স্বত্ব © 2025 দৈনিক পত্রিকা |
সম্পাদক ও প্রকাশক: উবায়দুর রহমান, ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: মোঃ জুয়েল মিয়া প্রতিষ্ঠাতা: পি বা লিজন।সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয়- পাইকপাড়া,লোকনাথ দিঘীর পাড়,পৌর কমিউনিটি সেন্টার ২য় তলা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া।দৈনিক পত্রিকা অনলাইন নিউজ পোর্টাল। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের কর্তৃক নিবন্ধনের জন্য প্রক্রিয়া দিন।newsdainikpatrika@gmail.com মোবাইল নাম্বার 01751406352,01715958768
মোঃ জুয়েল মিয়া
আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের সাবেক এপিএস ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং উপজেলা পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান মোঃ রাশেদুল কাওসার ভূইয়া জীবনের ভরাডুবি হয়েছে। এছাড়া আখাউড়া উপজেলা আ.লীগের ‘ঐক্যের প্রার্থী’ মুরাদ হোসেন এর ও ভরাডুবি হয়েছে। চেয়ারম্যান পদে দ্বিগুণ ভোটের ব্যবধানে বিজয়ী হয়ে কসবা ও আখাউড়া উপজেলায় নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করলেন ছাইদুর রহমান স্বপন ও মোঃ মনির হোসেন।কসবা উপজেলায় ছাইদুর রহমান স্বপন কাপ-পিরিচ প্রতীকে ৮৫ হাজার ৯৩০ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের ফুফাতো ভাই, কুটি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের আহবায়ক ও কুটি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ছিলেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মোঃ রাশেদুল কাওসার ভুইয়া জীবন আনারস প্রতীকে পেয়েছেন ৩৯ হাজার ৯৫৭ ভোট।উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৭৬ হাজার ৫৫৬ ভোট পেয়ে চশমা প্রতিক নিয়ে বে-সরকারি ভাবে নির্বাচিত হয়েছেন কসবা পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি ও উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. শফিকুল ইসলাম। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী উপজেলা পরিষদের বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ মনির হোসেন তালা প্রতীকে ৪৯ হাজার ১৯১ ভোট পেয়েছেন। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সাঈদা সুলতানা সুপ্রিয়া নির্বাচিত হয়েছেন। কসবা উপজেলায় মোট ২ লাখ ৮১ হাজার ৩৬৬ জন ভোটারের মধ্যে ১ লাখ ৩০ হাজার ২০২ টি ভোট পড়েছে যা মোট ভোটার সংখ্যার ৪৬.২৭ শতাংশ। ২য় ধাপে এ উপজেলার ৮৩ টি ভোটকেন্দ্রে সুষ্ঠুভাবে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এদিকে আখাউড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে মোঃ মনির হোসেন ঘোড়া প্রতীকে ২৮ হাজার ৩০৯ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি আখাউড়া উপজেলা যুবলীগের সাবেক আহবায়ক ও মোগড়া ইউনিয়ন পরিষদের তিনবারের সাবেক চেয়ারম্যান ছিলেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্ধী উপজেলা পরিষদের বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক আহবায়ক মুরাদ হোসেন ভূইয়া আনারস প্রতীকে পেয়েছেন ১৪ হাজার ৫৭৩ ভোট। মুরাদ হোসেন আখাউড়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র তাকজিল খলিফা কাজল এর আস্থাভাজন ছিলেন। তাকে উপজেলা আওয়ামীলীগ ‘ঐক্যের প্রার্থী ’ বলে ঘোষণা দিয়েছিল। আখাউড়া পৌরসভার মেয়র তাকজিল খলিফা কাজল, মোগড়া ইউপি চেয়ারম্যান এমএ মতিন ও দক্ষিণ ইউপি চেয়ারম্যান মোহাম্মদ জালাল উদ্দিন মুরাদ হোসেনকে বিজয়ী করার জন্য বিতর্কিত নানান কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়েন। এর মধ্যে পৌর মেয়র কাজল ও মোগড়া ইউপি চেয়ারম্যান মতিনকে অশালীন বক্তব্য দেওয়ায় জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা শোকজ করেছিল এবং দক্ষিণ ইউপি চেয়ারম্যান জালাল উদ্দিন কে ভোটের আগের দিন ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এছাড়া ভোটকেন্দ্রে অনৈতিক কাজ ও প্রভাব বিস্তারের কারনে ইউপি চেয়ারম্যান মোহাম্মদ জালাল উদ্দিন ও এমএ মতিন সাধারণ ভোটার ও প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী-সমর্থকদের তোপের মুখে পড়েন।উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে মাইক প্রতীকে ১৫ হাজার ৫৩ ভোট পেয়ে উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সাহাব উদ্দিন বেগ শাপলু বিজয়ী হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জুয়েল রানা টিউবওয়েল প্রতীকে ১১ হাজার ৮৫১ ভোট পেয়েছেন। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে কলস প্রতীকে ২০ হাজার ২০৫ ভোট পেয়ে রোকসানা আক্তার নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী উপজেলা পরিষদের সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা মহিলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক পিয়ারা বেগম পিওনা হাঁস প্রতীকে ১১ হাজার ৫৪০ ভোট পেয়েছেন।আখাউড়া উপজেলায় মোট ১ লাখ ২৭ হাজার ৮৭০ ভোটারের মধ্যে ৪৪ হাজার ১১৬ টি ভোট পড়েছে যা মোট ভোটার সংখ্যার ৩৪.৫০ শতাংশ। ২য় ধাপে এ উপজেলার ৪৬ টি ভোটকেন্দ্রে সুষ্ঠুভাবে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। গড়ে এই দুই উপজেলায় ৪০ শতাংশ ভোট পড়েছে। প্রসঙ্গত, দীর্ঘ ১০-১২ বছরের মধ্যে এমন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ ভোট এই দুই উপজেলায় তেমন হয়নি। প্রশাসন, নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও গণমাধ্যমের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার কারণে এমন ভোট গ্রহণ সম্ভব হয়েছে বলে ভোটাররা মনে করছেন। একনায়কতন্ত্রের উপজেলা হিসেবে পরিচিত এক শাসকের দীর্ঘদিনের অপশাসন ও ক্ষমতার অপব্যবহারের জবাব নীরব ভোট বিপ্লবের মাধ্যমে আখাউড়া উপজেলার ভোটাররা দিয়েছেন বলে ভোটারদের সাথে কথা বলে জানা গেছে। ভোটের ফলাফল পেয়ে উচ্ছসিত সাধারণ ভোটার ও জনগণ। এছাড়া কসবায় আইনমন্ত্রীর ফুফাতো ভাই ছাইদুর রহমান স্বপন চেয়ারম্যান প্রার্থী হওয়ায় তার প্রতিদ্বন্দ্বী চেয়ারম্যান প্রার্থী জীবন শোচনীয়ভাবে পরাজিত হয়েছেন। এর ফলে কসবা ও আখাউড়া উপজেলার রাজনীতিতে নতুন মেরুকরণের সূচনা হবে বলে সুশীল সমাজের লোকজন ধারণা করছেন। ভোটকেন্দ্রে ভোট গ্রহণে দায়িত্ব পালনকারী কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা হলে তারা জানান, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর অবস্থান ও তাদের সকলের আন্তরিক প্রচেষ্টার কারণে সুষ্ঠুভাবে ভোট সম্পন্ন করা সম্ভব হয়েছে। অবৈধভাবে জোরপূর্বক ভোট ছাপানোর সুযোগ দেওয়া হয়নি। জাল ভোট দেওয়ার সুযোগ পায়নি কেউ। যাচাই-বাছাইয়ের পর প্রকৃত ভোটাররা ভোট দিয়েছে। গতকাল ২১ মে নির্বাচন পরিদর্শনে এসে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন,‘ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন দ্বিতীয় ধাপে কসবা ও আখাউড়া উপজেলায় অনুষ্ঠিত হচ্ছে। আমরা দেখতে পাচ্ছি অত্যন্ত শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সমুন্নত রাখা হয়েছে। ভোটাররা যেন নির্বিঘ্নে ভোট দিতে আসে সেই অবস্থা তৈরি করা হয়েছে। আমরা আশাবাদী অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করার জন্য আমরা যে অঙ্গীকারাবদ্ধ নির্বাচন কমিশনের যেই নির্দেশনা সেই নির্দেশনা বাস্তবায়ন করতে পারব। এবং এই ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অত্যন্ত সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ এবং অবাধ হবে।’ এসময় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন, আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাবেয়া আক্তার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এ ছাড়া ভারত, শ্রীলংকা, নাইজেরিয়া, কেনিয়া, মালয়েশিয়াসহ বিভিন্ন দেশে এদের কার্যক্রম প্রসারিত করে প্রতারণা করেছে। ওইসব দেশে প্রবাসী বাংলাদেশিরাও ব্যাপকভাবে প্রতারিত হয়েছেন। তারা রেমিট্যান্সের অর্থের একটি অংশ এমটিএফইতে বিনিয়োগ করে এখন তা তুলতে পারছেন না। সংশ্লিষ্টদের ধারণা- করোনার পর অনেক কর্মী বিদেশে গেলেও দেশে রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়ছে না। এমটিএফইতে বিনিয়োগ করার কারণেই দেশে রেমিট্যান্স প্রবাহ কমে গেছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
এদিকে গোয়েন্দা সংস্থাগুলো ইতোমধ্যে বিভিন্ন উৎস থেকে প্রতিষ্ঠানটির প্রায় ৪০০ সিইওর নাম সংগ্রহ করেছে। এখন তাদের অবস্থান ও ঠিকানা সংগ্রহ করার কাজ চলছে। শনাক্ত করা হলে গোয়েন্দা সংস্থা থেকে তাদেরকে বাংলাদেশ আর্থিক গোয়েন্দা ইউনিটের (বিএফআইইউ) কাছে হস্তান্তর করা হবে। তখন বিএফআইইউ থেকেও এ বিষয়ে তদন্ত করা হবে। এদিকে বিএফআইইউ বিভিন্ন উৎস থেকে তথ্য সংগ্রহ করছে। গোয়েন্দা সংস্থাগুলো সরেজমিনের পাশাপাশি ফেসবুক ও সোশ্যাল মিডিয়া থেকে তথ্য সংগ্রহ করছে।
এদিকে প্রতিষ্ঠানটির ওয়েবসাইট থেকে পাওয়া তথ্যে দেখা যায়, চলতি বছরের এপ্রিলে একটি পোস্টে এমটিএফই দাবি করেছে, তারা এখন পর্যন্ত ২০ হাজার কোটি ডলার লেনদেন করেছে। বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ ২২ লাখ কোটি টাকা। তবে দাবির পক্ষে কোনো প্রমাণ তাদের ওয়েবসাইটে পাওয়া যায়নি।
জানা যায়, সাতক্ষীরার শ্যামনগরের কুয়েত প্রবাসী এক ব্যক্তি প্রথম এমটিএফই-এর স্কিমের কথা কয়েকজনকে জানান। তার একজন আত্মীয়কে গ্রামে প্রতিনিধিও নিযুক্ত করেন। সেই প্রতিনিধির মাধ্যমে পরের কয়েক মাসে গ্রামের আড়াইশর বেশি মানুষ এতে বিনিয়োগ করে প্রতারিত হন। কুয়েতের ওই প্রবাসীও এতে মোটা অঙ্কের অর্থ বিনিয়োগ করেন। এছাড়া কুয়েতে আরও অনেক প্রবাসী এতে বিনিয়োগ করেছেন বলে গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন।
ভারত, শ্রীলংকা, মালয়েশিয়া, নাইজেরিয়া, কেনিয়া, সংযুক্ত আরব আমিরাত প্রবাসীরাও এতে বিনিয়োগ করেছেন বলে তথ্য পেয়েছে গোয়েন্দা সংস্থাগুলো। তারা এতে বিনিয়োগ করায় দেশে রেমিট্যান্স প্রবাহ কমেছে। এ ছাড়া এমটিএফই-এর মাধ্যমে হুন্ডিতে দেশে রেমিট্যান্সের অর্থও পাঠাত। ফলে ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্স কমেছে। দেশের মানুষকে প্রভাবিত করতে এটি ইসলামি শরিয়তসম্মত একটা ব্যবসা বলেও প্রচার চালাত। কিন্তু বাস্তবে এর কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
এটি দুবাইভিত্তিক প্রতিষ্ঠান হলেও ওয়েবসাইটে কানাডার অন্টারিওর একটি ঠিকানা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু ওই ঠিকানায় এই প্রতিষ্ঠানের নামে কোনো অফিস পাওয়া যায়নি। এই বছরের জুলাইয়ে একটি ওয়েবসাইট চালু করা হলেও এই কোম্পানির প্রতিষ্ঠাতা দুবাই প্রবাসী বাংলাদেশি মাসুদ আল ইসলামের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।
এমটিএফই-এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা দাবিদার মাসুদ আল ইসলামের ফেসবুক প্রোফাইলের তথ্য অনুযায়ী, তিনি এর আগে পিএলসি আলটিমার সদস্য সম্মেলনে অংশ নিয়েছিলেন। এটি ছিল আরেকটি এমএলএম ধরনের প্রতিষ্ঠান। এই পিএলসি আলটিমার বাংলাদেশে বেশকিছু গ্রাহক রয়েছে বলে গোয়েন্দা জানতে পেরেছে।
এমটিএফই-এর হিসাব ডলারে করা হলেও বিভিন্ন দেশ থেকে স্থানীয় মুদ্রায় হুন্ডিতে টাকা নেওয়া হতো। একটি পর্যায়ে তা মোবাইল ব্যাংকিং বা ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে স্থানান্তর করা হতো।
প্রধানমন্ত্রী শেখ আজ গণমাধ্যমকর্মীদের প্রয়োজনের সময় তাদেরকে আর্থিক সহায়তা প্রদানের জন্য আওয়ামী লীগ সরকার কর্তৃক গঠিত বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টকে (বিজেডব্লিউটি) আরও ১০ কোটি টাকা অনুদান দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে বিএফইউজে-বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের প্রতিনিধি সম্মেলন-২০২৩-এ প্রধানমন্ত্রী এ ঘোষণা দেন। শেখ হাসিনা আরো বলেন, ‘যেহেতু আমি এটি (বিজেডব্লিউটি) প্রতিষ্ঠা করেছি এবং আবার এখানে এসেছি। তাই আমি বিজেডব্লিউটিকে আরও ১০ কোটি টাকা অনুদান দেব।তিনি বলেন, তিনি দেশের সাংবাদিকদের উন্নয়নের জন্য বিজেডব্লিউটি গঠন করার সময় একটি প্রথমিক তহবিল দিয়েছিলেন।
অনেক ধনাঢ্য ব্যক্তির বিজেডব্লিউটি-কে অর্থ দেওয়ার কথা থাকলেও খুব কম লোকই তা দিয়েছে- উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমি জানি কারা এই অর্থ দিয়েছে।’প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৪ সালে ৫ কোটি টাকার প্রাথমিক তহবিল দিয়ে এই ট্রাস্ট ফান্ড চালু করেন। পরে বিভিন্ন সময়ে তিনি এই তহবিলে আরও অনুদান দেন।বিএফইউজে প্রতিনিধি সম্মেলনে তাঁর বক্তব্যে শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার সাংবাদিকদের কল্যাণকে অগ্রাধিকার দিয়েছে।প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, ‘আমরা সাংবাদিক সহায়তা কর্মসূচিকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে ‘সাংবাদিক সহায়তা ভাতা ও অনুদান নীতি-২০১২’ এবং ‘বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট আইন-২০১৪’ প্রণয়ন করেছি।তিনি বলেন, এ আইনে একটি ট্রাস্টি বোর্ড গঠন করা হয়েছে।২০১৮ সালের অক্টোবর মাসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টকে ২০ কোটি টাকা অনুদান দেন।শেখ হাসিনা বলেন, ২০১৫-২০১৬ অর্থবছর থেকে ২০২৩ সালের জুন পর্যন্ত ৩,৪৩৩ জন সাংবাদিক ও সাংবাদিক পরিবারের মাঝে কল্যাণ অনুদান হিসাবে মোট ২৯ কোটি ৮১ লাখ ৫০ হজার টাকা বিতরণ করা হয়েছে। তিনি বলেন, এছাড়াও, কোভিড-১৯ এর সময়ের প্রথম পর্যায়ে, বিজেডব্লিউটি ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে সারাদেশে ক্ষতিগ্রস্ত ৩,৩৫০ জন সাংবাদিকদের মধ্যে ৩.৩৫ কোটি টাকা বিতরণ করেছে। দ্বিতীয় পর্যায়ে ২০২০-২০২১, ২০২১-২০২২ ও ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে সরকার করোনায় আক্রান্ত সাংবাদিকদের জন্য বিজেডব্লিউটি থেকে আরও ১০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে।এ পর্যন্ত করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত মোট ৬,৭২৭ জন সাংবাদিককে মোট ৬ কোটি ৭২ লাখ ৭০ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে। এতে প্রত্যেকে প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ আর্থিক সহায়তায় ১০,০০০ টাকা পেয়েছেন। সূত্রঃ বাসস
আদিত্য কামাল
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে ছিনতাইকারীদের ছুরিকাঘাতে তিননাথ দাস(৩৫) নামে এক মাছ ব্যবসায়ী খুন হয়েছেন। মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) বিকেল আড়াইটায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এর আগে ভোর ৫টার দিকে আশুগঞ্জ উপজেলার লালপুর কান্দাপাড়া এলাকায় কয়েকজন ছিনতাইকারির ছুরিকাঘাতে তিনি মারাত্মক আহত হন। পরে স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। অবস্থার অবনতি দেখে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে। তার পারিবারিক সূত্র তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিৎ করেছে।নিহত তিননাথ দাস আশুগঞ্জ উপজেলার লালপুর কান্দাপাড়া গ্রামের পিছন দাসের ছেলে। তিনি লালপুর বাজারের একজন মাছ ব্যবসায়ী। নিহতের পরিবারের লোকজন জানায়, প্রতিদিনের মত মঙ্গলবার ভোরে তিননাথ দাস বাড়ি থেকে লালপুর বাজারে মৎস্য আড়তে যাওয়ার সময় কান্দাপাড়া সৎসঙ্গ আশ্রম সংলগ্ন এলাকায় একদল ছিনতাইকারি তার উপর আক্রমণ করে। এসময় ছিনতাইকারিরা তাকে এলোপাথাড়ি ছুরিকাঘাত করে তার নিকট থাকা প্রায় এক লক্ষ টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যায়। পরে স্থানীয় লোকজন তাকে আহত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়।এব্যপারে আশুগঞ্জ থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) তরুণ কান্তি দাস জানান, ঘটনার পর থেকে এলাকায় পুলিশ অবস্থান করছে। জড়িতদের চিহ্নিত করে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।