স্বত্ব © 2024 দৈনিক পত্রিকা |
সম্পাদক ও প্রকাশক: উবায়দুর রহমান, ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: মোঃ জুয়েল মিয়া প্রতিষ্ঠাতা: পি বা লিজন।সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয়- পাইকপাড়া,লোকনাথ দিঘীর পাড়,পৌর কমিউনিটি সেন্টার ২য় তলা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া।দৈনিক পত্রিকা অনলাইন নিউজ পোর্টাল। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের কর্তৃক নিবন্ধনের জন্য প্রক্রিয়া দিন।newsdainikpatrika@gmail.com মোবাইল নাম্বার 01751406352,01715958768
শাহাদাত হোসেন সোহেল,ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা থানা পুলিশের মাদকবিরোধী বিশেষ অভিযানে ১০০ কেজি গাঁজা ও একটি ইঞ্জিন চালিত নৌকাসহ ৪ জনকে আটক করেছে কসবা থানা পুলিশ।
কসবা থানার পুলিশের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানা যায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহিউদ্দিন পিপিএম এর নেতৃত্বে পুলিশের একটি বিশেষ দল, উপজেলার মূলগ্রাম ইউনিয়নের ময়দাগঞ্জ বাজারের উত্তর পাশে তিতাস নদীর ঘাটে ২৫ সেপ্টেম্বর রাত ১২:৫০ সময় জহর লাল চন্দ্র দাশ (৫৬), সিরাজ মিয়া (৫৫), মো.তুষার (১৮), মো. শহীদ (৫০) এদের কে ১০০ কেজি গাঁজাসহ গ্রেফতার ও একটি ইঞ্জিন চালিত নৌকা জব্দ করে।
এ ব্যাপারে কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহিউদ্দিন পিপিএম জানান, গ্রেফতারকৃতদের কাছ থেকে মাদক উদ্ধার ও একটি ইঞ্জিনচালিত নৌকা জব্দ করাসহ আইনআনুগ ব্যাবস্থা গ্রহন করা হয়েছে। তিনি আরো জানান, আমাদের মাদক বিরোধী অভিযান অব্যাহত থাকবে।
এ বিষয়ে খাটিহাতা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আকুল চন্দ্র বিশ্বাস জানান, সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে এলাকায় একটি যাত্রীবাহী সিএনজি খাটিহাতা বিশ্বরোড থেকে আশুগঞ্জের দিকে যাচ্ছিল। সোহাগপুর বাসস্ট্যান্ডে সিলেটগামী কাভার্ডভ্যানের সঙ্গে ওই সিএনজির মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই তিনজন নিহত হন। অপরজন ব্রাহ্মণবাড়িয়া হাসপাতালে নেওয়ার পথে খাটিহাতা বিশ্বরোড যাওয়ার পর মারা যান।
নিহতরা হলেন- সিএনজিচালক সরাইল উপজেলা বলিবাড়ির মো. ফরিদ মিয়ার ছেলে সোহেল, সিএনজির যাত্রী নাজমুল মিয়ার ছেলে জিলানী, মৃত জাফর আলীর ছেলে আসকর মিয়া। বাকি একজনের পরিচয় পাওয়া যায়নি।
খাটিহাতা হাইওয়ে পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আকুল চন্দ্র বিশ্বাস বলেন, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। পরিবারের অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মোঃনিয়ামুল ইসলাম আকঞ্জি
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জাতীয় ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইন অবহতিকরন ও কর্মপরিকল্পনা ২০২৩ উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।১১ নভেম্বর সোমবার সকালে সিভিল সার্জন কার্যালয়ে আয়োজিত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সিভিল সার্জন ডাঃ একরামুল্লাহ। ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জসিম উদ্দিন সাধারণ সম্পাদক বাহার মোল্লা ছাড়াও জেলায় কর্মরত প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা এতে উপস্থিত ছিলেন।সংবাদ সম্মেলনে সিভিল সার্জন ডাঃএকরামুল্লাহ জানান, ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইন এর আওতায় আগামী ১২ ডিসেম্বর জেলার ৯ উপজেলার ৩০৬ টি ওয়ার্ডে ২ হাজার ৪৩৩ টি কেন্দ্রে শিশুদের ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। সকাল ৮ টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত কার্যক্রম চলবে। এর মধ্যে ৬ -১১ মাস বয়সী ৫৫ হাজার ২৬৫ জন শিশুকে ১ টি করে নীল এবং ১২- ৫৯ মাস বয়সী ৪ লাখ ৬২ হাজার ২৮৯ শিশুকে ১টি করে লাল টিকা খাওয়ানোর লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ।উল্লেখ্য অন্ধত্ব প্রতিরোধ সহ স্বাভাবিক বৃদ্ধি নিশ্চিত করতে বছরে ২ বার এই ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত হয়।
নিজস্ব প্রতিবেদক
আজ ২৯ সেপ্টেম্বর (শুক্রবার)বিশ্ব হার্ট দিবস’। এ বছরের প্রতিপাদ্য হলো ‘ইউজ হার্ট, নো হার্ট’। বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতাল দিবসটি পালন করেছে।এ উপলক্ষ্যে শুক্রবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতাল প্রাঙ্গণে আলোচনা সভা ও র্যালি অনুষ্ঠিত হয়েছে।এতে উপস্থিত ছিলেন, ডাঃ মো. রাজু আহমেদ এমবিবিএস, ডি-কার্ড (বি.এস.এম.এম ইউ)। এইচ এম জাকারিয়া জাকির, কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য হার্ট ফাউন্ডেশন। প্রাউড অব ব্রাহ্মণবাড়িয়া’র কার্ণধার কোহিনূর আক্তার প্রিয়া, জেলা নাগরিক ফোরামের সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল মতিন শিপন, আমরাই আগামীর চোখ সংগঠনের প্রতিষ্টাতা সভাপতি নাসির উদ্দিন সরকার, সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ রেদুয়ান, জাকিয়া সুলতানা প্রমুখ।উল্লেখ্য, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনে প্রতি রবিবার বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হয়। এছাড়াও অসহায় হতদরিদ্র রোগীদের বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা সহ অন্যান্য সেবা প্রদান করা হয়।
নিজস্ব প্রতিবেদক
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় খাল ভরাট করে দখলের পর এবার ব্রিজ ভেঙ্গে ফেলছে একটি প্রভাবশালী মহল। বুধবার (১৭ এপ্রিল) দুপুরে সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার ধরখার ইউনিয়নের অন্তর্গত বনগজ মধ্যপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠ সংলগ্ন লতিফ খন্দকার ও রমজান মিয়ার বাড়ির পাশের খালের ওপর নির্মিত ব্রিজটি ভেঙ্গে ফেলা হচ্ছে।উপজেলা প্রশাসন থেকে অনুমতি না নিয়েই ব্রিজটি ভেঙ্গে ফেলছে তারা। ঘটনাস্থলে গিয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুল আলিমকেও পাওয়া যায়। বনগজ গ্রামের মৃত ছেলু মিয়ার ছেলে সফিকুল ইসলাম সফিক এবং শাহেদ মিয়ার ছেলে কালন মিয়ার নেতৃত্বে ও তত্বাবধানে ব্রিজটি ভাঙ্গা হচ্ছে বলে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়। ব্রিজটি ভাঙ্গার কাজে নিয়োজিত শ্রমিকরা হলেন ছাদেক হোসেন ও মিজান মিয়া। তাদেরকে সফিক ও কালন মিয়া ব্রিজ ভাঙ্গার এই কাজে নিযুক্ত করেছেন বলে তারা জানান। ব্রিজের জায়গায় গণমাধ্যমের উপস্থিতি টের পেয়ে কালন ও সফিক আত্মগোপনে চলে যান। পরে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাদের বক্তব্য নেওয়া যায়নি।
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, প্রায় ২৫ বছর আগে তখনকার স্থানীয় সংসদ সদস্য এডভোকেট শাহ আলমের আমলে খালটির ওপর ব্রিজটি নির্মাণ করা হয়। খালটির দুই পাড়ের মানুষের যাতায়াত ও যোগাযোগের সুবিধার জন্য ব্রিজটি নির্মাণ করা হয়। স্থানীয় একটি প্রভাবশালী মহল দীর্ঘদিন ধরে খালের ওপর নির্মিত ব্রিজটির দুইপাশের একটি বৃহৎ অংশ মাটি ফেলে ভরাট করে দখল করে ফেলেছে। এতে খালটি অস্তিত্ব সংকটে পড়েছে। এখন ব্রিজটি ভেঙ্গে ফেলে খালের পুরো অংশ ভরাট করে দখল করার পায়তারা চালাচ্ছে ওই প্রভাবশালী মহলটি। আখাউড়া উপজেলা প্রকৌশলী কার্যালয়ের সার্ভেয়ার জহুরুল ব্রিজ ভাঙ্গার মৌখিক অনুমতি দিয়েছে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ব্রিজ ভাঙ্গার বিষয়ে আমার নামে এমন একটি কথা আমিও শুনেছি। তবে এটি সত্য নয়। ব্রিজ ভাঙ্গতে হলে একটি নির্দিষ্ট নিয়ম অনুযায়ী কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিতে হয়।ব্রিজ ভাঙ্গার বিষয়ে জানতে চাইলে আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রাবেয়া আক্তার বলেন,‘ আসলে এই বিষয়টি আমি আপনাদের (সংবাদকর্মীদের) মাধ্যমে প্রথম অবগত হয়েছি।আমরা পরবর্তীতে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।খালটির দুইপাশে ভরাটের বিষয়টিও অবগত হলাম, আমরা পরবর্তীতে ব্যবস্থা নেব। ব্রিজটি ভাঙ্গার জন্য কোনো ধরনের অনুমতি চাওয়ার বিষয়টি আমার জানা নেই।’আখাউড়া তন্তর ইউনিয়ন ভূমি অফিসের সহকারী কর্মকর্তা এবিএম ফরিদ উদ্দিন বলেন, ‘উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি(এসিল্যান্ড)স্যার আমাকে পাঠাইছে। ব্রিজটি যে ভাঙ্গতেছে এটা দেখার জন্য আমি সরজমিনে আসছি।স্থানীয় মেম্বার বলছে তিনি ব্রিজ ভাঙ্গার বিষয়ে জানেন না।যারা ব্রিজ ভাঙ্গার কাজ করছে তারা কালন ও সফিকের নাম বলছে। ওনারা ভাঙ্গাইতাছে। ধরখার ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ সাফিকুল ইসলামের সাথে কথা বলেছি। চেয়ারম্যান বলতাছে প্রাইমারি স্কুলের উন্নয়নের কাজ হইতেছে। সরকারী কাজের মালামাল এখান দিয়ে যাবে। ব্রিজটি থাকলে মালামাল নিতে সমস্যা হয়ে যায়।’এবিএম ফরিদ উদ্দিন আরও বলেন,‘ আমার ধারণা সম্ভবত এখানে একটি খাল ছিল। খালটি তো দেখা যায় এখন ভরাট করে ফেলছে।এখন স্কুলের মালামাল নেওয়ার জন্য ব্রিজটি ভাঙ্গতেছে। আমি কাজ বন্ধ রাখার জন্য বলে গেছি এবং চেয়ারম্যান সাহেবকে বলে গেছি এসিল্যান্ড স্যারের সাথে কথা বলার জন্য। উপজেলা প্রশাসন থেকে অনুমতি না নিয়ে ব্রিজ ভাঙ্গতো পারেনা। সরকারি ব্রিজ ভাঙ্গতে গেলে কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিতে হবে।’