আনসারী, আবুল কালাম, বিরাশার বাসস্ট্যান্ড ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মনিরুল ইসলাম, মোমিন হোসেন, জয়নাল মিয়া, সোহরাব হোসেন প্রমুখ।
নিজস্ব প্রতিবেদক
আজ ২৯ সেপ্টেম্বর (শুক্রবার)বিশ্ব হার্ট দিবস’। এ বছরের প্রতিপাদ্য হলো ‘ইউজ হার্ট, নো হার্ট’। বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতাল দিবসটি পালন করেছে।এ উপলক্ষ্যে শুক্রবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতাল প্রাঙ্গণে আলোচনা সভা ও র্যালি অনুষ্ঠিত হয়েছে।এতে উপস্থিত ছিলেন, ডাঃ মো. রাজু আহমেদ এমবিবিএস, ডি-কার্ড (বি.এস.এম.এম ইউ)। এইচ এম জাকারিয়া জাকির, কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য হার্ট ফাউন্ডেশন। প্রাউড অব ব্রাহ্মণবাড়িয়া’র কার্ণধার কোহিনূর আক্তার প্রিয়া, জেলা নাগরিক ফোরামের সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল মতিন শিপন, আমরাই আগামীর চোখ সংগঠনের প্রতিষ্টাতা সভাপতি নাসির উদ্দিন সরকার, সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ রেদুয়ান, জাকিয়া সুলতানা প্রমুখ।উল্লেখ্য, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনে প্রতি রবিবার বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হয়। এছাড়াও অসহায় হতদরিদ্র রোগীদের বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা সহ অন্যান্য সেবা প্রদান করা হয়।
নিজস্ব প্রতিবেদক : সমাজ সেবায় বিশেষ অবদানের জন্য সম্মাননা পেলেন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সভাপতি শফিকুল ইসলাম তৌছির।
বৃহস্পতিবার (২৪ আগস্ট) বিকাল ৫ টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া গভ: মডেল গার্লস হাই স্কুল হলরুমে কবি ও কবিতা বিষয় সংগঠন ‘কবির কলম’ এর ১৪তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী অনুষ্ঠানে তাকে এ সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয়।
‘কবির কলম’ সংগঠনের সভাপতি ছড়াকার তিতাস হুমায়ূন এর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মতিন শিপনের সঞ্চালনায়, এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ছড়াকার আসলাম সানি, বহুমাত্রিক লেখক ও বাংলা একাডেমীর পুরস্কার প্রাপ্ত কবি।
অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন, কবি জয়দুল হোসেন, সভাপতি সাহিত্য একাডেমী ব্রাহ্মণবাড়িয়া। প্রধান আলোচক ছিলেন, কবি ও গীতিকার দেওয়ান মারুফ, বিশিষ্ট শিল্পপতি ও সমাজসেবক। বিশেষ আলোচক ছিলেন, কথা সাহিত্যিক আমির হোসেন, সভাপতি চেতনায় স্বদেশ গণগ্রন্থাগার ব্রাহ্মণবাড়িয়া।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, আবদুর রহিম, রবীন্দ্র সংগীত শিল্পী ও শিক্ষক। ফজিলাতুন নাহার সভাপতি, বাংলাদেশ নারী মুক্তি সংসদ। এড হুমায়ুন কবির, সভাপতি ব্রাহ্মণবাড়িয়া আখাউড়াস্থ সমিতি। কেষ্ট কবি ইসমোনাক। জাকারিয়া জাকির সাংবাদিক ও সমাজ সেবক। কবি মাশরিকি শিপার। কবি রুদ্র মোহাম্মদ ইদ্রিস। ফারুক আহমেদ ভুইয়া সিনিয়র সহ-সভাপতি উদিচি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শাখা। মোস্তাক আহমেদ খোকন, সাধারণ সম্পাদক জাতীয় মানবাধিকার সোসাইটি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শাখা। শফিকুল ইসলাম তৌছির বিশিষ্ট সমাজ সেবক। ফিরোজ মিয়া কলেজের প্রভাষক হানিফ, অংকুর শিশুকিশোর সংগঠন এর প্রতিষ্ঠাতা আনিসুর রহমান রিপন, কবি সৌমিক সাত্তার। কণ্ঠ শিল্পী সোহেল আহমেদ। সঙ্গীত শিল্পী ফরিদ আহমেদ সাগর। সংগীত শিল্পী সানজিদা শারমিন ফ্লোরা। সংগীত শিল্পী সাথি ইসলাম। জাকির হোসেন রাজা তবলা বাদক। আনন্দলোক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের প্রশিক্ষক সোহেল মিয়া। তরুন সংগঠক নাইমুর রহমান। জুয়েনা বিনোদীনি।
এছাড়াও সংগঠন এর সহ-সভাপতি আদিত্ব্য কামাল, সহ-সভাপতি কোহিনূর আক্তার প্রিয়া, ফাহিম মুনতাসীর, ইফতেখারুল ইসলাম সোহান, অন্তর। সদস্য মুরাদ আল হাসান প্রমুখ।
অনুষ্ঠানের শুরুতেই জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে একটি মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।
আবৃত্তি পরিবেশনে ছিলেন, সোনালি সকাল। নৃত্য পরিবেশনে ছিলেন, নৃত্যশিল্পী চন্দ্রিমা বনিক, নৃত্যশিল্পী অবন্তিকা সূত্রধর।
অনুষ্ঠানে গুঞ্জন পাঠাগার নবীনগর, এস এম নাজমুন কবির ইকবাল (ইসমোনাক) সরাইল, সাংবাদিক এইচ এম জাকারিয়া জাকির, শফিকুল ইসলাম তৌছির কে সম্মাননা স্বারক প্রদান করা হয়।