স্বত্ব © 2024 দৈনিক পত্রিকা |
সম্পাদক ও প্রকাশক: উবায়দুর রহমান, ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: মোঃ জুয়েল মিয়া প্রতিষ্ঠাতা: পি বা লিজন।সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয়- পাইকপাড়া,লোকনাথ দিঘীর পাড়,পৌর কমিউনিটি সেন্টার ২য় তলা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া।দৈনিক পত্রিকা অনলাইন নিউজ পোর্টাল। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের কর্তৃক নিবন্ধনের জন্য প্রক্রিয়া দিন।newsdainikpatrika@gmail.com মোবাইল নাম্বার 01751406352,01715958768
এই ঘটনা রাতে ওই গৃহবধূর ভাসুর ব্রাহ্মণবাড়িয়া আদালতের এপিপি মাসুদুর রহমান (সোহাগ) গ্রেপ্তারকৃত তিনজন সহ ৪জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ৮/৯জনকে আসামী করে সদর মডেল থানায় মামলা দায়ের করেছেন। রাতে মামলা নথিভুক্ত করার পর ওই মামলায় তাদেরকে গ্রেপ্তার দেখিয়েছে পুলিশ।
জুয়েল মিয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ সার কারখানায় অনতি বিলম্বে গ্যাস সরবরাহের দাবিতে শ্রমিক-কর্মচারীরা মানববন্ধন করেছেন । রোববার (২৩ জুলাই) সকালে এএফসিসিএল শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের আয়োজনে কারখানার প্রধান ফটকের সামনে এ কর্মসূচী পালিত হয়। আশুগঞ্জ সার কারখানা শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি বাবুল মিয়ার সভাপতিত্বে মানববন্ধনে শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের সিনিয়র সহ-সভাপতি তৈমুর রহমান, সাবেক সভাপতি সোহরাব হোসেন, সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি জাহিদুর রহমান প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, উৎপাদন চালু থাকলে আশুগঞ্জ সার কারখানা থেকে প্রতিদিন ১ হাজার ২০০ মেট্রিক টন ইউরিয়া সার উৎপাদন করা হয়। এই সার ব্রাহ্মণবাড়িয়া, কিশোরগঞ্জ, হবিগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ করা হয়। তারা আরও বলেন,একটি ইঞ্জিন দীর্ঘদিন চলার পর যখন কার্যক্ষমতা হ্রাস পেতে থাকে তখন যন্ত্রাংশ খুলে পরিষ্কার, মেরামত ও পরিবর্তন করে পুনঃসংযোগ করাকে ওভারহলিং বলে। গত ১ মার্চ থেকে ওভারহলিংয়ের জন্য আশুগঞ্জ সার কারখানায় দুই মাস উৎপাদন বন্ধ রাখা হয়। ওভারহলিং শেষে মে মাস থেকে কারখানা চালু করতে চাইলে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ রাখে বিসিআইসি কর্তৃপক্ষ। তাই প্রায় পাঁচ মাস ধরে কারখানার উৎপাদন বন্ধ থাকায় যন্ত্রাংশ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। দ্রুত গ্যাস সরবরাহ না করা গেলে কারখানাটি পুনরায় চালু রাখা সম্ভব হবে না। তাই কারখানা বাঁচাতে শ্রমিক-কর্মচারীরা আন্দোলনে নেমেছেন এবং তিন দিনব্যাপী কর্মসূচি গ্রহণ করেছেন। কর্মসূচির মধ্যে ২৪ জুলাই ও ২৫ জুলাই কারখানায় গেটে বিক্ষোভ মিছিল করা হবে। তিনদিনের মধ্যে গ্যাস সরবরাহ না করা হলে কঠোর আন্দোলনেরও হুঁশিয়ারি দেন তারা।
সালমান হোসাইন
২৬ ফেব্রুয়ারি সোমবার সন্ধ্যা ৬ টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া শিমরাইলকান্দিস্থ চেতনায় স্বদেশ গণগ্রন্থাগারের উদ্যোগে অস্ট্রোলিয়ার প্রবাসী কথাসাহিত্যিক ইসহাক হাফিজের গল্পগ্রন্থ “নির্বাক জোছনা” বইয়ের পাঠ আলোচনা সভা অনুষ্টিত হয়।জনাব মনিরুল ইসলাম শ্রাবণের সঞ্চালনায়, চেতনায় স্বদেশ গণগ্রন্থাগারের সভাপতি কথাসাহিত্যিক জনাব আমির হোসেনের সভাপতিত্বে উক্ত পাঠ আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জনাব জয়দুল হোসেন, কবি ও গবেষক সভাপতি সাহিত্য একাডেমি ব্রাহ্মণবাড়িয়া।বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জনাব মোঃ মনির হোসেন(বাচিকশিল্পী) সাংগঠনিক সম্পাদক বাংলাদেশ আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদ। জনাব মোঃ সাইফুল ইসলাম লিমন, সহকারী পরিচালক জেলা সরকারি গ্রন্থাগার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া। অন্যান্য অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিমল ভৌমিক, প্রধান শিক্ষক গোকর্ণঘাট উচ্চ বিদ্যালয়,মোহাম্মদ হারুন- আল -রশিদ ভূঁইয়া, নির্বাহী সম্পাদক, ‘চেতনায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া, কবি মোঃ ইউনুছ সরকার, প্রমুখ। উক্ত আলোচনা৷ সভায় বক্তব্য রাখেন প্রধান অতিথি, বিশেষ অতিথি সহ অন্যান্য অতিথি গণ।বর্তমান গল্পগ্রন্থ” নির্বাক জোছনার “খানবিশেক গল্পে তিনি বয়ন করেছেন জীবনের এমন সব কথা ও কাহিনি, অতি সাধারণ জিনিসও তার কলমের জাদুস্পর্শে অসামান্য হয়ে উঠেছে। মধ্যবিত্ত,নিম্নবিত্ত, দারিদ্র মানুষের সুখ- দুঃখ ট্র্যাজেডি, সমাজ ও ধর্মের নামে অনাচার, মাদ্রাসাশিক্ষার নামে শিশুনির্যাতন ও ধর্মব্যাবসা, নিপিড়ীত শৈশব- কৈশোর, বাঙালির প্রবাসজীবনের দুঃখ-বেদনা – হতাশা, বিদেশীদের জীবনাচরণ, পারিবারিক জীবনের জটিলতা, কুটিলতা, স্বার্থপরতা, প্রেম ও প্রতারণা ইত্যাদি। জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত জীবনের বিস্মৃত ঘটনাবহুলতা ও খন্ড -অখণ্ড বাস্তবতা এর বহুকিছু তিনি তুলে আনেন হাস্যকরুণ ও মর্মস্পর্শী ভাষায় ব্রাহ্মণবাড়িযার কৃতি লেখক অস্ট্রোলিয়ার প্রবাসী কথাসাহিত্যিক ইসহাক হাফিজের নতুন গল্পগ্রন্থ “নির্বাক জোছনা” প্রকাশিত ১১তম গ্রন্থ।
আদিত্য কামাল
চলো যাই যুদ্ধে,মাদকের বিরুদ্ধে এই প্রতিপাদ্য শ্লোগানে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর থানা পুলিশ এক বিশেষ অভিযানে ১৮০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট সহ একজন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে।মোঃ আসাদুল ইসলাম, অফিসার ইনচার্জ এর নির্দেশনায় ১৫ ডিসেম্বর দিবাগত রাত আনুমানিক ১২:৩০ সময় বিজয়নগর উপজেলার আউলিয়া বাজার পুলিশ তদন্ত পরিদর্শক (নিরস্ত্র) মোঃ মফিজুল ইসলাম এর নেতৃত্বে এসআই(নিরস্ত্র) পংকজ কুমার সাহা সঙ্গীয় ফোর্সদের সমন্বয়ে এলাকায় মাদক উদ্ধার বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে। এ অভিযানে ৮নং বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের ইকরতলী গ্রামের মোঃ রহমত আলী ভূইঁয়া এর বসত ঘরের পশ্চিম পাশে তাহার শয়ন কক্ষের তোষকের নীচ হইতে ১৮০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করেন।মোঃ রহমত আলী ভূইঁয়া (৩৫), ইকরতলী গ্রামের আব্দুল সহিদুল হক ভূঁইয়া ছেলে।বিজয়নগর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃআসাদুল ইসলাম জানান, ইকরতলী গ্রামের মোঃ রহমত আলী ভূইঁয়া (৩৫) নামক এক মাদক ব্যবসায়ীকে তার শোয়ন কক্ষের তোষকের নীচ থেকে ১৮০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ গ্রেফতার করা হয়। পরবর্তীতে বর্ণিত আসামীর বিরুদ্ধে বিজয়নগর থানায় মাদক আইনে নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়। বিজয়নগর থানা পুলিশ কর্তৃক মাদক বিরোধী অভিযানের ধারা অব্যাহত থাকবে।
মোঃনিয়ামুল ইসলাম আকঞ্জি
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলায় নিখোঁজের দু’দিন পর ডোবা থেকে আবু সাঈদ আল মামুন বুকুল (৪৫) নামের এক মানসিক ভারসাম্যহীন রোগীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) দুপুর ২টার দিকে নিখোঁজের লাশ সদর উপজেলার সুহিলপুর ইউনিয়নের মীরহাটির রাশা এলপিজি পাম্পের পশ্চিম পাশের ডোবা থেকে উদ্ধার করা হয়। গত ৬ ডিসেম্বর বুধবার সকাল ১০ টা থেকে বকুল নিখোঁজ ছিলেন। বকুল শহরের বাগানবাড়ি এলাকার বিশিষ্ট ঠিকাদার মরহুম আবুল হাসেমের ছোট ছেলে। তিনি দীর্ঘদিন যাবত মানসিক রোগে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন।
সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসলাম হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, গত ৬ ডিসেম্বর বকুল তার মেড্ডা মোদকবাড়ি এলাকার বোনের বাড়ি থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হয়। পরে বকুলের বোন সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। তারপর বকুলের পরিবারপরিজন ও থানা পুলিশ বকুলকে বিভিন্ন জায়াগায় খোজাখুজি শুরু করি। আজকে দুপুরে সদর উপজেলার সুহিলপুর ইউনিয়নের মীরহাটির রাশা এলপিজি পাম্পের পশ্চিম পাশের ডোবা থেকে বকুলের লাশ উদ্ধার করি।তিনি আরও জানান, ঘটনাস্থল থেকে বকুলের লাশ উদ্ধার করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করেছি। বিষয়টি তদন্ত চলছে।
মোঃ হাবিব মিয়া (৫০) নামে মানসিক ভারসাম্যহীন একজন ব্যক্তি গত বুধবার (১ ফেব্রুয়ারি) বিকাল ৩টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকার ভাদুঘর (এলহামপাড়া) নিজ বাড়ি থেকে সবার অগোচরে বের হয়ে যায় এবং অদ্য পর্যন্ত আর ফিরে আসেনি। তাহার পরিবার আত্নীয়-স্বজনের বাড়িতে ও সম্ভাব্য সকল স্থানে খুঁজাখুঁজি করিয়াও তাহার সন্ধান পায়নি।
হারানোর সময় তার পরনে ছিল লাল খয়েরি শার্ট, লুঙ্গী পরিহিত এবং তাহার গলায় একটি লুঙ্গী সবসময় ঝুলানো থাকে, গায়ের রং শ্যামবর্ণ, শরীরের গড়ন পাতলা, মাতার চুল কালো ছোট, মুখমণ্ডল গোলাকার, মুখমন্ডলে সামান্য দাড়ি আছে, উচ্চতা ৫ ফুট ৪ ইঞ্চি। সে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আঞ্চলিক ভাষায় কথা বলে।
এ বিষয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানায় একটা জিডি করা হয়েছে। জিডি নং – ৯২৯ । যদি কোনো হৃদয়বান ব্যক্তি তার সন্ধান পান তাহলে নিচের ঠিকানায় যোগাযোগ করার জন্য অনুরোধ করা হলো।
যোগাযোগের ঠিকানা: ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানা অথবা তাহার বড় ভাই মোঃ মিয়াচান মিয়া, পিতা মৃত মোতালিব মিয়া, গ্রাম: ভাদুঘর (এলহামপাড়া), থানা: ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর, জেলা: ব্রাহ্মণবাড়িয়া। মোবাইল : ০১৭৫৩১৭৬৮৬১