স্বত্ব © 2025 দৈনিক পত্রিকা |
সম্পাদক ও প্রকাশক: উবায়দুর রহমান, ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: মোঃ জুয়েল মিয়া প্রতিষ্ঠাতা: পি বা লিজন।সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয়- পাইকপাড়া,লোকনাথ দিঘীর পাড়,পৌর কমিউনিটি সেন্টার ২য় তলা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া।দৈনিক পত্রিকা অনলাইন নিউজ পোর্টাল। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের কর্তৃক নিবন্ধনের জন্য প্রক্রিয়া দিন।newsdainikpatrika@gmail.com মোবাইল নাম্বার 01751406352,01715958768
দিনটি পালনে জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের উদ্যোগে বুধবার (৬ সেপ্টেম্বর) সকালে শহরের আনন্দময়ী কালিবাড়ি থেকে একটি বর্ণ্যাঢ্য আনন্দ শোভাযাত্রা বের হয়। এতে বিভিন্ন বয়সী নারী,পুরুষ, শিশুসহ বিপুল সংখ্যক পূণ্যার্থীরা অংশগ্রহন করেন।
এ সময় ভক্তবৃন্দরা ঢাক-ঢোল আর কাসার তালে তালে শ্রী কৃষ্ণের বন্দনা করে কীর্তন করেন। এছাড়া নানা সাজে সজ্জিত হয়ে মহাবতার শ্রী কৃষ্ণের বিভিন্ন লীলা বিলাসের নাট্যপ্রদর্শন করেন। বর্ণ্যাঢ্য আয়োজনে পুরো শহর মূখরিত হয়ে উঠে।
শোভাযাত্রাটি লোকনাথ টেংকের পাড় থেকে শুরু হয়ে শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে ফের আনন্দময়ী কালিবাড়িতে এসে শেষ হয়। এছাড়াও দিনটি পালনে গীতা পাঠসহ নানা ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট হেলেনা পারভীন, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আল মামুন সরকার, জেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ সভাপতি মোঃ হেলাল উদ্দিন, জেলা পূজা উদযান পরিষদের আহবায়ক এডঃ প্রণব কুমার দাস উত্তম, সদস্য সচিব সঞ্জীব চন্দ্র সাহা বাপ্পি, জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক উপ দপ্তর সম্পাদক স্বপন রায় প্রমূখ।
প্রসঙ্গত, হিন্দু পুরান মতে আজ থেকে ৫ হাজার ২শ বছরেরও আগে দ্বাপর যুগে অধর্মের নাশ করে ধর্ম স্থাপনায় ভাদ্র মাসের শুক্লপক্ষের অষ্টমী তিথিতে ভগবান শ্রী কৃষ্ণ এই ধরাধামে অবতার গ্রহন করেন।
এ ঘটনায় মৃতের স্ত্রী সোমা বেগম বাদী হয়ে মঙ্গলবার সকালে ঘাতক ভাই ও তার স্ত্রীকে আসামি করে সদর মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
নিহত গোলাপ মিয়া খাঁটিহাতা গ্রামের মনসুর আলীর ছেলে।
স্থানীয় সূত্র ও পুলিশ জানায়, মৃত গোলাপ মিয়া খাঁটিহাতা বাজারের নৈশপ্রহরী ছিলেন। তিনি ছিলেন মাদকসেবী। স্থানীয়রা গোলাপকে মাদক সেবন করতে নিষেধ করলে তিনি স্থানীয়দের সঙ্গে অশোভন আচরণ করতেন। সোমবার দুপুরেও গোলাপ স্থানীয় একজনের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করে। পরে ওই ব্যক্তি গোলাপের বড় ভাই মঞ্জুর আলীর কাছে নালিশ করেন।
সোমবার সন্ধ্যার দিকে মঞ্জুর আলী গোলাপকে ডেকে মাদক গ্রহণ ও মানুষের সঙ্গে যেন খারাপ ব্যবহার না করে সেই কথা বললে গোলাপ মঞ্জুর আলীর সঙ্গেও খারাপ ব্যবহার করে। এ নিয়ে দুই ভাইয়ের মধ্যে প্রথমে কথা কাটাকাটি ও পরে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। একপর্যায়ে গোলাপ মিয়া মাটিতে পড়ে গেলে মঞ্জুর আলী গোলাপ মিয়ার কানে কামড় দিয়ে রক্তাক্ত করে।
পরে রক্তাক্ত অবস্থায় স্থানীয়রা গোলাপ মিয়াকে উদ্ধার করে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসেন। হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক গোলাপ মিয়ার কানে ১৫টি সেলাই দিয়ে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় রেফার করেন। গোলাপের স্বজনরা তাকে ঢাকায় না নিয়ে শহরের একটি বেসরকারি ক্লিনিকে ভর্তি করেন। সেখানেই রাত ১১টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গোলাপ মিয়া মারা যান।
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ওসি মো. আসলাম হোসেন বলেন, এ ঘটনায় মৃতের স্ত্রী সোমা বেগম বাদী হয়ে মঙ্গলবার সকালে বড় ভাই মঞ্জুর আলী (৪২) ও তার স্ত্রী আছিয়া বেগমকে (৪০) আসামি করে সদর মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। পুলিশ আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা করছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৫ জুলাই) সকাল ৮টায় উপজেলার পাকশিমুল ইউনিয়নের পরমানন্দপুর গ্রামে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, পরমানন্দপুর গ্রামের নুর আলী-আইয়ুব গ্রুপ ও মতি-জাফর গ্রুপের মধ্যে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। এর জেরে আজ সকালে সামান্য ঘটনাকে কেন্দ্র করে নুরআলী-আইয়ুব গ্রুপের লোকজন মতি-জাফর গ্রুপের লোকজনকে ডাকাডাকি শুরু করে। পরে উভয় পক্ষ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ৫০ জন আহত হয়। আহতদের ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালসহ বিভিন্ন ক্লিনিকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
এ বিষয়ে সরাইল থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আ.স.ম আতিকুর রহমান বলেন, ‘খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছে। সংঘর্ষে জড়িতদের ধরতে অভিযান চলছে। এখন পর্যন্ত ৫ জনকে আটক করা হয়েছে। যে কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা এড়াতে ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
জুয়েল মিয়া, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় মাদক কারবারিদের ছুরিকাঘাতে খাইরুল ইসলাম নামে এক পুলিশ সদস্য গুরুতর আহতের ঘটনায় ৩৪জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। শনিবার (৬মে) দুপুরে আখাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আসাদুল ইসলাম তাদের গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। আহত পুলিশ সদস্য এখন আশংকামুক্ত আছে, ঢাকা মেডিকেল থেকে পুলিশ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
এর আগে শুক্রবার (৫ মে) রাত সাড়ে ৮ ঘটিকার সময় উপজেলার মনিয়ন্দ ইউনিয়নের শিবনগর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে নেওয়ার পর প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়।
জানা যায়, শুক্রবার রাতে আখাউড়া থানা পুলিশের একটি দল উপজেলার মনিয়ন্দ ইউনিয়নে মাদক বিরোধী অভিযানে যায়। সেখানে শিবনগর এলাকায় অভিযান পরিচালনাকালে সেলিম ও সোহেল নামে দুই মাদক কারবারিকে আটকের সময় তারা পুলিশের ওপর হামলা চালায়। এ সময় পুলিশ সদস্য খাইরুল ইসলামের পেটে ছুরিকাঘাত করে মাদক কারবারিরা পালিয়ে যায়। এতে তিনি মাথায় ও পেটে গুরুতর জখম হন।
আদিত্য কামাল
চলো যাই যুদ্ধে,মাদকের বিরুদ্ধে এই প্রতিপাদ্য শ্লোগানে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর থানা পুলিশ এক বিশেষ অভিযানে ১৮০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট সহ একজন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে।মোঃ আসাদুল ইসলাম, অফিসার ইনচার্জ এর নির্দেশনায় ১৫ ডিসেম্বর দিবাগত রাত আনুমানিক ১২:৩০ সময় বিজয়নগর উপজেলার আউলিয়া বাজার পুলিশ তদন্ত পরিদর্শক (নিরস্ত্র) মোঃ মফিজুল ইসলাম এর নেতৃত্বে এসআই(নিরস্ত্র) পংকজ কুমার সাহা সঙ্গীয় ফোর্সদের সমন্বয়ে এলাকায় মাদক উদ্ধার বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে। এ অভিযানে ৮নং বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের ইকরতলী গ্রামের মোঃ রহমত আলী ভূইঁয়া এর বসত ঘরের পশ্চিম পাশে তাহার শয়ন কক্ষের তোষকের নীচ হইতে ১৮০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করেন।মোঃ রহমত আলী ভূইঁয়া (৩৫), ইকরতলী গ্রামের আব্দুল সহিদুল হক ভূঁইয়া ছেলে।বিজয়নগর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃআসাদুল ইসলাম জানান, ইকরতলী গ্রামের মোঃ রহমত আলী ভূইঁয়া (৩৫) নামক এক মাদক ব্যবসায়ীকে তার শোয়ন কক্ষের তোষকের নীচ থেকে ১৮০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ গ্রেফতার করা হয়। পরবর্তীতে বর্ণিত আসামীর বিরুদ্ধে বিজয়নগর থানায় মাদক আইনে নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়। বিজয়নগর থানা পুলিশ কর্তৃক মাদক বিরোধী অভিযানের ধারা অব্যাহত থাকবে।
রবিবার (২৭ আগস্ট) রাতে শহরের পৌর কমিউনিটি সেন্টারে আয়োজিত সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ একরামুল্লাহ।
এ সময় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বি.এমের সভাপতি ডা. এফ. জামানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বি. এমের সাধারণ সম্পাদক ডা. মো আবু সাঈদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালের আর. এম. ও ডা. ফাইজুর রহমান ফায়েজ। স্কয়ার ফার্মার পক্ষে উপস্থিত ছিলেন স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস প্রোডাক্ট এক্সসিকিউটিভ মহিবুল ইসলাম, প্রোডাক্ট ম্যানেজার মো.আহসান হাবীব, রিজিওনাল সেলস ম্যানেজার মো. খাইরুল ইসলাম প্রমুখ।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জেলা বিএমএর আয়োজনে ও স্কয়ার ফার্মাসিটিক্যালের সহযোগিতায় আয়োজিত সায়েন্টিফিক সেশনে ডা. মারুফ হাসান ডেঙ্গুর আধুনিক চিকিৎসার বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন।
বক্তারা বলেন, স্কয়ারের ঔষধ খুবই গুণগতমানসম্পন্ন। স্কয়ারের এ অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকুক আমরা এ কামনা করি। ডেঙ্গুজ্বর থেকে সচেতন থাকার জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানান বক্তারা। এ সময় জ্বর হলে দ্রুত টেস্ট করা ও ডাক্তারদের শরণাপন্ন হওয়ার পরামর্শ দেন বক্তারা।বাড়ির আঙিনা পরিষ্কারের পাশাপাশি কোথাও পানি যাতে না জমে সেদিকে খেয়াল রাখার আহ্বান জানান বক্তারা।
এমন একটি সেমিনারের জন্য স্কয়ারের ভূয়সী প্রশংসা করেন। এ সময় জেলায় কর্মরত ১৬০ জন ডাক্তার উপস্থিত ছিলেন।