স্বত্ব © 2025 দৈনিক পত্রিকা |
সম্পাদক ও প্রকাশক: উবায়দুর রহমান, ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: মোঃ জুয়েল মিয়া প্রতিষ্ঠাতা: পি বা লিজন।সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয়- পাইকপাড়া,লোকনাথ দিঘীর পাড়,পৌর কমিউনিটি সেন্টার ২য় তলা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া।দৈনিক পত্রিকা অনলাইন নিউজ পোর্টাল। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের কর্তৃক নিবন্ধনের জন্য প্রক্রিয়া দিন।newsdainikpatrika@gmail.com মোবাইল নাম্বার 01751406352,01715958768
শহরের যান্ত্রিক কোলাহল আর অপসংস্কৃতির আড়ালে দিন দিন হারাতে বসেছে বাঙ্গালির প্রাণের উৎসব আর সংস্কৃতি। তবুও যেটুকু টিকে আছে, তাতেই খুশি সহজ সরল এই মানুষগুলো। পড়ন্ত বিকেলে চমৎকার এই নৌকা বাইচ তাদের নিয়ে গেছে এক রকম ঘোরের রাজ্যে। নৌকা বাইচ উপলক্ষে শহরজুড়ে উৎসবমুখর পরিবেশ তৈরি হয়। ভাদ্রের তপ্ত দুপুর গড়ানোর আগেই জেলার বিভিন্ন অঞ্চল থেকে ছোট বড় নৌকা নিয়ে উৎসাহী দর্শকরা নদীর দুই পাড়ে হাজির হতে থাকেন। ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জেলা প্রশাসনের আয়োজনে এবং বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ডস কোম্পানী লিঃ, দারাজ বাংলাদেশ ও ইউনিভার্সেল মেডিকেল এর সহযোগীতায় তিতাস নদীতে ঐতিহ্যবাহি নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। তিতাসের বুকভরা ঢেউ আর প্রাণভরা উচ্ছাসে পৌর এলাকার শিমরাইলকান্দি গাঁওগ্রাম এলাকা থেকে মেড্ডার শিশু পরিবার এলাকায় তিতাস নদীতে অনুষ্ঠিত হয় এই নৌকাবাইচ প্রতিযোগিতা।
এবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সদরের ৪টি, বিজয়নগর উপজেলার ৫টি, নবীনগর উপজেলার ২টি, আশুগঞ্জ উপজেলার ২টি ও নাসিরনগর উপজেলার ১টিসহ মোট ১৫টি দল প্রতিযোগী দল তাদের সুসজ্জিত নৌকা আর রং বে-রঙের বাহারি পোশাক পড়ে এই প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়। প্রতিযোগিতা চলার সময় বাদ্যযন্ত্রের তালে তালে মাঝিদের ভাটিয়ালী গান আর পানিতে বৈঠার ছলাত ছলাত আওয়াজে পুরো এলাকা মুখরিত হয়।
বিকেল ৩টার দিকে পৌর এলাকার শিমরাইলকান্দি গাঁওগ্রাম এলাকায় নৌকা বাইচের উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি ছিলেন স্থানীয় সংসদ সদস্য ও বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রনালয় সর্ম্পকিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী। এ সময় জেলা প্রশাসক মোঃ শাহগীর আলম, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন, প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক বাহারুল ইসলাম মোল্লা উপস্থিত ছিলেন।
মেড্ডার কালাগাজীর মাজার এলাকায় পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন স্থানীয় সংসদ সদস্য ও বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সর্ম্পকিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী। জেলা প্রশাসক মোঃ শাহগীর আলমের সভাপতিত্বে অতিথি ছিলেন বিশেষ অতিথি ছিলেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আল মামুন সরকার, পৌর মেয়র মিসেস নায়ার কবির, প্রেসক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জসীম উদ্দিন।
নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অর্জন করে নবীনগর উপজেলা নৌকা, দ্বিতীয় স্থান অর্জন করে সরাইল উপজেলা নৌকা এবং তৃতীয় স্থান অর্জন করে আশুগঞ্জ উপজেলার নৌকা। পরে প্রধান অতিথি প্রথম স্থান অর্জনকারী দলকে ১ লাখ টাকা, দ্বিতীয় স্থান অর্জনকারীকে ৫০ হাজার টাকা এবং তৃতীয় স্থান অর্জনকারীকে ৩০ হাজার টাকা এবং ট্রফি উপহার হিসেবে প্রদান করেন। এছাড়াও প্রতিযোগীতায় অংশগ্রহণকারী প্রত্যেক দলকে নগদ ২৫ হাজার টাকা প্রদান করা হয়।
এদিকে নৌকা বাইচ প্রতিযোগীতা উপভোগ করতে দুপুর থেকেই জেলার বিভিন্ন উপজেলা ও আশপাশ এলাকা থেকে হাজার-হাজার মানুষ তিতাসের দু’পাড়ে, বিভিন্ন ভবনের ছাদের উপর ভীড় জমায়। অনেকেই নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতা উপভোগ করতে ছোট ছোট নৌকা ভাড়া করে পরিবার পরিজন নিয়ে তিতাস নদীর বিভিন্ন স্থানে অবস্থান নেয়।
নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতা চলার সময় শিমরাইলকান্দি গাঁওগ্রাম এলাকা থেকে মেড্ডা শিশু পরিবার এলাকা পর্যন্ত নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেটের নেতৃত্বে ১০টি মোবাইল কোর্ট টিমসহ বিপুল সংখ্যক পুলিশ, আনসার ফায়ার সার্ভিস, বিএনসিসি, নৌ-পুলিশ, ডুবুরীদল, ফায়ার সার্ভিস ও মেডিকেল টিম কয়েকটি টীম নিয়োজিত ছিল। এছাড়াও ছিল ডুবুরীদল, ফায়ার সার্ভিস ও মেডিকেল টীম। নিরাপত্তার জন্য আকাশে উড়ানো হয় ড্রোন।
জুয়েল মিয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে ১০৪ কেজি গাঁজা ও ১টি কাভার্ডভ্যানসহ এক মাদক কারবারিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শনিবার (৫ আগস্ট) সকালে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের সৈয়দ নজরুল ইসলাম সেতুর টোল প্লাজা এলাকা থেকে গাঁজা সহ তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত যুবকের নাম জিয়াউর রহমান (৩৮)। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার দেলি উত্তর পাড়া গ্রামের মৃত খেলু মিয়ার ছেলে। এ ঘটনায় আশুগঞ্জ থানার এসআই মোঃ কবির হোসেন বাদী হয়ে আশুগঞ্জ থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করেছেন। আশুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাহিদ আহমেদ বলেন, মাদক উদ্ধারের অভিযানের সময় একটি কাভার্ডভ্যানে তল্লাশি করে ১০৪ কেজি গাঁজা পাওয়া যায়। এই ঘটনায় এক মাদক কারবারিকে আটক করা হয়েছে। পাশাপাশি কাভার্ডভ্যানটি জব্দ করা হয়েছে।গ্রেফতারকৃত মাদক কারবারিকে আদালতে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে। তিনি আরও জানান, আশগুঞ্জ থানার অপরাধ দমন, আসামি গ্রেফতার ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন মহোদয়ের নির্দেশে আশুগঞ্জ থানা পুলিশ নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে ৩১ আগস্ট সন্ধ্যায় শিবপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের উত্তর-পূর্ব পাশে মাটির রাস্তায় বর্বর এ ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী নারীর নাম মোছা. নাছিমা আক্তার। তিনি শিবপুর কলেজ পাড়ার মলাই মিয়ার মেয়ে। মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানকার চিকিৎসকরা ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে পাঠান। নাছিমা এখন ওই হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছেন।
এ ঘটনায় শিবপুর ইউনিয়নের আকুবপুর গ্রামের নূরুল ইসলামের ছেলে মোছা মিয়াকে প্রধান আসামি করে ১৬ জন নামের থানায় মামলা হয়েছে। তবে পুলিশ কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না বলে আভিযোগ ভুক্তভোগী পরিবারের।
জানা যায়, স্ত্রী ও ৬ মেয়ে নিয়ে শিবপুর কলেজপাড়ায় নিজ বাড়িতে বসবাস করে আসছেন মলাই মিয়া। তিনি ও তার স্ত্রী বর্তমানে খুবই অসুস্থ। একটি জমি ক্রয়-বিক্রয় নিয়ে পরিবারটির সঙ্গে মোছা মিয়ার বিরোধ চলে আসছিল। শিবপুর ইউনিয়ন সদরে নাছিমাদের ১১ শতক জমি রয়েছে। ওই জমি ক্রয় করতে চান মোছা মিয়া। এজন্য নাছিমাকে প্রস্তাবও দিয়েছেন। কিন্তু নাছিমা জমি বিক্রি করতে রাজি না হওয়ায় ক্ষিপ্ত হন মোছা মিয়। এর জেরেই তার ওপর হামলা চালানো হয়।
ভুক্তভোগী নাছিমা জানান, মোছা মিয়া এলাকায় অহসায় এতিমদের জমি জবরদখল, সন্ত্রাসসহ নানা অপকর্মে জড়িত। এখন সে আমাদের জমি কিনতে চাচ্ছেন। রাজি না হওয়ায় সে প্রকাশ্যে ঘোষণা দেয়, যে কোনো মূল্যে ওই জমি দখল করবে। সেই পরিকল্পনার অংশ হিসাবে হত্যার উদ্দেশ্যে আমার ওপর হামলা করা হয়েছে।
নাছিমা বলেন, হামলাস্থল থেকে দেশীয় অস্ত্র উদ্ধারের সময় পড়ে থাকা আমার মোবাইল ফোনটি শিবপুর ফাঁড়ি পুলিশ নিয়ে গেছে। মঙ্গলবার রাতে থানায় অভিযোগ দেওয়া হলেও এখন পর্যন্ত আসামিদের ধরার কোনো ব্যবস্থা নেয়নি পুলিশ।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলেন মোছা মিয়া বলেন, ‘আমি এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত নই। উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে আমাকে ফাঁসাতে আসামি করা হয়েছে।
থানার অফিসার ইনচার্জ মাহবুব আলম জানান, অভিযোগ পেয়েছি। আইনি প্রক্রিয়ায় যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এদিকে বুধবার বিকালে উপজেলা নির্বাহী অফিসার একটি অনুষ্ঠানে শিবপুর গেলে নাছিমার মা হোছনে আরা তার কাছে বিষয়টি তুলে ধরে ন্যায়বিচার দাবি করেন। এ সময় নির্বাহী অফিসার তানভীর ফরহাদ শামিম ন্যায়বিচারের আশ্বাস দেন।
নিজস্ব প্রতিবেদক : তাসনিয়া কাইয়ূম জ্যোতি’র শুভ জন্মদিন উদযাপিত হয়েছে।
এ উপলক্ষ্যে বুধবার (১৯ জুলাই) রাত ৯ টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া’র একটি অভিজাত রেস্টুরেন্টে কেককাটা ও প্রীতিভোজ এর আয়োজন করা হয়।
জুয়েল মিয়া, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
মাদকের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী জিরো টলারেন্স নীতির কথা বলেছেন। সেভাবেই আমরা কাজ করছি। মাছ গিয়ে মাদক আসাটা অনাকাঙ্ক্ষিত। বুধবার (১ মার্চ) দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দরে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) মহাপরিচালক মেজর জেনারেল একেএম নাজমুল হাসান বন্দর পরিদর্শনে এসে এসব কথা বলেন। সীমান্ত হত্যা সম্পর্কে তিনি বলেন কোন একটা জীবন মেরে ফেলুক এটা কারোরই কাঙ্ক্ষিত না। তারাও (বিএসএফ) চায় না, আমরাও চাই না। সবাই চায় সীমান্ত হত্যা কতটা নীচে নামিয়ে আনা যায়।তিনি আরো বলেন ডিজি লেভেলের সম্মেলনে আমরা অনেক ধরনের সমস্যা নিয়ে আলোচনা করি। সেই আলোচনায় আমরা অনেক সমস্যার সমাধান করছি। এগুলো (সীমান্ত হত্যা) আরো বেশি হতে পারতো। এগুলো আমরা কমিয়ে নিয়ে আসছি। তবে আমাদের চেস্টা থাকবে সীমান্ত হত্যা আরও কতটা নিচে নামিয়ে নিয়ে আসতে পারি।বিএসএফ এর বাঁধায় আখাউড়া ইমিগ্রেশন ভবন এবং কসবা রেলওয়ে স্টেশন এবং সালদা নদী সেতু নির্মাণ কাজ বন্ধ রয়েছে এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন ইমিগ্রেশন ভবনের বিষয়টি তাঁর জানা নেই। কসবা স্টেশন এবং সালদা নদী সেতুর বিষয়ে আমরা সর্বোচ্চ পর্যায়ে চেস্টা করছি। আমি দায়িত্ব নেয়ার পর বিএসএফের সাথে যোগাযোগ করেছি। আশা করছি খুব দ্রুত কাজ শুরু হবে। পরিদর্শন শেষে তিনি কসবায় যান।
জুয়েল মিয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মোহাম্মদ আলী চৌধুরীকে রাস্তায় ফেলে মারধর করা হয়েছে। বুধবার বিকালে পৌর শহরের সড়ক বাজারে এ ঘটনা ঘটে। পৌর কাউন্সিলর সুজন মিয়ার নেতৃত্বে এ হামলা হয়েছে বলে দাবী করেছেন আওয়ামীলীগ সভাপতির ছোট ভাই ফারুক মিয়া।ঘটনার পর তাৎক্ষণিক অভিযান চালিয়ে পৌর কাউন্সিলর সুজনসহ তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ।আহত উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ আলী চৌধুরী (৬৭) পৌর এলাকা রাধানগর গ্রামের বাসিন্দা।আটক কাউন্সিলর রাধাগরের বনিক পাড়ার বাসিন্দা ও পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর। আওয়ামিলীগ সভাপতিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দিয়ে বাসায় নেয়া হয়েছে। বর্তমানে তিনি সুস্থ আছেন।খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সড়ক বাজারের দরদী ফার্মেসীর ভিতরে চেয়ারে বসাছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ আলী চৌধুরী । এসময় এক যুবক সেখানে এসে আওয়ামী লীগ নেতার সঙ্গে তর্ক বিতর্ক করেন। এরই মাঝে কাউন্সিলর সুজন মিয়ার ভাই কয়েকজনের দলবল নিয়ে সেখানে এসে আওয়ামী লীগ নেতাকে টেনি হিচড়ে রাস্তায় ফেলে কিল, ঘুষি ও লাথি মারেন। পরে স্থানীয়রা এগিয়েএসে আওয়ামী লীগ নেতাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান।এর আগে গত ২৯ অক্টোবর তার বিরুদ্ধে বিএনপির কর্মসূচিকে ঘিরে নাশকতার অভিযোগ এনে আখাউড়া থানা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) হারুণ অর রশিদ মামলা দায়ের করেন। যদিও সুজনকে দীর্ঘদিন যাবত আওয়ামী লীগের বিভিন্ন কর্মসূচিতে সামনের সারিতে দেখা গেছে।
এদিকে আওয়ামী লীগ নেতার স্ত্রী উষা বেগম (৬২) জানান, বুধবার বিকেলে কাউন্সিলরসহ ৪-৫জন লোকজন বাড়িতে ফটকে আঘাত করতে থাকেন। ফটক খুলতেই তারা ভেতরে ঢুকে ভাঙচুর করে এবং তার স্বামীকে খোঁজ করেন। না পেয়ে উষা বেগমকে লাঠি দিয়ে আঘাত করে তারা।আখাউড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ আলী চৌধুরী বলেন, আমি অসুস্থ। এখন কথা বলতে পারব না। পরে কথা বলব।গ্রেপ্তারের আগে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে ও সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে কাউন্সিলর সুজন জানিয়েছেন, একের পর এক মিথ্যা মামলা দিয়ে তাকে হয়রানি করা হচ্ছে। মূলত উপজেলা আওয়ামী লীগের এক নেতার সঙ্গে বিরোধের জের ধরে তাকে ফাঁসানো হচ্ছে। আরেক নেতাও এখন এতে যোগ দিয়েছে। আখাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আসাদুল ইসলাম বলেন, পৌর শহরের মসজিদপাড়া থেকে কাউন্সিলরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বিএনপির একটি নাশকতার মামলায় তিনি এজহারভূক্ত আসামী। ওই মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।