স্বত্ব © 2025 দৈনিক পত্রিকা |
সম্পাদক ও প্রকাশক: উবায়দুর রহমান, ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: মোঃ জুয়েল মিয়া প্রতিষ্ঠাতা: পি বা লিজন।সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয়- পাইকপাড়া,লোকনাথ দিঘীর পাড়,পৌর কমিউনিটি সেন্টার ২য় তলা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া।দৈনিক পত্রিকা অনলাইন নিউজ পোর্টাল। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের কর্তৃক নিবন্ধনের জন্য প্রক্রিয়া দিন।newsdainikpatrika@gmail.com মোবাইল নাম্বার 01751406352,01715958768
জুয়েল মিয়া, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সাংবাদিকের বাড়ির ২য় তলার বারান্দার স্টিলের গ্রিল রড দিয়ে ভেঙ্গে ঘরে প্রবেশ করে মোবাইল, ল্যাপটপ, ক্যামেরাসহ দুই লাখ টাকার মালামাল চুরি হয়েছে। কালের কণ্ঠের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রতিনিধি ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া সাংবাদিক ইউনিয়নের সহ-সভাপতি বিশ্বজিৎ পাল বাবুর বাড়িতে এই চুরি হয়। চোরের দল দোতলা ভবনের বারান্দার গ্রিল ভেঙে ল্যাপটপ, দুটি ক্যামেরা ও দুটি মোবাইল ফোনসহ মূল্যবান জিনিসপত্র নিয়ে গেছে বলে জানা যায়।মঙ্গলবার (৭ ফেব্রুয়ারি) রাতে জেলার আখাউড়া পৌরশহরের রাধানগর গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
বুধবার (৮ ফেব্রুয়ারি) সকালে চুরির ঘটনাটি তাদের নজরে আসে। সাংবাদিকের পরিবারের সদস্যরা জানান, মঙ্গলবার গভীর রাতে দোতলার এক কক্ষের বারান্দার গ্রিল ভেঙে দুর্বৃত্তরা ভিতরে প্রবেশ করে। পরে তারা ঘরে থাকা সমস্ত মালামাল প্রথমে তছনছ করে সংবাদপত্রের কাজে ব্যবহৃত একটি ল্যাপটপ, দুটি ক্যামেরা ও দুটি দামি মোবাইল ফোনসহ অন্যান্য মূল্যবান জিনিস চুরি করে নিয়ে যায়। এই রুমে কেউ ঘুমায় না।
সাংবাদিক বিশ্বজিৎ পাল বাবু জানান, রাত দেড়টার পর কোন এক সময় আমার বাসার বারান্দার গ্রীল কেটে চোরের দল ঘরে প্রবেশ করে ল্যাপটপ, মোবাইল ফোন, ক্যামেরা এবং চার্জার এবং কিছু টাকা নিয়ে গেছে। চোরেরা ব্যাগ থেকে অন্যান্য কাগজপত্র রেখে ল্যাপটপটি নিয়ে গেছে। বিষয়টি আমার কাছে পরিকল্পিত বলে মনে হচ্ছে। আমার সাংবাদিকতায় ব্যাঘাত ঘটনানোর জন্য এ চুরির ঘটনা ঘটিয়ে থাকতে পারে।
আখাউড়া উপজেলা প্রেসক্লাবের সদ্য সাবেক সভাপতি
মোঃ জুয়েল মিয়া বলেন, সাংবাদিকের কলমের সাথে না পেরে, কাপুরুষের মতো চোর-সন্ত্রাস পিছনে লেলিয়ে দেওয়া, সামনে না পেরে পিছন থেকে হামলা করার নীলনকশা যদি কেউ করে থাকে সেটা দুঃখজনক ও নিন্দনীয়। সাংবাদিক বিশ্বজিৎ পাল বাবু ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অন্যতম সাহসী ও প্রতিবাদী সাংবাদিক। যদি কেউ সাংবাদিকের কলম, মোবাইল, ল্যাপটপ,ক্যামেরা ও ডকুমেন্টে হাত দেয় তারা ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সাংবাদিকদের কলিজায় হাত দিয়েছে বলে আমি মনে করি। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসন গুরুত্বের সহিত চোরদের খোঁজে বের করার পাশাপাশি তাদের শেল্টারদাতা ও নির্দেশদাতাদের নামসহ পরিচয় প্রকাশ করতে আহ্বান করছি। নতুবা জেলার সাংবাদিকরা অচিরেই আন্দোলনে যাবে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পুলিশ সুপার সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ‘আমি বিষয়টা জানি। ওসিকে আমি একদম কড়াভাবে বলে দিয়েছি যেকোনোমূল্যে হোক ক্যামেরা এবং ল্যাপটপ যেন উদ্ধার করে। চুরির পিছনে যদি অন্যকোনো কারণ থাকে, কোনো ইন্দনদাতা এবং অসৎ উদ্দেশ্য থাকে সব খুঁজে বের করতে বলেছি। পুলিশ কাজ করতেছে৷
জুয়েল মিয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ (সদর- বিজয়নগর) আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ও বর্তমান সংসদ সদস্য র. আ. ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী বলেছেন,‘বাজারে দুধও পাওয়া যায় মদও পাওয়া যায়। আপনাদের ওপর ছেড়ে দিলাম আপনারা কোনটা নিবেন। আমার পরামর্শ থাকবে আপনারা দুধ কিনবেন।’ মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) সকাল পৌনে ১০টায় জেলার বিজয়নগর উপজেলার সিঙ্গারবিল বাজারে নির্বাচনী পথসভায় র. আ. ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এসব কথা বলেন। তিনি আরও বলেন, আমি ১৩ বছরে কি করতে পেরেছি সেটা আপনারা জানেন। ভোটের বেলায় বিষয়টি আপনারা বিবেচনা করবেন। এ সময় মোকতাদির চৌধুরীর সঙ্গে জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি সাবেক মো. হেলাল উদ্দিন, বিজয়নগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জহিরুল ইসলাম, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নাসিমা মুকাই আলী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।উল্লেখ্য,স্বতন্ত্র প্রার্থী ফিরোজুর রহমানের ঢাকায় একাধিক মদের বার রয়েছে। মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার আগে ফেসবুক লাইভে মদ ব্যবসাকে হালাল বলে উল্লেখ করেন তিনি। এই আসনটিতে মোকতাদির চৌধুরীর শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বি ধরা হচ্ছে স্বতন্ত্র প্রার্থী ফিরোজুর রহমান ওলিওকে। সম্প্রতি মদ ব্যববসাকে হালাল আখ্যা দিয়ে ব্যাপক সমালোচিত হন ফিরোজুর রহমান। এ অবস্থায় আনুষ্ঠানিক প্রচারণা শুরু করেই ‘মদ নাকি দুধ কিনবেন’- সে সিদ্ধান্ত ভোটারদের ওপর ছেড়ে দিয়েছেন মোকতাদির চৌধুরী।
জুয়েল মিয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ ( সদর- বিজয়নগর) আসনটিতে মোট ভোটার ৫ লাখ ৬০ হাজার ৩৮৪ জন। স্বতন্ত্র প্রার্থীর ক্ষেত্রে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২’র অনুচ্ছেদ ১২’র দফা (৩ক) (ক) এর বিধান অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী এলাকার এক শতাংশ ভোটারের সমর্থন সম্বলিত স্বাক্ষরযুক্ত তালিকা দাখিল করা আবশ্যক। এই শর্তে এ আসনটিতে স্বতন্ত্র প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বৈধতার জন্য প্রায় ছয় হাজার ভোটারের সমর্থন সম্বলিত স্বাক্ষরযুক্ত তালিকা দাখিল করা প্রয়োজন। এই আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ফিরোজুর রহমান শর্ত পূরন করে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। তার সমর্থনকারী শতকরা একভাগ ভোটারের স্বাক্ষরপত্র থেকে দৈবচয়নের মাধ্যমে যে ১০ জন চিহ্নিত করা হয় তাদের মধ্যে মীর বাইজিদ নামের একজনের স্বাক্ষর দৈবচয়নের স্বাক্ষরের সঙ্গে মিল না পাওয়ার কারন উল্লেখ করে তার মনোনয়ন বাতিল করেন জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা। তবে ওলিওর অভিযোগ তার সমর্থনকারীদেরকে ভয়ভীতি ও হুমকি দিয়ে স্বাক্ষর জটিলতা সৃষ্টি করেছেন প্রতিপক্ষের লোকজন। নিরপেক্ষ আচরণ না করার কারনে ওলিওর ছেলে সুলতানপুর ইউপি চেয়ারম্যান ওমর ফারুক স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে অভিযোগ দেওয়ার পর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ডিসিকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।ফিরোজুর রহমানের সমর্থনকারী ও স্থানীয়রা বলছেন, ওলিও সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৪১ হাজারের চেয়ে বেশি ভোটের ব্যবধানে নৌকার প্রার্থীকে পরাজিত করে চেয়ারম্যান হয়েছেন৷ মোট ভোটারের ১% সর্বোচ্চ ৬ হাজার ভোটারের সমর্থনের স্বাক্ষরের মধ্যে ভুল দেখিয়ে প্রার্থীতা বাতিল রহস্যজনক।
ভোটযোদ্ধের আগেই নির্বাচনী মাঠ থেকে তাকে বাদ দিয়ে দেওয়ার অপকৌশল মনে হচ্ছে। কারন তিনি এই আসনের একজন শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী। আশা করছি নির্বাচন কমিশন তার প্রার্থীতা ফেরত দিবেন ।উল্লেখ,পঞ্চম উপজেলা পরিষদ নির্বাচন-২০১৯ এ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সদর উপজেলা পরিষদে চেয়ারম্যান পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী ফিরোজুর রহমান ওলিও নিকটতম আ.লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থীকে ৪১ হাজার ৩শত ২৬ ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করেন। স্বতন্ত্র প্রার্থী ফিরোজুর রহমান আনারস প্রতীকে ৬৮ হাজার ২শত ৩৩ ভোট পান। অন্যদিকে মো: জাহাংগীর আলম নৌকা প্রতীকে ২৬ হাজার ৯শত ৭ ভোট পান। ইসলামী ঐক্যজোটের প্রার্থী কাউছার মোল্লা মিনার প্রতীকে ৩ হাজার ৮৬ ভোট পান। তিনি ( ওলিও) সদর উপজেলার সুলতানপুর ইউনিয়নে পাঁচ বার একটানা ২৬ বছর চেয়ারম্যান ছিলেন। জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য সম্প্রতি সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন। তিনি আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন চেয়ে না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনের সিদ্ধান্ত নেন।এবিষয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া – ৩ ( সদর – বিজয়নগর) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ফিরোজুর রহমান বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনে আপিল করেছি। দেখা যাক কি হয়।’
আদিত্য কামাল
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলায় মাটির নিচে পাওয়া গেছে ৬৮ রাউন্ড গুলি। শুক্রবার (২৭ জানুয়ারি) দুপুরে উপজেলার শিবপুর ইউনিয়নের কাজলিয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পুরাতন ভবন ভাঙার সময় এই গুলি গুলোর সন্ধ্যান পাওয়া যায়। নবীনগর থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) সোহেল আহমেদ জানান, কাজলিয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পুরাতন ভবন ভেঙে সেখানে নতুন ভবন নির্মাণ করা হবে৷ শুক্রবার সকালে ভবনটি ভাঙার সময় মাটির নিচে ৬৮ রাউন্ড গুলি পাওয়া যায়। এগুলো রাইফেলের গুলি। তবে এ গুলো দীর্ঘদিন আগের হওয়ায় মরিচা পড়ে গেছে। তিনি আরও জানান, স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধারা জানিয়েছেন, এই স্কুলে ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় মুক্তিযোদ্ধারা থাকতেন। এতে ধারণা করা যাচ্ছে, এই গুলি গুলো সেই সময়ের।