স্বত্ব © 2024 দৈনিক পত্রিকা |
সম্পাদক ও প্রকাশক: উবায়দুর রহমান, ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: মোঃ জুয়েল মিয়া প্রতিষ্ঠাতা: পি বা লিজন।সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয়- পাইকপাড়া,লোকনাথ দিঘীর পাড়,পৌর কমিউনিটি সেন্টার ২য় তলা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া।দৈনিক পত্রিকা অনলাইন নিউজ পোর্টাল। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের কর্তৃক নিবন্ধনের জন্য প্রক্রিয়া দিন।newsdainikpatrika@gmail.com মোবাইল নাম্বার 01751406352,01715958768
জুয়েল মিয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-০৩ ( সদর- বিজয়নগর) আসনের নৌকার প্রার্থী উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীর পোস্টার ছেঁড়ায় স্বতন্ত্র প্রার্থী ফিরোজুর রহমান ওলিও এর কয়েকজন সমর্থককে জরিমানা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২০ ডিসেম্বর) দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলার পাহাড়পুর আউলিয়া বাজারে আক্কাস নামে একজনকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মেহেদি হাসান শাওন।স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আউলিয়া বাজারে ফিরোজুর রহমান ওলিওর সমর্থক আক্কাস ভূঞার নেতৃত্বে একটি পিকআপ ভ্যান থেকে নৌকার পোস্টার ছেঁড়া হয়। এটি দেখতে পেয়ে সেখানকার স্থানীয় লোকজন প্রশাসনকে খবর দিলে উপজেলা প্রশাসন ঘটনাস্থল গিয়ে আক্কাস ভূঞাকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করেন। এ বিষয়ে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মেহেদি হাসান শাওন বলেন, সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা, ২০০৮ এর ১৮(১) ধারা অনুসারে ৭(২) ধারা লঙ্ঘন করেছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী লায়ন ফিরোজুর রহমান ওলিওর সমর্থকেরা। কাঁচি মার্কার সমর্থকরা একটি পিকআপ ভ্যানে চড়ে নৌকা প্রতীক প্রার্থীর পোস্টার ছেঁড়ায় আক্কাসকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। সংশ্লিষ্ট প্রার্থী ভবিষ্যতে আচরণবিধিমালা প্রতিপালনের বিষয়ে সতর্ক থাকবেন মর্মে জানান। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকালে বিজয়নগর উপজেলার অফিসার ইনচার্জ মো. আসাদুল ইসলাম সহ পুলিশের অন্যান্য সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
You must be logged in to post a comment.
মঙ্গলবার নিজ নির্বাচনী এলাকা আখাউড়ার অ্যাডভোকেট সিরাজুল হক পৌর মুক্তমঞ্চে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদাতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত এক আলোচনা ও দোয়া মাহফিলে তিনি এসব কথা বলেন।
আনিসুল হক বলেন, আমরা কোনো প্রতিহিংসার জন্য নেপথ্যের কুশীলবদের চিহ্নিত করব না, বাঙ্গালী ও নতুন প্রজন্মকে সঠিক ইতিহাস জানানোর জন্য এই কমিশন গঠন করা হবে।
অনুষ্ঠানের পূর্বে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ সকল শহীদের স্মরণে স্থানীয় শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন আইনমন্ত্রী।
মন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের দেশকে বিনাশ করার জন্য ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছিল। ঘাতকেরা বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে অস্বীকার করে তাদের ষড়যন্ত্র ও জিঘাংসাকে বাস্তবায়ন করার জন্য এই দিনটিকেই বেছে নিয়েছিল। কিন্তু আমাদের সৌভাগ্য ঘাতকেরা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করলেও বাংলাদেশকে তারা ব্যর্থ করে দিতে পারেনি। বঙ্গবন্ধুর কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে দেশকে এগিয়ে নিয়ে চলেছেন।
তিনি বলেন, শুধু বঙ্গবন্ধু নয়, তার পরিবারে ১৭ জনকে নিমর্মভাবে হত্যা করা হয়। এই হত্যার উদ্দেশ্য ছিল বাংলাদেশকে হত্যা করা। ষড়যন্ত্রকারি খুনিরা জানতো বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যা করা হলে বাংলাদেশকে হত্যা করা যাবে।
মন্ত্রী বলেন, যারা বাংলাদেশকে চায়নি, সেই একাত্তরের সেই পরাজিত শক্তি বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যা করেন। বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা বিদেশে না থাকলে তাদেরকে আমরা জীবিত পেতাম না।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু দুজন খুনীর একজন যক্তরাষ্ট্রে, একজন কানাডায় অবস্থান করছেন। যুক্তরাষ্ট্রের যিনি আছেন তাকে ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে জোর আলোচনা চলছে। তবে কানাডার আইনে আছে যে, সে দেশে অবস্থানকারি কারো অন্য দেশে মৃত্যুদণ্ড হলে তাকে ফেরত দেয়না। যতক্ষণ পর্যন্ত বাকি খুনিদের দেশে ফেরত এনে বিচারের রায় পরিপূর্ণ কার্যকর না করা যাচ্ছে ততক্ষণ পর্যন্ত তাঁদেরকে ফেরাতে চেষ্টা চালিয়ে যাবো।
তিনি আরও বলেন, যড়যন্ত্রকারিরা কিন্ত বসে নেই। বিএনপি – জামায়াতে ষড়যন্ত্রকারিরা রয়েছেন। তারা মিথ্যা বলেন। সত্যের কাছ দিয়ে হাটেন না। বিএনপি এত মিথ্যাবাদী তারা নিজেরা খুন করে অন্যের উপর দায় ছাপায়। তাই ষড়যন্ত্র কারিদের হাত থেকে দেশকে রক্ষার দায়িত্ব আপনাদের।
আখাউড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ আলী চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র মো. তাকজিল খলিফা কাজল, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. মনির হোসেন বাবুল ও একেএম আতাউড় রহমান নাজিম, ছাত্রলীগ সভাপতি শাহাব উদ্দিন বেগ শাপলুসহ আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ বঙ্গবন্ধুর জীবনাদর্শ, দর্শন ও কর্ম নিয়ে আলোচনা করেন।
জুয়েল মিয়া, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
ব্রাহ্মণবাড়িয়া আদালত প্রাঙ্গণে আইনজীবীদের বিরুদ্ধে স্লোগান দিয়েছেন কারাবন্দিরা। বৃহস্পতিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের ফটকে ও হাজতখানায় এ ঘটনা ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকালে ৬৯ জন কারাবন্দিকে নিয়ে একটি প্রিজনভ্যান জেলা কারাগার থেকে চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ভবনের ফটকে যায়। কারাবন্দিরা ভ্যান থেকে নামার সময় নানা অশালীন ভাষায় আইনজীবীদের বিরুদ্ধে স্লোগান দেন। এসময় তাদের বেশ উগ্র আচরণ করতে দেখা যায়। পরে পুলিশ তাদের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে হাজতখানায় প্রবেশ করান। হাজতেও তারা স্লোগান দিতে থাকেন।
এর আগে বুধবার (৮ফেব্রুয়ারি) জানা যায়, জেলা ও দায়রা জজ এবং নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনাল-১-এ তিন দিন ধরে বাদী ও বিবাদী নিজেরাই যুক্তি-পাল্টাযুক্তি উপস্থাপনের মাধ্যমে শুনানি করছেন। এর ভিত্তিতে আদেশও দিচ্ছেন ওই দুই আদালতের বিচারক।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আইনজীবীরা দাবি পূরণ না হওয়ায়
ফের সব আদালত বর্জন শুরু করেছেন। । আগে থেকেই তাঁরা জেলা ও দায়রা জজ শারমিন নিগার এবং নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনাল-১-এর বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) মোহাম্মদ ফারুকের আদালত বর্জন করে আসছিলেন। নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনাল-১-এ গত বুধবার ৬৩টি মামলার শুনানি ধার্য ছিল। কোনো আইনজীবী আদালতের এজলাসে উপস্থিত না থাকায় দুটি মামলার বিচারপ্রার্থীরা নিজেরাই শুনানি করেন। দুটি মামলাই উভয় পক্ষের সম্মতিতে সম্পূর্ণ নিষ্পত্তি হয়ে যায়।
একটি হলো বাদী মদিনা বেগম তাঁর প্রতিবেশী খায়ের মিয়ার বিরুদ্ধে হয়রানির যে মামলা করেছিলেন তা উঠিয়ে নেন। অন্যটি ২০২২ সালের ৩১ আগস্ট সেতু আক্তার নামের এক নারী তাঁর স্বামী তারেকের বিরুদ্ধে যৌতুকের মামলা উঠিয়ে নেন।
এর আগের দিন মঙ্গলবারও এ রকম কিছু মামলার শুনানি হয়েছে। সরাইল উপজেলার কুট্টাপাড়ার এনায়েত নারী নির্যাতন মামলার আসামি। নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনাল-১-এ ওই দিন তাঁর মামলার শুনানি হয়। এনায়েতের দুলাভাই হাবিবুর রহমান আদালতে শ্যালকের হয়ে শুনানি করেন। যুক্তি উপস্থাপন শেষে এনায়েতকে জামিন দেন বিচারক
জামিন পেয়ে খুশি এনায়েত বলেন, ‘আগে জানতাম না উকিল (আইনজীবী) ছাড়া বিচারকের সঙ্গে কথা বলা যায়। আমি আর আমার দুলাভাইয়ের কথা শুনে স্যার (বিচারক) জামিন দেওয়ায় খুব খুশি হইছি। আমি ন্যায়বিচার পাইছি। এক টাকাও আলাদা কোনো খরচ লাগেনি।’
মঙ্গলবার ওই আদালতে তিনটি মামলার শুনানি হয়। দুটি মামলায় আসামিপক্ষকে জামিন এবং আরেকটি মামলায় আসামির প্রতি গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়। প্রতিটি মামলায়ই বাদী ও বিবাদী পক্ষ নিজেরাই শুনানি করেছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ও দায়রা জজ শারমিন নিগার; নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনাল-১-এর বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) মোহাম্মদ ফারুকের অপসারণ এবং জেলা জজের নাজির মুমিনুলের দৃষ্টান্তমূলক বিচারের দাবিতে এই কর্মসূচি পালন করছেন আইনজীবীরা। একই দাবিতে ৫ জানুয়ারি থেকে পর্যায়ক্রমে সব আদালত বর্জন করে আসছিলেন জেলা বারের আইনজীবীরা। এক পর্যায়ে জেলা ও দায়রা জজ এবং নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১-এর আদালত বর্জন অব্যাহত রেখে বাকি সব আদালতের কার্যক্রমে অংশ নেন আইনজীবীরা। দাবি আদায় না হওয়ায় গতকাল থেকে আবার সব আদালত বর্জন কর্মসূচি শুরু করেন তাঁরা।
তিনি আরো জানান, ছিনিয়ে নেয়া দুটি সোনার চেইনের ওজন পৌনে দুই ভরি। বিষয়টি সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে ফোনে জানানো হয়েছে।
এ বিষয়ে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসলাম হোসেন জানান, ছিনতাইকারীদের গ্রেপ্তারের জন্যে শহর ১নং ফাঁড়ির ইনচার্জকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।ছিনতাইকারীকে ধরতে এবং ছিনিয়ে নেয়া সোনার চেইন উদ্বার করতে অভিযান শুরু করা হয়েছে।
নিজস্ব প্রতিবেদক
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় পৌর শহরের পুরাতন বাজারে ভারত থেকে পেঁয়াজ রপ্তানি নিষেধাজ্ঞার খবরে নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে অতিরিক্ত দামে পেঁয়াজ বিক্রির দায়ে তিন ব্যবসায়ীকে জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।শনিবার (৯ ডিসেম্বর) দুপুরে পৌর শহরের পুরাতন বাজারে এ অভিযান চালানো হয়।ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ শাহরিয়ার মুক্তার। অভিযানে কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ মহিউদ্দিন ও বাজার কমিটির দফতর সম্পাদক মো. দুলু মিয়াসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন। এ সময় একজন পাইকারি ব্যবসায়ী ও দু’জন খুচরা দোকানিকে ৩৫ হাজার টাকা জরিমানা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক খুচরা বিক্রেতা জানান, বিভিন্ন গণমাধ্যমে ভারত থেকে পেঁয়াজ না আসার খবরে স্থানীয় পাইকারী পেঁয়াজ ব্যবসায়ীরা শনিবার সকাল থেকে ১০০-১১০ টাকার কেজি মূল্যের পেঁয়াজ অতিরিক্ত দাম বাড়িয়ে বিক্রি শুরু করেন খুচরা ব্যবসায়ীদের নিকট। খুচরা ব্যবসায়ীরা রশিদ চাইলেও দিতে অস্বীকৃতি জানায় পাইকারী ব্যবসায়ীরা। খুচরা ব্যবসায়ীরা অধিক দামে পাইকারদের কাছ থেকে পেঁয়াজ অধিক দামে এনে ভোক্তাদের নিকট ১৮০/২০০ টাকায় বিক্রি শুরু করেন। যারা আগে কিনে মজুদ রেখেছিলেন তারাও অতিরিক্ত দামে বিক্রি করছিলেন। অভিযোগ পেয়ে অভিযানে নামেন উপজেলা প্রশাসন।উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মুহাম্মদ শাহরিয়ার মুক্তার জানান, অতিরিক্ত মূল্যে পেয়াজ বিক্রয় ও পণ্য তালিকা সংরক্ষণ আইনে তাদেরকে এ জরিমান করা হয়েছে। সকল ব্যবসায়ীদের অতিরিক্ত মূল্য না রাখার বিষয়ে সতর্ক করা হয়েছে।
ধন্যবাদ