স্বত্ব © 2025 দৈনিক পত্রিকা |
সম্পাদক ও প্রকাশক: উবায়দুর রহমান, ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: মোঃ জুয়েল মিয়া প্রতিষ্ঠাতা: পি বা লিজন।সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয়- পাইকপাড়া,লোকনাথ দিঘীর পাড়,পৌর কমিউনিটি সেন্টার ২য় তলা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া।দৈনিক পত্রিকা অনলাইন নিউজ পোর্টাল। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের কর্তৃক নিবন্ধনের জন্য প্রক্রিয়া দিন।newsdainikpatrika@gmail.com মোবাইল নাম্বার 01751406352,01715958768
সালমান হোসাইন
বীমা শিল্পের উন্নয়ন ও বীমা সম্পর্কে জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে (১ মার্চ) দেশে ৫ম বারের মতো উৎযাপিত হলো জাতীয় বীমা দিবস ২০২৪। বর্ণাঢ্য আয়োজনে প্রতি বছর দেশজুড়ে পালিত হয়ে আসছে দিবসটি। বরাবরের মতো
এ বছরেও দিবসটি উদযাপনে নানা কর্মসূচি হাতে নিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ এবং বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ) ।ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জাতীয় বীমা দিবস উদযাপিত হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে র্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।১ মার্চ ২০২৪ শুক্রবার সকালে “করবো বীমা গড়বো দেশ স্মার্ট হবে বাংলাদেশ”এই প্রতিপাদ্য বিষয় নিয়ে দিবসটি উপলক্ষে সকালে জেলা প্রশাসকের অফিস প্রাঙ্গণ থেকে জেলা প্রশাসক জনাব হাবিবুর রহমান নেতৃত্বে একটি র্যালি বের হয়ে শহরের কাউতলী মোড় প্রদক্ষিণ করে জেলা প্রশাসকের অফিস প্রাঙ্গনে গিয়ে শেষ হয়।পরে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক জনাব হাবিবুর রহমান,উক্ত আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক জনাব সাইফুল ইসলাম ও জনাব জয়নাল আবেদীন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ ও প্রশাসন), প্রমুখ।শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন জনাব মিজানুর রহমান, ইনচার্জ জীবন বীমা কর্পরেশন ও সভাপতি জেলা জীবন বীমা। বক্তব্য রাখেন জনাব নাজমুল ইসলাম, ইনচার্জ সোনালী লাইফ ইন্সুরেন্সের কোম্পানী লিমিটেড সহ আরও অন্যান্য বীমা কোম্পানির ইনচার্জ গণ।বীমা শিল্পের উন্নয়ন ও বীমা সম্পর্কে জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ২০২০ সালের ১ মার্চ প্রথমবারের মতো দেশব্যাপী জাতীয় বীমা দিবস পালিত হয়। রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে জাতীয় বীমা দিবসের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।প্রতি বছর জাতীয় বীমা দিবস যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপনে দেশের সকল বিভাগ, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে নানান কর্মসূচি গ্রহণ করে সরকার। শুরুতে দিবসটি ‘খ’ শ্রেণীতে পালনের জন্য অনুমোদন দেয় হয়।২০২১ সালের ১ মার্চ জাতীয় বীমা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ‘জাতীয় বীমা দিবস’কে ‘ক’ শ্রেণীর দিবস হিসেবে ঘোষণা দিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি দাবি জানান বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স অ্যাসোসিয়েশন (বিআইএ)’র প্রেসিডেন্ট শেখ কবির হোসেন।পরবর্তীতে ২০২২ সালের ২ জানুয়ারি দিবসটিকে ‘ক’ শ্রেণীতে উন্নীতকরণের আবেদন জানায় বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ) ।জাতীয় বীমা দিবস এখন ‘ক’শ্রেণীতে ২০২২ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের এক সভায় জাতীয় বীমা দিবসকে ‘খ’ শ্রেণী থেকে ‘ক’ শ্রেণীতে অন্তর্ভুক্ত করার সিদ্ধান্ত হয়। এরপর ১০ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে দিবসটিকে ‘ক’ শ্রেণীভুক্ত করার প্রস্তাব অনুমোদন দেয়া হয়।
নিজস্ব প্রতিবেদক : ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় অর্ধশতাধিক প্রতিবন্ধীদের মাঝে শীতবস্ত্র ও খাবার বিতরণ করেছে রংধনু ও উর্মি বিউটি পার্লার।
নিজস্ব প্রতিবেদক, মোঃ জুয়েল মিয়া
চলন্ত অবস্থায় চট্টগ্রাম থেকে ঢাকাগামী আন্তঃনগর সুবর্ণ এক্সপ্রেসের দুই বগি বিচ্ছিন্ন হওয়ার ঘটনা ঘটেছে।মঙ্গলবার (২৭ জুন) সকাল সোয়া ১০টার দিকে ট্রেনটি আখাউড়া রেলওয়ে স্টেশন পার হওয়ার পর এ ঘটনা ঘটে। মেরামত শেষে বেলা পৌনে ১২টার দিকে ট্রেনটি ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যায়। তবে এতে কেউ হতাহত হয়নি। আখাউড়া রেলওয়ে জংশন স্টেশন সূত্র জানায়, ট্রেনের ১৩১০ ও ১৩০৫ নম্বর বগি চলন্ত অবস্থায় আলাদা হয়ে যায়। পেছনের দিকের ওই দুটি বগির সংযোগস্থলের যন্ত্র ভেঙে খসে পড়লে এ ঘটনা ঘটে। আখাউড়া রেলওয়ে জংশনের টিএক্সআর কার্যালয়ে দায়িত্বরতরা বগি দুটি সংযোগ করলে ট্রেনটি ঢাকা উদ্দেশে ছেড়ে যায়। এ বিষয়ে আখাউড়া রেলওয়ে জংশন স্টেশনের ঊর্ধ্বতন উপসহকারী প্রকৌশলী (হেড টিএক্সআর) মো. শামীম আহমেদ জানান, ট্রেনের দুই বগির মাঝখানের বাফার শেঙ্ক ভেঙে যায়। মেরামত করতে ২০ মিনিটের মতো সময় লাগে বলে জানান তিনি।
শাহাদাত হোসেন সোহেল,ব্রাহ্মণবাড়িয়া : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলার বুধন্তি এলাকায় রবি টাওয়ারের নিচ থেকে মঙ্গলবার (১৮ জুলাই) সকালে আবু লাল ভুঞা (৬০) নামের এ বৃদ্ধের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ । নিহত বৃদ্ধ উপজেলার বুধন্তি ইউনিয়নের বুধন্তি গ্রামের মৃত আব্দুল জব্বার ভূইয়ার ছেলে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীর জানায়, বুধন্তি এলাকায় রবি টাওয়ারে মধ্যরাতে চুরি সংঘটিত হয়েছে। এসময় টাওয়ারের নাইট গার্ড আবু লাল ডিউটিতে ছিলো। ধারনা করা হচ্ছে চোররা সহজে চুরি সংঘটিত করতে গিয়ে তাকে মেরে টাওয়ারের যন্ত্রপাতি নিয়ে যায়। সকালে টাওয়ারের পাশে লাশ দেখতে পেয়ে স্থানীয় লোকজন পুলিশে খবর দিলে বিজয়নগর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তার লাশ উদ্ধার করে। এ ব্যাপারে বিজয়নগর থানার অফিসার ইনচার্জ ( ওসি) রাজু আহমেদ জানান, আমরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করেছি। ধারণা করা হচ্ছে রবি টাওয়ারে চুরি করার সময় চুরের দল নাইট গার্ড আবু লালকে মেরে ফেলেছে।তবে নিহতের শরীরে তেমন আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন শেষে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মানে জেলা প্রশাসন ও বিআরটিএ’র উদ্যোগে একই দিনে ড্রাইভিং লাইসেন্স পরীক্ষা ও বায়োমেট্টিক গ্রহন উদ্বোধন করা হয়েছে।মঙ্গলবার (১৪ মার্চ) দুপুর ১২টায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক মো. শাহগীর আলম।অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট (এডিএম) হেলেনা পারভীনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড এপস) এ.এইচ.এম. কামরুল ইসলাম, সড়ক ও জনপথ, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নির্বাহী প্রকৌশলী নিজাম উদ্দিন আহমেদ, সিভিল সার্জনের প্রতিনিধি ডা. মাহমুদুল হাসান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের (টিটিসি) অধ্যক্ষ ওয়ালিওল্লাহ মোল্লা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মো. বাহারুল ইসলাম মোল্লা, জেলা ট্রাক মালিক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান তানিম, জেলা নাগরিক ফোরামের সভাপতি সাংবাদিক পিযুষ কান্তি আচার্য, সাংবাদিক শাহাদাৎ হোসেন, ট্রাফিক ইন্সপেক্টর দেবব্রত কর।স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিআরটি’র ব্রাহ্মণবাড়িয়া সার্কেলের সহকারি পরিচালক আবু আশরাফ সিদ্দিকী।
অনুষ্ঠানে ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য আসা পরীক্ষার্থী সদর উপজেলার সুলতানপুর গ্রামের আবদুল কাইয়ূম বলেন, আগে ফরম পূরণ করে ব্যাংকে গিয়ে সারিতে দাঁড়িয়ে টাকা জমা দিতে হতো। পরে বিআরটিএ’র কার্যালয়ে নথিপত্র জমা দিয়ে অপেক্ষা করতাম। ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য ওই কার্যালয়ে ১০/১২বার যেতে হতো। কিন্তু এবারই প্রথম একদিনে ড্রাইভিং লাইসেন্স পরীক্ষা ও বায়োমেট্রিক গ্রহন করা হয়েছে। এতে ভোগান্তি কমবে।
পরীক্ষার্থী ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের অর্থনীতি বিভাগের মাস্টার্স প্রথম বর্ষের ছাত্র সুজন ভূইয়া বলেন, তিনি জাপানি ভাষা শিখেছি। আগে দালালের মাধ্যমে ছোট ভাইয়ের ড্রাইভিং লাইসেন্স করেছি। এবার দালালের কাছে যেতে হয়নি। গত সোমবার মুঠোফোনে পরীক্ষার বার্তা পেয়েছি। মঙ্গলবার সকালে এসে পরীক্ষা ও বায়োমেট্রিক দিয়েছি।প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক মো. শাহগীর আলম বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মানে একই দিনে ড্রাইভিং লাইসেন্স পরীক্ষা ও বায়োমেট্টিক গ্রহন সরকারের একটি ভালো উদ্যোগ। সড়ক পরিবহন ও যোগাযোগ ব্যবস্থায় এটি একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ।
তিনি বলেন, সড়ক, মহাসড়কে শৃংখলা ফিরিয়ে আনতে ও দুর্ঘটনারোধে নিয়মিত মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হবে। তিনি দুর্ঘটনারোধে স্কুল-কলেজে প্রচারিভিযান করতে বিআরটিএ’র কর্মকর্তাদের প্রতি আহবান জানান।
জেলা প্রশাসক মো. শাহগীর আলম আরো বলেন, সরকার দুর্ভোগ কমাতে এই উদ্যোগ গ্রহন করেছে। সবাইকে বিষয়টি জানতে হবে যে, হয়রানি ও দুর্ভোগ ছাড়াই একদিনে লাইসেন্সের পরীক্ষা ও বায়োমেট্রিক গ্রহন করা হয়। কেউ লাইসেন্সের জন্য কোনো বাড়তি টাকা দাবি করলে বিষয়টি তাঁকে জানানোর জন্য তিনি পরীক্ষার্থীদের বলেন।অনুষ্ঠানে ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য ৬০ জন পরীক্ষার্থী অংশ গ্রহন করেন।
নিজস্ব প্রতিবেদক
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় প্রতিপক্ষের হামলায় গুরুতর আহত ব্যবসায়ী কামাল ভুইয়া আশংকাজনক অবস্থায় আইসিইউতে রয়েছেন। তিনি উপজেলার মোগড়া ইউনিয়নের নিলাখাদ গ্রামের বাসিন্দা। গত ২১অক্টোবর সন্ধ্যা ৬ ঘটিকার সময় আখাউড়া উপজেলার মোগড়া বাজারস্থ দক্ষিণ সিএনজি স্ট্যান্ড মসজিদ রোডের সামনে কামাল ভুইয়াকে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র দিয়ে পিটিয়েছে প্রতিপক্ষের লোকজন। অভিযুক্তরা হলেন গঙ্গানগর গ্রামের আনিছ মিয়া(৫২), আনিছ মিয়ার ছেলে বাবু মিয়া (২৫), আনিছ মিয়ার স্ত্রী পারভীন আক্তার, জাংগাল গ্রামের জুলহাস মিয়ার ছেলে নবীর হোসেন (২৮) ও সাইদুল মিয়া, মৃত জজ মিয়ার ছেলে আনোয়ার( ৩৮), কমল মিয়ার ছেলে ছোটন মিয়া (৩৫), আনিছ মিয়ার ছেলে নাঈম মিয়া ( ৩০) এবং গংগানগর গ্রামের মোতালিব মিয়ার ছেলে হেলাল মিয়া( ২৭) সহ অজ্ঞাতনামা আরও ৬/৭ জন। এই ঘটনায় আহত কামাল ভুইয়ার স্ত্রী বাদী হয়ে আখাউড়া থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলা ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কামাল ভুইয়া মোগড়া বাজারের একজন ব্যবসায়ী। তিনি গত ২০ অক্টোবর তার মেয়ের বাসা কুমিল্লায় বেড়াতে যায়। সেদিন বিকাল ৫ ঘটিকার সময় গঙ্গানগর গ্রামের আনিছ মিয়ার ছেলে বাবু মিয়া কামাল ভুইয়ার মার্কেটের সামনে বালু রাখার জন্য বললে মার্কেটের ভাড়াটিয়া দোকানদার লিটন মিয়া মোবাইল ফোনে তা কামাল ভুইয়াকে অবগত করেন। পরে কামাল ভুইয়া মোবাইল ফোনে বাবু মিয়াকে বালু রাখতে নিষেধ করেন। এতে বাবু মিয়া ক্ষিপ্ত হয়ে কামাল ভুইয়াকে অকথ্য ভাষায় গালমন্দ করে মোবাইল রেখে দেয়। মেয়ের বাসা কুমিল্লা থেকে ২১ অক্টোবর বাড়ীতে আসার পর সন্ধ্যা অনুমান ০৬.০০ ঘটিকার সময় ঘটনাস্থলে আসার পর আনিছ মিয়া ও তার ছেলে বাবু মিয়ার নেতৃত্বে কামাল ভুইয়ার ওপর দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হামলা করে রক্তাক্ত জখম করে। আহত কামাল ভুইয়ার স্ত্রী আছমা বলেন, হামলাকারীরা হত্যার উদ্দেশ্যে আমার স্বামীর মাথায় ধারালো দা দিয়ে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করেছে। তাছাড়া লোহার রড ও পাইপ দিয়ে পিঠে, ঘারে ও হাতে আঘাত করে গুরুতর জখম করেছে। আমার স্বামীর প্যান্টের পকেট থেকে মাছ ব্যবসার এক লাখ ৫০ হাজার টাকা জোরপূর্বক নিয়ে যায়। আমার স্বামী চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়তেছে।এবিষয়ে জানতে চাইলে মোগড়া ইউপি চেয়ারম্যান এমএ মতিন বলেন, ‘মার্কেটের সামনে বালু রাখা নিয়ে আনিছ মিয়ার ছেলে বাবুর সাথে কামাল ভুইয়ার কথা কাটাকাটি হয়েছে। পরে আনিছ মিয়ার ছেলে বাবু এলাকা থেকে লোকজন এনে মারামারি করেছে৷ কামাল ভুইয়ার অবস্থা মৃত্যুর মুখে,ঢাকায় ল্যাবএইডে আইসিইউতে আছে। আজ আইনমন্ত্রী মহোদয় হসপিটাল ম্যানেজমেন্টকে ইনফর্ম করে দিয়েছে তার চিকিৎসা যাতে ভালো হয়। এবিষয়ে আখাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ আসাদুল ইসলাম বলেন,মামলা নিয়েছি। এযহার নামীয় দুজন আসামীকে এরেস্ট করা হয়েছে। অপর এযহার নামীয় আসামীদের গ্রেপ্তারের জন্য জোর তৎপরতা চলছে। মামলার তদন্তকারী আখাউড়া থানার সাব ইন্সপেক্টর ( নিরস্ত্র) মোঃ আবু ছালেক বলেন, ‘মার্কেটের সামনে বালু রাখা নিয়ে ঘটনাটি ঘটেছে। যেদিন মারামারি হয়েছে সেদিনই নবীর হোসেন ও আনোয়ার নামে দুইজন এরেস্ট হয়েছে।’