স্বত্ব © 2024 দৈনিক পত্রিকা |
সম্পাদক ও প্রকাশক: উবায়দুর রহমান, ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: মোঃ জুয়েল মিয়া প্রতিষ্ঠাতা: পি বা লিজন।সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয়- পাইকপাড়া,লোকনাথ দিঘীর পাড়,পৌর কমিউনিটি সেন্টার ২য় তলা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া।দৈনিক পত্রিকা অনলাইন নিউজ পোর্টাল। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের কর্তৃক নিবন্ধনের জন্য প্রক্রিয়া দিন।newsdainikpatrika@gmail.com মোবাইল নাম্বার 01751406352,01715958768
নিজস্ব প্রতিবেদক : ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কিশোর গ্যাং কালচার ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় নানা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে কিশোররা ব্যবহৃত হচ্ছে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তাদের অপরাধের ধরনও পাল্টে যাচ্ছে।
এলাকায় আধিপত্য বিস্তার, চাঁদাবাজি, চুরি-ছিনতাই থেকে শুরু করে খুনাখুনিসহ নানা অপরাধে কিশোর-তরুণরা জড়িয়ে পড়ছে। মাদক ব্যবসা ও দখলবাজিতেও তাদের ব্যবহার করা হচ্ছে।
গেলো বছর (২০২৩) কিশোর অপরাধীদের হাতে বেশ কয়েকটি খুনের ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে গত বছরের ৯ জানুয়ারি জেলা শহরে ইজিবাইকের গতিরোধ করে আশিক নামের এক সাংবাদিককে ছুরিকাঘাতে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। ৯ জানুয়ারি সোমবার সন্ধ্যার দিকে শহরের ফারুকী পার্ক সংলগ্ন সড়কে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার ঘণ্টাখানেকের মধ্যেই অভিযুক্ত কিশোর গ্যাং এর সক্রিয় সদস্য ঘাতক রায়হান আহমেদ সোহানকে জেলা শহরের শিমরাইলকান্দি এলাকা থেকে আটক করে পুলিশ।
নিহত আশিকুর রহমান আশিক ‘দৈনিক পর্যবেক্ষণ’ পত্রিকায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করতেন। আশিক জেলা শহরের মেড্ডা এলাকার বাসিন্দা কুয়েত প্রবাসী আশরাফ উদ্দিনের ছেলে। তিনি স্থানীয় বাতিঘর নামের একটি মানবসেবামূলক সামাজিক সংগঠনের কর্মী ও ‘ব্রাহ্মণবাড়িয়া মাদক বিরোধী আন্দোলন’ এর সভাপতি ছিলেন। এবং জেলা শহরের বিভিন্ন এলাকায় সিফাত, সৌরভ, তৈয়ব, সাঈফ, রিজু’সহ মাদক বিরোধী প্রচার প্রচারণা চালাতেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. এমরানুল ইসলাম জানান, ‘বেওয়ারিশ লাশ স্বেচ্ছায় দাফন কাজের সঙ্গে জড়িত বাতিঘর নামক সংগঠনের মাসিক সভা ছিল শহরের ফারুকী পার্কে। সেখান থেকে সভা শেষ করে শহরে ফেরার পথে মাদকাসক্ত রায়হান’সহ আরও ৪-৫ জন আশিককে বহনকারী ইজিবাইকের গতিরোধ করে বুকের বাম পাশে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়।
গেলো বছরের ২৩ ফেব্রুয়ারি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ উপজেলা থেকে আরাফাত হোসেন (১৬) নামের এক কিশোরের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। আরাফাতের পরিবারের দাবি, তাকে হত্যা করা হয়েছে। ২৩ ফেব্রুয়ারি দিনগত রাতে আশুগঞ্জ উপজেলার সোনারামপুর গ্রামের একটি বাড়ি থেকে আরাফাতের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। সে জেলা শহরের ট্যাঙ্কের পাড় এলাকার বাসিন্দা।
নিহতের পরিবারের অভিযোগ, আশুগঞ্জের লালপুর এলাকার সৌদি প্রবাসী নোমানের পরামর্শে ইয়াছিন ও হযরত নামের দুই কিশোর পরিকল্পিতভাবে আরাফাতকে হত্যা করেছে। ঘটনার আগের দিন সকালে আরাফাত জন্মনিবন্ধনের কাজের জন্য বাড়ি থেকে বের হয়েছিল। এরপর থেকে তার মোবাইল ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়। পরের দিন বৃহস্পতিবার রাতে আশুগঞ্জ থানা থেকে আরাফাতের মৃত্যুর বিষয়টি তাদের জানানো হয়।
পরিবারটির দাবি, সৌদি প্রবাসী নোমানের পরামর্শে শরীফপুর এলাকার ইয়াছিন এক তরুণী ও আরফাতকে সঙ্গে নিয়ে আশুগঞ্জে হযরতের বাড়িতে গিয়ে ওঠে। সেখানে আরাফাতকে পরিকল্পিতভাবে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়। এ বিষয়ে আশুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজাদ রহমান জানান, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ওই বাড়িতে অবস্থানকারী এক তরুণীকে আটক করা হয়।
গেলো বছরের ২৪ মে ছুরিকাঘাতে ছাত্রলীগ নেতা ইকরাম আহমেদ খুন হয়েছেন। সন্ধ্যা ছয়টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের মুন্সেফপাড়া এলাকায় আরেক ছাত্রলীগ নেতার বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। পরে ঘটনাস্থল থেকে রায়হান নামের এক কিশোরকে আটক করে পুলিশ। নিহত ইকরাম সরাইল উপজেলার নোয়াগাঁও ইউনিয়নের তেরকান্দা গ্রামের মাছুদ আহমেদের ছেলে। তবে ইকরাম পরিবারের সঙ্গে জেলা শহরের কালাইশ্রীপাড়া ডা. ফরিদুল হুদা সড়কের একটি বাড়িতে থাকতেন।
পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার সময় ইকরাম কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সদস্য ও ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি রিদওয়ান আনসারির বাসায় ছিলেন। আটক রায়হান ঢাকার মগবাজার এলাকার জিয়াউল হকের ছেলে। ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীদের দাবি, রায়হান মাদকাসক্ত।
নানা অপরাধে জড়িয়ে কিশোররা ক্রমেই অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠছে। অধিকাংশ কিশোর গ্যাং গড়ে ওঠার পেছনে রাজনৈতিক দলের স্থানীয় নেতাকর্মীরা মদদ দিচ্ছে। ‘হিরোইজম’ প্রকাশ করতেও পাড়া-মহল্লায় কিশোর গ্যাং গড়ে উঠছে। আধিপত্য বিস্তার, সিনিয়র-জুনিয়র দ্বন্দ্ব, প্রেমের বিরোধ, মাদকসহ নানা অপরাধে কিশোররা খুনাখুনিতে জড়িয়ে পড়ছে। কিশোর গ্যাংয়ের হাতে খুনের ঘটনাগুলো বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, বিভিন্ন এলাকায় কিশোর গ্যাং নিয়ন্ত্রণ করে স্থানীয় ‘বড় ভাই’রা।
তবে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, জেলা শহরে বেশ কয়েকটি কিশোর গ্যাং সক্রিয়। কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা খুনাখুনি, মাদক, চাঁদাবাজি ও ছিনতাইয়ের মতো অপরাধের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় কিশোর গ্যাং কালচার ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা খুন, ছিনতাই-চাঁদাবাজি, শ্লীলতাহানি ও ইভটিজিং এবং মাদক ব্যবসার মতো অপরাধে বেশি জড়াচ্ছে। অনেক ক্ষেত্রে তাদের নিয়ন্ত্রক বা পৃষ্ঠপোষকের ভূমিকায় সমাজের কিছু ‘বড় ভাই’ রয়েছে।
জানা গেছে, গ্রেফতার কিশোরদের দেশের তিনটি কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রে রাখা হয়। যা প্রয়োজনের তুলনায় খুবি অপ্রতুল। অধিকাংশ কিশোরই হত্যা, চুরি-ডাকাতি, ছিনতাই, মাদক, অস্ত্র ও বিস্ফোরক, নারী ও শিশু নির্যাতন, পর্নোগ্রাফি, তথ্যপ্রযুক্তি মামলার আসামি।
বর্তমানে কিশোর গ্যাংয়ের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের কারণে প্রতিদিনই ছিনতাই, চুরি, ডাকাতি, জমিদখল, চাঁদাবাজি, ইভটিজিং, ধর্ষণ এবং খুন-খারাবি ইত্যাদি অপরাধের ঘটনা ঘটছে। এদের অত্যাচার নির্যাতনে সমাজ বিষিয়ে উঠেছে। মানুষ অস্বস্তিকর অশান্তির মধ্যে দিনাতিপাত করছে। সমাজের নিরীহ অংশ বিশেষ করে যাদের কোনো প্রভাব প্রতিপত্তি নেই বা প্রভাবশালী মহলের সাথে কোনো ধরনের সম্পর্ক ও যোগাযোগ নেই তাদের আতঙ্কই বেশি। তারা তাদের সহায়-সম্পদ ও উঠতি বয়সের ছেলে-মেয়েদের নিয়ে উৎকণ্ঠায় দিন কাটায়; কখন কারা জায়গা-জমি দখল করতে আসে বা চাঁদা দাবি করে অথবা স্কুল-কলেজে পড়ুয়া মেয়েটিকে কখন কোন বখাটে বিরক্ত করে বা স্কুলে যাওয়া ছেলেটিকে তাদের গ্যাংয়ের দলে ভিড়িয়ে ফেলে। এ ছাড়া এসব গ্যাংয়ের উৎপাতে পাড়ায় পাড়ায় মারামারি কাটাকাটি তো লেগেই আছে। এই কিশোর গ্যাং সংস্কৃতি বর্তমানে তরুণদের কাছে অত্যন্ত আকর্ষণীয় হয়ে উঠেছে। হিরোইজম বা বাহাদুরি, কাঁচা টাকা-পয়সা, মাদকাসক্তি, সাংস্কৃতিক চর্চার নামে সস্তা ছেলে-মেয়েদের অবাধে মেলামেশার তীব্র আকর্ষণ ইত্যাদি হাতছানি দিয়ে ডাকায় দ্রুত এ সমস্ত গ্যাং এবং তাদের সদস্যসংখ্যা বাড়ছে।
ফলে সমাজকে ভেতরে ভেতরে উইপোকার মতো খুবলে খেয়ে ফেলছে এই অশুভ চর্চা। উঠতি বয়সের, স্কুল-কলেজগামী কিশোরদের একটি অংশ লেখাপড়া ছেড়ে দিয়ে ওই দিকেই ঝুঁকছে। ফলে আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম ধ্বংসের দিকে ধাবিত হচ্ছে। সুড়ঙ্গের অপরপ্রান্তে জমা হচ্ছে নিকষকালো অন্ধকার। যারা এই জাতিকে আগামী দিনে নেতৃত্ব দেবে তারা যদি এই আগ্রাসী কিশোর গ্যাং সংস্কৃতির চর্চা করে বেড়ে ওঠে তবে আমাদের জাতির ভবিষ্যৎ সত্যিই অন্ধকারে নিমজ্জিত হয়ে পড়বে। সুতরাং আজকের কিশোর গ্যাং কালচার দেশ, জাতি ও সমাজের জন্য এক মারাত্মক হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে।
শহুরে জীবনের পাড়ায় পাড়ায় কিশোর-তরুণরা প্রথমে ছোট ছোট গ্রুপ করে ‘স্টার বন্ড’, ‘সাইজ কইরা দে’, ‘আমিই বস’ ইত্যাদি উদ্ভট অথচ রোমাঞ্চকর গ্রুপের নামে আড্ডারাজি শুরু করে। ধীরে ধীরে শুরু হয় ছোট ছোট দলগত অপরাধকর্ম ও এলাকায় আধিপত্য বিস্তার বা দলগত সেরা হয়ে ওঠার প্রক্রিয়া। অন্য দল বা অন্য এলাকার কিশোরদের ওপর প্রভাবশালী হয়ে উঠার এক রোমাঞ্চকর স্বাদ তারা পেয়ে যায় কাউকে মারধর করে বা অপমান করে।
ভিকটিমরাও তখন প্রতিশোধ নিতে মরিয়া হয়ে ওঠে। ফলে ঘটে যায় খুনের ঘটনা। জড়িত হয়ে পড়ে স্থানীয় নেতারাও। তারা ‘বড় ভাই’ হিসেবে আগলে রাখেন গ্যাংগুলোকে। বিনিময়ে নিজেদের আর্থরাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার করে থাকেন এসব গ্যাংকে। গ্যাংয়ের সদস্যরাও ‘বড় ভাই’দের শেল্টারে থেকে নির্বিঘ্নে করে যায় নানা অপরাধ। ‘বড় ভাই’য়েরাও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর স্পর্শ থেকে আগলে রাখে গ্যাংয়ের সদস্যদের। এভাবে একটি কিশোর গ্যাং জন্ম নিয়ে দাপটের সাথে এলাকায় বিস্তার করে ‘অপরাধ সাম্রাজ্য’।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক তৌহিদুল হক বলেন, কিশোর গ্যাং কালচারের সঙ্গে জড়িতরা পর্যায়ক্রমে আলাদা আলাদা গ্রুপ তৈরি করে। তাদের ড্রেস কোড থাকে, আলাদা হেয়ার স্টাইল থাকে, তাদের চালচলনও ভিন্ন। তারা এলাকায় আধিপত্য বিস্তারের চেষ্টা করে। তারা নানা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়ে। নানাভাবে তারা অর্থ সংস্থানের চেষ্টা করে। এলাকার কোনো ‘বড় ভাই’র সহযোগী শক্তি হিসেবেও তারা কাজ করে।
সহযোগী অধ্যাপক তৌহিদুল হক বলেন, কিশোরদের একত্রিত করে কতিপয় ব্যক্তি বিভিন্ন ধরনের অপরাধে সম্পৃক্ত করছেন। তাদের সামাজিক ও রাজনৈতিক পরিচয়ও আছে। সহজ ও অল্প খরচে কিশোরদের দিয়ে তারা অপরাধ করানোর সুযোগ নিচ্ছে। অস্ত্রবাজি, মাদক ও হত্যাসহ নানা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে তারা কিশোরদের ব্যবহার করে। এছাড়া কোনো কোনো রাজনৈতিক নেতা রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতে কিশোর গ্যাং তৈরি করছে। এটি হল কিশোর গ্যাং তৈরির একটি দিক। অন্য আরেকটি দিক হল- আমাদের দেশে শিশুদের লালনপালন করার ক্ষেত্রে পরিবারগুলো শিক্ষা, চিকিৎসা এবং অন্যান্য বিষয়ে যথাযথভাবে দায়িত্বপালন করছে না। নিম্নবিত্ত পরিবারের সন্তানরা অপরাধে জড়ায় এমন একটি কথা সমাজে প্রচলিত আছে। এ ধারণা ভুল প্রমাণিত হয়েছে। এখন উচ্চবিত্ত পরিবারের সন্তানরাও অপরাধে জড়াচ্ছে। সঠিক ও সুষ্ঠু সামাজিকীকরণের বিষয়টি নিশ্চিত করা যাচ্ছে না বলে কিশোরদের মধ্যে ক্ষোভ-হতাশা তৈরি হচ্ছে। এগুলো প্রশমিত না হওয়ায় তারা নানা ধরনের অপরাধে জড়াচ্ছে। এসব কারণ বিশ্লেষণ করে সমাধানের কার্যকর উদ্যোগ না নিলে কিশোর অপরাধ কমানো সম্ভব নয়।
আরেকটি বিষয়ে আমাদের নজর দিতে হবে, তা হচ্ছে কিশোর সংশোধন কেন্দ্র। প্রচলিত আইনে ১৮ বছরের নিচে অপ্রাপ্তবয়স্ক হিসেবে বিবেচিত হওয়ায় তাদের বড় কোনো শাস্তির পরিবর্তে পাঠানো হচ্ছে গাজীপুরে অবস্থিত কিশোর সংশোধনাগারে। যেসব কিশোরের সংশোধনাগারে নেওয়া হচ্ছে, তাদের জন্য সঠিক ব্যবস্থাপনা আছে কি? একজন কিশোর সংশোধনাগার থেকে বেরিয়ে এসে যদি আবার খারাপ অপরাধে জড়িয়েই পড়ে তবে তা আমাদের জন্য চরম ব্যর্থতা। প্রয়োজনে আইন সংস্কার এবং কেন্দ্রের ব্যবস্থাপনা এ দুই বিষয় নিয়েও আমাদের ভাবার অবকাশ থেকে যায়। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, কিশোর অপরাধ নিয়ন্ত্রণে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। এক্ষেত্রে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর উদাসিতা ও রাজনৈতিক বড়ভাইদের তদবির অনেকটা দায়ী বলেও মনে করেন বিশেষজ্ঞগণ।
চট্রগ্রাম বিভাগের শ্রেষ্ঠ জয়িতা নির্বাচিত হয়েছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর সভার মেয়র নায়ার কবির। সমাজ উন্নয়নে অসামান্য অবদান রাখায় তাকে এই সম্মাননায় ভূষিত করা হয়। মঙ্গলবার (৩১ জানুয়ারি) চট্রগ্রামে সার্কিট হাউসে এক অনুষ্ঠানে নায়ার কবিরের হাতে শ্রেষ্ঠ জয়িতার পুরস্কার সম্মাননা তুলে দেন বিভাগীয় কমিশনার ডঃ মোঃ আমিনুর রহমান এনডিসি। মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের উদ্যোগে এবং চট্রগ্রাম বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয় ব্যবস্থাপনায় এই সংবর্ধনা ও সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। চট্রগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার ডাঃ মোঃ আমিনুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে অনলাইনে সংযুক্ত ছিলেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা এমপি। সামাজিক ও রাজনৈতিক ক্ষেত্রে নারীর অধিকার, উন্নয়ন ও ক্ষমতায়নের মাধ্যমে জেন্ডার বৈষম্যবিহীন স্বাবলম্বী ও বাসযোগ্য দেশ হিসেবে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে বর্তমান সরকার বিগত কয়েক বছর যাবৎ “জয়িতা অন্বেষণে বাংলাদেশ” শীর্ষক এক অনন্য কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে। এবছর বিভাগীয় পর্যায়ে ২০২১ সালের নির্বাচিত শ্রেষ্ঠ জয়িতাদের সংবর্ধনা ও সম্মাননা প্রদান করা হয়েছে। সমাজ উন্নয়নে অসামান্য অবদান রাখায় চট্রগ্রাম বিভাগে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার মেয়র নায়ার কবির শ্রেষ্ঠ জয়িতা সম্মাননা পেলেন।
আদিত্ব্য কামাল,নিজস্ব প্রতিবেদক
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে অলি মিয়া (৫০) নামের সাবেক ইউপি সদস্য আওয়ামী লীগ নেতাকে কুপিয়ে ও টেঁটাবিদ্ধ করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে।রোববার (২৯ জানুয়ারি) বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে বাঞ্ছারামপুর উপজেলার ছলিমাবাদ ইউনিয়নের তাতুয়াকান্দি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত অলি মিয়া উপজেলার তাতুয়াকান্দি গ্রামের মৃত শহীদ মিঞার ছেলে। তিনি ছলিমাবাদ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের কৃষি বিষয়ক সম্পাদক ছিলেন।
নিহতের পরিবার ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, বাঞ্ছারামপুর উপজেলার সলিমাবাদ ইউনিয়নের তাতুয়াকান্দি গ্রামের বহু মামলার আসামি ইকবাল হোসেনের সাথে অলি মিয়ার এলাকার আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিরোধ চলে আসছি। রোববার বিকালে গ্রামের একজনের জানাজা শেষে বাড়ি ফেরেন। পরে ইকবাল ও তার লোকজন অলি মিয়াকে বাড়ি থেকে তুলে পাশের জমিতে নিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে ও টেঁটাবিদ্ধ করে। তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় বাঞ্ছারামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
বাঞ্ছারামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা রঞ্জন বর্মণ জানান, নিহত অলি মেম্বারকে হাসপাতালে আনার আগেই মৃত্যু হয়েছে। নিহতের ছোট বোন কল্পনা বেগম জানান, আমার ভাই বাড়ি ফেরার পর সন্ত্রাসী ইকবালসহ ১০-১৫ জনের একটি দল আমাদের বাড়িতে এসে বাড়ি ঘেরাও করে আমার ভাইকে ধরে নিয়ে বাড়ির পাশে জমিতে নিয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে। আমরা ভাইকে হাসপাতাল নিয়ে গেলে ডাক্তার বলে আমার ভাই মারা গেছেন। আমি ভাই হত্যার বিচার চাই। এ বিষয়ে বাঞ্ছারামপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ নূরে আলম জানান, আজকে অলি মেম্বারের ওপর ইকবালের লোকজন হামলা চালায়, তাকে সরকারি হাসপাতালে নিয়ে গেলে মারা যায়। এলাকায় পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। আমরা আসামি ধরতে অভিযান চালাচ্ছি।
নিজস্ব প্রতিবেদক
কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজ সাংবাদিক সমিতি (কুভিকসাস) এর পালাবাদল হয়েছে। ১৩ জানুয়ারি সদ্য বিদায়ী সভাপতি আশিক ইরান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ ঘোষণা দেয়া হয়। নতুন কমিটির সভাপতি আবু সুফিয়ান রাসেল এবং সাধারণ সম্পাদক সাফায়েত উল্লাহ মিয়াজী। বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়,কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজ সাংবাদিক সমিতি-কুভিকসাস এর কার্যনির্বাহী কমিটি-২০২৪ গঠন করা হয়েছে। সংগঠনের গঠনতন্ত্রের ধারা-৪ এর উপধারা (ঙ) অনুযায়ী সদস্যদের সর্বসম্মতিক্রমে নিম্নোক্ত ১১ সদস্যকে আগামী এক বছরের জন্য অনুমোদন দেয়া হলো। সভাপতি আবু সুফিয়ান রাসেল, সহ-সভাপতি সাইফুল ইসলাম সুমন, সাধারণ সম্পাদক সাফায়েত উল্লাহ মিয়াজী,যুগ্ম-সাধারণ আব্দুল্লাহ আল মারুফ,সাংগঠনিক সম্পাদক পুতুল আক্তার রলি,সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সজিব মাহমুদ,দফতর সম্পাদক মাকছুদুর রহমান। নির্বাহী সদস্য:আল আমিন কিবরিয়া, হাসিবুল ইসলাম সজিব,সাইমুম ইসলাম অপি, সদস্য তাহমিনা আক্তার তুলি।২০২৪ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত এ কমিটি দায়িত্ব পালন করবেন। প্রসঙ্গত ২০১৬ সালের ২০ মার্চ কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজ সাংবাদিক সমিতি( কুভিকসাস) প্রতিষ্ঠা লাভ করে। “বিবেকবান সাংবাদিক তৈরির প্রত্যয়” এই স্লোগানকে সামনে রেখে কলেজের ডিগ্রি শাখার প্রশাসনিক ভবনের নিচতলার কার্যালয় থেকে পরিচালিত হয় সংগঠনটি। কলেজ অধ্যক্ষ ও উপাধ্যক্ষ এ সংগঠনের পৃষ্ঠপোষক। অধ্যক্ষ কর্তৃক নির্বাচিত দুইজন শিক্ষা কর্মকর্তা কুভিকসাসের উপদেষ্টা হিসাবপ দায়িত্বে আছেন।
চরফ্যাশন (ভোলা) প্রতিনিধি।।
ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার দক্ষিণ আইচা থানাধীন চরআইচা খাদেমুল ইসলাম নূরানী ও হাফেজী মাদ্রাসায় সমাপনী পরীক্ষায় উত্তির্ন কৃতি শিক্ষার্থীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ ও দোয়া মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (১৪ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ৯ টার সময় চরমানিকা ইউনিয়ন ৭ নম্বর ওয়ার্ডের লুৎফর রহমান তালুকদার বাড়ির দরজার মাদ্রাসা চত্বরে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও অভিভাবকসহ সুধীজন অংশ নেন। এসময় মাদ্রাসার মোহতালিম মুফতি আবু বক্করের সঞ্চালনয় মাদ্রাসার জমিদাতা আতাহার তালুকদারের সভাপতিত্বে রাব্বানিয়া আলিম মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক মাওলানা ইব্রাহিম খলিল, নীলিমা জ্যাকব মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নাছির উদ্দীন আরিফ, জাবেরা খাতুন গালাস স্কুলের সহকারী শিক্ষক মাষ্টার হারুন, দৌলতপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক জাহাঙ্গীর আলম, মৌলভী মো. বিল্লাল হোসেন, মওলানা শোহেভ, এবং সাংবাদিক সেলিম রানা, জুলফিকার তালুকদার, হাসান লিটন ও ব্যবসায়ী শাহিন হাওলাদার সহ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে দক্ষিণ আইচা মায়ের দোয়া ব্যাটারী হাউজের প্রোপাইটার মো. বেল্লাল হোসেনের পক্ষ থেকে ১৫ জন কৃতি শিক্ষার্থীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। পরিশেষে দোয়া মোনাজাত পরিচালনা করেন আবু মাতব্বর বাড়ির দরজার জামে মসজিদের ইমাম হাফেজ মাওলানা নুরইসলাম কারি। এছাড়াও অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অভিভাবকসহ সুধীজন ও শিক্ষক-শিক্ষার্থীর মাঝে তবারকের আয়োজন করেন মায়ের দোয়া ব্যাটারী হাউজ।
আদিত্ব্য কামাল : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিশিষ্ট কবি, চেতনায় স্বদেশ গণগ্রন্থাগার এর প্রতিষ্ঠাতা-সভাপতি, কথাসাহিত্যিক আমির হোসেন এর ৫০তম জন্মদিন উপলক্ষ্যে প্রকাশিত ‘স্বদেশ-কথাসাহিত্যিক আমির হোসেন সংখ্যার’-পাঠ উন্মোচন ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার (২৭ জানুয়ারি) বিকেলে জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এ সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কৃতিসন্তান, বাংলা একাডেমি পুরস্কার প্রাপ্ত কবি, ড. মারুফুল ইসলাম।চেতনায় স্বদেশ গণগ্রন্থাগার কর্তৃক আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সর্বজন শ্রদ্ধেয় সাহিত্য-সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব, সাহিত্য একাডেমির সভাপতি, কবি ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক গবেষক জয়দুল হোসেন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, অদ্বৈত মল্লবর্মণ স্মৃতি গ্রন্থাগার ও গবেষণা কেন্দ্রর প্রতিষ্ঠাতা, বিশিষ্ট কবি ও গীতিকার মো. আ. কুদ্দূস, ভারত বাংলাদেশ সাহিত্য ও সংস্কৃতি পরিষদ এর কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক কবি তৌহিদুল ইসলাম কনক। সভায় অনুভূতি ব্যক্ত করেন চেতনায় স্বদেশ গণগ্রন্থাগার এর প্রতিষ্ঠাতা-সভাপতি, কথাসাহিত্যিক আমির হোসেন।
সাময়িকীটির সম্পাদক, ঝিলমিল একাডেমির প্রতিষ্ঠাতা-পরিচালক মনিরুল ইসলাম শ্রাবণ এর সঞ্চালনায় সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদ এর সভাপতি কবি আবদুল মান্নান সরকার, জেলা নাগরিক ফোরামের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা রতন কান্তি দত্ত, জেলা সরকারি গণগ্রন্থাগারের সহকারি পরিচালক সাইফুল ইসলাম লিমন, উদিচি জেলা শাখার সভাপতি জহিরুল ইসলাম স্বপন, লেখক ও সাংবাদিক আল আমিন শাহীন, কবি আবুল কাশেম তালুকদার, নারী সংগঠক ফজিলাতুন্নাহার, মোঃ ফারুক আহমেদ ভুইয়া, কবি রোকেয়া রহমান কেয়া, কথাসাহিত্যিক মানিক রতন শর্মা, কবি সেলিম হোসাইন হাওলাদার, কবি এম এ হানিফ, কবি মোঃ আব্দুর রহিম, কবি ও সাংবাদিক হেলাল উদ্দিন আহমেদ, কবি ও গল্পকার শৌমিক ছাত্তার, কবি ও গল্পকার রাশিদ উল্লাহ তুষার, কবি ও গল্পকার সাদমান শাহিদ, কবি মাশরেকি শিপার, কবি এড. হুমায়ন কবির ভূইয়া, আবৃত্তিশিল্পী হাবিবুর রহমান পারভেজ, কবি হেলাল উদ্দিন হৃদয়, কবি লিটন হোসাইন জিহাদ, কবি গাজী আবু হানিফ, কবি শারমিন সুলতানা, নিখিল চন্দ্র দেবনাথ, কবি শাহ মাহমুদা আক্তার, সাংবাদিক প্রবির চৌধুরী রিপন, সঙ্গিত শিল্পী আনিছুল হক রিপন, জামিনুর রহমান, নদীকর্মী খালেদা মুন্নি, ছড়াকার হুমায়ুন কবির। সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন চেতনায় স্বদেশ গণগ্রন্থাগারের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডঃ পুতুল বেগম। এসময় অন্যানের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ডা. মো আব্দুল মতিন সেলিম, মোস্তাক আহমেদ খোকন, মিজানুর রহমান, মোহাম্মদ হোসেন, শিব চরণ বিশ্বাস, এম এ সাহেদ, কবি রিপন দেব নাথ, এম নাইমুর রহমান, আব্দুল মতিন শীপন, মোজাম্মেল হক, কবি খোকন সেন, অমিতাভ চত্রবর্তী, মনির হোসেন, সাংবাদিক আদিত্ব্য কামাল, কবি কহিনূর আক্তার, কবি ঝর্না আক্তার, শরিফ উদ্দিন, শরিফ সরকার প্রমুখ।
সভায় প্রধান অতিথি তাঁর বক্তব্যে বলেন, আমার অনুজপ্রতিম প্রিয় কবি আমির হোসেন একজন আলোকিত মানুষ। সাহিত্যের নানান শাখায় তাঁর অবাধ বিচরণ। বহুগ্রন্থ প্রণেতা এই লেখকের দুই বাংলার বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় নিয়মিত লেখা প্রকাশিত হচ্ছে। লেখক ও পাঠক সৃষ্টিতে তাঁর সাংগঠনিক দক্ষতা অত্যন্ত প্রশংসনীয়। ভবিষ্যতে তাঁর লেখনী প্রতিভা দিয়ে সমাজে আরো বেশি আলো ছড়াবেন বলে আমরা আশা প্রকাশ করি। অনুষ্ঠানে বক্তাগণ কথাসাহিত্যিক আমির হোসেনকে নিয়ে স্মৃতিচারণ করেন এবং তাঁকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানান। সভায় অনুভূতি ব্যক্ত করেন কবি আমির হোসেন বলেন, আজকে আমাকে নিয়ে যত প্রশংসা, যত আলোচনা সবকিছু ব্রাহ্মণবাড়িয়ার প্রয়াত ও জীবীত সকল মুরুব্বীদের উদ্দেশ্যে উৎসর্গ করলাম। আপনাদের দেয়া সম্মানের মর্যাদা দিতে অভিষ্যতে নিজেকে আরো বেশি করে সাহিত্য-সংস্কৃতিতে নিবেদিত রাখবো। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। তিনি তাঁকে নিয়ে সাময়িকী প্রকাশ ও অনুষ্ঠান আযোজন করায় এবং অনুষ্ঠানে উপস্থিত হওয়ায় সকলকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান।
উল্লেখ্য কথাসাহিত্যিক আমির হোসেন সংখ্যাটি সম্পাদনা করেন তরুণ কবি ও সংগঠক মনিরুল ইসলাম শ্রাবণ ও ছড়াকার হুমায়ুন কবির। দুই বাংলার জনপ্রিয় ১১৫ জন লেখকের লেখা সমৃদ্ধ ১৮০ পৃষ্ঠার এই স্মরণিকাটির প্রচ্ছদ ও অলংকরণ করেন ইসরাফিল হাসান। আলোকচিত্রশিল্পী কাজী আরিফুজ্জামান ও স্বর্ণা (মোহর)। চেতনায় স্বদেশ গণগ্রন্থগারের পক্ষে কথাসাহিত্যিক ইসহাক হাফিজ কর্তৃক প্রকাশিত ও ছাপাখানা-ঢাকা এটি মুদ্রিত হয়। সাময়িকীটি ঢাকা ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিভিন্ন লাইব্রেরিতে পাওয়া যাবে। এর শুভেচ্ছা মূল্য রাখা হয়েছে ৩০০ টাকা মাত্র।