স্বত্ব © 2025 দৈনিক পত্রিকা |
সম্পাদক ও প্রকাশক: উবায়দুর রহমান, ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: মোঃ জুয়েল মিয়া প্রতিষ্ঠাতা: পি বা লিজন।সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয়- পাইকপাড়া,লোকনাথ দিঘীর পাড়,পৌর কমিউনিটি সেন্টার ২য় তলা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া।দৈনিক পত্রিকা অনলাইন নিউজ পোর্টাল। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের কর্তৃক নিবন্ধনের জন্য প্রক্রিয়া দিন।newsdainikpatrika@gmail.com মোবাইল নাম্বার 01751406352,01715958768
জুয়েল মিয়া
মানুষের খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তার ব্যবস্থার জন্য সর্বাত্মক চেষ্টার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নব নিযুক্ত সিভিল সার্জন ডা.মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন বলেন, ‘স্বাস্থ্য বিভাগের প্রধান হিসেবে আমার উপর যে দায়িত্ব গুলো আছে বিশেষ করে সাধারণ মানুষ যেন নিরবিচ্ছিন্ন এবং উন্নত স্বাস্থ্য সেবা পায়, সরকারের সেবাটা যেন মানুষ পায় ; এটার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব এবং মানুষের খাদ্য পুষ্টি নিরাপত্তার ব্যবস্থার জন্য আমি অবশ্যই সর্বাত্মক চেষ্টা করবো। জনপ্রতিনিধি, সাংবাদিকবৃন্দ সহ সংশ্লিষ্টদের সাথে মতবিনিময় করে স্পেসিফিক সমস্যা গুলো চিহ্নিত করবো।আগামী সপ্তাহ থেকে কাজে নামব৷’
আজ বুধবার (২৭মার্চ) বিকাল সাড়ে ৩ টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার জনগণের স্বাস্থ্য সেবার মান উন্নয়নের বিষয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রতিবেদকের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
সিভিল সার্জন আরও জানান, এর আগে তিনি চাঁদপুর সদর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। পদোন্নতি পেয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সিভিল সার্জন হিসেবে যোগদান করেন। বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ থেকে পড়াশোনা শেষ করে ২৫ তম বিসিএসে উত্তীর্ণ হয়েছেন বলেও তিনি জানান।
এর আগে আজ বুধবার (২৭ মার্চ) অপরাহ্নে জেলার ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন ডা.মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন নব্য যোগদান করা সিভিল সার্জন ডা.মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন এর নিকট দায়িত্বভার হস্তান্তর করেন। এ দায়িত্বভার অর্পণ ও গ্রহণ অনুষ্ঠানে বিএমএ ব্রাক্ষনবাড়িয়া জেলার সাধারণ সম্পাদক ডা. মো: আবু সাঈদ,জেলার সকল ইউএইচএফপিওবৃন্দ, সিভিল সার্জন কার্যালয় সকল কর্মকর্তা কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
নিজস্ব প্রতিবেদক
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে বালু মহলে চাঁদা না পেয়ে দুর্বৃত্তদের গুলিতে দু’জন আহত হয়েছেন। রোববার (১৭ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলার বড়িকান্দি ইউনিয়নের সোনাবালুয়া ঘাটে এ ঘটনা ঘটে।আহতরা হলেন, বড়িকান্দি ইউনিয়নের ধরাভাঙ্গা গ্রামের রহিছ মিয়ার ছেলে সোহেল (৩০) ও ফজলু মিয়ার ছেলে মকবুল হোসেন (৪৫)। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় রাতে তাদের জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্যে পাঠানো হয়।স্থানীয়রা জানায়, চলতি বছরের গত সেপ্টেম্বর মাসে উপজেলার জাফরাবাদ ও নতুনচর বালু ইজারা প্রদান করে জেলা প্রশাসন। ইজারা পায় জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহাদাৎ হোসেন শোভনের মের্সাস মুন্সি এন্টারপ্রাইজ। জেলা শহরের বাসিন্দা শাহাদাৎ হোসেন শোভন ইজারা পাওয়ায় স্থানীয় একটি চক্র এনিয়ে নানান প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে। পরে তাদের সঙ্গে সমঝোতার ভিত্তিতে প্রায় দেড় মাস পর বালু মহালটি চালু করে ইজারাদার। কিন্তু বালু উত্তোলন শুরু হলে পাশের নরসিংদী জেলার রায়পুরা উপজেলার একটা গ্রুপ এ মহাল থেকে চাঁদা দাবি করে আসছিল।এনিয়ে বেশ কিছুদিন যাবত উত্তেজনা চলে আসছিল। এর জেরে রোববার সন্ধ্যায় মেঘনা নদী পথে কয়েকটি স্পিডবোটে করে নদীর তীরে ইজারাদারের হিসেবের ঘর লক্ষ্য করে গুলি ছুড়ে। এ ঘটনা দুজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। তাদের উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখান থেকে রাতে তাদের জেলা সদর হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসার জন্যে পাঠানো হয়েছে।এ বিষয়ে ইজারাদার শাহাদাৎ হোসেন শোভন বলেন, আমি ঢাকায় আছি। ঘটনাটি আমি জানতে পেরেছি। চাঁদার দাবিতে এ ঘটনা ঘটিয়েছে। এ ঘটনা মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (নবীনগর সার্কেল) সিরাজুল ইসলাম বলেন, স্পিডবোডে করে এসে আতর্কিত গুলি করা হয়েছে। দু’জনের হাতে গুলিবিদ্ধ হয়েছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। সূত্রঃ আদিত্য কামাল ।
নিউজ ডেস্ক : ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় একটি বিদেশি রিভলবার ও তিন রাউন্ড গুলিসহ দুইজনকে গ্রেফতার করেছেন র্যাব। বৃহস্পতিবার (১০ আগস্ট) মধ্যরাতে জেলা শহরের টি এ রোডে একটি মাইক্রোবাসে তল্লাশি চালিয়ে অস্ত্রসহ তাদের গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতাকৃতরা হলেন- হবিগঞ্জের চুনারুঘাট থানার রগুরামপুর এলাকার আব্দুল কাদির (৬৬) এবং একই থানার নোয়াগাঁও এলাকার মো.কামাল উদ্দিন (৪২)।
র্যাবরে মিডিয়া কর্মকর্তা সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার আফসান-আল-আলম বলেন, র্যাবের নিয়মিত চেকপোস্ট চলাকালে একটি মাইক্রোবাসে তল্লাশি করে রিভলবার ও তিন রাউন্ড গুলি পাওয়া যায়।
তিনি আরও বলেন, মাইক্রোবাসে থাকা দুইজনকে জিজ্ঞাসাবাদে তারা আগ্নেয়াস্ত্র হেফাজতে রাখার বিষয়ে বৈধ কোনো কাগজপত্র দেখাতে পারেননি। এই ঘটনায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় মামলা দিয়ে গ্রেফতারকৃতদের হস্তান্তর করা হয়েছে।
জুয়েল মিয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ার নবাগত ইউএনও রাবেয়া আক্তার যোগদান করেছেন। এর আগে তিনি জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে যোগদান করেন। যোগদান করার পর উপজেলার সকল দপ্তরের কর্মকর্তারা ফুলেল শুভেচ্ছা জানিয়ে নবাগত ইউএনওকে বরণ করে নেন।
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে সারাদেশে ইউএনও বদলী প্রক্রিয়ায় আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার অংগ্যজাই মারমাকে রাউজান উপজেলায় বদলী করা হয়। রাবেয়া আক্তারকে তাঁর স্থলাভিষিক্ত করা হয়।
জানা যায়, ইউএনও রাবেয়া আক্তার বিসিএস (এডমিন) ৩৪ তম ব্যাচের কর্মকর্তা। তিনি ঢাকা জেলার বাসিন্দা। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিন্যান্স এন্ড ব্যাংকিং বিষয়ে এমবিএ করেছেন। আখাউড়ায় যোগদানের আগে তিনি কুমিল্লার মেঘনা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা পদক ২০২৩ এ কুমিল্লা জেলার শ্রেষ্ঠ উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) নির্বাচিত হয়েছিলেন।
জুয়েল মিয়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদের মাসিক সভা থেকে ৮ সদস্যকে বের করে দিলেন জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আল মামুন সরকার। ইচ্ছেমতো প্যানেল চেয়ারম্যান বানানো এবং নিয়ম বহির্ভূতভাবে প্রকল্প গ্রহণ ও অর্থ বণ্টনের রেজুলেশনে স্বাক্ষর না করায় তাদেরকে বের করে দেয়া হয়েছে বলে জানা যায়। গতকাল পরিষদের তৃতীয় মাসিক সভায় এ ঘটনা ঘটে। পরিষদের সদস্যরা অভিযোগ করেন, সভার শুরুতে দ্বিতীয় সভায় স্বেচ্ছাচারিতার মাধ্যমে নেয়া সিদ্ধান্তের রেজুলেশনে স্বাক্ষর করতে চেয়ারম্যান আল মামুন সরকার তাদের বলেন । এতে রাজি না হওয়ায় চেয়ারম্যান তাদের সভা থেকে বেরিয়ে যেতে বলেন। দুপুর সাড়ে ১২টায় সভা শুরু হওয়ার কথা থাকলেও তা শুরু হয় দেড়টায়। এরপর মিনিট ১৫ সভায় অংশগ্রহণ ছিল ৮ সদস্যের। এ সময় জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান তার বিরুদ্ধে ওই সদস্যদের মন্ত্রণালয়ে করা অভিযোগের নিন্দা প্রস্তাব গ্রহণের কথা বলেন। এ নিয়ে সদস্যদের সঙ্গে তার তুমুল বাকবিতণ্ডা হয়। এরপরই সদস্যরা সভা ছেড়ে বেড়িয়ে আসেন। এদিকে সভাকে কেন্দ্র করে জেলা পরিষদে এক ইন্সপেক্টর ও ২ সাব-ইন্সপেক্টরের নেতৃত্বে মোট ১৫/২০ জন পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়। সংরক্ষিত সদস্য বিউটি কানিজ জানান, মিটিংয়ে যাওয়ার পর চেয়ারম্যান আমাদের বলেন আমরা নাকি উপজেলা চেয়ারম্যান ও মেয়রদের অপমান করার জন্যে লজ্জাকর ইতিহাস তেরি করেছি।এটি নিন্দনীয় কাজ হয়েছে বলে তিনি আমাদেরকে এ ব্যাপারে নিন্দা জানাতে বলেন। এ সময় আমরা নিন্দার বিষয়টি বাদ দিয়ে চেয়ারম্যানকে আমাদের কথা শুনতে বলি। তখন চেয়ারম্যান বলেন, কথা বলতে চাইলে আগে রেজুলেশনে স্বাক্ষর করেন, না হলে বেরিয়ে যান। আপনাদের মিটিংয়ে অ্যাটেন্ড করার দরকার নেই। যেহেতু আমাদের কথা বলতে দেবে না, আর ইতিপূর্বে প্যানেল চেয়ারম্যান ও বরাদ্দে বণ্টনের বিষয়ে চেয়ারম্যানের ইচ্ছেমতো নেয়া রেজুলেশনে স্বাক্ষর করতে বলা হচ্ছে, আমরা সেটি না করে বেরিয়ে আসি। ব্রাহ্মণবাড়িয়া উপজেলা থেকে নির্বাচিত পরিষদ সদস্য বাবুল মিয়া বলেন, মিটিংয়ে যাওয়ার পর চেয়ারম্যান বিগত মিটিংয়ের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে আমাদের স্বাক্ষর দিতে বলেন। আমাদের কোনো কথা শুনতে চাইছিলেন না। এ নিয়ে তার সঙ্গে আমাদের বাকবিতণ্ডা হয়। চেয়ারম্যান তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের নিন্দা প্রস্তাব দিতে বলেন। আমরা এরও প্রতিবাদ করি। এছাড়া জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আল মামুন সরকার তার নিজ ক্ষমতা বলে উপজেলা চেয়ারম্যান ও মেয়রদের ৪ লাখ টাকা করে এবং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদের ৩ লাখ টাকা করে বরাদ্দ বিভাজন করেন। শুধু তাই নয়, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান উন্নয়ন প্রকল্পের চাহিদা প্রদানের একটি ফরম ছাপিয়ে বণ্টন করেছেন। এ ছাড়া কোনো অনুমোদন ছাড়াই ৮/১০ লাখ টাকায় ৩ হাজার কম্বল ক্রয় করেন। এর আগে গত ৯ই ফেব্রুয়ারি স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ও সচিব বরাবর চেয়ারম্যান আল মামুন সরকারের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দেন পরিষদের ৮ সদস্য। তারা হচ্ছেন- আখাউড়ার সাইফুল ইসলাম, সরাইলের পায়েল হোসেন মৃধা, নাসিরনগরের সামসুল কিবরিয়া, আশুগঞ্জের বিল্লাল মিয়া, বাঞ্ছারামপুরের আবুল কালাম আজাদ, বিজয়নগরের বাবুল আক্তার, সদর উপজেলার বাবুল মিয়া ও সংরক্ষিত সদস্য বিউটি কানিজ।এতে অভিযোগ করা হয়, গত ১লা জানুয়ারি পরিষদের দ্বিতীয় সভায় বরাদ্দ বিতরণ নিয়ে সদস্যদের সঙ্গে বিরোধে জড়িয়ে পড়েন চেয়ারম্যান। পরিষদের প্রথম সভায় সকল সদস্যদের মতামত বা ভোটগ্রহণ ছাড়া তার অনুসারী ৩ সদস্যকে প্যানেল চেয়ারম্যান নির্বাচিত করেন। তাছাড়া সদস্যদের পাশ কাটিয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান, পৌরসভার মেয়র এবং ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানদের অনুকূলে অর্থ বরাদ্দ প্রদানের সিদ্ধান্ত নেন নিজেই। এমন সিদ্ধান্ত গ্রহণের বিষয়ে চেয়ারম্যান প্রকাশ্যেই বলেন, জেলা পরিষদ নির্বাচনের পূর্বে নির্বাচনের ভোটার উপজেলা চেয়ারম্যান, পৌরসভার মেয়র ও ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানদের অনুকূলে অর্থ বরাদ্দ প্রদানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তিনি। এটিপ্রচলিত আইন ও বিধিবিধানের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন উল্লেখ করে সদস্যরা তাদের অভিযোগে বলেন, জেলা পরিষদ (সংশোধন) আইন, ২০২২ অনুযায়ী জেলা পরিষদের উন্নয়ন কার্যক্রমের সঙ্গে উপজেলা পরিষদ/পৌরসভা সমূহের উন্নয়ন কার্যক্রমের সুষ্ঠু সমন্বয় নিশ্চিত করার জন্য উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, পৌরসভার মেয়রগণকে পদাধিকার বলে জেলা পরিষদের সদস্য হিসেবে নির্ধারণ করা হয়েছে। কিন্তু জেলা পরিষদের রাজস্ব ও এডিপি বরাদ্দ স্থানীয় সরকারের ওই সকল চেয়ারম্যান ও মেয়রের অনুকূলে বিভাজন করার কোনো বিধান রাখা হয়নি।
জুয়েল মিয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ ( সদর- বিজয়নগর) আসনের নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর পক্ষে প্রচারণা চালানোর অভিযোগে সদর উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা উম্মে সালমার প্রত্যাহারের দাবি করা হয়েছে। শুক্রবার ওই সরকারি কর্মকর্তার প্রত্যাহার দাবি করে জেলা প্রশাসক ও জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন কাঁচি প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থীর প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট শেখ ওমর ফারুক।এছাড়া সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছেও একই অভিযোগ করেছেন তিনি। স্বতন্ত্র প্রার্থী ফিরোজুর রহমানের প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট শেখ ওমর ফারুক লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করেন, নির্বাচন কমিশন সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ ও নিরপেক্ষভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালানোর পরেও অতিউৎসাহী সরকারি কর্মকর্তা উম্মে সালমা পক্ষপাতমূলক আচরণ করেছেন। যার ফলে নিরপেক্ষতা দারুণভাবে ক্ষুণ্ন হয়েছে৷ ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা উম্মে সালমা সরকারি অফিস ব্যবহার করে নৌকার প্রার্থীর পক্ষে কাজ করার জন্য বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদেরকে প্রভাবিত করছে। এসবের ছবি তাদের সংরক্ষণে রয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠানে নৌকার প্রার্থীর পক্ষে প্রচারণা এবং লিফলেট বিতরণ করেছেন। অভিযুক্ত শিক্ষা কর্মকর্তা উম্মে সালমা নৌকা প্রতীকের প্রার্থী র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীর স্ত্রী, মাউশির সদ্য সাবেক মহাপরিচালক ফাহিমা খাতুনের আত্মীয় ও ঘনিষ্ঠজন উল্লেখ করে লিখিত অভিযোগে বলা হয়, এই কর্মকর্তা আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দায়িত্বপ্রাপ্ত হলে অথবা ব্রাহ্মণবাড়িয়া কর্মস্থলে অবস্থান করলে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদেরকে প্রভাবিত করে সুষ্ঠু নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করবে। ফলে সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের স্বার্থে এই কর্মকর্তাকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে প্রত্যাহারের দাবি জানানো হয়। এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে অভিযোগকারী শেখ ওমর ফারুক বলেন, ওই কর্মকর্তা গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ ১৯৭২ এর সুস্পষ্ট লঙ্ঘন করেছেন৷ নৌকার প্রার্থীর পক্ষে প্রচারণার কিছু স্থিরচিত্র অভিযোগের সঙ্গে সংযুক্ত করা হয়েছে। এসব যাচাই-বাছাই করে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি। অভিযোগের বিষয়ে বক্তব্য জানতে চাইলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা উম্মে সালমা দৈনিক পত্রিকা প্রতিবেদককে বলেন, ‘এটা কি সম্ভব, আমি সরকারি চাকরি করি, আমি কোথাও কোনো প্রচারণায় অংশগ্রহণ করিনাই। লিফলেট আমি দেখিইনাই, বিতরণ করবো কোথায়।’
অভিযোগের বিষয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. হাবিবুর রহমান দৈনিক পত্রিকা প্রতিবেদককে বলেন, ‘অভিযোগ দেওয়া হয়েছে, তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’