স্বত্ব © 2025 দৈনিক পত্রিকা |
সম্পাদক ও প্রকাশক: উবায়দুর রহমান, ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: মোঃ জুয়েল মিয়া প্রতিষ্ঠাতা: পি বা লিজন।সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয়- পাইকপাড়া,লোকনাথ দিঘীর পাড়,পৌর কমিউনিটি সেন্টার ২য় তলা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া।দৈনিক পত্রিকা অনলাইন নিউজ পোর্টাল। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের কর্তৃক নিবন্ধনের জন্য প্রক্রিয়া দিন।newsdainikpatrika@gmail.com মোবাইল নাম্বার 01751406352,01715958768
নিউজ ডেস্ক : জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সহধর্মিনী বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের ৯৩তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।মঙ্গলবার (৮ আগস্ট) সকালে জেলা ছাত্রলীগের আয়োজনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের হলরুমে এ আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
এতে প্রধান অতিথি ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ (সদর-বিজয়নগর) আসনের সংসদ সদস্য র.আ.ম উবায়দুল মোকতাধির চৌধুরী। জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রবিউল হোসেন রুবেলের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক শাহদাৎ হোসেন শোভনের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আল-মামুন সরকার, সিনিয়র সহ-সভাপতি মোঃ হেলাল উদ্দিন, সহ-সভাপতি হাজী মোঃ হেলাল উদ্দিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল বারী চৌধুরী মন্টু প্রমুখ।
সভায় বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের জীবন আদর্শ ও মহান মুক্তিযুদ্ধে বঙ্গবন্ধুর এগিয়ে যাওয়ায় তার অবদানের বিভিন্ন স্মৃতিচারণ করা হয়।
নিজস্ব প্রতিবেদক : ‘রক্তাক্ত ফিলিস্তিন, বিবর্ণ মানবতা’ মার্কিনীদের দালাল ইসরাইলী আগ্রাসন ও নির্বিচারে ফিলিস্তিনি জনগনকে হত্যা বন্ধ করা সহ স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার দাবীতে সোমবার (১৬ অক্টোবর) সন্ধ্যা ৭ টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার গোলাপ সুপার মার্কেট ও কোর্টরোড ব্যবসায়ীবৃন্দের উদ্যোগে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গোলাপ সুপার মার্কেটের সভাপতি জামাল মিয়ার সভাপতিত্বে মার্কেটের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, আমজাদ হোসেন রনি আহবায়ক শহর যুবলীগ, জালাল উদ্দিন সভাপতি গোলাপ সুপার মার্কেট, আজহারুল ইসলাম ফাহাদ সাধারণ সম্পাদক গোলাপ সুপার মার্কেট, গোলাপ সুপার মার্কেট মসজিদের ইমাম হাফেজ জামিল আহমেদ, মো. তারেক আহমেদ, আরাফাত আলী খাঁন প্রমুখ।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলায় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসকের ভিজিট চাওয়ায় এক কর্মচারীকে অপহরণ করে তুলে নেওয়ার সময় প্রতিবাদ করলে জাতীয় দৈনিকের সাংবাদিক বিশ্বজিৎ পালের ওপর হামলা করেছেন দুর্বৃত্তরা। এসময় দুর্বৃত্তের হামলায় সাংবাদিক বিশ্বজিৎসহ তিনজনসহ আহত হন। শুক্রবার (২৮ জুলাই) সন্ধ্যা সাতটার দিকে উপজেলার রাধানগরের দাসপাড়ায় অবস্থিত একটি বেসরকারি ক্লিনিকে এ ঘটনা ঘটে।আহত সাংবাদিক বিশ্বজিৎ পাল উপজেলার রাধানগর গ্রামের বাসিন্দা। তিনি দৈনিক কালেরকন্ঠের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রতিনিধি হিসেবে কর্মরত। এসময় সাংবাদিক বিশ্বজিৎকে বাঁচাতে গিয়ে আহত হন তার দুই চাচাতো ভাই আনন্দ পাল (২৮) ও প্রসেনজিৎ পাল (২৮)। উপজেলার দেবগ্রামের মাহফুজ ভূঁইয়ার ছেলে সুমন ভূঁইয়ার নেতৃত্বে সাংবাদিক বিশ্বজিতের ওপর হামলা চালানো হয়।স্থানীয় লোকজন ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার বেলা সাড়ে পাঁচটার দিকে দেবগ্রামের বাসিন্দা সুমন ভূঁইয়া স্ত্রীসহ ছয় মাসের শিশু সন্তানকে নিয়ে চিকিৎসক দেখাতে চিকিৎসক দেখাতে রাধানগরের দাসপাড়ার দি কমফোর্ট এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে যান। ওই ক্লিনিকে থাকা চিকিৎসক কাজী মাজহারুল ইসলামের কাছে শিশু সন্তানকে নিয়ে যান সুমন।চিকিৎসক থেকে ব্যবস্থাপত্র নিয়ে চেম্বার থেকে বের হন সুমন। সেসময় ক্লিনিকের ব্যবস্থাপকের দায়িত্বে সালমা আক্তার সুমনের কাছে চিকিৎসকের ৪০০ টাকা ভিজিট চান। এতে ক্ষিপ্ত হন সুমন। এক পর্যায়ে সালমার সঙ্গে দুর্ব্যবহার করা শুরু করে সুমন। পরে ঘটনাস্থলে এগিয়ে ক্লিনিকের একজন আশিষ সাহার সঙ্গে খারাপ আচরণ করেন।চিকিৎসক দেখানের ভিজিট না দিয়েই ক্লিনিকের মালিককে ভয় ও হুমকি দিয়ে ঘটনাস্থল থেকে চলে যান সুমন। বিকেলে ছয়টার দিকে ওই ক্লিনিকে চিকিৎসক দেখাতে যান সাংবাদিক বিশ্বজিৎ পাল। বিকেল সাড়ে ছয়টার দিকে সুমন সঙ্গে ২০-২৫জন লোক নিয়ে ওই ক্লিনিকে যান। সুমনের নেতৃত্বে লোকজন ক্লিনিকের ব্যবস্থাপক সালমা তুলে নিতে এগিয়ে যায়। তখন ঘটনার প্রতিবাদ করে বাঁধা দিতে গেলে সুমনের নেতৃত্বে লোকজন সাংবাদিক বিশ্বজিতের ওপর হামলা চালায়।সাংবাদিক বিশ্বজিৎকে বাঁচাতে এগিয়ে গেলে শান্ত পাল ও আনন্দ পালকে তারা মারধর করে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। হামলায় বিশ্বজিৎ মাথাসহ সারা শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত পেয়েছে। আহতদের উদ্ধার করে সন্ধ্যা পৌনে আটটার দিকে আখাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে।আহত সাংবাদিক বিশ্বজিৎ পাল বলেন, ক্লিনিক থেকে একটি মেয়েকে তারা তুলে নিতে আসে। আমি তখন নিজেকে ওই মেয়ের অভিভাবক হিসেবে পরিচয় দেই। তারা আমাকে তখন বলে তুই গার্ডিয়ান, দাঁড়া। এই বলে তারা আমার ওপর হামলা করে। রাধানগর মোড়ে থাকা আমার দুই ভাই ঘটনা শুনে আমাকে বাঁচাতে আসে। তাদের ওপরও সন্ত্রাসী কায়দায় তারা হামলা চালিয়েছে।আখাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসাদুল ইসলাম বলেন, পুলিশ হাসপাতালে গিয়ে আহতদের দেখে এসেছে। এঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। জড়িতদের গ্রেপ্তারে পুলিশের তিনটি টহল দল বের হয়েছে। জড়িতদের গ্রেপ্তারে অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ।
শাহাদাত হোসেন সোহেল
আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে দেশের বিভিন্ন স্হানে ট্রেনে আগুন দেওয়ার মতো ঘটনা ঘটাচ্ছে নাশকতা কারীরা। আর এই নেক্কারজনক হামলা ও নাশকতার ঘটনার শিকার হচ্ছে ট্রেনে চড়া সাধারন যাত্রী কিংবা ভুক্তভোগীরা। আর তাই দেশের বিভিন্ন স্থানে ও ট্রেনে নাশকতামূলক অগ্নিকাণ্ড মোকাবেলায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় অনুষ্ঠিত হয়ে গেলো সচেতনতামূলক এক প্রশিক্ষন কর্মশালা ও মহড়া। বাংলাদেশ রেলওয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শাখার আয়োজনে এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের কর্মকর্তাদের অংশগ্রহন ও বাস্তবায়নে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপ-সহকারী পরিচালক নিউটন দাশের নেতৃত্বে গত শনিবার (২৩ ডিসেম্বর) বিকেল ৪ টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশন প্লাটফর্ম চত্বরে এই প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়। প্রশিক্ষণ ও মহড়া অনুষ্ঠানে সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. মোশাররফ হোসেন, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপ-সহকারী পরিচালক নিউটন দাস, রেলওয়ে স্টেশনমাস্টার মো. জসিম উদ্দিন প্রমুখ উপস্হিত ছিলেন। এসময় উপ- সহকারী পরিচালক নিউটন দাশ তার বক্তব্যে বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে দেশের বিভিন্ন স্হানে ট্রেনে অগ্নি সংযোগ করে রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকাণ্ড পরিচালিত করা হচ্ছে। এতে জীবন মানের যেমন হচ্ছে ক্ষয়ক্ষতি, নষ্ট হচ্ছে বিপুল রাষ্ট্রীয় সম্পদ। তাই ট্রেনে অগ্নিসংযোগ ও নাশকতার কথা চিন্তা করে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের ডিজি মহোদয়ের নির্দেশনায় সেসময় যারা ট্রেনে দায়িত্বরত কর্মীরা থাকেন কোন কারনে ট্রেনে আগুন লাগলে তারা যেন তাৎক্ষণিকভাবে আগুন নিয়ন্ত্রণ করতে পারে সে বিষয়টি মাথায় রেখে আমাদের আজকের এই কার্যক্রম। তিনি বলেন, অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ছোট কিংবা বড় হোক সবসময় আপনারা আমাদের সার্ভিসের সহযোগিতা নেবেন। তিনি আরো বলেন, চলন্ত ট্রেনে রেলওয়ের দায়িত্বরত যেসব কর্মকর্তারা রয়েছেন ট্রেন ছাড়ার পূর্বে কিংবা ট্রেন ছাড়ার পর অগ্নি নির্বাপক যন্ত্রের ব্যবহার সম্বন্ধে তারা যাত্রীদেরকে ব্রীফ করলে যাত্রীরা এতে আরো বেশি সচেতন হতে পারবে বলে আমি বিশ্বাস করি ।এ ব্যাপারে তিনি সকলের সহযোগীতাও কামনা করেন।