স্বত্ব © 2025 দৈনিক পত্রিকা |
সম্পাদক ও প্রকাশক: উবায়দুর রহমান, ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: মোঃ জুয়েল মিয়া প্রতিষ্ঠাতা: পি বা লিজন।সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয়- পাইকপাড়া,লোকনাথ দিঘীর পাড়,পৌর কমিউনিটি সেন্টার ২য় তলা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া।দৈনিক পত্রিকা অনলাইন নিউজ পোর্টাল। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের কর্তৃক নিবন্ধনের জন্য প্রক্রিয়া দিন।newsdainikpatrika@gmail.com মোবাইল নাম্বার 01751406352,01715958768
আদিত্ব্য কামাল,জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক : ঈদ আনন্দ হউক সবার’ এ লক্ষ্যকে সামনে রেখে প্রতি বছরের মতো এবারো ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নানা শ্রেণী পেশার ৫’শ দুঃস্থ পরিবারের মাঝে ৬ লক্ষ টাকার ঈদ সামগ্রী বিতরণ করেছে মজিদ নাহার ফাউন্ডেশন।বৃহস্পতিবার (১৪ এপ্রিল) বিকেল ৪ টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে এ ঈদ সামগ্রী বিতরণ করা হয়। ঈদ সামগ্রীর মধ্যে ছিলো চাউল ৫ কেজি, আটা ২ কেজি, তেল ১ লিটার, দুধ, চিনি, সেমাই, ট্যাংসহ ১০ ধরণের খাদ্য সামগ্রী।মজিদ-নাহার ফাউন্ডেশনের সহ-সভাপতি এইচ এম জাকারিয়া জাকিরের সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক মো: শাহগীর আলম।বিশেষ অতিথি ছিলেন, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আল মামুন সরকার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মো: জসীম উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক মো: বাহারুল ইসলাম মোল্লা। ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাবের সাবেক জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি আল আমিন শাহিনের সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন ফাউন্ডেশনের কোষাধ্যক্ষ এনায়েত হোসেন মিঠু। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় জেলা প্রশাসক বলেন, যারা সামর্থ্যবান ব্যাক্তিবর্গ আছেন তারা মজিদ-নাহার ফাউন্ডেশনের মতো এগিয়ে আসলে আরো ব্যাপকভাবে অসহায় দরিদ্র মানুষ উপকৃত হবেন।মজিদ নাহার ফাউন্ডেশনের সহ-সভাপতি সাংবাদিক জাকারিয়া জাকির সভাপতির বক্তব্যে বলেন, মজিদ নাহার ফাউন্ডেশন বরাবরি মানবসেবায় কাজ করে যাচ্ছে শুধুমাত্র পুণ্যলাভের আশায়। তিনি আরো বলেন, সমাজের বিত্তবানরা যদি অসহায়দের পাশে দাড়ায় তাহলে সমাজ আরো সুন্দর ও সুশ্রী হবে।আমেরিকা প্রবাসী মনির হোসেন হিটু তার পিতা-মাতার নামে প্রতিষ্ঠিত এই ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে ২০১০ সাল থেকে অসহায়-দরিদ্র মানুষকে সহায়তা করছেন। প্রতিবছর ঈদ খাদ্য সামগ্রী প্রদান করা ছাড়াও সেলাই মেশিন, শীতবস্ত্র ও নগদ অর্থ বিতরন করে আসছে এই ফাউন্ডেশন।
আদিত্ব্য কামাল : ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার স্বনামধন্য সেবামূলক প্রতিষ্ঠান রংধুন বিউটি পার্লার এর সার্বিক সহযোগিতায় বাংলাদেশ নারী উন্নয়ন সোসাইটির পুর্নমিলনী, মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের শীতবস্ত্র বিতরণ, সুবিধা বঞ্চিত শিশুদের মাঝে খাবার বিতরণ ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।শনিবার (৪ মার্চ) দুপুরে রংধনু বিউটি পার্লারে বিডব্লিউইএস এর কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক সুমা মন্ডল এর সভাপতিত্বে উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, এ আর খান, সিইও, বিডব্লিউইএস।বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, সৈয়দ মাসুদুল বারী, সদর উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শামীমা আক্তার, সাবেক ব্যাংক কর্মকর্তা সৈয়দ আজিজুল বারী, বুলবুল আহমেদ, পরিচালক, তাসমিহা এন্টার প্রাইজ। ইয়াসমিন আরা অলিন, ট্রেইনার ও এ্যাসেসর, বাংলাদেশ কারিগর শিক্ষা বোর্ড, এ্যাসেসর বিউটিফিকেশন জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ। নান্দনিক উপস্থাপক আব্দুল মতিন শিপন, সাংগঠনিক সম্পাদক ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা নাগরিক ফোরাম।এছাড়াও বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাবরিনা নিস্মি, বিভাগীয় সভাপতি, বিডব্লিউইএস, প্রাউড অব ব্রাহ্মণবাড়িয়া কর্নধার ও সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের জননীখ্যাত কোহিনূর আক্তার প্রিয়া, জেলা যুব মহিলা লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি তাহমিনা আক্তার পান্না,সহ সভাপতি জয়া রায়।অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনায় ছিলেন, ইয়াসমিন আরা অলিন।অনুষ্ঠানটি সার্বিক সহযোগিতা করেন রংধুন বিউটি পার্লার এর কর্নধার শাহিন আজিজ।
আলোচনা শেষে মাদ্রাসা শিক্ষার্থী ও সুবিধা বঞ্চিত শিশুদের মাঝে কম্বল ও খাবার বিতরণ করা হয়।
সালমান হোসাইন
দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার না হওয়ায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার নয়নপুর গ্রামের একমাত্র রাস্তার বেহাল অবস্থা। এতে চলাচলে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন নয়নপুর গ্রামের বাসিন্দা সহ উলচাপাড়া, বিজ্বেশর, ও মোহাম্মদপুর গ্রামের হাজারো মানুষ। প্রধান সড়ক সংলগ্ন নয়নপুর চৌরাস্তা থেকে উলচাপাড়া ব্রিজ পর্যন্ত একটি গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা ও নয়নপুর গ্রামের বাসিন্দাদের একমাত্র রাস্তা। প্রায় ৭ বছর পূর্বে এ রাস্তাটি সংস্কার করা হয়েছিল। কিন্তু এখন রাস্তাটির বেশিরভাগ অংশের ইট, মাটি ও পিচ সরে গিয়ে ছোট-বড় খানাখন্দে পরিণত হয়েছে। ফলে অল্প বৃষ্টি হলেই এ রাস্তা দিয়ে আর চলাচল করা যায় না। ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা, ভ্যানগাড়ি, ট্রাক ও মোটরসাইকেল আরোহীদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। সামান্য বৃষ্টিতেই রাস্তাগুলো ডুবে কাঁদা সৃষ্টি হয়। যার ফলে এ রাস্তা দিয়ে আর চলাচল করা যায় না।এদিকে মুমূর্ষু রোগীদের জন্য এই রাস্তা যেন মরণফাঁদ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাছাড়া বর্ষাকালে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয় এলাকাবাসীকে। স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী, রোগীসহ সবাইকে গন্তব্যস্থলে পৌঁছতে ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে।
অনেক অটোচালকের বাড়ি নয়নপুর। অটো চালিয়েই চলে তাদের সংসার। রাস্তা নিয়ে তাদের অভিযোগ, পৌরসভার কত রাস্তা ঠিক হচ্ছে, কিন্তু আমাদের রাস্তা হচ্ছে না। মাঝে মধ্যে মনে হয় আমরা এ দেশের জনগণ না। তারা আরও বলেন, ভাঙা রাস্তার কারণে অটো বেশিরভাগ সময়ই টেনে নিতে হয়।
তাজেল, রহিম সরকার , আনোয়ার, সাহেব মিয়া, কাউছার সহ স্থানীয়রা জানায়, নয়নপুর গ্রামের বাসিন্দাদের একমাত্র রাস্তা হলো এটি। আমাদের দুর্ভোগের শেষ নেই। অতিসত্বর রাস্তাটি সংস্কার করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেন তারা।
নিউজ ডেস্ক : উকিল আবদুস সাত্তার ভূঁইয়া। দলের নির্দেশে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল ও আশুগঞ্জ) আসন থেকে পদত্যাগ করে আবার উপনির্বাচনে স্বতন্ত্র হিসেবে দাঁড়িয়ে ফের সংসদ সদস্য হয়েছেন তিনি। বিএনপির এই দলছুট নেতা সম্প্রতি বেশ আলোচনায় রাজনৈতিক অঙ্গনে।
আজ (রোববার) আবার আলোচনায় এসেছেন তিনি।তবে আজ আলোচনায় এসেছেন ভিন্ন কারণে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাবের উদ্যোগে আয়োজিত অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের তিন সংসদ সদস্যের সঙ্গে পাশাপাশি এক মঞ্চে ছিলেন উকিল আবদুস সাত্তার।তিনি বক্তব্য দেওয়ার সময় প্রায় ৩০ সেকেন্ড তার মাইক্রোফোন ধরে রাখেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।বক্তব্য শেষে আবদুস সাত্তার বললেন ‘বাংলাদেশ জিন্দাবাদ’, যেটি বিএনপির স্লোগান হিসেবেই পরিচিত।
উকিল আবদুস সাত্তার যখন বিশেষ অতিথির বক্তব্য দিচ্ছিলেন, তখন মাইক্রোফোন ধরেন মুখের কাছ থেকে কিছুটা দূরে। এ কারণে তার বক্তব্য স্পষ্ট শোনা যাচ্ছিল না। অসুস্থতার কারণে সে সময় তার শরীর কাঁপছিল।এ সময় পাশে বসা আইনমন্ত্রী নিজেই মাইক্রোফোনটি ধরে আবদুস সাত্তারের মুখের কাছে নিয়ে ধরেন। প্রায় ৩০ সেকেন্ড মাইক্রোফোন ধরে রাখেন মন্ত্রী।
প্রেস ক্লাবের নতুন অভিযাত্রায় শুভ উদ্বোধন উপলক্ষ্যে রোববার এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। দুপুর পৌনে ১২টার দিকে প্রেস ক্লাবে পৌঁছান আইনমন্ত্রী। তিনি ফিতা কেটে প্রেস ক্লাবের উদ্বোধন করেন। প্রেস ক্লাবটির সভাপতি রিয়াজ উদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ (সদর ও বিজয়নগর) আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল ও আশুগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য উকিল আবদুস সাত্তার ভূঁইয়া, সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য উম্মে ফাতেমা নাজমা বেগম, জেলা প্রশাসক মো. শাহগীর আলম, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আল মামুন সরকার, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন প্রমুখ।
শাহাদাত হোসেন সোহেল,ব্রাহ্মণবাড়িয়া : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলার বুধন্তি এলাকায় রবি টাওয়ারের নিচ থেকে মঙ্গলবার (১৮ জুলাই) সকালে আবু লাল ভুঞা (৬০) নামের এ বৃদ্ধের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ । নিহত বৃদ্ধ উপজেলার বুধন্তি ইউনিয়নের বুধন্তি গ্রামের মৃত আব্দুল জব্বার ভূইয়ার ছেলে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীর জানায়, বুধন্তি এলাকায় রবি টাওয়ারে মধ্যরাতে চুরি সংঘটিত হয়েছে। এসময় টাওয়ারের নাইট গার্ড আবু লাল ডিউটিতে ছিলো। ধারনা করা হচ্ছে চোররা সহজে চুরি সংঘটিত করতে গিয়ে তাকে মেরে টাওয়ারের যন্ত্রপাতি নিয়ে যায়। সকালে টাওয়ারের পাশে লাশ দেখতে পেয়ে স্থানীয় লোকজন পুলিশে খবর দিলে বিজয়নগর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তার লাশ উদ্ধার করে। এ ব্যাপারে বিজয়নগর থানার অফিসার ইনচার্জ ( ওসি) রাজু আহমেদ জানান, আমরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করেছি। ধারণা করা হচ্ছে রবি টাওয়ারে চুরি করার সময় চুরের দল নাইট গার্ড আবু লালকে মেরে ফেলেছে।তবে নিহতের শরীরে তেমন আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন শেষে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।