স্বত্ব © 2024 দৈনিক পত্রিকা |
সম্পাদক ও প্রকাশক: উবায়দুর রহমান, ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: মোঃ জুয়েল মিয়া প্রতিষ্ঠাতা: পি বা লিজন।সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয়- পাইকপাড়া,লোকনাথ দিঘীর পাড়,পৌর কমিউনিটি সেন্টার ২য় তলা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া।দৈনিক পত্রিকা অনলাইন নিউজ পোর্টাল। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের কর্তৃক নিবন্ধনের জন্য প্রক্রিয়া দিন।newsdainikpatrika@gmail.com মোবাইল নাম্বার 01751406352,01715958768
বৃহস্পতিবার (২৭ জুলাই) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবুল খায়ের এ তথ্য জানিয়েছেন। বাংলাদেশ আন্তঃশিক্ষা বোর্ড জানিয়েছে, ফলাফল অনলাইন এবং মোবাইল থেকে এসএমএস করে পাওয়া যাবে।
ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসর মো. আবুল বাশার জানিয়েছেন, ২৮ জুলাই সকাল সাড়ে ১০টায় নিজ নিজ প্রতিষ্ঠান এবং অনলাইনে একযোগে প্রকাশিত হবে।
প্রতিষ্ঠানগুলো রেজাল্ট শিট ডাউনলোডের ক্ষেত্রে www.dhakaeducationboard.gov.bd থেকে রেজাল্ট কর্নারে ক্লিক করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ইআইআইএন এন্ট্রি করে প্রতিষ্ঠানভিত্তিক রেজাল্ট শিট ডাউনলোড করতে পারবে। আর www.educationboardresults.gov.bd-তে ক্লিক করে রোল ও রেজিস্ট্রেশন নম্বরের মাধ্যমে রেজাল্ট শিট ডাউনলোড করতে পারবে।
এছাড়াও পরীক্ষার ফল প্রকাশের পর এসএমএস করে ফল সংগ্রহ করা যাবে। এজন্য এসএসসি বোর্ডের নামের প্রথম তিন অক্ষর টাইপ করে রোল ও পাসের বছর দিয়ে ১৬২২২ নম্বরে পাঠালে ফল পাওয়া যাবে। উদাহরণ: SSC Dha 123456 2023 Send to 16222.দাখিলের ক্ষেত্রে বোর্ডের প্রথম তিন অক্ষরের জায়গায় Mad এবং কারিগরির ক্ষেত্রে Tec টাইপ করতে হবে।
প্রতিষ্ঠানগুলোকে অনলাইনের মাধ্যমে ফলাফল প্রকাশ করার জন্য www.educationboardresults.gov.bd-থেকে রেজাল্ট কর্নারে ক্লিক করে বোর্ড ও প্রতিষ্ঠানের ইআইআইএন এর মাধ্যমে ডাউনলোড করার পরামর্শ দিয়েছে বোর্ড।
রেওয়াজ অনুযায়ী, বোর্ড চেয়ারম্যানদের সঙ্গে নিয়ে শিক্ষামন্ত্রী প্রধানমন্ত্রীর কাছে ফলাফলের অনুলিপি হস্তান্তর করেন। এরপর শিক্ষামন্ত্রী সংবাদ সম্মেলন করে ফলাফলের বিস্তারিত পরিসংখ্যান তুলে ধরেন।
৩০ এপ্রিল থেকে শুরু হওয়া এসএসসি পরীক্ষা মে মাসে শেষ হয়। তবে ঘূর্ণিঝড় মোখার কারণে কয়েকটি পরীক্ষা পিছিয়ে যায়। ২০২৩ সালের সংশোধিত ও পুনর্বিন্যাসকৃত সিলেবাসে এবং পূর্ণ নম্বর ও পূর্ণ সময়ে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, এবারের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় মোট পরীক্ষার্থী ২০ লাখ ৭২ হাজার ১৬৩ জন। এর মধ্যে ছাত্র ১০ লাখ ২১ হাজার ১৯৭ এবং ছাত্রী ১০ লাখ ৫০ হাজার ৯৬৬ জন। ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ১৬ লাখ ৪৯ হাজার ২৭৫ জন। এর মধ্যে ছাত্র ৭ লাখ ৭৯ হাজার ৮৭০ জন এবং ছাত্রী ৮ লাখ ৬৯ হাজার ৪০৫ জন। মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে ২ লাখ ৯৫ হাজার ১২১ জন পরীক্ষার্থী অংশ নেবে। এর মধ্যে ছাত্র ১ লাখ ৪৩ হাজার ৯৯৩ জন এবং ছাত্রী ১ লাখ ৫১ হাজার ১২৮ জন।
২০২২ সালের তুলনায় ২০২৩ সালে পরীক্ষার্থী বেড়েছে ৫০ হাজার ২৯৫ জন। এর মধ্যে ছাত্রী বেড়েছে ৩৮ হাজার ৬০৯ জন। এ ছাড়া মোট প্রতিষ্ঠান বেড়েছে ২০৭টি এবং কেন্দ্র বেড়েছে ২০টি।
আদিত্য কামাল
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর থেকে উদ্ধারকৃত অর্ধগলিত অজ্ঞাতনামা নারীর (৪০) লাশ দাফন করেছে ‘ব্রাহ্মণবাড়িয়া বাতিঘর’ নামের একটি সংগঠন।নবীনগর থানা পুলিশের কাছ থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া বাতিঘরের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার আজহার উদ্দিন লাশ গ্রহণ করে শুক্রবার (২৫ ডিসেম্বর) বাদ জুম্মা জানাজার নামায পর মেড্ডা তিতাস নদীর পাড়ের বেওয়ারিশ লাশের কবরস্থানে দাফন করেন।গত বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) নবীনগরের পৌরসভার মাঝিকাড়া গ্রামের একটি ডোবায় এক নারীর অর্ধগলিত মরদেহ ভেসে থাকতে দেখে স্থানীয় লোকজন পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে। মরদেহটি কয়েকদিন পানিতে থাকার কারণে মহিলার শরীরে পচন ধরে যায়। ময়নাতদন্তের জন্য অজ্ঞাত মহিলার লাশ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।নবীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুব আলম জানান, অজ্ঞাতনামা নারীর পরিচয় শনাক্ত হয়নি বলে বেওয়ারিশ লাশ দাফনকাজের সংগঠন ব্রাহ্মণবাড়িয়া বাতিঘর এর প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার আজহার উদ্দিনকে লাশ দাফনের চিঠি পাঠায়। তিনি অজ্ঞাত মরদেহটি গ্রহণ করে শুক্রবার জুম্মার পর জানাজার নামায শেষে মেড্ডা তিতাস নদীর পাড়ের বেওয়ারিশ লাশের কবরস্থানে দাফন করেন।উল্লেখ্য, ব্রাহ্মণবাড়িয়া বাতিঘর বেওয়ারিশ লাশ দাফনকাজ ও মানবিক কাজ দিয়ে জেলায় সবার চেয়ে এগিয়ে। তারা জেলায় টেলি-মেডিসিন সেবা, বিনামূল্যে অক্সিজেন সেবা ও ২৪ ঘন্টা বিনামূল্যে রক্তদান করে যাচ্ছে। যা এই প্রথম কোন সংগঠন এত গুলো কাজ করছে। এখন পর্যন্ত ১২৭টি বেওয়ারিশ লাশ দাফনকাজ সম্পন্ন করেছে বাতিঘর।
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামীকাল বহুল প্রতীক্ষিত এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর-ফার্মগেট অংশের যান চলাচলের জন্য উদ্বোধন করবেন।ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের প্রকল্প পরিচালক এএইচএমএস আক্তার আজকে বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী আগামীকাল বিকেল সাড়ে ৩ টায় শেরেবাংলা নগরের পুরাতন বাণিজ্য মেলার মাঠে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এক্সপ্রেসওয়েটির উদ্বোধন করবেন।উদ্বোধনের পরের দিন বিমানবন্দর-ফার্মগেট অংশটি যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হবে বলে জানান ওই কর্মকর্তা।তিনি বলেন, এই অংশের দৈর্ঘ্য প্রায় ১১ দশমিক ৫ কিলোমিটার। বোর্ডিংয়ের জন্য ১৫টি র্যাম্প রয়েছে। এর মধ্যে বনানী ও মহাখালীতে দু’টি র্যাম্প আপাতত বন্ধ থাকবে। এক্সপ্রেসওয়েতে যানবাহনের সর্বোচ্চ গতিসীমা হবে ঘন্টায় ৬০ কিলোমিটার। থ্রি হুইলার, সাইকেল এবং পথচারীদের এক্সপ্রেসওয়েতে চলাচল করতে দেওয়া হবে না। মোটরবাইক এখনই চলতে পারবে না।এর আগে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর-ফার্মগেট অংশের টোল রেট ৮০ টাকা থেকে ৪০০ টাকা নির্ধারণ করে।ক্যাটাগরি ১-এর অধীনে যে কোনো স্থান থেকে বিমানবন্দর-ফার্মগেট অংশ অতিক্রম করার জন্য গাড়ি, ট্যাক্সি, জীপ, স্পোর্টস ইউটিলিটি ভেহিকল, মাইক্রোবাস (১৬ আসনের নিচে) এবং হালকা ট্রাক (৩ টনের নিচে) টোল রেট ৮০ টাকা।মাঝারি ট্রাকের জন্য (ছয় চাকা পর্যন্ত) যে কোনো পয়েন্ট থেকে রুট পার হওয়ার জন্য টোল রেট ক্যাটাগরি-২ এর অধীনে ৩২০ টাকা ক্যাটাগরি ৩-এর অধীনে যে কোনো পয়েন্ট থেকে রুট পার হওয়ার জন্য ট্রাকের (ছয় চাকার বেশি) টোল রেট ৪০০ টাকা। যে কোনো পয়েন্ট থেকে রুট পার হওয়ার জন্য যে কোনো বাসের (১৬ সীটের বা তার বেশি) টোল রেট ৪-ক্যাটাগরির অধীনে ১৬০ টাকা।ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কাওলা, কুড়িল, বনানী, মহাখালী, তেজগাঁও, মগবাজার, কমলাপুর, সায়েদাবাদ, যাত্রাবাড়ী থেকে কুতুবখালী পর্যন্ত এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের মোট দৈর্ঘ্য ৪৬ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার।প্রাথমিকভাবে এক্সপ্রেসওয়েতে গতিসীমা হবে ঘণ্টায় ৬০ কিলোমিটার এবং এইচএসআইএ থেকে ফার্মগেট পর্যন্ত ১১ কিলোমিটার দূরত্ব অতিক্রম করতে যানবাহনের সময় লাগবে ১০ মিনিট।১১.৫ কিমি মেইনলাইন এবং ১১ কিমি র্যাম্পসহ, অংশটির দৈর্ঘ্য হবে ২২.৫ কিমি। প্রাথমিকভাবে এই অংশের ১৫টির মধ্যে ১৩টি র্যাম্প খোলা হবে। বনানী ও মহাখালীর র্যাম্প নির্মাণ শেষ হলেই খুলে দেওয়া হবে।প্রকল্পের মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৮,৯৪০ কোটি টাকা, এতে ভায়াবিলিটি গ্যাপ ফান্ডিং (ভিজিএফ) তহবিল ২,৪১৩ কোটি টাকা, যা বাংলাদেশ সরকার প্রদান করবে।ফার্স্ট ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে (এফডিইই) কোম্পানি লিমিটেড বিনিয়োগকারী কোম্পানি। এতে ইতালীয় থাই ডেভেলপমেন্ট পাবলিক কোম্পানি লিমিটেডের শেয়ার রয়েছে ৫১ শতাংশ, চায়না শানডং ইন্টারন্যাশনাল ইকোনমিক অ্যান্ড টেকনিক্যাল কো-অপারেশন গ্রুপের (সিএসআই) শেয়ার ৩৪ শতাংশ এবং সিনোহাইড্রো কর্পোরেশন লিমিটেডের ১৫ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।প্রকল্প অনুযায়ী, প্রথম চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল ১৯ জানুয়ারি ২০১১ এবং পর্যালোচনা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল ১৫ ডিসেম্বর, ২০১৩ এবং প্রকল্প সমাপ্তির সময়কাল ছিল জুলাই ২০১১ থেকে জুন ২০২৪।বনানী রেলওয়ে স্টেশন থেকে মগবাজার রেলক্রসিং পর্যন্ত দ্বিতীয় ধাপের নির্মাণ কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে।গত ১৫ বছরে বাংলাদেশে বেশ কিছু অবকাঠামো প্রকল্প শুরু হয়েছে। আকার, বাজেট এবং অর্থনৈতিক প্রভাব বিবেচনা করে এই প্রকল্পগুলোর অনেকগুলোকে মেগা-প্রকল্প বলা হয়েছে।সরকার তাদের কয়েকটিকে ফাস্ট ট্র্যাক প্রকল্প হিসেবে চিহ্নিত করেছে। এর মধ্যে পদ্মা বহুমুখী সেতু, বাংলাদেশের প্্রথম মেট্রোরেল প্রকল্প এমআরটি লাইন-৬ এবং চন্দ্রা-এলেঙ্গা চার লেন মহাসড়ক সম্পন্ন হয়েছে।বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল, দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম এবং দীর্ঘতম আন্ডারওয়াটার রোড টানেল, শীঘ্রই যান চলাচলের জন্য খৃুলে দেওয়া হবে বলে আশা করা হচ্ছে।অন্যান্য প্রকল্প-পদ্মা সেতু রেল সংযোগ, চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেল সংযোগ, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র, মাতারবাড়ি ১২০০ মেগাওয়াট কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র, পায়রা গভীর সমুদ্র বন্দর, যমুনা নদীর ওপর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান রেলওয়ে সেতু। দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং তাই সরকারের মূল ফোকাস এখন তাদের সময় মতো সম্পন্ন করা।আওয়ামী লীগ সরকার ২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসার পর দেশের যোগাযোগ, পরিবহন ও বিদ্যুৎ অবকাঠামোর রূপান্তরের লক্ষে বেশ কিছু স্মারক উন্নয়ন প্রকল্প হাতে নেয়।প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার আধুনিক পরিবহন ব্যবস্থা ঢাকা মেট্রোরেল আংশিক চালু করেছে এবং পদ্মা বহুমুখী সেতুসহ অন্যান্য মেগা প্রকল্পের উদ্বোধন করেছে। সূত্রঃ বাসস
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিরপরাধ ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরায়েলের জঘন্য হামলার বিরুদ্ধে নীরব থাকায় বিএনপির কঠোর সমালোচনা করে বলেছেন, ফিলিস্তিনের ওপর বারবার হামলা আর সহ্য করা যায় না।তিনি বলেন, ‘আমি দেখি অনকেই (বিএনপি) চুপ থাকেন। কারণ যারা এ ধরনের ঘটনা ঘটাচ্ছে তারা যদি আবার নাখোশ হয়। তাই যারা নির্যাতিত তাদের কথা বলার সাহস নাই। আর তারা আন্দোলন করে পদত্যাগের ডাক দেয়। এটাই হচ্ছে সবচেয়ে দুর্ভাগ্যের বিষয়।প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ সকালে রাজধানীর তেজগাঁওস্থ সড়ক ভবনে সারাদেশের ৮টি বিভাগের ৩৯টি জেলায় একযোগে নবনির্মিত দেড়শ’ সেতু এবং ১৪টি ওভারপাস উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির ভাষণে একথা বলেন।তিনি বলেন, আমরা যুদ্ধের বিরুদ্ধে, আমরা শান্তি চাই। কারণ যুদ্ধের ভয়াবহতা আমরা জীবন দিয়ে দেখেছি। ইসরাইল যেভাবে ফিলিস্তিনের ওপর হামলা করে বিশেষ করে হাসপাতালে হামলা করে শিশু, নারী এবং মানুষ হত্যা করেছে আমরা তার নিন্দা জানিয়েছি । আমাদের কথা হচ্ছে দ্রুত এই যুদ্ধ বন্ধ করতে হবে। আর ফিলিস্তিনবাসী তাদের ভূমি যেন তারা ফেরত পায়। যে জায়গাগুলো দখল হয়ে গেছে সেগুলো তাদের ফেরত দিতে হবে।শেখ হাসিনা বলেন, বোমা মেরে মানুষ-শিশু হত্যা করা হল, রক্তাক্ত শিশুদের সেই চেহারা সহ্য করা যায়না। সেজন্য আগামী শুক্রবার আমি সকলকে অনুরোধ করবো জুম্মার পর দেশের প্রতিটি মসজিদে এবং অন্যান্য ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলোতে যেন দোয়া ও প্রার্থনা করা হয়। কেননা শুধু মুসলিম নয়,হতাহতদের মধ্যে অন্য ধর্মবলম্বীরাও রয়েছে। আর শনিবার আমরা শোকদিবস ঘোষণা করেছি, সেদিন আমাদের জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত থাকবে। পাশাপাশি ফিলিস্তিনের যেসব নারী ও শিশুসহ জনগণ এখন কষ্ট পাচ্ছে তাদের জন্য আমরা ওষুধসহ শুকনো খাবার এবং শিশু ও নারীদেও জন্য কিছু প্রয়োজনীয় পণ্য আমরা পাঠাব। কারণ আমাদের যেটুকুই সম্পদ তা নিয়ে আমরা সবসময় দুর্গত মানুষের পাশে আছি। যতটুকু পারি সাহায্য আমরা করবো। এজন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এবং তাঁর কার্যালয় থেকে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ প্রদান করেছেন বলেও জানান তিনি।ওআইসি ভ’ক্ত দেশের রাষ্ট্রদূত এবং চার্জ দ্যা অ্যাফেয়ার্সের সঙ্গে গতকালও বৈঠক করেছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা সকলে এক হয়ে ফিলিস্তিনের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য তাদের পাশে আছি। এভাবে তাদের ওপর বার বার আঘাত হানা এটা কখনো মেনে নেয়া যায়না, আমরা মানতে পারিনা।যুদ্ধ ও অস্ত্র প্রতিযোগিতা বন্ধ করে সে অর্থ বিশ্বের শিশুদের কল্যাণে ব্যয় করার আহবান পুণর্ব্যক্ত করে তিনি বলেন, এই অস্ত্র প্রতিযোগিতা এবং যুদ্ধ বন্ধ করে যে টাকা অস্ত্র বানানোর এবং ধ্বংসাত্মক কাজে ব্যয় হয় তা যদি বিশ্বের শিশুদের শিক্ষা ও স্বাস্থ্যের জন্য ব্যয় করা হয় তাহলে সব শিশুই উন্নত জীবন পেতে পারে, সেটাই আমাদের দাবি, আমি সবসময় একথা বলে আসছি।
আজকে দেড়শ’ সেতু এবং এরআগে গত বছরের ৭ নভেম্বর ও ২১ ডিসেম্বর সারাদেশে ১শ’ সেতু ও ১শ’ সড়ক-মহাসড়ক উদ্বোধনের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমাদের নিজস্ব অর্থায়নে অনেক সেতু ও সড়ক-মহাসড়ক নির্মাণ করেছি। সেগুলো মানুষের যোগাযোগ ও পণ্য পরিবহনে সুবিধা দেবে।তিনি সড়ক ভবন চত্বরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের একটি সুদৃশ্য ম্যুরাল ‘তৃতীয় নেত্র’ উদ্বোধন করেন।তিনি একইসঙ্গে অনুষ্ঠানে ডিটিসিএ ভবন, বিআরটিএ’র স্বয়ংক্রিয় মোটরযান ফিটনেস পরীক্ষা কেন্দ্র এবং বিআরটিসির বাস ডিপো ।
সূত্রঃ বাসস
আদিত্য কামাল
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে ছিনতাইকারীদের ছুরিকাঘাতে তিননাথ দাস(৩৫) নামে এক মাছ ব্যবসায়ী খুন হয়েছেন। মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) বিকেল আড়াইটায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এর আগে ভোর ৫টার দিকে আশুগঞ্জ উপজেলার লালপুর কান্দাপাড়া এলাকায় কয়েকজন ছিনতাইকারির ছুরিকাঘাতে তিনি মারাত্মক আহত হন। পরে স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। অবস্থার অবনতি দেখে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে। তার পারিবারিক সূত্র তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিৎ করেছে।নিহত তিননাথ দাস আশুগঞ্জ উপজেলার লালপুর কান্দাপাড়া গ্রামের পিছন দাসের ছেলে। তিনি লালপুর বাজারের একজন মাছ ব্যবসায়ী। নিহতের পরিবারের লোকজন জানায়, প্রতিদিনের মত মঙ্গলবার ভোরে তিননাথ দাস বাড়ি থেকে লালপুর বাজারে মৎস্য আড়তে যাওয়ার সময় কান্দাপাড়া সৎসঙ্গ আশ্রম সংলগ্ন এলাকায় একদল ছিনতাইকারি তার উপর আক্রমণ করে। এসময় ছিনতাইকারিরা তাকে এলোপাথাড়ি ছুরিকাঘাত করে তার নিকট থাকা প্রায় এক লক্ষ টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যায়। পরে স্থানীয় লোকজন তাকে আহত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়।এব্যপারে আশুগঞ্জ থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) তরুণ কান্তি দাস জানান, ঘটনার পর থেকে এলাকায় পুলিশ অবস্থান করছে। জড়িতদের চিহ্নিত করে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।