মোদি সফর বিরোধী আন্দোলন : আসামী খেলাফত নেতা

Adithay Kamal ব্রাহ্মণবাড়িয়া, 26 January 2025, 28 Views,

নিজস্ব প্রতিবেদক : বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা কমিটির নির্বাহী সদস্য ও শহর শাখার সাবেক সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ বশির আহমেদ ভূঁইয়া’র বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে সুনামগঞ্জের জাবির হোসেন।

গত বছরের ২৮ অক্টোবর (২০২৪ ইং) ৩৫০ জনকে আসামি করে এ মামলা দায়ের করা হয়। মামলা নং- ৭৪। এর মধ্যে বশির আহমেদ ৭ নম্বর আসামি।

মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত ২৬/৩/২০২১ ইং সনে ভারতের প্রধান মন্ত্রী নরেদ্র মোদীর বাংলাদেশ সফরের বিরুদ্ধে সারাদেশের মানুষ মোদির সফর বিরোধী আন্দোলনে লিপ্ত হয়। উক্ত আন্দোলনের ফলে সৃজিত উত্তেজনা চট্রগ্রামে একটি মাদ্রাসায় ছাত্র-জনতার বিক্ষোভে আওয়ামীলীগ ক্যাডাররা পুলিশের ছত্রছায়ায় গুলি করে ৪ জন মাদ্রাসা ছাত্রকে হত্যা করে। ফলে সারাদেশে মোদি বিরোধী আন্দোলন তীব্র থেকে তীব্রতর হয়। তারই ধারাবাহিকতায় ২৬/৩/২০২১ ইং তারিখ শুক্রবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ছাত্র-শিক্ষক  ধর্ম ভীরু তৌহিদী জনতা শহরে বিক্ষোভ মিছিল করে। এর পরের দিন শনিবার হেফাজতে ইসলামের ডাকে হরতালের সমর্থনে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ধর্মভীরু তৌহিদী জনতা এবং মাদ্রাসা ছাত্র-শিক্ষকের সমন্বয়ে একটি মিছিল নন্দনপুর বাজারে বিক্ষোভ মিছিল করিলে আওয়ামী ক্যাডাররা বন্দুক, শর্টগান, পিস্তল, কাটা রাইফেল, চাইনিজ রাইফেল ইত্যাদি অস্ত্রাদি নিয়া ঘটনাস্থলে এলোপাথাড়ি গুলিবর্ষণ শুরু করে। সন্ত্রাসীদের গুলি আমার ছেলে বাদল মিয়ার কোমড়ের ডানপাশ্বে লাগিয়া বামপাশে দিয়ে বের হয়। পরে আমার ছেলেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে আনিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করে। সদর হাসপাতালে তাহার মৃত্যুর সংবাদে উত্তেজনা সৃষ্টি হইলে প্রশাসনিক নির্দেশে এবং তাদের চাপে বিনা পোষ্টমর্টেমে আমার ছেলেকে গ্রামের বাড়িতে নিয়ে দাফনকাজ সম্পন্ন করা হয়।

তৎকালীন আওয়ামী তাণ্ডবে ও তাহাদের উদ্যত ক্ষমতার দাপটে পুলিশ প্রশাসনের অসহযোগীতা ও বিরোধীতার কারনে আমি তৎসময়ে থানায় একটি জি.ডি করার পরিবেশ পায় নাই। এইক্ষন স্বৈরাচারী দানব সরকারের পতন হওয়ার পর অন্যায়ভাবে বিনা কারনে মানুষ হত্যার বিচার চাহিয়া অবস্থাগত কারনে ও যুক্তিসঙ্গত বিলম্বে অত্র খুনের মামলা করিলাম। ন্যায় বিচারের স্বার্থে যথাযথ তদন্তের মাধ্যমে নর হত্যাকারী আসামীগণের বিচারের প্রার্থনা রইল।
মামলার বিষয়ে মুহম্মদ বশির আহমেদ ভূঁইয়া বলেন, মোদি সফর বিরোধী আন্দোলনে, আমাদের খেলাফত মজলিস, ইসলামী ঐক্যজোট, খেলাফত আন্দোলন, ইসলামী আন্দোলন, ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলন, হেফাজতে ইসলামী, আমরা সবাই মোদি বিরুদ্ধে আন্দোলনে সক্রিয় থেকে অগ্রণী ভূমিকায় ছিলাম। আমি মূলত ষড়যন্ত্রের স্বীকার।
আমি খেলাফত মজলিসের জেলা নির্বাহী কমিটির সদস্য, উপজেলা ও শহর শাখার সাবেক সাধারণ সম্পাদক। এছাড়াও ভাদুঘর গার্লস স্কুল এন্ড কলেজের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান, ফখরে বাঙ্গাল হাফিজীয়া মাদরাসার কমিটির সাধারণ সম্পাদক। এই ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলার কারনে আমি আমার প্রতিষ্ঠান গুলোর দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করতে পাড়ছিনা, বিশেষকরে ভাদুঘর গার্লস স্কুল এন্ড কলেজটি বড় ধরণের ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে।
এ-বিষয়ে মামলার বাদী সুনামগঞ্জের জাবির হোসেন এর সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করে হলে তার মোবাইল নাম্বার বন্ধ পাওয়া যায়।