স্বত্ব © 2025 দৈনিক পত্রিকা |
সম্পাদক ও প্রকাশক: উবায়দুর রহমান, ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: মোঃ জুয়েল মিয়া প্রতিষ্ঠাতা: পি বা লিজন।সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয়- পাইকপাড়া,লোকনাথ দিঘীর পাড়,পৌর কমিউনিটি সেন্টার ২য় তলা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া।দৈনিক পত্রিকা অনলাইন নিউজ পোর্টাল। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের কর্তৃক নিবন্ধনের জন্য প্রক্রিয়া দিন।newsdainikpatrika@gmail.com মোবাইল নাম্বার 01751406352,01715958768
বুধবার দুপুরে ওই ইউনিয়নের ঈশাননগর চৌরাস্তার মোড়ে দাঁড়িয়ে এলাকাবাসী এ বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেন। স্থানীয় যমুনা গ্রামের বাসিন্দা এসএম শামীম আকতারের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন- ভুক্তভোগী ময়নাল হোসেন, কাদির মিয়া, দেলোয়ার হোসেন, মনির হোসেন, মমিনুল ইসলাম পারভেজ ও সুমন সরকার প্রমুখ।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, মেহারী ইউনিয়ন পরিষদে জন্ম নিবন্ধন ও ওয়ারিশ সনদ নিতে গেলে এলাকাবাসীর কাছ থেকে এক থেকে আড়াই হাজার টাকা পর্যন্ত আদায় করা হয়। এ ব্যাপারে এলাকার মানুষ জানতে চাইলে প্রশাসনের লোককে ম্যানেজ করতে টাকা নেন বলে অজুহাত দেখান ইউপি চেয়ারম্যান মুর্শিদ। ক্ষমতাসীন দলের প্রভাব দেখান বলে এলাকার সাধারণ মানুষ তার বিরুদ্ধে মুখ খোলার সাহস পায় না।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত ইউপি চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন মুর্শিদ বলেন, অভিযোগকারীরা ব্যক্তিগত আক্রোশ থেকে তার বিরুদ্ধে এ ধরণের অভিযোগ করেছেন। সেবা নিতে কোন অতিরিক্ত অর্থ নেয়া হয় না। তবে পরিষদের উদ্যোক্তার ব্যাপারে অভিযোগ ওঠায় আমি তাকে বহিষ্কার করেছি।
এদিকে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসক বরাবর আনীত অভিযোগের তদন্তকারী কর্মকর্তা স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক জিয়াউল হক মীর জানান, দায়িত্ব পেয়ে ইতোমধ্যেই সরেজমিনে একদিন গিয়ে এ বিষয়ে তদন্ত করেছি। তদন্ত কাজ আরো কিছুটা বাকি আছে। খুব শীঘ্রই এ বিষয়ে তদন্ত প্রতিবেদন দেওয়া হবে।
নিজস্ব প্রতিবেদক : কবি ও কবিতা বিষয়ক সংগঠন কবির কলম এর বিশেষ ক্রোড়পত্র ‘প্রভাত ফেরি’র মোড়ক উন্মোচন করা হয়েছে। সোমবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া টেংকের পাড়স্থ পৌর কমিউনিটি সেন্টারের ২য় তলায় জনতার খবর এর কার্যালয়ে এ মোড়ক উন্মোচন করা হয়। কবির কলমের সভাপতি তিতাস হুমায়ূনের সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, আব্দুল মান্নান সরকার, সাবেক সাধারণ সম্পাদক দি-আলাউদ্দিন সঙ্গীতাঙ্গন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, নন্দিত কথা সাহিত্যিক কবি আমির হোসেন, এড. হুমায়ূন কবির, জনতার খবর এর সম্পাদক আদিত্ব্য কামাল, ডিজিটাল ব্রাহ্মণবাড়িয়া’র সম্পাদক আব্দুল্লাহ্, মোহাম্মদ হোসেন প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি বৈশাখী শিল্পী গোষ্ঠী, সামসুজ্জামান বাবু সহ-সভাপতি বৈশাখী শিল্পী গোষ্ঠী, প্রাউড অব ব্রাহ্মণবাড়িয়া’র কর্ণধার কোহিনূর আক্তার প্রিয়া, আব্দুল মতিন শিপন সাধারণ সম্পাদক কবির কলম, মোহাম্মদ জুয়েল মিয়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি দৈনিক চিত্র, নারীনেত্রী রোমানা শ্যামলী, মানোয়ারা হাসপাতালের প্রতিষ্ঠাতা এড. শাহিদুল ইসলাম, কবির কলমের দপ্তর সম্পাদক রূপম, সাংগঠনিক সম্পাদক শাহজাহান আহমেদ সাজু, কবি রশিদুল্লাহ তুষার, আল-আমিন ট্রেডিং কর্পোরেশনের প্রোপ্রাইটর মো. আল-আমিন প্রমূখ। অনুষ্ঠান উপস্থাপনায় ছিলেন, আব্দুল মতিন শিপন। পৃষ্ঠপোষকতায় ছিলেন, কবি ও গীতিকার দেওয়ান মারুফ ও মেসার্স আল-আমিন ট্রেডিং কর্পোরেশনের প্রোপ্রাইটর মো. আল-আমিন।
সুমন নুর, জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় খ্রীষ্টিয়ান মেমোরিয়াল হাসপাতালের অপারেশন থিয়েটার থেকে লিজা নামের এক প্রসূতির এক নবজাতক গায়েব করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।শুক্রবার (২১ এপ্রিল) দুপুরে জেলা শহরের মুন্সেফপাড়া খ্রীষ্টিয়ান মেমোরিয়াল হাসপাতালে এ ঘটনা ঘটে। লিজা জেলার নবীনগর উপজেলার আলেয়াবাদ গ্রামের ফরহাদ আহমেদের স্ত্রী। স্বজনদের দাবি, বেশ কয়েকটি পরীক্ষায় লিজার গর্ভে দুটি সন্তান আছে বলে নিশ্চিত হওয়া গেলেও সিজারিয়ান অপারেশনের পর তাকে একটি নবজাতক দেখানো হয়েছে। গায়েব হওয়া নবজাতক সন্তান ফিরে পেতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে অভিযুক্ত করে পুলিশের কাছে অভিযোগ দিয়েছেন ওই প্রসূতির স্বামী ফরহাদ আহমেদ।ফরহাদ আহমেদ বলেন,আমার স্ত্রী গর্ভবতী হওয়ার পর থেকে নবীনগর উপজেলার একটি বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসক মেহেরুন্নেছার তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাধীন ছিলেন। সেসময় আলট্রাসনোগ্রাফিতে তার গর্ভে দুটি সন্তান দেখা গেছে বলে জানান চিকিৎসকরা। সবশেষ ১৮ এপ্রিল করা আলট্রাসনোগ্রাফি রিপোর্টে তার গর্ভে দুটি সন্তান আসে। আমার স্ত্রীর প্রসব ব্যথা ওঠলে যমজ শিশু গর্ভে থাকায় স্থানীয় চিকিৎসকরা ঝুঁকি না নিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরে হাসপাতালে এনে সিজার করাতে পরামর্শ দেন। দুপুরে সাড়ে ১২টার দিকে তাকে শহরের খ্রিষ্টিয়ান মেমোরিয়াল হাসপাতালে ভর্তি করা হলে তাকে ডা. নওরিন পারভেজ আলট্রাসনোগ্রাফি করেন। ওই রিপোর্টেও দুটি সন্তান দেখা যায়। পরে তিনি নিজেই লিজাকে সিজারিয়ান অপারেশন করেন। এর কিছুক্ষণ পর হাসপাতালের লোকজন এসে জানান, আমার স্ত্রী একটি কন্যাসন্তান জন্ম দিয়েছেন। আর কোনো সন্তানের কথা তারা জানাতে পারেননি। নবীনগরে আলট্রাসনোগ্রাফিতে দুটি সন্তানের কথা জানিয়েছে। এখানে তাদের চিকিৎসকও দুটি সন্তানের কথা জানান। তাহলে আমার আরেক সন্তান গেলো কোথায়?এ বিষয়ে খ্রিষ্টিয়ান মেমোরিয়াল হাসপাতালের ডাঃ ইসরাত আহমেদ ও ডাঃ নওরিন পারভেজ বলেন, ‘আলট্রাসনোগ্রাফিতে যমজ শিশু দেখা যায় এবং সে অনুযায়ী রিপোর্ট দিয়েছি।আমাদের দেখা এবং অনুমানে ভুল হতে পারে। তবে খুব কম সময় এমন হয়। যমজ শিশুর পরিবর্তে সিজারিয়ানে তার গর্ভে একটি সন্তান পাওয়া গেছে।এবিষয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সিভিল সার্জন ডাঃ মোহাম্মদ একরাম উল্লাহ বলেন, ‘আমি অবগত হয়েছি। দূর থেকে কিছু বলা কঠিন। না জেনে ব্যাখ্যা দেওয়া যাবে না।এটা কমনসেন্সের বিষয়না, সরেজমিনে এনালাইসিস করতে হবে। ভুক্তভোগী আমাকে বিষয়টি জানিয়েছে। লিখিত অভিযোগ পেলে আমরা তদন্ত করে ব্যবস্থা নেব।এবিষয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ এনরানুল ইসলাম বলেন, ‘এবিষয়ে অভিযোগ আছে, মামলা হবে। মেডিকেল রিপোর্টে আসছে টুইন বেবি। তদন্ত শেষ না হলে পুরোপুরি বলা যাচ্ছেনা। অভিযোগের প্রেক্ষিতে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
জুয়েল মিয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ (সদর- বিজয়নগর) আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ও বর্তমান সংসদ সদস্য র. আ. ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী বলেছেন,‘বাজারে দুধও পাওয়া যায় মদও পাওয়া যায়। আপনাদের ওপর ছেড়ে দিলাম আপনারা কোনটা নিবেন। আমার পরামর্শ থাকবে আপনারা দুধ কিনবেন।’ মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) সকাল পৌনে ১০টায় জেলার বিজয়নগর উপজেলার সিঙ্গারবিল বাজারে নির্বাচনী পথসভায় র. আ. ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এসব কথা বলেন। তিনি আরও বলেন, আমি ১৩ বছরে কি করতে পেরেছি সেটা আপনারা জানেন। ভোটের বেলায় বিষয়টি আপনারা বিবেচনা করবেন। এ সময় মোকতাদির চৌধুরীর সঙ্গে জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি সাবেক মো. হেলাল উদ্দিন, বিজয়নগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জহিরুল ইসলাম, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নাসিমা মুকাই আলী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।উল্লেখ্য,স্বতন্ত্র প্রার্থী ফিরোজুর রহমানের ঢাকায় একাধিক মদের বার রয়েছে। মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার আগে ফেসবুক লাইভে মদ ব্যবসাকে হালাল বলে উল্লেখ করেন তিনি। এই আসনটিতে মোকতাদির চৌধুরীর শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বি ধরা হচ্ছে স্বতন্ত্র প্রার্থী ফিরোজুর রহমান ওলিওকে। সম্প্রতি মদ ব্যববসাকে হালাল আখ্যা দিয়ে ব্যাপক সমালোচিত হন ফিরোজুর রহমান। এ অবস্থায় আনুষ্ঠানিক প্রচারণা শুরু করেই ‘মদ নাকি দুধ কিনবেন’- সে সিদ্ধান্ত ভোটারদের ওপর ছেড়ে দিয়েছেন মোকতাদির চৌধুরী।
লোকজন চুরির অভিযোগ এনে তাকে গণপিটুনি দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। এ সময় সুজন (২৪) নামে আরেক যুবককে পিটিয়ে আহত করা হয়। তাকে চিকিৎসার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান তার স্বজনেরা।
নিহত বজলু চুন্টা ইউনিয়নের লোপাড়া গ্রামের আলী আফজলের ছেলে এবং সুজন একই গ্রামের শফিকুল ইসলামের ছেলে।
সোমবার (৪ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত ১টায় উপজেলার চুন্টা ইউনিয়নের লোপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
মঙ্গলবার (৫ সেপ্টেম্বর) সকালে বজলুর মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ এমরানুল ইসলাম।
তিনি জানান, চোর সন্দেহে বজলু নামের এক যুবককে পিটিয়ে মেরে ফেলেছে এলাকার লোকজন। আরেকজনকে আহত করেছে। বজলুর লাশ উদ্ধার করে আজ সকালে ময়না তদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
রবিবার (৩ সেপ্টেম্বর) রাতে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রবিউল হোসেন রুবেল ও সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসেন শোভন স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, সংগঠনের নীতি ও আদর্শ পরিপন্থি কার্যকলাপে লিপ্ত থাকার অভিযোগ উঠায় বিপ্লবকে সাময়িক অব্যাহতি দেওয়া হলো। এছাড়া তাকে কেন সংগঠন থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করার জন্য কেন্দ্রে সুপারিশ করা হবে না, আগামী ৭ কার্যদিবসের মধ্যে দফতর সেলে সশরীরে উপস্থিত হয়ে জবাব দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, বুধবার (৩০ আগস্ট) সন্ধ্যায় জেলা শহরের মৌলভীপাড়ায় বিএস ফিটনেস ক্লাবে গোপনে আপত্তিকর ভিডিও ধারণের প্রতিবাদ করায় আটকে রেখে গৃহবধূসহ দুজনকে মারধর করার অভিযোগে ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ জিমের পরিচালক জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি হাবিবুল্লাহ ভূঁইয়া বিপ্লব, জিমের ফিটনেস ট্রেইনার মিতু আক্তার ও সাইমকে গ্রেফতার করে। ঘটনার দিন রাতেই ওই গৃহবধূর ভাসুর ব্রাহ্মণবাড়িয়া আদালতের এপিপি মাসুদুর রহমান (সোহাগ) গ্রেফতার তিনজনসহ ৪ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ৮/৯ জনকে আসামি করে সদর মডেল থানায় মামলা দায়ের করেছেন। বর্তমানে তারা কারাগারে রয়েছেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রবিউল হোসেন রুবেল বলেন, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের আদর্শপরিপন্থি কার্যকলাপের অভিযোগ পাওয়ায় জেলা ছাত্রলীগের এক জরুরি সভায় বিপ্লবকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে।
এছাড়া ব্যক্তির দায়, দল বা সংগঠন নেবে না উল্লেখ করে স্থায়ী বহিষ্কারের জন্য বিপ্লবকে শোকজ করা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।