স্বত্ব © 2024 দৈনিক পত্রিকা |
সম্পাদক ও প্রকাশক: উবায়দুর রহমান, ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: মোঃ জুয়েল মিয়া প্রতিষ্ঠাতা: পি বা লিজন।সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয়- পাইকপাড়া,লোকনাথ দিঘীর পাড়,পৌর কমিউনিটি সেন্টার ২য় তলা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া।দৈনিক পত্রিকা অনলাইন নিউজ পোর্টাল। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের কর্তৃক নিবন্ধনের জন্য প্রক্রিয়া দিন।newsdainikpatrika@gmail.com মোবাইল নাম্বার 01751406352,01715958768
অপহৃত টেম্পু বেপারী জামালপুর জেলার ইসলামপুর উপজেলার পলবান্ধা বেপারীপাড়ার মো. আবদুস সালাম বেপারীর ছেলে। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকার কাউতলী গ্রামে ভাড়া বাসায় বসবাস করে ট্রেনসহ বিভিন্ন এলাকায় হকারি করেন। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, কসবা উপজেলার বাদৈর গ্রামের ফজলুর রহমানের ছেলে মো. ফারুক মিয়া-(৪৫), একই উপজেলার কুইয়াপানিয়া গ্রামের বাদশা মিয়ার ছেলে জাহের মিয়া ওরফে বোচন-(৫৫) ও খিদিরপুর গ্রামের হান্নান মিয়ার ছেলে মাহবুবুর রহমান-(২৬)। পুলিশ জানায়, গত ১৭ আগষ্ট (বৃহস্পতিবার) সকাল ১০ টার সময় ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকার কাউতলী ব্রীজের উপর থেকে টেম্পু বেপারীকে জোরপূর্বক মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে যায় অপহরণকারীরা। পরে অপহরণকারীরা টেম্পু বেপারীর পরিবারের সদস্যদের কাছে ৫ লাখ টাকা মুক্তিপন দাবি করেন। মুক্তিপনের টাকা না দিলে তাকে হত্যার হুমকি দেয় অপহরণকারীরা। অপহরণকারীদের কথামতো টেম্পু মিয়ার পরিবারের সদস্যরা বিকাশের মাধ্যমে ১ লাখ টাকা মুক্তিপন পাঠায় ও বিষয়টি পুলিশকে অবহিত করে।
পরে পুলিশ গোপন সংবাদ ও তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় শনিবার গভীর রাতে কসবা উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকায় অভিযান চালিয়ে টেম্পু মিয়াকে উদ্ধার সহ তিন অপহরণকারীকে গ্রেপ্তার করে। এ সময় টেম্পু মিয়ার পরিবারের সদস্যদের কাছ থেকে নেয়া মুক্তিপনের ১ লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়।
জুয়েল মিয়া
অমর একুশে বইমেলায় পাওয়া যাচ্ছে শাহনেওয়াজ শাহ্ এর দ্বিতীয় বই ‘কলম সৈনিক’। মোট ৫৫ টি কবিতা নিয়ে সাজানো হয়েছে বইটি। বইটির ক্যানভাসে লেখক কাব্যের মাধ্যমে সামাজিক প্রেক্ষাপট, মানব চরিত্র ও জীবনের আনুসঙ্গিক বিভিন্ন অসঙ্গতির চিত্র তুলে ধরেছেন। বইটির প্রচ্ছদ ডিজাইন করেছেন সজীব কুমার। নির্বাণ প্রাকশ থেকে প্রকাশ হওয়া বইটির মূল্য ধরা হয়েছে ২৪০ টাকা। বইমেলার ১৬ নম্বর গণপ্রকাশন এবং স্বনির্ভর প্রকাশনীর নিজস্ব স্টলে পাওয়া যাচ্ছে বইটি।
লেখক শাহনেওয়াজ শাহ্ লেখালেখি শুরু করেন ২০১৮ সালের শুরুর দিকে। কলেজে পড়ার সময় থেকেই তার লেখা প্রকাশ হতে থাকে। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির পর পড়াশোনার পাশাপাশি সাংবাদিকতাও শুরু করেন তিনি।বিভিন্ন পত্রিকায় ফিচারের পাশাপাশি বিভিন্ন কবিতা ও গল্পও লিখেন তিনি। লেখকের পূর্ব প্রকাশিত বই “বদলে যাবো, বদলে দিবো” ২০২১ সালে অমর একুশে বইমেলায় প্রকাশিত হয়েছে। এই তরুণ লেখকের প্রকাশিতব্য বই “শেষ ঠিকানা”। তিনি ভবিষ্যতে আরো অনেক বই রচনা করার এবং সাহিত্য চর্চা করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন।
তরুণ লেখক, সাংবাদিক ও সংগঠক শাহনেওয়াজ শাহ্ এর জন্ম ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০০০ খ্রিস্টাব্দে। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগর উপজেলার ছতরপুর গ্রামে জন্মগ্রহন করেন। তার পিতা মোঃ বেনুজীর শাহ্ পেশায় একজন কৃষক ও মাতা উম্মে কুলসুম গৃহিণী। বর্তমানে তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগে সম্মান চতুর্থ বর্ষে অধ্যয়নরত। তিনি বেশ কয়েকটি জাতীয় ও স্থানীয় পত্রিকাতে কাজ করেছেন। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য জাতীয় দৈনিক তৃতীয় মাত্রা, জাতীয় দৈনিক অগ্নিশিখা, জাতীয় দৈনিক পর্যবেক্ষণ, জাতীয় দৈনিক মতপ্রকাশ, দৈনিক ফুলতলা প্রতিদিন, স্থানীয় দৈনিক দিনদর্পন, পাক্ষিক আলোর সারথি, পাক্ষিক ভয়েস অব ব্রাহ্মণবাড়িয়া ইত্যাদি। এছাড়াও তিনি বহুল প্রচারিত অনলাইন নিউজ পোর্টাল দৈনিক প্রাণকণ্ঠ এর সম্পাদক ও প্রকাশক।
কবি ও লেখক শাহনেওয়াজ শাহ্ বলেন, বই সভ্যতার প্রতিক। নিজের জ্ঞানকে সমৃদ্ধ ও বিকশিত করতে বই পড়ার বিকল্প নেই। একজন লেখক হয়ে উঠার পূর্ব শর্তই হচ্ছে প্রচুর বই পড়তে হবে। একটি কবিতার মাধ্যমে বিপ্লব ঘটানো সম্ভব। একটি গল্পের মাধ্যমে একটি জীবন পরিবর্তন করা সম্ভব। পাঠকদের প্রতি বই মেলায় আসার, দেখার ও বই কিনার আহ্বান রইল।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সাংবাদিক সমিতির সভাপতি মো.জুয়েল মিয়া বলেন, বহুগুণে গুণান্বিত তরুণ লেখক ও কবি শাহনেওয়াজ শাহ্ ব্রাহ্মণবাড়িয়া সাংবাদিক সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করছেন। তার লেখায় জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের বিদ্রোহের প্রতিধ্বনি শুনা যায়। সমাজের অন্যায়, অনিয়ম ও অবিচারের বিরুদ্ধে তার লেখা দেশরক্ষায় নিয়োজিত সৈনিকের অস্ত্রের মতো চলমান থাকুক। তার প্রতি বিপ্লবী ভালোবাসা রইল।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর থেকে নারায়ণ চন্দ্র দাস (৬০) নামে এক নৈশপ্রহরীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) দুপুরে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করেছে পুলিশ। আজ ভোররাতে উলজেলার রুপসদী ইউনিয়নের বাল্লাকান্দি বাজারে এ ঘটনা ঘটে।
নারায়ণ চন্দ্র দাস উপজেলার রুপসদী ইউনিয়নের আশ্রাফপুর গ্রামের দক্ষিণ দাস পাড়ার মৃত দেবেন্দ্র চন্দ্র দাসের ছেলে।
বাঞ্ছারামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি নুরে আলম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, নারায়ণ গত দুই বছর যাবত রূপসদী ইউনিয়নের বাল্লাকান্দি বাজারের নৈশপ্রহরীর দায়িত্ব পালন করছিল। প্রতিদিনের মত গতকাল রাতে ডিউটিতে থাকা অবস্থায় একটি দোকানের ভারি কাঁচযুক্ত কাঠের রেক নারায়ণের উপর চাপা পড়িয়া ঘটনাস্থলে মারা যান। পরে স্থানীয়রা থানা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ গিয়ে নিহতের লাশ উদ্ধার করে। পরে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করি। এব্যাপারে থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে।
মঙ্গলবার রাত ১২ টার দিকে শহরের ট্যাংকের উত্তরপাড় এলাকায় আজাদ অটোরিকশা গ্যারেজে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
সুমন মিয়া সদর উপজেলার মজলিশপুর ইউনিয়নের জাফরগঞ্জ গ্রামের মৃত রশদ আলীর ছেলে।
নিহতের পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সুমন মিয়া প্রতিদিনের মতো অটোরিকশা চালানো শেষে রাতে ওই গ্যারেজে তার অটোরিকশাটির ব্যাটারি চার্জ দিতে যান। এ সময় অসাবধানতা বশতঃ সে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়।
স্থানীয়রা সুমন মিয়াকে দ্রুত উদ্ধার করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিসক পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আসলাম হোসাইন জানান, মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় আইনানুগ কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।