স্বত্ব © 2025 দৈনিক পত্রিকা |
সম্পাদক ও প্রকাশক: উবায়দুর রহমান, ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: মোঃ জুয়েল মিয়া প্রতিষ্ঠাতা: পি বা লিজন।সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয়- পাইকপাড়া,লোকনাথ দিঘীর পাড়,পৌর কমিউনিটি সেন্টার ২য় তলা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া।দৈনিক পত্রিকা অনলাইন নিউজ পোর্টাল। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের কর্তৃক নিবন্ধনের জন্য প্রক্রিয়া দিন।newsdainikpatrika@gmail.com মোবাইল নাম্বার 01751406352,01715958768
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যুদ্ধ ও সংঘাতের পথ পরিহার করে মানবজাতির কল্যাণ ও অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির জন্য সকলকে একযোগে কাজ করার জন্য বিশ্ব নেতৃবৃন্দের প্রতি আহবান জানিয়েছেন।তিনি বলেন, আজ আপনাদের সকলের কাছে, বিশ্ব নেতাদের কাছে আমার আবেদন, যুদ্ধ ও সংঘাতের পথ পরিহার করুন এবং আমাদের জনগণ ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য স্থায়ী শান্তি, মানবজাতির কল্যাণ এবং অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির জন্য সম্মিলিতভাবে কাজ করুন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ শুক্রবার জাতিসংঘ সদর দফতরের জেনারেল অ্যাসেম্বলি হলে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের (ইউএনজিএ) ৭৮তম অধিবেশনে দেয়া ভাষণে একথা বলেন।প্রধানমন্ত্রী বলেন,করোনা মহামারি ও জলবায়ু সঙ্কটের প্রভাব এবং বিশ্বব্যাপী খাদ্য, অর্থায়ন এবং জ্বালানি নিরাপত্তার উপর রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাব উন্নয়নশীল দেশগুলোতে উন্নয়ন-লক্ষ্যসমূহ অর্জনে ব্যাপক প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি করেছে ।তিনি বলেন, বহুপাক্ষিক কূটনীতিকে জোরদারকরণ, জাতিসংঘের উপর অর্পিত দায়িত্বসমূহ পালন করার জন্য প্রচেষ্টা ও সাহসী বক্তব্য, এবং বৈশ্বিক সঙ্কট উত্তরণে সুদূরপ্রসারী ও বাস্তবমূখী পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য বাংলাদেশ সবসময় জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসেকে সমর্থন জানায়।প্রধানমন্ত্রী ইউএনজিএ অধিবেশনে প্রদত্ত তাঁর ভাষণে রোহিঙ্গা সংকট, জলবায়ু পরিবর্তন, খাদ্য সংকট, মানবাধিকার, নারীর ক্ষমতায়ন, স্বাস্থ্যসেবা, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য (এসডিজি), সন্ত্রাসবাদ এবং সরকারের অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং অন্যান্য বৈশ্বিক ও আঞ্চলিক সমস্যার কথা তুলে ধরেন।
গেল বারের মত এবারসহ মোট ১৯তম বারের মতো শেখ হাসিনা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১৯৭৪ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর প্রদত্ত ভাষণের পদাঙ্ক অনুসরণ করে জাতিসংঘ অধিবেশনে বাংলায় ভাষণ দেন।এ বছরের ইউএনজিএ’র মূল প্রতিপাদ্য হলো : ‘আস্থা পুনর্গঠন ও বিশ্বব্যাপী সংহতি পুনঃপ্রতিষ্ঠা: সকলের জন্য শান্তি, সমৃদ্ধি, অগ্রগতি ও স্থায়িত্বের লক্ষ্যে ২০৩০ এজেন্ডা এবং এর টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যে ত্বরান্বিতকরণ পদক্ষেপ।প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ’৭৫ এর বিয়োগান্তক অধ্যায় তুলে ধরে বলেন, “আমি নিজে নিপীড়িত এবং যুদ্ধ ও হত্যার নৃশংসতার প্রত্যক্ষদর্শী হিসেবে যুদ্ধ, হত্যা, অভ্যুত্থান ও সংঘাতের ভয়াবহতার কারণে মানুষ যে বেদনা ও যন্ত্রণা সহ্য করে তা অনুভব করতে পারি।তিনি বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট আমার পিতা, জাতির পিতা ও বাংলাদেশের তৎকালীন রাষ্ট্রপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। সেদিন আমার মা, আমার তিন ছোট ভাই, দুই ভ্রাতৃবধূ, চাচাসহ পরিবারের মোট আঠার সদস্যকে হত্যা করা হয়েছিল।তিনি ও তাঁর ছোট বোন বিদেশে থাকায় সেই বর্বরতা থেকে বেঁচে যান বলেও উল্লেখ করেন তিনি। এরআগে ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে আমাদের ত্রিশ লাখ দেশবাসীকে হত্যা এবং দুই লাখ নারীকে নির্মম নির্যাতনের কথাও তিনি ভাষণে উল্লেখ করেন।আসুন আমরা রোহিঙ্গাদের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করি প্রধানমন্ত্রী তাঁর ভাষণে মিয়ানমার থেকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা জনগণের প্রতি বিশ্ব নেতাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। কেননা ইতোমধ্যেই তাদের বাস্তুচ্যুতির ছয় বছর পেরিয়ে গেছে।
তিনি বলেন, সম্পূর্ণ মানবিক কারণে আমরা অস্থায়ীভাবে তাদের আশ্রয় দিয়েছি। কিন্তু, পরিস্থিতি এখন আমাদের জন্য সত্যিই অসহনীয় হয়ে উঠেছে।প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে রোহিঙ্গাদের দীর্ঘায়িত উপস্থিতি বাংলাদেশের অর্থনীতি, পরিবেশ, নিরাপত্তা এবং সামাজিক-রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার ওপর মারাত্মক প্রভাব ফেলেছে। প্রত্যাবাসন নিয়ে অনিশ্চয়তা রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর মধ্যে ব্যাপক হতাশার জন্ম দিয়েছে। এই পরিস্থিতি সম্ভাব্য মৌলবাদকে ইন্ধন দিতে পারে।এই অবস্থা চলমান থাকলে এটি আমাদের আঞ্চলিক এবং আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতাকে প্রভাবিত করতে পারে বলেও আশংকা ব্যক্ত করেন তিনি।
তিনি বলেন, বাস্তুচ্যূত রোহিঙ্গারা তাদের নিজ দেশ মিয়ানমারে ফিরে যেতে চায় এবং সেখানে তারা শান্তিপূর্ণ জীবনযাপন করতে আগ্রহী। আসুন আমরা এই নিঃস্ব মানুষের জন্য তাদের নিজের দেশে ফিরে যাওয়া নিশ্চিত করি। উন্নত দেশগুলোকে অবশ্যই ১০০ বিলিয়ন ডলারের প্রতিশ্রুতি পূরণ করতে হবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বৈশ্বিক কার্বন নির্গমনের ০.৪৭% এরও কম অবদান রাখলেও বাংলাদেশ জলবায়ুজনিত ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলির মধ্যে অন্যতম। জলবায়ুর বিরূপ প্রভাব আমাদের বর্তমান এবং ভবিষ্যত প্রজন্মের নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির জন্য মারাত্মক হুমকি। এর সমাধানের লক্ষে জরুরি, সাহসী এবং উচ্চাভিলাষী সম্মিলিত পদক্ষেপ প্রয়োজন।তিনি বলেন,“আমরা প্রধান কার্বন নির্গমনকারী দেশগুলিকে উচ্চাভিলাষী এনডিসি গ্রহণ ও বাস্তবায়নের আহ্বান জানাই। উন্নত দেশগুলোকে অবশ্যই ১০০ বিলিয়ন ডলারের প্রতিশ্রুতি পূরণ করতে হবে। শেখ হাসিনা বলেন, জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ দেশের উন্নয়ন চাহিদার কথা বিবেচনা করতে হবে। আমরা ২৭তম জলবায়ু সম্মেলনে গৃহীত ক্ষয়ক্ষতি সংক্রান্ত তহবিলের জরুরি বাস্তবায়ন চাই।সমুদ্র পৃষ্ঠের উচ্চতা, লবণাক্ততা, নদী ক্ষয়, বন্যা ও খরা-জনিত কারণে জলবায়ু-অভিবাসীদের দায়িত্ব ভাগাভাগির ক্ষেত্রে আমি আন্তর্জাতিক সংহতির আহ্বানও জানান তিনি।বাংলাদেশ পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য রক্ষা ও সংরক্ষণ এবং জলবায়ু-সহনশীল টেকসই উন্নয়নের পথ অনুসরণে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। প্যারিস চুক্তির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে নবায়নযোগ্য জ্বালানিসহ সবুজ উদ্যোগের মাধ্যমে বাংলাদেশ তার জাতীয় স্বল্প-কার্বন নির্গমন কৌশল প্রণয়ন করছে। তাঁর সরকারের ‘বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট ফান্ড’ প্রতিষ্ঠার উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমাদের নিজস্ব সম্পদ থেকে এই তহবিলে এ পর্যন্ত ৪৮০ মিলিয়ন ডলার বরাদ্দ করেছি। জলবায়ু অভিযোজন এবং প্রশমনের লক্ষে সমুদ্র উপকূলে বাঁধ, সাইক্লোন শেল্টার, গ্রিন বেল্ট এবং বৃক্ষরোপণ করা হচ্ছে।বাংলাদেশ সরকার কক্সবাজারে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে বাস্তুচ্যূত মানুষের জন্য বিশ্বের সবচেয় বড় আবাসন প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সেখানে ৪ হাজার ৪০৯টি উদ্বাস্তু পরিবারকে পুনর্বাসনের জন্য সব ধরনের সুযোগ-সুবিধাসহ ১৩৯টি বহুতল ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। পাশাপাশি ভূমিহীন ও গৃহহীন মানুষের জন্য সরকারের যুগান্তকারী উদ্যোগ ‘আশ্রয়ণ’ প্রকল্পের আওতায় এ পর্যন্ত প্রায় ৮ লাখ ৪০ হাজার পরিবারের ৫০ লাখ মানুষকে বিনামূল্যে ঘর দেওয়া হয়েছে।তিনি বলেন, তাঁর সরকার ‘বাংলাদেশ ডেল্টা প্ল্যান ২১০০’ বাস্তবায়ন করছে। যার লক্ষ্য সমন্বিত ব-দ্বীপ ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে একটি নিরাপদ, জলবায়ু সহনশীল এবং সমৃদ্ধ ডেল্টা অর্জন।প্রধানমন্ত্রী তাঁর সরকারের ‘মুজিব জলবায়ু সমৃদ্ধি পরিকল্পনা’ গ্রহণ করেছে বলেও উল্লেখ করেন।তিনি বলেন, আমরা ধীরে ধীরে একটি জলবায়ুর ঝুঁকিপূর্ণ দেশ থেকে জলবায়ু সহনশীল দেশে পরিণত হতে কাজ করছি। বাংলাদেশের ৬০ লাখেরও বেশি মানুষ সোলার হোম সিস্টেম ব্যবহার করছে। আমরা আরও টেকসই শক্তির মিশ্রণের জন্য কাজ করছি। আমরা আশা করি, ২০৪১ সালের মধ্যে আমাদের শক্তির ৪০% পুনঃনবায়নযোগ্য উৎস থেকে পাওয়া যাবে।আঞ্চলিক খাদ্য ব্যাংক স্থাপন
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন যে ‘ব্ল্যাক সি গ্রেইন ইনিশিয়েটিভ’ অকার্যকর হয় পড়েছে এবং এ ব্যবস্থার দ্রুত পুনরুদ্ধারের জন্য আমি সংশ্লিষ্ট সকলকে আহ্বান জানাচ্ছি। এছাড়াও, আমাদের মত দেশগুলোর জন্য নিরবচ্ছিন্নভাবে সারের প্রাপ্যতা নিশ্চিত করতে হবে। তাছাড়া, উৎপাদিত ফসল সংরক্ষণের লক্ষ্যে হিমাগার নির্মাণের জন্য আমাদের বৈশ্বিক বিনিয়োগ প্রয়োজন। আমি জরুরি অবস্থা মোকাবিলার জন্য আঞ্চলিক ‘খাদ্য ব্যাংক’ চালু করার প্রস্তাব করছি। আমাদের অবশ্যই জলবায়ু-সহনশীল ফসলের গবেষণায় একে অপরকে সহযোগিতা করতে হবে।বিগত কয়েক বছরের আন্তঃসংযুক্ত সঙ্কটগুলি বিশ্বব্যাপী খাদ্য, জ্বালানি এবং পণ্য মূল্য বৃদ্ধি করেছে উল্লেখ করে বাংলাদেশের সরকার প্রধান বলেন, জ্বালানি ও খাদ্য আমদানিকারক দেশ হিসেবে আমাদের আমদানি বিল উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে, যা আমাদের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে।তিনি বলেন, এসব চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও, আমরা প্রতিটি মানুষের জন্য খাদ্য নিশ্চিত করেছি। আমরা নি¤œ আয়ের ১ কোটি মানুষকে সাশ্রয়ী দামে চাল ও অন্যান্য সামগ্রী সরবরাহ করছি।মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগ এবং দেশের সকল অনাবাদী জমিকে চাষের আওতায় আনার জন্য দেশবাসীর প্রতি আহবানের উল্লেখ করেন তিনি।
তিনি বলেন, ২০২২ সালে গ্লোবাল ক্রাইসিস রেসপন্স গ্রুপ গঠন এবং এর মাধ্যমে বৈশ্বিক খাদ্য, শক্তি এবং অর্থনৈতিক সঙ্কট মোকাবিলায় প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখে বিভিন্নমুখী সমাধান প্রদানের জন্য আমি জাতিসংঘ মহাসচিবকে বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানাই।খাদ্যপণ্য রপ্তানি এবং সরবরাহ শৃঙ্খলে বিদ্যমান সমস্যাসমূহের টেকসই সমাধান নিশ্চিত করার জন্য এই গ্রুপের অন্যতম চ্যাম্পিয়ন হিসেবে তিনি সব সময় জোর দিয়েছেন বলেও জানান।চলবে…. (সূত্র বাসস)
মোঃ জুয়েল মিয়া
আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের সাবেক এপিএস ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং উপজেলা পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান মোঃ রাশেদুল কাওসার ভূইয়া জীবনের ভরাডুবি হয়েছে। এছাড়া আখাউড়া উপজেলা আ.লীগের ‘ঐক্যের প্রার্থী’ মুরাদ হোসেন এর ও ভরাডুবি হয়েছে। চেয়ারম্যান পদে দ্বিগুণ ভোটের ব্যবধানে বিজয়ী হয়ে কসবা ও আখাউড়া উপজেলায় নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করলেন ছাইদুর রহমান স্বপন ও মোঃ মনির হোসেন।কসবা উপজেলায় ছাইদুর রহমান স্বপন কাপ-পিরিচ প্রতীকে ৮৫ হাজার ৯৩০ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের ফুফাতো ভাই, কুটি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের আহবায়ক ও কুটি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ছিলেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মোঃ রাশেদুল কাওসার ভুইয়া জীবন আনারস প্রতীকে পেয়েছেন ৩৯ হাজার ৯৫৭ ভোট।উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৭৬ হাজার ৫৫৬ ভোট পেয়ে চশমা প্রতিক নিয়ে বে-সরকারি ভাবে নির্বাচিত হয়েছেন কসবা পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি ও উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. শফিকুল ইসলাম। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী উপজেলা পরিষদের বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ মনির হোসেন তালা প্রতীকে ৪৯ হাজার ১৯১ ভোট পেয়েছেন। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সাঈদা সুলতানা সুপ্রিয়া নির্বাচিত হয়েছেন। কসবা উপজেলায় মোট ২ লাখ ৮১ হাজার ৩৬৬ জন ভোটারের মধ্যে ১ লাখ ৩০ হাজার ২০২ টি ভোট পড়েছে যা মোট ভোটার সংখ্যার ৪৬.২৭ শতাংশ। ২য় ধাপে এ উপজেলার ৮৩ টি ভোটকেন্দ্রে সুষ্ঠুভাবে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এদিকে আখাউড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে মোঃ মনির হোসেন ঘোড়া প্রতীকে ২৮ হাজার ৩০৯ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি আখাউড়া উপজেলা যুবলীগের সাবেক আহবায়ক ও মোগড়া ইউনিয়ন পরিষদের তিনবারের সাবেক চেয়ারম্যান ছিলেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্ধী উপজেলা পরিষদের বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক আহবায়ক মুরাদ হোসেন ভূইয়া আনারস প্রতীকে পেয়েছেন ১৪ হাজার ৫৭৩ ভোট। মুরাদ হোসেন আখাউড়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র তাকজিল খলিফা কাজল এর আস্থাভাজন ছিলেন। তাকে উপজেলা আওয়ামীলীগ ‘ঐক্যের প্রার্থী ’ বলে ঘোষণা দিয়েছিল। আখাউড়া পৌরসভার মেয়র তাকজিল খলিফা কাজল, মোগড়া ইউপি চেয়ারম্যান এমএ মতিন ও দক্ষিণ ইউপি চেয়ারম্যান মোহাম্মদ জালাল উদ্দিন মুরাদ হোসেনকে বিজয়ী করার জন্য বিতর্কিত নানান কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়েন। এর মধ্যে পৌর মেয়র কাজল ও মোগড়া ইউপি চেয়ারম্যান মতিনকে অশালীন বক্তব্য দেওয়ায় জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা শোকজ করেছিল এবং দক্ষিণ ইউপি চেয়ারম্যান জালাল উদ্দিন কে ভোটের আগের দিন ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এছাড়া ভোটকেন্দ্রে অনৈতিক কাজ ও প্রভাব বিস্তারের কারনে ইউপি চেয়ারম্যান মোহাম্মদ জালাল উদ্দিন ও এমএ মতিন সাধারণ ভোটার ও প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী-সমর্থকদের তোপের মুখে পড়েন।উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে মাইক প্রতীকে ১৫ হাজার ৫৩ ভোট পেয়ে উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সাহাব উদ্দিন বেগ শাপলু বিজয়ী হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জুয়েল রানা টিউবওয়েল প্রতীকে ১১ হাজার ৮৫১ ভোট পেয়েছেন। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে কলস প্রতীকে ২০ হাজার ২০৫ ভোট পেয়ে রোকসানা আক্তার নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী উপজেলা পরিষদের সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা মহিলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক পিয়ারা বেগম পিওনা হাঁস প্রতীকে ১১ হাজার ৫৪০ ভোট পেয়েছেন।আখাউড়া উপজেলায় মোট ১ লাখ ২৭ হাজার ৮৭০ ভোটারের মধ্যে ৪৪ হাজার ১১৬ টি ভোট পড়েছে যা মোট ভোটার সংখ্যার ৩৪.৫০ শতাংশ। ২য় ধাপে এ উপজেলার ৪৬ টি ভোটকেন্দ্রে সুষ্ঠুভাবে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। গড়ে এই দুই উপজেলায় ৪০ শতাংশ ভোট পড়েছে। প্রসঙ্গত, দীর্ঘ ১০-১২ বছরের মধ্যে এমন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ ভোট এই দুই উপজেলায় তেমন হয়নি। প্রশাসন, নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও গণমাধ্যমের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার কারণে এমন ভোট গ্রহণ সম্ভব হয়েছে বলে ভোটাররা মনে করছেন। একনায়কতন্ত্রের উপজেলা হিসেবে পরিচিত এক শাসকের দীর্ঘদিনের অপশাসন ও ক্ষমতার অপব্যবহারের জবাব নীরব ভোট বিপ্লবের মাধ্যমে আখাউড়া উপজেলার ভোটাররা দিয়েছেন বলে ভোটারদের সাথে কথা বলে জানা গেছে। ভোটের ফলাফল পেয়ে উচ্ছসিত সাধারণ ভোটার ও জনগণ। এছাড়া কসবায় আইনমন্ত্রীর ফুফাতো ভাই ছাইদুর রহমান স্বপন চেয়ারম্যান প্রার্থী হওয়ায় তার প্রতিদ্বন্দ্বী চেয়ারম্যান প্রার্থী জীবন শোচনীয়ভাবে পরাজিত হয়েছেন। এর ফলে কসবা ও আখাউড়া উপজেলার রাজনীতিতে নতুন মেরুকরণের সূচনা হবে বলে সুশীল সমাজের লোকজন ধারণা করছেন। ভোটকেন্দ্রে ভোট গ্রহণে দায়িত্ব পালনকারী কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা হলে তারা জানান, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর অবস্থান ও তাদের সকলের আন্তরিক প্রচেষ্টার কারণে সুষ্ঠুভাবে ভোট সম্পন্ন করা সম্ভব হয়েছে। অবৈধভাবে জোরপূর্বক ভোট ছাপানোর সুযোগ দেওয়া হয়নি। জাল ভোট দেওয়ার সুযোগ পায়নি কেউ। যাচাই-বাছাইয়ের পর প্রকৃত ভোটাররা ভোট দিয়েছে। গতকাল ২১ মে নির্বাচন পরিদর্শনে এসে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন,‘ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন দ্বিতীয় ধাপে কসবা ও আখাউড়া উপজেলায় অনুষ্ঠিত হচ্ছে। আমরা দেখতে পাচ্ছি অত্যন্ত শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সমুন্নত রাখা হয়েছে। ভোটাররা যেন নির্বিঘ্নে ভোট দিতে আসে সেই অবস্থা তৈরি করা হয়েছে। আমরা আশাবাদী অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করার জন্য আমরা যে অঙ্গীকারাবদ্ধ নির্বাচন কমিশনের যেই নির্দেশনা সেই নির্দেশনা বাস্তবায়ন করতে পারব। এবং এই ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অত্যন্ত সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ এবং অবাধ হবে।’ এসময় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন, আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাবেয়া আক্তার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকা বাসস : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ বলেছেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলেই কেবল দেশের মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন হবে। নগরীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আওয়ামী লীগের ৭৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলেই কেবল জনগণের ভাগ্যের পরিবর্তন হবে।ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা বলেন, ‘আওয়ামী লীগ জনগণের দ্বারা, জনগণের জন্য এবং জনগণের সেবা করার জন্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এটাই আওয়ামী লীগের মূলমন্ত্র।আওয়ামী লীগ সরকারে থাকলে জনগণ সুবিধা পায় এবং জনগণের ভাগ্যের পরিবর্তন হয়, এটা প্রমাণিত সত্য উল্লেখ করে তিনি বলেন, জনগণ নৌকায় ভোট দিয়েছে বলেই, আজ মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন করা সম্ভব হয়েছে।বাংলাদেশের ভাগ্য নিয়ে কাউকে ছিনিমিনি খেলতে না দেয়া হবে না বলে তার অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করে তিনি বলেন, “আমি জানি অনেক চক্রান্ত, ষড়যন্ত্র হচ্ছে। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, দলের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য তোফায়েল আহমেদ, প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক ও আবদুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আফজাল হোসেন ও শফিউল আলম নাদেল, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মো. ডাঃ রোকেয়া সুলতানা, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য বেগম আক্তার জাহান, ঢাকা দক্ষিণ মহানগর সভাপতি আবু আহমেদ মান্নাফী, ঢাকা উত্তর মহানগর সভাপতি বজলুর রহমান প্রমুখ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন। আলোচনা সঞ্চালনা করেন আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ ও উপ-প্রচার সম্পাদক সৈয়দ আবদুল আউয়াল শামীম।
১৯৪৯ সালের এই দিনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ গঠিত হয়, যা পরবর্তীতে স্বাধীনতা সংগ্রাম, মুক্তিযুদ্ধ এবং সকল গণতান্ত্রিক আন্দোলনের নেতৃত্ব দিতে দেশের বৃহত্তম রাজনৈতিক দলে রূপান্তরিত হয়। শেখ হাসিনা বলেন, দেশের মানুষের অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক মুক্তির লক্ষ্যে আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় না এলে পরিবর্তন কখনোই আসত না। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলেই জনগণের ভাগ্যের পরিবর্তন হবে। প্রধানমন্ত্রী প্রতিটি গৃহহীন ব্যক্তিকে একটি বাড়ি দেওয়ার লক্ষ্যে তার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করে বলেন, “বাংলাদেশে কেউ ভূমিহীন থাকবে না, কেউ গৃহহীন থাকবে না। এ প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, তার সরকার কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে বিনামূল্যে ৩০ ধরনের ওষুধ দিচ্ছে। এমনকি বিনামূল্যে ইনসুলিনও দেওয়া শুরু হয়েছে। “তার মানে, আমরা অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান এবং শিক্ষার মতো মানুষের প্রতিটি মৌলিক চাহিদা পূরণ করছি। আমরা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করছি।উৎপাদন বাড়ানোর প্রয়াস অব্যাহত রাখার ওপর জোর দিয়ে সরকার প্রধান বলেন, “সাক্ষরতার হার বৃদ্ধির ধারাবাহিকতার পাশাপাশি অর্থনৈতিকভাবে আমাদের সক্ষমতা বাড়াতে হবে।কোভিড-১৯, ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ এবং নিষেধাজ্ঞা-পাল্টা নিষেধাজ্ঞার প্রেক্ষিতে পরিবর্তিত বৈশ্বিক পরিস্থিতির উল্লেখ করে তিনি বলেন, “(দেশের মানুষ) একটি কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে, আমি এটা জানি। মানুষের দুর্ভোগ লাঘব করার জন্য আমরা আপ্রাণ চেষ্টা করছি।শেখ হাসিনা দেশের ধনী ব্যক্তিদের আশেপাশে বসবাসতারী যারা একটু দরিদ্র তাদের প্রতি খেয়াল রাখার আহ্বান জানান।তিনি বলেন, “কেউ যেন অস্বাস্থ্যকরভাবে জীবনযাপন না করে। আমরা প্রত্যেককে একটি সুন্দর বাড়ি এবং একটি সুন্দর জীবন দেব।” এটি হবে আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে আমাদের অঙ্গীকার। একটি উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হওয়ার লক্ষ্য ২০২৬ সালের মধ্যে সম্পূর্ণরূপে বাস্তবায়িত হবে বলে আশা প্রকাশ করে তিনি বলেন,জাতির পিতার স্বপ্ন বাস্তবায়নে আমরা অনেক দূর এগিয়ে এসেছি এবং আমরা এটি বাস্তবায়ন করব। বিভিন্ন ক্ষেত্রে অগ্রগতির কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা বাংলাদেশে বড় ধরনের পরিবর্তন এনেছি আজকের বাংলাদেশে মানুষ নুন ভাতের বদলে ভাত মাংস খেতে চায়। অন্তত, আমরা এই উন্নতি ঘটাতে সক্ষম হয়েছি। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ ২০০৯ সালে ক্ষমতায় এসে বাংলাদেশের পরিকল্পিত উন্নয়ন ঘটাতে শুরু করে। তিনি দেশের বিভিন্ন খাতে ও সামাজিক সূচকে তার সরকারের অর্জন এবং বিএনপি শাসনামল ও আওয়ামী লীগের বর্তমান শাসনামলের মধ্যে তুলনামূলক চিত্র তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বাজেটের আকার ২০০৬ সালের মাত্র ৬১,০০০ কোটি টাকা থেকে ৭৬১,৭৮৫ কোটি টাকা, জিডিপির আকার মাত্র ৪.১৫ লাখ কোটি টাকা থেকে এখন ৫০.৩১ লাখ কোটি টাকা, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার ২০০৬ সালের ৫.৪০ শতাংশ থেকে ৭.২৫ শতাংশে (গড় ৬%) এডিপির আকার ২১,৫০০ কোটি টাকা থেকে ২৭৪,৬৭৪ কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে।শেখ হাসিনা বলেন, মাথাপিছু আয় ২০০৬ সালে ছিল মাত্র ৫৪৩ মার্কিন ডলার তা থেকে ২,৮২৫ মার্কিন ডলারে উন্নীত হয়েছে। যদিও এখন তা ২,৭৬৫ মার্কিন ডলারে নেমে এসেছে। কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতেও বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৪৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে দাড়িয়েছিল যা বিএনপি শাসনামলে ছিল মাত্র ০.৭৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এখনও ৩০.৮৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের রিজার্ভ রয়েছে। তিনি বলেন, রপ্তানি আয়ের পরিমাণ ২০০৬ সালের ১০.০৫ বিলিয়ন ডলার থেকে ৫২.৯৭ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে। বার্ষিক রেমিট্যান্স প্রবাহ দাঁড়িয়েছে ২৪.০৩ বিলিয়ন ডলার যা বিএনপির আমলে ছিল ৪.৮ বিলিয়ন ডলার। রাজস্ব সংগ্রহ ৩৭,৮৭০ টাকা থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ৫০০,০০০ কোটি টাকার উপরে দাঁড়িয়েছে।প্রধানমন্ত্রী বলেন, দারিদ্র্যের হার বিএনপি শাসনামলে ছিল ৪১.৫১ শতাংশ থেকে থেকে কমে এখন ১৮.৭ শতাংশে, চরম দারিদ্র্যের হার ২৫.১ শতাংশ থেকে ৫.৬ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। প্রাথমিক শিক্ষায় ঝরে পড়ার হার ৪৯ শতাংশ থেকে ১৩ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।তিনি বলেন, গড় আয়ু ৫৯ বছর থেকে ৭৩ বছর, বিদ্যুৎ উৎপাদন ৩,০৭৮ মেগাওয়াট থেকে ২৫,২২৭ মেগাওয়াটে দাঁড়িয়েছে এবং ২০০৬ সালে মাত্র ২৮ শতাংশ থেকে জনসংখ্যার ১০০ শতাংশ বিদ্যুৎ কভারেজের সুবিধাভোগী, স্যানিটারি ল্যাট্রিন কভারেজ ৯৭.৩২ শতাংশে উন্নীত হয়েছে।তিনি আরো বলেন, ৪৩.২৮ শতাংশ থেকে পানীয় জলের সুবিধাভোগী ৫৫ শতাংশ থেকে ৯৮.৮ শতাংশে, সামাজিক নিরাপদ কর্মসূচির জন্য বরাদ্দ ২,১০৫ কোটি (৪ শতাংশ) থেকে ১২৬,২৭২ কোটি টাকা (বাজেটের ১৬.৫৮ শতাংশ) এবং সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতায় সুবিধাভোগীর সংখ্যা বিএনপি শাসনামলের ২১,৪৯,৩৫৭ থেকে ১,৮,১২৩,৫৫৪ জনে দাঁড়িয়েছে। তিনি বলেন, সাক্ষরতার হার ৪৫ শতাংশ থেকে ৭৫ শতাংশ, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা ৬৫,৬৭২ থেকে ১১৮,৮৯১টি, খাদ্য উৎপাদন ২.৬১ কোটি মেট্রিক টন থেকে ৯.৮০ কোটি মেট্রিক টন, খাদ্যশস্য উৎপাদন ১.৮০ কোটি মেট্রিক টন থেকে ৪.৯২ কোটি মেট্রিক টনেদাঁড়িয়েছে। তিনি আরো বলেন, ইন্টারনেট ব্যবহারকারী ০.২৩ শতাংশ থেকে ৭৩.৫ শতাংশ, মোবাইল সিম সাবস্ক্রিপশনের সংখ্যা ১৯ মিলিয়ন থেকে ১৮৩ মিলিয়নে, ফ্রিল্যান্সারের সংখ্যা ২০০ থেকে ৬৭০,০০০ জন, ডিজিটাল পরিষেবার সংখ্যা মুষ্টিমেয় কয়েকজন থেকে ২,১৮০ জনে উন্নীত হয়েছে। সরকারি ওয়েবসাইটের সংখ্যা মাত্র ৯৮টি থেকে ৫১,৬৭৮টি হয়েছে। শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপি আমলে গ্রামীণ সড়ক ৩ হাজার ১৩৩ কিলোমিটার থেকে ৮৯ হাজার ৮৭৪ কিলোমিটার করা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘এর মানে আমরা বাংলাদেশে ব্যাপক পরিবর্তন এনেছি।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মুসলিম উম্মাহর দ্বিতীয় বৃহত্তম উৎসব ঈদুল আজহার ত্যাগের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে মানবজাতির কল্যাণে আত্মনিয়োগ করার আহ্বান জানিয়েছেন। আগামীকাল ঈদুল আজহার উৎসব উদযাপিত হবে। ঈদুল আজহার প্রাক্কালে দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানাতে এক ভিডিও বার্তায় তিনি বলেন, ‘প্রিয় দেশবাসী, আসসালামু আলাইকুম, পবিত্র ঈদুল আজহা বা কোরবানীর ঈদ আবারো আমাদের জীবনে ফিরে এসেছে এক বছর পর। কোরবানির অর্থ ত্যাগ। ক্ষুদ্রতা, নীচতা, অহংকার ও স্বার্থপরতা ত্যাগের মাধ্যমে কোরবানীর ঈদ অর্থবহ হয়ে ওঠে।’ তিনি বলেন, ‘ত্যাগের মহিমায় উজ্জীবিত হয়ে আসুন আমরা মানবজাতির কল্যাণে নিজেদের নিয়োজিত করি এবং বন্ধুত্ব ও ভ্রাতৃত্বের বন্ধন বজায় রেখে আমাদের আনন্দ ভাগাভাগি করি। বার্তার শেষ দিকে তিনি বলেন, সবাই ভালো থাকুন, নিরাপদে থাকুন, সুস্থ থাকুন, খোদা হাফেজ, ঈদ মোবারক। প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম এ বিষয়ে নিশ্চিত করেন।
সূত্রঃ ঢাকা,বাসস
মনোজ কুমার সাহা
আগামীকাল মঙ্গলাবার শোকাবহ আগস্ট মাস শুরু হচ্ছে। গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় আগস্টের প্রথম দিনের প্রত্যুষে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী, স্বাধীন বাংলাদেশের মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিসৌধে কালো পতাকা উত্তোলন করা হবে। জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত থাকবে। বুকে ধারণ করা হবে শোকের চিহ্ন কালো ব্যাজ। এদিন সকাল থেকে মাসব্যাপী সমাধিসৌধ কমপ্লেক্সে কোরানখানীর আয়োজন করা হয়েছে।মঙ্গলবার সকালে জেলা প্রশাসক কাজী মাহবুবুল আলম টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিসৌধে ফুল দিয়ে শোকাবহ আগস্টের শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন। এরপর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মুন্সি মো. আতিয়ার রহমান, গোপালগঞ্জের পুলিশ সুপার আল-বেলী আফিফা, টুঙ্গিপাড়া উপজেলা প্রশাসন, টুঙ্গিপাড়া উপজেলা পরিষদ, গোপালগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগি সংগঠন, টুঙ্গিপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ ও সগযোগি সংগঠন, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, গোপালগঞ্জ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশববিদ্যালয়, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব চক্ষু হাসপাতাল ও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট, এ্যাসেনসিয়াল ড্রাগস্, সরকারি বঙ্গবন্ধু কলেজ, শেখ রেহানা টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক. সমাজিক, সাংস্কৃতিক শ্রমজিবি ও পেশাজিবি সংগঠনের পক্ষ থেকে বঙ্গবন্ধুর সমাধিসৌধে শোকের মাসের বিন¤্র শ্রদ্ধা নিবেদন করা হবে। এরপর মাসব্যাপী বিভিন্ন রাজনৈতিক. সমাজিক, সাংস্কৃতিক শ্রমজিবি ও পেশাজিবি সংগঠনের পক্ষ থেকে বঙ্গবন্ধুর সমাধিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদনের পালা চলবে।টুঙ্গিপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. বাবুল শেখ বলেন, আগস্টে বাঙ্গালী জাতি তার শ্রেষ্ঠ সন্তান শতাব্দীর মহানায়ক জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হারিয়েছে। তাই এ মাস আমাদের কাছে বেদনার অশ্রু মিশ্রিত শোকার্ত মাস। শোকের মাস পালন উপলক্ষে টুঙ্গিপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে কালোব্যাজ ধারণ, শোক র্যালি, আলোচনাসভা, দোয়া-মোনাজাত, কোরানখানী,বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন ও দুস্থদের মধ্যে খাবার বিতরণের আয়োজন করেছে। টুঙ্গিপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আল মামুন বলেন, শোকবহ আগস্টের প্রথম দিনে জেলা প্রশাসন ও উপজেলা প্রশাসনসহ সব দপ্তরের পক্ষ থেকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে শোকাবহ আগস্টের শ্রদ্ধা নিবেদন করা হবে। এছাড়া উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে গাছের চারা রোপণ ও বিতরণ কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে। আগস্টের প্রথম দিনেই ধারণ করা হবে কালো ব্যাজ ।বঙ্গবন্ধু সমাধিসৌধের সহকারী কিউরেটর মো. নূরুল ইসলাম বলেন, শোকের মাসের প্রথম দিন সকালে সমাধিসৌধ কমপ্লেক্স্রে কর্মরতরা কালো ব্যাজ ধারণ করবেন। এরপর সমাধিসৌধ কমপ্লেক্সে কালো পতাকা টাঙ্গানো হবে। জাতীয় পতাকা অর্ধ নমিত রাখা হবে। শোকের মাসের জাতীয় সব কর্মসূচিও এখানে পালন করা হবে।টুঙ্গিপাড়া বঙ্গবন্ধু সমাধিসৌধ কমপ্লেক্সে জামে মসজিদের পেশ ইমাম ও খতিব আলহাজ মাওলা মু. নওয়াব আলী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব, শেখ কামাল, শেখ জামাল, শেখ রাসেল, সুলতানা কামাল, পারভীন জামাল রোজীসহ ৭৫ এর ১৫ই আগস্টের শহীদদের রুহের মাগফিরাত কামনায় সমাধিসৌধে মাসব্যাপী কোরআন তেলাওয়াত করা হবে। মঙ্গলবার সকাল থেকে আমার নেতৃত্বে কোরআন তেলওয়াত শুরু হবে। এছাড়া প্রতিদিনই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের জন্য বিশেষ প্রার্থনা করা হবে।টুঙ্গিপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মো. ইলিয়াস হোসেন বলেন, ১৯২০ সালের ১৭ মার্চ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়া গ্রামের সম্ভ্রান্ত শেখ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতার নাম শেখ লুৎফর রহমান ও মাতার নাম শেখ সায়েরা খাতুন। বঙ্গবন্ধু আন্দোলন সংগ্রাম করে বাঙ্গালী জাতিকে পারধীনতার শৃংখল থেকে মুক্ত করেছেন। ৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট একদল বিপথগামী সেনা সদস্য এই মহান নেতাকে স্বপরিবারে নির্মমভাবে হত্যা করে। পরের দিন টুঙ্গিপাড়া গ্রামের পারিবারিক কবরস্থানে বা-বাবার পাশে বঙ্গবন্ধুর মরদেহ গ্রামের মানুষের সহায়তায় দাফন করে সেনাসদস্যরা। বঙ্গবন্ধুর সমাধিসৌধকে ঘিরে পশ্চাদপদ টুঙ্গিপাড়া এখন নব আলোকে উদ্ভাসিত। টুঙ্গিপাড়া এখন বঙ্গালীর তীর্থস্থান। বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে প্রতিদিন হাজার-হাজার মানুষ এখানে আসেন। তারা বঙ্গবন্ধুর জন্য দোয়া মোনাজাত করেন। ১৫ আগস্টের নির্মম হত্যাকান্ডের কথা স্মরণ করে বঙ্গবন্ধুর আনাসারীরা তাঁর জন্য কাঁদেন। এ বছরও যথাযোগ্য মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে শোকাবহ আগস্টের পুরো মাসজুড়ে টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি মানুষ শ্রদ্ধাবনত চিত্তে পুস্পার্ঘ নিবেদন করবেন। বাঙ্গালী জাতির মুক্তির দূত বঙ্গবন্ধুর সমাধিসৌধে শোকের মাস জুড়ে শোকার্ত মানুষের ঢল নামবে। সূত্র বাসস
নিজস্ব প্রতিবেদক
এ বছর পবিত্র ঈদুল আজহায় সারাদেশে মোট ১ কোটি ৪ লাখ ৮ হাজার ৯১৮টি গবাদিপশু কোরবানি দেওয়া হয়েছে। গত বছর সারাদেশে কোরবানিকৃত গবাদিপশুর সংখ্যা ছিল ১ কোটি ৪১ হাজার ৮১২টি। ২০২২ সালে এ সংখ্যা ছিল ৯৯ লাখ ৫০ হাজার ৭৬৩টি। গত বছরের তুলনায় এবার ৩ লাখ ৬৭ হাজার ১০৬টি গবাদিপশু বেশি কোরবানি দেওয়া হয়েছে।এ বছর সবচেয়ে বেশি পশু কোরবানি হয়েছে ঢাকা বিভাগে এবং সবচেয়ে কম পশু কোরবানি হয়েছে ময়মনসিংহ বিভাগে।
মাঠ পর্যায় থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, ঢাকা বিভাগে ২৫ লাখ ২৯ হাজার ১৮২টি, চট্টগ্রাম বিভাগে ২০ লাখ ৫৭ হাজার ৫২০টি, রাজশাহী বিভাগে ২৪ লাখ ২৬ হাজার ১১১টি, খুলনা বিভাগে ১০ লাখ ৮ হাজার ৮৫৫টি, বরিশাল বিভাগে ৪ লাখ ২৮ হাজার ৪৩৮টি, সিলেট বিভাগে ৩ লাখ ৯৩ হাজার ৭৪২টি, রংপুর বিভাগে ১১ লাখ ৭২ হাজার ৫৫৩টি এবং ময়মনসিংহ বিভাগে ৩ লাখ ৯২ হাজার ৫১৭টি গবাদিপশু কোরবানি হয়েছে।
কোরবানি হওয়া গবাদিপশুর মধ্যে ৪৭ লাখ ৬৬ হাজার ৮৫৯টি গরু, ১ লাখ ১২ হাজার ৯১৮টি মহিষ, ৫০ লাখ ৫৬ হাজার ৭১৯টি ছাগল, ৪ লাখ ৭১ হাজার ১৪৯টি ভেড়া এবং ১ হাজার ২৭৩টি অন্যান্য পশু।
এর মধ্যে ঢাকা বিভাগে ১৩ লাখ ৩৭ হাজার ৯৫৪টি গরু, ৬ হাজার ৪৬৫টি মহিষ, ১০ লাখ ৯৪ হাজার ৮৭২টি ছাগল, ৮৯ হাজার ৯১টি ভেড়া ও অন্যান্য ৮শ’টি পশু, চট্টগ্রাম বিভাগে ১২ লাখ ১৭ হাজার ৭৪৭টি গরু, ৯১ হাজার ৮১০টি মহিষ, ৬ লাখ ৫২ হাজার ১৩০টি ছাগল, ৯৫ হাজার ৪৮৩টি ভেড়া ও অন্যান্য ৩৫০টি পশু।
রাজশাহী বিভাগে ৭ লাখ ২০ হাজার ৪৭২টি গরু, ৯ হাজার ৫৬৮টি মহিষ, ১৫ লাখ ৮৩ হাজার ৪৮৬টি ছাগল ও ১ লাখ ১২ হাজার ৫৭৭টি ভেড়া, অন্যান্য পশু ৮টি, খুলনা বিভাগে ২ লাখ ৭৯ হাজার ৯৬৭টি গরু, ১ হাজার ৫০৬টি মহিষ, ৬ লাখ ৬৯ হাজার ৭৩৫টি ছাগল, ৫৭ হাজার ৫৫৯টি ভেড়া ও অন্যান্য ৮৮টি পশু। বরিশাল বিভাগে ২ লাখ ৮০ হাজার ৩৭৭টি গরু, ১ হাজার ১টি মহিষ, ১ লাখ ২৬ হাজার ৮৬৩টি ছাগল ও ২০ হাজার ১৯০টি ভেড়া, অন্যান্য পশু ৭টি। সিলেট বিভাগে ২ লাখ ১ হাজার ১৪৩টি গরু, ১ হাজার ৩৫৮টি মহিষ, ১ লাখ ৭৩ হাজার ২২৩টি ছাগল ও ১৮ হাজার ১৪টি ভেড়া, অন্যান্য পশু ৪টি। রংপুর বিভাগে ৫ লাখ ৩৮ হাজার ৩৯৪ টি গরু, ৩০৪টি মহিষ, ৫ লাখ ৭৩ হাজার ৬১৬টি ছাগল, ৬০ হাজার ২২৮টি ভেড়া, অন্যান্য পশু ১১টি এবং ময়মনসিংহ বিভাগে ১ লাখ ৯০ হাজার ৮০৫টি গরু, ৯০৬টি মহিষ, ১ লাখ ৮২ হাজার ৭৯৪টি ছাগল ও ১৮ হাজার ৭টি ভেড়া, অন্যান্য পশু ৫টি কোরবানি দেওয়া হয়েছে। সূত্র বাসস