স্বত্ব © 2025 দৈনিক পত্রিকা |
সম্পাদক ও প্রকাশক: উবায়দুর রহমান, ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: মোঃ জুয়েল মিয়া প্রতিষ্ঠাতা: পি বা লিজন।সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয়- পাইকপাড়া,লোকনাথ দিঘীর পাড়,পৌর কমিউনিটি সেন্টার ২য় তলা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া।দৈনিক পত্রিকা অনলাইন নিউজ পোর্টাল। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের কর্তৃক নিবন্ধনের জন্য প্রক্রিয়া দিন।newsdainikpatrika@gmail.com মোবাইল নাম্বার 01751406352,01715958768
মোঃনিয়ামুল ইসলাম আকন্ঞ্জি
ব্রাহ্মণবাড়িয়া বাতিঘর এর অন্যতম সদস্য ও দৈনিক পর্যবেক্ষণ এর জেলা প্রতিনিধি প্রয়াত সাংবাদিক আশিকুল ইসলাম আশিকের স্মরণে মাসব্যাপী কর্মসূচি গ্রহণ করেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া বাতিঘর।কর্মসূচির অংশ হিসেবে শুক্রবার (২২ ডিসেম্বর) বাদ জুম্মা ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদর হাসপাতাল জামে মসজিদে দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।ব্রাহ্মণবাড়িয়া বাতিঘর এর প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার আজহার উদ্দিনের উদ্যোগে এই মিলাদ ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করে। এদিন বিকালে আশিকের জন্মস্থান মনিপুরে তার কবর জিয়ারত করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া বাতিঘর এর প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার আজহার উদ্দিন ও সংগঠনের অন্যান্য সদস্যরা।ব্রাহ্মণবাড়িয়া বাতিঘরের উপদেষ্টা সাংবাদিক হাবিবুর রহমান পারভেজ বলেন, আশিক খুব অল্প সময়েই সাংবাদিকতায় জনপ্রিয়তা পেয়েছিল। সে খুব ভদ্র ও মানবিক ছেলে ছিল। রায়হান আশিককে হত্যা করেছে তার দ্রুত রায় কার্যকর করার দাবি জানান।এ বছরের ৯ জানুয়ারি রায়হান নামের এক সন্ত্রাসের ছুরিকাঘাতে আশিক নিহত হয়েছিল। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত আশিকুল ইসলাম আশিক দৈনিক পর্যবেক্ষণের জেলা প্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।১৯৯৫ সালে বিজয়নগর উপজেলার পত্তন ইউনিয়নের মনিপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন সাংবাদিক আশিকুল ইসলাম আশিক।আশিকের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনায় দোয়া ও মোনাজাত করেন সদর হাসপাতাল জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা আনোয়ার হোসেন। উক্ত দোয়া ও মিলাদ মাহফিলে সাংবাদিক, বাতিঘরের উপদেষ্টা ও সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
অপহৃত টেম্পু বেপারী জামালপুর জেলার ইসলামপুর উপজেলার পলবান্ধা বেপারীপাড়ার মো. আবদুস সালাম বেপারীর ছেলে। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকার কাউতলী গ্রামে ভাড়া বাসায় বসবাস করে ট্রেনসহ বিভিন্ন এলাকায় হকারি করেন। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, কসবা উপজেলার বাদৈর গ্রামের ফজলুর রহমানের ছেলে মো. ফারুক মিয়া-(৪৫), একই উপজেলার কুইয়াপানিয়া গ্রামের বাদশা মিয়ার ছেলে জাহের মিয়া ওরফে বোচন-(৫৫) ও খিদিরপুর গ্রামের হান্নান মিয়ার ছেলে মাহবুবুর রহমান-(২৬)। পুলিশ জানায়, গত ১৭ আগষ্ট (বৃহস্পতিবার) সকাল ১০ টার সময় ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকার কাউতলী ব্রীজের উপর থেকে টেম্পু বেপারীকে জোরপূর্বক মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে যায় অপহরণকারীরা। পরে অপহরণকারীরা টেম্পু বেপারীর পরিবারের সদস্যদের কাছে ৫ লাখ টাকা মুক্তিপন দাবি করেন। মুক্তিপনের টাকা না দিলে তাকে হত্যার হুমকি দেয় অপহরণকারীরা। অপহরণকারীদের কথামতো টেম্পু মিয়ার পরিবারের সদস্যরা বিকাশের মাধ্যমে ১ লাখ টাকা মুক্তিপন পাঠায় ও বিষয়টি পুলিশকে অবহিত করে।
পরে পুলিশ গোপন সংবাদ ও তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় শনিবার গভীর রাতে কসবা উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকায় অভিযান চালিয়ে টেম্পু মিয়াকে উদ্ধার সহ তিন অপহরণকারীকে গ্রেপ্তার করে। এ সময় টেম্পু মিয়ার পরিবারের সদস্যদের কাছ থেকে নেয়া মুক্তিপনের ১ লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়।
সালমান হোসাইন
আধুনিক ব্যাংকিং সেবা প্রদানের লক্ষ্যে ৯ মার্চ, ২০২৪ বেলা ৩ টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া কসবা উপজেলা সৈয়দাবাদ বাসস্ট্যান্ডে ডাচ বাংলা ব্যাংকের এজেন্ট ব্যাংকিং শাখার শুভ উদ্বোধন করা হয়। ডাচ্ বাংলা ব্যাংকের ব্রাহ্মণবাড়িয়া শাখার এরিয়া ম্যানেজার জনাব মো: মহসিন এর পরিচালনায় জনাব মো: শরিফুল হক স্বপনের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এজেন্ট ব্যাংক উদ্বোধন করেন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী জনাব জাহাঙ্গীর ভূইয়া ও ব্যবসায়ী জনাব মো: আবু জাফর রাসেল। উক্ত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জনাব মনির হোসেন বাকিক, জনাব মো: আতাউল্লাহ ভূইয়া বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সমাজ সেবক, প্রমুখ। অন্যান্য অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অত্রএলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও গ্রাহক গণ। অতিথিরা বক্তব্যে বলেন ‘ডাচ বাংলা ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং এমন একটি ব্যাংক সিস্টেম, যা অনলাইন পদ্ধতিতে মানুষের দোড়গোড়ায় ইতিমধ্যেই পৌঁছে গেছে, আগে যেভাবে মানুষের কষ্টে উপার্জিত অর্থ প্রতারনা ও বিভিন্ন ভাবে হারিয়ে ফেলতো, সেখান থেকে গ্রাহককে ডাচ বাংলা ব্যাংক নিশ্চিত ভাবে লেনদেনের মাধ্যমে যুগযোপযোগী সেবা প্রদান করে যাচ্ছে।’ তাছাড়া কোন গ্রাহক যদি স্বাক্ষর দিতে না জানেন সে ব্যাক্তি আঙুলের চাপ দিয়ে একাউন্ট খোলতে পারেন এই ডাচ বাংলা ব্যাংকের এজেন্ট ব্যাংকে।উক্ত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানটি আয়োজন করেন -ব্যাংক এজেন্ট প্রতিনিধি জনাব মো: রাজিবুল ইসলাম ভূইয়া।
জুয়েল মিয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে পুলিশের ওপর হামলা চালিয়ে আসামি ছিনিয়ে নেওয়ার সময় পুলিশের গুলিতে আইয়ুব নূর (৬০) নামে এক মাদক কারবারি নিহত হয়েছেন। হামলায় অন্তত ১০ পুলিশ সদস্য আহত হন। বৃহস্পতিবার (২০ জুলাই) ভোরে উপজেলার পত্তন ইউনিয়নের আদমপুরে গাবুইন্নাবাড়ি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। হামলার সময় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা থাকা আইয়ুব নূরের ছেলে আরিফ নূরকে হাতকড়াসহ ছিনিয়ে নেওয়া হয়। নিহত আইয়ুব নূরের বিরুদ্ধে পাঁচটি মামলা আছে। জানা যায়,আইয়ুব নুরের পরিবারের সবাই মাদক কারবারি। তার ছেলে আরিফ নূর ও তোফাজ্জল নূরের বিরুদ্ধেও বেশ কয়েকটি মামলা আছে। গ্রেপ্তারি পরোয়ানা থাকা আরিফ নূরকে ধরতে আদমপুরের বাড়িতে অভিযান চালানো হয়। এ সময় হাতকড়া পরানো অবস্থায় আরিফকে ছিনিয়ে নেন তার স্বজনসহ অন্যরা। এ সময় পুলিশের ওপর হামলা চালান তারা।বিজয়নগর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. রাজু আহমেদ জানান, আত্মরক্ষার্থে পুলিশ রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে। এতে আইয়ুব নূর, সালমা বেগম ও ইমন নামে তিনজন আহত হন। আহতদের মধ্যে আইয়ুব নূর মারা যান। হামলাকারীদের গ্রেপ্তার করতে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে।
জুয়েল মিয়া, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় মাদক কারবারিদের ছুরিকাঘাতে খাইরুল ইসলাম নামে এক পুলিশ সদস্য গুরুতর আহতের ঘটনায় ৩৪জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। শনিবার (৬মে) দুপুরে আখাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আসাদুল ইসলাম তাদের গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। আহত পুলিশ সদস্য এখন আশংকামুক্ত আছে, ঢাকা মেডিকেল থেকে পুলিশ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
এর আগে শুক্রবার (৫ মে) রাত সাড়ে ৮ ঘটিকার সময় উপজেলার মনিয়ন্দ ইউনিয়নের শিবনগর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে নেওয়ার পর প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়।
জানা যায়, শুক্রবার রাতে আখাউড়া থানা পুলিশের একটি দল উপজেলার মনিয়ন্দ ইউনিয়নে মাদক বিরোধী অভিযানে যায়। সেখানে শিবনগর এলাকায় অভিযান পরিচালনাকালে সেলিম ও সোহেল নামে দুই মাদক কারবারিকে আটকের সময় তারা পুলিশের ওপর হামলা চালায়। এ সময় পুলিশ সদস্য খাইরুল ইসলামের পেটে ছুরিকাঘাত করে মাদক কারবারিরা পালিয়ে যায়। এতে তিনি মাথায় ও পেটে গুরুতর জখম হন।
এ ব্যাপারে বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রাজু আহম্মেদ জানান, মৃতের চোখে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। আমরা তার লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করেছি। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে বিস্তারিত বলা যাবে।