স্বত্ব © 2025 দৈনিক পত্রিকা |
সম্পাদক ও প্রকাশক: উবায়দুর রহমান, ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: মোঃ জুয়েল মিয়া প্রতিষ্ঠাতা: পি বা লিজন।সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয়- পাইকপাড়া,লোকনাথ দিঘীর পাড়,পৌর কমিউনিটি সেন্টার ২য় তলা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া।দৈনিক পত্রিকা অনলাইন নিউজ পোর্টাল। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের কর্তৃক নিবন্ধনের জন্য প্রক্রিয়া দিন।newsdainikpatrika@gmail.com মোবাইল নাম্বার 01751406352,01715958768
সালমান হোসাইন
২৬ ফেব্রুয়ারি সোমবার সন্ধ্যা ৬ টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া শিমরাইলকান্দিস্থ চেতনায় স্বদেশ গণগ্রন্থাগারের উদ্যোগে অস্ট্রোলিয়ার প্রবাসী কথাসাহিত্যিক ইসহাক হাফিজের গল্পগ্রন্থ “নির্বাক জোছনা” বইয়ের পাঠ আলোচনা সভা অনুষ্টিত হয়।জনাব মনিরুল ইসলাম শ্রাবণের সঞ্চালনায়, চেতনায় স্বদেশ গণগ্রন্থাগারের সভাপতি কথাসাহিত্যিক জনাব আমির হোসেনের সভাপতিত্বে উক্ত পাঠ আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জনাব জয়দুল হোসেন, কবি ও গবেষক সভাপতি সাহিত্য একাডেমি ব্রাহ্মণবাড়িয়া।বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জনাব মোঃ মনির হোসেন(বাচিকশিল্পী) সাংগঠনিক সম্পাদক বাংলাদেশ আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদ। জনাব মোঃ সাইফুল ইসলাম লিমন, সহকারী পরিচালক জেলা সরকারি গ্রন্থাগার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া। অন্যান্য অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিমল ভৌমিক, প্রধান শিক্ষক গোকর্ণঘাট উচ্চ বিদ্যালয়,মোহাম্মদ হারুন- আল -রশিদ ভূঁইয়া, নির্বাহী সম্পাদক, ‘চেতনায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া, কবি মোঃ ইউনুছ সরকার, প্রমুখ। উক্ত আলোচনা৷ সভায় বক্তব্য রাখেন প্রধান অতিথি, বিশেষ অতিথি সহ অন্যান্য অতিথি গণ।বর্তমান গল্পগ্রন্থ” নির্বাক জোছনার “খানবিশেক গল্পে তিনি বয়ন করেছেন জীবনের এমন সব কথা ও কাহিনি, অতি সাধারণ জিনিসও তার কলমের জাদুস্পর্শে অসামান্য হয়ে উঠেছে। মধ্যবিত্ত,নিম্নবিত্ত, দারিদ্র মানুষের সুখ- দুঃখ ট্র্যাজেডি, সমাজ ও ধর্মের নামে অনাচার, মাদ্রাসাশিক্ষার নামে শিশুনির্যাতন ও ধর্মব্যাবসা, নিপিড়ীত শৈশব- কৈশোর, বাঙালির প্রবাসজীবনের দুঃখ-বেদনা – হতাশা, বিদেশীদের জীবনাচরণ, পারিবারিক জীবনের জটিলতা, কুটিলতা, স্বার্থপরতা, প্রেম ও প্রতারণা ইত্যাদি। জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত জীবনের বিস্মৃত ঘটনাবহুলতা ও খন্ড -অখণ্ড বাস্তবতা এর বহুকিছু তিনি তুলে আনেন হাস্যকরুণ ও মর্মস্পর্শী ভাষায় ব্রাহ্মণবাড়িযার কৃতি লেখক অস্ট্রোলিয়ার প্রবাসী কথাসাহিত্যিক ইসহাক হাফিজের নতুন গল্পগ্রন্থ “নির্বাক জোছনা” প্রকাশিত ১১তম গ্রন্থ।
নিজস্ব প্রতিবেদক : সমাজ সেবায় বিশেষ অবদানের জন্য সম্মাননা পেলেন মজিদ-নাহার ফাউন্ডেশন এর সহ-সভাপতি সাংবাদিক এইচ এম জাকারিয়া জাকির।
বৃহস্পতিবার (২৪ আগস্ট) বিকাল ৫ টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া গভ: মডেল গার্লস হাই স্কুল হলরুমে কবি ও কবিতা বিষয় সংগঠন ‘কবির কলম’ এর ১৪তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী অনুষ্ঠানে তাকে এ সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয়।
অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন, কবি জয়দুল হোসেন, সভাপতি সাহিত্য একাডেমী ব্রাহ্মণবাড়িয়া। প্রধান আলোচক ছিলেন, কবি ও গীতিকার দেওয়ান মারুফ, বিশিষ্ট শিল্পপতি ও সমাজসেবক। বিশেষ আলোচক ছিলেন, কথা সাহিত্যিক আমির হোসেন, সভাপতি চেতনায় স্বদেশ গণগ্রন্থাগার ব্রাহ্মণবাড়িয়া।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, আবদুর রহিম, রবীন্দ্র সংগীত শিল্পী ও শিক্ষক। ফজিলাতুন নাহার সভাপতি, বাংলাদেশ নারী মুক্তি সংসদ। এড হুমায়ুন কবির, সভাপতি ব্রাহ্মণবাড়িয়া আখাউড়াস্থ সমিতি। কেষ্ট কবি ইসমোনাক। জাকারিয়া জাকির সাংবাদিক ও সমাজ সেবক। কবি মাশরিকি শিপার। কবি রুদ্র মোহাম্মদ ইদ্রিস। ফারুক আহমেদ ভুইয়া সিনিয়র সহ-সভাপতি উদিচি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শাখা। মোস্তাক আহমেদ খোকন, সাধারণ সম্পাদক জাতীয় মানবাধিকার সোসাইটি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শাখা। শফিকুল ইসলাম তৌছির বিশিষ্ট সমাজ সেবক। ফিরোজ মিয়া কলেজের প্রভাষক হানিফ, অংকুর শিশুকিশোর সংগঠন এর প্রতিষ্ঠাতা আনিসুর রহমান রিপন, কবি সৌমিক সাত্তার। কণ্ঠ শিল্পী সোহেল আহমেদ। সঙ্গীত শিল্পী ফরিদ আহমেদ সাগর। সংগীত শিল্পী সানজিদা শারমিন ফ্লোরা। সংগীত শিল্পী সাথি ইসলাম। জাকির হোসেন রাজা তবলা বাদক। আনন্দলোক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের প্রশিক্ষক সোহেল মিয়া। তরুন সংগঠক নাইমুর রহমান। জুয়েনা বিনোদীনি।
এছাড়াও সংগঠন এর সহ-সভাপতি আদিত্ব্য কামাল, সহ-সভাপতি কোহিনূর আক্তার প্রিয়া, ফাহিম মুনতাসীর, ইফতেখারুল ইসলাম সোহান, অন্তর। সদস্য মুরাদ আল হাসান প্রমুখ।
অনুষ্ঠানের শুরুতেই জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে একটি মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।
আবৃত্তি পরিবেশনে ছিলেন, সোনালি সকাল। নৃত্য পরিবেশনে ছিলেন, নৃত্যশিল্পী চন্দ্রিমা বনিক, নৃত্যশিল্পী অবন্তিকা সূত্রধর।
অনুষ্ঠানে গুঞ্জন পাঠাগার নবীনগর, এস এম নাজমুন কবির ইকবাল (ইসমোনাক) সরাইল, সাংবাদিক এইচ এম জাকারিয়া জাকির, শফিকুল ইসলাম তৌছির কে সম্মাননা স্বারক প্রদান করা হয়।
মঙ্গলবার (২৫ জুলাই) সকাল ৮টায় উপজেলার পাকশিমুল ইউনিয়নের পরমানন্দপুর গ্রামে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, পরমানন্দপুর গ্রামের নুর আলী-আইয়ুব গ্রুপ ও মতি-জাফর গ্রুপের মধ্যে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। এর জেরে আজ সকালে সামান্য ঘটনাকে কেন্দ্র করে নুরআলী-আইয়ুব গ্রুপের লোকজন মতি-জাফর গ্রুপের লোকজনকে ডাকাডাকি শুরু করে। পরে উভয় পক্ষ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ৫০ জন আহত হয়। আহতদের ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালসহ বিভিন্ন ক্লিনিকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
এ বিষয়ে সরাইল থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আ.স.ম আতিকুর রহমান বলেন, ‘খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছে। সংঘর্ষে জড়িতদের ধরতে অভিযান চলছে। এখন পর্যন্ত ৫ জনকে আটক করা হয়েছে। যে কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা এড়াতে ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
নিজস্ব প্রতিবেদক : ভোরে ছদ্মবেশে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলস্টেশনে টিকিট কাটতে গেলেন সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি)। এসময় জুয়েল (২৪) নামের এক কালোবাজারিকে হাতেনাতে ধরেন তারা। একই সঙ্গে ফখরুল (৫০) নামের এক কাউন্টার ম্যানকেও আটক করা হয়।রোববার (৯ জুলাই) ভোর ৪টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলস্টেশনে এ ঘটনা ঘটে।খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ সেলিম শেখ ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. মোশারফ হোসাইন ছদ্মবেশে ভোরে রেলস্টেশনে যান। সেখানে গিয়ে তারা জানতে পারেন যে জুয়েল নামে এক যুবকের কাছে অনেক টিকিট রয়েছে। তারা জুয়েলের মোবাইল নম্বর সংগ্রহ করে ফোন করে টিকিট কিনতে চান। এ সময় জুয়েল ফোনে জানান যতগুলো লাগবে সব টিকিট ম্যানেজ করতে পারবে কিন্তু প্রতি টিকিটের মূল্য ২৫০ টাকা দিতে হবে।দরকষাকষির এক পর্যায়ে জুয়েল স্টেশন গেটের সামনে এসে টাকা দিয়ে টিকিট সংগ্রহ করতে বলেন। এমন সময় হাতেনাতে ধরা পড়েন জুয়েল। এসময় হাতে লিখে ট্রেনের টিকিট বিক্রয়ের সময় ফখরুল নামের এক কাউন্টারম্যানকে আটক করা হয়।ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ সেলিম শেখ জানান, আটক টিকিট কালোবাজারি জুয়েলকে চার মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এছাড়া টিকিট কাউন্টার ম্যান ফখরুলকে এক লাখ টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়।
আদিত্ব্য কামাল: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ৩ শতাধিক শীতার্ত মানুষের মাঝে কম্বল বিতরণ করেছে মজিদ-নাহার ফাউন্ডেশন।
মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) দুপুরে শহরের অসহায়-দরিদ্র মানুষের মাঝে কম্বল বিতরণ করা হয়।
এ উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, শিফাত মো. ইশতিয়াক ভূঁইয়া, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ব্রাহ্মণবাড়িয়া।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, মো. মুসলেখ উদ্দিন, সদর উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা, মো. রায়হান উদ্দিন, সদর উপজেলা পল্লী উন্নয়ন বোর্ড।
ফাউন্ডেশনের সহ-সভাপতি এইচ এম জাকারিয়ার সভাপতিত্বে ও সাংবাদিক নিয়াজ মো. বিটুর সঞ্চালনায় এতে বক্তৃতা রাখেন- প্রেস ক্লাবের সভাপতি জাবেদ রহিম বিজন, সাধারণ সম্পাদক বাহারুল ইসলাম মোল্লা, মজিদ-নাহার ফাউন্ডেশনের কোষাধ্যক্ষ এনায়েত হোসেন মিঠু প্রমুখ।
প্রধান অতিথি তার বক্তৃতায় ফাউন্ডেশনের কার্য্যক্রমের ভুয়শী প্রশংসা করে বলেন- মজিদ-নাহার ফাউন্ডেশন আজকে মানবিকতার যে দর্শন নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে তা সবার জন্যে অনুপ্রেরনা দায়ক। টাকা পয়সা অনেকে রোজগার করেন। কিন্তু মানবিক কাজে অর্থ ব্যয় করার মানসিকতা সকলের থাকেনা। ফাউন্ডেশনটির কর্নধার আমেরিকা প্রবাসী মনির হোসেন হিটুর মতো সবাই এভাবে এগিয়ে আসলে অসহায়-দরিদ্র মানুষ আরো নানাভাবে উপকৃত হতেন।
মজিদ-নাহার ফাউন্ডেশন ২০১১ সাল থেকে সমাজের অসহায়-দরিদ্র মানুষকে নানাভাবে সহায়তা দিয়ে আসছে। এছাড়াও সেলাই মেশিন, ঈদ-সামগ্রী, চিকিৎসা সহায়তা ছাড়াও নগদ অর্থ বিতরণ করা হয়ে থাকে।