স্বত্ব © 2025 দৈনিক পত্রিকা |
সম্পাদক ও প্রকাশক: উবায়দুর রহমান, ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: মোঃ জুয়েল মিয়া প্রতিষ্ঠাতা: পি বা লিজন।সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয়- পাইকপাড়া,লোকনাথ দিঘীর পাড়,পৌর কমিউনিটি সেন্টার ২য় তলা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া।দৈনিক পত্রিকা অনলাইন নিউজ পোর্টাল। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের কর্তৃক নিবন্ধনের জন্য প্রক্রিয়া দিন।newsdainikpatrika@gmail.com মোবাইল নাম্বার 01751406352,01715958768
রবিবার (৩ সেপ্টেম্বর) রাতে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রবিউল হোসেন রুবেল ও সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসেন শোভন স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, সংগঠনের নীতি ও আদর্শ পরিপন্থি কার্যকলাপে লিপ্ত থাকার অভিযোগ উঠায় বিপ্লবকে সাময়িক অব্যাহতি দেওয়া হলো। এছাড়া তাকে কেন সংগঠন থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করার জন্য কেন্দ্রে সুপারিশ করা হবে না, আগামী ৭ কার্যদিবসের মধ্যে দফতর সেলে সশরীরে উপস্থিত হয়ে জবাব দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, বুধবার (৩০ আগস্ট) সন্ধ্যায় জেলা শহরের মৌলভীপাড়ায় বিএস ফিটনেস ক্লাবে গোপনে আপত্তিকর ভিডিও ধারণের প্রতিবাদ করায় আটকে রেখে গৃহবধূসহ দুজনকে মারধর করার অভিযোগে ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ জিমের পরিচালক জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি হাবিবুল্লাহ ভূঁইয়া বিপ্লব, জিমের ফিটনেস ট্রেইনার মিতু আক্তার ও সাইমকে গ্রেফতার করে। ঘটনার দিন রাতেই ওই গৃহবধূর ভাসুর ব্রাহ্মণবাড়িয়া আদালতের এপিপি মাসুদুর রহমান (সোহাগ) গ্রেফতার তিনজনসহ ৪ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ৮/৯ জনকে আসামি করে সদর মডেল থানায় মামলা দায়ের করেছেন। বর্তমানে তারা কারাগারে রয়েছেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রবিউল হোসেন রুবেল বলেন, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের আদর্শপরিপন্থি কার্যকলাপের অভিযোগ পাওয়ায় জেলা ছাত্রলীগের এক জরুরি সভায় বিপ্লবকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে।
এছাড়া ব্যক্তির দায়, দল বা সংগঠন নেবে না উল্লেখ করে স্থায়ী বহিষ্কারের জন্য বিপ্লবকে শোকজ করা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
এই ঘটনা রাতে ওই গৃহবধূর ভাসুর ব্রাহ্মণবাড়িয়া আদালতের এপিপি মাসুদুর রহমান (সোহাগ) গ্রেপ্তারকৃত তিনজন সহ ৪জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ৮/৯জনকে আসামী করে সদর মডেল থানায় মামলা দায়ের করেছেন। রাতে মামলা নথিভুক্ত করার পর ওই মামলায় তাদেরকে গ্রেপ্তার দেখিয়েছে পুলিশ।
নিজস্ব প্রতিবেদক
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভুল চিকিৎসায় শাহিদা আক্তার খুকি (২৩) নামের এক প্রসূতি মা ও তার নবজাতক শিশুর মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে।শুক্রবার (৫ মে) বেলা সাড়ে ১২টার দিকে আখাউড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নর্মাল ডেলিভারির সময় এ ঘটনা ঘটে। এর আগে সকালের দিকে প্রসূতির প্রসব ব্যথা হলে নরমাল ডেলিভারির জন্য আখাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ ভর্তি করানো হয়।চিকিৎসকের অবহেলায় নবজাতকসহ মায়ের মৃত্যু হয়েছে বলে নিহত প্রসূতি পরিবারের স্বজনেরা এই অভিযোগ করেন। ঘটনাটি টক অব দ্যা টাউনে পরিণত হয়েছে। নিহত প্রসূতি পৌরসভা মসজিদপাড়ার বাদিন্দা ও কসবা উপজেলার ধর্জয়নগর এলাকার কুয়েত প্রবাসী শাহীন মিয়ার স্ত্রী।নিহতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, বেলা সাড়ে ১২টার দিকে মিডওয়াইফ আমেনা আক্তার সুমনার মাধ্যমে একটি ছেলে সন্তানের জন্ম হয়। নবজাতক জন্মের পর প্রচুর ব্লিডিং হয় এবং ব্লিডিং বন্ধ না হওয়ায় ও নবজাতকের শ্বাস প্রশ্বাসে কষ্ট হওয়ায় কর্তব্যরত মেডিক্যাল অফিসার গোলাম মোস্তাফা উন্নত চিকিৎসার জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে রেফার করেন। পরে আত্মীয়-স্বজন প্রসূতি ও নবজাতক শিশুটিকে সদর হাসপাতাল না নিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া নবজাতক হাসপাতালে নিয়ে যান। নবজাতক হাসপাতালের কর্তব্যরত ডাক্তার হাসপাতালে ভর্তির পূর্বেই প্রসূতিকে দেখেই মৃত্যুবরণ করেছে বলে জানান। পরবর্তীতে তাদেরকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে যান। সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত ডাক্তার তাদেরকে দুপুর একটার দিকে মৃত ঘোষণা করেন।নিহতের বোন মাহমুদা বেগম জানান, ডাক্তার ও চিকিৎসকের অবহেলার কারণে আমার বোন ও বাচ্চার মৃত্যু হয়েছে। আমরা তাদের বিচার চাই।আখাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার মো. হিমেল খান জানান, আমি চিকিৎসকের সাথে কথা বলে জেনেছি রোগীর অবস্থা ভালোই ছিলো এবং আমরা স্ববাবিক ভাবেই নরমাল ডেলিভারি করেছি এক পর্যায়ে তার ব্লেডিং শুরু হলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় রেফার করা হয়।চিকিৎসকের অবহেলায় মারা যায়নি বলে অস্বিকার করে বলেন, তাদেরকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সদরে রেফার করেছি কিন্তু তারা প্রাইভেট একটি হাসপাতালে ভর্তি নেন। তারপরও চিকিৎসকের যদি কোন ভুল থাকে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
নিজস্ব প্রতিবেদক
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসক ( ডিসি) মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান বলেন,‘বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে হলে আমাদের সবাইকে মহান স্বাধীনতার চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে দুর্নীতিমুক্ত সুখী ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তোলায় আত্মনিয়োগ করতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে পৌঁছে দিতে হবে প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা নতুন প্রজন্মের মধ্যে ছড়িয়ে দেওয়ার জন্যই আমাদের এই প্রয়াস। জয় বাংলা, বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।’ সকাল ৯ টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া নিয়াজ মুহাম্মদ স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হয় বর্ণাঢ্য কুচকাওয়াজের আগে সাংবাদিকদের সাথে তিনি এসব কথা বলেন।ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সম্পর্কে জেলা প্রশাসক বলেন, ‘ রেমিট্যান্স অর্জনে এই জেলা বিশেষ সাফল্য অর্জন করেছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শতভাগ বিদ্যুতায়িত জেলা হিসেবে ঘোষিত হয়েছে। আশ্রয়ন প্রকল্পের প্রথম থেকে পঞ্চম পর্যায় বাস্তবায়নের মাধ্যমে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ছয় হাজার একশত ৪২ টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে দুই শতক জমির মালিকানাসহ ঘর প্রদান করা হয়েছে।’স্বাধীনতার চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে ভবিষ্যতের বাংলাদেশ বিনির্মাণ করবেন বলে জানান ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন।ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসন কর্তৃক আয়োজিত কুচকাওয়াজে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন। পরে পরিবেশন করা হয় বর্ণাঢ্য ডিসপ্লে। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ঐতিহ্যবাহী পুতুলনাচসহ ইতিহাস ঐতিহ্য ও মহান স্বাধীনতার দৃশ্য তুলে ধরা হয় ডিসপ্লেতে। বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা এতে অংশগ্রহণ করেন। এর আগে প্রথম প্রহরে জেলা প্রশাসনের পক্ষে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান, পুলিশের পক্ষ থেকে পুলিশ সুপার মুহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন, জেলা আওয়ামী লীগের পক্ষে দলের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবুল বারী চৌধুরী মন্টু, পৌরসভার পক্ষে পৌর মেয়র নায়ার কবীর স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। পরে একে একে সর্বস্তরের মানুষের জন্য স্মৃতিসৌধটি উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়।
জুয়েল মিয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ সার কারখানায় অনতি বিলম্বে গ্যাস সরবরাহের দাবিতে শ্রমিক-কর্মচারীরা মানববন্ধন করেছেন । রোববার (২৩ জুলাই) সকালে এএফসিসিএল শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের আয়োজনে কারখানার প্রধান ফটকের সামনে এ কর্মসূচী পালিত হয়। আশুগঞ্জ সার কারখানা শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি বাবুল মিয়ার সভাপতিত্বে মানববন্ধনে শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের সিনিয়র সহ-সভাপতি তৈমুর রহমান, সাবেক সভাপতি সোহরাব হোসেন, সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি জাহিদুর রহমান প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, উৎপাদন চালু থাকলে আশুগঞ্জ সার কারখানা থেকে প্রতিদিন ১ হাজার ২০০ মেট্রিক টন ইউরিয়া সার উৎপাদন করা হয়। এই সার ব্রাহ্মণবাড়িয়া, কিশোরগঞ্জ, হবিগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ করা হয়। তারা আরও বলেন,একটি ইঞ্জিন দীর্ঘদিন চলার পর যখন কার্যক্ষমতা হ্রাস পেতে থাকে তখন যন্ত্রাংশ খুলে পরিষ্কার, মেরামত ও পরিবর্তন করে পুনঃসংযোগ করাকে ওভারহলিং বলে। গত ১ মার্চ থেকে ওভারহলিংয়ের জন্য আশুগঞ্জ সার কারখানায় দুই মাস উৎপাদন বন্ধ রাখা হয়। ওভারহলিং শেষে মে মাস থেকে কারখানা চালু করতে চাইলে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ রাখে বিসিআইসি কর্তৃপক্ষ। তাই প্রায় পাঁচ মাস ধরে কারখানার উৎপাদন বন্ধ থাকায় যন্ত্রাংশ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। দ্রুত গ্যাস সরবরাহ না করা গেলে কারখানাটি পুনরায় চালু রাখা সম্ভব হবে না। তাই কারখানা বাঁচাতে শ্রমিক-কর্মচারীরা আন্দোলনে নেমেছেন এবং তিন দিনব্যাপী কর্মসূচি গ্রহণ করেছেন। কর্মসূচির মধ্যে ২৪ জুলাই ও ২৫ জুলাই কারখানায় গেটে বিক্ষোভ মিছিল করা হবে। তিনদিনের মধ্যে গ্যাস সরবরাহ না করা হলে কঠোর আন্দোলনেরও হুঁশিয়ারি দেন তারা।