স্বত্ব © 2024 দৈনিক পত্রিকা |
সম্পাদক ও প্রকাশক: উবায়দুর রহমান, ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: মোঃ জুয়েল মিয়া প্রতিষ্ঠাতা: পি বা লিজন।সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয়- পাইকপাড়া,লোকনাথ দিঘীর পাড়,পৌর কমিউনিটি সেন্টার ২য় তলা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া।দৈনিক পত্রিকা অনলাইন নিউজ পোর্টাল। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের কর্তৃক নিবন্ধনের জন্য প্রক্রিয়া দিন।newsdainikpatrika@gmail.com মোবাইল নাম্বার 01751406352,01715958768
নিজস্ব প্রতিবেদক
দেশের সব সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও আধা স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের অফিস সময় আবার সকাল নয়টা থেকে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত হচ্ছে। আসন্ন ঈদুল আজহার ছুটির পর, প্রথম কর্মদিবস থেকে নতুন এ অফিস সময়সূচি কার্যকর হবে। আজ সোমবার মন্ত্রিপরিষদের বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরে সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে বৈঠকের সিদ্ধান্ত জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন।বাংলাদেশে স্বাভাবিক সময়ে অফিস চলত সকাল নয়টা থেকে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত। কিন্তু বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সাশ্রয়ের জন্য ২০২২ সালের ১৫ নভেম্বর থেকে সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও আধা স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের অফিস সময় সকাল নয়টা থেকে বিকেল চারটা পর্যন্ত করা হয়। এখন আবার আগের সময়ে ফিরছে অফিস সময়।এ বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মাহবুব হোসেন বলেন, রোববার থেকে বৃহস্পতিবার সকাল নয়টা থেকে ৫টা পর্যন্ত অফিস চলবে। তবে দুপুর একটা থেকে দেড়টা পর্যন্ত নামাজ ও মধ্যাহ্নভোজের জন্য বিরতি থাকবে। আর শুক্রবার ও শনিবার ছুটি থাকবে। এখন কী কারণে অফিস সময় পুননির্ধারণ করা হলো, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, এটিই তো স্বাভাবিক ছিল। দিনে ৮ ঘণ্টা কাজ হবে। পাঁচদিনে ৪০ ঘণ্টা। এতদিন ৩৫ ঘণ্টা কাজ হতো, কিন্তু সেটি বিশেষ ব্যবস্থা ছিল। এখন আবার মূল অবস্থায় আসা হলো।
মাহবুব হোসেন বলেন, রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যান এলাকা থেকে শাহবাগ থানা স্থানান্তরিত হচ্ছে। এখন শাহবাগ থানার নতুন ঠিকানা হবে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের পার্শ্ববর্তী রমনা মৌজার সাকুরা রেস্টুরেন্ট এলাকায়। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে স্বাধীনতা স্তম্ভ নির্মাণ (তৃতীয় পর্যায়ের প্রথম সংশোধিত) প্রকল্পের জন্য এটি সরানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, রমনা মৌজার ৩৫ নম্বর দাগে ৩৯ দশমিক ৭ শতক জমি আছে সেই জায়গায় হবে শাহবাগ থানা। তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আওতায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে স্বাধীনতা স্তম্ভ নির্মাণ (তৃতীয় পর্যায়ের প্রথম সংশোধিত) প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে। এই প্রকল্প বাস্তবায়নের সুবিধার্থে ওই জায়গাটি (শাহবাগ থানার বর্তমান জায়গা) তাদের দরকার। তারা উপস্থাপন করেছে এ নিয়ে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের মধ্যে যে সমন্বয় করার চেষ্টা করছিলেন, কিন্তু তারা একমত হতে পারছিলেন না। সে জন্য মন্ত্রিসভায় আনা হয়েছে এবং মন্ত্রিসভা নির্দেশনা দিয়েছে। কতদিনের মধ্যে স্থানান্তর হবে জানতে চাইলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, এখন সিদ্ধান্ত হয়েছে, নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই হবে।
এ ছাড়া আজকের মন্ত্রিসভার বৈঠকে বাংলাদেশ বনশিল্প উন্নয়ন করপোরেশন আইনের খসড়া, জাতীয় জীবনিরাপত্তা নীতি-২০২৪ এর খসড়াসহ আরও কয়েকটি বিষয় অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
সূত্র:বাসস
নিজস্ব প্রতিবেদক : তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘মার্কিন কর্মকর্তাদের আগমন তাদের সাথে সম্পর্ক আরো ঘনিষ্ঠ হওয়ার বার্তাই বহন করে। এই আগমনকে আমরা স্বাগত জানাই।তিনি আজ দুপুরে সচিবালয়ে নিজ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন। যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা প্রায়ই আসছেন এবং চলতি মাসে সে দেশের পররাষ্ট্র দপ্তরের উচ্চ পর্যায়ের একটি প্রতিনিধি দলের আসার কথা রয়েছে -এ বিষয়ে প্রশ্ন করলে সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অনেক কর্মকর্তা এসেছেন এবং সহসাই আরো বেশ কয়েকজন আসবেন। তথ্যমন্ত্রী বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সাথে আমাদের সম্পর্ক বহুমাত্রিক। তাদের সাথে আমাদের নিরাপত্তা সংক্রান্ত সহযোগিতা রয়েছে এবং বিশ্বাঙ্গণেও বহুমাত্রিক সহযোগিতার মাধ্যমে আমরা কাজ করি। বাংলাদেশের উন্নয়নেও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বিরাট ভূমিকা রাখছে। বিএনপির মহাসচিব ইউরোপীয় ইউনিয়ন প্রতিনিধিদের বলেছেন, ‘কোনো দলীয় সরকারের অধীনে নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব না’ এ বিষয়ে প্রশ্নের জবাবে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘দেশের মালিক জনগণ। রাষ্ট্র ক্ষমতায় কারা যাবে সেটি নির্ধারণ করার মালিক হচ্ছে জনগণ। বিএনপির যদি কোনো নালিশ থাকে তা দিতে হবে জনগণের কাছে, বিদেশিদের কাছে নয়। জার্মানি, ফ্রান্স, নেদারল্যান্ড, বেলজিয়ামসহ ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলোতে এবং যুক্তরাজ্যে যেভাবে নির্বাচন হয়, সেখানে যে সরকার ক্ষমতায় থাকে তারাই নির্বাচনকালীন সরকারের দায়িত্ব পালন করে আমাদের দেশেও ঠিক একইভাবে নির্বাচন হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘নালিশ তারা করতে পারে কিন্তু আমি বিএনপিকে অনুরোধ জানাবো নালিশ জনগণের কাছে করার জন্য, বিদেশিদের হাতে-পায়ে না ধরার জন্য।বিএনপির সরকার পতনের এক দফা আন্দোলন চট্টগ্রাম থেকে শুরু হবে এমন ঘোষণার পরিপ্রেক্ষিতে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান চট্টগ্রামে নিহত হয়েছিলেন অভ্যন্তরীণ কোন্দলের কারণে। চট্টগ্রাম খুব তাৎপর্যপূর্ণ। তারা তো মাঝে মধ্যেই এক দফার আন্দোলনের ঘোষণা দেন। তো এক দফা আন্দোলন চট্টগ্রামেই মারা যায় কি না, সেটিই দেখার বিষয়।’ ভূ-রাজনীতির কোনো চাপ সরকারের ওপরে আছে কি না এমন প্রশ্নে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার কোনো চাপে নাই। ২০১৩-১৪-১৫ সালে বিএনপি আন্দোলনের নামে যে সহিংসতা করেছে, সেটি আমরা সামাল দিয়েছি। সেটি করার সামর্থ্য বিএনপির এখন নাই এবং ভূ-রাজনীতির কারণে আর এ ধরণের আন্দোলন করা তাদের পক্ষে সম্ভবপর নয়। আমরা জানি কখন কি করতে হবে।’তিনি বলেন, ‘বিএনপি সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনগুলো বর্জন করেছিলো এবং তাদের দলীয় কর্মী-সমর্থকদের এবং জনগণকেও বর্জন করার, ভোট কেন্দ্রে না যাওয়ার আহবান জানিয়েছিলো। তাদের এতো প্রচারণার মধ্যেও ৫০ শতাংশ ভোট কাস্ট হয়েছে। সুতরাং আগামী নির্বাচনেও জনগণ ব্যাপকভাবে অংশগ্রহণ করবে।’ ড. হাছান বলেন, ‘গণতন্ত্রের মূল বিষয় জনগণ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছে কি না। বিএনপি’র অংশগ্রহণ আমরা অবশ্যই স্বাগত জানাই। তবে তারা যদি নাও আসে, আগামী নির্বাচনে জনগণ থাকবে। এর আগে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিটিউট (পিআইবি) থেকে প্রকাশিত ‘পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তিচুক্তি: সংবাদপত্রে প্রতিফলন’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন করেন। পিআইবি’র মহাপরিচালক জাফর ওয়াজেদ, পরিচালক আবুল কালাম মোহাম্মদ শামসুদ্দিন, গ্রন্থকার গবেষক পপি দেবী থাপা প্রমুখ মোড়ক উন্মোচনে অংশ নেন। সূত্রঃ বাসস
প্রতিবেদনে সম্ভাবনাময় খাত হিসাবে ইলেকট্রনিক ভোগ্যপণ্য, তথ্যপ্রযুক্তি সেবা, টেলিযোগাযোগ, নবায়নযোগ্য জ্বালানির কথা বলা হয়েছে।
মূলত চীনের বিনিয়োগকারীদের বাজার সম্প্রসারণের ক্ষেত্রে কোন দেশগুলো আকর্ষণীয় গন্তব্য হতে পারে, তার সম্ভাবনার আলোকে প্রতিবেদনটি করা হয়েছে। চীনের বহুল আলোচিত অঞ্চল ও পথ উদ্যোগ দ্বিতীয় দশকে পদার্পণ উপলক্ষ্যে এই প্রতিবেদন দিয়েছে ইআইইউ।
বিনিয়োগের গন্তব্য হিসাবে কোন দেশগুলো চীনের বিনিয়োগকারীদের কাছে সবচেয়ে আকর্ষণীয় হতে পারে, তাদের নিয়ে একটি ক্রমতালিকা করেছে ইআইইউ। যেখানে বাংলাদেশের অবস্থান ১২তম। ২০১৩ সালের একই ক্রমতালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ৫২তম।
এই ক্রমতালিকার উপবিভাগ বাজার সম্প্রসারণমূলক বিনিয়োগের ক্ষেত্রে সবচেয়ে আকর্ষণীয় গন্তব্য দেশগুলোর তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান দ্বিতীয়। প্রথম স্থানে আছে ইন্দোনেশিয়া। এরপর ভিয়েতনাম, মালয়েশিয়া, পাকিস্তান, কম্বোডিয়া, মিসর, ভারত ও তানজানিয়া।
সরবরাহব্যবস্থার উন্নয়নমূলক বিনিয়োগে কোন দেশগুলো সবচেয়ে এগিয়ে সেই তালিকায় অবশ্য বাংলাদেশের অবস্থান অষ্টম। এই তালিকায় প্রথমে আছে সিঙ্গাপুর; এরপর আছে যথাক্রমে মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড, ইন্দোনেশিয়া, ভিয়েতনাম, মেক্সিকো ও মিসর। তবে আরেকটি উপসূচকে বাংলাদেশের অবস্থান সবার ওপরে। সেটা হলো যেসব দেশের সুযোগ বেশি যদিও ঝুঁকি কম।
রোববার রাতে রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন ম্যাক্রো। এসময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ফ্রান্সকে বাংলাদেশের বিশ্বস্ত উন্নয়ন সহযোগী বলে উল্লেখ করেন। এর পর প্রধানমন্ত্রীর আমন্ত্রণে রোববার রাতে নৈশভোজে অংশ নেন ম্যাক্রো।
এতে ধুমায়িত ইলিশ যেমন খেলেন, তেমনি কাচ্চি বিরিয়ানিরও স্বাদ নিলেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাঁক্রো। খেলেন পিঁয়াজু, সামুচাও। পান করলেন আমড়ার জুস।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে ম্যাঁক্রোর আপ্যায়নে ১৬ পদের আয়োজন করা হয়। যাতে ছিলো দক্ষিণ ভারতীয় একটি খাবারও। ওয়েলকাম ড্রিংকসে ছিলো আমড়ার জুস। ফরাসি রাষ্ট্রপ্রধানের সম্মানে দেওয়া নৈশভোজে এ্যাপেটাইজার হিসেবে ছিলো স্মোকড ইলিশ, পিঁয়াজু এবং সমুচা। রুটি আর মাখনের সহযোগে দেওয়া হয় দক্ষিণ ভারতীয় মাল্লিগাতওয়ানি কারি স্যুপ। মেইন কোর্সে ছিলো খাসির কাচ্চি বিরিয়ানি, গরুর শিক কাবাব, মুরগীর কোরমা, রোস্টেড লবস্টার, টক বেগুনের তরকারি ও লুচি।
শেষেপাতে ডেজার্টে পরিবেশন করা হয় পাটিসাপটা পিঠা, মিষ্টি দই, রসগোল্লা আর নানারকম ফল। পানীয়তে ছিল ফলের রস, কোমল পানীয়, চা ও কফি। নৈশভোজ শেষে ম্যাক্রোঁ বলেন বলেন, বিগত বছরগুলোতে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন অভূতপূর্ব; জলবায়ু, পরিবর্তন মোকাবিলায় বাংলাদেশের ভূমিকা প্রশংসনীয়।
রাত ৮টার দিকে দুই দিনের সফরে ঢাকায় পৌঁছেন ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ। এ সময় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাকে স্বাগত জানান বাংলাদেশ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
ভারতে জি-২০ সম্মেলন শেষে দুই দিনের সফরে ঢাকায় আসলেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট। গত ৩৩ বছরের মধ্যে এটি প্রথম কোনো ফরাসি প্রেসিডেন্টের ঢাকা সফর। ম্যাক্রোঁর এই ঢাকা সফরে ফ্রান্স ও বাংলাদেশের মধ্যে দুটি দ্বিপক্ষীয় চুক্তি স্বাক্ষর হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানা গেছে।
নিজস্ব প্রতিবেদক
দাম নিয়ন্ত্রণে ডিম আমদানির অনুমতি দিয়েছে সরকার। আপাতত ৪ প্রতিষ্ঠানকে ৪ কোটি ডিম আমদানির অনুমতি দেওয়া হয়েছে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ বাসসকে জানান, যে চারটি কোম্পানিকে ডিম আমদানির অনুমতি দেওয়া হয়েছে, তারা হলো মীম এন্টারপ্রাইজ, প্রাইম এনার্জি ইম্পোর্টার্স অ্যান্ড সাপ্লাইয়ার্স, টাইগার ট্রেডিং ও অর্ণব ট্রেডিং লিমিটেড। প্রতিটি প্রতিষ্ঠানকে এক কোটি করে মোট ৪ কোটি ডিম আমদানির অনুমতি দেওয়া হয়েছেবাণিজ্য সচিব তপন কান্তি ঘোষ বলেন, ঠিক কবে ডিম আমদানি হবে তা চার প্রতিষ্ঠানকে নির্দিষ্ট করে বলা হয়নি। তবে তাদেরকে বলা হয়েছে, যত দ্রুত সম্ভব ডিম আমদানি করতে হবে। তিনি বলেন, যেহেতু ঋণপত্র খুলে আমদানি করতে হবে, সেক্ষেত্রে কিছুটা সময় লাগতে পারে।তিনি জানান, কোন দেশ থেকে ডিম আমদানি করতে হবে, সেটিও নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়নি। আমদানিকারক ঠিক করবেন কোন দেশ থেকে ডিম আমদানি করবেন। তবে আমদানি করা ডিমের দাম কী হবে, তা ঠিক করে দেওয়া হয়েছে। বাণিজ্য সচিব বলেন, বাজারে যেহেতু ডিমের খুচরা মূল্য ১২ টাকা করে নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছে, তাই আমদানি করা ডিমও প্রতিটি ১২ টাকার বেশি দামে বিক্রি করা যাবে না।ডিম আমদানি করার ক্ষেত্রে চারটি শর্ত দেওয়া হয়েছে। এর প্রথমটি হলো, এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জা বা বার্ড ফ্লু মুক্ত দেশ থেকে ডিম আমদানি করতে হবে। দ্বিতীয়ত, আমদানি করা ডিমের প্রতিটি চালানের জন্য রপ্তানিকারক দেশের সরকার কর্তৃক নির্ধারিত বা ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্তৃপক্ষের দেওয়া এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জা বা বার্ড ফ্লু ভাইরাস ও ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া মুক্ত সনদ দাখিল করতে হবে।এছাড়া নিষিদ্ধ পণ্য আমদানি করা যাবে না এবং সরকারের অন্যান্য বিধিবিধান প্রতিপালন করতে হবে। এমন দুটো শর্তের কথাও আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানকে দেওয়া চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছেপ্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের হিসেব অনুযায়ী, দেশে প্রতি দিন চার কোটি ডিমের চাহিদা রয়েছে। ডিমের চাহিদার বিবেচনায় এক দিনের চাহিদা পূরণ করার জন্য শুরুতে সেই সংখ্যক ডিম আমদানি করা হবে। বাণিজ্য সচিব আরো বলেন, প্রয়োজন হলে আরও ডিম আমদানির অনুমতি দেওয়া হবে। ডিমের বাজারে সরবরাহ ও মূল্য পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। (সূত্র বাসস)
জুয়েল মিয়া, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, ‘প্রধানমন্ত্রী স্পষ্ট বলে দিয়েছেন,বিএনপি আন্দোলন করতে পারে। এটা রাজনৈতিক দলের অধিকার। কিন্তু কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা করে নয়। বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ব্যবস্থা নেবে।শুক্রবার (২৭ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১০ টার সময় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া রেলওয়ে জংশন স্টেশনে পৌঁছে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। এদিন পৌর আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় যোগ দিতে মন্ত্রী ঢাকা থেকে ট্রেনে করে আসেন। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের ‘রাতেও আদালত বসছে’- এমন মন্তব্যের প্রতিবাদ করেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, ‘আমি ওনাকে অনেক ভালো জানতাম। কিন্তু তিনি জনগণকে বিভ্রান্ত করতে অনেক কথাই বলে থাকেন।’ এ সময় আইন সচিব গোলাম সারওয়ার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসক শাহগীর আলম, পুলিশ সুপার মো. সাখাওয়াত হোসেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ আলী চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র তাকজিল খলিফা কাজল,উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) অংগ্যজাই মারমা, থানা অফিসার ইনচার্জ মো. আসাদুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।