স্বত্ব © 2025 দৈনিক পত্রিকা |
সম্পাদক ও প্রকাশক: উবায়দুর রহমান, ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: মোঃ জুয়েল মিয়া প্রতিষ্ঠাতা: পি বা লিজন।সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয়- পাইকপাড়া,লোকনাথ দিঘীর পাড়,পৌর কমিউনিটি সেন্টার ২য় তলা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া।দৈনিক পত্রিকা অনলাইন নিউজ পোর্টাল। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের কর্তৃক নিবন্ধনের জন্য প্রক্রিয়া দিন।newsdainikpatrika@gmail.com মোবাইল নাম্বার 01751406352,01715958768
জানা গেছে, বাড়িতে মা কাজে ব্যস্ত থাকার সময় ওই দুই শিশু পুকুরপাড়ে খেলতে যায়। একপর্যায়ে তারা পানিতে পড়ে যায়। পরে তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিলে ডাক্তার মৃত ঘোষণা করেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মানে জেলা প্রশাসন ও বিআরটিএ’র উদ্যোগে একই দিনে ড্রাইভিং লাইসেন্স পরীক্ষা ও বায়োমেট্টিক গ্রহন উদ্বোধন করা হয়েছে।মঙ্গলবার (১৪ মার্চ) দুপুর ১২টায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক মো. শাহগীর আলম।অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট (এডিএম) হেলেনা পারভীনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড এপস) এ.এইচ.এম. কামরুল ইসলাম, সড়ক ও জনপথ, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নির্বাহী প্রকৌশলী নিজাম উদ্দিন আহমেদ, সিভিল সার্জনের প্রতিনিধি ডা. মাহমুদুল হাসান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের (টিটিসি) অধ্যক্ষ ওয়ালিওল্লাহ মোল্লা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মো. বাহারুল ইসলাম মোল্লা, জেলা ট্রাক মালিক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান তানিম, জেলা নাগরিক ফোরামের সভাপতি সাংবাদিক পিযুষ কান্তি আচার্য, সাংবাদিক শাহাদাৎ হোসেন, ট্রাফিক ইন্সপেক্টর দেবব্রত কর।স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিআরটি’র ব্রাহ্মণবাড়িয়া সার্কেলের সহকারি পরিচালক আবু আশরাফ সিদ্দিকী।
অনুষ্ঠানে ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য আসা পরীক্ষার্থী সদর উপজেলার সুলতানপুর গ্রামের আবদুল কাইয়ূম বলেন, আগে ফরম পূরণ করে ব্যাংকে গিয়ে সারিতে দাঁড়িয়ে টাকা জমা দিতে হতো। পরে বিআরটিএ’র কার্যালয়ে নথিপত্র জমা দিয়ে অপেক্ষা করতাম। ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য ওই কার্যালয়ে ১০/১২বার যেতে হতো। কিন্তু এবারই প্রথম একদিনে ড্রাইভিং লাইসেন্স পরীক্ষা ও বায়োমেট্রিক গ্রহন করা হয়েছে। এতে ভোগান্তি কমবে।
পরীক্ষার্থী ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের অর্থনীতি বিভাগের মাস্টার্স প্রথম বর্ষের ছাত্র সুজন ভূইয়া বলেন, তিনি জাপানি ভাষা শিখেছি। আগে দালালের মাধ্যমে ছোট ভাইয়ের ড্রাইভিং লাইসেন্স করেছি। এবার দালালের কাছে যেতে হয়নি। গত সোমবার মুঠোফোনে পরীক্ষার বার্তা পেয়েছি। মঙ্গলবার সকালে এসে পরীক্ষা ও বায়োমেট্রিক দিয়েছি।প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক মো. শাহগীর আলম বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মানে একই দিনে ড্রাইভিং লাইসেন্স পরীক্ষা ও বায়োমেট্টিক গ্রহন সরকারের একটি ভালো উদ্যোগ। সড়ক পরিবহন ও যোগাযোগ ব্যবস্থায় এটি একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ।
তিনি বলেন, সড়ক, মহাসড়কে শৃংখলা ফিরিয়ে আনতে ও দুর্ঘটনারোধে নিয়মিত মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হবে। তিনি দুর্ঘটনারোধে স্কুল-কলেজে প্রচারিভিযান করতে বিআরটিএ’র কর্মকর্তাদের প্রতি আহবান জানান।
জেলা প্রশাসক মো. শাহগীর আলম আরো বলেন, সরকার দুর্ভোগ কমাতে এই উদ্যোগ গ্রহন করেছে। সবাইকে বিষয়টি জানতে হবে যে, হয়রানি ও দুর্ভোগ ছাড়াই একদিনে লাইসেন্সের পরীক্ষা ও বায়োমেট্রিক গ্রহন করা হয়। কেউ লাইসেন্সের জন্য কোনো বাড়তি টাকা দাবি করলে বিষয়টি তাঁকে জানানোর জন্য তিনি পরীক্ষার্থীদের বলেন।অনুষ্ঠানে ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য ৬০ জন পরীক্ষার্থী অংশ গ্রহন করেন।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, জনি মিয়া ও আওয়াল মিয়া রাতে তালশহর বাজার থেকে নিজ বাড়িতে ফিরছিলেন। পথিমধ্যে বাজার সংলগ্ন সেতু অতিক্রম করতেই কয়েকজন অতর্কিতভাবে তাদের উপর হামলা করে। এসময় ছুরিকাঘাতে জনি মিয়ার পায়ের রগ কেটে ফেলে এবং শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুরুতর আঘাত পায়। এসময় আওয়ালকেও কুপিয়ে আহত করা হয়। তাদেরকে উদ্ধার করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে নিয়ে আসলে জরুরি বিভাগের দায়িত্ব প্রাপ্ত চিকিৎসক তাদের ঢাকায় প্রেরণ করেন। তারা ঢাকায় যাওয়ার পথে রাত ২টার দিকে নরসিংদীতে জনি মিয়া মারা যান।
আশুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাহিদ আহমেদ জানান, পায়ে ও পেটে ছুরির আঘাতে চিহ্ন রয়েছে। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে কারণে জনির মৃত্যু হয়েছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। পরিবারের লিখিত অভিযোগের প্রাপ্তি স্বাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
জুয়েল মিয়া, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি, টেলিভিশন জার্লালিষ্ট এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক, চ্যানেল টুয়েন্টি ফোর এবং দৈনিক জনকণ্ঠের স্টাফ রিপোর্টার রিয়াজ উদ্দিন জামির মৃত্যুতে তিনদিনের শোক কর্মসূচী ঘোষণা করেছে প্রেসক্লাব। কর্মসূচীর মধ্যে মঙ্গল, বুধ ও বৃহস্পতিবার প্রেস ক্লাব ভবনে কালো পতাকা উত্তোলন। সংবাদকর্মীদের কালো ব্যাচ ধারন।৩ দিনের শোক শেষে ৯ মার্চ বৃহস্পতিবার বাদ আসর প্রেসক্লাব মিলনায়তনে মরহুমের আত্মার মাগফেরাত কামনায় মিলাদ ও দোয়া মাহফিল। ১০ই মার্চ শুক্রবার বাদ জুম্মা সংবাদকর্মীদের উদ্দ্যেগে শহরের প্রত্যেক মসজিদে দোয়ার আয়োজন।
রিয়াজ উদ্দিন জামির মৃত্যুতে সুধীজনদের অনুভুতি প্রকাশের জন্য শোক বই খোলা হয়েছে। উল্লেখ্য, সোমবার (০৬ মার্চ) রাত সাড়ে ১১টার দিকে ভারতের মুম্বাই টাটা মেমোরিয়াল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৫০ বছর। তিনি দুই ছেলে, স্ত্রী ও আত্মীয় স্বজনসহ অসংখ্য গুনগ্রাহী রেখে গেছেন।উল্লেখ্য, সাংবাদিক নেতা রিয়াজ উদ্দিন জামি দীর্ঘ ছয় মাস ধরে ক্যান্সার রোগের চিকিৎসা নিচ্ছিলেন।তার ছোট ভাই শিহাব উদ্দিন বিপু জানান, মরদেহ ভারত থেকে আসার পর পারিবারিক সিদ্ধান্তে নামাজের জানাযা সময় নির্ধারণ করা হবে। এ দিকে রিয়াজ উদ্দিন জামির মৃত্যুর সংবাদ শুনে তাঁর বাসায় সহকর্মী সাংবাদিকবৃন্দ, আত্মীয়স্বজনসহ শোকার্ত মানুষের ঢল নামে। তাঁর মৃত্যুতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রিপোর্টার্স ক্লাব ৫ দিনের শোক কর্মসূচী ঘোষণা করে কালো ব্যাচ ধারন করেন। তাঁর রুহের মাগফেরাত কামনায় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ব্রাহ্মণবাড়িয়া বাতিঘরের উদ্যোগে কোরআন খতম কর্মসূচী নেওয়া হয়েছে। এছাড়া তাঁর রুহের মাগফেরাত কামনা করে সম্মানিত সকল সাংবাদিকদের নিজ নিজ মহল্লার মসজিদে মঙ্গলবার বাদ এশা দোয়ার আয়োজন করার জন্য বিনীত অনুরোধ করেন বাংলাদেশ প্রতিদিনের জেলা প্রতিনিধি সাংবাদিক মোশাররফ হোসেন বেলাল।
নিউজ ডেস্ক : উকিল আবদুস সাত্তার ভূঁইয়া। দলের নির্দেশে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল ও আশুগঞ্জ) আসন থেকে পদত্যাগ করে আবার উপনির্বাচনে স্বতন্ত্র হিসেবে দাঁড়িয়ে ফের সংসদ সদস্য হয়েছেন তিনি। বিএনপির এই দলছুট নেতা সম্প্রতি বেশ আলোচনায় রাজনৈতিক অঙ্গনে।
আজ (রোববার) আবার আলোচনায় এসেছেন তিনি।তবে আজ আলোচনায় এসেছেন ভিন্ন কারণে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাবের উদ্যোগে আয়োজিত অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের তিন সংসদ সদস্যের সঙ্গে পাশাপাশি এক মঞ্চে ছিলেন উকিল আবদুস সাত্তার।তিনি বক্তব্য দেওয়ার সময় প্রায় ৩০ সেকেন্ড তার মাইক্রোফোন ধরে রাখেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।বক্তব্য শেষে আবদুস সাত্তার বললেন ‘বাংলাদেশ জিন্দাবাদ’, যেটি বিএনপির স্লোগান হিসেবেই পরিচিত।
উকিল আবদুস সাত্তার যখন বিশেষ অতিথির বক্তব্য দিচ্ছিলেন, তখন মাইক্রোফোন ধরেন মুখের কাছ থেকে কিছুটা দূরে। এ কারণে তার বক্তব্য স্পষ্ট শোনা যাচ্ছিল না। অসুস্থতার কারণে সে সময় তার শরীর কাঁপছিল।এ সময় পাশে বসা আইনমন্ত্রী নিজেই মাইক্রোফোনটি ধরে আবদুস সাত্তারের মুখের কাছে নিয়ে ধরেন। প্রায় ৩০ সেকেন্ড মাইক্রোফোন ধরে রাখেন মন্ত্রী।
প্রেস ক্লাবের নতুন অভিযাত্রায় শুভ উদ্বোধন উপলক্ষ্যে রোববার এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। দুপুর পৌনে ১২টার দিকে প্রেস ক্লাবে পৌঁছান আইনমন্ত্রী। তিনি ফিতা কেটে প্রেস ক্লাবের উদ্বোধন করেন। প্রেস ক্লাবটির সভাপতি রিয়াজ উদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ (সদর ও বিজয়নগর) আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল ও আশুগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য উকিল আবদুস সাত্তার ভূঁইয়া, সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য উম্মে ফাতেমা নাজমা বেগম, জেলা প্রশাসক মো. শাহগীর আলম, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আল মামুন সরকার, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন প্রমুখ।
মোঃনিয়ামুল ইসলাম আকন্ঞ্জি :ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের আনন্দময়ী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচন হয়েছে গত শনিবার। ১০ বছর পর হওয়া এই নির্বাচন ঘিরে উৎসাহ-উদ্দীপনা ছিলো ব্যাপক। নির্বাচনে সাধারণ অভিভাবক সদস্যের ৪টি এবং সংরক্ষিত মহিলা অভিভাবক সদস্যের একটি পদের জন্যে দুটি প্যানেলে ১০ জন প্রতিদ্বন্ধিতা করেন। এতে ৫টি পদেই জয় পেয়েছে খোকন-আনিছ পরিষদ। তাদের সবাই দ্বিগুনেরও বেশী ভোট পেয়েছেন। সাধারণ অভিভাবক সদস্য পদে সর্বোচ্চ ৫৮২ ভোট পেয়ে জয়ী হন মোহাম্মদ হাবিব উল্লাহ,২য় মো: আজহারুল করিম পেয়েছেন ৫৩৯ ভোট,মো: আনিছ খাঁন ৫২৩ ভোট পেয়ে তৃতীয় এবং ৪৫৬ ভোট পেয়ে চতুর্থ হয়েছেন আবদুল্লা আল সাঈদ। নারী অভিভাবক সদস্য পদে ৫৩৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন তাহমিনা আক্তার। তাদের প্রতিদ্বন্ধি পুরুষ অভিভাবক সদস্য মনির খাঁন পেয়েছেন ২৮৬ ভোট,মো: শফিকুর রহমান ২১২ ভোট,নন্দ দুলাল পাল ১৬৩,দীলিপ কুমার কর্মকার ১৪১ এবং বিউটি রানী সুত্রধর পেয়েছেন ২৫২ ভোট। খোকন-আনিছ পরিষদ বিদ্যালয়ের পাশের লোকনাথ ময়দান ভিত্তিক সংগঠন ‘ভোরের সাথী’ মনোনীত প্যানেল হিসেবে পরিচিত। সংগঠনের সভাপতি মো: আতিকুল ইসলাম আতিকের নেতৃত্বে সংগঠনের সদস্যরা ওই প্যানেলকে জয়ী করতে সক্রিয় ছিলেন। নির্বাচনে মোট ১৪২১ ভোটের মধ্যে ৯৫৬ ভোট কাষ্ট হয়। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো: আবু জামাল জানান-২০১৪ সালে সর্বশেষ নির্বাচন হয়। এরপর এডহক কমিটি দায়িত্ব পালন করে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ও নির্বাচনের প্রিজাইডিং অফিসার জীবন ভট্টাচার্য জানান-নির্বাচন সুষ্টু ও শান্তিপূর্ন হয়েছে।