নিজস্ব প্রতিবেদক : শিক্ষার মানোন্নয়নে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের অভিযোগ জানাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে দেশের প্রথমবারের মতো চালু করা হয়েছে ‘স্মার্ট অভিযোগ বক্স’। এই অভিযোগ বক্সে অনলাইনের মাধ্যমে ঘরে বসেই অভিযোগ জানানো যাবে। সোমবার (২১ আগস্ট) বিকেলে আশুগঞ্জ উপজেলা পরিষদের অডিটোরিয়ামে এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি থেকে এই বক্সের উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক মো. শাহগীর আলম।
আশুগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, বর্তমান সরকারের স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষ্যে গৃহীত পরিকল্পনার চারটি স্তম্ভের দুইটি স্তম্ভ হলো স্মার্ট গভর্নমেন্ট ও স্মার্ট সিটিজেন। শিক্ষার মানোন্নয়নে এই স্মার্ট সিটিজেন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। সরকারের এই পরিকল্পনার বাস্তবায়নেরবায়নের লক্ষ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ উপজেলার প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও মাদ্রাসার শিক্ষার মানোন্নয়নের জন্য উপজেলার সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রী ও অভিভাবকবৃন্দের অভিযোগ/মতামত/পরামর্শ গ্রহণের দ্রুততম এবং স্মার্ট মাধ্যম হিসেবে “স্মার্ট অভিযোগ বক্স” নামে একটি ডিজিটাল মাধ্যম তৈরি করেছে আশুগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন।অনলাইনভিত্তিক এই এপ্লিকেশনটি ব্যবহার করে উপজেলার যেকোনো অভিভাবক ও ছাত্র-ছাত্রী সরাসরি তার অভিযোগ/মতামত/পরামর্শ উপজেলা প্রশাসন বরাবর প্রেরণ করতে পারবে। সেসকল অভিযোগ/মতামত/পরামর্শ উপজেলা নির্বাহী অফিসার, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার ও উপজেলা শিক্ষা অফিসার আমলে নিয়ে দ্রুততম সময়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারে।
আশুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শ্যামল চন্দ্র বসাক জানান, এই পদ্ধতিটি দেশে প্রথমবারের মতো আশুগঞ্জ উপজেলার ৭১টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে চালু করা হয়েছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কার্যপদ্ধতির সঠিকতা যাচাই এবং ছাত্র-ছাত্রী ও অভিভাবকবৃন্দের মতামত গ্রহণের জন্য বর্তমানে যে পদ্ধতিগুলি প্রচলিত তার মধ্যে রয়েছে অভিভাবক সমাবেশ, মা সমাবেশ ও প্রতিষ্ঠানে ম্যানুয়েল অভিযোগ বক্স স্থাপন প্রভৃতি। কিন্তু বর্তমানের এসকল পদ্ধতিগুলির কার্যকারিতা অনেকটাই অপ্রতুল এবং শিথিল হয়ে পরেছে। এসকল সমস্যা একটি যৌক্তিক সমাধান হবে “স্মার্ট অভিযোগ বক্স” অ্যাপ্লিক্যাশনটি। যা ব্যবহার করে যেকোন ছাত্র-ছাত্রী বা তাদের অভিভাবক যেকোন সময় যেকোন স্থান থেকে তাদের মূল্যবান মতামত/অভিযোগ নির্বিঘ্নে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করতে পারবে। যাচাই-বাছাইয়ান্তে প্রাপ্ত অভিযোগ/মতামত ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ আমলে নিয়ে প্রয়োজনীয় প্রদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারবে ফলে সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সজুতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত হবে।
এটি ব্যবহারের জন্য যে কোন এনড্রয়েড মোবাইল ফোন দিয়ে Play store থেকে “স্মার্ট অভিযোগ বক্স’ এ্যাপ্লিকেশনটি ডাউনলোড করে ওপেন করতে হবে অথবা যে কোন ব্রাউজারে www.smartavijogbox.com এই ঠিকানার মাধ্যমে প্রবেশ করতে হবে। এরপর প্রয়োজনীয় কিছু তথ্য পূরন করে অভিযোগ/মতামত লিখে খুব সহজেই তা প্রেরণ করা যাবে উপজেলা নির্বাহী অফিসার, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার, উপজেলা শিক্ষা অফিসারের কাছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শ্যামল চন্দ্র বসাকের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান হানিফ মুন্সি, আশুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাহিদ আহমদ, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান লিমা সুলতানা ও আশুগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি মোজাম্মেল হক প্রমুখ।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে মাথায় বাঁশ পড়ে জুবেদা বেগম (৬০) নামের এক ভিক্ষুক প্রাণ হারিয়েছে।
মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) রাত সাড়ে ১১টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ওই ভিক্ষুক মারা যান৷ সন্ধ্যায় খড়িয়ালা গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
জুবেদা খাতুন উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নের খড়িয়ালা গ্রামের খোদেজা বেগমের বাড়িতে বসবাস করেন। জুবেদা খাতুনের স্বামী/পিতার নাম-ঠিকানা জানা যায়নি।
হাসপাতাল ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, খোদেজা বেগমের বাড়িতে ৫-৬ মহিলা ভিক্ষুক বসবাস করেন। এসব ভিক্ষুক গ্রামে বিভিন্ন এলাকায় ভিক্ষা করেন। জুবেদা বেগম ভিক্ষা শেষে বাড়িতে আসার পর হঠাৎ তীরের বাঁশ জুবেদার মাথায় পড়ে গুরুত্বর ভাবে আহত হয়। পরে পাশের বাড়ির খোকন মিয়া জুবেদাকে উদ্ধার করে প্রথমে আশুগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং পরবর্তীতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করে। তারপর রাত সাড়ে ১১টার দিকে হাসপাতালের সার্জারী বিভাগে চিকিৎসাধীন অবস্থায় জুবেদা মারা যান।
এব্যাপারে আশুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত (ওসি) নাহিদ আহমেদ জানান, মাথায় বাঁশ পড়ে এক ভিক্ষুক মারা গেছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হচ্ছে।
জুয়েল মিয়া
আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক বলেছেন, ‘বিএনপি নেতা যাদের গ্রেফতার করা হয়েছে, তাদেরকে সুনির্দিষ্ট মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের বিচার ও জামিনের বিষয়ে একমাত্র আদালত কথা বলতে পারবে।’
বিএনপি নির্বাচনে এলে সব নেতাদের মুক্তি দেওয়া হবে, কৃষি মন্ত্রীর দেওয়া এমন বক্তব্যের প্রেক্ষিতে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘কৃষিমন্ত্রী যা বলেছেন সেটি তার ব্যক্তিগত অভিমত। এটা দলের অভিমত নয়।’
তিনি আরও বলেন, ১৯৭৫ সালে বিএনপি যখন বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারকে হত্যা করে স্বৈরশাসন চালাচ্ছিল, তখন বিচার বিভাগকে করাপ্ট করা হয়েছে। এখন সে অবস্থা নেই। বর্তমানে বাংলাদেশের বিচার বিভাগ স্বাধীন।
মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ার সড়ক বাজার এলাকায় আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনী প্রচারণা চালানোর সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নে আইনমন্ত্রী এ কথা বলেন। মন্ত্রী আরও বলেন, বিগত দশ বছরে কসবা-আখাউড়ায় ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। জনগণের ভালবাসায় আগামীতেও এই উন্নয়ন অব্যাহত রাখা হবে। এ সময় আখাউড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. আলী চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক তাকজিল খলিফা কাজলসহ দলীয় নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। এ দিকে মন্ত্রীর আগমনকে ঘিরে এলাকায় উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে। পরে তিনি আখাউড়ার কল্লা শহীদ মাজার জিয়ারত করেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে শ্বশুর বাড়ির লোকদের সঙ্গে অভিমান করে জুমা আক্তার (২৬) নামে এক গৃহবধূ কীটনাশক ওষুধ খেয়ে আত্মহত্যার অভিযোগ উঠেছে।
মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) দুপুরে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করেছে পুলিশ। গতকাল রাত সাড়ে ৯টার দিকে নবীনগর পৌরসভার পশ্চিম পাড়া এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
নিহত জুমা আক্তার সদর উপজেলার মাছিহাতা ইউনিয়নের কাছাইট গ্রামের দক্ষিণ পাড়ার আবু লাল মিয়ার মেয়ে।
পরিবার ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ১০ বছর আগে জুমা আক্তারকে নবীনগরের শিবপুর গ্রামের মো. রাশেদ মিয়ার ছেলে সৌদি প্রবাসী ইয়াকুব মিয়া কাছে পারিবারিক ভাবে বিয়ে দেন। বিয়ের পর থেকে নবীনগর পৌরসভার পশ্চিম পাড়া এলাকায় তারা থাকেন। তাদের সংসারে জাকারিয়া নামে একটি ছেলে সন্তান আছে। বিয়ের পর থেকেই ছোটখাটো বিষয় নিয়ে একাধিকবার শ্বশুর-শ্বাশুড়ি ও ছোট জাঁ আফরোজার হাতে মার খেতে হয়েছে। দুদিন আগেও জুমাকে মারধোর করেছে তারা৷ এসব বিষয় নিয়ে শ্বশুর বাড়ির লোকদের সঙ্গে অভিমান করে জুমা কীটনাশক ওষুধ খেয়ে আত্মহত্যা করেন।
জুমার বাবা আবু লাল মিয়ার অভিযোগ, শ্বশুর-শ্বাশুড়ি ও ছোট জাঁ জুমাকে পিটিয়ে হত্যা করেছে। জুমা কীটনাশক ওষুধ খেয়ে আত্মহত্যা করেনি, তাকে হত্যার পর কীটনাশক ওষুধ খাওয়ানো হয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত সহযোগিতা চেয়েছেন।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে. নবীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাহবুব আলম জানান, পারিবারিক কলহের জেরে এক গৃহবধূ আত্মহত্যা করেছে। লাশ ময়নাতদন্ত শেষে নিহতের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছি। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসলে মৃত্যুর সঠিক কারন বলা যাবে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে নিখোঁজের ৩দিন পর তিতাস নদী থেকে রহমত আলী (৬৯) নামের এক বৃদ্ধের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
বুধবার (১৭ জানুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার শাহবাজপুরে তিতাস নদীর সেতু এলাকা থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। রহমত আলী উপজেলার আইড়ল গ্রামের মৃত জহের আলীর ছেলে।
সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ এমরানুল ইসলাম জানান, রহমত আলী বাংলাদেশ ব্যাংকের কেয়ারটেকার পদ থেকে অবসর গ্রহণ করেছেন। তার ছেলেও একই পদে চট্রগ্রামে চাকুরী করেন। তিনি চট্রগ্রামে ছেলের কাছে থাকতেন। সম্প্রতি তিনি উপজেলার দেওড়া গ্রামে তার মেয়ের বাড়িতে বেড়াতে আসেন। গত ১৪ জানুয়ারি সন্ধ্যায় রহমত আলী মসজিদে নামাজে গিয়ে আর বাড়ি ফেরেননি। এই ঘটনায় তার মেয়ে একটি সাধারণ ডায়েরি করেছিলেন। বুধবার তার মরদেহ পাওয়া গেছে।
তিনি আরও জানান, মরদেহের শরীরে কোন আঘাতের চিহ্ন নেই। ইতিপূর্বে তিনি তিনবার ষ্ট্রোক করে মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেছিলেন। মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্যে পাঠানো হচ্ছে।