স্বত্ব © 2024 দৈনিক পত্রিকা |
সম্পাদক ও প্রকাশক: উবায়দুর রহমান, ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: মোঃ জুয়েল মিয়া প্রতিষ্ঠাতা: পি বা লিজন।সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয়- পাইকপাড়া,লোকনাথ দিঘীর পাড়,পৌর কমিউনিটি সেন্টার ২য় তলা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া।দৈনিক পত্রিকা অনলাইন নিউজ পোর্টাল। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের কর্তৃক নিবন্ধনের জন্য প্রক্রিয়া দিন।newsdainikpatrika@gmail.com মোবাইল নাম্বার 01751406352,01715958768
শুক্রবার সন্ধ্যায় ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে নরেন্দ্র মোদির আবাস্থলে এ বৈঠক হয়।
দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে তিস্তাসহ গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে আলোচনা করেন তারা।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমন্ত্রণে জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে শুক্রবার স্থানীয় সময় দুপুর ১টার দিকে (বাংলাদেশ সময় দেড়টা) নয়াদিল্লিতে পৌঁছান শেখ হাসিনা।
বাংলাদেশে জাতীয় নির্বাচনের আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির এটাই শেষ দ্বিপক্ষীয় বৈঠক।
জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের প্রস্তাব সম্পর্কে মন্তব্য জানতে চাওয়া হলে, তিনি বলেছিলেন: ‘প্রকৃতপক্ষে, গুতেরেসের চিঠি (রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের কাছে) আবারও একটি নির্দিষ্ট কর্মপরিকল্পনার রূপরেখা তুলে ধরেছে এবং প্রতিশ্রুতি দিয়েছে যে, একদিন এই চুক্তিগুলির রাশিয়ান অংশ পূরণ করা সম্ভব হবে। দুর্ভাগ্যবশত, এ মুহুর্তে চুক্তিতে ফিরে যাওয়া সম্ভব নয়, কারণ রাশিয়ার দাবিগুলো বাস্তবায়ন করা হচ্ছে না।
তার মতে, ডি ফ্যাক্টো চুক্তিটি কখনই কার্যকর হয়নি। ‘তবে, প্রেসিডেন্ট পুতিন স্পষ্ট করেছেন যে, রাশিয়া চুক্তিটি কার্যকর হওয়ার সাথে সাথেই তা পুনরায় শুরু করতে প্রস্তুত,’ পেসকভ জোর দিয়ে বলেছিলেন।
শস্য চুক্তিটি, যা কৃষ্ণ সাগর জুড়ে ইউক্রেনীয় শস্যের নিরাপদ রপ্তানির জন্য সরবরাহ করেছিল এবং রাশিয়া থেকে কৃষি পণ্য এবং সার রপ্তানির শর্ত তৈরি করেছিল, ২২ জুলাই, ২০২২ এ ইস্তাম্বুলে সাক্ষরিত হয়েছিল। এরপর থেকে কয়েক দফা বাড়ানো হয়েছে।
১৭ জুলাই, রাশিয়া উদ্যোগে অংশগ্রহণ চালিয়ে যেতে অস্বীকার করেছিল, যেহেতু অন্যান্য পক্ষগুলি চুক্তির সেই অংশে তাদের বাধ্যবাধকতাগুলি পূরণ করেনি যা বিশ্ব বাজারে রাশিয়ান পণ্য সরবরাহের সাথে সম্পর্কিত। পুতিন আশ্বস্ত করেছেন যে, মস্কো শস্য চুক্তি পুনরায় শুরু করতে পারে যদি তাদেরকে দেয়া সমস্ত প্রতিশ্রুতি পুরোপুরি পূরণ করা হয়। সূত্র: তাস।
নিজস্ব প্রতিবেদক
সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কের দক্ষিণে একটি শিয়া মাজারের কাছে বোমা বিস্ফোরণে ছয়জন নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া আহত হয়েছেন ২০ জনেরও বেশি। পবিত্র আশুরার ঠিক একদিন আগে এমন ঘটনা ঘটলো। বৃহস্পতিবার (২৭ জুলাই) দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বরাতে এসব তথ্য জানায় কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা।দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সিরিয়ার সবচেয়ে জনপ্রিয় শিয়া তীর্থস্থান সাইয়েদা জেইনাবের মাজার। বৃহস্পতিবার ওই মাজারের কাছাকাছি একটি ট্যাক্সিতে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে পাশের একটি মোটরসাইকেলও বিস্ফোরিত হয়।লন্ডনভিত্তিক তদারক সংস্থা সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস জানিয়েছে, সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের প্রধান মিত্র ইরানি মিলিশিয়ারা যেখানে অবস্থান করছিল তার খুব কাছাকাছি বিস্ফোরণ হয়েছে।দেশটির রাষ্ট্রীয় টিভি চ্যানেল জানিয়েছে, অজ্ঞাত কিছু ব্যক্তি ট্যাক্সিতের বোমা রেখেছিল বলে এই বিস্ফোরণ ঘটে। এটিকে ‘সন্ত্রাসী বোমা হামলা’ বলে অভিহিত করা হয়েছে।বার্তা সংস্থা এএফপি নিউজ এজেন্সিকে ইব্রাহিম (৩৯) নামের এক সরকারি কর্মচারী বলেন, আমরা হঠাৎ করে একটি বিকট বিস্ফোরণের শব্দ শুনতে পাই। এর পরপরই লোকজন ওই এলাকা থেকে দৌঁড়ে পালাতে শুরু করেন। এরপর ঘটনাস্থলে অ্যাম্বুলেন্স আসে ও নিরাপত্তারক্ষীরা চারদিক ঘিরে ফেলেন।ইব্রাহিম আরও বলেন, মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর নাতনি ও ইমাম আলীর কন্যা সাইদা জেইনাবের মাজার থেকে প্রায় ৬০০ মিটার দূরে একটি নিরাপত্তা ভবনের কাছে বিস্ফোরণ ঘটে।সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় টিভি চ্যানেল আল-ইখবারিয়া ও সরকারপন্থী গণমাধ্যমগুলোর শেয়ার করা একাধিক ছবিতে দেখা যায়, বিস্ফোরিত ট্যাক্সিটিকে ঘিরে রয়েছেন সামরিক বাহিনীর সদস্যসহ সাধারণ মানুষরা। আশেপাশের ভবনগুলোতে আশুরার সবুজ, লাল ও কালো রঙের পতাকা-ব্যানার টাঙানো।সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে দেখা যায়, ঘটনাস্থলে উপস্থিত লোকজন রক্ত ও ধুলোয় আচ্ছন্ন দুই ব্যক্তিকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য সাহায্য চাইছেন। আশেপাশের দোকানগুলোর কাচের দেওয়াল ভেঙে চুরমার হয়ে গেছে ও একটি দোকানে আগুন লেগে গেছে।আশুরা হলো মহররম মাসের ১০ম দিন, যা শিয়া সম্প্রদায়ের জন্য সবচেয়ে পবিত্র মাসগুলির মধ্যে একটি। সপ্তম শতাব্দীর এ দিনেই বর্তমান ইরাকের কারবালা যুদ্ধে নবী মুহাম্মদ (সা.) এর নাতি ইমাম হুসাইন ও তার ৭২ জন সঙ্গী শাহাদাত বরণ করেন। আশুরায় শিয়া সম্প্রদায়ের লোকজন শোক মিছিল করে থাকেন।
সূত্র: আল জাজিরা
নিজস্ব প্রতিবেদক
বিশ্বকে ক্রমবর্ধমান তাবদাহের মুখোমুখি হওয়ার জন্য প্রস্তুত থাকতে বলেছে জাতিসংঘ। কারণ দিনদিনই উত্তপ্ত হচ্ছে বিশ্ব। দাবানল ছড়িয়ে পড়ছে বিশ্বের বিভিন্ন জায়গায়। এ প্রেক্ষিতে বিশ্বজুড়ে তাবদাহ আরো বাড়বে বলেই পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে জাতিসংঘের পক্ষ থেকে। এশিয়া, ইউরোপ ও উত্তর আমেরিকায় জারি করা হয়েছে স্বাস্থ্য সতর্কতা। ক্যালিফোর্ণিয়া থেকে চীন কর্তৃপক্ষরা তীব্র তাবদাহের কারণে স্বাস্থ্য সতর্কতা জারি এবং জনগণকে বেশি করে পানি পান ও সূর্যের আলো থেকে দূরে থাকার পরামর্শ দিয়েছে। বিশ্ব জুড়েই রেকর্ড তাপমাত্রা বিরাজ করছে। চীন, যুক্তরাষ্ট্র ও ফ্রান্সে রেকর্ড তাপমাত্রা চলছে। বেইজিংয়ে ২৩ বছরের ইতিহাস ভেঙে গত সাতদিন ধরে তাপমাত্রা ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি রেকর্ড করা হয়েছে। এদিকে গ্রিস ও কেনারি দ্বীপে অগ্নিনির্বাপক সদস্যরা দাবানল নিয়ন্ত্রণে প্রাণপন চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। স্পেন উচ্চ তাপমাত্রার কারণে রেড এলার্ট জারি করেছে। ইতালির সারদিনিয়া ও সিসিলি দ্বীপে তাপমাত্রা ৪৮.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়াতে পারে বলে পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে। এদিকে ইরানে ৬৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসেরও বেশি তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। গত সোমবার দেশটির দক্ষিণাঞ্চলীয় প্রদেশ বুশেহেরের আসালুয়েহ জেলার পার্সিয়ান গালফ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এলাকায় দুপুর ১২টায় এই তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক জলবায়ু পর্যবেক্ষণ সংস্থা ইউএস স্টর্মওয়াচের কর্মকর্তা কলিন ম্যাকার্থি এক টুইট বার্তায় এই তথ্য নিশ্চিত করেন। আমেরিকার লাখ লাখ লোককে মঙ্গলবার তীব্র তাপমাত্রা মোকাবেলা করতে হয়েছে। টেক্সাসের সান এঞ্জেলো শহরে তাপমাত্রা ৪০ থেকে ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছাবে বলে আবহাওয়া অফিস থেকে জানানো হয়েছে। জাতিসংঘের বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা বা ডব্লিওএমও বলেছে, তাপমাত্রা কমার কোন লক্ষণ নেই। ডব্লিওএমও’র তীব্র তাপ বিষযক উপদেষ্টা জন নায়ারন জেনেভায় সাংবাদিকদের বলেছেন, তাপমাত্রা আরো বাড়বে। বিশ্বকে আরো তাবদাহের জন্যে প্রস্তুত হতে হবে। ফ্রান্সের জলবায়ু বিষয়ক ইন্সস্টিটিউট পিয়েরে সিমন লাপেলেসের পরিচালক রবার্ট ভটার্ড বলেছেন, ইউরোপ ও বিশ্বজুড়ে চলা এই তাবদাহ কেবল একটি কারণে নয়, একাধিক বিষয় এতে রয়েছে। তবে তাপ তীব্ররূপ নেয়ার একটিই কারণ। আর সেটা হল জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব। সূত্রঃ বাসস
নিজস্ব প্রতিবেদক
পাকিস্তানে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধানমন্ত্রী হতে যাচ্ছেন বেলুচিস্তান আওয়ামী পাটি (বিএপি)’র স্বল্প পরিচিত সিনেটর আনোয়ারুল হক কাকার। আজ শনিবার দেশটির বিরোধী দলীয় নেতা এ তথ্য জানান।বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ ও জাতীয় পরিষদের বিরোধী দলীয় নেতা রাজা রিয়াজ আহমদ আজ এক বৈঠক করেন। সেখানে তারা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধানমন্ত্রীর বিষয়ে সিদ্ধান্তে পৌঁছেন। প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে বৈঠক করার পর বাইরে বেরিয়ে রিয়াজ আহমদ সাংবাদিকদের তত্ত্বাবধায়ক প্রধানমন্ত্রী হিসেবে আনোয়ারুলের নাম জানান।তিনি আরও জানান, আনোয়ারুল আগামীকাল রোববার শপথ নিতে পারেন।তবে আজকে বৈঠকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মন্ত্রিসভা নিয়ে আলোচনা হয়নি বলে জানিয়েছেন রিয়াজ।পাঁচ বছরের মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার তিন দিন আগে ৯ আগস্ট রাতে জাতীয় পরিষদ ভেঙে দেন দেশটির প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভি। পাকিস্তানের সংবিধান অনুযায়ী মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই জাতীয় পরিষদ ভেঙে দেওয়া হলে সাধারণ নির্বাচন করতে হবে ৯০ দিনের মধ্যে। আর জাতীয় পরিষদ মেয়াদ পূর্ণ করলে ৬০ দিনের মধ্যে সাধারণ নির্বাচন হতে হবে।তবে নির্ববাচন যখনই এটি হোক, এটি সম্ভবত সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে ছাড়াই হবে। কারণ, তিনি গত সপ্তাহান্তে দুর্নীতির দায়ে দোষী সাব্যস্ত হয়ে তিন বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হয়েছেন। গত বছরের এপ্রিলে অনাস্থা ভোটের মাধ্যমে খানকে বরখাস্ত করার পর থেকে পাকিস্তান রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যে রয়েছে এবং একই সঙ্গে অর্থনৈতিক ও নিরাপত্তা সমস্যারও সম্মুখীন। সূত্রঃ বাসস
সরকারি সুবিধা ও পৃষ্ঠপোষকতায় ছাড়মূল্যে রাশিয়া থেকে কেনা তেল শোধন করে বেশি দামে বিক্রি করছে ভারতীয় দুই সংস্থা। সংবাদমাধ্যমের খবর উদ্ধৃত করে এ দাবি করছেন রাজ্যসভার সদস্য ও সাবেক আইএএস কর্মকর্তা জহর সরকার। বিষয়টি নিয়ে জানতে চেয়ে পেট্রোলিয়াম এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে চিঠিও লিখেছেন তিনি। তবে এখনো চিঠির জবাব পাননি। রাশিয়ার অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের বড় ক্রেতা এখন ভারত। আট দিন আগে সংবাদমাধ্যম ইটি নাও জানায়, ভারত এখন ইউরোপে সবচেয়ে বেশি পরিশোধিত তেল রপ্তানি করছে। এর মধ্য দিয়ে সৌদি আরবকে পেছনে ফেলেছে ভারত। কেপলারের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ভারত প্রতিদিন ৩ লাখ ৬০ হাজার ব্যারেল পরিশোধিত তেল ইউরোপে রপ্তানি করবে। এটা ইইউর জন্য নিঃসন্দেহে ভালো খবর। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের আগে ইইউ দিনে ভারত থেকে ১ লাখ ৫৪ হাজার ব্যারেল পরিশোধিত তেল নিত। সেটা এখন দুই লাখ ব্যারেল বাড়ছে। নিষেধাজ্ঞার কারণে রাশিয়া থেকে সরাসরি তেল কেনা নিয়ে ইইউর দেশগুলো অসুবিধায় পড়েছে। ভারত থেকে বাড়তি তেল পাওয়ায় এ অসুবিধা অনেকটাই দূর হবে।ভারতের রাজ্যসভার সংসদ সদস্য ও সাবেক আইএএস কর্মকর্তা জহর সরকার পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করকে চিঠি লিখে বলেছেন, ‘দ্য ওয়্যারে ৪ মে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, মুম্বাইয়ের একটি রহস্যময় সংস্থা প্রচুর পরিমাণে তেল রাশিয়া থেকে আমদানি করছে। এদিকে এফটি ডটকম বলছে, মুম্বাইয়ের গ্যাটিক শিপ ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি গত বছর ৫৪টি তেল ট্যাংকার কেনে। রাশিয়া থেকে যে ৮ হাজার ৩০০ লাখ ব্যারেল তেল ভারতে এসেছে, তার অর্ধেকই এনেছে এই সংস্থা। চিঠিতে জহর সরকার লিখেছেন, ‘এক বছরের মধ্যে কী করে এই সংস্থার বাণিজ্য রকেটের গতিতে বাড়ল, সেটা এক রহস্য।’ তাঁর কথা, ‘ভারত ও রাশিয়াকে কেন্দ্র করে এ বিপুল বাণিজ্য সরকারি সাহায্য ও পৃষ্ঠপোষকতা ছাড়া সম্ভব নয়। চিঠিতে এসব প্রশ্ন তুলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করকে জহর সরকার লিখেছেন, ‘বিষয়টি নিয়ে আপনার মন্তব্যের জন্য অপেক্ষা করছি। সেই সঙ্গে অপেক্ষা করছি রহস্যময় সুবিধা পাওয়া এ সংস্থার পরিচয় সরকার কবে জানায়, তার জন্যও। সোমবার ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের খবরে বলা হয়, ২০২২ সালের মার্চ থেকে ৬১টি তেলের পুরোনো ট্যাংকার কেনে গ্যাটিক শিপ ম্যানেজমেন্ট। লন্ডনের মেরিটাইম মার্কেট ইন্টেলিজেন্স ফার্ম ভেসেলস ভ্যালুর কাছ থেকে পাওয়া তথ্য উদ্ধৃত করে প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়া ইউক্রেনে হামলা করার পর থেকে তারা এসব ট্যাংকার কেনে।জহর সরকার পেট্রোলিয়ামমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে চিঠি লিখে আরেকটি বিষয় জানতে চেয়েছেন। চিঠিতে পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে লিখেছেন, ‘গুজরাটের দুটি শোধনাগার রাশিয়া থেকে তেল কিনে শোধন করার পর তা বিক্রি করে বিপুল মুনাফা করছে।’ কারা এই ব্যবসায়ী-শিল্পপতি, যাঁরা রাশিয়ার তেল বিক্রি করে লাভবান হচ্ছে প্রশ্ন তুলে তিনি বলেছেন এক মাসেও উত্তর মেলেনি। আপনি ক্ষুরধার জবাব ও প্রতিক্রিয়া দেওয়ার জন্য বিখ্যাত। আশা করি, আপনি আমার এ প্রশ্নের জবাব দেবেন।
সূত্র,প্রথম আলো