স্বত্ব © 2025 দৈনিক পত্রিকা |
সম্পাদক ও প্রকাশক: উবায়দুর রহমান, ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: মোঃ জুয়েল মিয়া প্রতিষ্ঠাতা: পি বা লিজন।সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয়- পাইকপাড়া,লোকনাথ দিঘীর পাড়,পৌর কমিউনিটি সেন্টার ২য় তলা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া।দৈনিক পত্রিকা অনলাইন নিউজ পোর্টাল। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের কর্তৃক নিবন্ধনের জন্য প্রক্রিয়া দিন।newsdainikpatrika@gmail.com মোবাইল নাম্বার 01751406352,01715958768
জুয়েল মিয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ ( সদর- বিজয়নগর) আসনের নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর পক্ষে প্রচারণা চালানোর অভিযোগে সদর উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা উম্মে সালমার প্রত্যাহারের দাবি করা হয়েছে। শুক্রবার ওই সরকারি কর্মকর্তার প্রত্যাহার দাবি করে জেলা প্রশাসক ও জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন কাঁচি প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থীর প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট শেখ ওমর ফারুক।এছাড়া সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছেও একই অভিযোগ করেছেন তিনি। স্বতন্ত্র প্রার্থী ফিরোজুর রহমানের প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট শেখ ওমর ফারুক লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করেন, নির্বাচন কমিশন সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ ও নিরপেক্ষভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালানোর পরেও অতিউৎসাহী সরকারি কর্মকর্তা উম্মে সালমা পক্ষপাতমূলক আচরণ করেছেন। যার ফলে নিরপেক্ষতা দারুণভাবে ক্ষুণ্ন হয়েছে৷ ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা উম্মে সালমা সরকারি অফিস ব্যবহার করে নৌকার প্রার্থীর পক্ষে কাজ করার জন্য বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদেরকে প্রভাবিত করছে। এসবের ছবি তাদের সংরক্ষণে রয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠানে নৌকার প্রার্থীর পক্ষে প্রচারণা এবং লিফলেট বিতরণ করেছেন। অভিযুক্ত শিক্ষা কর্মকর্তা উম্মে সালমা নৌকা প্রতীকের প্রার্থী র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীর স্ত্রী, মাউশির সদ্য সাবেক মহাপরিচালক ফাহিমা খাতুনের আত্মীয় ও ঘনিষ্ঠজন উল্লেখ করে লিখিত অভিযোগে বলা হয়, এই কর্মকর্তা আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দায়িত্বপ্রাপ্ত হলে অথবা ব্রাহ্মণবাড়িয়া কর্মস্থলে অবস্থান করলে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদেরকে প্রভাবিত করে সুষ্ঠু নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করবে। ফলে সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের স্বার্থে এই কর্মকর্তাকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে প্রত্যাহারের দাবি জানানো হয়। এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে অভিযোগকারী শেখ ওমর ফারুক বলেন, ওই কর্মকর্তা গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ ১৯৭২ এর সুস্পষ্ট লঙ্ঘন করেছেন৷ নৌকার প্রার্থীর পক্ষে প্রচারণার কিছু স্থিরচিত্র অভিযোগের সঙ্গে সংযুক্ত করা হয়েছে। এসব যাচাই-বাছাই করে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি। অভিযোগের বিষয়ে বক্তব্য জানতে চাইলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা উম্মে সালমা দৈনিক পত্রিকা প্রতিবেদককে বলেন, ‘এটা কি সম্ভব, আমি সরকারি চাকরি করি, আমি কোথাও কোনো প্রচারণায় অংশগ্রহণ করিনাই। লিফলেট আমি দেখিইনাই, বিতরণ করবো কোথায়।’
অভিযোগের বিষয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. হাবিবুর রহমান দৈনিক পত্রিকা প্রতিবেদককে বলেন, ‘অভিযোগ দেওয়া হয়েছে, তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
নিজস্ব প্রতিবেদক : প্রাউড অব ব্রাহ্মণবাড়িয়া নবম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উৎযাপিত হয়েছে।
শুক্রবার (২৮ জুন) বিকেল ৪ টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া কাউতলিস্থ স্বপ্নতরী কনভেনশন হলে জমকালো আয়োজনে কেককাটা, আলোচনা সভা ও গুনীজন সম্মাননা প্রদানের আয়োজন করা হয়।
প্রাউড অব ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কর্ণধার কোহিনূর আক্তার প্রিয়ার সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বপ্নতরী সমাজ কল্যান সংস্থার কর্ণধার তাহের উদ্দিন ভূইয়া।
প্রধান আলোচনা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কবি ও গীতিকার দেওয়ান মারুফ।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা নাগরিক ফোরামের সিনিয়র সহ সভাপতি আতাউর রহমান শাহিন, এ্যাড জুবায়ের হক শাওন, শিল্পী কল্যান পরিষদের সভাপতি শফিকুল ইসলাম তৌছির, জনতার খবর সম্পাদক আদিত্য কামাল, পিস ভিশন বাংলাদেশের সভাপতি এ্যাড শেখ জাহাঙ্গীর, সাধারণ সম্পাদক শরীফ আহমেদ খান, মো. আবেদ হোসেন, সুফি গুরু শাহাজাদা খান, রুম টু রিড প্রতিনিধি আফজালুর রহমান রিপন, তিতাস বার্তার সহ-সম্পাদক হাবিব মোনেন প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন প্রাউড অব ব্রাহ্মণবাড়িয়ার এডমিন সোহাগ উদ্দিন সরকার ও শুভেচ্ছা ব্যক্তব্য রাখেন এডমিন রোজেল আহমেদ।
অনুষ্ঠানে ১০ জন গুনীজনকে বিভিন্ন কাজে বিশেষ অবদান রাখায় সন্মাননা স্মারক প্রদান করা হয়। এছাড়াও ১৩ টি সামাজিক ও মানবিক সংগঠনকে সমাজ সেবায় বিশেষ অবদান রাখায় সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয়।
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন আব্দুল মতিন শিপন। এবং মিডিয়া পার্টনার ছিলেন, জনতার খবর।
শেষে কেককাটার মধ্যদিয়ে অনুষ্ঠানটির সমাপ্তি করা হয়।
মোঃনিয়ামুল ইসলাম আকন্ঞ্জি :ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের আনন্দময়ী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচন হয়েছে গত শনিবার। ১০ বছর পর হওয়া এই নির্বাচন ঘিরে উৎসাহ-উদ্দীপনা ছিলো ব্যাপক। নির্বাচনে সাধারণ অভিভাবক সদস্যের ৪টি এবং সংরক্ষিত মহিলা অভিভাবক সদস্যের একটি পদের জন্যে দুটি প্যানেলে ১০ জন প্রতিদ্বন্ধিতা করেন। এতে ৫টি পদেই জয় পেয়েছে খোকন-আনিছ পরিষদ। তাদের সবাই দ্বিগুনেরও বেশী ভোট পেয়েছেন। সাধারণ অভিভাবক সদস্য পদে সর্বোচ্চ ৫৮২ ভোট পেয়ে জয়ী হন মোহাম্মদ হাবিব উল্লাহ,২য় মো: আজহারুল করিম পেয়েছেন ৫৩৯ ভোট,মো: আনিছ খাঁন ৫২৩ ভোট পেয়ে তৃতীয় এবং ৪৫৬ ভোট পেয়ে চতুর্থ হয়েছেন আবদুল্লা আল সাঈদ। নারী অভিভাবক সদস্য পদে ৫৩৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন তাহমিনা আক্তার। তাদের প্রতিদ্বন্ধি পুরুষ অভিভাবক সদস্য মনির খাঁন পেয়েছেন ২৮৬ ভোট,মো: শফিকুর রহমান ২১২ ভোট,নন্দ দুলাল পাল ১৬৩,দীলিপ কুমার কর্মকার ১৪১ এবং বিউটি রানী সুত্রধর পেয়েছেন ২৫২ ভোট। খোকন-আনিছ পরিষদ বিদ্যালয়ের পাশের লোকনাথ ময়দান ভিত্তিক সংগঠন ‘ভোরের সাথী’ মনোনীত প্যানেল হিসেবে পরিচিত। সংগঠনের সভাপতি মো: আতিকুল ইসলাম আতিকের নেতৃত্বে সংগঠনের সদস্যরা ওই প্যানেলকে জয়ী করতে সক্রিয় ছিলেন। নির্বাচনে মোট ১৪২১ ভোটের মধ্যে ৯৫৬ ভোট কাষ্ট হয়। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো: আবু জামাল জানান-২০১৪ সালে সর্বশেষ নির্বাচন হয়। এরপর এডহক কমিটি দায়িত্ব পালন করে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ও নির্বাচনের প্রিজাইডিং অফিসার জীবন ভট্টাচার্য জানান-নির্বাচন সুষ্টু ও শান্তিপূর্ন হয়েছে।
নিজস্ব প্রতিবেদক : ‘রক্তাক্ত ফিলিস্তিন, বিবর্ণ মানবতা’ মার্কিনীদের দালাল ইসরাইলী আগ্রাসন ও নির্বিচারে ফিলিস্তিনি জনগনকে হত্যা বন্ধ করা সহ স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার দাবীতে সোমবার (১৬ অক্টোবর) সন্ধ্যা ৭ টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার গোলাপ সুপার মার্কেট ও কোর্টরোড ব্যবসায়ীবৃন্দের উদ্যোগে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গোলাপ সুপার মার্কেটের সভাপতি জামাল মিয়ার সভাপতিত্বে মার্কেটের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, আমজাদ হোসেন রনি আহবায়ক শহর যুবলীগ, জালাল উদ্দিন সভাপতি গোলাপ সুপার মার্কেট, আজহারুল ইসলাম ফাহাদ সাধারণ সম্পাদক গোলাপ সুপার মার্কেট, গোলাপ সুপার মার্কেট মসজিদের ইমাম হাফেজ জামিল আহমেদ, মো. তারেক আহমেদ, আরাফাত আলী খাঁন প্রমুখ।
জুয়েল মিয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ (সদর- বিজয়নগর) আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ও বর্তমান সংসদ সদস্য র. আ. ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী বলেছেন,‘বাজারে দুধও পাওয়া যায় মদও পাওয়া যায়। আপনাদের ওপর ছেড়ে দিলাম আপনারা কোনটা নিবেন। আমার পরামর্শ থাকবে আপনারা দুধ কিনবেন।’ মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) সকাল পৌনে ১০টায় জেলার বিজয়নগর উপজেলার সিঙ্গারবিল বাজারে নির্বাচনী পথসভায় র. আ. ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এসব কথা বলেন। তিনি আরও বলেন, আমি ১৩ বছরে কি করতে পেরেছি সেটা আপনারা জানেন। ভোটের বেলায় বিষয়টি আপনারা বিবেচনা করবেন। এ সময় মোকতাদির চৌধুরীর সঙ্গে জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি সাবেক মো. হেলাল উদ্দিন, বিজয়নগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জহিরুল ইসলাম, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নাসিমা মুকাই আলী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।উল্লেখ্য,স্বতন্ত্র প্রার্থী ফিরোজুর রহমানের ঢাকায় একাধিক মদের বার রয়েছে। মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার আগে ফেসবুক লাইভে মদ ব্যবসাকে হালাল বলে উল্লেখ করেন তিনি। এই আসনটিতে মোকতাদির চৌধুরীর শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বি ধরা হচ্ছে স্বতন্ত্র প্রার্থী ফিরোজুর রহমান ওলিওকে। সম্প্রতি মদ ব্যববসাকে হালাল আখ্যা দিয়ে ব্যাপক সমালোচিত হন ফিরোজুর রহমান। এ অবস্থায় আনুষ্ঠানিক প্রচারণা শুরু করেই ‘মদ নাকি দুধ কিনবেন’- সে সিদ্ধান্ত ভোটারদের ওপর ছেড়ে দিয়েছেন মোকতাদির চৌধুরী।
শীত মানেই নানা রকম মুখরোচক খাবারের স্বাদ। আর এই মৌসুমকে ঘিরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় উৎপাদিত হচ্ছে সুস্বাদু রসালো গুড় “লালী”।মহিষ দিয়ে চলছে আঁখ মাড়াইয়ের কাজ। মাড়াই শেষে যে রস মিলবে তা দিয়ে তৈরী হবে সুস্বাদু রসালো গুড়। যা লালী নামে পরিচিত। সুমিষ্ট এই লালী ছাড়া পিঠা, পুলির স্বাদ যেন অনেকটাই ফিঁকে ভোজন বিলাসীরদের জন্য।লালীগুড়ের জন্য প্রসিদ্ধ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সীমান্তবর্তী বিজয়নগর উপজেলা। শীত মৌসুমে উপজেলার বিষ্ণুপুর, দুলালপুরসহ বিভিন্ন গ্রামে কৃষকরা ব্যস্ত সময় পার বিশেষ এই রসালো গুড় উৎপাদনে। আাঁখের রস চুলায় ৩/৪ ঘন্টা জ¦াল দিয়ে তৈরী করা হয় লালী গুড়। ১ কানি জমির আঁখ দিয়ে ১৭/১৮ মন লালী তৈরী হয়। মৌসুমী এই পেশার সাথে উপজেলার ১০/১২ জন উদ্যোক্তা জড়িত রয়েছে। আর তাদের সাথে কাজ করেন শতাধিক কৃষক। স্বাদে ও গুণে অনন্য হওয়ায় প্রতিদিন ভোজন বিলাসীরা ছুঁটে আসছেন লালীগুড় কিনতে। প্রতিকেজী লালী বিক্রী হচ্ছে ১৪০/১৫০ টাকা দরে। সে সাথে আঁখের রসের স্বাদ গ্রহন করতে ভীড় করছে ভ্রমন পিপাসুরা। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলাসহ আশপাশ জেলা ও উপজেলাতেও রয়েছে এর চাহিদা। এ পেশার সাথে জড়িতরা জানান, বাব-দাদার ঐতিহ্যকে ধরে রাখতেই যুগ যুগ ধরে আমরা আখের লালি তৈরী করে আসছি। তবে দিন দিন আমাদের গ্রামে আখ চাষ কমে যাওয়ায় লালীর চাহিদা থাকলেও উৎপাদন কারীর সংখ্যা কমে যাচ্ছে। তাই আগের মত তেমন তৈরী করা যাচ্ছে না। তবে অন্যান্য ফসলের পাশাপাশি বার্তি আয়ের জন্য বছরে ৪ মাস এই লালী তৈরীর কাজ করে থাকি। প্রতিদিন ৭০-৮০ লিটার লালী উৎপাদন করা হয়। আমাদের বাজারে নিয়ে যেতে হয় না। এখান থেকেই পাইকার ও বিভিন্ন দূর দূরান্তের লোকজন কিনে নিয়ে যায়। প্রতি মৌসুমে তাদের পাঁচ লক্ষ টাকা খরচ হলেও এতে লাভ হয় দেড় লক্ষ টাকা।লালী কিনতে আসা কয়েক ক্রেতা বলেন, বাজারের লালীতে প্রায় সময়ই ভেজাল মেশানো থাকে। যা ক্ষতিকারক কারণ হয়ে দাঁড়ায়। তবে এখানকার লালী নির্ভেজাল এবং প্রাকৃতিক উপায়ে উৎপাদিত হয়। ফলে এর চাহিদা অনেক বেশি।জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক সুশান্ত সাহা জানান, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলা আখ থেকে তৈরি লালির জন্য বিখ্যাত। অনেকটা সুস্বাদু ও নিরাপদ বিধায় জেলা ছাড়াও বাহিরে থেকে মানুষ এসে ক্রয় করে নিয়ে যায়। কৃষকরা এখানে বেশির ভাগ স্থানীয় জাতের আবাদ করে যার ফলে আখের রসের পরিমান কম হয়। আমরা বাংলাদেশ ইক্ষু গবেষণা ইন্সটিউটের সাথে যোগাযোগ করেছি যাতে নতুন জাত ও প্রযুক্তি সম্প্রসারণের জন্য যেন কৃষকরা লাভবান হয়। আমরা আশা করছি আগামী বছর থেকে সে সহযোগিতা পাবো। সে থেকে রসের পরিমান বাড়বে কৃষকরা অধিক লাভবান হবে। আমরা আশা করছি এবছর প্রায় ২ কোটি টাকার মত লালি বিক্রি হবে।