স্বত্ব © 2024 দৈনিক পত্রিকা |
সম্পাদক ও প্রকাশক: উবায়দুর রহমান, ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: মোঃ জুয়েল মিয়া প্রতিষ্ঠাতা: পি বা লিজন।সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয়- পাইকপাড়া,লোকনাথ দিঘীর পাড়,পৌর কমিউনিটি সেন্টার ২য় তলা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া।দৈনিক পত্রিকা অনলাইন নিউজ পোর্টাল। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের কর্তৃক নিবন্ধনের জন্য প্রক্রিয়া দিন।newsdainikpatrika@gmail.com মোবাইল নাম্বার 01751406352,01715958768
শেখ মো. কামাল উদ্দিন, কসবা : স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর ৪৮তম শাহাদৎ বার্ষিকী উপলক্ষে সোমবার জনতা ব্যংক পিএলসি, কসবা শাখা কর্তৃক কসবা মহিলা বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ এবং কসবা আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে বৃক্ষ রোপন করা হয়েছে। বৃক্ষরোপন কর্মসূচির উদ্বোধন করেন কসবা পৌরসভার জননন্দিত মেয়র মোঃ গোলাম হাক্কানী। উক্ত কর্মসূচীতে জনতা ব্যাংক পিএলসি, কসবা শাখার ব্যবস্থাপক এখলাছ খান, সাবেক ব্যবস্থাপক মোঃ আবুল কাসেম, কসবা মহিলা বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের দাতা সদস্য মোঃ আলী আজম, প্রিন্সিপাল মোঃ তছলিম মিয়া, কসবা আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ হেলাল উদ্দিনসহ অন্যান্য শিক্ষক ও ছাত্রছাত্রী উপস্থিত ছিলেন।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, জনি মিয়া ও আওয়াল মিয়া রাতে তালশহর বাজার থেকে নিজ বাড়িতে ফিরছিলেন। পথিমধ্যে বাজার সংলগ্ন সেতু অতিক্রম করতেই কয়েকজন অতর্কিতভাবে তাদের উপর হামলা করে। এসময় ছুরিকাঘাতে জনি মিয়ার পায়ের রগ কেটে ফেলে এবং শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুরুতর আঘাত পায়। এসময় আওয়ালকেও কুপিয়ে আহত করা হয়। তাদেরকে উদ্ধার করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে নিয়ে আসলে জরুরি বিভাগের দায়িত্ব প্রাপ্ত চিকিৎসক তাদের ঢাকায় প্রেরণ করেন। তারা ঢাকায় যাওয়ার পথে রাত ২টার দিকে নরসিংদীতে জনি মিয়া মারা যান।
আশুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাহিদ আহমেদ জানান, পায়ে ও পেটে ছুরির আঘাতে চিহ্ন রয়েছে। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে কারণে জনির মৃত্যু হয়েছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। পরিবারের লিখিত অভিযোগের প্রাপ্তি স্বাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
জুয়েল মিয়া, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার মাছিহাতা ইউনিয়নের জগৎসার গ্রামের কিশোর জাহিদুল (১৬) কে নৃশংসভাবে হত্যার ঘটনায় তিন আসামিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতারকৃতরা হলেন, জগৎসার গ্রামের মোহাম্মদ হোসেন (৩৫), নজরুল ইসলাম (৪৪) ও মো. সিয়াম (১৫)।বৃহস্পতিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় এক সংবাদ সম্মেলন করে এ তথ্য জানায় পুলিশ। জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মো. ইকবাল হোছাইন জানান, ঘটনার পর পরই আমরা অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে এজহার ভুক্ত আসামী মোহাম্মদ হোসেনকে মঙ্গলবার রাতে গ্রেফতার করি। তার দেয়া ১৬৪ ধারা জবানবন্দির ভিত্তিতে বুধবার রাতে জগৎসার গ্রাম থেকে আরো দুই আসামী নজরুল ইসলাম ও সিয়ামকে গ্রেফতার করা হয়। এছাড়াও এ সময় হত্যায় ব্যবহৃত একটি ছুরি ও ক্ষুর তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিকভাবে গ্রেফতারকৃতরা জানায়, নিহত জাহিদুলের বড় ভাই ছানাউল্লাহ্ একই এলাকার নজরুল ও হোসেনেকে মাদকসহ পুলিশের কাছে ধরিয়ে দেয়। এ ক্ষোভ থেকেই তারা জেল থেকে বের হয়ে প্রতিশোধ নিতে ছানাউল্লাহ্কে খুঁজতে থাকে। তাকে না পেয়ে তার ছোট ভাই জাহিদুলকে ডেকে স্থানীয় পুকুরের পাড়ে ৫ জন মিলে ছুরি ও ক্ষুর দিয়ে জাহিদুলের শরীরের বিভিন্ন অংশ কেটে নৃশংস ভাবে হত্যা করে। তবে তারা ঘটনার সাথে জড়িত থাকার বিষয়ে যে তথ্য দিয়েছে তার সত্যতা আরো নিশ্চিত করতে অধিকতর তদন্ত চলছে। এ ঘটনায় অপর দুই অজ্ঞাতনামা আসামীদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে। এ সময় সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোজাম্মেল হোসেন রেজা, সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ এমরানুল ইসলাম প্রমুখ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে সদর উপজেলার সুলতানপুর পূর্ব পাড়ায় একটি পুকুর থেকে কিশোর জাহিদুলের লাশ উদ্ধার করা হয়। অটোরিকশা চালক এলাছ মিয়ার চার ছেলে সন্তানের মধ্যে জাহিদুলসহ তিন ছেলে চট্টগ্রামে বেকারিতে কাজ করে। দুই সপ্তাহ আগে ছুটিতে বাড়িতে আসে জাহিদুল। সন্ধ্যায় বাড়ি থেকে বের হলে তাকে আর খুঁজে পাওয়া যায়নি। তাকে জবাই করা ছাড়াও দুই হাতে কব্জি, দুই কান কেটে দেওয়া হয়েছে। বুক ও পেটে ছুরিকাঘাত করে ভুড়ি বের করে ফেলা হয়েছে। এঘটনায় জাহিদুলের পিতা এলাছ মিয়া বাদী হয়ে পাঁচজনকে আসামী করে সদর মডেল থানায় মামলা করেন।
জুয়েল মিয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব, মহান মুক্তিযুদ্ধের বীর মুক্তিযোদ্ধা কণ্ঠ শিল্পী, তিতাস ললিতকলা একাডেমির প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ, বেতার এবং টেলিভিশন শিল্পী সেহেলি মাসুদ এর মৃত্যুতে শোকাহত শিল্পী বৃন্দের উদ্যোগে শোক সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেলে শহীদ ধীরেন্দ্র নাথ দত্ত ভাষা চত্বরে এ দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়। ব্রাহ্মণবাড়িয়া শিল্পী সংসদের সভাপতি আল আমীন শাহীনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক ফারুক আহমেদ পারুল ,সাংগঠনিক সম্পাদক শিল্পী শাহাদাৎ হোসেন সোহেল অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন। এসময় সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব , বাংলাদেশ টেলিভিশনের সঙ্গীত পরিচালক আলী মোসাদ্দেক মাসুদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সাহিত্য একাডেমির সভাপতি কবি জয়দুল হোসেন, জেলা শিল্পকলা একাডেমির সঙ্গীত প্রশিক্ষক পিযুষ কান্তি আচার্য্য,গীতিকার কবি দেওয়ান মারুফ, গীতিকার ইব্রাহিম খান সাদাত, সাগর মিউজিক প্লাস এর প্রতিষ্ঠাতা ফরিদ আহমেদ সাগর, বৈশাখী শিল্পিী গোষ্ঠীর সভাপতি মোহাম্মদ হোসেন, রঙ্গধনু স্টুডিওর সত্বাধিকারী শিল্পী দেবাশীষ দেবু, শ্যামা কাউসার, কণ্ঠ শিল্পী সেলিম রেজা,শিল্পী আলমগীর পলাশ, জেসমিন জাহান,গীতিকার নুসরাত জাহান জেরিন,পরিবারের পক্ষ থেকে শিল্পী এমিল মোরসালিন, শ্যামল আহমেদ,অ্যাড. দিলশাদ আরা, সঙ্গীত প্রশিক্ষক মণিকা আচার্য্য,বায়োজিদ বোস্তামি, সাথী ইসলাম , উর্মিলা প্রিয়া, সৈয়দ মারুফ, তাহজীব আহমেদ চৌধুরী, অমিত সহ পরিবারের সদস্যবৃন্দ ও শোকাহত শিল্পী বৃন্দ বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন। মোনাজাত পরিচালনা করেন শাহাদাত হোসেন সোহেল। সভায় বক্তারা বলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা কণ্ঠ শিল্পী সেহেলি মাসুদ মহান মুক্তিযুদ্ধ সহ সাংস্কৃতিক অঙ্গনে অনন্য ভূমিকা রেখে গেছেন। উনার অবদান স্মরনীয় হয়ে থাকবে। মাতৃসুলভ আচরণে সুপ্ত প্রতিভার বিকাশে কাজ করেছেন তিনি। উল্লেখ, গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তিনি ঢাকায় শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। গত বুধবার বাদ জোহর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মৌলভীপাড়াস্থ জামে মসজিদ সংলগ্ন ময়দানে মরহুমার নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজার পূর্বে বীর মুক্তিযোদ্ধা সেহেলি মাসুদকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদা দেয়া হয়।পরে শেরপুর গোরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।
নিজস্ব প্রতিবেদক : সমাজ সেবায় বিশেষ অবদানের জন্য সম্মাননা পেলেন মজিদ-নাহার ফাউন্ডেশন এর সহ-সভাপতি সাংবাদিক এইচ এম জাকারিয়া জাকির।
বৃহস্পতিবার (২৪ আগস্ট) বিকাল ৫ টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া গভ: মডেল গার্লস হাই স্কুল হলরুমে কবি ও কবিতা বিষয় সংগঠন ‘কবির কলম’ এর ১৪তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী অনুষ্ঠানে তাকে এ সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয়।
অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন, কবি জয়দুল হোসেন, সভাপতি সাহিত্য একাডেমী ব্রাহ্মণবাড়িয়া। প্রধান আলোচক ছিলেন, কবি ও গীতিকার দেওয়ান মারুফ, বিশিষ্ট শিল্পপতি ও সমাজসেবক। বিশেষ আলোচক ছিলেন, কথা সাহিত্যিক আমির হোসেন, সভাপতি চেতনায় স্বদেশ গণগ্রন্থাগার ব্রাহ্মণবাড়িয়া।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, আবদুর রহিম, রবীন্দ্র সংগীত শিল্পী ও শিক্ষক। ফজিলাতুন নাহার সভাপতি, বাংলাদেশ নারী মুক্তি সংসদ। এড হুমায়ুন কবির, সভাপতি ব্রাহ্মণবাড়িয়া আখাউড়াস্থ সমিতি। কেষ্ট কবি ইসমোনাক। জাকারিয়া জাকির সাংবাদিক ও সমাজ সেবক। কবি মাশরিকি শিপার। কবি রুদ্র মোহাম্মদ ইদ্রিস। ফারুক আহমেদ ভুইয়া সিনিয়র সহ-সভাপতি উদিচি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শাখা। মোস্তাক আহমেদ খোকন, সাধারণ সম্পাদক জাতীয় মানবাধিকার সোসাইটি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শাখা। শফিকুল ইসলাম তৌছির বিশিষ্ট সমাজ সেবক। ফিরোজ মিয়া কলেজের প্রভাষক হানিফ, অংকুর শিশুকিশোর সংগঠন এর প্রতিষ্ঠাতা আনিসুর রহমান রিপন, কবি সৌমিক সাত্তার। কণ্ঠ শিল্পী সোহেল আহমেদ। সঙ্গীত শিল্পী ফরিদ আহমেদ সাগর। সংগীত শিল্পী সানজিদা শারমিন ফ্লোরা। সংগীত শিল্পী সাথি ইসলাম। জাকির হোসেন রাজা তবলা বাদক। আনন্দলোক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের প্রশিক্ষক সোহেল মিয়া। তরুন সংগঠক নাইমুর রহমান। জুয়েনা বিনোদীনি।
এছাড়াও সংগঠন এর সহ-সভাপতি আদিত্ব্য কামাল, সহ-সভাপতি কোহিনূর আক্তার প্রিয়া, ফাহিম মুনতাসীর, ইফতেখারুল ইসলাম সোহান, অন্তর। সদস্য মুরাদ আল হাসান প্রমুখ।
অনুষ্ঠানের শুরুতেই জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে একটি মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।
আবৃত্তি পরিবেশনে ছিলেন, সোনালি সকাল। নৃত্য পরিবেশনে ছিলেন, নৃত্যশিল্পী চন্দ্রিমা বনিক, নৃত্যশিল্পী অবন্তিকা সূত্রধর।
অনুষ্ঠানে গুঞ্জন পাঠাগার নবীনগর, এস এম নাজমুন কবির ইকবাল (ইসমোনাক) সরাইল, সাংবাদিক এইচ এম জাকারিয়া জাকির, শফিকুল ইসলাম তৌছির কে সম্মাননা স্বারক প্রদান করা হয়।