স্বত্ব © 2025 দৈনিক পত্রিকা |
সম্পাদক ও প্রকাশক: উবায়দুর রহমান, ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: মোঃ জুয়েল মিয়া প্রতিষ্ঠাতা: পি বা লিজন।সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয়- পাইকপাড়া,লোকনাথ দিঘীর পাড়,পৌর কমিউনিটি সেন্টার ২য় তলা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া।দৈনিক পত্রিকা অনলাইন নিউজ পোর্টাল। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের কর্তৃক নিবন্ধনের জন্য প্রক্রিয়া দিন।newsdainikpatrika@gmail.com মোবাইল নাম্বার 01751406352,01715958768
রাজধানীতে রাজনৈতিক কর্মসূচিতে সাংবাদিকদের ওপর হামলার প্রতিবাদে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ হয়েছে।ব্রাহ্মণবাড়িয়া সাংবাদিক ইউনিয়নের আয়োজনে সোমবার (৩০ অক্টোবর) দুপুরে পৌরশহরের বঙ্গবন্ধু স্কয়ার থেকে এ বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়। মিছিলটি শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে প্রেস ক্লাবের সামনে গিয়ে শেষ হয়। পরে সেখানে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।ব্রাহ্মণবাড়িয়া সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি দীপক চৌধুরী বাপ্পির সভাপতিত্বে এ সময় বক্তব্য দেন- সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মনির হোসেন, যুগ্ম সম্পাদক ফরহাদুল ইসলাম পারভেজ, সিনিয়র সাংবাদিক কবি জয়দুল হোসেন, সরাইল প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মাহবুব খান বাবুল, আশুগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আল মামুন, গাজী টিভির জেলা প্রতিনিধি জহির রায়হান ও জাগো নিউজের জেলা প্রতিনিধি আবুল হাসনাত মো. রাফি।বক্তারা বলেন, সাংবাদিকদের কাজ সংবাদ সংগ্রহ করা। সেদিন তারা তাদের পেশাগত কাজ চালিয়ে যাচ্ছিলেন। কিন্তু স্বাধীনতা বিরোধী রাজনৈতিক অপশক্তি সাংবাদিকদের লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে। আমরা এসব ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
এ ঘটনায় মৃতের স্ত্রী সোমা বেগম বাদী হয়ে মঙ্গলবার সকালে ঘাতক ভাই ও তার স্ত্রীকে আসামি করে সদর মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
নিহত গোলাপ মিয়া খাঁটিহাতা গ্রামের মনসুর আলীর ছেলে।
স্থানীয় সূত্র ও পুলিশ জানায়, মৃত গোলাপ মিয়া খাঁটিহাতা বাজারের নৈশপ্রহরী ছিলেন। তিনি ছিলেন মাদকসেবী। স্থানীয়রা গোলাপকে মাদক সেবন করতে নিষেধ করলে তিনি স্থানীয়দের সঙ্গে অশোভন আচরণ করতেন। সোমবার দুপুরেও গোলাপ স্থানীয় একজনের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করে। পরে ওই ব্যক্তি গোলাপের বড় ভাই মঞ্জুর আলীর কাছে নালিশ করেন।
সোমবার সন্ধ্যার দিকে মঞ্জুর আলী গোলাপকে ডেকে মাদক গ্রহণ ও মানুষের সঙ্গে যেন খারাপ ব্যবহার না করে সেই কথা বললে গোলাপ মঞ্জুর আলীর সঙ্গেও খারাপ ব্যবহার করে। এ নিয়ে দুই ভাইয়ের মধ্যে প্রথমে কথা কাটাকাটি ও পরে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। একপর্যায়ে গোলাপ মিয়া মাটিতে পড়ে গেলে মঞ্জুর আলী গোলাপ মিয়ার কানে কামড় দিয়ে রক্তাক্ত করে।
পরে রক্তাক্ত অবস্থায় স্থানীয়রা গোলাপ মিয়াকে উদ্ধার করে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসেন। হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক গোলাপ মিয়ার কানে ১৫টি সেলাই দিয়ে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় রেফার করেন। গোলাপের স্বজনরা তাকে ঢাকায় না নিয়ে শহরের একটি বেসরকারি ক্লিনিকে ভর্তি করেন। সেখানেই রাত ১১টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গোলাপ মিয়া মারা যান।
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ওসি মো. আসলাম হোসেন বলেন, এ ঘটনায় মৃতের স্ত্রী সোমা বেগম বাদী হয়ে মঙ্গলবার সকালে বড় ভাই মঞ্জুর আলী (৪২) ও তার স্ত্রী আছিয়া বেগমকে (৪০) আসামি করে সদর মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। পুলিশ আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা করছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।
জুয়েল মিয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ার নবাগত ইউএনও রাবেয়া আক্তার যোগদান করেছেন। এর আগে তিনি জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে যোগদান করেন। যোগদান করার পর উপজেলার সকল দপ্তরের কর্মকর্তারা ফুলেল শুভেচ্ছা জানিয়ে নবাগত ইউএনওকে বরণ করে নেন।
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে সারাদেশে ইউএনও বদলী প্রক্রিয়ায় আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার অংগ্যজাই মারমাকে রাউজান উপজেলায় বদলী করা হয়। রাবেয়া আক্তারকে তাঁর স্থলাভিষিক্ত করা হয়।
জানা যায়, ইউএনও রাবেয়া আক্তার বিসিএস (এডমিন) ৩৪ তম ব্যাচের কর্মকর্তা। তিনি ঢাকা জেলার বাসিন্দা। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিন্যান্স এন্ড ব্যাংকিং বিষয়ে এমবিএ করেছেন। আখাউড়ায় যোগদানের আগে তিনি কুমিল্লার মেঘনা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা পদক ২০২৩ এ কুমিল্লা জেলার শ্রেষ্ঠ উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) নির্বাচিত হয়েছিলেন।
মোঃনিয়ামুল ইসলাম আকঞ্জি
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জাতীয় ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইন অবহতিকরন ও কর্মপরিকল্পনা ২০২৩ উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।১১ নভেম্বর সোমবার সকালে সিভিল সার্জন কার্যালয়ে আয়োজিত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সিভিল সার্জন ডাঃ একরামুল্লাহ। ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জসিম উদ্দিন সাধারণ সম্পাদক বাহার মোল্লা ছাড়াও জেলায় কর্মরত প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা এতে উপস্থিত ছিলেন।সংবাদ সম্মেলনে সিভিল সার্জন ডাঃএকরামুল্লাহ জানান, ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইন এর আওতায় আগামী ১২ ডিসেম্বর জেলার ৯ উপজেলার ৩০৬ টি ওয়ার্ডে ২ হাজার ৪৩৩ টি কেন্দ্রে শিশুদের ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। সকাল ৮ টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত কার্যক্রম চলবে। এর মধ্যে ৬ -১১ মাস বয়সী ৫৫ হাজার ২৬৫ জন শিশুকে ১ টি করে নীল এবং ১২- ৫৯ মাস বয়সী ৪ লাখ ৬২ হাজার ২৮৯ শিশুকে ১টি করে লাল টিকা খাওয়ানোর লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ।উল্লেখ্য অন্ধত্ব প্রতিরোধ সহ স্বাভাবিক বৃদ্ধি নিশ্চিত করতে বছরে ২ বার এই ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত হয়।
আদিত্ব্য কামাল: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ৩ শতাধিক শীতার্ত মানুষের মাঝে কম্বল বিতরণ করেছে মজিদ-নাহার ফাউন্ডেশন।
মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) দুপুরে শহরের অসহায়-দরিদ্র মানুষের মাঝে কম্বল বিতরণ করা হয়।
এ উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, শিফাত মো. ইশতিয়াক ভূঁইয়া, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ব্রাহ্মণবাড়িয়া।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, মো. মুসলেখ উদ্দিন, সদর উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা, মো. রায়হান উদ্দিন, সদর উপজেলা পল্লী উন্নয়ন বোর্ড।
ফাউন্ডেশনের সহ-সভাপতি এইচ এম জাকারিয়ার সভাপতিত্বে ও সাংবাদিক নিয়াজ মো. বিটুর সঞ্চালনায় এতে বক্তৃতা রাখেন- প্রেস ক্লাবের সভাপতি জাবেদ রহিম বিজন, সাধারণ সম্পাদক বাহারুল ইসলাম মোল্লা, মজিদ-নাহার ফাউন্ডেশনের কোষাধ্যক্ষ এনায়েত হোসেন মিঠু প্রমুখ।
প্রধান অতিথি তার বক্তৃতায় ফাউন্ডেশনের কার্য্যক্রমের ভুয়শী প্রশংসা করে বলেন- মজিদ-নাহার ফাউন্ডেশন আজকে মানবিকতার যে দর্শন নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে তা সবার জন্যে অনুপ্রেরনা দায়ক। টাকা পয়সা অনেকে রোজগার করেন। কিন্তু মানবিক কাজে অর্থ ব্যয় করার মানসিকতা সকলের থাকেনা। ফাউন্ডেশনটির কর্নধার আমেরিকা প্রবাসী মনির হোসেন হিটুর মতো সবাই এভাবে এগিয়ে আসলে অসহায়-দরিদ্র মানুষ আরো নানাভাবে উপকৃত হতেন।
মজিদ-নাহার ফাউন্ডেশন ২০১১ সাল থেকে সমাজের অসহায়-দরিদ্র মানুষকে নানাভাবে সহায়তা দিয়ে আসছে। এছাড়াও সেলাই মেশিন, ঈদ-সামগ্রী, চিকিৎসা সহায়তা ছাড়াও নগদ অর্থ বিতরণ করা হয়ে থাকে।
জুয়েল মিয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলার সিঙ্গারবিল ইউনিয়নের কাশিনগর এলাকায় একটি লিচু বাগানের গাছের নিচ থেকে বস্তাভর্তি গাঁজা উদ্ধার করেছে চম্পকনগর পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যরা।
বুধবার (২৭ মার্চ) মধ্যরাতে সিঙ্গারবিল ইউনিয়নের কাশিনগর গ্রামের একটি লিচু বাগান থেকে বস্তাভর্তি ১৮ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে আসামিরা পালিয়ে যাওয়ায় তাদেরকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ সদস্যরা। তবে এ ঘটনায় এক জনের নাম উল্লেখ তবে দুইজনের নামে বিজয়নগর থানায় একটি মামলা করা হয়েছে। পলাতক আসামি হলেন সিঙ্গারবিল ইউনিয়নের নোয়াবাদী গ্রামের সিরাজ মিয়ার ছেলে ফরিসলাম (৩৫)। এ ঘটনায় আরও এক জনকে অজ্ঞাত দেখিয়ে দুইজনের বিরুদ্ধে থানায় মাদকদ্রব্য আইনের মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে বিজয়নগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আসাদুল ইসলাম সত্যতা নিশ্চিত করেন।