স্বত্ব © 2025 দৈনিক পত্রিকা |
সম্পাদক ও প্রকাশক: উবায়দুর রহমান, ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: মোঃ জুয়েল মিয়া প্রতিষ্ঠাতা: পি বা লিজন।সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয়- পাইকপাড়া,লোকনাথ দিঘীর পাড়,পৌর কমিউনিটি সেন্টার ২য় তলা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া।দৈনিক পত্রিকা অনলাইন নিউজ পোর্টাল। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের কর্তৃক নিবন্ধনের জন্য প্রক্রিয়া দিন।newsdainikpatrika@gmail.com মোবাইল নাম্বার 01751406352,01715958768
নিজস্ব প্রতিবেদক -আদিত্য কামাল
ট্রেন যাত্রীদের জানমাল রক্ষা ও রেলপথে নাশকতা রোধে সার্বিক নিরাপত্তা ও নজরদারি জোরদার করেছে র্যাব-৯। “বাংলাদেশ আমার অহংকার” এই শ্লোগান নিয়ে র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) এলিট ফোর্স সাম্প্রতিক সময়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে রেললাইন কেটে ফেলা সহ ট্রেনে অগ্নিসংযোগের মতো ঘটনা ঘটছে। এমন পরিস্থিতিতে ট্রেনের নাশকতা রোধ ও সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিতে র্যাব-৯ এর আওতাধীন এলাকা সিলেটসহ সিলেট বিভাগের অন্যান্য জেলা এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার রেলস্টেশনগুলোতে গোয়েন্দা নজরদারি জোরদার করা হয়েছে।এছাড়া রেলস্টেশনগুলোতে নিয়মিতভাবে রোবাষ্ট পেট্রোল পরিচালনা করা হচ্ছে। নাশকতাকারী ও দুষ্কৃতিকারীরা যেন কোন দাহ্য পদার্থ, নাশকতা ও বিস্ফোরক দ্রব্য কিংবা অবৈধ মালামাল (মাদক, আগ্নেয়াস্ত্র) ইত্যাদি বহন করতে না পারে সেজন্য র্যাব-৯ এর আওতাধীন স্টেশনগুলোর গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে বিভিন্ন সময় ধারাবাহিকভাবে চেকপোস্ট কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। ট্রেনের যাত্রীদের নিরাপত্তার অংশ হিসেবে রেল স্টেশন এবং বিভিন্ন ট্রেনে র্যাব-৯ এর বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট কর্তৃক বিভিন্ন সময় সুইপিং কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে।পাশাপাশি যে কোন ধরনের নাশকতা ও অনাকাঙ্খিত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে স্টেশনগুলোর গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে অত্যন্ত সর্তকতার সাথে র্যাব-৯ কর্তৃক সাদা পোষাকে গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। এছাড়াও, বিভিন্ন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী এবং গোয়েন্দা সংস্থার সাথে সমন্বয় ও তথ্য আদান প্রদানের মাধ্যমে ট্রেন যাত্রার নিরাপত্তা নিশ্চিতে র্যাব-৯ কাজ করে যাচ্ছে। যে কোন সহিংসতা বা নাশকতার বিরুদ্ধে র্যাব কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণে বদ্ধপরিকর ।
নিজস্ব প্রতিবেদক
কুমিল্লা (দক্ষিণ) জেলার পাহাড়ের ঢালে ১৬০ শতক জমিতে আধুনিক পদ্ধতিতে পলি সেট নির্মাণ করে বারি-৪ টমেটো চাষ করেছেন জেলার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার নারায়ণপুর গ্রামের খাইরুল। এখনো শীত না আসলেও তার আগেই মাচায় ঝুলছে শীতকালীন সবজি টমেটো। পাহাড়ের ঢালের মাচায় সবুজ আর পাকা লাল টমেটোগুলো সূর্যের আলোয় ঝলমল করছে।জেলার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার শশীদল ইউনিয়নের নারায়ণপুর গ্রামের মেধাবী ছাত্র খাইরুল আলম। পড়াশোনার পাশাপাশি নিজের জমিতে বারি-৪ টমেটো চাষ করেছেন। ফলনও হয়েছে চমৎকার। খাইরুল জানান, নারায়ণপুর গ্রামে পাহাড়ের ঢালে ১৬০ শতক জমিতে আধুনিক পদ্ধতিতে পলি সেট নির্মাণ করে বারি-৪ টমেটো চাষ করেছেন।খাইরুলের টমেটোয় লাল পাহাড়ের ঢাল বর্তমানে তার জমিতে যে পরিমাণ টমেটোর ফুল তাতে যদি আবহাওয়া ভালো থাকে তাহলে কয়েক লাখ টাকার টমেটো বিক্রি করতে পারবেন তিনি। খাইরুল আরও জানান, এখন পর্যন্ত তার জমি থেকে ১০০ টাকা কেজি দরে ৪০ হাজার টাকার টমেটো বিক্রি করেছেন।খাইরুল আলম আরও বলেন, সিলেটের কমলগঞ্জ থেকে উন্নত জাতের বারি-৪ টমেটোর গ্রাফটিং কলমের চারা সংগ্রহ করে রোপণ করি। দিন-রাত পরিশ্রম শুরু করে স্বপ্ন দেখেছি, আমার জমিতে টমেটোতে পরিপূর্ণ হবে। আমার স্বপ্ন বাস্তব হচ্ছে। স্থানীয় কৃষক আবুল হাশেম বাসসকে বলেন, খাইরুল শিক্ষিত ছেলে। সে তার পরিবারের মঙ্গলের কাজটিই করেছে, তার মত গ্রামের অন্য ছেলেরা এগিয়ে আসলে খাইরুলের মত সবার পরিবারে মঙ্গলই হতো। মঞ্জুর আলম নামের এক ব্যবসায়ী খায়রুলের বাগানে এসেছেন। তিনি জানান, কীটনাশকমুক্ত হওয়ায় তিনি ১০ কেজি টমেটো কিনেছেন। খায়রুল জানান, তার এমন উদ্যোগের নেপথ্যে অবশ্যই কৃষি অফিসের সহযোগিতা অনস্বীকার্য।এ বিষয়ে কুমিল্লা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক আইউব মাহমুদ বলেন , আমরা কৃষি সম্পর্কিত যেকোনো উদ্যোগকে স্বাগত জানাই। শিক্ষার্থী খায়রুল পরিশ্রমী ছেলে। আমরা তাকে প্রয়োজনীয় সব রকম পরামর্শ দিয়েছি। নিঃসন্দেহে বারি-৪ জাতের টমেটো স্বাদে-গুণে অনন্য। অন্য যে কেউ কৃষি কাজ নিয়ে এগিয়ে এলে সব রকমের সহযোগিতা করবেন বলেও জানান এ কর্মকর্তা। সূত্রঃ বাসস
জুয়েল মিয়া, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে সাংবাদিক ও ইউপি সদস্যের সাথে নবীনগর পল্লী বিদ্যুৎ জোনাল অফিসের ডিজিএম এর দুর্ব্যবহারের অডিও কলরেকর্ড সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে৷ এই ঘটনায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার স্থানীয় সাংবাদিকদের মাঝে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে। বুধবার এই ঘটনা জানার পর স্থানীয় সাংবাদিক নেতৃত্ববৃন্দরা তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছে। জানা যায়, নবীনগর পশ্চিম ইউনিয়ন পরিষদের ০৯নং ওয়ার্ড (ফতেহপুর) মেম্বার ও জাতীয় দৈনিক দেশ বাংলা পত্রিকার সাংবাদিক সফল আলী গত ২৩ জানুয়ারি তার আপন ছোট ভাই মোতালিবের বাসায় ও দোকানে দুইটি মিটার প্রয়োজন হওয়ায় নবীনগর পল্লী বিদ্যুৎ জোনাল অফিসের ডিজিএম মোরশেদ এর নিকট মুঠোফোনে এক সহকর্মীকে পাঠিয়ে সহযোগিতা কামনা করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে সেবা দেয়ার বিপরীতে ডিজিএম কর্কশ ভাষায় সাংবাদিককে ভবঘুরে, প্রশ্রয় দিলে মাথায় উঠে যান, আপনারা সেবা নিতে আসলে কি আমি আপনার জন্য বসে থাকব? এসব কথা বলে মন্তব্য করেন। এই কর্মকর্তা বদলি না করা পর্যন্ত পল্লী বিদ্যুৎ এর সকল সংবাদ প্রকাশ ও প্রচার থেকে বিরত থাকার মত প্রকাশ করেন স্থানীয় সাংবাদিকরা।
এবিষয়ে সাংবাদিক সফর আলী জানান, আমি একজন জনপ্রতিনিধি ও সাংবাদিক। আমার সাথে এমন আচরণ মোটেও কাম্য ছিল না। এমন ডিজিএমকে নবীনগর থেকে বদলি না করলে সাধারণ মানুষ সেবা থেকে বঞ্চিত হবে।
নবীনগর পল্লী বিদ্যুৎ জোনাল অফিসের ডিজিএম মোনোয়ার মোরশেদ ওই ফোনালাপটি অস্বীকার করেন।
আদিত্ব্য কামাল : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিশিষ্ট কবি, চেতনায় স্বদেশ গণগ্রন্থাগার এর প্রতিষ্ঠাতা-সভাপতি, কথাসাহিত্যিক আমির হোসেন এর ৫০তম জন্মদিন উপলক্ষ্যে প্রকাশিত ‘স্বদেশ-কথাসাহিত্যিক আমির হোসেন সংখ্যার’-পাঠ উন্মোচন ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার (২৭ জানুয়ারি) বিকেলে জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এ সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কৃতিসন্তান, বাংলা একাডেমি পুরস্কার প্রাপ্ত কবি, ড. মারুফুল ইসলাম।চেতনায় স্বদেশ গণগ্রন্থাগার কর্তৃক আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সর্বজন শ্রদ্ধেয় সাহিত্য-সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব, সাহিত্য একাডেমির সভাপতি, কবি ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক গবেষক জয়দুল হোসেন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, অদ্বৈত মল্লবর্মণ স্মৃতি গ্রন্থাগার ও গবেষণা কেন্দ্রর প্রতিষ্ঠাতা, বিশিষ্ট কবি ও গীতিকার মো. আ. কুদ্দূস, ভারত বাংলাদেশ সাহিত্য ও সংস্কৃতি পরিষদ এর কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক কবি তৌহিদুল ইসলাম কনক। সভায় অনুভূতি ব্যক্ত করেন চেতনায় স্বদেশ গণগ্রন্থাগার এর প্রতিষ্ঠাতা-সভাপতি, কথাসাহিত্যিক আমির হোসেন।
সাময়িকীটির সম্পাদক, ঝিলমিল একাডেমির প্রতিষ্ঠাতা-পরিচালক মনিরুল ইসলাম শ্রাবণ এর সঞ্চালনায় সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদ এর সভাপতি কবি আবদুল মান্নান সরকার, জেলা নাগরিক ফোরামের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা রতন কান্তি দত্ত, জেলা সরকারি গণগ্রন্থাগারের সহকারি পরিচালক সাইফুল ইসলাম লিমন, উদিচি জেলা শাখার সভাপতি জহিরুল ইসলাম স্বপন, লেখক ও সাংবাদিক আল আমিন শাহীন, কবি আবুল কাশেম তালুকদার, নারী সংগঠক ফজিলাতুন্নাহার, মোঃ ফারুক আহমেদ ভুইয়া, কবি রোকেয়া রহমান কেয়া, কথাসাহিত্যিক মানিক রতন শর্মা, কবি সেলিম হোসাইন হাওলাদার, কবি এম এ হানিফ, কবি মোঃ আব্দুর রহিম, কবি ও সাংবাদিক হেলাল উদ্দিন আহমেদ, কবি ও গল্পকার শৌমিক ছাত্তার, কবি ও গল্পকার রাশিদ উল্লাহ তুষার, কবি ও গল্পকার সাদমান শাহিদ, কবি মাশরেকি শিপার, কবি এড. হুমায়ন কবির ভূইয়া, আবৃত্তিশিল্পী হাবিবুর রহমান পারভেজ, কবি হেলাল উদ্দিন হৃদয়, কবি লিটন হোসাইন জিহাদ, কবি গাজী আবু হানিফ, কবি শারমিন সুলতানা, নিখিল চন্দ্র দেবনাথ, কবি শাহ মাহমুদা আক্তার, সাংবাদিক প্রবির চৌধুরী রিপন, সঙ্গিত শিল্পী আনিছুল হক রিপন, জামিনুর রহমান, নদীকর্মী খালেদা মুন্নি, ছড়াকার হুমায়ুন কবির। সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন চেতনায় স্বদেশ গণগ্রন্থাগারের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডঃ পুতুল বেগম। এসময় অন্যানের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ডা. মো আব্দুল মতিন সেলিম, মোস্তাক আহমেদ খোকন, মিজানুর রহমান, মোহাম্মদ হোসেন, শিব চরণ বিশ্বাস, এম এ সাহেদ, কবি রিপন দেব নাথ, এম নাইমুর রহমান, আব্দুল মতিন শীপন, মোজাম্মেল হক, কবি খোকন সেন, অমিতাভ চত্রবর্তী, মনির হোসেন, সাংবাদিক আদিত্ব্য কামাল, কবি কহিনূর আক্তার, কবি ঝর্না আক্তার, শরিফ উদ্দিন, শরিফ সরকার প্রমুখ।
সভায় প্রধান অতিথি তাঁর বক্তব্যে বলেন, আমার অনুজপ্রতিম প্রিয় কবি আমির হোসেন একজন আলোকিত মানুষ। সাহিত্যের নানান শাখায় তাঁর অবাধ বিচরণ। বহুগ্রন্থ প্রণেতা এই লেখকের দুই বাংলার বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় নিয়মিত লেখা প্রকাশিত হচ্ছে। লেখক ও পাঠক সৃষ্টিতে তাঁর সাংগঠনিক দক্ষতা অত্যন্ত প্রশংসনীয়। ভবিষ্যতে তাঁর লেখনী প্রতিভা দিয়ে সমাজে আরো বেশি আলো ছড়াবেন বলে আমরা আশা প্রকাশ করি। অনুষ্ঠানে বক্তাগণ কথাসাহিত্যিক আমির হোসেনকে নিয়ে স্মৃতিচারণ করেন এবং তাঁকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানান। সভায় অনুভূতি ব্যক্ত করেন কবি আমির হোসেন বলেন, আজকে আমাকে নিয়ে যত প্রশংসা, যত আলোচনা সবকিছু ব্রাহ্মণবাড়িয়ার প্রয়াত ও জীবীত সকল মুরুব্বীদের উদ্দেশ্যে উৎসর্গ করলাম। আপনাদের দেয়া সম্মানের মর্যাদা দিতে অভিষ্যতে নিজেকে আরো বেশি করে সাহিত্য-সংস্কৃতিতে নিবেদিত রাখবো। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। তিনি তাঁকে নিয়ে সাময়িকী প্রকাশ ও অনুষ্ঠান আযোজন করায় এবং অনুষ্ঠানে উপস্থিত হওয়ায় সকলকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান।
উল্লেখ্য কথাসাহিত্যিক আমির হোসেন সংখ্যাটি সম্পাদনা করেন তরুণ কবি ও সংগঠক মনিরুল ইসলাম শ্রাবণ ও ছড়াকার হুমায়ুন কবির। দুই বাংলার জনপ্রিয় ১১৫ জন লেখকের লেখা সমৃদ্ধ ১৮০ পৃষ্ঠার এই স্মরণিকাটির প্রচ্ছদ ও অলংকরণ করেন ইসরাফিল হাসান। আলোকচিত্রশিল্পী কাজী আরিফুজ্জামান ও স্বর্ণা (মোহর)। চেতনায় স্বদেশ গণগ্রন্থগারের পক্ষে কথাসাহিত্যিক ইসহাক হাফিজ কর্তৃক প্রকাশিত ও ছাপাখানা-ঢাকা এটি মুদ্রিত হয়। সাময়িকীটি ঢাকা ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিভিন্ন লাইব্রেরিতে পাওয়া যাবে। এর শুভেচ্ছা মূল্য রাখা হয়েছে ৩০০ টাকা মাত্র।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় একটি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় পবিত্র গ্রন্থ আল কোরআন অক্ষম অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। এই ঘটনার পর একনজর দেখতে ভিড় করছে স্থানীয়রা। সোমবার (৩০ জানুয়ারি) সকালে উপজেলার মোগড়া ইউনিয়নের কুসুমবাড়ি গ্রামে মোঃ মীর জাহান মিয়ার বাড়িতে এক ভয়াবহ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। এই অগ্নিকান্ডের ঘটনায় নগদ টাকা, স্বর্ণালংকার, টিভি, ফ্রিজ, চাউল, আসবাদপত্রসহ অন্যান্য মালামাল পুড়ে ছাই হলেও কিন্তু অক্ষত থাকে পবিত্র কোরআন শরীফ।
স্থানীয় লোকজন ও ফায়ার সার্ভিসের একটি দল এসে প্রায় এক ঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এ অলৌকিক ঘটনাটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে বেশ আলোচিত হয়েছে। অনেকে ছবিটিকে ফেসবুক পেজে শেয়ার এবং ছবি তুলে সংরক্ষণ করেছেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আগুনের লেলিহান শিখা যখন উপরে উঠতে শুরু করে তখন কিছু বুঝে উঠার আগেই মুহুর্তের মধ্যে ঘরের আসবাবপত্র, টিভি, ফ্রিজ, আলমারি, চেয়ার টেবিল, চালের ড্রাম, স্বর্ণ, নগদ টাকা, ইলেট্রনিক্স সামগ্রি ও অন্যান্য মালামালসহ সম্পূর্ণ ঘর পুড়ে ছাই হয়ে যায়। কিন্তু এতে অক্ষত থাকে আল্লাহর পবিত্র কোরআন শরীফ। কোরআন শরিফের চারদিকে কিছুটা ক্ষতি হলেও পুরো কোরআন শরিফের অক্ষরগুলো অক্ষত থেকে যায়।
বাড়ির মালিক মীর জাহান মিয়া বলেন, এ অগ্নিকান্ডের ঘটনায় নগদ টাকা, স্বর্ণালংকার, টিভি, ফ্রিজ, চাউল,
আসবাদপত্রসহ অন্যান্য মালামাল পুড়ে অন্ত:ত ৭ লাখ টাকার ক্ষয় ক্ষতি হয়। কোরআন শরীফটি অক্ষত অবস্থায় থাকে। এটা মহান আল্লাহ তা’আলার অশেষ মেহেরবানী। আখাউড়া ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তা লিডার মোঃমনিম সারোয়ার বলেন, প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হচ্ছে বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে।খবর পেয়ে দ্রুত ছুটে এসে প্রায় ১ ঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। এই ঘটনায় কোন হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
জুয়েল মিয়া, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ ও ভৈরবে পৃথক পৃথক অভিযানে ৪৮ কেজি গাঁজাসহ ০২ জন মাদক কারবারিকে আটক করেছে র্যাব-১৪, সিপিসি-২, ভৈরব ক্যাম্প। এসময় ০১ টি মাইক্রোবাস ও ০১টি পিকআপ জব্দ করা হয়েছে। রবিবার (০৯ এপ্রিল) সকাল ০৬.২০ ঘটিকায় কিশোরগঞ্জ জেলার ভৈরব থানাধীন দুর্জয় মোড় এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে আখাউড়া পৌরসভার দেবগ্রামের সামসুদ্দিন ভূঁইয়ার ছেলে মাদক কারবারি মনির হোসেন ভূঁইয়া(৪৮) কে আটক করা হয়। এসময় ০১ টি মাইক্রোবাস তল্লাশী করে ৩৬ কেজি গাঁজা এবং নগদ ৪হাজার ৫শত টাকা উদ্ধার করে জব্দ করা হয়। একই দিন সকাল ০৮.৩০ ঘটিকায় অপর অভিযানে ব্রাহ্মনবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জ থানাধীন উজানভাটি হোটেলের সামনে সিলেট-ঢাকা মহাসড়কের ঢাকাগামী লেন থেকে মাদক কারবারি মামুন হোসেন (৩৫)কে আটক করেন। তিনি লক্ষীপুর জেলার রামগঞ্জ থানার সাইনাল গ্রামের মোঃ হোসেন এর ছেলে। এসময় ১টি পিকআপ তল্লাশী করে ১২ কেজি গাঁজা উদ্ধার পূর্বক জব্দ করা হয়। জানা যায়, র্যাব-১৪ এর কমান্ডিং অফিসার (সিও) অতিরিক্ত ডিআইজি মোহাম্মদ মহিবুল ইসলাম খানের সার্বিক তত্ত্বাবধায়ন ও দিক নির্দেশনায় এবং সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আক্কাছ আলীর নেতৃত্বে র্যাব-১৪, সিপিসি-২, ভৈরব ক্যাম্পের একটি আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ওই অভিযানদ্বয় পরিচালনা করেন। উদ্ধারকৃত মাদকদ্রব্য এবং গ্রেফতারকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন-২০১৮ মোতাবেক আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।