স্বত্ব © 2024 দৈনিক পত্রিকা |
সম্পাদক ও প্রকাশক: উবায়দুর রহমান, ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: মোঃ জুয়েল মিয়া প্রতিষ্ঠাতা: পি বা লিজন।সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয়- পাইকপাড়া,লোকনাথ দিঘীর পাড়,পৌর কমিউনিটি সেন্টার ২য় তলা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া।দৈনিক পত্রিকা অনলাইন নিউজ পোর্টাল। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের কর্তৃক নিবন্ধনের জন্য প্রক্রিয়া দিন।newsdainikpatrika@gmail.com মোবাইল নাম্বার 01751406352,01715958768
এনিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন মামলার বাদি ব্রাহ্মণবাড়িয়া আদালতের এপিপি মাসুদুর রহমান (সোহাগ)। তিনি অভিযোগ করে বলেন, ঘটনাস্থলে যাওয়ার পর কোন উপায় না দেখে আমি ৯৯৯: এ কল দিলে পুলিশ আসে। পরে সেখান থেকে আসামীদের আটক করে নিয়ে যাওয়ার সময় আমি উপস্থিত পুলিশ সদস্যদের বলেছি, যেহেতু ঘটনার সূত্রপাত মোবাইলে ছবি-ভিডিও ধারণ করা নিয়ে তাই আসামীর মোবাইল জব্দ করুন। কিন্তু তারা আমার কথায় কর্ণপাত করেননি। শুধু বলছিলেন, সাথে কোন নারী পুলিশ সদস্য নেই। একটি মোবাইল জব্দ করতে নারী পুলিশ সদস্যের প্রয়োজন কি হয়! রাতে আমি থানায় লিখিত এজহারে বিস্তারিত উল্লেখ করে জমা দিয়েছি। সেখানে মোবাইলে ভিডিও ধারণের কথা বলা হয়েছে। সেই এজহারেই মামলাটি নথিভুক্ত করলেন। কিন্তু এফআইআরের প্রাথমিক তথ্য বিবরনীতে মোবাইলের ভিডিও ধারণের কোন বিষয় উল্লেখ নেই। আসামীদের বিরুদ্ধে শুধু মারধোর ও চুরির ধারা যুক্ত করে মামলাটি এফআইআর করা হয়েছে। আদালতে সেই বিষয়টি নজরে এসেছে।
এই বিষয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সদর মডেল থানার পরিদর্শক সুমন চন্দ্র বনিক বলেন, ‘মোবাইলটিতে কিছু খুঁজে পাওয়া যায়নি। তাই সেই ধারা যুক্ত করা হয়নি। তাই মোবাইলটি জব্দ করা হয়নি।’ মোবাইল থেকে তো কেটেও ফেলা যায়। লিখিত এজহারে যেহেতু মোবাইলে ভিডিও করার অভিযোগ আনা হয়েছে, সেই অনুযায়ী মোবাইলটি জব্দ হওয়ার কথা৷ তা ফরেনসিকে পাঠানোর কথা। এই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, মোবাইলটি আমাদের এক সদস্যের কাছে। তা প্রয়োজনে জব্দ করা হবে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া আদালতের পুলিশ পরিদর্শক কাজি দিদারুল আলম জানান, বৃহস্পতিবার এই ঘটনায় আদালতের মালখানার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বাদি হয়ে মামলা দায়ের করেছেন। মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সেই কর্মকর্তাকে বিকেলে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
সীমান্ত ঘেষা ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা থানা এলাকার সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি, অপরাধ দমনে চৌকস ভূমিকা, থানা এলাকায় মাদক উদ্ধার, গ্রেফতারি পরোয়ানা তামিল সহ যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ১ জন আসামীকে গ্রেফতার ও পৃথক পৃথক অভিযানে ৩৩০ কেজি গাঁজা উদ্ধার সহ মাদক নির্মূলে যুগান্তকারী ভূমিকা ও নেতৃত্ব প্রদান করায় এবং অক্টোবরসহ গত ২৩ মাসের কাজের মূল্যায়ন করে কাজের স্বীকৃতি স্বরূপ আবারও জেলার শ্রেষ্ঠ অফিসার ইনচার্জ হিসেবে মনোনীত হয়ে পুরস্কৃত হলেন কসবা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ মহিউদ্দিন পিপিএম। গত- ২৫/১১/২৩ ইং পুলিশ সুপার শাখাওয়াত হোসেনের সভাপতিত্বে পুলিশ সুপার কার্যালয়ে মাসিক কল্যাণ সভায় বাংলাদেশ পুলিশের আইজিপি চৌধুরী আল মামুন বিপিএম (বার) পিপিপি এম কর্তৃক পুরস্কার স্বরূপ শ্রেষ্ঠ অফিসার হিসেবে তার হাতে ৭৫,০০০/- হাজার টাকা অর্থ পুরস্কার ও বিশেষ পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়। কাজের মূল্যায়ন করে সভায় তার নাম ঘোষনা হলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন তার হাতে ঘোষিত পুরস্কার তুলে দেন। এসময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জয়নাল আবেদিন সহ পুলিশের আরও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। পুরস্কৃত হওয়ার ব্যাপারে মোহাম্মদ মহিউদ্দিন পিপিএম বলেন, ভালো কাজের স্বীকৃতি পেলে সবসময়ই ভালো লাগে। তখন কাজের প্রতি আরো বেশি স্পৃহা ও দায়িত্ববোধ বেড়ে যায়। বাংলাদেশ পুলিশের একজন কর্মকর্তা হিসেবে আমি আমার জায়গা থেকে আরো সচেষ্ট থেকে কাজ করার আশা পোষণ করছি। তিনি এ ব্যাপারে সবার সহযোগীতা কামনা করেন। উল্লেখ্য মোহাম্মদ মহিউদ্দিন পিপিএম আগেও একাধিকবার জেলার শ্রেষ্ঠ অফিসারসহ এই পুরস্কারে মনোনীত হয়ে পুরস্কৃত হয়েছিলেন।