স্বত্ব © 2024 দৈনিক পত্রিকা |
সম্পাদক ও প্রকাশক: উবায়দুর রহমান, ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: মোঃ জুয়েল মিয়া প্রতিষ্ঠাতা: পি বা লিজন।সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয়- পাইকপাড়া,লোকনাথ দিঘীর পাড়,পৌর কমিউনিটি সেন্টার ২য় তলা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া।দৈনিক পত্রিকা অনলাইন নিউজ পোর্টাল। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের কর্তৃক নিবন্ধনের জন্য প্রক্রিয়া দিন।newsdainikpatrika@gmail.com মোবাইল নাম্বার 01751406352,01715958768
জুয়েল মিয়া
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনে আ.লীগ মনোনীত প্রার্থী শাহজাহান আলম সাজু। উন্নয়নযজ্ঞে সরাইল – আশুগঞ্জের চেহারা বদলাতে চান তিনি। সাংবাদিক জুয়েল মিয়ার সাথে একান্ত সাক্ষাৎকারে স্মার্ট সরাইল- আশুগঞ্জ প্রতিষ্ঠা করবেন বলে মন্তব্য করে শাহজাহান আলম সাজু বলেন,এখানকার মানুষ মনে করে পরপর তিনবার আ.লীগ ক্ষমতায় আছে৷ এখানে দলীয় এমপি না থাকার কারনে উন্নয়ন বঞ্চিত হয়েছে। এই এলাকার রাস্তাঘাট, ব্রিজ কালভার্ট সবকিছু অচলযোগ্য হয়ে আছে৷ উন্নয়ন বলতে যেটা হওয়ার কথা ছিল, সারাদেশে যেটা হয়েছে, এমনকি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল আশুগঞ্জের বাইরে যারা এমপি হয়েছেন তারা প্রচুর কাজ করেছেন।এই কাজটা এই আসনে হয়নি। এখানে দল মত পথ সবাইকে নিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে হারানো ঐতিহ্যকে ফিরিয়ে আনবো।’
এলাকার মানুষ শান্তিতে থাকবে এবং উন্নয়নের অংশীদার হবে এমন প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করে তিনি আরও বলেন, ‘১৯৭৩ সালে বঙ্গবন্ধু ঘোষিত আশুগঞ্জ পেট্রো কেমিক্যাল কমপ্লেক্স বাস্তবায়ন করবো। এর ফলে আশুগঞ্জ ফার্টিলাইজারের মতো আরও এরকম বেশ কয়েকটি বড় বড় প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠবে।২০০ বছর আগে যে আজবপুর বন্দর ছিল সেটা নদীগর্ভে হারিয়ে এখন চিহ্নই নাই। সেই বন্দরটি ফিরিয়ে আনবো। আশুগঞ্জ থেকে অরুয়াইল পর্যন্ত একটি বেড়িবাঁধ করবো। বেড়িবাঁধটির অনেক কাজ ইতোমধ্যে আমি করে ফেলেছি, সার্ভে হয়ে গেছে। এখানে একটি মাল্টিপারপাস বাঁধ হবে, মেরিন ড্রাইভের মতো হবে৷ এখানে শতশত মেইল ফ্যাক্টরি গড়ে উঠবে। পর্যটন শিল্প গড়ে উঠবে।এখানে হাজার হাজার লোকের কর্মসংস্থান হবে৷ এখানে নতুন অর্থনীতির খাত তৈরি হবে৷ এখানে এই এলাকার লোকজনকে চাকরি দেয়া হবে।ফলে এলাকায় বেকার থাকবেনা। সমাজের বোঝা হয়ে থাকা বেকারগুলো যখন চাকরি পাবে তখন তারা সন্ত্রাসের পথ থেকে ফিরে আসবে। মাদক থেকে ফিরে আসবে। এতে এই এলাকার চেহারার বদল হয়ে যাবে। জনগণ বিগত নির্বাচনে আমাকে বিপুল ভোটে বিজয়ী করেছিল। ইনশাল্লাহ ৭ তারিখের নির্বাচনে বিপুল ভোটে বিজয়ী হবো। আমি বিশ্বাস করি সরাইল- আশুগঞ্জবাসীর সমস্যা তুলে ধরতে এবং জাতির উন্নয়নে আইন প্রনয়নে ভূমিকা রাখতে তারা আমাকে এই সুযোগটা দিবেন।সরজমিনে গেলে সরাইল- আশুগঞ্জের ভোটাররা জানান, সৎ, শিক্ষিত, চরিত্রবান ও জনসেবার মানসিকতাসম্পন্ন যোগ্য মানুষ জনপ্রতিনিধি হিসেবে নির্বাচিত হোক। যিনি সুখে-দুঃখে জনগণের পাশে থাকবেন, তাকেই ভোট দিয়ে নির্বাচিত করবেন। এলাকার রাস্তাঘাটের উন্নয়ন ও শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষায় বলিষ্ঠ ভূমিকা পালনে সক্ষম ব্যক্তিকেই ভোট দিবেন তারা। যারা নির্বাচনের সময় পায়ে ধরে, পাশ করার পর সাধারণ মানুষের উপর অত্যাচার করে, তাদের বর্জন করবেন। শাহজাহান সাজু একজন শিক্ষিত ক্লিন ইমেজের মানুষ।
উল্লেখ্য, গত ৫ নভেম্বর ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনে অনুষ্ঠিত উপনির্বাচনে শাহজাহান আলম সাজু নৌকার প্রার্থী হয়ে ৬১ হাজার ৮২৫ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী জাপার টানা দুইবারের সাবেক সংসদ সদস্য জিয়াউল হক মৃধা পান ৩৭ হাজার ৩৬১ ভোট। এর আগে ১৯৭৩ সালে এখানে নৌকা জয় পেয়েছিল।
জুয়েল মিয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব, মহান মুক্তিযুদ্ধের বীর মুক্তিযোদ্ধা কণ্ঠ শিল্পী, তিতাস ললিতকলা একাডেমির প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ, বেতার এবং টেলিভিশন শিল্পী সেহেলি মাসুদ এর মৃত্যুতে শোকাহত শিল্পী বৃন্দের উদ্যোগে শোক সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেলে শহীদ ধীরেন্দ্র নাথ দত্ত ভাষা চত্বরে এ দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়। ব্রাহ্মণবাড়িয়া শিল্পী সংসদের সভাপতি আল আমীন শাহীনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক ফারুক আহমেদ পারুল ,সাংগঠনিক সম্পাদক শিল্পী শাহাদাৎ হোসেন সোহেল অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন। এসময় সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব , বাংলাদেশ টেলিভিশনের সঙ্গীত পরিচালক আলী মোসাদ্দেক মাসুদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সাহিত্য একাডেমির সভাপতি কবি জয়দুল হোসেন, জেলা শিল্পকলা একাডেমির সঙ্গীত প্রশিক্ষক পিযুষ কান্তি আচার্য্য,গীতিকার কবি দেওয়ান মারুফ, গীতিকার ইব্রাহিম খান সাদাত, সাগর মিউজিক প্লাস এর প্রতিষ্ঠাতা ফরিদ আহমেদ সাগর, বৈশাখী শিল্পিী গোষ্ঠীর সভাপতি মোহাম্মদ হোসেন, রঙ্গধনু স্টুডিওর সত্বাধিকারী শিল্পী দেবাশীষ দেবু, শ্যামা কাউসার, কণ্ঠ শিল্পী সেলিম রেজা,শিল্পী আলমগীর পলাশ, জেসমিন জাহান,গীতিকার নুসরাত জাহান জেরিন,পরিবারের পক্ষ থেকে শিল্পী এমিল মোরসালিন, শ্যামল আহমেদ,অ্যাড. দিলশাদ আরা, সঙ্গীত প্রশিক্ষক মণিকা আচার্য্য,বায়োজিদ বোস্তামি, সাথী ইসলাম , উর্মিলা প্রিয়া, সৈয়দ মারুফ, তাহজীব আহমেদ চৌধুরী, অমিত সহ পরিবারের সদস্যবৃন্দ ও শোকাহত শিল্পী বৃন্দ বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন। মোনাজাত পরিচালনা করেন শাহাদাত হোসেন সোহেল। সভায় বক্তারা বলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা কণ্ঠ শিল্পী সেহেলি মাসুদ মহান মুক্তিযুদ্ধ সহ সাংস্কৃতিক অঙ্গনে অনন্য ভূমিকা রেখে গেছেন। উনার অবদান স্মরনীয় হয়ে থাকবে। মাতৃসুলভ আচরণে সুপ্ত প্রতিভার বিকাশে কাজ করেছেন তিনি। উল্লেখ, গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তিনি ঢাকায় শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। গত বুধবার বাদ জোহর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মৌলভীপাড়াস্থ জামে মসজিদ সংলগ্ন ময়দানে মরহুমার নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজার পূর্বে বীর মুক্তিযোদ্ধা সেহেলি মাসুদকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদা দেয়া হয়।পরে শেরপুর গোরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।
জুয়েল মিয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ট্রেনের টিকিটসহ আমীন মিয়া (৩২) নামে এক কালোবাজারিকে আটক করা হয়েছে। এ সময় তার কাছে আন্তঃনগর ট্রেনের ১৫টি আসনের ছয়টি টিকিট পাওয়া গেছে। সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে থানা পুলিশ ফাঁড়ির এক অভিযানে তাকে আটক করা হয়। আটক হওয়া আমীন মিয়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকার পুনিয়াউটের বাচ্চু মিয়ার ছেলে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম আটকের ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, আমীন মিয়া সকাল নয়টার দিকে হাঁকডাক করে বেশি দামে টিকিট বিক্রি করছিলেন। এ সময় তাকে আটক করা হয়। কালোবাজারিতে টিকিট বিক্রির অভিযোগে তার বিরুদ্ধে আগেও একটি মামলা হয়। এখন আরেকটি নতুন মামলা দায়ের করার প্রস্তুতি চলছে।
মঙ্গলবার রাত ১২ টার দিকে শহরের ট্যাংকের উত্তরপাড় এলাকায় আজাদ অটোরিকশা গ্যারেজে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
সুমন মিয়া সদর উপজেলার মজলিশপুর ইউনিয়নের জাফরগঞ্জ গ্রামের মৃত রশদ আলীর ছেলে।
নিহতের পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সুমন মিয়া প্রতিদিনের মতো অটোরিকশা চালানো শেষে রাতে ওই গ্যারেজে তার অটোরিকশাটির ব্যাটারি চার্জ দিতে যান। এ সময় অসাবধানতা বশতঃ সে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়।
স্থানীয়রা সুমন মিয়াকে দ্রুত উদ্ধার করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিসক পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আসলাম হোসাইন জানান, মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় আইনানুগ কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
নিউজ ডেস্ক :ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপির সদস্য কবির আহমেদ ভুঁইয়া ও তার সহকারী আজাদের সন্ধান পাওয়া গেছে। হাত-চোখ বাঁধা অবস্থায় তাদের রাজধানীর মাতুয়াইল এলাকায় পাওয়া গেছে। গতকাল শুক্রবার ভোরে তাদের সেখানে পাওয়া যায়। এ সময় তাদের মুমূর্ষু দেখা গেছে।বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর সহকারী আরিফুর রহমান তুষার জানান, কবির আহমেদ ভুঁইয়া ও তার সহকারী আজাদের শরীরের বিভিন্ন স্থানে মারধরের চিহ্ন রয়েছে। তাদেরকে হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নেওয়া হয়েছে।উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার রাজধানীর উত্তরা এলাকা থেকে কবির আহমেদ ভুঁইয়াকে তুলে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ করেছিল বিএনপি।ডিএমপির একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা ইনকিলাবকে বলেন, এ বিষয়ে আমরা তদন্ত করে দেখছি। তাদের সাথে পুলিশের পক্ষ থেকে কথা বলা হবে। জড়িতদের শনাক্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে ওই কর্মকর্তা মন্তব্য করেন