স্বত্ব © 2025 দৈনিক পত্রিকা |
সম্পাদক ও প্রকাশক: উবায়দুর রহমান, ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: মোঃ জুয়েল মিয়া প্রতিষ্ঠাতা: পি বা লিজন।সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয়- পাইকপাড়া,লোকনাথ দিঘীর পাড়,পৌর কমিউনিটি সেন্টার ২য় তলা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া।দৈনিক পত্রিকা অনলাইন নিউজ পোর্টাল। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের কর্তৃক নিবন্ধনের জন্য প্রক্রিয়া দিন।newsdainikpatrika@gmail.com মোবাইল নাম্বার 01751406352,01715958768
৩০ আগষ্ট অ্যাডিডাস ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে একাউন্টে অর্থ পায়। প্রবাসী সাংবাদিক সজীব নিজেই এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
জানা গেছে, নির্যাতিত সাংবাদিক সজীব হোসাইনের আশ্রয়ের আবেদন প্রত্যাখ্যান করায় ক্ষতিপূরণ হিসেবে ৫ হাজার ইউরো প্রদান করেছে মাল্টা সরকার। গত ২০ ডিসেম্বর এ নির্দেশ দিয়েছেন ইউরোপীয় মানবাধিকার আদালত (ইসিএইচআর)।
সজীব হোসাইন দুবাই মিশন ঘুরে লিভিয়া হয়ে ২০১৯ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর মাল্টায় এসে পৌঁছান। সেখানে সে আশ্রয়ের আবেদন করেন সাংবাদিক হিসেবে। ওই সময় তার আবেদন গ্রহণ না করে মাল্টা ডিন্টেশন সেন্টারে ২২ মাস আটকে রাখে তার সঙ্গে থাকা মরক্কো, মিশর, বাংলাদেশিসহ বিভিন্ন দেশের অভিবাসীকে নিজ নিজ দেশে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
এদিকে ডিন্টেশন সেন্টারে প্রায় ১৯০জন বাংলাদেশি নাগরিকের মধ্যে ২০২১ সালের ১৯ আগষ্ট বৃহস্পতিবার সকালে এনজিও প্রতিষ্ঠান অ্যাডিডাস ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায় ইউরোপীয় মানবাধিকার আদালত থেকে ডক্টর অ্যালেক্সিস গাল্যান্ড ও ডক্টর ক্লেয়ার ডেলমের সর্বোচ্চ চেষ্টায় সুরক্ষা পায় সে।
ইউরোপিয়ান মানবাধিকার আদালতে সজীব হোসাইনের প্রতিনিধিত্ব করেন ডক্টর এন.ফলজন আর সরকারের পক্ষে প্রতিনিধিত্ব করেছেন ড. সি.সোলার ও ড. জে.ভেলা।
ইসিএইচআরের রায়ে বলা হয়, যথাযথ বিচারিক পর্যালোচনার মধ্য দিয়ে আগামী ৩ মাসের মধ্যে তাকে ৫ হাজার ইউরো ক্ষতি পূরণ প্রদানে মাল্টা সরকারকে নির্দেশ দেন।
এ প্রসঙ্গে সজীব বলেন, আমি প্রথমে ধন্যবাদ জানাচ্ছি অ্যাডিডাস ফাউন্ডেশনের সকল আইনজীবীদের।। কারণ তারা যদি আমাকে আইনী সহযোগিতা না করত তাহলে অন্যদের মত আমাকেও আজ বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হত। তাদের ঋণ আমি কোন দিন শোধ করতে পারব না। আজকের এই খুশির দিনে আমার পরিবারের পরে সবচেয়ে বেশি ধন্যবাদ জানাচ্ছি আমার মামাদের। তারা প্রতি মুহূর্ত আমাকে সহযোগিতা করেছেন।
ইউক্রেনের হামলায় ক্রিমিয়া সেতু ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
একজন রুশ কর্মকর্তা বৃহস্পতিবার এই কথা জানিয়েছেন। এই সেতু ইউক্রেনের দক্ষিণাঞ্চলের ক্রিমিয়া উপদ্বীপকে সংযুক্ত করেছে। যার আংশিক রাশিয়ার দখলে রয়েছে। ক্রিমিয়ায় রাশিয়ার নিয়োগকৃত গভর্ণর সার্গেই আকসিনভ টেলিগ্রামে বলেছেন, রাতে সেতুতে হামলা চালানো হয়েছে। তবে কেউ হতাহত হয়নি। ইউক্রেনের খেরসন অঞ্চলে অবস্থিত ক্রিমিয়া ২০১৪ সালে রাশিয়া দখল করে।
সূত্রঃ বাসস
সরকারি সুবিধা ও পৃষ্ঠপোষকতায় ছাড়মূল্যে রাশিয়া থেকে কেনা তেল শোধন করে বেশি দামে বিক্রি করছে ভারতীয় দুই সংস্থা। সংবাদমাধ্যমের খবর উদ্ধৃত করে এ দাবি করছেন রাজ্যসভার সদস্য ও সাবেক আইএএস কর্মকর্তা জহর সরকার। বিষয়টি নিয়ে জানতে চেয়ে পেট্রোলিয়াম এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে চিঠিও লিখেছেন তিনি। তবে এখনো চিঠির জবাব পাননি। রাশিয়ার অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের বড় ক্রেতা এখন ভারত। আট দিন আগে সংবাদমাধ্যম ইটি নাও জানায়, ভারত এখন ইউরোপে সবচেয়ে বেশি পরিশোধিত তেল রপ্তানি করছে। এর মধ্য দিয়ে সৌদি আরবকে পেছনে ফেলেছে ভারত। কেপলারের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ভারত প্রতিদিন ৩ লাখ ৬০ হাজার ব্যারেল পরিশোধিত তেল ইউরোপে রপ্তানি করবে। এটা ইইউর জন্য নিঃসন্দেহে ভালো খবর। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের আগে ইইউ দিনে ভারত থেকে ১ লাখ ৫৪ হাজার ব্যারেল পরিশোধিত তেল নিত। সেটা এখন দুই লাখ ব্যারেল বাড়ছে। নিষেধাজ্ঞার কারণে রাশিয়া থেকে সরাসরি তেল কেনা নিয়ে ইইউর দেশগুলো অসুবিধায় পড়েছে। ভারত থেকে বাড়তি তেল পাওয়ায় এ অসুবিধা অনেকটাই দূর হবে।ভারতের রাজ্যসভার সংসদ সদস্য ও সাবেক আইএএস কর্মকর্তা জহর সরকার পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করকে চিঠি লিখে বলেছেন, ‘দ্য ওয়্যারে ৪ মে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, মুম্বাইয়ের একটি রহস্যময় সংস্থা প্রচুর পরিমাণে তেল রাশিয়া থেকে আমদানি করছে। এদিকে এফটি ডটকম বলছে, মুম্বাইয়ের গ্যাটিক শিপ ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি গত বছর ৫৪টি তেল ট্যাংকার কেনে। রাশিয়া থেকে যে ৮ হাজার ৩০০ লাখ ব্যারেল তেল ভারতে এসেছে, তার অর্ধেকই এনেছে এই সংস্থা। চিঠিতে জহর সরকার লিখেছেন, ‘এক বছরের মধ্যে কী করে এই সংস্থার বাণিজ্য রকেটের গতিতে বাড়ল, সেটা এক রহস্য।’ তাঁর কথা, ‘ভারত ও রাশিয়াকে কেন্দ্র করে এ বিপুল বাণিজ্য সরকারি সাহায্য ও পৃষ্ঠপোষকতা ছাড়া সম্ভব নয়। চিঠিতে এসব প্রশ্ন তুলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করকে জহর সরকার লিখেছেন, ‘বিষয়টি নিয়ে আপনার মন্তব্যের জন্য অপেক্ষা করছি। সেই সঙ্গে অপেক্ষা করছি রহস্যময় সুবিধা পাওয়া এ সংস্থার পরিচয় সরকার কবে জানায়, তার জন্যও। সোমবার ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের খবরে বলা হয়, ২০২২ সালের মার্চ থেকে ৬১টি তেলের পুরোনো ট্যাংকার কেনে গ্যাটিক শিপ ম্যানেজমেন্ট। লন্ডনের মেরিটাইম মার্কেট ইন্টেলিজেন্স ফার্ম ভেসেলস ভ্যালুর কাছ থেকে পাওয়া তথ্য উদ্ধৃত করে প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়া ইউক্রেনে হামলা করার পর থেকে তারা এসব ট্যাংকার কেনে।জহর সরকার পেট্রোলিয়ামমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে চিঠি লিখে আরেকটি বিষয় জানতে চেয়েছেন। চিঠিতে পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে লিখেছেন, ‘গুজরাটের দুটি শোধনাগার রাশিয়া থেকে তেল কিনে শোধন করার পর তা বিক্রি করে বিপুল মুনাফা করছে।’ কারা এই ব্যবসায়ী-শিল্পপতি, যাঁরা রাশিয়ার তেল বিক্রি করে লাভবান হচ্ছে প্রশ্ন তুলে তিনি বলেছেন এক মাসেও উত্তর মেলেনি। আপনি ক্ষুরধার জবাব ও প্রতিক্রিয়া দেওয়ার জন্য বিখ্যাত। আশা করি, আপনি আমার এ প্রশ্নের জবাব দেবেন।
সূত্র,প্রথম আলো
নিজস্ব প্রতিবেদক
সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কের দক্ষিণে একটি শিয়া মাজারের কাছে বোমা বিস্ফোরণে ছয়জন নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া আহত হয়েছেন ২০ জনেরও বেশি। পবিত্র আশুরার ঠিক একদিন আগে এমন ঘটনা ঘটলো। বৃহস্পতিবার (২৭ জুলাই) দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বরাতে এসব তথ্য জানায় কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা।দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সিরিয়ার সবচেয়ে জনপ্রিয় শিয়া তীর্থস্থান সাইয়েদা জেইনাবের মাজার। বৃহস্পতিবার ওই মাজারের কাছাকাছি একটি ট্যাক্সিতে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে পাশের একটি মোটরসাইকেলও বিস্ফোরিত হয়।লন্ডনভিত্তিক তদারক সংস্থা সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস জানিয়েছে, সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের প্রধান মিত্র ইরানি মিলিশিয়ারা যেখানে অবস্থান করছিল তার খুব কাছাকাছি বিস্ফোরণ হয়েছে।দেশটির রাষ্ট্রীয় টিভি চ্যানেল জানিয়েছে, অজ্ঞাত কিছু ব্যক্তি ট্যাক্সিতের বোমা রেখেছিল বলে এই বিস্ফোরণ ঘটে। এটিকে ‘সন্ত্রাসী বোমা হামলা’ বলে অভিহিত করা হয়েছে।বার্তা সংস্থা এএফপি নিউজ এজেন্সিকে ইব্রাহিম (৩৯) নামের এক সরকারি কর্মচারী বলেন, আমরা হঠাৎ করে একটি বিকট বিস্ফোরণের শব্দ শুনতে পাই। এর পরপরই লোকজন ওই এলাকা থেকে দৌঁড়ে পালাতে শুরু করেন। এরপর ঘটনাস্থলে অ্যাম্বুলেন্স আসে ও নিরাপত্তারক্ষীরা চারদিক ঘিরে ফেলেন।ইব্রাহিম আরও বলেন, মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর নাতনি ও ইমাম আলীর কন্যা সাইদা জেইনাবের মাজার থেকে প্রায় ৬০০ মিটার দূরে একটি নিরাপত্তা ভবনের কাছে বিস্ফোরণ ঘটে।সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় টিভি চ্যানেল আল-ইখবারিয়া ও সরকারপন্থী গণমাধ্যমগুলোর শেয়ার করা একাধিক ছবিতে দেখা যায়, বিস্ফোরিত ট্যাক্সিটিকে ঘিরে রয়েছেন সামরিক বাহিনীর সদস্যসহ সাধারণ মানুষরা। আশেপাশের ভবনগুলোতে আশুরার সবুজ, লাল ও কালো রঙের পতাকা-ব্যানার টাঙানো।সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে দেখা যায়, ঘটনাস্থলে উপস্থিত লোকজন রক্ত ও ধুলোয় আচ্ছন্ন দুই ব্যক্তিকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য সাহায্য চাইছেন। আশেপাশের দোকানগুলোর কাচের দেওয়াল ভেঙে চুরমার হয়ে গেছে ও একটি দোকানে আগুন লেগে গেছে।আশুরা হলো মহররম মাসের ১০ম দিন, যা শিয়া সম্প্রদায়ের জন্য সবচেয়ে পবিত্র মাসগুলির মধ্যে একটি। সপ্তম শতাব্দীর এ দিনেই বর্তমান ইরাকের কারবালা যুদ্ধে নবী মুহাম্মদ (সা.) এর নাতি ইমাম হুসাইন ও তার ৭২ জন সঙ্গী শাহাদাত বরণ করেন। আশুরায় শিয়া সম্প্রদায়ের লোকজন শোক মিছিল করে থাকেন।
সূত্র: আল জাজিরা
হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সরস্বতী পূজা ও সাপ্তাহিক ছুটির কারণে আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে পূর্বোত্তর ভারতের সঙ্গে বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার দুদিন আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। তবে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য বন্ধ থাকলেও কাস্টমস, বন্দরের দাপ্তরিক কার্যক্রম এবং আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে পাসপোর্টধারী যাত্রীদের যাতায়াত স্বাভাবিক রয়েছে। আখাউড়া স্থলবন্দর আমদানি-রপ্তানিকারক অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের আগরতলা স্থলবন্দরের ব্যবসায়ী সংগঠন ‘ইন্দো-বাংলা এক্সপোর্টার-ইমপোর্টার কমিউনিকেশন সেন্টার’র সাধারণ সম্পাদক শিব শংকর দেবের বরাত দিয়ে ওই ব্যবসায়ী নেতা জানান, আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধের বিষয়টি বাংলাদেশের আখাউড়া স্থলবন্দরের ব্যবসায়ী নেতাদের আগেই জানানো হয়।
তিনি বলেন, হিন্দু সম্প্রদায়ের সরস্বতী পূজা উপলক্ষ্যে সকাল থেকে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য বন্ধ রয়েছে। সাপ্তাহিক ছুটির কারণে আগামীকাল শুক্রবারও পূর্বোত্তর ভারতের সঙ্গে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ থাকবে।
শনিবার সকালে ত্রিপুরায় মাছ রপ্তানির মধ্য দিয়ে ফের আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য কার্যক্রম শুরু হবে।
আখাউড়া আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশন ইনচার্জ স্বপন কুমার দাস জানান, আমদানি বন্ধ থাকলেও ওই দুদিন বন্দর দিয়ে যাত্রী পারাপার স্বাভাবিক থাকবে।
শুভজিৎ পুততুন্ড, কলকাতা
মালদার তার চাচোলের বাসিন্দা ২২ বছর বয়সি সিমরান পারভীন বলেন, ‘ওখানকার পরিস্থিতি, পরিবেশ এখনও ভয়াবহ। স্টুডেন্টদের জন্য ওখানকার লোকালিটির জন্য ভয়াবহ ক্ষতি হয়ে গেল। আমাদের সর্বভারতীয় স্তরে সব পরীক্ষা বাতিল করে দেওয়া হয়েছে। পানি নেই, খাবার নেই। এমন হয়েছে তিন দিন একটানা পানি আসেনি, যতটুকু ছিল তার মধ্যেই আমাদের থাকতে হয়েছে। শপিং মল বোমা মেরে উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার পর থেকে বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ করে দেওয়া হতো। পরিবেশের মারাত্মকভাবে ক্ষতি হচ্ছে, আমরা নিজের চোখে দেখেছি কিভাবে গোটা পাহাড়ের জঙ্গল একসঙ্গে জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে। এখন জানি না কবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে, আবার কবে ফিরতে পারব। ছাত্র-ছাত্রীদের পাশাপাশি উৎকণ্ঠায় ছিলেন অভিভাবকরাও। আটকেপড়া ছাত্রী দিশারী বিশ্বাসের বাবা মৃদুল বিশ্বাস ও মা দোলা বিশ্বাস বলেন, দিনে ১৮ থেকে ২০ বার আমরা ফোনে যোগাযোগ করতাম। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরের আমলাদের ক্রমাগত ফোন করেছিলাম মেয়েকে ফিরিয়ে আনার জন্য। শুরুতে আমরা আতঙ্কে ছিলাম। তবে ভয় পেয়ে বসে থাকলে চলবে না, মেয়েকে মনে সাহস যুগিয়েছিলাম। এদিকে ফোনে মনে পড়ে আটকে থাকা কলকাতার চিকিৎসক আহেলি বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘এখনও দলাই লামা আর্মি ক্যাম্পে আটকে আছি। আমার মতো সাড়ে তিন হাজার মানুষ এখনও আটকে আছে। গতকাল থেকে বোমা-গুলির শব্দ শোনা না গেল বাইরে বেরনোর মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়নি। সব থেকে খারাপ অবস্থা রাজধানী ইম্ফলের। আর্মিও এসকর্ট করে আমাদের গাড়ি বিমানবন্দর পর্যন্ত পৌঁছে দেওয়ার রিস্ক নিতে চাইছে না।’
চিকিৎসক আহেলি বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন মেঘালয়, নাগাল্যান্ড রাজ্য তাদের লোকজনকে এই পরিস্থিতির মধ্যেও নিয়ে গিয়েছে। কেরালা আজ তাদের সব লোককে বিশেষ উড়োজাহাজে করে নিয়ে যাবে। মিজোরাম ত্রিপুরার লোকজনকে গতকাল রাত থেকে ওদের রাজ্য সরকার উদ্ধার করছে। আমরা তামিলনাড়ু, রাজস্থান ও পশ্চিমবঙ্গের অনেকেই এখনও মণিপুরীদের সঙ্গেই আটকে আছি। কলকাতা নিয়ন্ত্রণ কক্ষের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করছি কিন্তু এখনও যোগাযোগ করতে পারিনি। মণিপুর রাজ্য সরকার এতটাই বিধ্বস্ত যে, ওদের পক্ষে সাহায্য করা আর সম্ভব নয়। গতকাল থেকেই খাবার-দাবারের সংকট শুরু হয়েছে। আমাদের সকালে খাবার দেওয়ার পর আর্মিদের থেকে বলে দেওয়া হলো দুপুরে কী খাবার দিতে পারব এখনও ঠিক নেই। এত মানুষের খাবার একসঙ্গে জোগাড় করা সত্যিই কঠিন। এতদিন ওরা টাউনে গিয়ে বন্ধ দোকানগুলোর শাটার ভেঙে যা খাবার পাচ্ছিল আমাদের জন্য নিয়ে আসছিল। এখন সেটুকুও জোগাড় করা যাচ্ছে না। ভারতের উত্তর-পূর্বের গুরুত্বপূর্ণ রাজ্য মণিপুরে সংখ্যাগরিষ্ঠ মেইতিদের তপশিলি জনজাতি গোষ্ঠীর মর্যাদার দাবি ঘিরে গত বুধবার (৩ এপ্রিল) রাত থেকেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে মণিপুর। রাজ্যটির বিভিন্ন এলাকায় দফায় দফায় উত্তেজনা দেখা দেয় মেইতেই, কুকি, নাগাসহ একাধিক জনগোষ্ঠীর মধ্যে। ১০ জেলায় ‘ট্রাইবাল সলিডারিটি মার্চ’ কর্মসূচির কারণে বিভিন্ন জায়গায় যুবকদের মধ্যে সংঘর্ষ চরম আকার ধারণ করে। পুড়িয়ে দেওয়া হয় হাজার হাজার ঘরবাড়ি, গাড়ি ও দোকান। মন্দির, গির্জায় অগ্নিকাণ্ডের অভিযোগ উঠেছে। পরিস্থিতি স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন ও আসাম রাইফেলসের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। এর পরেই মণিপুরের আইনশৃঙ্খলার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে রাজ্যটির ৮টি জেলায় ১৪৪ ধারা জারি করে রাজ্য প্রশাসন। গুজব প্রতিরোধে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয় । একইসঙ্গে বিক্ষোভকারীদের দেখামাত্রই গুলি করার নির্দেশও জারি করেছে মণিপুরের বিজেপি সরকার। সব মিলিয়ে এখনও পর্যন্ত ৫৪ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। বেসরকারি মতে মৃতের সংখ্যা ১০০ জনের বেশি। ভারতের সেনাবাহিনী বলছে, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য আসামের দুটি এয়ারফিল্ড থেকে লাগাতার কাজ করে যাচ্ছে ভারতীয় বায়ুসেনার সি১৭ গ্লোবমাস্টার এবং এএন৩২
সূত্র, সমকাল