স্বত্ব © 2025 দৈনিক পত্রিকা |
সম্পাদক ও প্রকাশক: উবায়দুর রহমান, ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: মোঃ জুয়েল মিয়া প্রতিষ্ঠাতা: পি বা লিজন।সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয়- পাইকপাড়া,লোকনাথ দিঘীর পাড়,পৌর কমিউনিটি সেন্টার ২য় তলা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া।দৈনিক পত্রিকা অনলাইন নিউজ পোর্টাল। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের কর্তৃক নিবন্ধনের জন্য প্রক্রিয়া দিন।newsdainikpatrika@gmail.com মোবাইল নাম্বার 01751406352,01715958768
শাহাদাত হোসেন সোহেল
আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে দেশের বিভিন্ন স্হানে ট্রেনে আগুন দেওয়ার মতো ঘটনা ঘটাচ্ছে নাশকতা কারীরা। আর এই নেক্কারজনক হামলা ও নাশকতার ঘটনার শিকার হচ্ছে ট্রেনে চড়া সাধারন যাত্রী কিংবা ভুক্তভোগীরা। আর তাই দেশের বিভিন্ন স্থানে ও ট্রেনে নাশকতামূলক অগ্নিকাণ্ড মোকাবেলায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় অনুষ্ঠিত হয়ে গেলো সচেতনতামূলক এক প্রশিক্ষন কর্মশালা ও মহড়া। বাংলাদেশ রেলওয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শাখার আয়োজনে এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের কর্মকর্তাদের অংশগ্রহন ও বাস্তবায়নে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপ-সহকারী পরিচালক নিউটন দাশের নেতৃত্বে গত শনিবার (২৩ ডিসেম্বর) বিকেল ৪ টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশন প্লাটফর্ম চত্বরে এই প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়। প্রশিক্ষণ ও মহড়া অনুষ্ঠানে সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. মোশাররফ হোসেন, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপ-সহকারী পরিচালক নিউটন দাস, রেলওয়ে স্টেশনমাস্টার মো. জসিম উদ্দিন প্রমুখ উপস্হিত ছিলেন। এসময় উপ- সহকারী পরিচালক নিউটন দাশ তার বক্তব্যে বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে দেশের বিভিন্ন স্হানে ট্রেনে অগ্নি সংযোগ করে রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকাণ্ড পরিচালিত করা হচ্ছে। এতে জীবন মানের যেমন হচ্ছে ক্ষয়ক্ষতি, নষ্ট হচ্ছে বিপুল রাষ্ট্রীয় সম্পদ। তাই ট্রেনে অগ্নিসংযোগ ও নাশকতার কথা চিন্তা করে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের ডিজি মহোদয়ের নির্দেশনায় সেসময় যারা ট্রেনে দায়িত্বরত কর্মীরা থাকেন কোন কারনে ট্রেনে আগুন লাগলে তারা যেন তাৎক্ষণিকভাবে আগুন নিয়ন্ত্রণ করতে পারে সে বিষয়টি মাথায় রেখে আমাদের আজকের এই কার্যক্রম। তিনি বলেন, অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ছোট কিংবা বড় হোক সবসময় আপনারা আমাদের সার্ভিসের সহযোগিতা নেবেন। তিনি আরো বলেন, চলন্ত ট্রেনে রেলওয়ের দায়িত্বরত যেসব কর্মকর্তারা রয়েছেন ট্রেন ছাড়ার পূর্বে কিংবা ট্রেন ছাড়ার পর অগ্নি নির্বাপক যন্ত্রের ব্যবহার সম্বন্ধে তারা যাত্রীদেরকে ব্রীফ করলে যাত্রীরা এতে আরো বেশি সচেতন হতে পারবে বলে আমি বিশ্বাস করি ।এ ব্যাপারে তিনি সকলের সহযোগীতাও কামনা করেন।
জুয়েল মিয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলায় পূর্ব বিরোধের জের ধরে দু’পক্ষের সংঘর্ষে সফিনূর ওরফে সফিক (৩০) নামে এক কাপড় ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আব্দুর রহমান ও ফয়জুর রহমান নামে দুই যুবক আহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) রাতে উপজেলার শিবপুর ইউনিয়নের বাঘাউড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত সফিক বাঘাউড়া গ্রামের হাফিজ মিয়ার ছেলে এবং তিনি শিবপুর বাজারের কাপড় বিক্রেতা। পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, কয়েক দিন আগে উপজেলার কাইতলা উত্তর ইউনিয়নের নোয়াগাঁও গ্রামের অলেক শা-এর ওরশে সফিকের ছোট ভাই রুবেলকে মারধর করেন বাঘাউড়া গ্রামের কাইয়ুম মিয়ার ছেলে ফয়জুর রহমান। মঙ্গলবার রাতে রুবেলের বড় ভাই সফিক প্রতিপক্ষের ফয়জুর রহমানকে ওই ঘটনা জিজ্ঞেস করতে গেলে ফয়জুর ও তার বড় ভাই কসাই আবদুর রহমানসহ বাড়ির লোকজন সফিক এর ওপর হামলা চালায় এবং তাকে কুপিয়ে আহত করেন। খবর পেয়ে রুবেল ও তাদের পক্ষের লোকজন সেখানে গেলে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে আবদুর রহমান ও ফয়জুর আহত হন। তাদেরকে নবীনগর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে এবং পুলিশ প্রহরায় চিকিৎসা চলছে। এছাড়া রক্তাক্ত অবস্থায় রাত সাড়ে ৯টায় সফিককে নবীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নবীনগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ মাহবুব আলম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, বর্তমানে এলাকার পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। এলাকায় পুলিশ মোতায়েন রয়েছে এবং দুইজনকে আটকসহ সফিককে কুপিয়ে হত্যা করার রক্তমাখা ছুড়ি উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধার করেছে এবং ময়নাতদন্তের জন্য সকালে জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে।
নিজস্ব প্রতিবেদক : ‘স্বপ্নের ব্রাহ্মণবাড়িয়া’ সংগঠনের অসহায় সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের মাঝে খাবার বিতরণ করলেন বিশিষ্ট সমাজসেবক ও সংগঠক আতাউর রহমান ভূঁইয়া শাহিন।
শুক্রবার (২১ জুলাই) দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পুরাতন জেলাখানা ১ নং পুলিশ ফাঁড়ি মাঠে সংগঠনের কার্ণধার অসহায় সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের জননী বলে খ্যাত কোহিনূর আক্তার প্রিয়া’র সার্বিক তত্ত্বাবধানে প্রায় পঞ্চাশেক অসহায় সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের মাঝে মোরগ পুলাও বিতরণ করা হয়।
জুয়েল মিয়া, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় মাওলানা শরিফুল ইসলাম ভূঁইয়া (৩৬) নামে এক ইসলামি বক্তার ওপর হামলার ঘটনায় একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সোমবার বিকেলে আখাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো.আসাদুল ইসলাম গ্রেফতারের সত্যতা নিশ্চিত করেন। রোববার রাত সাড়ে ৯টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াতের সাধারণ সম্পাদক মুফতি মুহম্মদ গিয়াস উদ্দিন আত-তাহেরী ও তার অনুসারীরা আখাউড়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। এর আগে শনিবার রাত ৯টায় উপজেলার আজমপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আহত শরিফুল ইসলাম ভূঁইয়া বিজয়নগর উপজেলার শ্রীপুর ইসলামিয়া ফাজিল মাদরাসার আরবি বিভাগের প্রভাষক। তিনি সদর উপজেলার চাপুইর গ্রামের মাওলানা আব্দুর রশিদ ভূঁইয়ার ছেলে।
জানা যায়, শনিবার রাতে বিজয়নগরের দৌলতবাড়ি এলাকায় মাহফিলে অংশ নেন মাওলানা শরিফুল। মাহফিলে শিয়াদের সমালোচনা করে বক্তব্য দেন তিনি। মাহফিল শেষে মধ্যরাতে পরিচিত জনের মোটরসাইকেলে বাড়ি ফেরার পথে আজমপুর রেলস্টেশন এলাকায় আসলে অজ্ঞাত কয়েক যুবক তার মোটরসাইকেলটির গতি রোধ করে হামলা চালায়। এ সময় শরিফুলের জিহ্বা ও ঠোঁটের অনেকটা অংশ কেটে যায়। তাছাড়া লাঠিসোঁটা দিয়ে তাকে মারধর করারও অভিযোগ ওঠে। এ সময় মোটরসাইকেলে মাওলানা শরিফুলের সঙ্গে থাকা ওবায়দুল্লাহ (৩৪) নামে আরও একজন আহত হয়। এ সময় তিনি চিৎকার করলে আশেপাশের লোকজন আসলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। পরে সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে নেয়া হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকায় পাঠানো হয়। এ ঘটনার প্রতিবাদে রোববার দুপুরে শ্রীপুর ইসলামিয়া মাদরাসার শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা মানববন্ধন করেন। আখাউড়া থানার ওসি আসাদুল ইসলাম বলেন, মুফতি মুহম্মদ গিয়াস উদ্দিন আত-তাহেরী হুজুরসহ তার অনুসারীরা রাত সাড়ে ৯টার দিকে আখাউড়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। হামলাকারীদের গ্রেফতারে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে এবং পুলিশ ও র্যাবের যৌথ অভিযানে একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
বিজয়নগরে চিহ্নিত ইয়াবা ব্যবসায়ী, নারী ও শিশু নির্যাতন মামলার আসামি। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগর উপজেলায় চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী নারী ও শিশু নির্যাতন মামলার আসামির অভিযোগ পাওয়া যায় ।
মামলার বাদী:- উপজেলার পাহাড়পুর ইউনিয়নের কামাল মোড়া গ্রামের আব্দুল মালেকের মেয়ে আসমা আক্তার।
গত ৩১ মার্চ রবিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজ্ঞ নারী ও শিশু দমন ট্রাইবুনাল আদালতে আসমা আক্তার বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন।
আসামি, বিজয়নগর থানায় ধারা ৩৬(১) সারণীর ১০ (ক) ৪১ মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১৮ অনুসারে, জিআর ১২৪/২৪ মামলার চিহ্নিত এজহারভুক্ত ইয়াবা মাদক ব্যবসায়ী, তাহারা উপজেলার পাহাড়পুর ইউপির ভারত সীমান্ত ঘেষা ধুরানাল গ্রামের আব্দুর রশিদ খন্দকারের ছেলে দুলাল খন্দকার ও মতিউর রহমান খন্দকারের ছেলে শফিউল আলম টিটু খন্দকার।
মামলার আরজি সূত্রে জানা যায়,
এলাকায় ও থানায় চিহ্নিত ইয়াবা ব্যবসায়ী শফিউল ও দুলাল অত্যন্ত প্রভাবশালী এদের রয়েছে অডেল কালো টাকা, মাদক ব্যবসার সুবিধার্থে মামলার বাদির স্বামী মতিউর রহমানকে মাদক ব্যবসায় যুক্ত করতে শশুর বাড়ি থেকে ৫ লক্ষ টাকা যৌতুক নিয়ে সে টাকায় মাদক ব্যবসায় শেয়ার হওয়ার জন্য কুপরামর্শ দেয়, এ বিষয়ে আসমা আক্তার জেনে যায়, যৌতুকের টাকায় মাদক ব্যবসা করার জন্য আসমা আক্তার অস্বীকৃতি জানায়, এরপরই শফিউল ও দুলালের প্রকাশ্য মদদে এদের সুখের সংসারে আগুন লাগে, শুরু হয় পারিবারিক কলহ, ঘটনার দিন ও সময়ে উক্ত মাদক ব্যবসায়ীদ্বয় আসমার স্বামীর সহযোগে আসমাকে ৫ লক্ষ টাকা মাদক কারবারের শেয়ার হওয়ার জন্য চাপ প্রয়োগ করলে সে অস্বীকার করায় তাকে শারীরিক নির্যাতন চালায়ে বাড়ি থেকে বের করে দেয়,
উক্ত বিষয়ে আসমা আক্তার বাদী হয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিজ্ঞ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে আদালতে পি৫৬/ ২৪ বিজনগর মামলা দায়ের করেন।
এ বিষয়ে এলাকার, ইকবাল মিয়া বিল্লাল মিয়া, সহ আরো অনেকের সাথে কথা বলে ঘটনার সত্যতা পাওয়া যায়।