স্বত্ব © 2025 দৈনিক পত্রিকা |
সম্পাদক ও প্রকাশক: উবায়দুর রহমান, ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: মোঃ জুয়েল মিয়া প্রতিষ্ঠাতা: পি বা লিজন।সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয়- পাইকপাড়া,লোকনাথ দিঘীর পাড়,পৌর কমিউনিটি সেন্টার ২য় তলা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া।দৈনিক পত্রিকা অনলাইন নিউজ পোর্টাল। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের কর্তৃক নিবন্ধনের জন্য প্রক্রিয়া দিন।newsdainikpatrika@gmail.com মোবাইল নাম্বার 01751406352,01715958768
নিজস্ব প্রতিবেদক
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় পৌর শহরের পুরাতন বাজারে ভারত থেকে পেঁয়াজ রপ্তানি নিষেধাজ্ঞার খবরে নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে অতিরিক্ত দামে পেঁয়াজ বিক্রির দায়ে তিন ব্যবসায়ীকে জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।শনিবার (৯ ডিসেম্বর) দুপুরে পৌর শহরের পুরাতন বাজারে এ অভিযান চালানো হয়।ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ শাহরিয়ার মুক্তার। অভিযানে কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ মহিউদ্দিন ও বাজার কমিটির দফতর সম্পাদক মো. দুলু মিয়াসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন। এ সময় একজন পাইকারি ব্যবসায়ী ও দু’জন খুচরা দোকানিকে ৩৫ হাজার টাকা জরিমানা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক খুচরা বিক্রেতা জানান, বিভিন্ন গণমাধ্যমে ভারত থেকে পেঁয়াজ না আসার খবরে স্থানীয় পাইকারী পেঁয়াজ ব্যবসায়ীরা শনিবার সকাল থেকে ১০০-১১০ টাকার কেজি মূল্যের পেঁয়াজ অতিরিক্ত দাম বাড়িয়ে বিক্রি শুরু করেন খুচরা ব্যবসায়ীদের নিকট। খুচরা ব্যবসায়ীরা রশিদ চাইলেও দিতে অস্বীকৃতি জানায় পাইকারী ব্যবসায়ীরা। খুচরা ব্যবসায়ীরা অধিক দামে পাইকারদের কাছ থেকে পেঁয়াজ অধিক দামে এনে ভোক্তাদের নিকট ১৮০/২০০ টাকায় বিক্রি শুরু করেন। যারা আগে কিনে মজুদ রেখেছিলেন তারাও অতিরিক্ত দামে বিক্রি করছিলেন। অভিযোগ পেয়ে অভিযানে নামেন উপজেলা প্রশাসন।উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মুহাম্মদ শাহরিয়ার মুক্তার জানান, অতিরিক্ত মূল্যে পেয়াজ বিক্রয় ও পণ্য তালিকা সংরক্ষণ আইনে তাদেরকে এ জরিমান করা হয়েছে। সকল ব্যবসায়ীদের অতিরিক্ত মূল্য না রাখার বিষয়ে সতর্ক করা হয়েছে।
রবিবার (৩ সেপ্টেম্বর) রাতে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রবিউল হোসেন রুবেল ও সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসেন শোভন স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, সংগঠনের নীতি ও আদর্শ পরিপন্থি কার্যকলাপে লিপ্ত থাকার অভিযোগ উঠায় বিপ্লবকে সাময়িক অব্যাহতি দেওয়া হলো। এছাড়া তাকে কেন সংগঠন থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করার জন্য কেন্দ্রে সুপারিশ করা হবে না, আগামী ৭ কার্যদিবসের মধ্যে দফতর সেলে সশরীরে উপস্থিত হয়ে জবাব দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, বুধবার (৩০ আগস্ট) সন্ধ্যায় জেলা শহরের মৌলভীপাড়ায় বিএস ফিটনেস ক্লাবে গোপনে আপত্তিকর ভিডিও ধারণের প্রতিবাদ করায় আটকে রেখে গৃহবধূসহ দুজনকে মারধর করার অভিযোগে ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ জিমের পরিচালক জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি হাবিবুল্লাহ ভূঁইয়া বিপ্লব, জিমের ফিটনেস ট্রেইনার মিতু আক্তার ও সাইমকে গ্রেফতার করে। ঘটনার দিন রাতেই ওই গৃহবধূর ভাসুর ব্রাহ্মণবাড়িয়া আদালতের এপিপি মাসুদুর রহমান (সোহাগ) গ্রেফতার তিনজনসহ ৪ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ৮/৯ জনকে আসামি করে সদর মডেল থানায় মামলা দায়ের করেছেন। বর্তমানে তারা কারাগারে রয়েছেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রবিউল হোসেন রুবেল বলেন, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের আদর্শপরিপন্থি কার্যকলাপের অভিযোগ পাওয়ায় জেলা ছাত্রলীগের এক জরুরি সভায় বিপ্লবকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে।
এছাড়া ব্যক্তির দায়, দল বা সংগঠন নেবে না উল্লেখ করে স্থায়ী বহিষ্কারের জন্য বিপ্লবকে শোকজ করা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
নিজস্ব প্রতিবেদক
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় মাদক কারবারির ছুরিকাঘাতে খাইরুল ইসলাম নামে পুলিশ কনস্টেবল আহত হওয়ার ঘটনায় মামলা দায়ের করেছে পুলিশ।শনিবার (৬ মে) আখাউড়া থানার উপপরিদর্শক নুপুর কুমার দাস বাদী হয়ে ৫৪ জনকে আসামি করে মামলাটি দায়ের করেন। এই মামলায় শুক্রবার (৫ মে) রাত থেকে রোববার (৭ মে) পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে শীর্ষ মাদককারবারিসহ ৪১ জনকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার হওয়া মাদক কারবারিদের রোববার বিকেলে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন বলেন, পুলিশ কনস্টেবলকে ছুরিকাঘাতের ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। আমরা তিন দিনের সাড়াশি অভিযান চালিয়ে শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ীসহ ৪১ জনকে গ্রেফতার করেছি। তাদের প্রত্যকের বিরুদ্ধে মাদক মামলা রয়েছে। অভিযানের সময় তাদের কাছ থেকে ৫০ বোতল ফেনসিডিল, ৭০ বোতল বিয়ার, চার কেজি গাঁজাসহ দেশীয় অনেক অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। ঘটনার পর থেকেই সব মাদককারবারি এলাকা ছেড়ে দিয়েছে। তাদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান তিনি।
নিউজ ডেস্ক : পাঠ্যপুস্তকের ভুলভ্রান্তি নিয়ে আলোচনা-সমালোচনার মধ্যে ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির দুটি বই পাঠদান থেকে প্রত্যাহার করে নিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় এর জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড।
এবার স্কুলে এগুলো না পড়াতে নির্দেশনা দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)। দেশের সব মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের কাছে এ নির্দেশনা পাঠানো হয়েছে।
মাউশির বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির ‘ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান’ বিষয়ের ‘অনুসন্ধানী পাঠ’ পাঠ্যপুস্তক দুটি প্রত্যাহার করা হয়েছে। এ বিষয় দুটির ‘অনুশীলনী পাঠ’ ও ষষ্ঠ শ্রেণির ‘বিজ্ঞান অনুসন্ধানী পাঠ’ পাঠ্যপুস্তকগুলোর কতিপয় অধ্যায়ের প্রয়োজনীয় সংশোধন করে পাঠদান করাতে বলা হয়েছে। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হয়েছে।
১০ ফেব্রুয়ারি এনসিটিবি’র চেয়ারম্যান প্রফেসর মো. ফরহাদুল ইসলামের সই করা এ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২০২৩ শিক্ষাবর্ষের ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির জন্য প্রণীত ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান বিষয়ের ‘অনুসন্ধানী পাঠ’ পাঠ্যপুস্তক দুটি পাঠদান থেকে প্রত্যাহার করা হলো। ওই দুই শ্রেণির ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান বিষয়ের ‘অনুশীলনী পাঠ’ এবং ষষ্ঠ শ্রেণির বিজ্ঞান ‘অনুসন্ধানী পাঠ’ বই দুটিরও কতিপয় অধ্যায়ের প্রয়োজনীয় সংশোধন করা হবে। সংশোধনীগুলো শিগগির শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে অবহিত করা হবে।
তবে কী কারণে বই দুটি প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে সেই বিষয়ে এনসিটিবি কোনো ব্যাখ্যা দেয়নি।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলায় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসকের ভিজিট চাওয়ায় এক কর্মচারীকে অপহরণ করে তুলে নেওয়ার সময় প্রতিবাদ করলে জাতীয় দৈনিকের সাংবাদিক বিশ্বজিৎ পালের ওপর হামলা করেছেন দুর্বৃত্তরা। এসময় দুর্বৃত্তের হামলায় সাংবাদিক বিশ্বজিৎসহ তিনজনসহ আহত হন। শুক্রবার (২৮ জুলাই) সন্ধ্যা সাতটার দিকে উপজেলার রাধানগরের দাসপাড়ায় অবস্থিত একটি বেসরকারি ক্লিনিকে এ ঘটনা ঘটে।আহত সাংবাদিক বিশ্বজিৎ পাল উপজেলার রাধানগর গ্রামের বাসিন্দা। তিনি দৈনিক কালেরকন্ঠের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রতিনিধি হিসেবে কর্মরত। এসময় সাংবাদিক বিশ্বজিৎকে বাঁচাতে গিয়ে আহত হন তার দুই চাচাতো ভাই আনন্দ পাল (২৮) ও প্রসেনজিৎ পাল (২৮)। উপজেলার দেবগ্রামের মাহফুজ ভূঁইয়ার ছেলে সুমন ভূঁইয়ার নেতৃত্বে সাংবাদিক বিশ্বজিতের ওপর হামলা চালানো হয়।স্থানীয় লোকজন ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার বেলা সাড়ে পাঁচটার দিকে দেবগ্রামের বাসিন্দা সুমন ভূঁইয়া স্ত্রীসহ ছয় মাসের শিশু সন্তানকে নিয়ে চিকিৎসক দেখাতে চিকিৎসক দেখাতে রাধানগরের দাসপাড়ার দি কমফোর্ট এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে যান। ওই ক্লিনিকে থাকা চিকিৎসক কাজী মাজহারুল ইসলামের কাছে শিশু সন্তানকে নিয়ে যান সুমন।চিকিৎসক থেকে ব্যবস্থাপত্র নিয়ে চেম্বার থেকে বের হন সুমন। সেসময় ক্লিনিকের ব্যবস্থাপকের দায়িত্বে সালমা আক্তার সুমনের কাছে চিকিৎসকের ৪০০ টাকা ভিজিট চান। এতে ক্ষিপ্ত হন সুমন। এক পর্যায়ে সালমার সঙ্গে দুর্ব্যবহার করা শুরু করে সুমন। পরে ঘটনাস্থলে এগিয়ে ক্লিনিকের একজন আশিষ সাহার সঙ্গে খারাপ আচরণ করেন।চিকিৎসক দেখানের ভিজিট না দিয়েই ক্লিনিকের মালিককে ভয় ও হুমকি দিয়ে ঘটনাস্থল থেকে চলে যান সুমন। বিকেলে ছয়টার দিকে ওই ক্লিনিকে চিকিৎসক দেখাতে যান সাংবাদিক বিশ্বজিৎ পাল। বিকেল সাড়ে ছয়টার দিকে সুমন সঙ্গে ২০-২৫জন লোক নিয়ে ওই ক্লিনিকে যান। সুমনের নেতৃত্বে লোকজন ক্লিনিকের ব্যবস্থাপক সালমা তুলে নিতে এগিয়ে যায়। তখন ঘটনার প্রতিবাদ করে বাঁধা দিতে গেলে সুমনের নেতৃত্বে লোকজন সাংবাদিক বিশ্বজিতের ওপর হামলা চালায়।সাংবাদিক বিশ্বজিৎকে বাঁচাতে এগিয়ে গেলে শান্ত পাল ও আনন্দ পালকে তারা মারধর করে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। হামলায় বিশ্বজিৎ মাথাসহ সারা শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত পেয়েছে। আহতদের উদ্ধার করে সন্ধ্যা পৌনে আটটার দিকে আখাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে।আহত সাংবাদিক বিশ্বজিৎ পাল বলেন, ক্লিনিক থেকে একটি মেয়েকে তারা তুলে নিতে আসে। আমি তখন নিজেকে ওই মেয়ের অভিভাবক হিসেবে পরিচয় দেই। তারা আমাকে তখন বলে তুই গার্ডিয়ান, দাঁড়া। এই বলে তারা আমার ওপর হামলা করে। রাধানগর মোড়ে থাকা আমার দুই ভাই ঘটনা শুনে আমাকে বাঁচাতে আসে। তাদের ওপরও সন্ত্রাসী কায়দায় তারা হামলা চালিয়েছে।আখাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসাদুল ইসলাম বলেন, পুলিশ হাসপাতালে গিয়ে আহতদের দেখে এসেছে। এঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। জড়িতদের গ্রেপ্তারে পুলিশের তিনটি টহল দল বের হয়েছে। জড়িতদের গ্রেপ্তারে অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ।