স্বত্ব © 2024 দৈনিক পত্রিকা |
সম্পাদক ও প্রকাশক: উবায়দুর রহমান, ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: মোঃ জুয়েল মিয়া প্রতিষ্ঠাতা: পি বা লিজন।সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয়- পাইকপাড়া,লোকনাথ দিঘীর পাড়,পৌর কমিউনিটি সেন্টার ২য় তলা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া।দৈনিক পত্রিকা অনলাইন নিউজ পোর্টাল। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের কর্তৃক নিবন্ধনের জন্য প্রক্রিয়া দিন।newsdainikpatrika@gmail.com মোবাইল নাম্বার 01751406352,01715958768
এ বিষয়ে খাটিহাতা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আকুল চন্দ্র বিশ্বাস জানান, সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে এলাকায় একটি যাত্রীবাহী সিএনজি খাটিহাতা বিশ্বরোড থেকে আশুগঞ্জের দিকে যাচ্ছিল। সোহাগপুর বাসস্ট্যান্ডে সিলেটগামী কাভার্ডভ্যানের সঙ্গে ওই সিএনজির মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই তিনজন নিহত হন। অপরজন ব্রাহ্মণবাড়িয়া হাসপাতালে নেওয়ার পথে খাটিহাতা বিশ্বরোড যাওয়ার পর মারা যান।
নিহতরা হলেন- সিএনজিচালক সরাইল উপজেলা বলিবাড়ির মো. ফরিদ মিয়ার ছেলে সোহেল, সিএনজির যাত্রী নাজমুল মিয়ার ছেলে জিলানী, মৃত জাফর আলীর ছেলে আসকর মিয়া। বাকি একজনের পরিচয় পাওয়া যায়নি।
খাটিহাতা হাইওয়ে পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আকুল চন্দ্র বিশ্বাস বলেন, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। পরিবারের অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
নিউজ ডেস্ক : বৈশাখী শিল্পী গোষ্ঠী’র বার্ষিক বনভোজন অনুষ্ঠিত হয়েছে।শনিবার (১১ মার্চ) সকাল ৯ টা থেকে সারাদিন ব্যাপী ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলার গোপীনাথপুর রিসোর্টে বৈশাখী শিল্পী গোষ্ঠীর আয়োজনে এ বনভোজন অনুষ্ঠিত হয়।এতে আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, এম আর টেক্সটাইল সত্ত্বাধিকারী বিশিষ্ট কবি ও গীতিকার দেওয়ান মারুফ। ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার প্যানেল মেয়র মিজান আনসারী। বৈশাখী শিল্পী গোষ্ঠী’র উপদেষ্টা ও জনতার খবর এর নির্বাহী সম্পাদক জাকারিয়া জাকির। বৈশাখী শিল্পী গোষ্ঠী’র উপদেষ্টা ও সাপ্তাহিক অগ্রধাপ পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক শেখ ফরিদ। বিশিষ্ট কবি নূর মোহাম্মদ হাজারী। ব্রাহ্মণবাড়িয়া শিল্পী কল্যাণ পরিষদের সাবেক প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি শফিকুল ইসলাম তৌছির। রেডক্রিসেন্ট সদস্য জেলা জাতীয় পার্টির নেতা শেখ মাহবুব। জেলা জাতীয় পার্টির নেতা আনিস খাঁন। পিস ভিশন বাংলাদেশ এর সভাপতি এড. শেখ জাহাঙ্গীর। ফটো সাংবাদিক হারুনুর রশিদ। বিশিষ্ট জুয়েলারি ব্যবসায়ী যদুভাই। সান ফ্লাওয়ার লাইফ ইন্স্যুরেন্স কর্মকর্তা মো. তারেক। পৌর কমিউনিটি সেন্টারের পরিচালক বিল্লাল মিয়া ও নূরুল ইসলাম। সাহিত্য একাডেমীর পরিচালক তোফাজ্জল হোসেন জীবন। হাদিজা আক্তার রিমা, সদর উপজেলা সভাপতি জাতীয় মাহিলা পার্টি। সাবেক পোষ্ট অফিস কর্মকর্তা হারেছা বেগম। সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ও শিপ্পানুরাগী মিজানুর রহমান। সাবেক নারী সংগঠক ও নারী নেত্রী রোকেয়া খাঁন। নারী সংগঠক তাসনিয়া কাইয়ূম জ্যোতি। মো. সুমন মিয়া। শামীম আহমেদ প্রমূখ।এতে সঙ্গীত পরিবেশন করেন, অংকুর শিশু কিশোর সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক বিশিষ্ট কন্ঠ শিল্পী জয়নাল আবেদীন। বিশিষ্ট কণ্ঠশিল্পী পীরজাদা শাহাজাদা। বিশিষ্ট বাউল শিল্পী কাকলী। বিশিষ্ট কণ্ঠশিল্পী সাথী সরকার। বিশিষ্ট কন্ঠ শিল্পী একা ও কন্ঠ শিল্পী তুলি। এবং সবশেষে সঙ্গীত পরিবেশন করেন বৈশাখী শিল্পী গোষ্ঠী’র প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি বিশিষ্ট কন্ঠ শিল্পী মোহাম্মদ হোসেন।যন্ত্র সঙ্গীতে ছিলেন, বিশিষ্ট গিটারিষ্ট ও সারগাম মিউজিক স্টেশনের সত্ত্বাধিকারী বিপু মন্সী। কিবোর্ডে সোহেল। অক্টোপ্যাডে রাহিম। তবলায় জাকির হোসেন রাজা। এবং জীপসীতে ছিলেন সামসুল আলম বাবু।
মুখাভিনয়ে ছিলেন, রেডক্রিসেন্ট সদস্য জেলা জাতীয় পার্টির নেতা শেখ মাহবুব।আনন্দ আয়োজনে বৈশাখী শিল্পী গোষ্ঠী’র যারা উপস্থিত ছিলেন তারা হলেন, মোস্তাক আহমেদ খোকন প্রধান উপদেষ্টা। প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মোহাম্মদ হোসেন। সাধারণ সম্পাদক আনিস খাঁন। সহ-সভাপতি সামসুল আলম বাবু। সহ-সভাপতি জাকির হোসেন রাজা। সাংগঠনিক সম্পাদক আদিত্ব্য কামাল। নারী বিষয়ক সম্পাদক রোমানা আক্তার শ্যামলী। ক্রীড়া সম্পাদক সাথী সরকার।সহযোগীয়তায় ছিলেন, ব্রাদার্স লিঃ এর সত্ত্বাধিকারী আসিফ ইকবাল।এবং বৈশাখী শিল্পী গোষ্ঠী’র অন্যতম সদস্য নারী নেত্রী অনু পারভিন।
সার্বিক পরিচালনায় ও উপস্থাপনায় ছিলেন, আদিত্ব্য কামাল সম্পাদক জনতার খবর।
জুয়েল মিয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলার সিঙ্গারবিল ইউনিয়নের কাশিনগর এলাকায় একটি লিচু বাগানের গাছের নিচ থেকে বস্তাভর্তি গাঁজা উদ্ধার করেছে চম্পকনগর পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যরা।
বুধবার (২৭ মার্চ) মধ্যরাতে সিঙ্গারবিল ইউনিয়নের কাশিনগর গ্রামের একটি লিচু বাগান থেকে বস্তাভর্তি ১৮ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে আসামিরা পালিয়ে যাওয়ায় তাদেরকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ সদস্যরা। তবে এ ঘটনায় এক জনের নাম উল্লেখ তবে দুইজনের নামে বিজয়নগর থানায় একটি মামলা করা হয়েছে। পলাতক আসামি হলেন সিঙ্গারবিল ইউনিয়নের নোয়াবাদী গ্রামের সিরাজ মিয়ার ছেলে ফরিসলাম (৩৫)। এ ঘটনায় আরও এক জনকে অজ্ঞাত দেখিয়ে দুইজনের বিরুদ্ধে থানায় মাদকদ্রব্য আইনের মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে বিজয়নগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আসাদুল ইসলাম সত্যতা নিশ্চিত করেন।
জুয়েল মিয়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদের মাসিক সভা থেকে ৮ সদস্যকে বের করে দিলেন জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আল মামুন সরকার। ইচ্ছেমতো প্যানেল চেয়ারম্যান বানানো এবং নিয়ম বহির্ভূতভাবে প্রকল্প গ্রহণ ও অর্থ বণ্টনের রেজুলেশনে স্বাক্ষর না করায় তাদেরকে বের করে দেয়া হয়েছে বলে জানা যায়। গতকাল পরিষদের তৃতীয় মাসিক সভায় এ ঘটনা ঘটে। পরিষদের সদস্যরা অভিযোগ করেন, সভার শুরুতে দ্বিতীয় সভায় স্বেচ্ছাচারিতার মাধ্যমে নেয়া সিদ্ধান্তের রেজুলেশনে স্বাক্ষর করতে চেয়ারম্যান আল মামুন সরকার তাদের বলেন । এতে রাজি না হওয়ায় চেয়ারম্যান তাদের সভা থেকে বেরিয়ে যেতে বলেন। দুপুর সাড়ে ১২টায় সভা শুরু হওয়ার কথা থাকলেও তা শুরু হয় দেড়টায়। এরপর মিনিট ১৫ সভায় অংশগ্রহণ ছিল ৮ সদস্যের। এ সময় জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান তার বিরুদ্ধে ওই সদস্যদের মন্ত্রণালয়ে করা অভিযোগের নিন্দা প্রস্তাব গ্রহণের কথা বলেন। এ নিয়ে সদস্যদের সঙ্গে তার তুমুল বাকবিতণ্ডা হয়। এরপরই সদস্যরা সভা ছেড়ে বেড়িয়ে আসেন। এদিকে সভাকে কেন্দ্র করে জেলা পরিষদে এক ইন্সপেক্টর ও ২ সাব-ইন্সপেক্টরের নেতৃত্বে মোট ১৫/২০ জন পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়। সংরক্ষিত সদস্য বিউটি কানিজ জানান, মিটিংয়ে যাওয়ার পর চেয়ারম্যান আমাদের বলেন আমরা নাকি উপজেলা চেয়ারম্যান ও মেয়রদের অপমান করার জন্যে লজ্জাকর ইতিহাস তেরি করেছি।এটি নিন্দনীয় কাজ হয়েছে বলে তিনি আমাদেরকে এ ব্যাপারে নিন্দা জানাতে বলেন। এ সময় আমরা নিন্দার বিষয়টি বাদ দিয়ে চেয়ারম্যানকে আমাদের কথা শুনতে বলি। তখন চেয়ারম্যান বলেন, কথা বলতে চাইলে আগে রেজুলেশনে স্বাক্ষর করেন, না হলে বেরিয়ে যান। আপনাদের মিটিংয়ে অ্যাটেন্ড করার দরকার নেই। যেহেতু আমাদের কথা বলতে দেবে না, আর ইতিপূর্বে প্যানেল চেয়ারম্যান ও বরাদ্দে বণ্টনের বিষয়ে চেয়ারম্যানের ইচ্ছেমতো নেয়া রেজুলেশনে স্বাক্ষর করতে বলা হচ্ছে, আমরা সেটি না করে বেরিয়ে আসি। ব্রাহ্মণবাড়িয়া উপজেলা থেকে নির্বাচিত পরিষদ সদস্য বাবুল মিয়া বলেন, মিটিংয়ে যাওয়ার পর চেয়ারম্যান বিগত মিটিংয়ের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে আমাদের স্বাক্ষর দিতে বলেন। আমাদের কোনো কথা শুনতে চাইছিলেন না। এ নিয়ে তার সঙ্গে আমাদের বাকবিতণ্ডা হয়। চেয়ারম্যান তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের নিন্দা প্রস্তাব দিতে বলেন। আমরা এরও প্রতিবাদ করি। এছাড়া জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আল মামুন সরকার তার নিজ ক্ষমতা বলে উপজেলা চেয়ারম্যান ও মেয়রদের ৪ লাখ টাকা করে এবং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদের ৩ লাখ টাকা করে বরাদ্দ বিভাজন করেন। শুধু তাই নয়, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান উন্নয়ন প্রকল্পের চাহিদা প্রদানের একটি ফরম ছাপিয়ে বণ্টন করেছেন। এ ছাড়া কোনো অনুমোদন ছাড়াই ৮/১০ লাখ টাকায় ৩ হাজার কম্বল ক্রয় করেন। এর আগে গত ৯ই ফেব্রুয়ারি স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ও সচিব বরাবর চেয়ারম্যান আল মামুন সরকারের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দেন পরিষদের ৮ সদস্য। তারা হচ্ছেন- আখাউড়ার সাইফুল ইসলাম, সরাইলের পায়েল হোসেন মৃধা, নাসিরনগরের সামসুল কিবরিয়া, আশুগঞ্জের বিল্লাল মিয়া, বাঞ্ছারামপুরের আবুল কালাম আজাদ, বিজয়নগরের বাবুল আক্তার, সদর উপজেলার বাবুল মিয়া ও সংরক্ষিত সদস্য বিউটি কানিজ।এতে অভিযোগ করা হয়, গত ১লা জানুয়ারি পরিষদের দ্বিতীয় সভায় বরাদ্দ বিতরণ নিয়ে সদস্যদের সঙ্গে বিরোধে জড়িয়ে পড়েন চেয়ারম্যান। পরিষদের প্রথম সভায় সকল সদস্যদের মতামত বা ভোটগ্রহণ ছাড়া তার অনুসারী ৩ সদস্যকে প্যানেল চেয়ারম্যান নির্বাচিত করেন। তাছাড়া সদস্যদের পাশ কাটিয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান, পৌরসভার মেয়র এবং ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানদের অনুকূলে অর্থ বরাদ্দ প্রদানের সিদ্ধান্ত নেন নিজেই। এমন সিদ্ধান্ত গ্রহণের বিষয়ে চেয়ারম্যান প্রকাশ্যেই বলেন, জেলা পরিষদ নির্বাচনের পূর্বে নির্বাচনের ভোটার উপজেলা চেয়ারম্যান, পৌরসভার মেয়র ও ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানদের অনুকূলে অর্থ বরাদ্দ প্রদানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তিনি। এটিপ্রচলিত আইন ও বিধিবিধানের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন উল্লেখ করে সদস্যরা তাদের অভিযোগে বলেন, জেলা পরিষদ (সংশোধন) আইন, ২০২২ অনুযায়ী জেলা পরিষদের উন্নয়ন কার্যক্রমের সঙ্গে উপজেলা পরিষদ/পৌরসভা সমূহের উন্নয়ন কার্যক্রমের সুষ্ঠু সমন্বয় নিশ্চিত করার জন্য উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, পৌরসভার মেয়রগণকে পদাধিকার বলে জেলা পরিষদের সদস্য হিসেবে নির্ধারণ করা হয়েছে। কিন্তু জেলা পরিষদের রাজস্ব ও এডিপি বরাদ্দ স্থানীয় সরকারের ওই সকল চেয়ারম্যান ও মেয়রের অনুকূলে বিভাজন করার কোনো বিধান রাখা হয়নি।