স্বত্ব © 2024 দৈনিক পত্রিকা |
সম্পাদক ও প্রকাশক: উবায়দুর রহমান, ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: মোঃ জুয়েল মিয়া প্রতিষ্ঠাতা: পি বা লিজন।সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয়- পাইকপাড়া,লোকনাথ দিঘীর পাড়,পৌর কমিউনিটি সেন্টার ২য় তলা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া।দৈনিক পত্রিকা অনলাইন নিউজ পোর্টাল। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের কর্তৃক নিবন্ধনের জন্য প্রক্রিয়া দিন।newsdainikpatrika@gmail.com মোবাইল নাম্বার 01751406352,01715958768
জুয়েল মিয়া, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া থানার সামনে থেকে বাদীর সহায়তায় এক আসামীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতারকৃত আসামীর নাম আকাশ মিয়া( ৩২)। সদর উপজেলার দারমা পূর্বহাটি গ্রামের রুক মিয়ার ছেলে এবং আখাউড়া পৌরসভার রাধানগর টিএনটির পাশে আল মদিনা ফার্নিচারের দোকানের মালিক তিনি।
বৃহস্পতিবার ( ৪মে) দুপুর আনুমানিক আড়াইটার সময় থানা সংলগ্ন দুদু মিয়া হাউজিং এর সামনে থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়৷
এর আগে গত ১৫এপ্রিল বিকাল ৩ ঘটিকার সময় আখাউড়া উপজেলার মোগড়া ইউনিয়নের নিলাখাদ এলাকায় দুলাল মিয়ার নাল জমির সামনে মোগড়া টু কর্নেল বাজার গামী পাকা রাস্তার ওপর গ্রেফতারকৃত আকাশ মিয়ার নেতৃত্ব একদল যুবক রফিকুল ইসলাম (৫৩) ও তার ছেলে নাহিদুল ইসলাম (২৩)কে পথরোধ করে নির্মমভাবে পিটিয়ে জখম করে। রফিকুল ইসলাম সদর উপজেলার পূর্ব মেড্ডার ( তিতাস পাড়া) মৃত সোলেমান মিয়ার ছেলে। এঘটনায় রফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে আকাশ মিয়াকে প্রধান আসামী করে সাত জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও ৩/৪ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেন।
মামলার বাদী মোঃ রফিকুল ইসলাম বলেন, আমি একজন ফার্ণিচার ও গাছ ব্যবসায়ী। মোগড়া বাজারের তারেক মিয়ার ফার্নিচার দোকানের কর্মচারী জমশেদ আমার দোকানের কর্মচারী ছিলো৷ বিগত আনুমানিক ৩ মাস আগে জমশেদ আমার দোকানে কাজ করে দেওয়ার কথা বলে অগ্রীম ৬০ হাজার টাকা কাজ না করে আমার কাছ থেকে নিয়ে পালিয়ে আসে৷ তারপর গ্রেফতারকৃত আসামী আকাশ মিয়া ও তার ভাই বাছির মিয়ার মালিকানাধীন রাধানগর টিএনটির পাশে অবস্থিত আল মদিনা ফার্নিচারের দোকানে গোপনে কাজ করে। পরে আকাশ ও বাছিরকে জিজ্ঞেস করলে তারা জানান জমশেদ এখন তাদের দোকানে কাজ না করে মোগড়া বাজারের তারেক মিয়ার ফার্নিচারের দোকানে কাজ করে। ঘটনার দিন মোগড়া এলাকার ফরহাদ মিয়ার গাছের বাগান দেখা শেষ করে আসার সময় রুবেল নামে একজন ফোন দিয়ে বলে জমশেদ কর্নেল বাজারে আছে। রুবেলের কথা বিশ্বাস করে মোটরসাইকেল যোগে কর্নেল বাজার যাওয়ার সময় আকাশ, বাছির, সুমন, রুবেল, শামীম, জমশেদ, মোশাররফ সহ অজ্ঞাতনামা ৩/৪ জন পথরোধ করে মোটরসাইকেল থেকে আমাকে ও আমার ছেলেকে টানা হেচড়া করে নামিয়ে কাঠের রুল দিয়ে পিটিয়ে বাম কাধের কলারের হাড় ভেঙ্গে ৩টুকরা করে ফেলে৷ আমার বাম হাত ভেঙ্গে ফেলে। ১৮হাজার টাকা মূল্যের একটি মোবাইল আকাশ মিয়া ছিনিয়ে নিয়ে ভেঙ্গে ফেলে৷ আমার ছেলেকে কাঠের বাটাম দিয়ে বেধড়ক পিটিয়ে জখম করে আমার ছেলের কাছ থেকে ২২হাজার টাকা মূল্যের একটি মোবাইল সুমন মিয়া ছিনিয়ে নিয়ে যায়। গাছ ক্রয় করার জন্য আনা নগদ ৭০হাজার টাকা সুমন মিয়া আমার ছেলের পকেট থেকে জোরপূর্বক নিয়ে যায়। আশেপাশের লোকজন, পথচারী ও যাত্রীরা ঘটনা দেখে আমাদেরকে উদ্ধারের জন্য এগিয়ে আসলে হামলাকারীরা তিনটি মোটরসাইকেলে উঠে দ্রুত কর্নেল বাজারের দিকে চলে যায়।
স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, ঘটনার পরদিন মোগড়া ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান মোঃ মনির হোসেনের বাড়িতে সালিশ হয়। সালিশে ১৫দিনের মধ্যে (২৭এপ্রিল) মোট ১লাখ ৪০ হাজার টাকা রফিকুল ইসলাম কে ফেরত দেওয়ার রায় হয়। এখন পর্যন্ত কোনো টাকা পরিশোধ করেনি তারা। আকাশ ও তার ভাই বাছির সহ বাকিদের ভাড়াটিয়া গুন্ডা হিসেবে জমশেদ নিয়েছে ।রহস্যজনক কারনে মামলার প্রধান আসামী আকাশ মিয়াকে সালিশে উপস্থিত করা হয়নি। আসামীরা প্রকাশ্যে চলাফেরা করছে, টাকা পরিশোধ না করে উল্টো হুমকি দিচ্ছে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে আখাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো: আসাদুল ইসলাম বলেন, মামলার বাদীর সহায়তায় প্রধান আসামী আকাশকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাঁকি আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
১৯৭৫ সালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্বপরিবারে (মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও শেখ রেহেনা ছাড়া) হত্যাকান্ডের পর তিনি চরম প্রতিকূল পরিবেশে বঙ্গবন্ধুর হত্যার প্রতিবাদে ও হত্যাকারীদের ফাঁসির দাবিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হওয়া প্রতিটি মিছিল-সমাবেশে অগ্রভাগে নেতৃত্ব দিয়েছেন।
১৯৭৮ সালে তিনি জেলা আওয়ামী লীগের মহিলা সম্পাদিকা ও ১৯৮৯ সালে জেলা মহিলা আওয়ামীলীগের সভানেত্রীর দায়িত্ব লাভ করেন। স্বৈরাচারি এরশাদ সরকারের পতনের দাবিতে আন্দোলন করতে গিয়ে তিনি ও তার পরিবারের সদস্যরা শারিরিকভাবে তৎকালীন সরকারের ক্যাডার বাহিনীর দ্বার বিভিন্নভাবে নাজেহাল হন।
তিনি ২০০৪ সালে আওয়ামী লীগের সমাবেশে গ্রেনেড হামলায় বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী আইভি রহমানসহ ২৪ জন হত্যার প্রতিবাদে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আওয়ামীলীগ ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের নিয়ে ব্যাপক আন্দোলন গড়ে তুলেন। আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভা ও জেলা তথ্য অফিস ভাংচুর ও প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার ছবি ভাংচুর ও অগ্নি সংযোগ করলে তাঁকে প্রধান আসামী করে দ্রুত বিচার আইনে দুটি মামলা হয়।
ওয়ান ইলেভেনের সময় জননেত্রী শেখ হাসিনাকে গ্রেপ্তার করা হলে তিনি নেত্রীর মুক্তির আন্দোলনে ব্যাপক ভূমিকা রাখেন। বড় ছেলে আশিকুল আলম বাবলু (প্রয়াত) ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজ ছাত্র-ছাত্রী সংসদের ভিপি ছিলেন। এছাড়াও বাবলু ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ছাত্রলীগ ও জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি ছিলেন।
মিনারা বেগম ২০২৩ সালে জয়িতা অন্বেষণে বাংলাদেশ শীর্ষক বিশেষ কার্যক্রমের আওতায় “সমাজ উন্নয়নে অসামান্য অবদান রেখেছেন যে নারী” ক্যাটাগরিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার জয়িতা সম্মানে ভ‚ষিত হন। তিনি বর্তমানে জেলা মহিলা সংস্থার চেয়ারম্যনের দায়িত্ব পালন করছেন।
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রার্থিতা ফিরে পেলেন সেই ওলিও। এক শতাংশ ভোটারের সাক্ষর জালিয়াতির অভিযোগে মনোনয়নপত্র বাতিল হয়ে যাওয়া স্বতন্ত্র প্রার্থী ফিরোজুর রহমান ওলিওকে তার প্রার্থিতা ফিরিয়ে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।কমিশনে করা আপিলের শুনানি শেষে বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) বিকেলে তার মনোনয়নপত্রটি বৈধ ঘোষণা করা হয়। সম্প্রতি ফেসবুক লাইভে মদ ব্যবসাকে হালাল বলে মন্তব্য করে ব্যাপক সমালোচিত হন তিনি।ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ (সদর ও বিজয়নগর) আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন বর্তমান সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি র. আ. ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী।ফিরোজুর রহমান ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সদস্য। তিনি সদর উপজেলার সুলতানপুর ইউনিয়ন পরিষদের পাঁচবারের নির্বাচিত চেয়ারম্যান ছিলেন। সর্বশেষ সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বীতার জন্য তিনি চেয়ারম্যান পদ থেকে পদত্যাগ করেন।এর আগে ফিরোজুর রহমানের সমর্থনকারী এক শতাংশ ভোটারের মধ্যে দ্বৈবচয়নের মাধ্যমে নির্বাচিত ১০ জন ভোটারের একজন সাক্ষর করেননি মর্মে সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে লিখিত আবেদন করেন। এর ফলে গত ৩০ নভেম্বর মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শেষে সাক্ষর জালিয়াতির অভিযোগে ফিরোজুর রহমানের মনোনয়নপত্র বাতিল করেন জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. শাহগীর আলম। পরবর্তীতে প্রার্থিতা ফিরে পেতে নির্বাচন কমিশনে আপিল করেন ফিরোরজুর রহমান ওলিও।প্রার্থিতা ফেরত পাওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে ফিরোজুর রহমান ওলিও বলেন, ‘আপিলে আমার মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। এই অনুভূতি ভাষায় প্রকাশ করা যাবে না। সবাই আমার পাশে থাকায় সবাইকে ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা জানাই।এ বিষয়ে জানতে চাইলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো.সাদেকুল ইসলাম বলেন, ‘ফিরোজুর রহমানের করা আপিলের রায়ের বিষয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে চিঠি পাঠাবে নির্বাচন কমিশন। বৈধ প্রার্থীদের তালিকায় তার নাম যুক্ত হবে। প্রতীক বরাদ্দের দিন তাকেও প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হবে।
হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সরস্বতী পূজা ও সাপ্তাহিক ছুটির কারণে আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে পূর্বোত্তর ভারতের সঙ্গে বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার দুদিন আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। তবে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য বন্ধ থাকলেও কাস্টমস, বন্দরের দাপ্তরিক কার্যক্রম এবং আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে পাসপোর্টধারী যাত্রীদের যাতায়াত স্বাভাবিক রয়েছে। আখাউড়া স্থলবন্দর আমদানি-রপ্তানিকারক অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের আগরতলা স্থলবন্দরের ব্যবসায়ী সংগঠন ‘ইন্দো-বাংলা এক্সপোর্টার-ইমপোর্টার কমিউনিকেশন সেন্টার’র সাধারণ সম্পাদক শিব শংকর দেবের বরাত দিয়ে ওই ব্যবসায়ী নেতা জানান, আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধের বিষয়টি বাংলাদেশের আখাউড়া স্থলবন্দরের ব্যবসায়ী নেতাদের আগেই জানানো হয়।
তিনি বলেন, হিন্দু সম্প্রদায়ের সরস্বতী পূজা উপলক্ষ্যে সকাল থেকে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য বন্ধ রয়েছে। সাপ্তাহিক ছুটির কারণে আগামীকাল শুক্রবারও পূর্বোত্তর ভারতের সঙ্গে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ থাকবে।
শনিবার সকালে ত্রিপুরায় মাছ রপ্তানির মধ্য দিয়ে ফের আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য কার্যক্রম শুরু হবে।
আখাউড়া আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশন ইনচার্জ স্বপন কুমার দাস জানান, আমদানি বন্ধ থাকলেও ওই দুদিন বন্দর দিয়ে যাত্রী পারাপার স্বাভাবিক থাকবে।