স্বত্ব © 2025 দৈনিক পত্রিকা |
সম্পাদক ও প্রকাশক: উবায়দুর রহমান, ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: মোঃ জুয়েল মিয়া প্রতিষ্ঠাতা: পি বা লিজন।সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয়- পাইকপাড়া,লোকনাথ দিঘীর পাড়,পৌর কমিউনিটি সেন্টার ২য় তলা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া।দৈনিক পত্রিকা অনলাইন নিউজ পোর্টাল। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের কর্তৃক নিবন্ধনের জন্য প্রক্রিয়া দিন।newsdainikpatrika@gmail.com মোবাইল নাম্বার 01751406352,01715958768
জুয়েল মিয়া
নির্বাচন তফসিল ঘোষণার পর বিএনপি জামায়াত হত্যাযজ্ঞে নেমেছে বলে মন্তব্য করেছেন আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী আনিসুল হক এমপি। শুক্রবার (২২ ডিসেম্বর) বিকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলার মনিয়ন্দ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ কর্তৃক আয়োজিত নির্বাচনীয় বিশাল জনসভায় তিনি প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে এ কথা বলেন।
এসময় আইন মন্ত্রী বলেন, বিএনপি ট্রেনের বগিতে আগুন লাগিয়ে চারজনকে হত্যা করেছে। বিএনপির কাছে নিষ্পাপ শিশুও সেইভ না। বিএনপি জামায়াত আবারো বাংলাদেশকে ধ্বংস করার জন্য উঠে পড়ে লেগেছে। তিনি বলেন, যারা নির্বাচন বানচাল ও হরতাল অবরোধ ডেকেছেন আপনারা সাবধান হয়ে যান। এই দেশে আইন আছে, আইনের শাসন আছে, আপনারা যা করছেন এটা রাষ্ট্রদ্রোহী।
এসময় ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ আসনের দলীয় প্রতীক নৌকার জন্য ভোটারদের কাছে ভোট চান তিনি। তিনি এলাকার উন্নয়নের অসমাপ্ত কাজ গুলো খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে শেষ করার প্রতিশ্রুতি দেন।
সভায় মনিয়ন্দ ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মো: কামাল ভূইয়ার সভাপতিত্বে এসময় আখাউড়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. আবুল কাসেম ভূঁইয়া,উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মোহাম্মদ আলী চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র মো: তাকজিল খলিফা কাজল, মনিয়ন্দ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মাহবুব আলম চৌধুরী দ্বীপক , উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মনির হোসেন বাবুল, উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল মমিন বাবুল, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি শাহাব উদ্দিন বেগ শাপলু, সাধারণ সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন নয়ন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
জুয়েল মিয়া, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম স্বপনকে অস্ত্রসহ গ্রেফতারের ঘটনায় নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বৃহস্পতিবার( ৪মে) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে তার নিঃশর্ত মুক্তির জোর আহবান জানান এবং গুরুতর অসুস্থ শরীফুল হক স্বপনের দ্রুত সুস্থতা কামনা করেন তিনি।এর আগে বৃহস্পতিবার (৪মে) দুপুর ১টা ১০ ঘটিকার সময় কসবা উপজেলার খাড়েরা ইউনিয়নের দারোগা বাড়ি মসজিদের উত্তর পার্শ্বে পাকা রাস্তার উপর থেকে শরিফুল হক স্বপনকে অস্ত্রসহ গ্রেফতার করা হয়। কসবা উপজেলার সৈয়দাবাদ (তিনলাখপীর) গ্রামের জহিরুল হকের ছেলে তিনি।
বিবৃতিতে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর উল্লেখ করেন, কসবা উপজেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক এবং সাবেক ছাত্রদল ও যুবদল নেতা শরীফুল হক স্বপন-কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতারের পর শরীফুল হক স্বপন গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ায় পুলিশী হেফাজতে তাকে মুমূর্ষ অবস্থায় রাজধানীর হার্ট ফাউন্ডেশনে ভর্তি করা হয়েছে।বিএনপি মহাসচিব বলেন, “গণতন্ত্রকে মাটিচাপা দেয়ার পর দেশকে একদলীয় দুঃশাসনের চরম অন্ধকারে নিপতিত করতে বর্তমান গণবিচ্ছিন্ন ও ভোটারবিহীন অবৈধ সরকার বিএনপিসহ বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের ওপর জুলুম চালাতে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলাধীন কসবা উপজেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক শরীফুল হক স্বপন-কে গ্রেফতার সেই জুলুমেরই ধারাবাহিকতা। বর্তমান শাসকগোষ্ঠীর দুঃশাসনের প্রকোপ ক্রমশ: বিপজ্জনক রূপ ধারণ করছে। ভোটারবিহীন সরকার আইনের সীমানার মধ্যে না থেকে চরম সীমালঙ্ঘন করে যাচ্ছে। গণতান্ত্রিক অধিকারগুলোকে পদদলিত করছে নিষ্ঠুর দমননীতি অবলম্বন করে। গণতন্ত্র নিরুদ্দেশ বলেই দেশে মানবতা, সভ্যতার চিহ্নও ক্রমাগতভাবে মুছে যাচ্ছে। দেশে এখন চলছে আদিম অরণ্যের আইন। বিকৃত দুঃশাসনে জনজীবনে ভয় ও আতঙ্কের পরিবেশ বিরাজমান। দুঃশাসনের শৃঙ্খলভঙ্গের দাবিতে ঐক্যবদ্ধ জনগণের ওপর সরকার পুলিশী শক্তিকে যথেচ্ছভাবে ব্যবহার করছে। এই কারণেই রাষ্ট্র ও সমাজে বিরাজমান রয়েছে চরম অস্থিরতা ও নৈরাজ্যকর পরিবেশ। সরকারী মদদে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো এখন আইনানুযায়ী কাজ করতে পারছে না। মনে হয় তারা বিরোধী দল দমনে ফ্রি লাইসেন্স পেয়ে গেছে। দেশে ভীতি ও শঙ্কা বিদ্যমান রাখার একমাত্র উদ্দেশ্যই হলো সরকারের অবৈধ ও স্বেচ্ছাচারী শাসন নিয়ে কেউ যেন মাথা উঁচু করে কথা বলতে সাহস না পায়। ”
গ্রেফতারের ঘটনার পর ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপির আহবায়ক জিল্লুর রহমান জিল্লুর এক বিবৃতিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলাধীন কসবা উপজেলা বিএনপির ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন সাময়িক ভাবে স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে।কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ মহিউদ্দিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সুযোগ্য পুলিশ সুপার জনাব মোহাম্মাদ শাখাওয়াত হোসেন মহোদয় এর নির্দেশে, সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (কসবা সার্কেল) জনাব মোঃ দেলোয়ার হোসেন এর নেতৃত্বে এসআই মোঃ লিয়াকত আলী সঙ্গীয় ফোর্সসহ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করে শরিফুল হক স্বপনের দেহ তল্লাশি করে তার কোমরের পেছনের দিকে পরিহিত পাজামার বাঁধনের নিচে গোঁজা অবস্থায় ০১টি দেশীয় তৈরি কাঠের বাট যুক্ত পুরাতন ওয়ান শুটারগান, যাহার কাঠের বাট সহ লম্বা ১২ ইঞ্চি এবং লোডেড অবস্থায় ০১টি লাল রঙের কার্তুজ পাওয়া গেলে উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে জব্দ করা হয়। উদ্ধারকৃত একটি প্রাইভেট কার এবং ১০ কেজি গাঁজা উদ্ধার সংক্রান্তে অজ্ঞাত পলাতক আসামি দুইজনের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা রুজু প্রক্রিয়াধীন।
মঙ্গলবার রাত ১২ টার দিকে শহরের ট্যাংকের উত্তরপাড় এলাকায় আজাদ অটোরিকশা গ্যারেজে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
সুমন মিয়া সদর উপজেলার মজলিশপুর ইউনিয়নের জাফরগঞ্জ গ্রামের মৃত রশদ আলীর ছেলে।
নিহতের পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সুমন মিয়া প্রতিদিনের মতো অটোরিকশা চালানো শেষে রাতে ওই গ্যারেজে তার অটোরিকশাটির ব্যাটারি চার্জ দিতে যান। এ সময় অসাবধানতা বশতঃ সে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়।
স্থানীয়রা সুমন মিয়াকে দ্রুত উদ্ধার করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিসক পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আসলাম হোসাইন জানান, মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় আইনানুগ কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
এসময় ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সিনিয়র সহ-সভাপতি নিয়াজ মো. খান বিটুর সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া টিভি জার্নালিস্ট এসোসিয়েশন সভাপতি মনজুরুল আলম, দৈনিক সংবাদের জেলা প্রতিনিধি সাদেকুর রহমান, মাই টিভির জেলা প্রতিনিধি কাউসার এমরান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক দীপক চৌধুরী বাপ্পি, আমার সংবাদের জেলা প্রতিনিধি আশিকুর রহমান, দ্যা ডেইলি পোস্টের জেলা প্রতিনিধি আকরাম হোসেন, দৈনিক কুরুলিয়ার সম্পাদক বিল্লাল হোসেন, প্রেসক্লাবের আইসিটি বিষয়ক সম্পাদক মোজাম্মেল হোসেন, সময় টেলিভিশনের ব্যুরো প্রধান উজ্জল চক্রবর্তী, জিটিভির জেলা প্রতিনিধি জহির রায়হান।
জুয়েল মিয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে পুলিশের ওপর হামলা চালিয়ে আসামি ছিনিয়ে নেওয়ার সময় পুলিশের গুলিতে আইয়ুব নূর (৬০) নামে এক মাদক কারবারি নিহত হয়েছেন। হামলায় অন্তত ১০ পুলিশ সদস্য আহত হন। বৃহস্পতিবার (২০ জুলাই) ভোরে উপজেলার পত্তন ইউনিয়নের আদমপুরে গাবুইন্নাবাড়ি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। হামলার সময় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা থাকা আইয়ুব নূরের ছেলে আরিফ নূরকে হাতকড়াসহ ছিনিয়ে নেওয়া হয়। নিহত আইয়ুব নূরের বিরুদ্ধে পাঁচটি মামলা আছে। জানা যায়,আইয়ুব নুরের পরিবারের সবাই মাদক কারবারি। তার ছেলে আরিফ নূর ও তোফাজ্জল নূরের বিরুদ্ধেও বেশ কয়েকটি মামলা আছে। গ্রেপ্তারি পরোয়ানা থাকা আরিফ নূরকে ধরতে আদমপুরের বাড়িতে অভিযান চালানো হয়। এ সময় হাতকড়া পরানো অবস্থায় আরিফকে ছিনিয়ে নেন তার স্বজনসহ অন্যরা। এ সময় পুলিশের ওপর হামলা চালান তারা।বিজয়নগর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. রাজু আহমেদ জানান, আত্মরক্ষার্থে পুলিশ রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে। এতে আইয়ুব নূর, সালমা বেগম ও ইমন নামে তিনজন আহত হন। আহতদের মধ্যে আইয়ুব নূর মারা যান। হামলাকারীদের গ্রেপ্তার করতে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে।
রাজধানীতে রাজনৈতিক কর্মসূচিতে সাংবাদিকদের ওপর হামলার প্রতিবাদে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ হয়েছে।ব্রাহ্মণবাড়িয়া সাংবাদিক ইউনিয়নের আয়োজনে সোমবার (৩০ অক্টোবর) দুপুরে পৌরশহরের বঙ্গবন্ধু স্কয়ার থেকে এ বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়। মিছিলটি শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে প্রেস ক্লাবের সামনে গিয়ে শেষ হয়। পরে সেখানে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।ব্রাহ্মণবাড়িয়া সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি দীপক চৌধুরী বাপ্পির সভাপতিত্বে এ সময় বক্তব্য দেন- সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মনির হোসেন, যুগ্ম সম্পাদক ফরহাদুল ইসলাম পারভেজ, সিনিয়র সাংবাদিক কবি জয়দুল হোসেন, সরাইল প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মাহবুব খান বাবুল, আশুগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আল মামুন, গাজী টিভির জেলা প্রতিনিধি জহির রায়হান ও জাগো নিউজের জেলা প্রতিনিধি আবুল হাসনাত মো. রাফি।বক্তারা বলেন, সাংবাদিকদের কাজ সংবাদ সংগ্রহ করা। সেদিন তারা তাদের পেশাগত কাজ চালিয়ে যাচ্ছিলেন। কিন্তু স্বাধীনতা বিরোধী রাজনৈতিক অপশক্তি সাংবাদিকদের লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে। আমরা এসব ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।