স্বত্ব © 2025 দৈনিক পত্রিকা |
সম্পাদক ও প্রকাশক: উবায়দুর রহমান, ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: মোঃ জুয়েল মিয়া প্রতিষ্ঠাতা: পি বা লিজন।সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয়- পাইকপাড়া,লোকনাথ দিঘীর পাড়,পৌর কমিউনিটি সেন্টার ২য় তলা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া।দৈনিক পত্রিকা অনলাইন নিউজ পোর্টাল। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের কর্তৃক নিবন্ধনের জন্য প্রক্রিয়া দিন।newsdainikpatrika@gmail.com মোবাইল নাম্বার 01751406352,01715958768
ভোলা,হাসান লিটন
চরফ্যাশন উপজেলার দক্ষিণ আইচায় কুইজ প্রতিযোগিতার মধ্যদিয়ে স্টুডেন্ট কমিউনিটি পুলিশিং সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (৯ অক্টোবর) বেলা ১২টায় চরআইচা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের হল রুমে কুইজ প্রতিযোগিতার মধ্যদিয়ে কমিউনিটি পুলিশিং সভা অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় চরআইচা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো.শহিদউল্ল্যাহ’র সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দক্ষিণ আইচা থানার অফিসার ইনচার্জ মো. সাঈদ আহমেদ( পিপিএম) ও দক্ষিণ আইচা থানার এস আই নেছার উদ্দিন, এস আই সবুজ কর, এস আই শহিদুল্লাহ সহ উপস্থিত ছিলেন উক্ত মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও স্থানীয় সাংবাদিকবৃন্দ। কুইজ প্রতিযোগিতায় প্রায় ২শ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে এরমধ্যে ১৫ জন শিক্ষার্থী বিজয় হন। বিজয়ী শিক্ষার্থীদেরকে পুরস্কার বিতরণের শেষে উপস্থিত শিক্ষার্থীদেরকে মাদক, ইভটিজিং, বাল্যবিবাহ, যৌতুক সহ সচেতনতামূলক বিষয় নিয়ে বিভিন্ন আইনি দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য প্রদান করেন বক্তারা।
মোঃ হাসান লিটন
ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার শশীভূষণে মো. তারেক (২৩) নামে এক শারীরিক প্রতিবন্ধী যুবককে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠেছে চাচা হাফেজ গংদের বিরুদ্ধে। গত শনিবার (৭ অক্টোবর) সকালে শশীভূষণ থানার রসুলপুর ইউনিয়ন ৮ নম্বর ওয়ার্ড হানিফ মিস্ত্রি’র বাড়িতে প্রতিবন্ধী যুবককে এ মারধরের ঘটনা ঘটে। বর্তমানে আহত যুবক উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে। প্রতিবন্ধী যুবক তারেক ওই বাড়ির মোহাম্মদ সিদ্দিকের ছেলে। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন যুবক তারেক জানান, রসুলপুর ইউনিয়ন ৮ নম্বর ওয়ার্ড আমাদের নিজ বাড়িতে এ-র আগে পারিবারিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আমার মা ও চাচীর সাথে ঝগড়া বিবাদ হলে তার ফয়সাল করার জন্য গত শনিবার সকালে স্থানীয় ইউপি সদস্য সহ গন্যমান্য ব্যক্তিরা আমাদের বাড়ির উঠানে বসেন। এরপর সালিসি শেষের একপর্যায়ে আমার চাচা মো. হাফেজ উত্তেজিত হয়ে আমার গালে থাপ্পর মারেন। কেন আমাকে থাপ্পড় মারলো তা জিজ্ঞেস করা মাত্রই আমার অন্য চাচা ইয়াছিন, অলু, এবং ফুফু ছফুরা, ও রাসেদা একাত্রিত হয়ে ফের আমাকে বেধড়ক মারধর করে। আমি মাটিতে পড়ে গেলে আমার মা আমাকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য চিকিৎসকের কাছে রওনা হলে পথিমধ্যে তারা আমাকে ও আমার মাকে বাধা দেয়। এরপর ঘটনার একদিন পর শারীরিক অবস্থা বেগতিক দেখে তাদের ভয়ে পালিয়ে রোববার বিকালে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হই। বর্তমানে আমি চিকিৎসাধীন রয়েছি। এসব সততা নিশ্চিত করে আহত যুবকের মা বিনু বেগম জানান, আমার প্রতিবন্ধী ছেলেকে মারধর করার সময় আমি বাধা দেওয়ায় আমাকেও দেবর হাফেজ মারধর করে। এবং আমার ছেলেকে চিকিৎসার জন্য নিলে আমাকে দেখিয়ে দিবে বলে হুমকি দেয়। বর্তমানে আমার ছেলেকে পালিয়ে নিয়ে এসে চিকিৎসা সেবা দেওয়া হচ্ছে। আমি এর সঠিক বিচার চাচ্ছি। এ বিষয়ে অভিযুক্ত হাফেজ গংদের সাথে কথা বললে তারা জানান, ভাতিজা তারেক আমাদের সাথে অন্যায় করায় তাকে একটা থাপ্পর মারছি। তাবে বড় ভাই সিদ্দিকের স্ত্রী বিনু বেগমকে মারধরের কথা অস্বীকার করেন তারা। স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. রফিক বলেন,প্রতিবন্ধী যুবককে মারধর করা তাদের অন্যায় হয়েছে। আমি এর সুষ্ঠ সমাধান করে দিবো। শশীভূষণ থানার(ওসি) মু. এনামুল হক বলেন, প্রতিবন্ধী যুবকে মারধর করে অন্যায় করেছে। অভিযোগ পেলে তদন্ত পূর্বক আইনী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
মুখলেছুর রহমান অভি সৌদি আরব প্রতিনিধি: সৌদি আরবের দাম্মামে হযরত আল্লামা ফুলতলী ছাহেব কিবলাহ (রঃ) ঈসালে সাওয়াব মাহফিল সম্পন্ন হয়েছে।
৩ ফেব্রুয়ারী দাম্মাম শহরে বাংলাদেশ আনজুমানে আল ইসলাহ দাম্মাম প্রাদেশিক শাখার আয়োজনে রঈসুল কুররা ওয়াল মুফাসসিরীন, উস্তাযুল মুহাদ্দিসীন, সুলতানুল আরিফীন হযরত আল্লামা ফুলতলী ছাহেব কিবলাহ (রঃ) এর ঈসালে সাওয়াব মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। স্থানীয় আরজানি ভিলায় বাদ জুমআ দাম্মাম প্রাদেশিক শাখার সভাপতি সলিম আহমদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক হাফিজ আবু বকর নুমান এর পরিচালনায় পবিত্র কালামে পাক থেকে তিলাওয়াত করেন মঈন উদ্দিন, নাতে রাসুল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পরিবেশন করেন হাফিজ আবু বকর নুমান, শানে ফুলতলী পরিবেশন করেন হাফিজ সালেহ আহমদ। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ আনজুমানে আল ইসলাহ দাম্মাম প্রাদেশিক শাখার প্রধান উপদেষ্টা এম এ লতিফ, বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন শাখার উপদেষ্টা শিবলু বখশ। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সাংগঠনিক সম্পাদক আলিম উদ্দিন চৌধুরী, প্রচার সম্পাদক সাদেক আহমেদ, সহ প্রচার সম্পাদক রেজাউল ইসলাম, অর্থ সম্পাদক সাহাদত হুসাইন, সমাজকল্যাণ সম্পাদক আলী আমজদ, শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক আশিকুল ইসলাম রায়হান। শমসুল ইসলাম, তুফায়েল আহমেদ টিপু, নাজমুল ইসলাম, মোহাম্মদ মিজান, বাশির আহমেদ, সাব্বির আহমেদ, রাজিব আহমেদ, ইসমাইল হুসাইন, মোহাম্মদ তায়িফ,মুখতার আলী, মেহেদি হাসান, আলমগীর হুসাইন, আলাউদ্দিন সহ আরো অনেকে। সভাপতির সমাপনী বক্তব্য এবং মিলাদ কিয়াম, দোয়ার মাধ্যমে ঈসালে সাওয়াব মাহফিল সমপন্ন হয়।
নিজস্ব প্রতিবেদক
কুমিল্লা (দক্ষিণ) জেলার পাহাড়ের ঢালে ১৬০ শতক জমিতে আধুনিক পদ্ধতিতে পলি সেট নির্মাণ করে বারি-৪ টমেটো চাষ করেছেন জেলার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার নারায়ণপুর গ্রামের খাইরুল। এখনো শীত না আসলেও তার আগেই মাচায় ঝুলছে শীতকালীন সবজি টমেটো। পাহাড়ের ঢালের মাচায় সবুজ আর পাকা লাল টমেটোগুলো সূর্যের আলোয় ঝলমল করছে।জেলার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার শশীদল ইউনিয়নের নারায়ণপুর গ্রামের মেধাবী ছাত্র খাইরুল আলম। পড়াশোনার পাশাপাশি নিজের জমিতে বারি-৪ টমেটো চাষ করেছেন। ফলনও হয়েছে চমৎকার। খাইরুল জানান, নারায়ণপুর গ্রামে পাহাড়ের ঢালে ১৬০ শতক জমিতে আধুনিক পদ্ধতিতে পলি সেট নির্মাণ করে বারি-৪ টমেটো চাষ করেছেন।খাইরুলের টমেটোয় লাল পাহাড়ের ঢাল বর্তমানে তার জমিতে যে পরিমাণ টমেটোর ফুল তাতে যদি আবহাওয়া ভালো থাকে তাহলে কয়েক লাখ টাকার টমেটো বিক্রি করতে পারবেন তিনি। খাইরুল আরও জানান, এখন পর্যন্ত তার জমি থেকে ১০০ টাকা কেজি দরে ৪০ হাজার টাকার টমেটো বিক্রি করেছেন।খাইরুল আলম আরও বলেন, সিলেটের কমলগঞ্জ থেকে উন্নত জাতের বারি-৪ টমেটোর গ্রাফটিং কলমের চারা সংগ্রহ করে রোপণ করি। দিন-রাত পরিশ্রম শুরু করে স্বপ্ন দেখেছি, আমার জমিতে টমেটোতে পরিপূর্ণ হবে। আমার স্বপ্ন বাস্তব হচ্ছে। স্থানীয় কৃষক আবুল হাশেম বাসসকে বলেন, খাইরুল শিক্ষিত ছেলে। সে তার পরিবারের মঙ্গলের কাজটিই করেছে, তার মত গ্রামের অন্য ছেলেরা এগিয়ে আসলে খাইরুলের মত সবার পরিবারে মঙ্গলই হতো। মঞ্জুর আলম নামের এক ব্যবসায়ী খায়রুলের বাগানে এসেছেন। তিনি জানান, কীটনাশকমুক্ত হওয়ায় তিনি ১০ কেজি টমেটো কিনেছেন। খায়রুল জানান, তার এমন উদ্যোগের নেপথ্যে অবশ্যই কৃষি অফিসের সহযোগিতা অনস্বীকার্য।এ বিষয়ে কুমিল্লা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক আইউব মাহমুদ বলেন , আমরা কৃষি সম্পর্কিত যেকোনো উদ্যোগকে স্বাগত জানাই। শিক্ষার্থী খায়রুল পরিশ্রমী ছেলে। আমরা তাকে প্রয়োজনীয় সব রকম পরামর্শ দিয়েছি। নিঃসন্দেহে বারি-৪ জাতের টমেটো স্বাদে-গুণে অনন্য। অন্য যে কেউ কৃষি কাজ নিয়ে এগিয়ে এলে সব রকমের সহযোগিতা করবেন বলেও জানান এ কর্মকর্তা। সূত্রঃ বাসস
দেশের দ্বিতীয় বৃহৎ রপ্তানিমুখী ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্ধর দিয়ে আবারো শুরু হচ্ছে মাছ রপ্তানী। ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের দেশের বিভিন্ন বন্দর দিয়ে বিদেশ থেকে মাছ, শুটকি, মাংস ও ফুড জাতীয় খাদ্য আমদানির উপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হয়েছে। সোমবার (০৬ ফেব্রুয়ারী) থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে আবোরো মাছ রপ্তানী শুরু হবে। এতে করে বন্দরে পুনরায় ব্যবসায়ীদের মধ্যে কর্ম চাঞ্চলতা ফিরে আসবে বলে আশা করছে ব্যবসায়ীরা।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া আখাউড়া স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানীকারক এসোসিয়েশসের সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম জানান, ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের নিষেধাজ্ঞার ফলে গেল বুধবার ১ ফেব্রুয়ারি থেকে আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ভারতের আগরতলায় মাছ রপ্তানী বন্ধ ছিল। এর আওতায় বাংলাদেশ থেকে ভারতে মাছ রপ্তানীর বিষয়টি রাজ্য সরকারের নজরে এলে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে টিঠি পাঠানো হয়।চিঠিতে অনুরোধ জানানো হয়, আগরতলা আইসিপিকে যেন এই তালিকার বাইরে রাখা হয়। রাজ্য সরকারের পাশাপাশি রাজ্যের মূখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা কেন্দ্রীয় সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রকের মন্ত্রীর সাথে কথা বলে নিষেধাজ্ঞার তালিকা থেকে রাজ্যকে বাদ রাখার আহবান জানান। মন্ত্রীর আহবানের পরিপ্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে আখাউড়া স্থলবন্দর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়া হয়।এতে করে গত ৫ দিন বন্ধ থাকার পর আবারো সোমবার থেকে মাছ রপ্তানী শুরু হবে। এতে করে মাছ ব্যবসার সাথে জড়িত শত শত ব্যবসায়ী এই শ্রমিকরা তাদের কর্মসংস্থান ফিরে পাবে।আখাউড়া স্থলবন্দরেরর সুপারিন্টেনডেন্ট মোঃ সামাউল ইসলাম জানান, এই স্থলবন্দরটি রপ্তানি মুখি। বেশির ভাগই মাছ রপ্তানি হয়। কিন্তু ভারতের ফুড সেফটি অ্যান্ড স্ট্যান্ডার্ডস অথরিটি অব ইন্ডিয়া খাদ্য নিরাপত্তা জনিত কারন দেখিয়ে ১ ফেব্রুয়ারি থেকে আগামী ১ মার্চ পর্যন্ত মাছ রপ্তানি বন্ধ রাখেন ভারতের স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ। এরপর থেকে দু’দেশের ব্যবসায়ীদের আলোচনার মাধ্যমে ও রাজ্য সরকারের অনুরোধে ভারতের ফুড সেফটি অ্যান্ড স্ট্যান্ডার্ডস অথরিটি অব ইন্ডিয়া (ফেসাই) এই বন্দর দিয়ে মাছ রপ্তানি নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়ে পুনরায় মাছ রপ্তানির অনুমোদন দেই। মাছ রপ্তানি শুরু হলে বন্দরে রাজস্ব আদায়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। আখাউড়া স্থলবন্দরের মাছ রপ্তানিকারক সমিতি সূত্রে জানা গেছে, আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে প্রতি দিন ৫০ থেকে ৬০ টন মাছ ভারতের ত্রিপুরা রাজ্য সহ আশেপাশের সাতটি রাজ্যে রপ্তানি হয়। প্রতি কেজি মাছের রপ্তানি মূল্য আড়াই মার্কিন ডলার। প্রতিদিন গড়ে ১ লাখ ডলারের মাছ রপ্তানি হয়।
জুয়েল মিয়া, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মানসিক রোগী এক যুবককে মারধর করে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। গত ২১শে মার্চ বিকেল ৪টার সময় সদর উপজেলার বাসুদেব ইউনিয়নের বরিশল গ্রামে ওই ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার বিচার চেয়ে ভুক্তভোগীর পিতা বাবুল ভূইয়া সদর মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।অভিযোগকারী বাবুল ভূইয়া বলেন, ‘আমার ছেলে মিম ভূইয়া গত তিনমাস যাবৎ মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে পাগলের মতো দিনযাপন করছে। তাকে শিকল দিয়ে গাছের সঙ্গে বেঁধে রাখতে হয়। মঙ্গলবার বিকেলে আলমগীর ও উজ্জ্বল ভূইয়ার নেতৃত্বে আমার মানসিক রোগী ছেলেকে নির্মমভাবে পিটিয়ে তার মানসিক অবস্থার আরো অবনতি করেছে। আমার ছেলে প্রতিবেশী আলমগীর ভূইয়ার বাড়িতে গেলে আলমগীর ভূইয়া, উজ্জ্বল ভূইয়া, আবুল ভূইয়া, আবির ভূইয়া সহ আরও কয়েকজন তাকে জোরপূর্বকভাবে আটক করে বেধড়কভাবে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। পরে তার শরীরে আঘাতের গুরুতর চিহ্ন দেখে তাকে আখাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে চিকিৎসা করি। আমার ছেলের পাশাপাশি আমাকেও তারা প্রচন্ড মারধর করে। তারা আমার ভিটি বাড়ি গ্রাস করার উদ্দেশ্যে আমার বিরুদ্ধে একের পর এক মিথ্যা মামলা দেয়। এলাকায় তারা মামলাবাজ হিসেবে পরিচিত। এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক বিচারের দাবি জানাচ্ছি।নির্যাতনের অভিযোগ অস্বীকার করে উজ্জ্বল ভূইয়া বলেন, ‘ঘটনার দিন বিকেলে মিম ভূইয়া আমার ভাইয়ের এক বছর বয়সী শিশু সন্তানকে নিয়ে যাচ্ছিল। এমন সময় তাকে আমরা ধরে ফেলি কিন্তু মারধর করিনি। বাবুল ভূইয়ার পরিবারের সাথে আমাদের যায়গা জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছে, ৪-৫টা মামলা করেছি তাদের বিরুদ্ধে।এবিষয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ এমরানুল ইসলাম বলেন, ‘তদন্তশেষে অভিযোগের সত্যতা পেলে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।বাসুদেব ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ড মেম্বার বাছির খান বলেন, ‘যায়গা জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে আলমগীর ভূইয়া ও উজ্জ্বল ভূইয়া গংদের সাথে বাবুল ভূইয়ার বিরোধ চলছে। এর আগে কয়েকবার সালিসের মাধ্যমে তার যায়গার সীমানা নির্ধারণ করে দিয়েছিল গ্রামের সাহেব-সর্দাররা। পরবর্তীতে আলমগীর ভূইয়া গংদের পক্ষ এটা মানেনি। এখন তারা বাবুল ভূইয়ার কাছে যায়গা পাওনা আছে বলে দাবি করছে। ওইদিন বাবুল ভূইয়ার ছেলে মানসিক রোগী মিম ভূইয়াকে আলমগীর ভূইয়ারা মারধর করে এটা শুনেছি। উজ্জ্বল ভূইয়া মিম ভূইয়ার বিরুদ্ধে শিশু ছিনিয়ে নিয়ে আসার যেই অভিযোগটি করেছে তা সত্য নয়।