স্বত্ব © 2024 দৈনিক পত্রিকা |
সম্পাদক ও প্রকাশক: উবায়দুর রহমান, ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: মোঃ জুয়েল মিয়া প্রতিষ্ঠাতা: পি বা লিজন।সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয়- পাইকপাড়া,লোকনাথ দিঘীর পাড়,পৌর কমিউনিটি সেন্টার ২য় তলা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া।দৈনিক পত্রিকা অনলাইন নিউজ পোর্টাল। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের কর্তৃক নিবন্ধনের জন্য প্রক্রিয়া দিন।newsdainikpatrika@gmail.com মোবাইল নাম্বার 01751406352,01715958768
মোঃনিয়ামুল ইসলাম আকন্ঞ্জি
ব্রাহ্মণবাড়িয়া বাতিঘর এর অন্যতম সদস্য ও দৈনিক পর্যবেক্ষণ এর জেলা প্রতিনিধি প্রয়াত সাংবাদিক আশিকুল ইসলাম আশিকের স্মরণে মাসব্যাপী কর্মসূচি গ্রহণ করেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া বাতিঘর।কর্মসূচির অংশ হিসেবে শুক্রবার (২২ ডিসেম্বর) বাদ জুম্মা ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদর হাসপাতাল জামে মসজিদে দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।ব্রাহ্মণবাড়িয়া বাতিঘর এর প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার আজহার উদ্দিনের উদ্যোগে এই মিলাদ ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করে। এদিন বিকালে আশিকের জন্মস্থান মনিপুরে তার কবর জিয়ারত করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া বাতিঘর এর প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার আজহার উদ্দিন ও সংগঠনের অন্যান্য সদস্যরা।ব্রাহ্মণবাড়িয়া বাতিঘরের উপদেষ্টা সাংবাদিক হাবিবুর রহমান পারভেজ বলেন, আশিক খুব অল্প সময়েই সাংবাদিকতায় জনপ্রিয়তা পেয়েছিল। সে খুব ভদ্র ও মানবিক ছেলে ছিল। রায়হান আশিককে হত্যা করেছে তার দ্রুত রায় কার্যকর করার দাবি জানান।এ বছরের ৯ জানুয়ারি রায়হান নামের এক সন্ত্রাসের ছুরিকাঘাতে আশিক নিহত হয়েছিল। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত আশিকুল ইসলাম আশিক দৈনিক পর্যবেক্ষণের জেলা প্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।১৯৯৫ সালে বিজয়নগর উপজেলার পত্তন ইউনিয়নের মনিপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন সাংবাদিক আশিকুল ইসলাম আশিক।আশিকের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনায় দোয়া ও মোনাজাত করেন সদর হাসপাতাল জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা আনোয়ার হোসেন। উক্ত দোয়া ও মিলাদ মাহফিলে সাংবাদিক, বাতিঘরের উপদেষ্টা ও সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
জুয়েল মিয়া, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর থেকে ১০৭ কেজি ভারতীয় গাঁজাসহ একটি ট্রাক ও একটি মোটরসাইকেল জব্দ করেছে বিজিবি। সোমবার (১৩ মার্চ) ভোর রাতে উপজেলার পাহাড়পুর ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের সেজামুড়া দক্ষিণপাড়ার মাদক ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীরের বাড়ির সামনে থেকে অভিযান চালিয়ে এসব জব্দ করা হয়। এসময় বিজিবির উপস্থিতি টের পেয়ে মাদক ব্যবসায়ীরা পালিয়ে যায়। বিজিবির ২৫ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল সৈয়দ আরমান আরিফ এবং মুকুন্দপুর বিজিবি ক্যাম্পের নায়ক মোহাম্মদ ইউছুফ জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বিজিবির বিশেষ টহল দল বিজয়নগর উপজেলার সেজামুড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্য উদ্ধার করে। এসময় মাদক বহনকারী একটি ডিস্ট্রিক্ট ট্রাক ও মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়। মাদক চোরাচালান রোধে এমন অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান তারা।
নিজস্ব প্রতিবেদক
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় প্রতিপক্ষের হামলায় গুরুতর আহত ব্যবসায়ী কামাল ভুইয়া আশংকাজনক অবস্থায় আইসিইউতে রয়েছেন। তিনি উপজেলার মোগড়া ইউনিয়নের নিলাখাদ গ্রামের বাসিন্দা। গত ২১অক্টোবর সন্ধ্যা ৬ ঘটিকার সময় আখাউড়া উপজেলার মোগড়া বাজারস্থ দক্ষিণ সিএনজি স্ট্যান্ড মসজিদ রোডের সামনে কামাল ভুইয়াকে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র দিয়ে পিটিয়েছে প্রতিপক্ষের লোকজন। অভিযুক্তরা হলেন গঙ্গানগর গ্রামের আনিছ মিয়া(৫২), আনিছ মিয়ার ছেলে বাবু মিয়া (২৫), আনিছ মিয়ার স্ত্রী পারভীন আক্তার, জাংগাল গ্রামের জুলহাস মিয়ার ছেলে নবীর হোসেন (২৮) ও সাইদুল মিয়া, মৃত জজ মিয়ার ছেলে আনোয়ার( ৩৮), কমল মিয়ার ছেলে ছোটন মিয়া (৩৫), আনিছ মিয়ার ছেলে নাঈম মিয়া ( ৩০) এবং গংগানগর গ্রামের মোতালিব মিয়ার ছেলে হেলাল মিয়া( ২৭) সহ অজ্ঞাতনামা আরও ৬/৭ জন। এই ঘটনায় আহত কামাল ভুইয়ার স্ত্রী বাদী হয়ে আখাউড়া থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলা ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কামাল ভুইয়া মোগড়া বাজারের একজন ব্যবসায়ী। তিনি গত ২০ অক্টোবর তার মেয়ের বাসা কুমিল্লায় বেড়াতে যায়। সেদিন বিকাল ৫ ঘটিকার সময় গঙ্গানগর গ্রামের আনিছ মিয়ার ছেলে বাবু মিয়া কামাল ভুইয়ার মার্কেটের সামনে বালু রাখার জন্য বললে মার্কেটের ভাড়াটিয়া দোকানদার লিটন মিয়া মোবাইল ফোনে তা কামাল ভুইয়াকে অবগত করেন। পরে কামাল ভুইয়া মোবাইল ফোনে বাবু মিয়াকে বালু রাখতে নিষেধ করেন। এতে বাবু মিয়া ক্ষিপ্ত হয়ে কামাল ভুইয়াকে অকথ্য ভাষায় গালমন্দ করে মোবাইল রেখে দেয়। মেয়ের বাসা কুমিল্লা থেকে ২১ অক্টোবর বাড়ীতে আসার পর সন্ধ্যা অনুমান ০৬.০০ ঘটিকার সময় ঘটনাস্থলে আসার পর আনিছ মিয়া ও তার ছেলে বাবু মিয়ার নেতৃত্বে কামাল ভুইয়ার ওপর দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হামলা করে রক্তাক্ত জখম করে। আহত কামাল ভুইয়ার স্ত্রী আছমা বলেন, হামলাকারীরা হত্যার উদ্দেশ্যে আমার স্বামীর মাথায় ধারালো দা দিয়ে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করেছে। তাছাড়া লোহার রড ও পাইপ দিয়ে পিঠে, ঘারে ও হাতে আঘাত করে গুরুতর জখম করেছে। আমার স্বামীর প্যান্টের পকেট থেকে মাছ ব্যবসার এক লাখ ৫০ হাজার টাকা জোরপূর্বক নিয়ে যায়। আমার স্বামী চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়তেছে।এবিষয়ে জানতে চাইলে মোগড়া ইউপি চেয়ারম্যান এমএ মতিন বলেন, ‘মার্কেটের সামনে বালু রাখা নিয়ে আনিছ মিয়ার ছেলে বাবুর সাথে কামাল ভুইয়ার কথা কাটাকাটি হয়েছে। পরে আনিছ মিয়ার ছেলে বাবু এলাকা থেকে লোকজন এনে মারামারি করেছে৷ কামাল ভুইয়ার অবস্থা মৃত্যুর মুখে,ঢাকায় ল্যাবএইডে আইসিইউতে আছে। আজ আইনমন্ত্রী মহোদয় হসপিটাল ম্যানেজমেন্টকে ইনফর্ম করে দিয়েছে তার চিকিৎসা যাতে ভালো হয়। এবিষয়ে আখাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ আসাদুল ইসলাম বলেন,মামলা নিয়েছি। এযহার নামীয় দুজন আসামীকে এরেস্ট করা হয়েছে। অপর এযহার নামীয় আসামীদের গ্রেপ্তারের জন্য জোর তৎপরতা চলছে। মামলার তদন্তকারী আখাউড়া থানার সাব ইন্সপেক্টর ( নিরস্ত্র) মোঃ আবু ছালেক বলেন, ‘মার্কেটের সামনে বালু রাখা নিয়ে ঘটনাটি ঘটেছে। যেদিন মারামারি হয়েছে সেদিনই নবীর হোসেন ও আনোয়ার নামে দুইজন এরেস্ট হয়েছে।’