স্বত্ব © 2025 দৈনিক পত্রিকা |
সম্পাদক ও প্রকাশক: উবায়দুর রহমান, ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: মোঃ জুয়েল মিয়া প্রতিষ্ঠাতা: পি বা লিজন।সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয়- পাইকপাড়া,লোকনাথ দিঘীর পাড়,পৌর কমিউনিটি সেন্টার ২য় তলা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া।দৈনিক পত্রিকা অনলাইন নিউজ পোর্টাল। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের কর্তৃক নিবন্ধনের জন্য প্রক্রিয়া দিন।newsdainikpatrika@gmail.com মোবাইল নাম্বার 01751406352,01715958768
রাজনীতিতে সময় ও পরিস্থিতির পরিবর্তনের সঙ্গে অনেক চরিত্রই তাদের অবস্থান বদল করে। ঠিক তেমনি, আওয়ামী লীগের প্রাক্তন অর্থ দাতা ও সাবেক মন্ত্রী র আ ম উবায়দুল মোক্তাদির চৌধুরীর কেশিয়ার এবং প্রতিষ্ঠিত ঠিকাদার হাজী মোস্তফা কামাল (মস্তু) আজকে বিএনপির ছত্রছায়ায় আছেন। বহু বছর ধরে আওয়ামী লীগে তার অবদান ছিল উল্লেখযোগ্য, বিশেষত দলের আর্থিক সহায়তায় তার ভূমিকা ছিল প্রসিদ্ধ। তার সাথে কামিয়েছেন শত শত কোটি টাকা। তবে বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে মস্তু তার দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন করেছেন এবং এখন বিএনপির দিকে আশ্রয় নিচ্ছেন।
সূত্র বলছে, সাবেক মন্ত্রী র আ ম উবায়দুল মোক্তাদির চৌধুরীকে বাবা বলে সম্মোধন করে আওয়ামী লীগের বিগত দিনের পথচলা তার। মুস্তু গত ৫ আগষ্ট এর পর থেকে রাজনৈতিক অবস্থানে পরিবর্তন আনলেও তার ব্যবসায়ী যোগাযোগ ও প্রভাব কাজে লাগানোর ক্ষেত্রে তেমন কোনো ছেদ পড়েনি। তার পাশাপাশি তার পরিবারের লোকজনও বিএনপির পক্ষে কাজ করছেন। তার এই পরিবর্তিত অবস্থান দলীয় নীতির প্রতি আস্থাহীনতার পাশাপাশি, ব্যক্তি স্বার্থ এবং রাজনৈতিক প্রভাবের জন্যও হতে পারে। দলের উত্থান-পতনের সঙ্গেও তার সম্পর্ক অটুট। আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে চলমান সমালোচনা এবং সরকার বিরোধী আন্দোলনে তিনি এখন বিএনপির পক্ষে কাজ করছেন বলে জানা যাচ্ছে। সচেতন মহল মনে করছেন, মুস্তুর মতো শক্তিশালী ব্যক্তির রাজনৈতিক পক্ষ পরিবর্তন সাধারণত দীর্ঘমেয়াদী রাজনৈতিক কৌশল হিসেবেই দেখা হয়। বিশেষ করে দেশে চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতা ও ক্ষমতার দ্বন্দ্বের মধ্যে মুস্তুর এই নতুন রাজনৈতিক কৌশল তার ব্যক্তিগত স্বার্থ রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিএনপির নেতাদের সাথে কথা বললে তারা জানান, সুবিধাবাদী কিছু নেতা তাদের স্বার্থের জন্য এমন কিছু লোকদের দল থেকে সুবিধা দিয়ে থাকেন। তাদের সাথে দলের মূলধারার কোন নেতাদের যোগাযোগ নেই।
জুয়েল মিয়া, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় মাদক কারবারিদের ছুরিকাঘাতে খাইরুল ইসলাম নামে এক পুলিশ সদস্য গুরুতর আহতের ঘটনায় ৩৪জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। শনিবার (৬মে) দুপুরে আখাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আসাদুল ইসলাম তাদের গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। আহত পুলিশ সদস্য এখন আশংকামুক্ত আছে, ঢাকা মেডিকেল থেকে পুলিশ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
এর আগে শুক্রবার (৫ মে) রাত সাড়ে ৮ ঘটিকার সময় উপজেলার মনিয়ন্দ ইউনিয়নের শিবনগর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে নেওয়ার পর প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়।
জানা যায়, শুক্রবার রাতে আখাউড়া থানা পুলিশের একটি দল উপজেলার মনিয়ন্দ ইউনিয়নে মাদক বিরোধী অভিযানে যায়। সেখানে শিবনগর এলাকায় অভিযান পরিচালনাকালে সেলিম ও সোহেল নামে দুই মাদক কারবারিকে আটকের সময় তারা পুলিশের ওপর হামলা চালায়। এ সময় পুলিশ সদস্য খাইরুল ইসলামের পেটে ছুরিকাঘাত করে মাদক কারবারিরা পালিয়ে যায়। এতে তিনি মাথায় ও পেটে গুরুতর জখম হন।
নিজস্ব প্রতিবেদক : ‘রক্তাক্ত ফিলিস্তিন, বিবর্ণ মানবতা’ মার্কিনীদের দালাল ইসরাইলী আগ্রাসন ও নির্বিচারে ফিলিস্তিনি জনগনকে হত্যা বন্ধ করা সহ স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার দাবীতে সোমবার (১৬ অক্টোবর) সন্ধ্যা ৭ টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার গোলাপ সুপার মার্কেট ও কোর্টরোড ব্যবসায়ীবৃন্দের উদ্যোগে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গোলাপ সুপার মার্কেটের সভাপতি জামাল মিয়ার সভাপতিত্বে মার্কেটের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, আমজাদ হোসেন রনি আহবায়ক শহর যুবলীগ, জালাল উদ্দিন সভাপতি গোলাপ সুপার মার্কেট, আজহারুল ইসলাম ফাহাদ সাধারণ সম্পাদক গোলাপ সুপার মার্কেট, গোলাপ সুপার মার্কেট মসজিদের ইমাম হাফেজ জামিল আহমেদ, মো. তারেক আহমেদ, আরাফাত আলী খাঁন প্রমুখ।
জুয়েল মিয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ ( সদর- বিজয়নগর) আসনটিতে মোট ভোটার ৫ লাখ ৬০ হাজার ৩৮৪ জন। স্বতন্ত্র প্রার্থীর ক্ষেত্রে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২’র অনুচ্ছেদ ১২’র দফা (৩ক) (ক) এর বিধান অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী এলাকার এক শতাংশ ভোটারের সমর্থন সম্বলিত স্বাক্ষরযুক্ত তালিকা দাখিল করা আবশ্যক। এই শর্তে এ আসনটিতে স্বতন্ত্র প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বৈধতার জন্য প্রায় ছয় হাজার ভোটারের সমর্থন সম্বলিত স্বাক্ষরযুক্ত তালিকা দাখিল করা প্রয়োজন। এই আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ফিরোজুর রহমান শর্ত পূরন করে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। তার সমর্থনকারী শতকরা একভাগ ভোটারের স্বাক্ষরপত্র থেকে দৈবচয়নের মাধ্যমে যে ১০ জন চিহ্নিত করা হয় তাদের মধ্যে মীর বাইজিদ নামের একজনের স্বাক্ষর দৈবচয়নের স্বাক্ষরের সঙ্গে মিল না পাওয়ার কারন উল্লেখ করে তার মনোনয়ন বাতিল করেন জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা। তবে ওলিওর অভিযোগ তার সমর্থনকারীদেরকে ভয়ভীতি ও হুমকি দিয়ে স্বাক্ষর জটিলতা সৃষ্টি করেছেন প্রতিপক্ষের লোকজন। নিরপেক্ষ আচরণ না করার কারনে ওলিওর ছেলে সুলতানপুর ইউপি চেয়ারম্যান ওমর ফারুক স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে অভিযোগ দেওয়ার পর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ডিসিকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।ফিরোজুর রহমানের সমর্থনকারী ও স্থানীয়রা বলছেন, ওলিও সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৪১ হাজারের চেয়ে বেশি ভোটের ব্যবধানে নৌকার প্রার্থীকে পরাজিত করে চেয়ারম্যান হয়েছেন৷ মোট ভোটারের ১% সর্বোচ্চ ৬ হাজার ভোটারের সমর্থনের স্বাক্ষরের মধ্যে ভুল দেখিয়ে প্রার্থীতা বাতিল রহস্যজনক।
ভোটযোদ্ধের আগেই নির্বাচনী মাঠ থেকে তাকে বাদ দিয়ে দেওয়ার অপকৌশল মনে হচ্ছে। কারন তিনি এই আসনের একজন শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী। আশা করছি নির্বাচন কমিশন তার প্রার্থীতা ফেরত দিবেন ।উল্লেখ,পঞ্চম উপজেলা পরিষদ নির্বাচন-২০১৯ এ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সদর উপজেলা পরিষদে চেয়ারম্যান পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী ফিরোজুর রহমান ওলিও নিকটতম আ.লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থীকে ৪১ হাজার ৩শত ২৬ ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করেন। স্বতন্ত্র প্রার্থী ফিরোজুর রহমান আনারস প্রতীকে ৬৮ হাজার ২শত ৩৩ ভোট পান। অন্যদিকে মো: জাহাংগীর আলম নৌকা প্রতীকে ২৬ হাজার ৯শত ৭ ভোট পান। ইসলামী ঐক্যজোটের প্রার্থী কাউছার মোল্লা মিনার প্রতীকে ৩ হাজার ৮৬ ভোট পান। তিনি ( ওলিও) সদর উপজেলার সুলতানপুর ইউনিয়নে পাঁচ বার একটানা ২৬ বছর চেয়ারম্যান ছিলেন। জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য সম্প্রতি সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন। তিনি আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন চেয়ে না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনের সিদ্ধান্ত নেন।এবিষয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া – ৩ ( সদর – বিজয়নগর) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ফিরোজুর রহমান বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনে আপিল করেছি। দেখা যাক কি হয়।’