স্বত্ব © 2025 দৈনিক পত্রিকা |
সম্পাদক ও প্রকাশক: উবায়দুর রহমান, ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: মোঃ জুয়েল মিয়া প্রতিষ্ঠাতা: পি বা লিজন।সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয়- পাইকপাড়া,লোকনাথ দিঘীর পাড়,পৌর কমিউনিটি সেন্টার ২য় তলা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া।দৈনিক পত্রিকা অনলাইন নিউজ পোর্টাল। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের কর্তৃক নিবন্ধনের জন্য প্রক্রিয়া দিন।newsdainikpatrika@gmail.com মোবাইল নাম্বার 01751406352,01715958768
এমন বিধান রেখে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি আইনটির রিপোর্ট সংসদে উপস্থাপন করেছে। এ ছাড়াও বিলের ৩২ নম্বর ধারা বাদ দেওয়াসহ কয়েকটি ধারায় শব্দগত পরিবর্তন আনার সুপারিশ করা হয়েছে।
রোববার জাতীয় সংসদে সাইবার নিরাপত্তা বিল-২০২৩ প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন কমিটির সদস্য রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক। এর আগে গত বৃহস্পতিবার কয়েকটি সাংবাদিক সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করে এসব সুপারিশ চূড়ান্ত করে কমিটি।
বিলে নতুন একটি ধারা যুক্ত করার সুপারিশ করা হয়েছে। এই ধারায় বলা হয়েছে, যদি কোনো ব্যক্তি অন্য কোনো ব্যক্তির ক্ষতিসাধনের উদ্দেশ্যে এই আইনের অন্য কোনো ধারার অধীন মামলা বা অভিযোগ দায়ের করার জন্য ন্যায্য বা আইনানুগ কারণ না জেনেও মামলা বা অভিযোগ দায়ের করেন বা করান, তাহলে তা হবে একটি অপরাধ। এই অপরাধে মামলা বা অভিযোগ দায়েরকারী ব্যক্তি এবং যিনি অভিযোগ দায়ের করিয়েছেন ওই ব্যক্তি মূল অপরাধটির জন্য যে দণ্ড নির্ধারিত রয়েছে সে দণ্ডে দণ্ডিত হবেন।
যদি এ আইনের একাধিক ধারায় কোনো মামলা বা অভিযোগ করেন, তাহলে ওই ধারায় বর্ণিত অপরাধগুলোর মধ্যে মূল অপরাধের জন্য যে দণ্ডের পরিমাণ বেশি হয় সেটাই দণ্ডের পরিমাণ হিসাবে নির্ধারণ করা যাবে।
বিলে আরও বলা হয়েছে, কোনো ব্যক্তির লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে ট্রাইব্যুনাল এই অপরাধের অভিযোগ গ্রহণ ও মামলার বিচার করতে পারবেন।
উল্লেখ্য, বিতর্কিত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন রহিত করে সাইবার নিরাপত্তা আইন করা হচ্ছে। ৫ সেপ্টেম্বর সাইবার নিরাপত্তা বিল সংসদে তোলা হয়। এরপর বিলটি পরীক্ষা করে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়।
বিলের ২১ ধারায় শব্দগত পরিবর্তন আনার সিদ্ধান্ত হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধ, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, জাতীয় সংগীত বা জাতীয় পতাকার বিরুদ্ধে কোনো প্রকার প্রপাগান্ডা ও প্রচারণা সংক্রান্ত অপরাধের কথা বলা আছে। এখানে ‘পতাকার বিরুদ্ধে কোনো প্রকার প্রপাগান্ডা’-এর স্থলে ‘পতাকা সম্পর্কে বিদ্বেষ, বিভ্রান্তি ও কুৎসামূলক’ শব্দ প্রতিস্থাপন করা হবে।
বিলের ৩২ ধারা বাতিল করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এই ধারায় অফিসিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্ট যুক্ত করা হয়েছিল। ডিজিটাল মাধ্যমে কেউ অফিসিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্টভুক্ত অপরাধ করলে তার সাজার বিধান করতে এটি যুক্ত করা হয়েছিল।
বিলের ৪২ ধারায় বিনা পরোয়ানায় তল্লাশি ও গ্রেফতারের ক্ষমতা দেওয়া আছে পুলিশকে। এখানে সংশোধনী এনে বলা হচ্ছে, এই ধারায় সাব-ইন্সপেক্টর পর্যায়ের কর্মকর্তার জায়গায় পুলিশ পরিদর্শক (ইন্সপেক্টর) পর্যায়ের কর্মকর্তা বিনা পরোয়ানায় তল্লাশি ও গ্রেফতার করতে পারবেন।
বিলের ৮ ধারায়ও সংশোধনী আনা হচ্ছে। ডিজিটাল মাধ্যম থেকে তথ্য-উপাত্ত অপসারণ করার ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে এই ধারায়। এখানে আগে বলা ছিল যদি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ‘প্রতীয়মান’ হয় ডিজিটাল বা ইলেকট্রনিক মাধ্যমে প্রকাশিত বা প্রচারিত কোনো তথ্য-উপাত্ত দেশের বা এর কোনো অংশের সংহতি, অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড, নিরাপত্তা, প্রতিরক্ষা, ধর্মীয় মূল্যবোধ বা জনশৃঙ্খলা ক্ষুণ্ন করে বা জাতিগত বিদ্বেষ ও ঘৃণার সঞ্চার করে, তাহলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ওই তথ্য-উপাত্ত অপসারণ করার জন্য মহাপরিচালকের মাধ্যমে বিটিআরসিকে অনুরোধ করতে পারবে।
এখানে ‘প্রতীয়মান’ শব্দের জায়গায় ‘তথ্য-উপাত্ত বিশেষণ সাপেক্ষে, বিশ্বাস করার কারণ থাকে যে’ প্রতিস্থাপন করা হবে।
জুয়েল মিয়া,নিজস্ব প্রতিনিধি
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, নির্বাচন নিয়ে অতীতে বিএনপি ও তাদের হোতারা তামাশা করেছে। আওয়ামী লীগ কোনো দিন নির্বাচন নিয়ে তামাশা করে নাই এবং ভবিষ্যতে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন সঠিকভাবে করে দেবে মঙ্গলবার(২৭ জুন)সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া রেলওয়ে জংশন স্টেশনে এসব কথা বলেন তিনি।
গণতন্ত্র ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে সরকার তামাশা করছেন, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের করা এমন মন্তব্যের জবাবে আনিসুল হক বলেন, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের অভ্যাস হচ্ছে উদ্ভট উদ্ভট কথা বলা। আর নির্বাচন নিয়ে বিএনপি এবং বিএনপির যারা হোতা তারাই তামাশা করছেন অতীতে।এ সময় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসক মো. শাহগীর আলম, পুলিশ সুপার সাখাওয়াত হোসেন, কসবা উপজেলা চেয়ারম্যান রাশেদুল কাওসার ভূঁইয়া জীবন, আখাউড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ আলী চৌধুরী, , সাধারণ সম্পাদক তাকজিল খলিফা কাজল, পৌর যুবলীগের সভাপতি মনির খান, ছাত্রলীগের সভাপতি শাহাবুদ্দিন বেগ শাপলু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক ঢাকা থেকে আন্তনগর মহানগর প্রভাতি ট্রেনযোগে আখাউড়া রেলওয়ে জংশন স্টেশন পৌঁছালে স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা তাকে ফুল দিয়ে অভ্যর্থনা জানান। এ সময় তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার নিজের পক্ষ থেকে ঈদের শুভেচ্ছা জানান। কসবা ও আখাউড়ায় বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশ নেওয়ার কথা রয়েছে মন্ত্রীর।
জুয়েল মিয়া
ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় কুমার ভার্মা ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ নৌ-বন্দর উন্নয়ন ও সরাইল-ধরখার-আখাউড়া বন্দর পর্যন্ত চার লেনের মহাসড়ক প্রকল্প পরিদর্শন করেছেন। সোমবার(২৪জুলাই) দুপুরে প্রকল্প পরিদর্শনে এসে প্রণয় কুমার ভার্মা বলেন, ‘প্রকল্পটি আমাদের দুই দেশের সাধারণ মানুষের মধ্যে যোগাযোগব্যবস্থা আরও সহজ করবে। অর্থনৈতিক দিক থেকেও অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে সম্পর্ক উন্নয়নের ক্ষেত্রে প্রকল্পটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’ভারতীয় হাইকমিশনার আরও বলেন, ’আজ এখানে এসেছি ভারতীয় লাইন অব ক্রেডিটের মাধ্যমে চার লেনের জাতীয় মহাসড়ক প্রকল্পের কাজের গতিবিধি কেমন চলছে দেখার জন্য। প্রকল্পটি দ্রুত শেষ করতে আমাদের আরও কি করণীয়, এই পরিদর্শনে সহজে বুঝতে পারব। সামনের দিনগুলোতে আমাদের দুই দেশের সম্পর্ক যেভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে, সে বিবেচনায় আমরা চেষ্টা করছি প্রকল্পের কাজ যত দ্রুত সম্ভব শেষ করতে।’ তিনি আরও বলেন, ’আমি খুবই খুশি, এখানকার সাধারণ মানুষজন খুবই আন্তরিকতার সঙ্গে আমাদের সহযোগিতা করেছেন; যেন আমরা প্রকল্পের কাজ সুন্দরভাবে শেষ করতে পারি।’ প্রকল্প পরিদর্শনের সময় সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এবিএম আমিন উল্লাহ নূরীর নেতৃত্বে ১৮ সদস্যের বাংলাদেশের একটি প্রতিনিধিদল উপস্থিত ছিলেন।এর আগে দুপুরে ভারতীয় হাইকমিশনার আশুগঞ্জ নৌ-বন্দর হয়ে সড়কপথে আখাউড়া স্থলবন্দরে এসে পৌঁছান। এ সময় আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অংগ্যজাই মারমা ও স্থলবন্দরের সহকারী পরিচালক মো. আতিকুল ইসলামসহ অন্য কর্মকর্তারা তাকে স্বাগত জানান।
আশরাফুল ইসলাম সুমন।
আগামীকাল ১ ফ্রেব্রুয়ারি জাতীয় সংসদ উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) উপ-নির্বাচনে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে সব ধরণের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে প্রশাসন। ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনে পাঁচজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। এই আসনে দু’বারের সাবেক সাংসদ অ্যাড. জিয়াউল হক মৃধা সরে দাঁড়ানোয় মূলত প্রতিদ্বন্দ্বী এখন চারজন। বিএনপি থেকে গতবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়া এই আসনে ৫ বারের সাংসদ স্বতন্ত্র প্রার্থী উকিল আব্দুস সাত্তার ভূঁইয়া (কলারছড়ি প্রতীক), জাতীয় পার্টির প্রার্থী আ.হামিদ ভাসানী (লাঙ্গল প্রতীক), আশুগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান বিএনপির বহিষ্কৃত নেতা আবু আসিফ আহমেদ (মোটরগাড়ি প্রতীক), জাকের পার্টির জহিরুল ইসলাম জুয়েল (গোলাপ ফুল প্রতীক) নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন। জেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা যায়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনটি দুই উপজেলার (সরাইল-আশুগঞ্জ) ১৭টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত। এর মাঝে সরাইলে ৯টি এবং আশুগঞ্জে ৮টি ইউনিয়ন রয়েছে। মোট ভোটার সংখ্যা ৩ লাখ ৭৩ হাজার ৩১৩ জন। সরাইল উপজেলায় ভোটার রয়েছে ২ লাখ ৪১ হাজার ৭৯টি। অপরদিকে আশুগঞ্জ উপজেলার ভোটার ১ লাখ ৩২ হাজার। দুই উপজেলায় মোট কেন্দ্র ১৩২টি। সরাইলে ৮৪টি কেন্দ্র এবং আশুগঞ্জে ৪৮টি কেন্দ্র রয়েছে। এদিকে প্রশাসন শান্তিপূর্ণ এবং উৎসবমুখর পরিবেশে নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে ব্যাপক প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছেন। নির্বাচনে সংসদীয় আসনে অফিসারসহ ১ হাজার ১’শ পুলিশ মোতায়েন করার কথা রয়েছে। এছাড়া র্যাবের ৯টি টিম, ৪ প্লাটুন বিজিবি সদস্য, পুলিশের ৯টি মোবাইল টিম ও ৪টি স্ট্রাইকিং ফোর্স থাকবে। প্রতিটি ভোট কেন্দ্রে নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করবে ৩ জন পুলিশ, ২ জন অস্ত্রধারী আনসার, লাঠিধারী ১০ জন আনসার, ২ জন গ্রাম পুলিশ, ১৭ ইউনিয়নে ১৭ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এবং ২ জন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট। এব্যাপারে জেলা নির্বাচন অফিসার ও উপ-নির্বাচনে সহকারী রিটার্নিং অফিসার জিল্লুর রহমান বলেন, ‘সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠানে লক্ষ্যে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সবরকম প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। বুধবার সকাল সাড়ে ৮টা থেকে বিকাল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। ইভিএমের মাধ্যমে ভোটগ্রহণ হবে’। নির্বাচনের বিষয়ে পুলিশ সুপার মোঃ শাখাওয়াত হোসেন বলেন, ‘কোনো রকম বিশৃঙ্খলা সহ্য করা হবে না। কেও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে’। উল্লেখ্য এই আসনে আওয়ামী লীগ কোনো প্রার্থী না দিয়ে উন্মুক্ত করে দিয়েছে। কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি, জেলা আ.লীগ সাধারণ সম্পাদক যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা আল-মামুন সরকার, সংরক্ষিত নারী আসনের সাংসদ এবং সরাইল উপজেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক শিউলী আজাদ, জেলা আ.লীগের সাবেক যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মঈনউদ্দিন মঈনসহ আওয়ামী লীগের সহযোগী ও অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীরা বিএনপির বহিষ্কৃত নেতা স্বতন্ত্র প্রার্থী উকিল আব্দুস সাত্তারের (কলার ছড়ি প্রতীক) পক্ষে নির্বাচনী প্রচারণায় অংশগ্রহণ করেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ আজ গণমাধ্যমকর্মীদের প্রয়োজনের সময় তাদেরকে আর্থিক সহায়তা প্রদানের জন্য আওয়ামী লীগ সরকার কর্তৃক গঠিত বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টকে (বিজেডব্লিউটি) আরও ১০ কোটি টাকা অনুদান দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে বিএফইউজে-বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের প্রতিনিধি সম্মেলন-২০২৩-এ প্রধানমন্ত্রী এ ঘোষণা দেন। শেখ হাসিনা আরো বলেন, ‘যেহেতু আমি এটি (বিজেডব্লিউটি) প্রতিষ্ঠা করেছি এবং আবার এখানে এসেছি। তাই আমি বিজেডব্লিউটিকে আরও ১০ কোটি টাকা অনুদান দেব।তিনি বলেন, তিনি দেশের সাংবাদিকদের উন্নয়নের জন্য বিজেডব্লিউটি গঠন করার সময় একটি প্রথমিক তহবিল দিয়েছিলেন।
অনেক ধনাঢ্য ব্যক্তির বিজেডব্লিউটি-কে অর্থ দেওয়ার কথা থাকলেও খুব কম লোকই তা দিয়েছে- উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমি জানি কারা এই অর্থ দিয়েছে।’প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৪ সালে ৫ কোটি টাকার প্রাথমিক তহবিল দিয়ে এই ট্রাস্ট ফান্ড চালু করেন। পরে বিভিন্ন সময়ে তিনি এই তহবিলে আরও অনুদান দেন।বিএফইউজে প্রতিনিধি সম্মেলনে তাঁর বক্তব্যে শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার সাংবাদিকদের কল্যাণকে অগ্রাধিকার দিয়েছে।প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, ‘আমরা সাংবাদিক সহায়তা কর্মসূচিকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে ‘সাংবাদিক সহায়তা ভাতা ও অনুদান নীতি-২০১২’ এবং ‘বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট আইন-২০১৪’ প্রণয়ন করেছি।তিনি বলেন, এ আইনে একটি ট্রাস্টি বোর্ড গঠন করা হয়েছে।২০১৮ সালের অক্টোবর মাসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টকে ২০ কোটি টাকা অনুদান দেন।শেখ হাসিনা বলেন, ২০১৫-২০১৬ অর্থবছর থেকে ২০২৩ সালের জুন পর্যন্ত ৩,৪৩৩ জন সাংবাদিক ও সাংবাদিক পরিবারের মাঝে কল্যাণ অনুদান হিসাবে মোট ২৯ কোটি ৮১ লাখ ৫০ হজার টাকা বিতরণ করা হয়েছে। তিনি বলেন, এছাড়াও, কোভিড-১৯ এর সময়ের প্রথম পর্যায়ে, বিজেডব্লিউটি ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে সারাদেশে ক্ষতিগ্রস্ত ৩,৩৫০ জন সাংবাদিকদের মধ্যে ৩.৩৫ কোটি টাকা বিতরণ করেছে। দ্বিতীয় পর্যায়ে ২০২০-২০২১, ২০২১-২০২২ ও ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে সরকার করোনায় আক্রান্ত সাংবাদিকদের জন্য বিজেডব্লিউটি থেকে আরও ১০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে।এ পর্যন্ত করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত মোট ৬,৭২৭ জন সাংবাদিককে মোট ৬ কোটি ৭২ লাখ ৭০ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে। এতে প্রত্যেকে প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ আর্থিক সহায়তায় ১০,০০০ টাকা পেয়েছেন। সূত্রঃ বাসস
নিউজ ডেস্ক : পাঠ্যপুস্তকের ভুলভ্রান্তি নিয়ে আলোচনা-সমালোচনার মধ্যে ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির দুটি বই পাঠদান থেকে প্রত্যাহার করে নিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় এর জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড।
এবার স্কুলে এগুলো না পড়াতে নির্দেশনা দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)। দেশের সব মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের কাছে এ নির্দেশনা পাঠানো হয়েছে।
মাউশির বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির ‘ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান’ বিষয়ের ‘অনুসন্ধানী পাঠ’ পাঠ্যপুস্তক দুটি প্রত্যাহার করা হয়েছে। এ বিষয় দুটির ‘অনুশীলনী পাঠ’ ও ষষ্ঠ শ্রেণির ‘বিজ্ঞান অনুসন্ধানী পাঠ’ পাঠ্যপুস্তকগুলোর কতিপয় অধ্যায়ের প্রয়োজনীয় সংশোধন করে পাঠদান করাতে বলা হয়েছে। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হয়েছে।
১০ ফেব্রুয়ারি এনসিটিবি’র চেয়ারম্যান প্রফেসর মো. ফরহাদুল ইসলামের সই করা এ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২০২৩ শিক্ষাবর্ষের ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির জন্য প্রণীত ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান বিষয়ের ‘অনুসন্ধানী পাঠ’ পাঠ্যপুস্তক দুটি পাঠদান থেকে প্রত্যাহার করা হলো। ওই দুই শ্রেণির ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান বিষয়ের ‘অনুশীলনী পাঠ’ এবং ষষ্ঠ শ্রেণির বিজ্ঞান ‘অনুসন্ধানী পাঠ’ বই দুটিরও কতিপয় অধ্যায়ের প্রয়োজনীয় সংশোধন করা হবে। সংশোধনীগুলো শিগগির শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে অবহিত করা হবে।
তবে কী কারণে বই দুটি প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে সেই বিষয়ে এনসিটিবি কোনো ব্যাখ্যা দেয়নি।