স্বত্ব © 2025 দৈনিক পত্রিকা |
সম্পাদক ও প্রকাশক: উবায়দুর রহমান, ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: মোঃ জুয়েল মিয়া প্রতিষ্ঠাতা: পি বা লিজন।সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয়- পাইকপাড়া,লোকনাথ দিঘীর পাড়,পৌর কমিউনিটি সেন্টার ২য় তলা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া।দৈনিক পত্রিকা অনলাইন নিউজ পোর্টাল। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের কর্তৃক নিবন্ধনের জন্য প্রক্রিয়া দিন।newsdainikpatrika@gmail.com মোবাইল নাম্বার 01751406352,01715958768
নিজস্ব প্রতিবেদক
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসক ( ডিসি) মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান বলেন,‘বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে হলে আমাদের সবাইকে মহান স্বাধীনতার চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে দুর্নীতিমুক্ত সুখী ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তোলায় আত্মনিয়োগ করতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে পৌঁছে দিতে হবে প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা নতুন প্রজন্মের মধ্যে ছড়িয়ে দেওয়ার জন্যই আমাদের এই প্রয়াস। জয় বাংলা, বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।’ সকাল ৯ টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া নিয়াজ মুহাম্মদ স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হয় বর্ণাঢ্য কুচকাওয়াজের আগে সাংবাদিকদের সাথে তিনি এসব কথা বলেন।ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সম্পর্কে জেলা প্রশাসক বলেন, ‘ রেমিট্যান্স অর্জনে এই জেলা বিশেষ সাফল্য অর্জন করেছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শতভাগ বিদ্যুতায়িত জেলা হিসেবে ঘোষিত হয়েছে। আশ্রয়ন প্রকল্পের প্রথম থেকে পঞ্চম পর্যায় বাস্তবায়নের মাধ্যমে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ছয় হাজার একশত ৪২ টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে দুই শতক জমির মালিকানাসহ ঘর প্রদান করা হয়েছে।’স্বাধীনতার চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে ভবিষ্যতের বাংলাদেশ বিনির্মাণ করবেন বলে জানান ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন।ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসন কর্তৃক আয়োজিত কুচকাওয়াজে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন। পরে পরিবেশন করা হয় বর্ণাঢ্য ডিসপ্লে। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ঐতিহ্যবাহী পুতুলনাচসহ ইতিহাস ঐতিহ্য ও মহান স্বাধীনতার দৃশ্য তুলে ধরা হয় ডিসপ্লেতে। বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা এতে অংশগ্রহণ করেন। এর আগে প্রথম প্রহরে জেলা প্রশাসনের পক্ষে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান, পুলিশের পক্ষ থেকে পুলিশ সুপার মুহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন, জেলা আওয়ামী লীগের পক্ষে দলের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবুল বারী চৌধুরী মন্টু, পৌরসভার পক্ষে পৌর মেয়র নায়ার কবীর স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। পরে একে একে সর্বস্তরের মানুষের জন্য স্মৃতিসৌধটি উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়।
জেলা প্রশাসক মো. শাহগীর আলম বলেন, আগামী ১৬ সেপ্টেম্বর শনিবার বিকেল সোয়া তিনটার দিকে ‘জেলাপ্রশাসক গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্ণামেন্ট ২০২৩‘ এর শুভ উদ্বোধন করা হবে। জেলার নয়টি উপজেলার এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভাসহ ১০টি দল টুর্নামেন্টে অংশ নিবে। জেলা শহরের নিয়াজ মুহাম্মদ স্টেডিয়ামে এই টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত হবে।
জুয়েল মিয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় ছাত্রলীগ নেতা নূরে আলম ভূঁইয়ার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। মঙ্গলবার ( ১২ ডিসেম্বর) বিকাল ৪ টা ৩০ মিনিটে ঢাকা এভার কেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন তিনি (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। কসবা উপজেলাধীন বিনাউটি ইউনিয়ন ছাত্রলীগ এর যুগ্ম আহবায়ক নূরে আলম ভূঁইয়া। তিনি বিনাউটি ইউনিয়নের নেমতাবাদ গ্রামের ওসমান গনী ভূইয়ার ছেলে।
তার মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক, এমপি। মাননীয় আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের ব্যক্তিগত সহকারী মো: আলাউদ্দিন বাবু সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে লেখেন, মন্ত্রী মহোদয় সার্বক্ষনিক তার খোঁজ রেখেছিলেন আর চিকিৎসার সার্বিক ব্যয়ভার বহন করেন। শোকবার্তায় আইনমন্ত্রী মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং তাঁর শোকার্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান। তার পরিবারের পাশে সবসময় থাকার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
নিজস্ব প্রতিবেদক : বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা কমিটির নির্বাহী সদস্য ও শহর শাখার সাবেক সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ বশির আহমেদ ভূঁইয়া’র বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে সুনামগঞ্জের জাবির হোসেন।
গত বছরের ২৮ অক্টোবর (২০২৪ ইং) ৩৫০ জনকে আসামি করে এ মামলা দায়ের করা হয়। মামলা নং- ৭৪। এর মধ্যে বশির আহমেদ ৭ নম্বর আসামি।
মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত ২৬/৩/২০২১ ইং সনে ভারতের প্রধান মন্ত্রী নরেদ্র মোদীর বাংলাদেশ সফরের বিরুদ্ধে সারাদেশের মানুষ মোদির সফর বিরোধী আন্দোলনে লিপ্ত হয়। উক্ত আন্দোলনের ফলে সৃজিত উত্তেজনা চট্রগ্রামে একটি মাদ্রাসায় ছাত্র-জনতার বিক্ষোভে আওয়ামীলীগ ক্যাডাররা পুলিশের ছত্রছায়ায় গুলি করে ৪ জন মাদ্রাসা ছাত্রকে হত্যা করে। ফলে সারাদেশে মোদি বিরোধী আন্দোলন তীব্র থেকে তীব্রতর হয়। তারই ধারাবাহিকতায় ২৬/৩/২০২১ ইং তারিখ শুক্রবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ছাত্র-শিক্ষক ধর্ম ভীরু তৌহিদী জনতা শহরে বিক্ষোভ মিছিল করে। এর পরের দিন শনিবার হেফাজতে ইসলামের ডাকে হরতালের সমর্থনে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ধর্মভীরু তৌহিদী জনতা এবং মাদ্রাসা ছাত্র-শিক্ষকের সমন্বয়ে একটি মিছিল নন্দনপুর বাজারে বিক্ষোভ মিছিল করিলে আওয়ামী ক্যাডাররা বন্দুক, শর্টগান, পিস্তল, কাটা রাইফেল, চাইনিজ রাইফেল ইত্যাদি অস্ত্রাদি নিয়া ঘটনাস্থলে এলোপাথাড়ি গুলিবর্ষণ শুরু করে। সন্ত্রাসীদের গুলি আমার ছেলে বাদল মিয়ার কোমড়ের ডানপাশ্বে লাগিয়া বামপাশে দিয়ে বের হয়। পরে আমার ছেলেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে আনিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করে। সদর হাসপাতালে তাহার মৃত্যুর সংবাদে উত্তেজনা সৃষ্টি হইলে প্রশাসনিক নির্দেশে এবং তাদের চাপে বিনা পোষ্টমর্টেমে আমার ছেলেকে গ্রামের বাড়িতে নিয়ে দাফনকাজ সম্পন্ন করা হয়।