স্বত্ব © 2025 দৈনিক পত্রিকা |
সম্পাদক ও প্রকাশক: উবায়দুর রহমান, ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: মোঃ জুয়েল মিয়া প্রতিষ্ঠাতা: পি বা লিজন।সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয়- পাইকপাড়া,লোকনাথ দিঘীর পাড়,পৌর কমিউনিটি সেন্টার ২য় তলা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া।দৈনিক পত্রিকা অনলাইন নিউজ পোর্টাল। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের কর্তৃক নিবন্ধনের জন্য প্রক্রিয়া দিন।newsdainikpatrika@gmail.com মোবাইল নাম্বার 01751406352,01715958768
জুয়েল মিয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর থানা পুলিশের মাদক বিরোধী অভিযানে ১৬২ বোতল ভারতীয় ফেন্সিডিল সহ দুই জন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এসময় মাদক পরিবহন কাজে ব্যবহৃত একটি পিকআপ গাড়ী জব্দ করা হয়। বৃহস্পতিবার ( ২১ ডিসেম্বর ) রাত ৭ টা ৪০ ঘটিকার সময় বিজয়নগর উপজেলার ০২নং চান্দুরা ইউপিস্থ চান্দুরা সাকিনে ঢাকা-সিলেটগামী মহাসড়কে জিলানী পেট্টোল পাম্প এর সামনে পাকা রাস্তার উপর থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতরা হলেন, সিলেট জেলার বিয়ানীবাজার থানার চারখাই ইউনিয়নের সাফা গ্রামের আব্দুল বারীর ছেলে আনোয়ার হোসেন (৩৮) এবং সিলেট জেলার জকিগঞ্জ থানার বারহাল ইউনিয়নের মাইজগ্রাম গ্রামের মরাই মিয়ার ছেলে মান্না আহম্মদ প্রকাশ সুমন।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বিজয়নগর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আসাদুল ইসলাম বলেন, জব্দকৃত পিকআপ গাড়ী থেকে ১৬২ (একশত বাষট্টি) বোতল ভারতীয় ফেন্সিডিল উদ্ধার করা হয়। উক্ত আলামত ধৃত আসামীদ্বয়ের হেফাজতে উদ্ধার করা হয় এবং মাদক পরিহন কাজে ব্যবহৃত ০১ টি পিকআপ গাড়ী সাক্ষীদের উপস্থিতিতে জব্দ তালিকা মূলে জব্দ করা হয়। গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা রুজু প্রক্রিয়াধীন। মাদকের বিরুদ্ধে অভিযান চলমান থাকবে।
জুয়েল মিয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে বিদেশী পিস্তলসহ এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শনিবার (৫ আগস্ট) সকালে অস্ত্র আইনে মামলা করে তাকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত ওই যুবক পার্শ্ববর্তী নরসিংদীর জেলার রায়পুরা উপজেলার কালিকাপুর গ্রামের বরকত উল্লাহর ছেলে। এর আগে শুক্রবার সন্ধ্যায় কেদারখোলা গ্রাম থেকে মামুন (২৭) নামের ওই যুবককে অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার করা হয়। জানা যায়,উপজেলার বীরগাঁও ইউনিয়নের কেদারখোলা গ্রামে অপরিচিত এক যুবকের অস্বাভাবিক ঘুরাফেরা সন্দেহ হলে স্থানীয় যুবকরা তাকে অস্ত্রসহ আটক করে নবীনগর থানা পুলিশকে বিষয়টি অবগত করেন।নবীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মাহবুব আলম জানান,খবর পেয়ে শুক্রবার সন্ধ্যায় কেদারখোলা গ্রামের নদীর পাড় থেকে পিস্তলসহ ওই যুবককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃত যুবকের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে নবীনগর থানায় একটি মামলা করা হয়েছে। শনিবার সকালে তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
নিজস্ব প্রতিবেদক
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভুল চিকিৎসায় শাহিদা আক্তার খুকি (২৩) নামের এক প্রসূতি মা ও তার নবজাতক শিশুর মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে।শুক্রবার (৫ মে) বেলা সাড়ে ১২টার দিকে আখাউড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নর্মাল ডেলিভারির সময় এ ঘটনা ঘটে। এর আগে সকালের দিকে প্রসূতির প্রসব ব্যথা হলে নরমাল ডেলিভারির জন্য আখাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ ভর্তি করানো হয়।চিকিৎসকের অবহেলায় নবজাতকসহ মায়ের মৃত্যু হয়েছে বলে নিহত প্রসূতি পরিবারের স্বজনেরা এই অভিযোগ করেন। ঘটনাটি টক অব দ্যা টাউনে পরিণত হয়েছে। নিহত প্রসূতি পৌরসভা মসজিদপাড়ার বাদিন্দা ও কসবা উপজেলার ধর্জয়নগর এলাকার কুয়েত প্রবাসী শাহীন মিয়ার স্ত্রী।নিহতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, বেলা সাড়ে ১২টার দিকে মিডওয়াইফ আমেনা আক্তার সুমনার মাধ্যমে একটি ছেলে সন্তানের জন্ম হয়। নবজাতক জন্মের পর প্রচুর ব্লিডিং হয় এবং ব্লিডিং বন্ধ না হওয়ায় ও নবজাতকের শ্বাস প্রশ্বাসে কষ্ট হওয়ায় কর্তব্যরত মেডিক্যাল অফিসার গোলাম মোস্তাফা উন্নত চিকিৎসার জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে রেফার করেন। পরে আত্মীয়-স্বজন প্রসূতি ও নবজাতক শিশুটিকে সদর হাসপাতাল না নিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া নবজাতক হাসপাতালে নিয়ে যান। নবজাতক হাসপাতালের কর্তব্যরত ডাক্তার হাসপাতালে ভর্তির পূর্বেই প্রসূতিকে দেখেই মৃত্যুবরণ করেছে বলে জানান। পরবর্তীতে তাদেরকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে যান। সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত ডাক্তার তাদেরকে দুপুর একটার দিকে মৃত ঘোষণা করেন।নিহতের বোন মাহমুদা বেগম জানান, ডাক্তার ও চিকিৎসকের অবহেলার কারণে আমার বোন ও বাচ্চার মৃত্যু হয়েছে। আমরা তাদের বিচার চাই।আখাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার মো. হিমেল খান জানান, আমি চিকিৎসকের সাথে কথা বলে জেনেছি রোগীর অবস্থা ভালোই ছিলো এবং আমরা স্ববাবিক ভাবেই নরমাল ডেলিভারি করেছি এক পর্যায়ে তার ব্লেডিং শুরু হলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় রেফার করা হয়।চিকিৎসকের অবহেলায় মারা যায়নি বলে অস্বিকার করে বলেন, তাদেরকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সদরে রেফার করেছি কিন্তু তারা প্রাইভেট একটি হাসপাতালে ভর্তি নেন। তারপরও চিকিৎসকের যদি কোন ভুল থাকে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জুয়েল মিয়া
আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক বলেছেন, ‘বিএনপি নেতা যাদের গ্রেফতার করা হয়েছে, তাদেরকে সুনির্দিষ্ট মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের বিচার ও জামিনের বিষয়ে একমাত্র আদালত কথা বলতে পারবে।’
বিএনপি নির্বাচনে এলে সব নেতাদের মুক্তি দেওয়া হবে, কৃষি মন্ত্রীর দেওয়া এমন বক্তব্যের প্রেক্ষিতে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘কৃষিমন্ত্রী যা বলেছেন সেটি তার ব্যক্তিগত অভিমত। এটা দলের অভিমত নয়।’
তিনি আরও বলেন, ১৯৭৫ সালে বিএনপি যখন বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারকে হত্যা করে স্বৈরশাসন চালাচ্ছিল, তখন বিচার বিভাগকে করাপ্ট করা হয়েছে। এখন সে অবস্থা নেই। বর্তমানে বাংলাদেশের বিচার বিভাগ স্বাধীন।
মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ার সড়ক বাজার এলাকায় আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনী প্রচারণা চালানোর সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নে আইনমন্ত্রী এ কথা বলেন। মন্ত্রী আরও বলেন, বিগত দশ বছরে কসবা-আখাউড়ায় ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। জনগণের ভালবাসায় আগামীতেও এই উন্নয়ন অব্যাহত রাখা হবে। এ সময় আখাউড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. আলী চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক তাকজিল খলিফা কাজলসহ দলীয় নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। এ দিকে মন্ত্রীর আগমনকে ঘিরে এলাকায় উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে। পরে তিনি আখাউড়ার কল্লা শহীদ মাজার জিয়ারত করেন।
নিজস্ব প্রতিবেদক, মোঃ জুয়েল মিয়া
চলন্ত অবস্থায় চট্টগ্রাম থেকে ঢাকাগামী আন্তঃনগর সুবর্ণ এক্সপ্রেসের দুই বগি বিচ্ছিন্ন হওয়ার ঘটনা ঘটেছে।মঙ্গলবার (২৭ জুন) সকাল সোয়া ১০টার দিকে ট্রেনটি আখাউড়া রেলওয়ে স্টেশন পার হওয়ার পর এ ঘটনা ঘটে। মেরামত শেষে বেলা পৌনে ১২টার দিকে ট্রেনটি ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যায়। তবে এতে কেউ হতাহত হয়নি। আখাউড়া রেলওয়ে জংশন স্টেশন সূত্র জানায়, ট্রেনের ১৩১০ ও ১৩০৫ নম্বর বগি চলন্ত অবস্থায় আলাদা হয়ে যায়। পেছনের দিকের ওই দুটি বগির সংযোগস্থলের যন্ত্র ভেঙে খসে পড়লে এ ঘটনা ঘটে। আখাউড়া রেলওয়ে জংশনের টিএক্সআর কার্যালয়ে দায়িত্বরতরা বগি দুটি সংযোগ করলে ট্রেনটি ঢাকা উদ্দেশে ছেড়ে যায়। এ বিষয়ে আখাউড়া রেলওয়ে জংশন স্টেশনের ঊর্ধ্বতন উপসহকারী প্রকৌশলী (হেড টিএক্সআর) মো. শামীম আহমেদ জানান, ট্রেনের দুই বগির মাঝখানের বাফার শেঙ্ক ভেঙে যায়। মেরামত করতে ২০ মিনিটের মতো সময় লাগে বলে জানান তিনি।
জুয়েল মিয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলায় পূর্ব বিরোধের জের ধরে দু’পক্ষের সংঘর্ষে সফিনূর ওরফে সফিক (৩০) নামে এক কাপড় ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আব্দুর রহমান ও ফয়জুর রহমান নামে দুই যুবক আহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) রাতে উপজেলার শিবপুর ইউনিয়নের বাঘাউড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত সফিক বাঘাউড়া গ্রামের হাফিজ মিয়ার ছেলে এবং তিনি শিবপুর বাজারের কাপড় বিক্রেতা। পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, কয়েক দিন আগে উপজেলার কাইতলা উত্তর ইউনিয়নের নোয়াগাঁও গ্রামের অলেক শা-এর ওরশে সফিকের ছোট ভাই রুবেলকে মারধর করেন বাঘাউড়া গ্রামের কাইয়ুম মিয়ার ছেলে ফয়জুর রহমান। মঙ্গলবার রাতে রুবেলের বড় ভাই সফিক প্রতিপক্ষের ফয়জুর রহমানকে ওই ঘটনা জিজ্ঞেস করতে গেলে ফয়জুর ও তার বড় ভাই কসাই আবদুর রহমানসহ বাড়ির লোকজন সফিক এর ওপর হামলা চালায় এবং তাকে কুপিয়ে আহত করেন। খবর পেয়ে রুবেল ও তাদের পক্ষের লোকজন সেখানে গেলে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে আবদুর রহমান ও ফয়জুর আহত হন। তাদেরকে নবীনগর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে এবং পুলিশ প্রহরায় চিকিৎসা চলছে। এছাড়া রক্তাক্ত অবস্থায় রাত সাড়ে ৯টায় সফিককে নবীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নবীনগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ মাহবুব আলম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, বর্তমানে এলাকার পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। এলাকায় পুলিশ মোতায়েন রয়েছে এবং দুইজনকে আটকসহ সফিককে কুপিয়ে হত্যা করার রক্তমাখা ছুড়ি উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধার করেছে এবং ময়নাতদন্তের জন্য সকালে জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে।