স্বত্ব © 2025 দৈনিক পত্রিকা |
সম্পাদক ও প্রকাশক: উবায়দুর রহমান, ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: মোঃ জুয়েল মিয়া প্রতিষ্ঠাতা: পি বা লিজন।সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয়- পাইকপাড়া,লোকনাথ দিঘীর পাড়,পৌর কমিউনিটি সেন্টার ২য় তলা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া।দৈনিক পত্রিকা অনলাইন নিউজ পোর্টাল। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের কর্তৃক নিবন্ধনের জন্য প্রক্রিয়া দিন।newsdainikpatrika@gmail.com মোবাইল নাম্বার 01751406352,01715958768
জুয়েল মিয়া, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
মাদকের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী জিরো টলারেন্স নীতির কথা বলেছেন। সেভাবেই আমরা কাজ করছি। মাছ গিয়ে মাদক আসাটা অনাকাঙ্ক্ষিত। বুধবার (১ মার্চ) দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দরে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) মহাপরিচালক মেজর জেনারেল একেএম নাজমুল হাসান বন্দর পরিদর্শনে এসে এসব কথা বলেন। সীমান্ত হত্যা সম্পর্কে তিনি বলেন কোন একটা জীবন মেরে ফেলুক এটা কারোরই কাঙ্ক্ষিত না। তারাও (বিএসএফ) চায় না, আমরাও চাই না। সবাই চায় সীমান্ত হত্যা কতটা নীচে নামিয়ে আনা যায়।তিনি আরো বলেন ডিজি লেভেলের সম্মেলনে আমরা অনেক ধরনের সমস্যা নিয়ে আলোচনা করি। সেই আলোচনায় আমরা অনেক সমস্যার সমাধান করছি। এগুলো (সীমান্ত হত্যা) আরো বেশি হতে পারতো। এগুলো আমরা কমিয়ে নিয়ে আসছি। তবে আমাদের চেস্টা থাকবে সীমান্ত হত্যা আরও কতটা নিচে নামিয়ে নিয়ে আসতে পারি।বিএসএফ এর বাঁধায় আখাউড়া ইমিগ্রেশন ভবন এবং কসবা রেলওয়ে স্টেশন এবং সালদা নদী সেতু নির্মাণ কাজ বন্ধ রয়েছে এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন ইমিগ্রেশন ভবনের বিষয়টি তাঁর জানা নেই। কসবা স্টেশন এবং সালদা নদী সেতুর বিষয়ে আমরা সর্বোচ্চ পর্যায়ে চেস্টা করছি। আমি দায়িত্ব নেয়ার পর বিএসএফের সাথে যোগাযোগ করেছি। আশা করছি খুব দ্রুত কাজ শুরু হবে। পরিদর্শন শেষে তিনি কসবায় যান।
জুয়েল মিয়া
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনে আ.লীগ মনোনীত প্রার্থী শাহজাহান আলম সাজু। উন্নয়নযজ্ঞে সরাইল – আশুগঞ্জের চেহারা বদলাতে চান তিনি। সাংবাদিক জুয়েল মিয়ার সাথে একান্ত সাক্ষাৎকারে স্মার্ট সরাইল- আশুগঞ্জ প্রতিষ্ঠা করবেন বলে মন্তব্য করে শাহজাহান আলম সাজু বলেন,এখানকার মানুষ মনে করে পরপর তিনবার আ.লীগ ক্ষমতায় আছে৷ এখানে দলীয় এমপি না থাকার কারনে উন্নয়ন বঞ্চিত হয়েছে। এই এলাকার রাস্তাঘাট, ব্রিজ কালভার্ট সবকিছু অচলযোগ্য হয়ে আছে৷ উন্নয়ন বলতে যেটা হওয়ার কথা ছিল, সারাদেশে যেটা হয়েছে, এমনকি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল আশুগঞ্জের বাইরে যারা এমপি হয়েছেন তারা প্রচুর কাজ করেছেন।এই কাজটা এই আসনে হয়নি। এখানে দল মত পথ সবাইকে নিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে হারানো ঐতিহ্যকে ফিরিয়ে আনবো।’
এলাকার মানুষ শান্তিতে থাকবে এবং উন্নয়নের অংশীদার হবে এমন প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করে তিনি আরও বলেন, ‘১৯৭৩ সালে বঙ্গবন্ধু ঘোষিত আশুগঞ্জ পেট্রো কেমিক্যাল কমপ্লেক্স বাস্তবায়ন করবো। এর ফলে আশুগঞ্জ ফার্টিলাইজারের মতো আরও এরকম বেশ কয়েকটি বড় বড় প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠবে।২০০ বছর আগে যে আজবপুর বন্দর ছিল সেটা নদীগর্ভে হারিয়ে এখন চিহ্নই নাই। সেই বন্দরটি ফিরিয়ে আনবো। আশুগঞ্জ থেকে অরুয়াইল পর্যন্ত একটি বেড়িবাঁধ করবো। বেড়িবাঁধটির অনেক কাজ ইতোমধ্যে আমি করে ফেলেছি, সার্ভে হয়ে গেছে। এখানে একটি মাল্টিপারপাস বাঁধ হবে, মেরিন ড্রাইভের মতো হবে৷ এখানে শতশত মেইল ফ্যাক্টরি গড়ে উঠবে। পর্যটন শিল্প গড়ে উঠবে।এখানে হাজার হাজার লোকের কর্মসংস্থান হবে৷ এখানে নতুন অর্থনীতির খাত তৈরি হবে৷ এখানে এই এলাকার লোকজনকে চাকরি দেয়া হবে।ফলে এলাকায় বেকার থাকবেনা। সমাজের বোঝা হয়ে থাকা বেকারগুলো যখন চাকরি পাবে তখন তারা সন্ত্রাসের পথ থেকে ফিরে আসবে। মাদক থেকে ফিরে আসবে। এতে এই এলাকার চেহারার বদল হয়ে যাবে। জনগণ বিগত নির্বাচনে আমাকে বিপুল ভোটে বিজয়ী করেছিল। ইনশাল্লাহ ৭ তারিখের নির্বাচনে বিপুল ভোটে বিজয়ী হবো। আমি বিশ্বাস করি সরাইল- আশুগঞ্জবাসীর সমস্যা তুলে ধরতে এবং জাতির উন্নয়নে আইন প্রনয়নে ভূমিকা রাখতে তারা আমাকে এই সুযোগটা দিবেন।সরজমিনে গেলে সরাইল- আশুগঞ্জের ভোটাররা জানান, সৎ, শিক্ষিত, চরিত্রবান ও জনসেবার মানসিকতাসম্পন্ন যোগ্য মানুষ জনপ্রতিনিধি হিসেবে নির্বাচিত হোক। যিনি সুখে-দুঃখে জনগণের পাশে থাকবেন, তাকেই ভোট দিয়ে নির্বাচিত করবেন। এলাকার রাস্তাঘাটের উন্নয়ন ও শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষায় বলিষ্ঠ ভূমিকা পালনে সক্ষম ব্যক্তিকেই ভোট দিবেন তারা। যারা নির্বাচনের সময় পায়ে ধরে, পাশ করার পর সাধারণ মানুষের উপর অত্যাচার করে, তাদের বর্জন করবেন। শাহজাহান সাজু একজন শিক্ষিত ক্লিন ইমেজের মানুষ।
উল্লেখ্য, গত ৫ নভেম্বর ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনে অনুষ্ঠিত উপনির্বাচনে শাহজাহান আলম সাজু নৌকার প্রার্থী হয়ে ৬১ হাজার ৮২৫ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী জাপার টানা দুইবারের সাবেক সংসদ সদস্য জিয়াউল হক মৃধা পান ৩৭ হাজার ৩৬১ ভোট। এর আগে ১৯৭৩ সালে এখানে নৌকা জয় পেয়েছিল।
জুয়েল মিয়া, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
বিদুৎ, গ্যাসের অস্বাভাবিক দাম বৃদ্ধি এবং নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় গণঅধিকার পরিষদের বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার সকাল ১১ঘটিকায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সামনে এ বিক্ষোভ সমাবেশ হয়। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি কাজী রাজীউর রহমান তানভীরের সঞ্চালনায় এসময় বক্তব্য রাখেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ছাত্র অধিকার পরিষদের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো.জুয়েল মিয়া,
জেলা যুব অধিকার পরিষদের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক হাসান ওবায়দুল্লাহ, জেলা শ্রমিক অধিকার পরিষদের সদস্য সচিব স্বপন আহমেদ, ছাত্র নেতা তাসকিন আহমেদ, সাদ্দাম হোসেন প্রমূখ।
বক্তারা বলেন, গত ১০বছর যাবৎ দেশে কোনো সুষ্ঠু নির্বাচন হচ্ছে না। জনগণ স্বাধীনভাবে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারছেনা৷ দিনের পরিবর্তে রাতেই ভোটের কাজ শেষ হয়ে যায়। বড় বড় প্রকল্প থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা হরিলুট চলছে। উপনির্বাচনে হিরো আলমের সাথে দুর্নীতি করে জোরপূর্বকভাবে তার বিজয় ছিনিয়ে নিয়েছে। আওয়ামিলীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন খেলা হবে। অথচ তিনি হিরো আলমের চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করতে পারেনি। জনগণ আজ দ্রব্য মূল্যের দাম বৃদ্ধির কারণে দিশেহারা হয়ে গেছে।
শেখ হাসিনা উন্নয়ন দিয়ে যদি জনগণের ভোট পেয়ে আবারও প্রধানমন্ত্রী হয় তাতে এদেশের জনগণের কোনো সমস্যা নাই। রাজবন্দিদের অচিরেই মুক্তি দিতে হবে, মামলা হামলার পথ ছেড়ে জনগণের দাবি মেনে নেন। অনতিবিলম্বে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের আয়োজন করেন। আওয়ামীলীগের জনপ্রিয়তা কতটুকু তা ক্ষমতা ছেড়ে দিয়ে সুষ্ঠু নির্বাচন করলেই প্রমাণ হবে। ২০পারসেন্ট ভোট পাবে কিনা সন্দেহ। চেতনা বিক্রি বন্ধ করুন, জনগণ সব বুঝে, জানে এবং দেখে। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল -আশুগঞ্জ আসনের উপনির্বাচনে বিএনপি থেকে বহিস্কৃত সাত্তারকে সমর্থন করে ২০শতাংশের মতো ভোট গ্রহণ দেখিয়ে এমপি নির্বাচন করতে হয় আওয়ামীলীগের।
সমাপনী বক্তব্যে জেলা ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি কাজী রাজীউর রহমান তানভীর বলেন,
মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে জানতে চাই, বাঁচার জন্য পেটে ভাত না থাকলে, উন্নয়ন দিয়ে কি হবে?
ঝুঁকিপূর্ণ চড়া সুদের বিদেশি ঋণের টাকায় আইওয়াশের উন্নয়ন বাদ দিয়ে, জনগণের কল্যাণে ভারসাম্যপূর্ণ টেকসই উন্নয়ন করুণ।
অর্থপাচার, লুটপাট, দুর্নীতি, অনিয়ম, ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেট রোধ করে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণে আনুন। জনগণের ভোটাধিকার, বাকস্বাধীনতা সহ মৌলিক অধিকার নিশ্চিতের জন্য হলেও নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধিনে নির্বাচন দিন।
অন্যথায় দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেলে, বাংলাদেশের জনগণ আর মানবেনা। বাংলাদেশের জনগণ সেই ১৯৪৮, ৫২, ৬৯ এবং ৭১ সালে স্বাধীনতা ছিনিয়ে আনার মাধ্যমে ইতিহাস রচনাকারী জাতি। তারা প্রয়োজনে আরও শত সহশ্র বার অন্যায়, অনিয়ম, অধিকার হরণের শৃঙ্খল ভেঙে স্বাধীনতা ফিরিয়ে এনে ইতিহাস রচনা করবে।
জুয়েল মিয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ার নবাগত ইউএনও রাবেয়া আক্তার যোগদান করেছেন। এর আগে তিনি জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে যোগদান করেন। যোগদান করার পর উপজেলার সকল দপ্তরের কর্মকর্তারা ফুলেল শুভেচ্ছা জানিয়ে নবাগত ইউএনওকে বরণ করে নেন।
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে সারাদেশে ইউএনও বদলী প্রক্রিয়ায় আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার অংগ্যজাই মারমাকে রাউজান উপজেলায় বদলী করা হয়। রাবেয়া আক্তারকে তাঁর স্থলাভিষিক্ত করা হয়।
জানা যায়, ইউএনও রাবেয়া আক্তার বিসিএস (এডমিন) ৩৪ তম ব্যাচের কর্মকর্তা। তিনি ঢাকা জেলার বাসিন্দা। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিন্যান্স এন্ড ব্যাংকিং বিষয়ে এমবিএ করেছেন। আখাউড়ায় যোগদানের আগে তিনি কুমিল্লার মেঘনা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা পদক ২০২৩ এ কুমিল্লা জেলার শ্রেষ্ঠ উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) নির্বাচিত হয়েছিলেন।