স্বত্ব © 2025 দৈনিক পত্রিকা |
সম্পাদক ও প্রকাশক: উবায়দুর রহমান, ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: মোঃ জুয়েল মিয়া প্রতিষ্ঠাতা: পি বা লিজন।সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয়- পাইকপাড়া,লোকনাথ দিঘীর পাড়,পৌর কমিউনিটি সেন্টার ২য় তলা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া।দৈনিক পত্রিকা অনলাইন নিউজ পোর্টাল। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের কর্তৃক নিবন্ধনের জন্য প্রক্রিয়া দিন।newsdainikpatrika@gmail.com মোবাইল নাম্বার 01751406352,01715958768
জুয়েল মিয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলার সিঙ্গারবিল ইউনিয়নের কাশিনগর এলাকায় একটি লিচু বাগানের গাছের নিচ থেকে বস্তাভর্তি গাঁজা উদ্ধার করেছে চম্পকনগর পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যরা।
বুধবার (২৭ মার্চ) মধ্যরাতে সিঙ্গারবিল ইউনিয়নের কাশিনগর গ্রামের একটি লিচু বাগান থেকে বস্তাভর্তি ১৮ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে আসামিরা পালিয়ে যাওয়ায় তাদেরকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ সদস্যরা। তবে এ ঘটনায় এক জনের নাম উল্লেখ তবে দুইজনের নামে বিজয়নগর থানায় একটি মামলা করা হয়েছে। পলাতক আসামি হলেন সিঙ্গারবিল ইউনিয়নের নোয়াবাদী গ্রামের সিরাজ মিয়ার ছেলে ফরিসলাম (৩৫)। এ ঘটনায় আরও এক জনকে অজ্ঞাত দেখিয়ে দুইজনের বিরুদ্ধে থানায় মাদকদ্রব্য আইনের মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে বিজয়নগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আসাদুল ইসলাম সত্যতা নিশ্চিত করেন।
ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা যায়, সকালের দিকে এক ব্যক্তি অতিথি হোটেল থেকে খাবার নিয়ে যায়। পরবর্তীতে ওই খাবার মাংসে পঁচা দুর্গন্ধ পান। ওই ব্যক্তি বিষয়টি জানিয়ে উপজেলা সহকারী কমিশনারের কাছে অভিযোগ করেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে হোটেলে অভিযান চালিয়ে ফ্রিজের ভিতরে পঁচা মাংস ও ইদুর পায় ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ সময় হোটেল ব্যবসায়ী নজরুল ইসলামকে ভোক্তা অধিকার আইনে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মানে জেলা প্রশাসন ও বিআরটিএ’র উদ্যোগে একই দিনে ড্রাইভিং লাইসেন্স পরীক্ষা ও বায়োমেট্টিক গ্রহন উদ্বোধন করা হয়েছে।মঙ্গলবার (১৪ মার্চ) দুপুর ১২টায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক মো. শাহগীর আলম।অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট (এডিএম) হেলেনা পারভীনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড এপস) এ.এইচ.এম. কামরুল ইসলাম, সড়ক ও জনপথ, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নির্বাহী প্রকৌশলী নিজাম উদ্দিন আহমেদ, সিভিল সার্জনের প্রতিনিধি ডা. মাহমুদুল হাসান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের (টিটিসি) অধ্যক্ষ ওয়ালিওল্লাহ মোল্লা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মো. বাহারুল ইসলাম মোল্লা, জেলা ট্রাক মালিক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান তানিম, জেলা নাগরিক ফোরামের সভাপতি সাংবাদিক পিযুষ কান্তি আচার্য, সাংবাদিক শাহাদাৎ হোসেন, ট্রাফিক ইন্সপেক্টর দেবব্রত কর।স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিআরটি’র ব্রাহ্মণবাড়িয়া সার্কেলের সহকারি পরিচালক আবু আশরাফ সিদ্দিকী।
অনুষ্ঠানে ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য আসা পরীক্ষার্থী সদর উপজেলার সুলতানপুর গ্রামের আবদুল কাইয়ূম বলেন, আগে ফরম পূরণ করে ব্যাংকে গিয়ে সারিতে দাঁড়িয়ে টাকা জমা দিতে হতো। পরে বিআরটিএ’র কার্যালয়ে নথিপত্র জমা দিয়ে অপেক্ষা করতাম। ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য ওই কার্যালয়ে ১০/১২বার যেতে হতো। কিন্তু এবারই প্রথম একদিনে ড্রাইভিং লাইসেন্স পরীক্ষা ও বায়োমেট্রিক গ্রহন করা হয়েছে। এতে ভোগান্তি কমবে।
পরীক্ষার্থী ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের অর্থনীতি বিভাগের মাস্টার্স প্রথম বর্ষের ছাত্র সুজন ভূইয়া বলেন, তিনি জাপানি ভাষা শিখেছি। আগে দালালের মাধ্যমে ছোট ভাইয়ের ড্রাইভিং লাইসেন্স করেছি। এবার দালালের কাছে যেতে হয়নি। গত সোমবার মুঠোফোনে পরীক্ষার বার্তা পেয়েছি। মঙ্গলবার সকালে এসে পরীক্ষা ও বায়োমেট্রিক দিয়েছি।প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক মো. শাহগীর আলম বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মানে একই দিনে ড্রাইভিং লাইসেন্স পরীক্ষা ও বায়োমেট্টিক গ্রহন সরকারের একটি ভালো উদ্যোগ। সড়ক পরিবহন ও যোগাযোগ ব্যবস্থায় এটি একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ।
তিনি বলেন, সড়ক, মহাসড়কে শৃংখলা ফিরিয়ে আনতে ও দুর্ঘটনারোধে নিয়মিত মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হবে। তিনি দুর্ঘটনারোধে স্কুল-কলেজে প্রচারিভিযান করতে বিআরটিএ’র কর্মকর্তাদের প্রতি আহবান জানান।
জেলা প্রশাসক মো. শাহগীর আলম আরো বলেন, সরকার দুর্ভোগ কমাতে এই উদ্যোগ গ্রহন করেছে। সবাইকে বিষয়টি জানতে হবে যে, হয়রানি ও দুর্ভোগ ছাড়াই একদিনে লাইসেন্সের পরীক্ষা ও বায়োমেট্রিক গ্রহন করা হয়। কেউ লাইসেন্সের জন্য কোনো বাড়তি টাকা দাবি করলে বিষয়টি তাঁকে জানানোর জন্য তিনি পরীক্ষার্থীদের বলেন।অনুষ্ঠানে ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য ৬০ জন পরীক্ষার্থী অংশ গ্রহন করেন।
জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে ৩১ আগস্ট সন্ধ্যায় শিবপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের উত্তর-পূর্ব পাশে মাটির রাস্তায় বর্বর এ ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী নারীর নাম মোছা. নাছিমা আক্তার। তিনি শিবপুর কলেজ পাড়ার মলাই মিয়ার মেয়ে। মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানকার চিকিৎসকরা ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে পাঠান। নাছিমা এখন ওই হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছেন।
এ ঘটনায় শিবপুর ইউনিয়নের আকুবপুর গ্রামের নূরুল ইসলামের ছেলে মোছা মিয়াকে প্রধান আসামি করে ১৬ জন নামের থানায় মামলা হয়েছে। তবে পুলিশ কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না বলে আভিযোগ ভুক্তভোগী পরিবারের।
জানা যায়, স্ত্রী ও ৬ মেয়ে নিয়ে শিবপুর কলেজপাড়ায় নিজ বাড়িতে বসবাস করে আসছেন মলাই মিয়া। তিনি ও তার স্ত্রী বর্তমানে খুবই অসুস্থ। একটি জমি ক্রয়-বিক্রয় নিয়ে পরিবারটির সঙ্গে মোছা মিয়ার বিরোধ চলে আসছিল। শিবপুর ইউনিয়ন সদরে নাছিমাদের ১১ শতক জমি রয়েছে। ওই জমি ক্রয় করতে চান মোছা মিয়া। এজন্য নাছিমাকে প্রস্তাবও দিয়েছেন। কিন্তু নাছিমা জমি বিক্রি করতে রাজি না হওয়ায় ক্ষিপ্ত হন মোছা মিয়। এর জেরেই তার ওপর হামলা চালানো হয়।
ভুক্তভোগী নাছিমা জানান, মোছা মিয়া এলাকায় অহসায় এতিমদের জমি জবরদখল, সন্ত্রাসসহ নানা অপকর্মে জড়িত। এখন সে আমাদের জমি কিনতে চাচ্ছেন। রাজি না হওয়ায় সে প্রকাশ্যে ঘোষণা দেয়, যে কোনো মূল্যে ওই জমি দখল করবে। সেই পরিকল্পনার অংশ হিসাবে হত্যার উদ্দেশ্যে আমার ওপর হামলা করা হয়েছে।
নাছিমা বলেন, হামলাস্থল থেকে দেশীয় অস্ত্র উদ্ধারের সময় পড়ে থাকা আমার মোবাইল ফোনটি শিবপুর ফাঁড়ি পুলিশ নিয়ে গেছে। মঙ্গলবার রাতে থানায় অভিযোগ দেওয়া হলেও এখন পর্যন্ত আসামিদের ধরার কোনো ব্যবস্থা নেয়নি পুলিশ।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলেন মোছা মিয়া বলেন, ‘আমি এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত নই। উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে আমাকে ফাঁসাতে আসামি করা হয়েছে।
থানার অফিসার ইনচার্জ মাহবুব আলম জানান, অভিযোগ পেয়েছি। আইনি প্রক্রিয়ায় যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এদিকে বুধবার বিকালে উপজেলা নির্বাহী অফিসার একটি অনুষ্ঠানে শিবপুর গেলে নাছিমার মা হোছনে আরা তার কাছে বিষয়টি তুলে ধরে ন্যায়বিচার দাবি করেন। এ সময় নির্বাহী অফিসার তানভীর ফরহাদ শামিম ন্যায়বিচারের আশ্বাস দেন।
রবিবার (২৭ আগস্ট) রাতে শহরের পৌর কমিউনিটি সেন্টারে আয়োজিত সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ একরামুল্লাহ।
এ সময় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বি.এমের সভাপতি ডা. এফ. জামানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বি. এমের সাধারণ সম্পাদক ডা. মো আবু সাঈদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালের আর. এম. ও ডা. ফাইজুর রহমান ফায়েজ। স্কয়ার ফার্মার পক্ষে উপস্থিত ছিলেন স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস প্রোডাক্ট এক্সসিকিউটিভ মহিবুল ইসলাম, প্রোডাক্ট ম্যানেজার মো.আহসান হাবীব, রিজিওনাল সেলস ম্যানেজার মো. খাইরুল ইসলাম প্রমুখ।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জেলা বিএমএর আয়োজনে ও স্কয়ার ফার্মাসিটিক্যালের সহযোগিতায় আয়োজিত সায়েন্টিফিক সেশনে ডা. মারুফ হাসান ডেঙ্গুর আধুনিক চিকিৎসার বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন।
বক্তারা বলেন, স্কয়ারের ঔষধ খুবই গুণগতমানসম্পন্ন। স্কয়ারের এ অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকুক আমরা এ কামনা করি। ডেঙ্গুজ্বর থেকে সচেতন থাকার জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানান বক্তারা। এ সময় জ্বর হলে দ্রুত টেস্ট করা ও ডাক্তারদের শরণাপন্ন হওয়ার পরামর্শ দেন বক্তারা।বাড়ির আঙিনা পরিষ্কারের পাশাপাশি কোথাও পানি যাতে না জমে সেদিকে খেয়াল রাখার আহ্বান জানান বক্তারা।
এমন একটি সেমিনারের জন্য স্কয়ারের ভূয়সী প্রশংসা করেন। এ সময় জেলায় কর্মরত ১৬০ জন ডাক্তার উপস্থিত ছিলেন।