স্বত্ব © 2024 দৈনিক পত্রিকা |
সম্পাদক ও প্রকাশক: উবায়দুর রহমান, ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: মোঃ জুয়েল মিয়া প্রতিষ্ঠাতা: পি বা লিজন।সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয়- পাইকপাড়া,লোকনাথ দিঘীর পাড়,পৌর কমিউনিটি সেন্টার ২য় তলা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া।দৈনিক পত্রিকা অনলাইন নিউজ পোর্টাল। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের কর্তৃক নিবন্ধনের জন্য প্রক্রিয়া দিন।newsdainikpatrika@gmail.com মোবাইল নাম্বার 01751406352,01715958768
জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে ৩১ আগস্ট সন্ধ্যায় শিবপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের উত্তর-পূর্ব পাশে মাটির রাস্তায় বর্বর এ ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী নারীর নাম মোছা. নাছিমা আক্তার। তিনি শিবপুর কলেজ পাড়ার মলাই মিয়ার মেয়ে। মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানকার চিকিৎসকরা ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে পাঠান। নাছিমা এখন ওই হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছেন।
এ ঘটনায় শিবপুর ইউনিয়নের আকুবপুর গ্রামের নূরুল ইসলামের ছেলে মোছা মিয়াকে প্রধান আসামি করে ১৬ জন নামের থানায় মামলা হয়েছে। তবে পুলিশ কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না বলে আভিযোগ ভুক্তভোগী পরিবারের।
জানা যায়, স্ত্রী ও ৬ মেয়ে নিয়ে শিবপুর কলেজপাড়ায় নিজ বাড়িতে বসবাস করে আসছেন মলাই মিয়া। তিনি ও তার স্ত্রী বর্তমানে খুবই অসুস্থ। একটি জমি ক্রয়-বিক্রয় নিয়ে পরিবারটির সঙ্গে মোছা মিয়ার বিরোধ চলে আসছিল। শিবপুর ইউনিয়ন সদরে নাছিমাদের ১১ শতক জমি রয়েছে। ওই জমি ক্রয় করতে চান মোছা মিয়া। এজন্য নাছিমাকে প্রস্তাবও দিয়েছেন। কিন্তু নাছিমা জমি বিক্রি করতে রাজি না হওয়ায় ক্ষিপ্ত হন মোছা মিয়। এর জেরেই তার ওপর হামলা চালানো হয়।
ভুক্তভোগী নাছিমা জানান, মোছা মিয়া এলাকায় অহসায় এতিমদের জমি জবরদখল, সন্ত্রাসসহ নানা অপকর্মে জড়িত। এখন সে আমাদের জমি কিনতে চাচ্ছেন। রাজি না হওয়ায় সে প্রকাশ্যে ঘোষণা দেয়, যে কোনো মূল্যে ওই জমি দখল করবে। সেই পরিকল্পনার অংশ হিসাবে হত্যার উদ্দেশ্যে আমার ওপর হামলা করা হয়েছে।
নাছিমা বলেন, হামলাস্থল থেকে দেশীয় অস্ত্র উদ্ধারের সময় পড়ে থাকা আমার মোবাইল ফোনটি শিবপুর ফাঁড়ি পুলিশ নিয়ে গেছে। মঙ্গলবার রাতে থানায় অভিযোগ দেওয়া হলেও এখন পর্যন্ত আসামিদের ধরার কোনো ব্যবস্থা নেয়নি পুলিশ।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলেন মোছা মিয়া বলেন, ‘আমি এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত নই। উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে আমাকে ফাঁসাতে আসামি করা হয়েছে।
থানার অফিসার ইনচার্জ মাহবুব আলম জানান, অভিযোগ পেয়েছি। আইনি প্রক্রিয়ায় যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এদিকে বুধবার বিকালে উপজেলা নির্বাহী অফিসার একটি অনুষ্ঠানে শিবপুর গেলে নাছিমার মা হোছনে আরা তার কাছে বিষয়টি তুলে ধরে ন্যায়বিচার দাবি করেন। এ সময় নির্বাহী অফিসার তানভীর ফরহাদ শামিম ন্যায়বিচারের আশ্বাস দেন।
জুয়েল মিয়া, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি, টেলিভিশন জার্লালিষ্ট এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক, চ্যানেল টুয়েন্টি ফোর এবং দৈনিক জনকণ্ঠের স্টাফ রিপোর্টার রিয়াজ উদ্দিন জামির মৃত্যুতে তিনদিনের শোক কর্মসূচী ঘোষণা করেছে প্রেসক্লাব। কর্মসূচীর মধ্যে মঙ্গল, বুধ ও বৃহস্পতিবার প্রেস ক্লাব ভবনে কালো পতাকা উত্তোলন। সংবাদকর্মীদের কালো ব্যাচ ধারন।৩ দিনের শোক শেষে ৯ মার্চ বৃহস্পতিবার বাদ আসর প্রেসক্লাব মিলনায়তনে মরহুমের আত্মার মাগফেরাত কামনায় মিলাদ ও দোয়া মাহফিল। ১০ই মার্চ শুক্রবার বাদ জুম্মা সংবাদকর্মীদের উদ্দ্যেগে শহরের প্রত্যেক মসজিদে দোয়ার আয়োজন।
রিয়াজ উদ্দিন জামির মৃত্যুতে সুধীজনদের অনুভুতি প্রকাশের জন্য শোক বই খোলা হয়েছে। উল্লেখ্য, সোমবার (০৬ মার্চ) রাত সাড়ে ১১টার দিকে ভারতের মুম্বাই টাটা মেমোরিয়াল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৫০ বছর। তিনি দুই ছেলে, স্ত্রী ও আত্মীয় স্বজনসহ অসংখ্য গুনগ্রাহী রেখে গেছেন।উল্লেখ্য, সাংবাদিক নেতা রিয়াজ উদ্দিন জামি দীর্ঘ ছয় মাস ধরে ক্যান্সার রোগের চিকিৎসা নিচ্ছিলেন।তার ছোট ভাই শিহাব উদ্দিন বিপু জানান, মরদেহ ভারত থেকে আসার পর পারিবারিক সিদ্ধান্তে নামাজের জানাযা সময় নির্ধারণ করা হবে। এ দিকে রিয়াজ উদ্দিন জামির মৃত্যুর সংবাদ শুনে তাঁর বাসায় সহকর্মী সাংবাদিকবৃন্দ, আত্মীয়স্বজনসহ শোকার্ত মানুষের ঢল নামে। তাঁর মৃত্যুতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রিপোর্টার্স ক্লাব ৫ দিনের শোক কর্মসূচী ঘোষণা করে কালো ব্যাচ ধারন করেন। তাঁর রুহের মাগফেরাত কামনায় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ব্রাহ্মণবাড়িয়া বাতিঘরের উদ্যোগে কোরআন খতম কর্মসূচী নেওয়া হয়েছে। এছাড়া তাঁর রুহের মাগফেরাত কামনা করে সম্মানিত সকল সাংবাদিকদের নিজ নিজ মহল্লার মসজিদে মঙ্গলবার বাদ এশা দোয়ার আয়োজন করার জন্য বিনীত অনুরোধ করেন বাংলাদেশ প্রতিদিনের জেলা প্রতিনিধি সাংবাদিক মোশাররফ হোসেন বেলাল।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে স্বামীর সঙ্গে অভিমান করে রত্না বেগম (২০) নামে এক গৃহবধূ গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে।বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর)দুপুরে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করেছে পুলিশ। গতকাল বিকালে উপজেলার কালিকচ্ছ ইউনিয়নের কালিকচ্ছ গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।রত্না বেগম উপজেলার কালিকচ্ছ ইউনিয়নের কালিকচ্ছ গ্রামের দক্ষিণ পাড়ার মরম আলীর মেয়ে ও বিজয়নগর উপজেলার চম্পকনগর ইউনিয়নের চম্পকনগর গ্রামের রমজান মিয়ার স্ত্রী।পরিবার ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ৩ মাস আগে রত্না বেগমকে বিজয়নগর উপজেলার চম্পকনগর ইউনিয়নের চম্পকনগর গ্রামের রমজান মিয়ার কাছে পারিবারিক ভাবে বিয়ে দেন। বিয়ের পর থেকে রত্নাকে যৌতুকের টাকার জন্য একাধিকবার স্বামীর মার খেতে হয়েছে। দুদিন আগে ৪০ হাজার টাকার জন্য রত্নাকে ফোনে গালাগালি করে রমজান মিয়া,পরে রমজানের সঙ্গে অভিমান করে রত্না শোবার ঘরের সিলিংয়ে ওড়না পেছিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন।ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ এমরানুল ইসলাম জানান, পারিবারিক কলহের জেরে এক গৃহবধূ আত্মহত্যা করেছে। লাশ ময়নাতদন্ত শেষে নিহতের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছি। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসলে মৃত্যুর সঠিক কারন বলা যাবে।
৮ ডিসেম্বর ব্রাহ্মণবাড়িয়া মুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে মুক্তিবাহিনী ও মিত্রবাহিনী সদস্যরা ব্রাহ্মণবাড়িয়াকে মুক্ত ঘোষণা করে।জানা যায়, ১৯৭১ সালের ৬ ডিসেম্বর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলাকে হানাদারমুক্ত করার পর মুক্তিযোদ্ধাদের একটি অংশ ও মিত্রবাহিনীর ৫৭তম মাউন্টের ডিভিশন ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের দিকে অগ্রসর হয়। মুক্তিবাহিনী ও মিত্রবাহিনী সদস্যরা চারপাশে শক্ত অবস্থানে থাকায় হানাদার বাহিনী পিছু হটতে থাকে। তবে পালিয়ে যাওয়ার সময় ৬ ডিসেম্বর রাজাকারদের সহায়তায় নির্মম হত্যাযজ্ঞ চালায় পাক হানাদার বাহিনী। পরে ৮ ডিসেম্বর বিনাযুদ্ধেই মুক্তিবাহিনী ও মিত্রবাহিনী সদস্যরা ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরে প্রবেশ করে ব্রাহ্মণবাড়িয়াকে মুক্ত ঘোষণা করে।এদিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া মুক্ত দিবস যথাযোগ্য মর্যাদায় পালনে নানা কর্মসূচী পালন করা হয়েছে। শুক্রবার সকাল ১০ টায় জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে শহরের কাউতলীস্থ শহিদ মুক্তিযোদ্ধাদের স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করা হয়। পরে স্থানীয় বঙ্গবন্ধু স্কয়ারে সংসদ সদস্য র,আ,ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীসহ জেলা আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দ, বীর মুক্তিযোদ্ধাসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠন ও নানা শ্রেণী পেশার মানুষ পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। পুষ্পস্তবক অর্পণশেষে জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের উদ্যোগে শহরের আলাউদ্দিন সঙ্গীতাঙ্গণে মুক্ত দিবসের তাৎপর্য নিয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার সলিমগঞ্জ ইউনিয়নের কাদৈর গ্রামের এন্তাজ মিয়ার ছেলে অটোরিকশা চালক আরাফাত হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে নারায়ণগঞ্জে অভিযান চালিয়ে ছিনতাই হওয়া অটোরিকশাসহ তিনজনকে গ্রেফতার করেছে নবীনগর থানা পুলিশ। গ্রেফতারকৃতরা হলেন নবীনগর উপজেলার রতনপুর গ্রামের মাঈনুদ্দিন, আড়াই হাজার থানার ইসাক মিয়া ও সোনারগাঁও থানার হোসেন মাহমুদ। গত বুধবার দুপুরে নবীনগর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো.সিরাজুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।