স্বত্ব © 2024 দৈনিক পত্রিকা |
সম্পাদক ও প্রকাশক: উবায়দুর রহমান, ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: মোঃ জুয়েল মিয়া প্রতিষ্ঠাতা: পি বা লিজন।সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয়- পাইকপাড়া,লোকনাথ দিঘীর পাড়,পৌর কমিউনিটি সেন্টার ২য় তলা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া।দৈনিক পত্রিকা অনলাইন নিউজ পোর্টাল। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের কর্তৃক নিবন্ধনের জন্য প্রক্রিয়া দিন।newsdainikpatrika@gmail.com মোবাইল নাম্বার 01751406352,01715958768
‘জন্মিলে মরিতে হবে, অমর কে কোথা কবে?’ অমোঘ এই কথাটির ব্যাত্যয় কি আদৌ ঘটেছে? নাকি কদ্যপিও ঘটবে? মৃত্যুই জীবনের সত্যিকারের গন্তব্য।’মানুষ মরণশীল’ কথাটি একেবারেই রূঢ় বাস্তব। তথাপি কিছু মানুষ মরে যাবার পরও বেঁচে থাকেন তাঁর সুকর্মের মাধ্যমে। তাদেরকে গভীর শ্রদ্ধার সাথর স্মরণ করতেই হয়। তেমনিই একজন তিতাসপাড়ের জ্ঞানের পাঠাগার মুহম্মদ মুসা। ‘বই-বৃক্ষ-বিদ্যালয়’ তিন অনুষঙ্গে ছিলো যার আশ্রয়।
—
মুহম্মদ মুসা। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আলোকিত এক নাম, সর্বজন শ্রদ্ধেয় ব্যক্তিত্ব-ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের আকাশের দেদীপ্যমান এক নক্ষত্র। অকস্মাতই উজ্জ্বলতর আলোকবর্তিকাটি হয়ে গেলো নিষ্প্রভ। সকলের প্রিয়ভাজন মুসা স্যার আমাদের মাঝে নেই! ৭ সেপ্টেম্বর’২০১৯ শনিবার ভোররাত তিনটায় জেলা শহরের মৌড়াইলস্থ নিজস্ব বাসভবনে ৮৬ বছর বয়সে ইন্তেকাল করেন, ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। তিনি মৃত্যুকালে একমাত্র কন্যা-স্ত্রীসহ গোটা ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলাবাসীকেই করে গেছেন শোকাহত।
—
ভাষা সৈনিক, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের সাবেক ভিপি, নিয়াজ মুহম্মদ উচ্চ বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক, তিতাসপাড়ের জ্ঞানের পাঠাগার,বরেণ্য সাংবাদিক,গবেষক, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাবের প্রাক্তন সভাপতি, নিয়াজ মুহম্মদ উচ্চ বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি, সর্বজন শ্রদ্ধেয় মুহম্মদ মুসা (মুসা স্যার) ব্রাহ্মণবাড়িয়ার শিক্ষা সাহিত্য সংস্কৃতি সাংবাদিকতায় ছিলেন মহীরুহতুল্য ব্যক্তিত্ব। মুসা স্যারের আকস্মিক মৃত্যুতে শোকাহত হন সর্বশ্রেণীর মানুষ। বিশেষত আমাকে ‘সিরাজ মিয়া’ নামে সম্বোধন করার মতো পরম অভিভাবকটি আর রইলো না,চলেই গেলেন একেবারে চিরতরে। আমার প্রায় তিন দশকের সাংবাদিকতা জীবনের প্রত্যেকটি ছত্রে ছত্রে আষ্টেপিষ্ঠে জড়িয়ে আছেন প্রিয় মুসা স্যার।
—
‘একজন মুহম্মদ মুসা এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া’ একে অন্যের পরিপূরক বললেও অত্যুক্তি হবে না। বই-বৃক্ষ-বিদ্যালয় এই তিন অনুসঙ্গ মুসা স্যারের জীবনের অবিচ্ছেদ্যাংশ। মুসা স্যারের কাছে ‘যদ্যপি আমি সিরাজ মিয়া’ হিসেবে সম্বোধিত হতেম, তেমনিভাবে এই শহরের বহু বিদ্যার্থীর নির্ভেজাল অভিভাবকও ছিলেন তিনি। অতিবাহিত হয়ে গেলো ম্যালা সময়, কেউই তো আমায় আর অমন করে আগলে রাখছে না! করছে না পড়তে উদ্বুদ্ধ। কদ্যপি আর কেউ করবে কি? জ্ঞানের এমনতর মহীরুহতুল্য ব্যক্তিত্বের সন্ধান কি এই ব্রাহ্মণবাড়িয়া আর পাবে?
—
পরিশেষে পরম করুনাময় মহান আল্লাহ্ রাব্বুল আলামিনের দরবারে কায়মনোবাক্যে প্রার্থনা, স্যারকে ক্ষমা করে জান্নাত নসিব করুন। এই কামনার পাশাপাশি স্যারের শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি জ্ঞাপন করছি গভীর সমবেদনা।
® এইচ.এম. সিরাজ
নির্বাহী সম্পাদক- The Daily Prajabandhu
#গ্রন্থাগার_সম্পাদক- Brahmanbaria Pressclub
আদিত্য কামাল
জনতার খবর এর তৃতীয় বর্ষপূর্তি উপলক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।শনিবার (১৭ জুন) সন্ধ্যায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া টেংকের পাড়স্থ পৌর কমিউনিটি সেন্টারের ২য় তলায় জনতার খবর এর কার্যালয়ে এ আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।জনতার খবর এর নির্বাহী সম্পাদক এইচএম জাকারিয়া জাকির এর সভাপতিত্বে ও বিশিষ্ট কন্ঠ শিল্পী ও সাংবাদিক শাহাদাত হোসেন সোহেলের উপস্থাপনায়, এতে উপস্থিত ছিলেন, জনতার খবর এর উপদেষ্টা ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাবেদ রহিম বিজন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি দীপক চৌধুরী বাপ্পী, সাধারণ সম্পাদক বাচিক শিল্পী মো. মনির হোসেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সাবেক আইসিটি সম্পাদক জনতার খবর এর সহ-সম্পাদক মো. মুজিবুর রহমান খাঁন, এড. হুমায়ূন কবির, জাতীয় মানবাধিকার সোসাইটি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মোস্তাক আহমেদ খোকন, বৈশাখী শিল্পী গোষ্ঠীর প্রতিষ্টাতা সভাপতি মোহাম্মদ হোসেন, পিস ভিশন বাংলাদেশের সভাপতি এড. শেখ জাহাঙ্গীর, পিস ভিশন বাংলাদেশ এর সাধারণ সম্পাদক শরীফ আহমেদ খান, কবি রুদ্র মোহাম্মদ ইদ্রিস, বৈশাখী শিল্পী গোষ্ঠীর সাধারণ সম্পাদক সামসুল আলম বাবু, বিশিষ্ট নারী সংগঠক কোহিনূর আক্তার প্রিয়া, জনতার খবর’র সম্পাদক আদিত্ব্য কামাল, ডিজিটাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল নাঈম, কবির কলম সংগঠনের সভাপতি তিতাস হুমায়ূন, দৈনিক চিত্র’র জেলা প্রতিনিধি মোহাম্মদ জুয়েল মিয়া, , তিতাস বার্তা নারী বিষয়ক সম্পাদক সামসুন্নাহার জেনি, মুক্তধারা সাহিত্য অঙ্গনের সভাপতি মাজহারুল ইসলাম চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক আল-আমিন তুষার, সাপ্তাহিক তিতাস বার্তার হাবিব মোমেন, মো. রনি মিয়া প্রমূখ।এসময় বক্তাগণ ‘জনতার খবর’কে বিগত দিনে দেশ ও জাতীর কল্যাণে বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনের জন্য ধন্যবাদ জানান ও ভবিষ্যতেও এই ধারা অব্যাহত থাকবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।পরে কেককাটা ও মোনাজাত করা হয়, মোনাজাত পরিচালনা করেন, মোহাম্মদ মুছা।
আদিত্য কামাল
বঙ্গাব্দ বর্ষপঞ্জি অনুসারে এখন কার্তিক মাস চলছে। কার্তিক-অগ্রহায়ণ এ দুই মাস হেমন্তকাল। এক অপরূপ রূপের ঋতু হেমন্ত। যে ঋতুর সঙ্গে মানুষের হাসি-কান্না জড়িয়ে আছে। শরৎকাল শেষ হলেই হেমন্তের আগমন। ছয় ঋতুর মধ্যে চতুর্থ ঋতু হলো হেমন্ত যা কার্তিক অগ্রহায়ণ মাসের সমন্বয়ে গঠিত হয়। হেমন্তের শেষে শুরু হয় শীতকাল, তাই হেমন্ত কে বলা হয় শীতের পূর্বাভাস। এখন চলছে হেমন্তকাল। যখন দুপুরে রোদের তেজ কমে ধীরপায়ে বিকেলের পথ ধরে সন্ধ্যা নামে, তখন আমাদের শৈশবে গ্রামবাংলায় আমরা দেখেছি উত্তর থেকে ঝিরিঝিরি বাতাস বয়ে আসছে। কাকভোরে এবং বিকেলের পর বাতাসে দেখা যায় হিম হিম ভাব, সন্ধ্যার পরেই একটা নির্জীব ছায়ার মতো রং ঘিরে ফেলে, পাতায় জমা ধুলোর মতো চারপাশটা মলিন ছায়ায় আচ্ছন্ন হয়ে যায়, ভেজা একটা কুয়াশার চাদর, প্রকৃতি ও মনকে জড়িয়ে ধরে নিবিড়ভাবে।
বাংলার প্রকৃতিতে এখন বিরাজ করছে সুমঙ্গলা হেমন্ত। ঋতুর রানী শরতের প্রস্থানের পরই হিমবায়ুর পালকি চড়ে হালকা কুয়াশার আঁচল টেনে আগমন হয়েছে তার। প্রকৃতিতে ফুটে উঠেছে সুন্দর রূপবিভা। হরিদ্রাভ সাজবরণ করেছে পত্রপল্লব। কাঁচা সোনার রঙ লেগেছে দিগন্তবিস্তৃত ফসলের মাঠে। মাঠে মাঠে শুরু হয়েছে ধান কাটার ধুম। ধানের ম-ম গন্ধে ভরে উঠছে চারদিকে।
ঋতু বদলের সঙ্গে সঙ্গে বদলায় বাংলার প্রকৃতি ও জীবন। বঙ্গাব্দ বর্ষপঞ্জি অনুসারে বর্তমানে কার্তিক মাস চলছে। কার্তিক-অগ্রহায়ণ এ দুই মাস বাংলাদেশে হেমন্তকাল। এক অপরূপ রূপের ঋতু হেমন্ত। যে ঋতুর সঙ্গে মানুষের হাসি-কান্না জড়িয়ে আছে।
হেমন্ত ঋতুর রয়েছে অনন্য কিছু বৈশিষ্ট্য। সকালের শিশির ভেজা ঘাস আর হালকা কুয়াশায় প্রকৃতিতে বেজে ওঠে শীতের আগমনী বার্তা। মাঠের পাকা সোনালি ধান, কৃষকের ধান ঘরে তোলার দৃশ্য, কৃষক-কৃষাণির আনন্দ সবই হেমন্তের রূপের অণুষঙ্গ। বৈচিত্র্য রূপের সাজে প্রকৃতিতে হেমন্ত বিরাজ করে। হেমন্ত ঋতুতে চলে শীত-গরমের খেলা। হেমন্তের শুরুর দিকে এক অনুভূতি আর শেষ হেমন্তে অন্য অনুভূতি। ভোরের আকাশে হালকা কুয়াশা, শিশিরে ভেজা মাঠ-ঘাট তারপর ক্রমেই ধরণী উত্তপ্ত হতে থাকে। সৌন্দর্য এবং বৈশিষ্ট্য লালিমায় বাংলার অপরূপ রূপের ঋতু হেমন্ত।
রূপসী হেমন্ত ধূসর কুয়াশায় নয়ন ঢেকে ফসল ফলাবার নিঃসঙ্গ সাধনায় থাকে নিমগ্ন। ক্ষেতে-খামারে রাশি রাশি ভরা ভরা সোনার ধান উঠতে থাকে। চারদিকে অন্তহীন কর্মব্যস্ততা। আজও তিতাস-তিস্তা করতোয়া থেকে শুরু করে পদ্মা-যমুনার তীরে তীরে যেসব সোনালি ফসল সোনা ছড়ায় সেও তো হেমন্তেরই দিনে। নবান্নের উৎসব হয়। প্রাচুর্যময়ী হেমন্তের ফুলের বাহার নেই, সৌন্দর্যের জৌলুস নেই, রূপ-সজ্জারও নেই প্রাচুর্য; আছে মমতাময়ী নারীর এক অনির্বচনীয় কল্যাণী রূপশ্রী। সে আমাদের ঘর সোনার ধানে ভরে দিয়ে শিশিরের মতো নিঃশব্দ চরণে বিদায় গ্রহণ করে। অলক্ষ্যে চেয়ে চেয়ে দেখে। আর প্রতীক্ষায় থাকে কখন শীত আসবে।
হেমন্ত শীতের পথ-প্রদর্শক। হেমন্তে ঘরে ঘরে সোনার ফসল ওঠে। ধান ভানার গান ভেসে বেড়ায় বাতাসে, ঢেঁকির তালে মুখরিত হয় বাড়ির আঙিনা। নবান্ন আর পিঠেপুলির উৎসবের আনন্দে মাতোয়ারা হয় সবাই। সকালের সোনালি রোদে সোনালি ধান ঝলমল করে হেসে ওঠে। ধূসর বর্ণের হেমন্তে তাই আছে পরিপূর্ণতা, রিক্ততার লেশমাত্র তাতে নেই। আর এই দান কুয়াশা আর বিষণ্ণতার পোশাক পরা শান্ত সৌম্য হেমন্তের।
হেমন্তের উচ্ছ্বাস নেই, চপলতা নেই। সে যতটা পারে কেবল দিয়েই যায়। ধরিত্রীর অন্তরঙ্গ সহচরী হেমন্তের তাই নিজের জন্য কোনো প্রত্যাশা নেই। দানেই তার আনন্দ।
জ্যোৎস্না রাত্রির মতো সূর্যোদয় আর সূর্যাস্তেও শরতের প্রকৃতি অনন্য রূপ নেয়। মূলত শরৎ এসেই যেন মেলে ধরে অফুরন্ত সৌন্দর্যের ভাণ্ডার। কিন্তু ঋতুরঙ্গশালায় শরতের স্থায়িত্ব ক্ষণিকের কেননা শরতের প্রথম দিকে অনেকটা সময়ই বর্ষার বর্ষণে সিক্ত থাকে। আবার হেমন্ত শিশিরভেজা পায়ে কিছুটা আগেই শরতের দরজায় কড়া নাড়ে। আর শিউলি ফোটে না, ঝরে না। নদীতীরে কাশের গুচ্ছ উদাস হাওয়ায় মাতে না, কাশও ঝরে পড়ে। সাঁঝের পর হালকা কুয়াশায় জোনাকিরা জ্বলে-নেভে। সেই আলো-আঁধারি কুয়াশা গায়ে মেখে হেমন্ত আসে। বড় কুণ্ঠাজড়িত পদক্ষেপ তার। সে না এলে ঋতুমঞ্চে শীত আর বসন্তের আসা হবে না। কেবল সেজন্যেই যেন সে আসে। নবান্নের উৎসব হয়। হেমন্ত অলক্ষ্যে চেয়ে চেয়ে দেখে। আর প্রতীক্ষায় থাকে কখন শীত আসবে। কোনোরকম আত্মঘোষণা ছাড়াই সে আসে আর সারাটা ক্ষণ লুকিয়ে থাকে। তারই কল্যাণস্পর্শে ভরে ওঠে গৃহস্থের আঙিনা অথচ সে-ই যেন চরম উপেক্ষিত। তবু তার মুখে স্নিগ্ধ প্রসন্ন হাসি।
হেমন্ত অন্নদাত্রী, হেমন্ত লক্ষ্মী। ধরিত্রীর বুকে যেদিন প্রথম ফসল ঘরে উঠল, আদিম মানব-মানবী হলো আনন্দে আত্মহারা, সেদিন তা হেমন্তই অলক্ষ্যে দাঁড়িয়ে ছিল। আজও তিস্তা-করতোয়া থেকে শুরু করে পদ্মা-যমুনার তীরে তীরে যেসব সোনালি ফসল সোনা ছড়ায় সেও তো হেমন্তেরই দিনে।
তাই ফসল ফলাবার নিরলস সাধনায় মগ্ন থেকে হেমন্ত। সে যেন কল্যাণদাত্রী জননী। হেমন্ত শরতের পরিণতি আর শীতের পথ-প্রদর্শক। হেমন্তে ঘরে ঘরে সোনার ফসল ওঠে। ধান ভানার গান ভেসে বেড়ায় বাতাসে, ঢেঁকির তালে মুখরিত হয় বাড়ির আঙিনা। নবান্ন আর পিঠেপুলির উৎসবের আনন্দে মাতোয়ারা হয় সবাই। সকালের সোনালি রোদে সোনালি ধান ঝলমল করে হেসে ওঠে। ধূসর বর্ণের হেমন্তে তাই আছে পরিপূর্ণতা, রিক্ততার লেশমাত্র তাতে নেই। আর এই দান কুয়াশা আর বিষণ্ণতার পোশাক পরা শান্ত সৌম্য হেমন্তের।
এভাবে হেমন্তে বাংলার প্রকৃতি ভিন্ন ভিন্ন রূপ নেয়। শরৎ যদি হয় উচ্ছ্বলতার ও আনন্দের, হেমন্ত তবে বিষণ্ণতার। দুজনেই সাধ্যমতো উপহার দেয়। শরৎ সাজায় প্রকৃতিকে, হেমন্ত ভরিয়ে তোলে গৃহ-ভাণ্ডার। একজনের দানের আভাস বড় বেশি স্পষ্ট। যেখানে উজ্জ্বলতা আছে, আছে উচ্ছলতা। অন্যজন ভরিয়ে তোলে গৃহকোণ। প্রকৃতি তখন ধূসর, মলিন। এ ঋতু চক্রের মহিমায় বাংলাদেশ চিরকাল অপূর্ব সুখ, সৌন্দর্য ও শান্তির নিকেতন।
হেমন্ত এলে পাল্টে যায় প্রকৃতি ও মানুষ। গ্রামের পরিবেশে আনন্দ বিরাজ করে। গ্রাম্য মেলা, ঘরে ঘরে পিঠা-পায়েস বানানোর আয়োজন, ঢেঁকির শব্দ সব মিলিয়ে এক অন্যরকম প্রকৃতিকে বরণ করে নেয় হেমন্তে। এ ঋতুতে ফোটে গন্ধরাজ, মল্লিকা, শিউলি, কামিনী, হিমঝুরি, দেব কাঞ্চন, রাজ অশোক, ছাতিম, বকফুল। সকালের শিশির ভেজা ঘাস আর হালকা কুয়াশায় প্রস্তুত হয় প্রকৃতি, খেজুরের রস সংগ্রহে প্রস্তুত হতে দেখা যায় গাছিদেরও তোলা শুরু হয় নতুন আলু।
শুধু জননী জন্মভূমি রূপেই নয়, রূপসী বাংলার এই ষড়ঋতু নানা বর্ণ-গন্ধ গানের সমারোহে নিত্য-আবর্তিত হয়ে চলে। কিন্তু শহরবাসী ও শহরমুখী বাঙালি আজ আর অন্তরে অনুভব করে না তার সাদর নিমন্ত্রণ। ঋতু-পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে প্রকৃতি যখন বিবাহের কন্যার মতো অপরূপ সাজে সেজে উঠবে বাঙালি তখন শুনবে কলকারখানার যন্ত্র-ঘর্ঘর-ধ্বনি কিংবা কম্পিউটারে অঙ্ক মেলাতে ব্যস্ত থাকবে সওদাগরি অফিসে।
নিজস্ব প্রতিবেদক : কবি ও কবিতা বিষয়ক সংগঠন ‘কবির কলম’ এর কার্যকরী কমিটি গঠিত হয়েছে।
শুক্রবার (১৫ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৫টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া টেংকের পাড়স্থ পৌর কমিউনিটি সেন্টারের ২য় তলায় ‘জনতার খবর’ এর কার্যালয়ে এক সাধারণ সভায় তিতাস হুমায়ূনকে সভাপতি ও আব্দুল মতিন শিপনকে সাধারণ সম্পাদক করে ২৩ সদস্য বিশিষ্ট কার্যকরী কমিটি ঘোষণা করা হয়। কমিটির অন্যান্য সদস্যগণ হলেন, ফাহিম মুনতাসির -সিনিয়র সহ-সভাপতি, ইফতাখারুল হক সোহান- সহ-সভাপতি, আদিত্ব্য কামাল- সহ-সভাপতি, যোবায়ের রহমান অন্তর, কোহিনূর আক্তার প্রিয়া –সহ-সভাপতি, শাহাদাত হোসেন সোহেল – সহ-সভাপতি, এমএম ইকরাম – সহ-সভাপতি, শরিফ উদ্দিন – সহ-সভাপতি, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সৈকত ভূঁইয়া জয়, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মুরাদ আল হাসান, সহ-সম্পাদক ইকরাম হোসেন, সহ-সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক – মুস্তাকিম সিকদার মাহিন, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক বিএফ সাইফুর রহমান, দপ্তর সম্পাদক রূপম ধর, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক নাজিউর রহমান, তথ্যপ্রযুক্তি সম্পাদক জুয়েনা বিনোদীনি, সংস্কৃতি সম্পাদক আরিফুল উসমান, মিজান সরকার কার্যকরী সদস্য, কার্যকরী সদস্য সুমন সাহা, গাজী তানবীর কার্যকরী সদস্য।
আগামী ২০২৩-২৪ ইংরেজি সাল পর্যন্ত এ কমিটি বলবত থাকবে।
হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সরস্বতী পূজা ও সাপ্তাহিক ছুটির কারণে আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে পূর্বোত্তর ভারতের সঙ্গে বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার দুদিন আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। তবে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য বন্ধ থাকলেও কাস্টমস, বন্দরের দাপ্তরিক কার্যক্রম এবং আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে পাসপোর্টধারী যাত্রীদের যাতায়াত স্বাভাবিক রয়েছে। আখাউড়া স্থলবন্দর আমদানি-রপ্তানিকারক অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের আগরতলা স্থলবন্দরের ব্যবসায়ী সংগঠন ‘ইন্দো-বাংলা এক্সপোর্টার-ইমপোর্টার কমিউনিকেশন সেন্টার’র সাধারণ সম্পাদক শিব শংকর দেবের বরাত দিয়ে ওই ব্যবসায়ী নেতা জানান, আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধের বিষয়টি বাংলাদেশের আখাউড়া স্থলবন্দরের ব্যবসায়ী নেতাদের আগেই জানানো হয়।
তিনি বলেন, হিন্দু সম্প্রদায়ের সরস্বতী পূজা উপলক্ষ্যে সকাল থেকে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য বন্ধ রয়েছে। সাপ্তাহিক ছুটির কারণে আগামীকাল শুক্রবারও পূর্বোত্তর ভারতের সঙ্গে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ থাকবে।
শনিবার সকালে ত্রিপুরায় মাছ রপ্তানির মধ্য দিয়ে ফের আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য কার্যক্রম শুরু হবে।
আখাউড়া আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশন ইনচার্জ স্বপন কুমার দাস জানান, আমদানি বন্ধ থাকলেও ওই দুদিন বন্দর দিয়ে যাত্রী পারাপার স্বাভাবিক থাকবে।