স্বত্ব © 2025 দৈনিক পত্রিকা |
সম্পাদক ও প্রকাশক: উবায়দুর রহমান, ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: মোঃ জুয়েল মিয়া প্রতিষ্ঠাতা: পি বা লিজন।সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয়- পাইকপাড়া,লোকনাথ দিঘীর পাড়,পৌর কমিউনিটি সেন্টার ২য় তলা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া।দৈনিক পত্রিকা অনলাইন নিউজ পোর্টাল। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের কর্তৃক নিবন্ধনের জন্য প্রক্রিয়া দিন।newsdainikpatrika@gmail.com মোবাইল নাম্বার 01751406352,01715958768
রোববার রাতে রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন ম্যাক্রো। এসময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ফ্রান্সকে বাংলাদেশের বিশ্বস্ত উন্নয়ন সহযোগী বলে উল্লেখ করেন। এর পর প্রধানমন্ত্রীর আমন্ত্রণে রোববার রাতে নৈশভোজে অংশ নেন ম্যাক্রো।
এতে ধুমায়িত ইলিশ যেমন খেলেন, তেমনি কাচ্চি বিরিয়ানিরও স্বাদ নিলেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাঁক্রো। খেলেন পিঁয়াজু, সামুচাও। পান করলেন আমড়ার জুস।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে ম্যাঁক্রোর আপ্যায়নে ১৬ পদের আয়োজন করা হয়। যাতে ছিলো দক্ষিণ ভারতীয় একটি খাবারও। ওয়েলকাম ড্রিংকসে ছিলো আমড়ার জুস। ফরাসি রাষ্ট্রপ্রধানের সম্মানে দেওয়া নৈশভোজে এ্যাপেটাইজার হিসেবে ছিলো স্মোকড ইলিশ, পিঁয়াজু এবং সমুচা। রুটি আর মাখনের সহযোগে দেওয়া হয় দক্ষিণ ভারতীয় মাল্লিগাতওয়ানি কারি স্যুপ। মেইন কোর্সে ছিলো খাসির কাচ্চি বিরিয়ানি, গরুর শিক কাবাব, মুরগীর কোরমা, রোস্টেড লবস্টার, টক বেগুনের তরকারি ও লুচি।
শেষেপাতে ডেজার্টে পরিবেশন করা হয় পাটিসাপটা পিঠা, মিষ্টি দই, রসগোল্লা আর নানারকম ফল। পানীয়তে ছিল ফলের রস, কোমল পানীয়, চা ও কফি। নৈশভোজ শেষে ম্যাক্রোঁ বলেন বলেন, বিগত বছরগুলোতে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন অভূতপূর্ব; জলবায়ু, পরিবর্তন মোকাবিলায় বাংলাদেশের ভূমিকা প্রশংসনীয়।
রাত ৮টার দিকে দুই দিনের সফরে ঢাকায় পৌঁছেন ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ। এ সময় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাকে স্বাগত জানান বাংলাদেশ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
ভারতে জি-২০ সম্মেলন শেষে দুই দিনের সফরে ঢাকায় আসলেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট। গত ৩৩ বছরের মধ্যে এটি প্রথম কোনো ফরাসি প্রেসিডেন্টের ঢাকা সফর। ম্যাক্রোঁর এই ঢাকা সফরে ফ্রান্স ও বাংলাদেশের মধ্যে দুটি দ্বিপক্ষীয় চুক্তি স্বাক্ষর হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানা গেছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় মসজিদের ইমামের সঙ্গে এক ইউপি সদস্যের দুর্ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে। দুর্ব্যবহারকারী ইউপি সদস্যের নাম আমিরুল ইসলাম। তিনি উপজেলার ধরখার ইউনিয়ন পরিষদের ৩ নং ওয়ার্ডের সদস্য এবং রুটি গ্রামের মৃত সিরাজুল ইসলামের ছেলে। গত ৮ এপ্রিল দুপুর ২ ঘটিকার সময় ধরখার ইউনিয়নের রুটি পশ্চিমপাড়া কেন্দ্রীয় মসজিদের ভিতরে এই ঘটনা ঘটে। এই ঘটনার বিচার চেয়ে ওই মসজিদের ইমাম হাফেজ মাওলানা বোরহান উদ্দিন (৩৯) থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। ইমাম বোরহান উদ্দিন কসবা উপজেলার কাইতলা গ্রামের মৃত আবু জামালের ছেলে। ফ্যানের সুইচ বন্ধ করা নিয়ে মসজিদের ভিতরে আমিরুল ইসলাম মেম্বার ইমামকে তুচ্ছ- তাচ্ছিল্য আচরণ করেন। একই এলাকার মলাই মিয়ার ছেলে শরীফ মিয়া এবং ফজলুল হকের ছেলে সোহাগের নামেও দুর্ব্যবহারের কথা অভিযোগে উল্লেখ করেন মসজিদের ওই ইমাম।
৩৪ সেকেন্ডের এক ভিডিওতে দেখা যায়, মসজিদের ভিতরে জনসম্মুখে আমিরুল মেম্বার ইমামকে উচ্চ স্বরে ধমক দিচ্ছেন এবং ইমামের দিকে তেড়ে আসছেন।লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, সোহাগ মিয়া আমিরুল মেম্বারের ভাতিজা হয়। মসজিদে বয়ানে মাদক বিরোধী কথাবার্তা বলায় তাদের শরীরের গাত্র দাহের প্রধান কারন হয়ে দাঁড়িয়েছে ইমাম সাহেব। মসজিদের বিদ্যুৎ চলে যাওয়ায় আইপিএস লাইন চলতে থাকে। বৈদ্যুতিক লাইনের লোড শেডিং থাকায় নামাজ শেষে ইমাম সাহেব শরীফ মিয়াকে আইপিএস লাইনের পাওয়ার সেভ করার জন্য কিছু সিলিং ফ্যান লাইটের সুইচ বন্ধ করতে বলে। শরীফ বিষয়টি আমিরুল মেম্বারকে জানায়। আমিরুল মেম্বার ও সোহাগ শরীফ মিয়ার সাথে যোগ দিয়ে ইমামের কাছে এসে ইমামকে অপমান জনক নানান কথা বলতে থাকে। তখন ইমাম মৌখিক প্রতিবাদ করলে তারা ইমামের ওপর আক্রমন করে। তখন মসজিদে উপস্থিত কিছু মুসল্লী ইমামকে তাদের রোষানল হতে রক্ষা করে। তারা ইমামকে মারধর করার হুমকী সহ ইমাম কিভাবে মসজিদে থাকে দেখা নেওয়ার হুমকী দেয়।রুটি পশ্চিম পাড়া কেন্দ্রীয় মসজিদের ইমাম হাফেজ মাওলানা বোরহান উদ্দিন বলেন, মেম্বারের নেতৃত্বে যেকোনো সময় আমার ওপর হামলা হতে পারে এমন আশংকায় আমি মসজিদ থেকে চলে এসেছি।অভিযুক্ত আমিরুল ইসলাম মেম্বার জানান, ফ্যানের সুইচ বন্ধ করা নিয়ে একটি ছেলেকে ইমাম সাহেব ধমক দেন। ওই ছেলে আমার কাছে বিচার দেয়। ইমামকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে গেলে ইমাম সাহেব মোবাইলে তা ভিডিও করতে থাকে। এজন্য আমি ওনাকে ভিডিও করতে নিষেধ করি। গ্রামের মেম্বার এবং ওই মসজিদের ক্যাশিয়ার হিসেবে আমি ইমামকে জিজ্ঞাসাবাদ করতেই পারি।
এবিষয়ে আখাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ নূরে আলম জানান, লিখিত অভিযোগের তদন্ত চলছে। ইমামের সাথে ওই মসজিদের ক্যাশিয়ারের কথা কাটাকাটি হয়েছে,কোনো মারধরের ঘটনা ঘটেনি।
মনোজ কুমার সাহা
আগামীকাল মঙ্গলাবার শোকাবহ আগস্ট মাস শুরু হচ্ছে। গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় আগস্টের প্রথম দিনের প্রত্যুষে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী, স্বাধীন বাংলাদেশের মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিসৌধে কালো পতাকা উত্তোলন করা হবে। জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত থাকবে। বুকে ধারণ করা হবে শোকের চিহ্ন কালো ব্যাজ। এদিন সকাল থেকে মাসব্যাপী সমাধিসৌধ কমপ্লেক্সে কোরানখানীর আয়োজন করা হয়েছে।মঙ্গলবার সকালে জেলা প্রশাসক কাজী মাহবুবুল আলম টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিসৌধে ফুল দিয়ে শোকাবহ আগস্টের শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন। এরপর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মুন্সি মো. আতিয়ার রহমান, গোপালগঞ্জের পুলিশ সুপার আল-বেলী আফিফা, টুঙ্গিপাড়া উপজেলা প্রশাসন, টুঙ্গিপাড়া উপজেলা পরিষদ, গোপালগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগি সংগঠন, টুঙ্গিপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ ও সগযোগি সংগঠন, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, গোপালগঞ্জ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশববিদ্যালয়, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব চক্ষু হাসপাতাল ও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট, এ্যাসেনসিয়াল ড্রাগস্, সরকারি বঙ্গবন্ধু কলেজ, শেখ রেহানা টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক. সমাজিক, সাংস্কৃতিক শ্রমজিবি ও পেশাজিবি সংগঠনের পক্ষ থেকে বঙ্গবন্ধুর সমাধিসৌধে শোকের মাসের বিন¤্র শ্রদ্ধা নিবেদন করা হবে। এরপর মাসব্যাপী বিভিন্ন রাজনৈতিক. সমাজিক, সাংস্কৃতিক শ্রমজিবি ও পেশাজিবি সংগঠনের পক্ষ থেকে বঙ্গবন্ধুর সমাধিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদনের পালা চলবে।টুঙ্গিপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. বাবুল শেখ বলেন, আগস্টে বাঙ্গালী জাতি তার শ্রেষ্ঠ সন্তান শতাব্দীর মহানায়ক জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হারিয়েছে। তাই এ মাস আমাদের কাছে বেদনার অশ্রু মিশ্রিত শোকার্ত মাস। শোকের মাস পালন উপলক্ষে টুঙ্গিপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে কালোব্যাজ ধারণ, শোক র্যালি, আলোচনাসভা, দোয়া-মোনাজাত, কোরানখানী,বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন ও দুস্থদের মধ্যে খাবার বিতরণের আয়োজন করেছে। টুঙ্গিপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আল মামুন বলেন, শোকবহ আগস্টের প্রথম দিনে জেলা প্রশাসন ও উপজেলা প্রশাসনসহ সব দপ্তরের পক্ষ থেকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে শোকাবহ আগস্টের শ্রদ্ধা নিবেদন করা হবে। এছাড়া উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে গাছের চারা রোপণ ও বিতরণ কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে। আগস্টের প্রথম দিনেই ধারণ করা হবে কালো ব্যাজ ।বঙ্গবন্ধু সমাধিসৌধের সহকারী কিউরেটর মো. নূরুল ইসলাম বলেন, শোকের মাসের প্রথম দিন সকালে সমাধিসৌধ কমপ্লেক্স্রে কর্মরতরা কালো ব্যাজ ধারণ করবেন। এরপর সমাধিসৌধ কমপ্লেক্সে কালো পতাকা টাঙ্গানো হবে। জাতীয় পতাকা অর্ধ নমিত রাখা হবে। শোকের মাসের জাতীয় সব কর্মসূচিও এখানে পালন করা হবে।টুঙ্গিপাড়া বঙ্গবন্ধু সমাধিসৌধ কমপ্লেক্সে জামে মসজিদের পেশ ইমাম ও খতিব আলহাজ মাওলা মু. নওয়াব আলী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব, শেখ কামাল, শেখ জামাল, শেখ রাসেল, সুলতানা কামাল, পারভীন জামাল রোজীসহ ৭৫ এর ১৫ই আগস্টের শহীদদের রুহের মাগফিরাত কামনায় সমাধিসৌধে মাসব্যাপী কোরআন তেলাওয়াত করা হবে। মঙ্গলবার সকাল থেকে আমার নেতৃত্বে কোরআন তেলওয়াত শুরু হবে। এছাড়া প্রতিদিনই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের জন্য বিশেষ প্রার্থনা করা হবে।টুঙ্গিপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মো. ইলিয়াস হোসেন বলেন, ১৯২০ সালের ১৭ মার্চ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়া গ্রামের সম্ভ্রান্ত শেখ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতার নাম শেখ লুৎফর রহমান ও মাতার নাম শেখ সায়েরা খাতুন। বঙ্গবন্ধু আন্দোলন সংগ্রাম করে বাঙ্গালী জাতিকে পারধীনতার শৃংখল থেকে মুক্ত করেছেন। ৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট একদল বিপথগামী সেনা সদস্য এই মহান নেতাকে স্বপরিবারে নির্মমভাবে হত্যা করে। পরের দিন টুঙ্গিপাড়া গ্রামের পারিবারিক কবরস্থানে বা-বাবার পাশে বঙ্গবন্ধুর মরদেহ গ্রামের মানুষের সহায়তায় দাফন করে সেনাসদস্যরা। বঙ্গবন্ধুর সমাধিসৌধকে ঘিরে পশ্চাদপদ টুঙ্গিপাড়া এখন নব আলোকে উদ্ভাসিত। টুঙ্গিপাড়া এখন বঙ্গালীর তীর্থস্থান। বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে প্রতিদিন হাজার-হাজার মানুষ এখানে আসেন। তারা বঙ্গবন্ধুর জন্য দোয়া মোনাজাত করেন। ১৫ আগস্টের নির্মম হত্যাকান্ডের কথা স্মরণ করে বঙ্গবন্ধুর আনাসারীরা তাঁর জন্য কাঁদেন। এ বছরও যথাযোগ্য মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে শোকাবহ আগস্টের পুরো মাসজুড়ে টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি মানুষ শ্রদ্ধাবনত চিত্তে পুস্পার্ঘ নিবেদন করবেন। বাঙ্গালী জাতির মুক্তির দূত বঙ্গবন্ধুর সমাধিসৌধে শোকের মাস জুড়ে শোকার্ত মানুষের ঢল নামবে। সূত্র বাসস
নিজস্ব প্রতিবেদক
চলতি বছরের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়েছে। দেশের ১১টি শিক্ষা বোর্ডে গড় পাসের হার ৮০ দশমিক ৩৯ শতাংশ।এবার অংশ্রগ্রহণকারী ২০ লাখ ৪১ হাজার ৪৫০ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে মোট ১৬ লাখ ৪১ হাজার ১৪০ জন শিক্ষার্থী পাস করেছে। এর মধ্যে ৭ লাখ ৯৬ হাজার ৪০৪ জন ছাত্র এবং ছাত্রী ৮ লাখ ৪৪ হাজার ৭৩৬ জন।এবার মোট জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ লাখ ৮৩ হাজার ৫৭৮ জন। এর মধ্যে ৮৪ হাজার ৯৬৪ জন ছাত্র এবং ছাত্রী ৯৮ হাজার ৬১৪ জন। আজ সকালে গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে ২০২৩ সালের এসএসসির ফলাফল হস্তান্তর করেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এবং শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী।পরে বেলা ১১টার দিকে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে (আমারাই) এক সংবাদ সম্মেলনে এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফলাফলের সারসংক্ষেপ তুলে ধরেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।দেশের ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের মোট ১৬ লাখ ৩৩ হাজার ৯১৯ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে গড় পাসের হার ৮০ দশমিক ৯৪ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ লাখ ৫৯ হাজার ২২০ জন। এর মধ্যে ছাত্র ৭০ হাজার ৯৭৫ জন এবং ছাত্রী ৮৮ হাজার ২৪৫ জন। মোট পাস করেছে ১৩ লাখ ২২ হাজার ৪৪৬ জন। তাদের মধ্যে ৬ লাখ ১৬ হাজার ৭১জন ছাত্র এবং ছাত্রী ৭ লাখ ৬ হাজার ৩৭৫ জন।এদিকে,মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডে মোট অংশগ্রহণকারী ২ লাখ ৮৫ হাজার ৮৭ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে ২ লাখ ১২ হাজার ৯৬৪ জন। ছাত্র ১ লাখ ৯৫০ জন এবং ছাত্রী ১ লাখ ১২ হাজার ১৪ জন। পাসের হার ৭৪ দশমিক ৭০ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৬ হাজার ২১৩ জন। এর মধ্যে ছাত্র ৩ হাজার ১৮৮ জন এবং ছাত্রী ৩ হাজার ২৫ জন।অন্যদিকে, কারিগরি শিক্ষা বোর্ডে মোট ১ লাখ ২২ হাজার ৪৪৪ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে ১ লাখ ৫ হাজার ৭৩০ জন। এর মধ্যে ছাত্র ৭৯ হাজার ৩৮৩ জন এবং ছাত্রী ২৬ হাজার ৩৪৭ জন। পাসের হার ৮৬ দশমিক ৩৫ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৮ হাজার ১৪৫ জন। ছাত্র ১০ হাজার ৮০১ জন এবং ছাত্রী ৭ হাজার ৩৪৪ জন।এবছর সকল শিক্ষা বোর্ডে উত্তীর্ণ মোট ছাত্রের চেয়ে ৪৮ হাজার ৩৩২ জন ছাত্রী বেশী উত্তীর্ণ হয়েছে এবং ছাত্রের চেয়ে ১৩ হাজার ৬৫০ জন বেশী ছাত্রী জিপিএ-৫ পেয়েছে। ৯ টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডে উত্তীর্ণ মোট ছাত্রের চেয়ে ৯০ হাজার ৩০৪ জন বেশী ছাত্রী উত্তীর্ণ হয়েছে এবং ছাত্রের চেয়ে ১৭ হাজার ২৭০ জন বেশী ছাত্রী জিপিএ-৫ অর্জন করেছে। বিদেশী অংশগ্রহণকারী পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ৩৭৫ জন। এর মধ্যে উত্তীর্ণ পরীক্ষার্থী ৩২০ জন, পাসের হার শতকরা ৮৫ দশমিক ৩৩ শতাংশ। অনুত্তীর্ণ পরীক্ষার্থী ৫৫ জন।ছাড়া মোট শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বেড়েছে ৭৫ টি এবং কেন্দ্র বেড়েছে ২১ টি।অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনের শিক্ষামন্ত্রী ড.দীপু মনি বলেন, আমরা স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। বিগত বছরগুলোর মতো এবারো সম্পূর্ণ পেপারলেস ফল প্রকাশিত হয়েছে। পরীক্ষার্থীদের সরাসরি মোবাইল ফোনে ফল প্রাপ্তীর ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়,বোর্ডসমূহ,জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের সমন্বিত প্রচেষ্টার ফলে পরীক্ষার সার্বিক ব্যবস্থাপনার ক্রমশ উন্নতির ধারা অব্যাহত রয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী,কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো: কামাল হোসেন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব সোলেমান খানসহ সকল শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান ও সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল তিনভাবে জানতে পারবেন শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা। ফল প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গে স্ব স্ব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ওয়েবসাইট থেকে তাদের নিজেদের প্রতিষ্ঠানের ফলাফলের কপি ডাউনলোড করতে পারবেন। সেখান থেকে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা সহজেই ফলাফল জানতে পারবেন। শিক্ষার্থীরা শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইট educationboardresults.gov.bd এ সহযোগিতায় রোল ও রেজিস্ট্রেশন নম্বর দিয়ে রেজাল্ট শিট (ফুল মার্কসশিট) ডাউনলোড করতে পারবে। এছাড়া এসএমএসের মাধ্যমেও ফলাফল জানতে পারবে।
আবার, মোবাইলের মেসেজ অপশনে গিয়ে SSC লিখে স্পেস দিয়ে ইংরেজিতে বোর্ডের প্রথম তিন অক্ষর লিখে স্পেস দিয়ে রোল নম্বর দিতে হবে। এরপর আবারও স্পেস দিয়ে পরীক্ষার বছর লিখে ১৬২২২ নম্বরে পাঠাতে হবে। উল্লেখ্য, চলতি বছরের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা ৩০ এপ্রিল শুরু হয়। এ বছর ১১টি শিক্ষা বোর্ডে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ২০ লাখ ৭২ হাজার ১৬৩ জন। এরমধ্যে ছাত্র সংখ্যা ১০ লাখ ২১ হাজার ১৯৭ এবং ১০ লাখ ৫০ হাজার ৯৬৬ জন ছাত্রী। এ বছর মোট ১১টি শিক্ষা বোর্ডে মোট কেন্দ্র ৩ হাজার ৮১০টি এবং মোট শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ২৯ হাজার ৭৯৮টি। এরমধ্যে ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডে কেন্দ্র ২ হাজার ২৪৪ টি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ১৭ হাজার ৭৮৬টি। মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডে মোট কেন্দ্র ৭১৬টি এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ৯ হাজার ৮৫টি। কারিগরি শিক্ষাবোর্ডে মোট কেন্দ্র ৮৫০টি এবং মোট শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ২ হাজার ৯২৭টি। এবার মোট শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বেড়েছে ২০৭টি এবং কেন্দ্র বেড়েছে ২০টি। এবছর পূর্নবিন্যাসকৃত সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে পূর্ণ । সূত্র বাসস
বৃহস্পতিবার (২৭ জুলাই) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবুল খায়ের এ তথ্য জানিয়েছেন। বাংলাদেশ আন্তঃশিক্ষা বোর্ড জানিয়েছে, ফলাফল অনলাইন এবং মোবাইল থেকে এসএমএস করে পাওয়া যাবে।
ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসর মো. আবুল বাশার জানিয়েছেন, ২৮ জুলাই সকাল সাড়ে ১০টায় নিজ নিজ প্রতিষ্ঠান এবং অনলাইনে একযোগে প্রকাশিত হবে।
প্রতিষ্ঠানগুলো রেজাল্ট শিট ডাউনলোডের ক্ষেত্রে www.dhakaeducationboard.gov.bd থেকে রেজাল্ট কর্নারে ক্লিক করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ইআইআইএন এন্ট্রি করে প্রতিষ্ঠানভিত্তিক রেজাল্ট শিট ডাউনলোড করতে পারবে। আর www.educationboardresults.gov.bd-তে ক্লিক করে রোল ও রেজিস্ট্রেশন নম্বরের মাধ্যমে রেজাল্ট শিট ডাউনলোড করতে পারবে।
এছাড়াও পরীক্ষার ফল প্রকাশের পর এসএমএস করে ফল সংগ্রহ করা যাবে। এজন্য এসএসসি বোর্ডের নামের প্রথম তিন অক্ষর টাইপ করে রোল ও পাসের বছর দিয়ে ১৬২২২ নম্বরে পাঠালে ফল পাওয়া যাবে। উদাহরণ: SSC Dha 123456 2023 Send to 16222.দাখিলের ক্ষেত্রে বোর্ডের প্রথম তিন অক্ষরের জায়গায় Mad এবং কারিগরির ক্ষেত্রে Tec টাইপ করতে হবে।
প্রতিষ্ঠানগুলোকে অনলাইনের মাধ্যমে ফলাফল প্রকাশ করার জন্য www.educationboardresults.gov.bd-থেকে রেজাল্ট কর্নারে ক্লিক করে বোর্ড ও প্রতিষ্ঠানের ইআইআইএন এর মাধ্যমে ডাউনলোড করার পরামর্শ দিয়েছে বোর্ড।
রেওয়াজ অনুযায়ী, বোর্ড চেয়ারম্যানদের সঙ্গে নিয়ে শিক্ষামন্ত্রী প্রধানমন্ত্রীর কাছে ফলাফলের অনুলিপি হস্তান্তর করেন। এরপর শিক্ষামন্ত্রী সংবাদ সম্মেলন করে ফলাফলের বিস্তারিত পরিসংখ্যান তুলে ধরেন।
৩০ এপ্রিল থেকে শুরু হওয়া এসএসসি পরীক্ষা মে মাসে শেষ হয়। তবে ঘূর্ণিঝড় মোখার কারণে কয়েকটি পরীক্ষা পিছিয়ে যায়। ২০২৩ সালের সংশোধিত ও পুনর্বিন্যাসকৃত সিলেবাসে এবং পূর্ণ নম্বর ও পূর্ণ সময়ে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, এবারের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় মোট পরীক্ষার্থী ২০ লাখ ৭২ হাজার ১৬৩ জন। এর মধ্যে ছাত্র ১০ লাখ ২১ হাজার ১৯৭ এবং ছাত্রী ১০ লাখ ৫০ হাজার ৯৬৬ জন। ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ১৬ লাখ ৪৯ হাজার ২৭৫ জন। এর মধ্যে ছাত্র ৭ লাখ ৭৯ হাজার ৮৭০ জন এবং ছাত্রী ৮ লাখ ৬৯ হাজার ৪০৫ জন। মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে ২ লাখ ৯৫ হাজার ১২১ জন পরীক্ষার্থী অংশ নেবে। এর মধ্যে ছাত্র ১ লাখ ৪৩ হাজার ৯৯৩ জন এবং ছাত্রী ১ লাখ ৫১ হাজার ১২৮ জন।
২০২২ সালের তুলনায় ২০২৩ সালে পরীক্ষার্থী বেড়েছে ৫০ হাজার ২৯৫ জন। এর মধ্যে ছাত্রী বেড়েছে ৩৮ হাজার ৬০৯ জন। এ ছাড়া মোট প্রতিষ্ঠান বেড়েছে ২০৭টি এবং কেন্দ্র বেড়েছে ২০টি।
নিজস্ব প্রতিবেদক
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, চলতি সপ্তাহে আবহাওয়ার তেমন কোন পরিবর্তন হবে না। কখনও হালকা বৃষ্টি আবার ঝলমলে রোদ থাকবে। সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।আজ বুধবার খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং ঢাকা, ময়মনসিংহ, রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সাথে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে।এছাড়া ঢাকা, টাঙ্গাইল, ফরিদপুর, কিশোরগঞ্জ, কুমিল্লা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া,ফেনী ও কুষ্টিয়া জেলাসহ রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের উপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা কিছু কিছু জায়গায় প্রশমিত হতে পারে।আজ সকাল ৬টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘন্টায় কুতুবদিয়ায় সর্বোচ্চ ৫০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। এছাড়া রাজশাহী, খুলনা, খেপুপাড়া, কক্সবাজারসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে হালকা বৃষ্টিপাত হয়েছে।মঙ্গলবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা বগুড়ায় ৩৮ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং আজ শুক্রবার কুতুবদিয়ায় সর্বনি২৪ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।পরবর্তী ২৪ ঘন্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, অন্ধ্র-উড়িষ্যা উপকূল ও তৎসংলগ্ন উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর এলাকায় একটি লঘুচাপ বিরাজ করছে। মৌসুমী বায়ুর অক্ষ রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ, উড়িষ্যা, লঘুচাপের কেন্দ্রস্থল, গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চল হয়ে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। মৌসুমী বায়ু বাংলাদেশের উপর মোটামুটি সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরের অন্যত্র মাঝারি অবস্থায় রয়েছে।আজ ঢাকায় দক্ষিণ অথবা দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘন্টায় ১০ থেকে ১৫ কিলোমিটার বেগে বাতাস প্রবাহিত হতে পারে।সকালে ঢাকায় বাতাসের আপেক্ষিক আদ্রতা ছিল ৮৭ শতাংশ।ঢাকায় আজ সূর্যাস্ত সন্ধ্যা ৬টা ১২ মিনিটে এবং আগামীকাল সূর্যোদয় ভোর ৫টা ৪২ মিনিটে। সূত্রঃ বাসস