স্বত্ব © 2025 দৈনিক পত্রিকা |
সম্পাদক ও প্রকাশক: উবায়দুর রহমান, ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: মোঃ জুয়েল মিয়া প্রতিষ্ঠাতা: পি বা লিজন।সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয়- পাইকপাড়া,লোকনাথ দিঘীর পাড়,পৌর কমিউনিটি সেন্টার ২য় তলা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া।দৈনিক পত্রিকা অনলাইন নিউজ পোর্টাল। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের কর্তৃক নিবন্ধনের জন্য প্রক্রিয়া দিন।newsdainikpatrika@gmail.com মোবাইল নাম্বার 01751406352,01715958768
শুক্রবার সন্ধ্যায় ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে নরেন্দ্র মোদির আবাস্থলে এ বৈঠক হয়।
দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে তিস্তাসহ গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে আলোচনা করেন তারা।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমন্ত্রণে জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে শুক্রবার স্থানীয় সময় দুপুর ১টার দিকে (বাংলাদেশ সময় দেড়টা) নয়াদিল্লিতে পৌঁছান শেখ হাসিনা।
বাংলাদেশে জাতীয় নির্বাচনের আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির এটাই শেষ দ্বিপক্ষীয় বৈঠক।
শুভজিৎ পুততুন্ড, কলকাতা
মালদার তার চাচোলের বাসিন্দা ২২ বছর বয়সি সিমরান পারভীন বলেন, ‘ওখানকার পরিস্থিতি, পরিবেশ এখনও ভয়াবহ। স্টুডেন্টদের জন্য ওখানকার লোকালিটির জন্য ভয়াবহ ক্ষতি হয়ে গেল। আমাদের সর্বভারতীয় স্তরে সব পরীক্ষা বাতিল করে দেওয়া হয়েছে। পানি নেই, খাবার নেই। এমন হয়েছে তিন দিন একটানা পানি আসেনি, যতটুকু ছিল তার মধ্যেই আমাদের থাকতে হয়েছে। শপিং মল বোমা মেরে উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার পর থেকে বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ করে দেওয়া হতো। পরিবেশের মারাত্মকভাবে ক্ষতি হচ্ছে, আমরা নিজের চোখে দেখেছি কিভাবে গোটা পাহাড়ের জঙ্গল একসঙ্গে জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে। এখন জানি না কবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে, আবার কবে ফিরতে পারব। ছাত্র-ছাত্রীদের পাশাপাশি উৎকণ্ঠায় ছিলেন অভিভাবকরাও। আটকেপড়া ছাত্রী দিশারী বিশ্বাসের বাবা মৃদুল বিশ্বাস ও মা দোলা বিশ্বাস বলেন, দিনে ১৮ থেকে ২০ বার আমরা ফোনে যোগাযোগ করতাম। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরের আমলাদের ক্রমাগত ফোন করেছিলাম মেয়েকে ফিরিয়ে আনার জন্য। শুরুতে আমরা আতঙ্কে ছিলাম। তবে ভয় পেয়ে বসে থাকলে চলবে না, মেয়েকে মনে সাহস যুগিয়েছিলাম। এদিকে ফোনে মনে পড়ে আটকে থাকা কলকাতার চিকিৎসক আহেলি বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘এখনও দলাই লামা আর্মি ক্যাম্পে আটকে আছি। আমার মতো সাড়ে তিন হাজার মানুষ এখনও আটকে আছে। গতকাল থেকে বোমা-গুলির শব্দ শোনা না গেল বাইরে বেরনোর মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়নি। সব থেকে খারাপ অবস্থা রাজধানী ইম্ফলের। আর্মিও এসকর্ট করে আমাদের গাড়ি বিমানবন্দর পর্যন্ত পৌঁছে দেওয়ার রিস্ক নিতে চাইছে না।’
চিকিৎসক আহেলি বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন মেঘালয়, নাগাল্যান্ড রাজ্য তাদের লোকজনকে এই পরিস্থিতির মধ্যেও নিয়ে গিয়েছে। কেরালা আজ তাদের সব লোককে বিশেষ উড়োজাহাজে করে নিয়ে যাবে। মিজোরাম ত্রিপুরার লোকজনকে গতকাল রাত থেকে ওদের রাজ্য সরকার উদ্ধার করছে। আমরা তামিলনাড়ু, রাজস্থান ও পশ্চিমবঙ্গের অনেকেই এখনও মণিপুরীদের সঙ্গেই আটকে আছি। কলকাতা নিয়ন্ত্রণ কক্ষের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করছি কিন্তু এখনও যোগাযোগ করতে পারিনি। মণিপুর রাজ্য সরকার এতটাই বিধ্বস্ত যে, ওদের পক্ষে সাহায্য করা আর সম্ভব নয়। গতকাল থেকেই খাবার-দাবারের সংকট শুরু হয়েছে। আমাদের সকালে খাবার দেওয়ার পর আর্মিদের থেকে বলে দেওয়া হলো দুপুরে কী খাবার দিতে পারব এখনও ঠিক নেই। এত মানুষের খাবার একসঙ্গে জোগাড় করা সত্যিই কঠিন। এতদিন ওরা টাউনে গিয়ে বন্ধ দোকানগুলোর শাটার ভেঙে যা খাবার পাচ্ছিল আমাদের জন্য নিয়ে আসছিল। এখন সেটুকুও জোগাড় করা যাচ্ছে না। ভারতের উত্তর-পূর্বের গুরুত্বপূর্ণ রাজ্য মণিপুরে সংখ্যাগরিষ্ঠ মেইতিদের তপশিলি জনজাতি গোষ্ঠীর মর্যাদার দাবি ঘিরে গত বুধবার (৩ এপ্রিল) রাত থেকেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে মণিপুর। রাজ্যটির বিভিন্ন এলাকায় দফায় দফায় উত্তেজনা দেখা দেয় মেইতেই, কুকি, নাগাসহ একাধিক জনগোষ্ঠীর মধ্যে। ১০ জেলায় ‘ট্রাইবাল সলিডারিটি মার্চ’ কর্মসূচির কারণে বিভিন্ন জায়গায় যুবকদের মধ্যে সংঘর্ষ চরম আকার ধারণ করে। পুড়িয়ে দেওয়া হয় হাজার হাজার ঘরবাড়ি, গাড়ি ও দোকান। মন্দির, গির্জায় অগ্নিকাণ্ডের অভিযোগ উঠেছে। পরিস্থিতি স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন ও আসাম রাইফেলসের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। এর পরেই মণিপুরের আইনশৃঙ্খলার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে রাজ্যটির ৮টি জেলায় ১৪৪ ধারা জারি করে রাজ্য প্রশাসন। গুজব প্রতিরোধে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয় । একইসঙ্গে বিক্ষোভকারীদের দেখামাত্রই গুলি করার নির্দেশও জারি করেছে মণিপুরের বিজেপি সরকার। সব মিলিয়ে এখনও পর্যন্ত ৫৪ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। বেসরকারি মতে মৃতের সংখ্যা ১০০ জনের বেশি। ভারতের সেনাবাহিনী বলছে, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য আসামের দুটি এয়ারফিল্ড থেকে লাগাতার কাজ করে যাচ্ছে ভারতীয় বায়ুসেনার সি১৭ গ্লোবমাস্টার এবং এএন৩২
সূত্র, সমকাল
নিজস্ব প্রতিবেদক
বিশ্বকে ক্রমবর্ধমান তাবদাহের মুখোমুখি হওয়ার জন্য প্রস্তুত থাকতে বলেছে জাতিসংঘ। কারণ দিনদিনই উত্তপ্ত হচ্ছে বিশ্ব। দাবানল ছড়িয়ে পড়ছে বিশ্বের বিভিন্ন জায়গায়। এ প্রেক্ষিতে বিশ্বজুড়ে তাবদাহ আরো বাড়বে বলেই পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে জাতিসংঘের পক্ষ থেকে। এশিয়া, ইউরোপ ও উত্তর আমেরিকায় জারি করা হয়েছে স্বাস্থ্য সতর্কতা। ক্যালিফোর্ণিয়া থেকে চীন কর্তৃপক্ষরা তীব্র তাবদাহের কারণে স্বাস্থ্য সতর্কতা জারি এবং জনগণকে বেশি করে পানি পান ও সূর্যের আলো থেকে দূরে থাকার পরামর্শ দিয়েছে। বিশ্ব জুড়েই রেকর্ড তাপমাত্রা বিরাজ করছে। চীন, যুক্তরাষ্ট্র ও ফ্রান্সে রেকর্ড তাপমাত্রা চলছে। বেইজিংয়ে ২৩ বছরের ইতিহাস ভেঙে গত সাতদিন ধরে তাপমাত্রা ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি রেকর্ড করা হয়েছে। এদিকে গ্রিস ও কেনারি দ্বীপে অগ্নিনির্বাপক সদস্যরা দাবানল নিয়ন্ত্রণে প্রাণপন চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। স্পেন উচ্চ তাপমাত্রার কারণে রেড এলার্ট জারি করেছে। ইতালির সারদিনিয়া ও সিসিলি দ্বীপে তাপমাত্রা ৪৮.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়াতে পারে বলে পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে। এদিকে ইরানে ৬৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসেরও বেশি তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। গত সোমবার দেশটির দক্ষিণাঞ্চলীয় প্রদেশ বুশেহেরের আসালুয়েহ জেলার পার্সিয়ান গালফ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এলাকায় দুপুর ১২টায় এই তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক জলবায়ু পর্যবেক্ষণ সংস্থা ইউএস স্টর্মওয়াচের কর্মকর্তা কলিন ম্যাকার্থি এক টুইট বার্তায় এই তথ্য নিশ্চিত করেন। আমেরিকার লাখ লাখ লোককে মঙ্গলবার তীব্র তাপমাত্রা মোকাবেলা করতে হয়েছে। টেক্সাসের সান এঞ্জেলো শহরে তাপমাত্রা ৪০ থেকে ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছাবে বলে আবহাওয়া অফিস থেকে জানানো হয়েছে। জাতিসংঘের বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা বা ডব্লিওএমও বলেছে, তাপমাত্রা কমার কোন লক্ষণ নেই। ডব্লিওএমও’র তীব্র তাপ বিষযক উপদেষ্টা জন নায়ারন জেনেভায় সাংবাদিকদের বলেছেন, তাপমাত্রা আরো বাড়বে। বিশ্বকে আরো তাবদাহের জন্যে প্রস্তুত হতে হবে। ফ্রান্সের জলবায়ু বিষয়ক ইন্সস্টিটিউট পিয়েরে সিমন লাপেলেসের পরিচালক রবার্ট ভটার্ড বলেছেন, ইউরোপ ও বিশ্বজুড়ে চলা এই তাবদাহ কেবল একটি কারণে নয়, একাধিক বিষয় এতে রয়েছে। তবে তাপ তীব্ররূপ নেয়ার একটিই কারণ। আর সেটা হল জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব। সূত্রঃ বাসস
মুখলেছুর রহমান অভি:সৌদি আরব পূর্বাঞ্চল কেন্দ্রীয় বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপির সাবেক কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য, আল জুবাইল প্রাদেশিক বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কৃতী সন্তান, সাবেক ছাত্রনেতা হেলাল উদ্দিন ভুইয়ার জন্মদিন উপলক্ষে প্রবাসীদের মিলন মেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল সন্ধ্যায় স্থানীয় সার্ক হোটেলে আখাউড়া উপজেলা প্রবাসী যুবদলের সভাপতি রাজিবুল ইসলাম রাজিবের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় বর্ণাঢ্য আয়োজনে জন্মদিন পালন করা হয়।এসময় উপস্থিত ছিলেন সৌদি আরব পূর্বাঞ্চল কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ সভাপতি জসিম উদ্দিন শামীম, সহ সভাপতি শেখ আব্দুল মান্নান, আল জুবাইল প্রাদেশিক বিএনপির সভাপতি সোহেল আরমান, পূর্বাঞ্চল কেন্দ্রীয় শ্রমিক দলের সহ সভাপতি জালাল উদ্দীন মোল্লা,নুরুল হক পাটুয়ারি, নাসির সরদার, আব্দুস ছালাম, মহসিন খান,কাজি নাজমুল, আমিনুল ইসলাম রাব্বি,নাজমুল হাসান সোহাগ , সুশীল সমাজের নেতৃবৃন্দ, সাংবাদিক সহ আল জুবাইল প্রাদেশিক বিএনপির অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ এসময় উপস্থিত ছিলেন। এর আগে নেতৃবৃন্দ কেক কাটেন ও ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান। ফুলের শুভেচ্ছায় সিক্ত হয়ে হেলাল উদ্দিন ভুইয়া বলেন, বিএনপি পরিবারের সদস্য হতে পেরে আমি গর্বিত। তিনি বলেন গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার, ভোটাধিকার ফেরত পাওয়া এবং বিএনপি চেয়ারপার্সন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া কে মুক্ত করতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ ভাবে দেশ বিদেশে জনমত গঠন করতে হবে।
অনলাইনে ইসলাম ধর্মের অবমাননার দায়ে দুই ব্যক্তির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করেছে ইরান। গত বছর দেশটিতে বিক্ষোভের পর থেকে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে খবর ডয়চে ভেলের। ব্লাসফেমি বা ধর্ম অবমাননার দায়ে ইউসেফ মেহরদাদ ও সাদরোল্লাহ ফাজেলি নামে দুই ব্যক্তিকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ইরানের বিচার বিভাগ দেশটির বিচার বিভাগ সংক্রান্ত ওয়েবসাইট মিজান জানিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে ইসলাম ধর্ম ও নবি হযরত মুহাম্মদকে (সা.) নিয়ে কটাক্ষের অভিযোগ ছিল বিচার বিভাগের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, দুই ব্যক্তি একাধিক ধর্মবিরোধী অনলাইন প্লাটফর্ম পরিচালনা করছিলেন৷ এর মাধ্যমে তারা ইসলাম ধর্ম ও এর পবিত্র বিষয়গুলোকে অমর্যাদার পাশাপাশি নাস্তিকতার প্রচার চালাচ্ছিলেন বলে দাবি করা হয় বিবৃতিতে আরো বলা হয়, তাদের একজন কনটেন্ট প্রচারের কথা স্বীকার করেছেন৷ তবে এই ধরনের স্বীকারোক্তি সাধারণত জোরপূর্বক নেওয়া হয় বলে অভিযোগ অধিকার সংস্থাগুলোর শনিবার হাবিব চাব নামে সুইডিশ-ইরানিয়ান নাগরিকের ফাঁসি কার্যকর করেছে তেহরান৷ এই ঘটনাকে অমানবিক হিসেবে উল্লেখ করে উদ্বেগ ও নিন্দা জানিয়েছে সুইডেন। চীনের পরই ইরান বিশ্বের সবচেয়ে বেশি মৃত্যুদণ্ড কার্যকরকারী দেশ৷ দুইটি অধিকার সংস্থার গত মাসে প্রকাশিত এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২২ সালে ইরানের কর্তৃপক্ষ ৫৮২ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করেছে, যা ২০২১ সালের চেয়ে ৭৫ শতাংশ বেশি। নরওয়ে ভিত্তিক ‘ইরান হিউম্যান রাইটস’ এবং প্যারিসভিত্তিক ‘টুগেদার অ্যাগেইনস্ট দ্য ডেথ পেনাল্টি’ এপ্রিলে জানিয়েছে, চলতি বছর ১৫১ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করেছে ইরান।দৈনিক যুগান্তর থেকে নেওয়া।
ভয়াবহ ভূমিকম্পে ধ্বংস্তুপে পরিণত হয়েছে তুরস্ক ও সিরিয়ার বিস্তীর্ণ এলাকা। সোমবার (০৬ সোমবার) ভোররাতের এই ভূমিকম্পের ঘটনা ঘটে। এ সময় বেশিরভাগ মানুষই ঘুমিয়ে ছিলেন। ভয়াবহ এই ভূমিকম্পে ধসে পড়েছে হাজার হাজার ভবন। ক্ষণে ক্ষণে উদ্ধার হচ্ছে মৃতদেহ ও আহতদের। সর্বশেষ খবর অনুযায়ী নিহতের সংখ্যা প্রায় দুই হাজারে পৌঁছেছে। এই সংখ্যা দ্রুত গতিতে বেড়েই চলেছে। এতে কয়েক হাজার মানুষ আহত হয়েছেন। সাধারণ মানুষ হাসপাতাল ও ধসে পড়া ভবনগুলোর সামনে স্বজনদের খুঁজতে ভিড় করছেন। কোনও কোনও পরিবারে সকল সদস্যের মৃত্যু হয়েছে। তুরস্ক ও সিরিয়া এই দুই দেশেই বিপুল ক্ষতি হয়েছে। এখনও ধসে পড়া ভবনের নিচে আটকে রয়েছেন বহু মানুষ। তাদেরকে উদ্ধারে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে সংশ্লিষ্ট বাহিনী। সাধারণ মানুষও এতে হাত লাগিয়েছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের জিওলজিক্যাল সার্ভে অনুমান করে বলেছে যে, এই ঘটনায় মৃত্যুর সংখ্যা দশ হাজার ছাড়াতে পারে। তুরস্ক প্রশাসন জানিয়েছে ভূমিকম্পে প্রায় তিন হাজার ভবন ধসে পড়েছে। তুরস্কের কাহরামানমারাস, হাতায়, ওসমানিয়ে, গাজিয়ানটেপ, সানলিউরফা, দিয়ারবাকির, মালতায়া এবং আদানাসহ বিভিন্ন অঞ্চল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়া সিরায়ার আলেপ্পো, হামা এবং লাত্তাকিয়াসহ কয়েকটি অঞ্চলে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। তুরস্ক ও সিরিয়া উভয় দেশ দুর্যোগ ও জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে।
দ্রুত উদ্ধারকাজের জন্য আন্তর্জাতিক সাহায্য কামনা করেছে তুরস্ক। এরই মধ্যে ইউরোপীয় ইউনিয়ন উদ্ধারকাজে সহযোগিতার জন্য বাহিনী প্রেরণ করেছে। সেনাবাহিনী নামিয়েছে তুরস্ক। তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান বলেছেন, ১৯৩৯ সালের ভূমিকম্পের চেয়ে এবারের ভূমিকম্প আরও ভয়ঙ্কর। সেই ভূমিকম্পে অন্তত ৩০ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছিল। সবাইকে একসঙ্গে নিয়ে এই বিপদ মোকাবেলা করবেন বলে বার্তা দিয়েছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান।