স্বত্ব © 2025 দৈনিক পত্রিকা |
সম্পাদক ও প্রকাশক: উবায়দুর রহমান, ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: মোঃ জুয়েল মিয়া প্রতিষ্ঠাতা: পি বা লিজন।সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয়- পাইকপাড়া,লোকনাথ দিঘীর পাড়,পৌর কমিউনিটি সেন্টার ২য় তলা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া।দৈনিক পত্রিকা অনলাইন নিউজ পোর্টাল। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের কর্তৃক নিবন্ধনের জন্য প্রক্রিয়া দিন।newsdainikpatrika@gmail.com মোবাইল নাম্বার 01751406352,01715958768
এ বিষয়ে খাটিহাতা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আকুল চন্দ্র বিশ্বাস জানান, সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে এলাকায় একটি যাত্রীবাহী সিএনজি খাটিহাতা বিশ্বরোড থেকে আশুগঞ্জের দিকে যাচ্ছিল। সোহাগপুর বাসস্ট্যান্ডে সিলেটগামী কাভার্ডভ্যানের সঙ্গে ওই সিএনজির মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই তিনজন নিহত হন। অপরজন ব্রাহ্মণবাড়িয়া হাসপাতালে নেওয়ার পথে খাটিহাতা বিশ্বরোড যাওয়ার পর মারা যান।
নিহতরা হলেন- সিএনজিচালক সরাইল উপজেলা বলিবাড়ির মো. ফরিদ মিয়ার ছেলে সোহেল, সিএনজির যাত্রী নাজমুল মিয়ার ছেলে জিলানী, মৃত জাফর আলীর ছেলে আসকর মিয়া। বাকি একজনের পরিচয় পাওয়া যায়নি।
খাটিহাতা হাইওয়ে পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আকুল চন্দ্র বিশ্বাস বলেন, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। পরিবারের অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জুয়েল মিয়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদের মাসিক সভা থেকে ৮ সদস্যকে বের করে দিলেন জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আল মামুন সরকার। ইচ্ছেমতো প্যানেল চেয়ারম্যান বানানো এবং নিয়ম বহির্ভূতভাবে প্রকল্প গ্রহণ ও অর্থ বণ্টনের রেজুলেশনে স্বাক্ষর না করায় তাদেরকে বের করে দেয়া হয়েছে বলে জানা যায়। গতকাল পরিষদের তৃতীয় মাসিক সভায় এ ঘটনা ঘটে। পরিষদের সদস্যরা অভিযোগ করেন, সভার শুরুতে দ্বিতীয় সভায় স্বেচ্ছাচারিতার মাধ্যমে নেয়া সিদ্ধান্তের রেজুলেশনে স্বাক্ষর করতে চেয়ারম্যান আল মামুন সরকার তাদের বলেন । এতে রাজি না হওয়ায় চেয়ারম্যান তাদের সভা থেকে বেরিয়ে যেতে বলেন। দুপুর সাড়ে ১২টায় সভা শুরু হওয়ার কথা থাকলেও তা শুরু হয় দেড়টায়। এরপর মিনিট ১৫ সভায় অংশগ্রহণ ছিল ৮ সদস্যের। এ সময় জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান তার বিরুদ্ধে ওই সদস্যদের মন্ত্রণালয়ে করা অভিযোগের নিন্দা প্রস্তাব গ্রহণের কথা বলেন। এ নিয়ে সদস্যদের সঙ্গে তার তুমুল বাকবিতণ্ডা হয়। এরপরই সদস্যরা সভা ছেড়ে বেড়িয়ে আসেন। এদিকে সভাকে কেন্দ্র করে জেলা পরিষদে এক ইন্সপেক্টর ও ২ সাব-ইন্সপেক্টরের নেতৃত্বে মোট ১৫/২০ জন পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়। সংরক্ষিত সদস্য বিউটি কানিজ জানান, মিটিংয়ে যাওয়ার পর চেয়ারম্যান আমাদের বলেন আমরা নাকি উপজেলা চেয়ারম্যান ও মেয়রদের অপমান করার জন্যে লজ্জাকর ইতিহাস তেরি করেছি।এটি নিন্দনীয় কাজ হয়েছে বলে তিনি আমাদেরকে এ ব্যাপারে নিন্দা জানাতে বলেন। এ সময় আমরা নিন্দার বিষয়টি বাদ দিয়ে চেয়ারম্যানকে আমাদের কথা শুনতে বলি। তখন চেয়ারম্যান বলেন, কথা বলতে চাইলে আগে রেজুলেশনে স্বাক্ষর করেন, না হলে বেরিয়ে যান। আপনাদের মিটিংয়ে অ্যাটেন্ড করার দরকার নেই। যেহেতু আমাদের কথা বলতে দেবে না, আর ইতিপূর্বে প্যানেল চেয়ারম্যান ও বরাদ্দে বণ্টনের বিষয়ে চেয়ারম্যানের ইচ্ছেমতো নেয়া রেজুলেশনে স্বাক্ষর করতে বলা হচ্ছে, আমরা সেটি না করে বেরিয়ে আসি। ব্রাহ্মণবাড়িয়া উপজেলা থেকে নির্বাচিত পরিষদ সদস্য বাবুল মিয়া বলেন, মিটিংয়ে যাওয়ার পর চেয়ারম্যান বিগত মিটিংয়ের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে আমাদের স্বাক্ষর দিতে বলেন। আমাদের কোনো কথা শুনতে চাইছিলেন না। এ নিয়ে তার সঙ্গে আমাদের বাকবিতণ্ডা হয়। চেয়ারম্যান তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের নিন্দা প্রস্তাব দিতে বলেন। আমরা এরও প্রতিবাদ করি। এছাড়া জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আল মামুন সরকার তার নিজ ক্ষমতা বলে উপজেলা চেয়ারম্যান ও মেয়রদের ৪ লাখ টাকা করে এবং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদের ৩ লাখ টাকা করে বরাদ্দ বিভাজন করেন। শুধু তাই নয়, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান উন্নয়ন প্রকল্পের চাহিদা প্রদানের একটি ফরম ছাপিয়ে বণ্টন করেছেন। এ ছাড়া কোনো অনুমোদন ছাড়াই ৮/১০ লাখ টাকায় ৩ হাজার কম্বল ক্রয় করেন। এর আগে গত ৯ই ফেব্রুয়ারি স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ও সচিব বরাবর চেয়ারম্যান আল মামুন সরকারের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দেন পরিষদের ৮ সদস্য। তারা হচ্ছেন- আখাউড়ার সাইফুল ইসলাম, সরাইলের পায়েল হোসেন মৃধা, নাসিরনগরের সামসুল কিবরিয়া, আশুগঞ্জের বিল্লাল মিয়া, বাঞ্ছারামপুরের আবুল কালাম আজাদ, বিজয়নগরের বাবুল আক্তার, সদর উপজেলার বাবুল মিয়া ও সংরক্ষিত সদস্য বিউটি কানিজ।এতে অভিযোগ করা হয়, গত ১লা জানুয়ারি পরিষদের দ্বিতীয় সভায় বরাদ্দ বিতরণ নিয়ে সদস্যদের সঙ্গে বিরোধে জড়িয়ে পড়েন চেয়ারম্যান। পরিষদের প্রথম সভায় সকল সদস্যদের মতামত বা ভোটগ্রহণ ছাড়া তার অনুসারী ৩ সদস্যকে প্যানেল চেয়ারম্যান নির্বাচিত করেন। তাছাড়া সদস্যদের পাশ কাটিয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান, পৌরসভার মেয়র এবং ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানদের অনুকূলে অর্থ বরাদ্দ প্রদানের সিদ্ধান্ত নেন নিজেই। এমন সিদ্ধান্ত গ্রহণের বিষয়ে চেয়ারম্যান প্রকাশ্যেই বলেন, জেলা পরিষদ নির্বাচনের পূর্বে নির্বাচনের ভোটার উপজেলা চেয়ারম্যান, পৌরসভার মেয়র ও ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানদের অনুকূলে অর্থ বরাদ্দ প্রদানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তিনি। এটিপ্রচলিত আইন ও বিধিবিধানের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন উল্লেখ করে সদস্যরা তাদের অভিযোগে বলেন, জেলা পরিষদ (সংশোধন) আইন, ২০২২ অনুযায়ী জেলা পরিষদের উন্নয়ন কার্যক্রমের সঙ্গে উপজেলা পরিষদ/পৌরসভা সমূহের উন্নয়ন কার্যক্রমের সুষ্ঠু সমন্বয় নিশ্চিত করার জন্য উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, পৌরসভার মেয়রগণকে পদাধিকার বলে জেলা পরিষদের সদস্য হিসেবে নির্ধারণ করা হয়েছে। কিন্তু জেলা পরিষদের রাজস্ব ও এডিপি বরাদ্দ স্থানীয় সরকারের ওই সকল চেয়ারম্যান ও মেয়রের অনুকূলে বিভাজন করার কোনো বিধান রাখা হয়নি।
জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে ৩১ আগস্ট সন্ধ্যায় শিবপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের উত্তর-পূর্ব পাশে মাটির রাস্তায় বর্বর এ ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী নারীর নাম মোছা. নাছিমা আক্তার। তিনি শিবপুর কলেজ পাড়ার মলাই মিয়ার মেয়ে। মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানকার চিকিৎসকরা ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে পাঠান। নাছিমা এখন ওই হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছেন।
এ ঘটনায় শিবপুর ইউনিয়নের আকুবপুর গ্রামের নূরুল ইসলামের ছেলে মোছা মিয়াকে প্রধান আসামি করে ১৬ জন নামের থানায় মামলা হয়েছে। তবে পুলিশ কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না বলে আভিযোগ ভুক্তভোগী পরিবারের।
জানা যায়, স্ত্রী ও ৬ মেয়ে নিয়ে শিবপুর কলেজপাড়ায় নিজ বাড়িতে বসবাস করে আসছেন মলাই মিয়া। তিনি ও তার স্ত্রী বর্তমানে খুবই অসুস্থ। একটি জমি ক্রয়-বিক্রয় নিয়ে পরিবারটির সঙ্গে মোছা মিয়ার বিরোধ চলে আসছিল। শিবপুর ইউনিয়ন সদরে নাছিমাদের ১১ শতক জমি রয়েছে। ওই জমি ক্রয় করতে চান মোছা মিয়া। এজন্য নাছিমাকে প্রস্তাবও দিয়েছেন। কিন্তু নাছিমা জমি বিক্রি করতে রাজি না হওয়ায় ক্ষিপ্ত হন মোছা মিয়। এর জেরেই তার ওপর হামলা চালানো হয়।
ভুক্তভোগী নাছিমা জানান, মোছা মিয়া এলাকায় অহসায় এতিমদের জমি জবরদখল, সন্ত্রাসসহ নানা অপকর্মে জড়িত। এখন সে আমাদের জমি কিনতে চাচ্ছেন। রাজি না হওয়ায় সে প্রকাশ্যে ঘোষণা দেয়, যে কোনো মূল্যে ওই জমি দখল করবে। সেই পরিকল্পনার অংশ হিসাবে হত্যার উদ্দেশ্যে আমার ওপর হামলা করা হয়েছে।
নাছিমা বলেন, হামলাস্থল থেকে দেশীয় অস্ত্র উদ্ধারের সময় পড়ে থাকা আমার মোবাইল ফোনটি শিবপুর ফাঁড়ি পুলিশ নিয়ে গেছে। মঙ্গলবার রাতে থানায় অভিযোগ দেওয়া হলেও এখন পর্যন্ত আসামিদের ধরার কোনো ব্যবস্থা নেয়নি পুলিশ।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলেন মোছা মিয়া বলেন, ‘আমি এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত নই। উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে আমাকে ফাঁসাতে আসামি করা হয়েছে।
থানার অফিসার ইনচার্জ মাহবুব আলম জানান, অভিযোগ পেয়েছি। আইনি প্রক্রিয়ায় যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এদিকে বুধবার বিকালে উপজেলা নির্বাহী অফিসার একটি অনুষ্ঠানে শিবপুর গেলে নাছিমার মা হোছনে আরা তার কাছে বিষয়টি তুলে ধরে ন্যায়বিচার দাবি করেন। এ সময় নির্বাহী অফিসার তানভীর ফরহাদ শামিম ন্যায়বিচারের আশ্বাস দেন।
জুয়েল মিয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে ১০৪ কেজি গাঁজা ও ১টি কাভার্ডভ্যানসহ এক মাদক কারবারিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শনিবার (৫ আগস্ট) সকালে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের সৈয়দ নজরুল ইসলাম সেতুর টোল প্লাজা এলাকা থেকে গাঁজা সহ তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত যুবকের নাম জিয়াউর রহমান (৩৮)। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার দেলি উত্তর পাড়া গ্রামের মৃত খেলু মিয়ার ছেলে। এ ঘটনায় আশুগঞ্জ থানার এসআই মোঃ কবির হোসেন বাদী হয়ে আশুগঞ্জ থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করেছেন। আশুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাহিদ আহমেদ বলেন, মাদক উদ্ধারের অভিযানের সময় একটি কাভার্ডভ্যানে তল্লাশি করে ১০৪ কেজি গাঁজা পাওয়া যায়। এই ঘটনায় এক মাদক কারবারিকে আটক করা হয়েছে। পাশাপাশি কাভার্ডভ্যানটি জব্দ করা হয়েছে।গ্রেফতারকৃত মাদক কারবারিকে আদালতে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে। তিনি আরও জানান, আশগুঞ্জ থানার অপরাধ দমন, আসামি গ্রেফতার ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন মহোদয়ের নির্দেশে আশুগঞ্জ থানা পুলিশ নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।