স্বত্ব © 2024 দৈনিক পত্রিকা |
সম্পাদক ও প্রকাশক: উবায়দুর রহমান, ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: মোঃ জুয়েল মিয়া প্রতিষ্ঠাতা: পি বা লিজন।সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয়- পাইকপাড়া,লোকনাথ দিঘীর পাড়,পৌর কমিউনিটি সেন্টার ২য় তলা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া।দৈনিক পত্রিকা অনলাইন নিউজ পোর্টাল। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের কর্তৃক নিবন্ধনের জন্য প্রক্রিয়া দিন।newsdainikpatrika@gmail.com মোবাইল নাম্বার 01751406352,01715958768
শাহাদাত হোসেন সোহেল
আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে দেশের বিভিন্ন স্হানে ট্রেনে আগুন দেওয়ার মতো ঘটনা ঘটাচ্ছে নাশকতা কারীরা। আর এই নেক্কারজনক হামলা ও নাশকতার ঘটনার শিকার হচ্ছে ট্রেনে চড়া সাধারন যাত্রী কিংবা ভুক্তভোগীরা। আর তাই দেশের বিভিন্ন স্থানে ও ট্রেনে নাশকতামূলক অগ্নিকাণ্ড মোকাবেলায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় অনুষ্ঠিত হয়ে গেলো সচেতনতামূলক এক প্রশিক্ষন কর্মশালা ও মহড়া। বাংলাদেশ রেলওয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শাখার আয়োজনে এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের কর্মকর্তাদের অংশগ্রহন ও বাস্তবায়নে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপ-সহকারী পরিচালক নিউটন দাশের নেতৃত্বে গত শনিবার (২৩ ডিসেম্বর) বিকেল ৪ টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশন প্লাটফর্ম চত্বরে এই প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়। প্রশিক্ষণ ও মহড়া অনুষ্ঠানে সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. মোশাররফ হোসেন, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপ-সহকারী পরিচালক নিউটন দাস, রেলওয়ে স্টেশনমাস্টার মো. জসিম উদ্দিন প্রমুখ উপস্হিত ছিলেন। এসময় উপ- সহকারী পরিচালক নিউটন দাশ তার বক্তব্যে বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে দেশের বিভিন্ন স্হানে ট্রেনে অগ্নি সংযোগ করে রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকাণ্ড পরিচালিত করা হচ্ছে। এতে জীবন মানের যেমন হচ্ছে ক্ষয়ক্ষতি, নষ্ট হচ্ছে বিপুল রাষ্ট্রীয় সম্পদ। তাই ট্রেনে অগ্নিসংযোগ ও নাশকতার কথা চিন্তা করে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের ডিজি মহোদয়ের নির্দেশনায় সেসময় যারা ট্রেনে দায়িত্বরত কর্মীরা থাকেন কোন কারনে ট্রেনে আগুন লাগলে তারা যেন তাৎক্ষণিকভাবে আগুন নিয়ন্ত্রণ করতে পারে সে বিষয়টি মাথায় রেখে আমাদের আজকের এই কার্যক্রম। তিনি বলেন, অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ছোট কিংবা বড় হোক সবসময় আপনারা আমাদের সার্ভিসের সহযোগিতা নেবেন। তিনি আরো বলেন, চলন্ত ট্রেনে রেলওয়ের দায়িত্বরত যেসব কর্মকর্তারা রয়েছেন ট্রেন ছাড়ার পূর্বে কিংবা ট্রেন ছাড়ার পর অগ্নি নির্বাপক যন্ত্রের ব্যবহার সম্বন্ধে তারা যাত্রীদেরকে ব্রীফ করলে যাত্রীরা এতে আরো বেশি সচেতন হতে পারবে বলে আমি বিশ্বাস করি ।এ ব্যাপারে তিনি সকলের সহযোগীতাও কামনা করেন।
মোঃ জুয়েল মিয়া
চতুর্থ ধাপে আগামী ৫ই জুন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচন। ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলায় আলোচিত ৩ চেয়ারম্যান প্রার্থীর একজন জেলা স্বেছাসেবক লীগ সভাপতি ও সদর উপজেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান লোকমান হোসেন (কাপ-পিরিচ) নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন। আনুষ্ঠানিকভাবে লোকমান হোসেন নির্বাচনী মাঠ থেকে সরে দাঁড়ানোর ফলে এই উপজেলার নির্বাচনের দৃশ্যপটের পরিবর্তন শুরু হয়েছে।এখন জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মো. হেলাল উদ্দিন (ঘোড়া) এর সঙ্গেই জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. শাহাদৎ হোসেন শোভন (আনারস) এর প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে।হেলাল উদ্দিন জাতীয় বীর আবদুল কুদ্দুস মাখনের ছোট ভাই। এই পরিচয়কে সামনে রেখে এবং আত্মীয়স্বজনের মাধ্যমে বিভিন্ন এলাকায় নিজের অবস্থান শক্ত করার চেষ্টা চালাচ্ছেন তিনি। দলের নেতাদেরও তার পক্ষে নামানোর চেষ্টা করছেন। এদিকে সময় যত ঘনিয়ে আসছে নির্বাচনী মাঠে শোভনের অবস্থান তত ভালো হচ্ছে। নির্বাচন ঘিরে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা শোভনের পক্ষে সর্বত্র সক্রিয় রয়েছেন। রমজানে ভর্তুকিতে নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রী বিক্রির ব্যবস্থা করে দৃষ্টি কাড়েন শোভন। এছাড়া ঈদুল ফিতরে বিভিন্ন স্তরের মানুষের মাঝে উপহারসামগ্রী বিতরণ করেন তিনি।চেয়ারম্যান পদে লোকমান হোসেন ছাড়াও আরও ৪ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। চেয়ারম্যান পদে অন্য দুই প্রতিদ্বন্দ্বী হলেন, কাজী সেলিম রেজা (দোয়াত-কলম) ও আব্দুল কারীম (মোটরসাইকেল)। তারাও ভোটারদের মন জয় করতে চেষ্টা চালাচ্ছেন।ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান পদে তফাজ্জল সিকদার (উড়োজাহাজ), মোস্তাক আহমেদ খোকন (বই), মো. আজহারুল ইসলাম (তালা), মো. আনিছ খান (টিউবওয়েল), মো. ইলিয়াছ চৌধুরী (আইসক্রিম), রবিউল আলম (চশমা) ও শফিকুল ইসলাম (মাইক) প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে উম্মে হানি সেতু (কলস), আফরিন ফাতেমা জুঁই (ফুটবল), নাসিমা আক্তার (প্রজাপতি) ও শামীমা আক্তার (পদ্ম ফুল) প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।গতকাল শনিবার (২৫ মে) সন্ধ্যায় ঘোষিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে লোকমান হোসেন উল্লেখ করে বলেন, ‘আমি ব্যক্তিগত ও পারিবারিক কারণে এবং দলীয় ঐক্যকে সুসংহত করার লক্ষ্যে নির্বাচনে অংশগ্রহণ থেকে বিরত থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এই জন্য আমি আমার নির্বাচনী এলাকার সর্বস্তরের জনগণ, ভোটার, সমর্থক ও শুভাকাঙ্খির কাছে দুঃখ প্রকাশ ও ক্ষমা প্রার্থনা করছি এবং যত দিন বেঁচে থাকবো সুখে দুঃখে আপনাদের পাশে থাকার অঙ্গিকার ব্যক্ত করছি।’তিনি আরও বলেন, ‘আমি একজন রাজনৈতিক ও সমাজকর্মী হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ক্ষুধা ও দারিদ্র মুক্ত সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ বির্নিমাণে সচেষ্ট থাকব। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী র.আ.ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী আমার রাজনৈতিক অভিভাবক। তার প্রতি পূর্ণ আনুগত্য পোষণ করে আগামীর পথচলার অঙ্গীকার করছি।’
নিজস্ব প্রতিবেদক
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে বালু মহলে চাঁদা না পেয়ে দুর্বৃত্তদের গুলিতে দু’জন আহত হয়েছেন। রোববার (১৭ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলার বড়িকান্দি ইউনিয়নের সোনাবালুয়া ঘাটে এ ঘটনা ঘটে।আহতরা হলেন, বড়িকান্দি ইউনিয়নের ধরাভাঙ্গা গ্রামের রহিছ মিয়ার ছেলে সোহেল (৩০) ও ফজলু মিয়ার ছেলে মকবুল হোসেন (৪৫)। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় রাতে তাদের জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্যে পাঠানো হয়।স্থানীয়রা জানায়, চলতি বছরের গত সেপ্টেম্বর মাসে উপজেলার জাফরাবাদ ও নতুনচর বালু ইজারা প্রদান করে জেলা প্রশাসন। ইজারা পায় জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহাদাৎ হোসেন শোভনের মের্সাস মুন্সি এন্টারপ্রাইজ। জেলা শহরের বাসিন্দা শাহাদাৎ হোসেন শোভন ইজারা পাওয়ায় স্থানীয় একটি চক্র এনিয়ে নানান প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে। পরে তাদের সঙ্গে সমঝোতার ভিত্তিতে প্রায় দেড় মাস পর বালু মহালটি চালু করে ইজারাদার। কিন্তু বালু উত্তোলন শুরু হলে পাশের নরসিংদী জেলার রায়পুরা উপজেলার একটা গ্রুপ এ মহাল থেকে চাঁদা দাবি করে আসছিল।এনিয়ে বেশ কিছুদিন যাবত উত্তেজনা চলে আসছিল। এর জেরে রোববার সন্ধ্যায় মেঘনা নদী পথে কয়েকটি স্পিডবোটে করে নদীর তীরে ইজারাদারের হিসেবের ঘর লক্ষ্য করে গুলি ছুড়ে। এ ঘটনা দুজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। তাদের উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখান থেকে রাতে তাদের জেলা সদর হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসার জন্যে পাঠানো হয়েছে।এ বিষয়ে ইজারাদার শাহাদাৎ হোসেন শোভন বলেন, আমি ঢাকায় আছি। ঘটনাটি আমি জানতে পেরেছি। চাঁদার দাবিতে এ ঘটনা ঘটিয়েছে। এ ঘটনা মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (নবীনগর সার্কেল) সিরাজুল ইসলাম বলেন, স্পিডবোডে করে এসে আতর্কিত গুলি করা হয়েছে। দু’জনের হাতে গুলিবিদ্ধ হয়েছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। সূত্রঃ আদিত্য কামাল ।
নিজস্ব প্রতিবেদক
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভুল চিকিৎসায় শাহিদা আক্তার খুকি (২৩) নামের এক প্রসূতি মা ও তার নবজাতক শিশুর মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে।শুক্রবার (৫ মে) বেলা সাড়ে ১২টার দিকে আখাউড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নর্মাল ডেলিভারির সময় এ ঘটনা ঘটে। এর আগে সকালের দিকে প্রসূতির প্রসব ব্যথা হলে নরমাল ডেলিভারির জন্য আখাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ ভর্তি করানো হয়।চিকিৎসকের অবহেলায় নবজাতকসহ মায়ের মৃত্যু হয়েছে বলে নিহত প্রসূতি পরিবারের স্বজনেরা এই অভিযোগ করেন। ঘটনাটি টক অব দ্যা টাউনে পরিণত হয়েছে। নিহত প্রসূতি পৌরসভা মসজিদপাড়ার বাদিন্দা ও কসবা উপজেলার ধর্জয়নগর এলাকার কুয়েত প্রবাসী শাহীন মিয়ার স্ত্রী।নিহতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, বেলা সাড়ে ১২টার দিকে মিডওয়াইফ আমেনা আক্তার সুমনার মাধ্যমে একটি ছেলে সন্তানের জন্ম হয়। নবজাতক জন্মের পর প্রচুর ব্লিডিং হয় এবং ব্লিডিং বন্ধ না হওয়ায় ও নবজাতকের শ্বাস প্রশ্বাসে কষ্ট হওয়ায় কর্তব্যরত মেডিক্যাল অফিসার গোলাম মোস্তাফা উন্নত চিকিৎসার জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে রেফার করেন। পরে আত্মীয়-স্বজন প্রসূতি ও নবজাতক শিশুটিকে সদর হাসপাতাল না নিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া নবজাতক হাসপাতালে নিয়ে যান। নবজাতক হাসপাতালের কর্তব্যরত ডাক্তার হাসপাতালে ভর্তির পূর্বেই প্রসূতিকে দেখেই মৃত্যুবরণ করেছে বলে জানান। পরবর্তীতে তাদেরকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে যান। সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত ডাক্তার তাদেরকে দুপুর একটার দিকে মৃত ঘোষণা করেন।নিহতের বোন মাহমুদা বেগম জানান, ডাক্তার ও চিকিৎসকের অবহেলার কারণে আমার বোন ও বাচ্চার মৃত্যু হয়েছে। আমরা তাদের বিচার চাই।আখাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার মো. হিমেল খান জানান, আমি চিকিৎসকের সাথে কথা বলে জেনেছি রোগীর অবস্থা ভালোই ছিলো এবং আমরা স্ববাবিক ভাবেই নরমাল ডেলিভারি করেছি এক পর্যায়ে তার ব্লেডিং শুরু হলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় রেফার করা হয়।চিকিৎসকের অবহেলায় মারা যায়নি বলে অস্বিকার করে বলেন, তাদেরকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সদরে রেফার করেছি কিন্তু তারা প্রাইভেট একটি হাসপাতালে ভর্তি নেন। তারপরও চিকিৎসকের যদি কোন ভুল থাকে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।